Showing posts with label আইসিসি ওয়ানডে ক্রিকেট বিশ্বকাপ. Show all posts
Showing posts with label আইসিসি ওয়ানডে ক্রিকেট বিশ্বকাপ. Show all posts
অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে লড়াই করে ৪৮ রানে হারলো টাইগাররা

অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে লড়াই করে ৪৮ রানে হারলো টাইগাররা

admin June 21, 2019

লক্ষ্যটা জানা বা শোনার পরই বেশিরভাগ দর্শক মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিলেন টেলিভিশনের সামনে থেকে। এই ম্যাচে বিন্দুমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়ে তোলা সম্ভব তাও ধারণা করেননি অনেকে। কিন্তু তখনও হাল ছাড়েননি টাইগাররা। লক্ষ্যের প্রতি ছুটেছেন প্রতিটা ক্ষণ। ৩৮২ রানের লক্ষ্য তাড়া করে ৪৮ রানে হারলেন বটে, তবে তার আগে ভিত কাঁপিয়ে দিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ান শিবিরের। ম্যাচে কয়েকবার জয়ের স্বপ্নও জাগিয়েছেন টাইগাররা। শতরানের দুর্দান্ত এক ইনিংস খেলেছেন মুশফিকুর রহিম। ৩৩৩ রানে থামে বাংলাদেশের ইনিংস। ওয়ানডে ক্রিকেটে এটি টাইগারদের সর্বোচ্চ সংগ্রহ।


বৃহস্পতিবার ইংল্যান্ডের নটিংহামে প্রথমে ব্যাট করে ডেভিড ওয়ার্নারের সেঞ্চুরি (১৬৬), উসমান খাজা ও অ্যারন ফিঞ্চের ঝড়ো ফিফটিতে ৩৮১ রানের পাহাড় গড়ে অস্ট্রেলিয়া।


টার্গেট তাড়া করতে নেমে মুশফিকুর রহিমের সেঞ্চুরি ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ-তামিম ইকবালের ঝড়ো ফিফটিতে ৩৩৩ রান তুলতে সক্ষম হয় বাংলাদেশ। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ১০২ রান করেন মুশফিক। ৬৯ রান করেন মাহমুদউল্লাহ। এছাড়া ৬২ রান করেন তামিম ইকবাল। ৪১ রান করেন সাকিব।


অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৩৮২ রানের পাহাড় ডিঙাতে নেমে তামিম ইকবালের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝিতে রান আউট হন সৌম্য সরকার। দলীয় ২৩ রানে উদ্বোধনী জুটি ভাঙে টাইগারদের। ওয়ান ডাউনে খেলতে নেমে দুর্দান্ত ব্যাটিং করেন সাকিব আল হাসান। আগের চার ম্যাচে দুই ফিফটির পর ব্যাক টু ব্যাক সেঞ্চুরি করা সাকিব এদিন ফেরেন ৪১ বলে ৪১ রান করে আউট হন।


ইনিংসের শুরু থেকে অসাধারণ ব্যাটিং করেন তামিম ইকবাল। ভালো শুরুর পরও নিজের ইনিংসটা লম্বা করতে পারেননি এ ওপেনার। ফিফটি তুলে নেয়ার পর মারমুখি ভঙিতে খেলে যাওয়া তামিম মিসেল স্টার্কের ভুল শটে আউট হন। তার আগে ৭৪ বলে ৬টি চারের সাহায্যে ৬২ রান করেন তামিম।


আগের ম্যাচে ৬৯ বলে ৯৪ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলে আশা জাগিয়ে ছিলেন লিটন দাস। কিন্তু আজ অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে দলের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে হতাশ করেন লিটন। অজিদের বিপক্ষে ১৭ বলে ২০ রান করে ফেরেন এই উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান।


লিটন দাসের বিদায়ের পর মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের সঙ্গে জুটি বেধে অনবদ্য ব্যাটিং করে যান মুশফিকুর রহিম। পঞ্চম উইকেটে তারা ১২৭ রানের জুটি গড়ে দলকে জয়ের স্বপ্ন দেখান। শেষ দিকে জয়ের জন্য বাংলাদেশের প্রয়োজন ছিল ২৮ বলে ৮০ রান। খেলার এমন অবস্থায় নাথান কোল্টার নিলের তোপের মুখে পড়ে দুই বলে মাহমুদউল্লাহ ও সাব্বির রহমানের উইকেট হারায় বাংলাদেশ।


মাহমুদউল্লাহর বিদায়ের মধ্য দিয়ে জয়ের স্বপ্ন ফিকে হয়ে যায় টাইগারদের। শেষ দিকে মুশফিকুর রহিমের একার লড়াইয়ে পরাজয়ের ব্যবধান কমলেও হার এড়াতে পারেনি বাংলাদেশ।


অস্ট্রেলিয়া ৩৮১/৫


ডেভিড ওয়ার্নারের অনবদ্য সেঞ্চুরিতে বাংলাদেশের বিপক্ষে ৫ উইকেটে ৩৮১ রানের পাহাড় গড়েছে অস্ট্রেলিয়া। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ১৬৬ রান করেন ওয়ার্নার। এছাড়া ৮৯ রান করেন উসমান খাজা। ৫৩ রান করেন অ্যারন ফিঞ্চ।


বৃহস্পতিবার ইংল্যান্ডের নটিংহামে বাংলাদেশের বিপক্ষে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে উড়ন্ত সূচনা করে অস্ট্রেলিয়া। ৯.৩ ওভারে স্কোরবোর্ডে ৫০ রান যোগ করেন দুই ওপেনার অ্যারন ফিঞ্চ ও ডেভিড ওয়ার্নার। উইকেটে থিতু হওয়ার পর থেকেই একের পর এক বাউন্ডারি হাঁকান ওয়ার্নার-ফিঞ্চ।


উদ্বোধনী জুটিতে ডেভিড ওয়ার্নারের সঙ্গে ১২১ রানের জুটি গড়েন অ্যারন ফিঞ্চ। ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠা তাদের এই জুটি ভাঙেন সৌম্য সরকার। মাশরাফি, মোস্তাফিজ, সাকিব, রুবেল মিরাজরা ইনিংসের প্রথম ২০ ওভার বল করেও দলকে ব্রেক থ্রু এনে দিতে ব্যর্থ হন।


টুকটাক বোলিং করা জাতীয় দলের ওপেনার সৌম্য সরকার ২১তম ওভারে বোলিংয়ে এসেই অস্ট্রেলিয়ান অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চকে ক্যাচ তুলতে বাধ্য করেন। রুবেলের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরার আগে ৫১ বলে ৫টি চার ও দুই ছক্কায় ৫৩ রান করেন ফিঞ্চ।


এরপর দ্বিতীয় উইকেটে উসমান খাজাকে সঙ্গে নিয়ে ১৯২ রানের জুটি গড়েন ডেভিড ওয়ার্নার। এই জুটিতেই শতরানের মাইলফলক স্পর্শ করেন অস্ট্রেলিয়ান এ ওপেনার। বিশ্বকাপে তৃতীয় সেঞ্চুরি করার পর একেরপর এক বাউন্ডারি হাঁকিয়ে দেড়শ পূর্ণ করেন ওয়ার্নার। তার ব্যাটে ভর করে রানের পাহাড় গড়ার পুঁজি পায় অস্ট্রেলিয়া।


উইকেটে অনবদ্য ব্যাটিং করে যাওয়া ওয়ার্নারকে শেষ পর্যন্ত সাজঘরে ফেরান সৌম্য সরকার। সৌম্যর বলে বাউন্ডারি হাঁকাতে গিয়ে রুবেলের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরেন ওয়ার্নার। তার আগে ১৪৭ বলে ১৬৬ রান করেন অস্ট্রেলিয়ান এ তারকা ব্যাটসম্যান।


এরপর চার নম্বর পজিশনে ব্যাটিংয়ে নেমে রীতিমতো তাণ্ডব চালান গ্ল্যান ম্যাক্সওয়েল। মাত্র ১০ বলে তিনটি ছক্কা ও দুটি চারের সাহায্যে ৩২ রান করা অস্ট্রেলিয়ান এ খুনে ব্যাটসম্যানকে সাজঘরে ফেরান রুবেল হোসেন। তার দুর্দান্ত থ্রোতে স্ট্যাম্প ভেঙে যায় ম্যাক্সওয়েলের।


তবে সেঞ্চুরির পথেই ছিলেন উসমান খাজা। অনবদ্য ব্যাটিং করে যাওয়া অস্ট্রেলিয়ান এ মুসলিম ক্রিকেটারকে তৃতীয় শিকারে পরিণত করেন সৌম্য সরকার। তার আগে ৭২ বলে ১০টি চারের সাহায্যে ৮৯ রান করেন উসমান খাজা। ছয় নম্বর পজিশনে ব্যাটিংয়ে নেমে রানের খাতা খুলতে না খুলতেই মোস্তাফিজুর রহমানের বলে এলবিডব্লিউ হয়ে ফেরেন স্টিভ স্মিথ।


৪৯ ওভারে দলীয় ৩৬৮/৫ রানের সময় বৃষ্টি শুরু হয়। বৃষ্টির কারণে খেলা আধা ঘণ্টা বন্ধ থাকে। এরপর ব্যাটিংয়ে নেমে ইনিংসের শেষ ওভারে মোস্তাফিজের করা ওভারে ১৩ রান আদায় করে নেন মার্কু স্টইনিস ও অ্যালেক্স ক্যারি। শেষ পর্যন্ত ৫০ ওভারে ৫ উইকেটে ৩৮১ রানে ইনিংস সমাপ্ত করে অস্ট্রেলিয়া। বাংলাদেশ দলের হয়ে ৮ ওভারে ৫৮ রানে ৩ উইকেট নেন সৌম্য সরকার।


সংক্ষিপ্ত স্কোর অস্ট্রেলিয়া: ৫০ ওভারে ৩৮১/৫ (ওয়ার্নার ১৬৬, উসমান ৮৯, ফিঞ্চ ৫৩, ম্যাক্সওয়েল ৩২, স্টইনিস ১৭*, অ্যালেক্স ক্যারি ১১*, স্মিথ ১; সৌম্য ৩/৫৮, মোস্তাফিজ ১/৬৯)।


বাংলাদেশ: ৫০ ওভারে ৩৩৩/১০ (মুশফিক ১০২,মাহমুদউল্লাহ ৬৯, তামিম ৬২, সাকিব ৪১)।


ফল: অস্ট্রেলিয়া ৪৮ রানে জয়ী।

অস্ট্রেলিয়া-বাংলাদেশ ম্যাচেও বৃষ্টির বাগড়া

অস্ট্রেলিয়া-বাংলাদেশ ম্যাচেও বৃষ্টির বাগড়া

admin June 21, 2019

এবারের বিশ্বকাপ জুড়েই বৃষ্টির বাগড়া। বৃষ্টির কারণে চারটি ম্যাচ পরিত্যক্ত হয়েছে। বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়া ম্যাচেও বৃষ্টির হানা। বৃষ্টির কারণে খেলা আপতত বন্ধ রয়েছে। তার আগে ৪৯ ওভারে ৫ উইকেটে ৩৬৮ রান সংগ্রহ করেছে অস্ট্রেলিয়া।


বৃহস্পতিবার ইংল্যান্ডের নটিংহামে বাংলাদেশের বিপক্ষে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে উড়ন্ত সূচনা করে অস্ট্রেলিয়া। ৯.৩ ওভারে স্কোরবোর্ডে ৫০ রান যোগ করেন দুই ওপেনার অ্যারন ফিঞ্চ ও ডেভিড ওয়ার্নার। উইকেটে থিতু হওয়ার পর থেকেই একের পর এক বাউন্ডারি হাঁকান ওয়ার্নার-ফিঞ্চ।


উদ্বোধনীতে জুটিতে ডেভিড ওয়ার্নারের সঙ্গে ১২১ রানের জুটি গড়েন অ্যারন ফিঞ্চ। ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠা তাদের এই জুটি ভাঙেন সৌম্য সরকার। মাশরাফি, মোস্তাফিজ, সাকিব, রুবেল মিরাজরা ইনিংসের প্রথম ২০ ওভার বল করেও দলকে ব্রেক থ্রু এনে দিতে ব্যর্থ হন।


টুকটাক বোলিং করা জাতীয় দলের ওপেনার সৌম্য সরকার বোলিংয়ে এসেই অস্ট্রেলিয়ান অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চকে ক্যাচ তুলতে বাধ্য করেন। রুবেলের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরার আগে ৫১ বলে ৫টি চার ও দুই ছক্কায় ৫৩ রান করেন ফিঞ্চ।


এরপর দ্বিতীয় উইকেটে উসমান খাজাকে সঙ্গে নিয়ে ১৯২ রানের জুটি গড়েন ডেভিড ওয়ার্নার। এই জুটিতেই শতরানের মাইলফলক স্পর্শ করেন অস্ট্রেলিয়ান এ ওপেনার। বিশ্বকাপে তৃতীয় সেঞ্চুরি করার পর একেরপর এক বাউন্ডারি হাঁকিয়ে দেড়শ পূর্ণ করেন ওয়ার্নার। তার ব্যাটে ভর করে রানের পাহাড় গড়ার পুঁজি পায় অস্ট্রেলিয়া।


উইকেটে অনবদ্য ব্যাটিং করে যাওয়া ওয়ার্নারকে শেষ পর্যন্ত সাজঘরে ফেরান সৌম্য সরকার। সৌম্যর বলে বাউন্ডারি হাঁকাতে গিয়ে রুবেলের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরেন ওয়ার্নার। তার আগে ১৪৭ বলে ১৬৬ রান করেন অস্ট্রেলিয়ান এ তারকা ব্যাটসম্যান। ৪৮.২ ওভারে দলীয় ৩১৩ রানে আউট হন ওয়ার্নার।


এরপর চার নম্বর পজিশনে ব্যাটিংয়ে নেমে ব্যাটিং তাণ্ডব চালান গ্ল্যান ম্যাক্সওয়েল। মাত্র ১০ বলে তিনটি ছক্কা ও দুটি চারের সাহায্যে ৩২ রান করা অস্ট্রেলিয়ান এ খুনে ব্যাটসম্যানকে সাজঘরে ফেরান রুবেল হোসেন। তার দুর্দান্ত থ্রোতে স্ট্যাম্প ভেঙে যায় ম্যাক্সওয়েলের।


তবে সেঞ্চুরির পথেই ছিলেন উসমান খাজা। অনবদ্য ব্যাটিং করে যাওয়া অস্ট্রেলিয়ান এ মুসলিম ক্রিকেটারকে তৃতীয় শিকারে পরিণত করেন সৌম্য সরকার। তার আগে ৭২ বলে ১০টি চারের সাহায্যে ৮৯ রান করেন উসমান খাজা। ছয় নম্বর পজিশনে ব্যাটিংয়ে নেমে মোস্তাফিজুর রহমানের বলে এলবিডব্লিউ হয়ে ফেরেন স্টিভ স্মিথ।

ইংল্যান্ডের কাছে দেড়শ’ রানের হার আফগানদের

ইংল্যান্ডের কাছে দেড়শ’ রানের হার আফগানদের

admin June 19, 2019

আফগানিস্তানের জন্য লক্ষ্যটা ছিল স্বপ্ন ছোঁয়ার মতো। ইংল্যান্ডের দেয়া ৩৯৮ রানের লক্ষ্য তাড়া করে জিততে বিশ্বকাপে নতুন ইতিহাস তৈরি করতে হতো দলটিকে। সেই বাস্তবতা উপলব্ধি করেই খেলে আফগানিস্তান। তাই জয়ের চিন্তা বাদ দিয়ে হারের ব্যবধান কমানোর লক্ষ্য নেয় তারা। সেই লক্ষ্য মোটামুটি সফল হয়েছে। শেষ পর্যন্ত আফগানিস্তান নির্ধারিত ওভার শেষে ৮ উইকেটে ২৪৭ রান করে। তাই ইংল্যান্ড ১৫০ রানের বড় জয় পায়।


চলতি বিশ্বকাপে ৩৯৭ রানের সর্বোচ্চ ইনিংস খেলে ইংল্যান্ড। বিশ্বকাপে ইংলিশদের এটা সর্বোচ্চ রানের ইনিংস। এর আগে চলতি বিশ্বকাপেই বাংলাদেশের বিপক্ষে ৬ উইকেটে ৩৮৬ রান করেছিল ইয়ন মরগানের নেতৃত্বাধীন দল। তবে বিশ্বকাপের ইতিহাসে আফগানিস্তানের বিপক্ষে গত আসরে সর্বোচ্চ ৪১৭/৬ রানের রেকর্ড গড়া ইনিংস খেলেছে অস্ট্রেলিয়া।


মঙ্গলবার ইংল্যান্ডের ম্যানচেস্টারে প্রথমে ব্যাট করে ৬ উইকেটে ৩৯৭ রানের পাহাড় গড়ে ইংল্যান্ড। টার্গেট তাড়া করতে নেমে ৮ উইকেটে ২৪৭ রান তুলতে সক্ষম হয় আফগানিস্তান। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৭৬ রান করেন হাসমতউল্লাহ শহীদি। এছাড়া ৪৬ রান করেন রহমত শাহ। ৪৪ ও ৩৭ রান করেন সাবেক ও বর্তমান অধিনায়ক আসগর আফগান ও গুলবাদিন নাইব।


ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৩৯৮ রানের পাহাড় ডিঙাতে নেমে ভরকে যায়নি আফগানিস্তান। রানের পাহাড়ে চাপা পড়েও অসাধারণ ব্যাটিং করেন হাসমতউল্লাহ শহীদি ও আসগর আফগানরা। দলীয় ৪ রানে ওপেনার নুর আলী জাদরান আউট হলে দলের হাল ধরেন গুলবাদিন নাইব ও রহমত শাহ।


দ্বিতীয় উইকেটে তারা ৪৮ রানের জুটি গড়েন। ২৮ বলে ৩৭ রান করে ফেরেন আফগানিস্তানের অধিনায়ক গুলবাদিন নাইব। এরপর তৃতীয় উইকেটে হাসমতউল্লাহর সঙ্গে ৫২ রানের জুটি গড়তেই বিপদে পড়ে যান রহমত শাহ। ৭৪ বলে ৪৬ রান করে ফেরেন তিনি।


২৪.৫ ওভারে দলীয় ১০৪ রানে তিন ব্যাটসম্যানের বিদায়ের পর দলের হাল ধরেন হাসমতউল্লাহ ও আসগর আফগান। চতুর্থ উইকেটে তারা ৯৪ রানের জুটি গড়েন। ৪৮ বলে তিনটি চার ও ২টি ছক্কায় ৪৪ রান করে ফেরেন সাবেক অধিনায়ক আসগর আফগান। মাত্র ৯ রানে আউট হন মোহাম্মদ নবী।


ব্যাটসম্যানদের এই আসা-যাওয়ার মিছিলে ব্যতিক্রম ছিলেন হাসমতউল্লাহ। ইনিসের শেষ দিকে জফরা আর্চারের গতির বলে বোল্ড হওয়ার আগে ১০০ বলে পাঁচটি চার ও দুটি ছক্কায় ৭৬ রান করে ফেরেন হাসমত। তার বিদায়ের পর ১৩ বলে ১৫ রান করে ফেরেন নজিবুল্লাহ জাদরান। শেষ দিকে রশিদ খান ও ইকরাম আলিখিনরা দলের পরাজয়ের ব্যবধান কিছুটা কমালেও হারা এড়াতে পারেননি।


ইংল্যান্ড ৩৯৭/৬


ইয়ন মরগানের চতুর্থ দ্রুততম সেঞ্চুরি এবং জনি বেয়ারস্টো-জো রুটের ঝড়ো ফিফটিতে রানের পাহাড় গড়েছে ইংল্যান্ড। মঙ্গলবার আফগানিস্তানের বিপক্ষে ৬ উইকেটে ৩৯৭ রানের বিশাল সংগ্রহ করে ইংলিশরা। চলতি বিশ্বকাপে এটাই দলীয় সর্বোচ্চ রানের ইনিংস।


বিশ্বকাপে এটা তাদের দলীয় সর্বোচ্চ রানের ইনিংস। এর আগে চলতি বিশ্বকাপেই বাংলাদেশের বিপক্ষে ৬ উইকেটে ৩৮৬ রান করেছিল ইয়ন মরগানের দল।


তবে বিশ্বকাপের ইতিহাসে দলীয় সর্বোচ্চ ৪১৭/৬ রানের রেকর্ড গড়া ইনিংস খেলে অস্ট্রেলিয়া। ২০১৫ সালের বিশ্বকাপে এই আফগানিস্তানের বিপক্ষেই এই রেকর্ড গড়েছিল মাইকেল ক্লার্কের নেতৃত্বাধীন দল।


মঙ্গলবার ইংল্যান্ডের ম্যানচেস্টারের ওল্ড ট্রাফোর্ডে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিং করে ইংল্যান্ড।আফগানিস্তানের বিপক্ষে ব্যাটিংয়ে নেমে রীতিমতো ব্যাটিং তাণ্ডব চালান জনি বেয়ারস্টো, ইয়ন মরগান ও জো রুট।


মাত্র ৫৭ বলে সেঞ্চুরি করেন ইংলিশ অধিনায়ক ইয়ন মরগান। তিনি ৭১ বলে ১৭টি ছক্কা ও চারটি চারের সাহায্যে ১৪৮ রান করে আউট হন। এছাড়া ৯৯ বলে ৯০ রান করেন বেয়ারস্টো। ৮২ বলে ৮৮ রান করেন জো রুট।


প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে জনি বেয়ারস্টোর সঙ্গে উদ্বোধনীতে নেমে ৯.৩ ওভারে ৪৪ রানের জুটি গড়েন জেমস ভিন্স। দৌলত জাদরানের বলে ক্যাচ তুলে দেয়ার আগে ৩১ বলে ২৬ রান করে ফেরেন জেমস ভিন্স।


ওয়ান ডাউনে ব্যাটিংয়ে নামে দুর্দান্ত ফর্মে থাকা জো রুট। দ্বিতীয় উইকেটে রুটকে সঙ্গে নিয়ে ১২০ রানের জুটি গড়েন বেয়ারস্টো। এই জুটিতেই অনবদ্য ব্যাটিং করে ৬১ বলে ফিফটি পূর্ণ করে সেঞ্চুরির পথেই ছিলেন তিনি।


কিন্তু ৯৯ বলে ৮টি চার ও তিন ছক্কায় ৯০ রান করে গুলবাদিন নাইবের গতির মুখে পড়ে সাজঘরে ফেরেন বেয়ারস্টো। তার বিদায়ে ২৯.৫ ওভারে ১৬৪ রানে দ্বিতীয় উইকেট হারায় ইংল্যান্ড।


এরপর তৃতীয় উইকেটে জো রুটের সঙ্গে ১৮৯ রানের জুটি গড়েন ইয়ন মরগান। আর এই জুটিতেই ৫৭ বলে শতরানের ম্যাজিক ফিগার স্পর্শ করেন তিনি। বিশ্বকাপের ইতিহাসে এটা চতুর্থ দ্রুততম সেঞ্চুরি।


এর আগে ২০১১ সালের বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে মাত্র ৫০ বলে সেঞ্চুরির রেকর্ড গড়েছেন আয়ারল্যান্ডের ক্রিকেটার কেভিন ওব্রায়েন। ৫১ বলে সেঞ্চুরি করেছেন অস্ট্রেলিয়ার তারকা ক্রিকেটার গ্ল্যান ম্যাক্সওয়েল। আর ৫২ বলে সেঞ্চুরির রেকর্ড গড়েছেন এবি ডি ভিলিয়ার্স।


ইয়ন মরগানের মতো সেঞ্চুরির পথেই ছিলেন জো রুট। গুলবাদিন নাইবের শিকারে পরিণত হওয়ার আগে ৮২ বলে পাঁচটি চার ও এক ছক্বায় ৮৮ রান করে ফেরেন রুট। এর আগের ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সেঞ্চুরি করেছিলেন তিনি।


জো রুট বিদায় নেয়ার পর পরই আউট হয়ে যান ইয়ন মরগান। গুলবাদিন নাইবের তৃতীয় শিকার পরিণত হওয়ার আগে মাত্র ৭১ বলে ১৭টি ছক্কা ও ৪টি চারের সাহায্যে ১৪৮ রান করেন মরগান। শেষ দিকে মঈন আলীর ৯ বলের অপরাজিত ৩১ রানের ঝড়ো ইনিংসে ৬ উইকেটে ৩৯৭ রানের পাহাড় গড়ে ইংল্যান্ড।

অস্ট্রেলিয়ার কাছে ৪১ রানে হারালো পাকিস্তান

admin June 13, 2019

পেন্ডুলামের মতো দুলতে থাকা ম্যাচে পাকিস্তানের বিপক্ষে ৪১ রানে জিতেছে অস্ট্রেলিয়া। টনটনে বারবার রঙ পাল্টানো ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার দেয়া ৩০৮ রানের জবাবে পাকিস্তান ৪৫.৪ ওভারে অলআউট হয় ২৬৬ রানে।


টনটনে বুধবার টস হেরে ৪১ রানে জিতেছে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। ৩০৭ রান তাড়ায় ২৬৬ রানে গুটিয়ে গেছে পাকিস্তান।


আগের ম্যাচে ওয়ানডেতে নিজের মন্থরতম ফিফটি করা ওয়ার্নার এদিন শুরু থেকে ছিলেন আক্রমণাত্মক। শুরুতে একটু ভুগছিলেন ফিঞ্চ। প্রথম পাঁচ ওভারে আমিরের দুটি ওভার মেডেন খেলেন অস্ট্রেলিয়া অধিনায়ক।


ফিঞ্চকে ভোগাচ্ছিলেন ওয়াহাব রিয়াজ। বাঁহাতি এই পেসারের বলে ২৬ রানে স্লিপে ক্যাচ দিয়েও বেঁচে যান ডানহাতি ওপেনার। মোহাম্মদ হাফিজের বলে ৪৪ রানে তার ক্যাচ ছাড়েন সরফরাজ। ৬৩ বলে ফিফটি করার পর রানের গতি বাড়ান ফিঞ্চ।



এবারের আসরে দুবার ওয়ানডেতে নিজের মন্থর ফিফটির রেকর্ড ভাঙা ওয়ার্নার শুরু থেকে ছিলেন স্বচ্ছন্দ। বাঁহাতি এই ওপেনার পঞ্চাশ স্পর্শ করেন ৫১ বলে।


দ্বিতীয় স্পেলে ফিরে ফিঞ্চকে বিদায় করে ১৪৬ রানের উদ্বোধনী জুটি ভাঙেন আমির। অস্ট্রেলিয়া অধিনায়ক ৮৪ বলে ছয়টি চার ও চারটি ছক্কায় করেন ৮২ রান। এরপর আর তেমন কোনো জুটি গড়তে পারেনি বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা।


এসেই বোলারদের ওপর চড়াও হয়েছিলেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। তাকে বোল্ড করার পর সেঞ্চুরিয়ান ওয়ার্নারকে থামান শাহিন শাহ আফ্রিদি। ওয়ানডেতে ১৫তম সেঞ্চুরি পাওয়া ওয়ার্নারের ১১১ বলে খেলা ১০৭ রানের ইনিংস গড়া ১১ চার ও এক ছক্কায়।


দ্রুত রান তোলার চেষ্টায় থাকা উসমান খাওয়াজা ও শন মার্শকে ফিরিয়ে অস্ট্রেলিয়াকে বড় একটা ধাক্কা দেন আমির। সেই ধাক্কা সামাল দিয়ে আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি ফিঞ্চের দল।


মাত্র ১৯ রানে শেষ ৫ উইকেট হারায় অস্ট্রেলিয়া। তাই বিশ্বকাপে পাকিস্তানের বিপক্ষে তাদের সর্বোচ্চ ৩১০ পর্যন্ত যেতে পারেনি তারা।


৪৯তম ওভারে চার বলের মধ্যে অ্যালেক্স কেয়ারি ও মিচেল স্টার্ককে ফিরিয়ে ওয়ানডেতে প্রথমবারের মতো পাঁচ উইকেট নেওয়ার খুশিতে ভাসেন আমির। অস্ট্রেলিয়া থামে ৩০৭ রানে।


৩০ রানে ৫ উইকেট নেন আমির। তরুণ পেসার আফ্রিদি ২ উইকেট নেন ৭০ রানে।


সংক্ষিপ্ত স্কোর:


অস্ট্রেলিয়া: ৪৯ ওভারে ৩০৭ (ফিঞ্চ ৮২, ওয়ার্নার ১০৭, স্মিথ ১০, ম্যাক্সওয়েল ২০, মার্শ ২৩, খাওয়াজা ১৮, কেয়ারি ২০, কোল্টার-নাইল ২, কামিন্স ২, স্টার্ক ৩, রিচার্ডসন ১*; আমির ১০-২-৩০-৫, আফ্রিদি ১০-০-৭০-২, হাসান ১০-০-৬৭-১, ওয়াহাব ৮-০-৪৪-১, হাফিজ ৭-০-৬০-১, মালিক ৪-০-২৬-০)


পাকিস্তান: ৪৫.৪ ওভারে ২৬৬ (ইমাম ৫৩, ফখর ০, বাবর ৩০, হাফিজ ৪৬, সরফরাজ ৪০, মালিক ০, আসিফ ৫, হাসান ৩২, ওয়াহাব ৪৫, আমির ০, আফ্রিদি ১*; কামিন্স ১০-০-৩৩-৩, স্টার্ক ৯-১-৪৩-২, রিচার্ডসন ৮.৪-০-৬২-২, কোল্টার-নাইল ৯-০-৫৩-১, ম্যাক্সওয়েল ৭-০-৫৮-০, ফিঞ্চ ২-০-১৩-১)


ফল: অস্ট্রেলিয়া ৪১ রানে জয়ী


ম্যান অব দা ম্যাচ: ডেভিড ওয়ার্নার

তুমুল লড়াইয়েও পারল না টাইগাররা

তুমুল লড়াইয়েও পারল না টাইগাররা

admin June 06, 2019


তুমুল লড়াইয়ের পরও হেরে গেল বাংলাদেশ। স্বল্প পুঁজি নিয়েও দুর্দান্ত লড়াই করেছেন সাইফউদ্দিন-মোসাদ্দেক-সাকিবরা। ইনিংসের শেষ দিকে টাইগার বোলারদের নৈপুণ্যে পরাজয়ের দুয়ারে থেকেও ম্যাচে ফিরে বাংলাদেশ। কিন্তু দুর্ভাগ্য ভালো খেলেও পরাজয়ের হতাশা নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয় মাশেোফিদের।



 



বুধবার প্রথমে ব্যাট করে ২৪৪ রান করে বাংলাদেশ। টার্গেট তাড়া করতে নেমে ১৭ বল হাতে রেখে ২ উইকেটের জয় পায় নিউজিল্যান্ড।



 



বাংলাদেশের বিপক্ষে জয়ের পথেই ছিল নিউজিল্যান্ড। কিন্তু ইনিংসের শেষ দিকে পরপর দুই ওভারে দুই উইকেট শিকার করে বাংলাদেশকে খেলায় ফেরান সাইফউদ্দিন ও মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত।



 



শেষ দিকে জয়ের জন্য নিউজিল্যান্ডের প্রয়োজন ছিল ৪৮ বলে ৩৩ রান। ৪৩তম ওভারে মাত্র ৬ রান খরচ করে গ্রান্ডহোমকে সাজঘরে ফেরান সাইফউদ্দিন।



 



ঠিক পরের ওভারে মাত্র ২ রানে জেমস নিশামকে আউট করার মধ্য দিয়ে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়ায় বাংলাদেশ।



 



২৪৫ রানের টার্গেট তাড়া করতে নেমে ৫৫ রানে দুই ওপেনারকে হারিয়ে প্রাথমিক বিপর্যয়ে পড়ে যাওয়া দলকে খেলায় ফেরান উইলিয়ামসন ও টেইলর। তৃতীয় উইকেট ১০৫ রানের অনবদ্য জুটি গড়েন তারা। তাদের এই জুটিতেই জয় দেখে নিউজিল্যান্ড।



 



ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠা এই জুটির বিচ্ছেদ ঘটান মেহেদী হাসান মিরাজ। তার অফস্পিনে ২ রানের ব্যবধানে দুই উইকেট হারায় নিউজিল্যান্ড। ৭২ বলে ৪০ রান করা অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসনকে সাজঘরে ফেরান মিরাজ। একই ওভারের শেষ বলে টম লাথামকে আউট করেন তিনি।



 



তবে মুশফিকের একটি ভুলের কারণে বড় জুটি গড়ে টেইলর ও উইলিয়ামসন। ব্যক্তিগত ৭ রানেই সাজঘরে ফেরার যাওয়ার কথা ছিল উইলিয়ামসনের।



 



প্রায় অপর প্রান্তেই চলেই গিয়েছিলেন অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন। দারুণ থ্রো করেছিলেন তামিম ইকবাল। বল ধরে উইকেট ভাঙতে গেলেন মুশফিক। কিন্তু বল ধরার আগেই কনুই দিয়ে উইকেট ভেঙে ফেলেন তিনি। অথচ ছেড়ে দিলেও সরাসরি উইকেট ভাঙত।



 



আর তাতেই লাইফ পান কিউই অধিনায়ক। তখন ৭ রানে ব্যাট করছিলেন উইলিয়ামসন। নিউজিল্যান্ডের দলীয় রান ছিল ১২ ওভার শেষে ২ উইকেটে ৬৭।



 



বাংলাদেশ ২৪৪/১০



 



সাকিব ও সাইফউদ্দিনের ব্যাটে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৪৯.২ ওভারে ২৪৪ রান। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ব্যাটিং বিপর্যয়ের কারণে পুরো ৫০ ওভার খেলতে পারেনি টাইগাররা।



 



দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৬৪ রান করেন সাকিব। ইনিংসের শেষ দিকে ২৩ বলে ২৯ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন সাইফউদ্দিন। ৪৫তম ওভারে ইনিংসের একমাত্র ছক্কাটি হাঁকান তিনি। নিউজিল্যান্ডের হয়ে ৪৭ রানে ৪ উইকেট শিকার করেন ম্যাট হেনরি।



 



টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে উদ্বোধনী জুটিতে ৮.৩ ওভারে ৪৫ রানের জুটি গড়েন তামিম ইকবাল ও সৌম্য সরকার। দুর্দান্ত ব্যাটিং করে যাওয়া সৌম্য ২৫ বলে ২৫ রান করতেই ম্যাট হেনরির গতির বলে বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফেরেন।



 



এরপর ১৫ রানের ব্যবধানে ফেরেন তামিম ইকবাল। লুকি ফার্গুনসনের বলে বাজে শট খেলে আউট হন তামিম। তার আগে ৩৮ বলে মাত্র ২৩ রান করেন দেশ সেরা এ ওপেনার। দলীয় ৬০ রানে ২ ওপেনারকে হারিয়ে প্রাথমিক বিপর্যয়ে পরে বাংলাদেশ।



 



এরপর সাকিব-মুশফিকের তৃতীয় উইকেট জুটিতে ভালোভাবেই ঘুরে দাঁড়ায় টাইগাররা। এই জুটিতে তারা ৫০ রান যোগ করেন। দলীয় ১১০ রানে সাকিব আল হাসানের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝিতে রান আউট হয়ে সাজঘরে ফেরেন মুশফিকুর রহিম।



 



এর আগের ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে এই জুটিই বিশ্বকাপে বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ১৪২ রান করেছিল। বুধবার রান আউট হওয়ার আগে ৩৫ বলে ১৯ রান করেন মুশফিক। তার বিদায়ের পরও দুর্দান্ত ব্যাটিং করে যান সাকিব।



 



আগের ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ৭৫ রান করা সাকিব, বুধবার ফেরেন ৬৮ বলে ৭টি চারের সাহায্যে ৬৪ রান করে। তার আগে মুশফিকের সঙ্গে ৫০ আর মোহাম্মদ মিঠুনের সঙ্গে গড়েন ৪১ রানের জুটি।



 



সাকিবের বিদায়ের পর দায়িত্ব নিয়ে ব্যাটিং করতে পারেননি মোহাম্মদ মিঠুন, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত ও মেহেদী হাসান মিরাজরা। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট পতনের কারণে বড় ইনিংস গড়া সম্ভব হয়নি। তবে শেষ দিকে একের পর এক বাউন্ডারি হাঁকান সাইফউদ্দিন। ২৩ বলে তিনটি চার দলের হয়ে একমাত্র ছক্কা হাঁকিয়ে ২৯ রান করে শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে সাজঘরে ফেরেন সাইফউদ্দিন।



 



সংক্ষিপ্ত স্কোর



 



বাংলাদেশ: ৪৯.২ ওভারে ২৪৪/১০ (সাকিব ৬৪, সাইফউদ্দিন ২৯, মিঠুন ২৬, সৌম্য ২৫, তামিম ২৪; ম্যাট হেনরি ৪/৪৭, ট্রেন্ট বোল্ট ২/৪৪)। #NewsBD

নিউজিল্যান্ডকে ২৪৫ টার্গেট দিল বাংলাদেশ

নিউজিল্যান্ডকে ২৪৫ টার্গেট দিল বাংলাদেশ

admin June 06, 2019

২০১৯ বিশ্বকাপে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ৪৯.২ ওভারে ১০ উইকেট হারিয়ে ২৪৪ রান সংগ্রহ করেছে বাংলাদেশ।


দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারানোর আত্মবিশ্বাস নিয়ে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে অভিযান শুরু করে বাংলাদেশ। ০৫ জুন (বুধবার) লন্ডনের ওভালে টসে হেরে শুরুটা দুর্দান্ত করে টাইগাররা। ওপেনিং জুটিতে শুভ সূচনা এনে দেন তামিম ইকবাল ও সৌম্য সরকার।


ভয়ঙ্কর হয়ে উঠার আগে দলীয় ৪৫ রানে সৌম্যকে (২৫) বোল্ড করেন ম্যাট হেনরি। স্কোরবোর্ডে ৬০ রান উঠতেই তামিমকে (২৪) হারিয়ে ফেলে বাংলাদেশ।


তবে গত ম্যাচের মতো এবারও দলের হাল ধরেন সাকিব আল হাসান এবং মুশফিকুর রহীম। দু’জনের ৫০ রানের জুটি ভাঙে ভুল বুঝাবুঝিতে। সিঙ্গেল নিতে গিয়ে রান আউটের শিকার হোন মুশফিক। মুশি ফিরেন ১৯ রানে।


স্বভাবসুলভ ভঙ্গিতে ব্যাটিং করে ২০১৯ বিশ্বকাপের টানা দ্বিতীয় সেঞ্চুরি তুলে নেন সাকিব।

Image Gallary

 
1 / 3
   
Caption Text
 
2 / 3
   
Caption Two
 
3 / 3
   
Caption Three