Showing posts with label লোকসভা নির্বাচন. Show all posts
Showing posts with label লোকসভা নির্বাচন. Show all posts
মোদির বিজয়ে কীসের বার্তা?

মোদির বিজয়ে কীসের বার্তা?

admin May 24, 2019

রংপুর এক্সপ্রেস ডেস্ক
নরেন্দ্র মোদির দ্বিতীয় দফার মেয়াদ যখন ২০২৪ সালে শেষ হবে, তখন তার দেশ ভারত চীনকে টপকে বিশ্বের সবচেয়ে বেশি জনসংখ্যার দেশে পরিণত হবে, যে দেশটি হবে বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ।


তার দলের মূল নীতিতে হিন্দু জাতীয়তাবাদ থাকলেও বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশের নেতৃত্ব দেবেন মোদি। যে দেশটি কাশ্মীর আর দক্ষিণ চীন সাগরের মতো দুইটি উত্তেজনাপূর্ণ অঞ্চলে অবস্থিত।


তিনি এমন এক সময় ভারতকে দ্বিতীয়বারের মতো নেতৃত্ব দিতে চলেছেন, যখন দেশটির সামনে অনেক সম্ভাবনা ও সুযোগ রয়েছে।


তার এই বিজয় বিশ্বকে প্রভাবিত করতে পারে, এখানে এমন পাঁচটি কারণ উল্লেখ করা হলো-


ভারতের অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ ধারণা করা হচ্ছে, এ বছরই যুক্তরাজ্যকে টপকে বিশ্বের পঞ্চম অর্থনীতির দেশ হয়ে উঠবে ভারত, যাদের রয়েছে বিশ্ব অর্থনীতির জন্য জরুরি এক বিশাল তরুণ কর্মশক্তি।


শুধুমাত্র গত বছরেই বিদেশি বিনিয়োগকারীরা ভারতীয় কোম্পানিগুলোয় ৪৪ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করেছে।


দেশটিতে অনেক নতুন নতুন সড়ক তৈরি রয়েছে, প্রান্তিক পর্যায়ে উন্নয়ন, গরীবদের জন্য সস্তার রান্নার গ্যাস, গ্রামে পয়োঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা তৈরি, একটি একক বিক্রয় কর, প্রতিশ্রুতিশীল একটি স্বাস্থ্য বিমা নীতি তৈরির মতো অনেক কাজ হয়েছে।


তবে শ্লথগতির চাহিদার কারণে এখনো দেশটিতে অনেক অর্থনৈতিক সংকট রয়েছে, পাশাপাশি রয়েছে কয়েক দশক ধরে চলা বেকারত্ব।


বাড়তে থাকা অর্থনীতির সঙ্গে তাল মেলাতে হলে দেশটিকে প্রতিমাসে কয়েক লাখ নতুন চাকরি তৈরি করতে হবে, যাতে ভারতের তরুণ জনগোষ্ঠীকে সঠিকভাবে কাজে লাগানো যায়। গত মেয়াদে নরেন্দ্র মোদির সরকার এটি করতে পারেনি, কিন্তু এবার তাদের তা করতেই হবে।


এখন প্রশ্ন হলো, এই নতুন চাকরি তৈরি করতে গিয়ে ভারতকে কি অর্থনৈতিক সহযোগী দেশগুলোর সঙ্গে বাণিজ্য যুদ্ধে জড়াতে হতে পারে?


জাতীয়তাবাদের লড়াই বিশ্বের অনেক দেশেই এখন জাতীয়তাবাদের শ্লোগান শুরু হয়েছে। ডোনাল্ড ট্রাম্পের ‘মেক আমেরিকা গ্রেট এগেইন’, পুতিনের ‘মেক রাশিয়াকে গ্রেট এগেইন’, শী জিনপিংয়ের ‘চীনের মানুষের নতুন করে জেগে ওঠা’র মতো শ্লোগান রয়েছে।


মোদিও তার নির্বাচনের সময় হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের রাম ও এবং তার রাজত্বের হারিয়ে যাওয়া গৌরবের শ্লোগান ব্যবহার করেছেন।


তিনি বলেছেন, ‘রাম ছিলেন একজন আদর্শ রাজা এবং তার শাসন ছিল আদর্শ ব্যবস্থা’, ‘রাম রাজ্য ছিল আমাদের প্রতিষ্ঠাতা জনক এবং বিজেপি সরকার সেই লক্ষ্যেই কাজ করছে’ ইত্যাদি।


যদিও বিজেপি নেতারা বরাবরই বলে আসছেন যে, তারা সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে নন। ‘তাদের দল ১৩০ কোটি ভারতীয়র জন্যই, ধর্ম নিয়ে তারা কোনো বিভেদ করেন না’, বলেছেন বিজেপি মুখপাত্র নালিন কোহলি।


এখন বিজেপি আবার ক্ষমতায় আসছে আর যারা হিন্দু জাতীয়তাবাদী পরিচয়ের দাবি করছেন, তাদের পোস্টারে দেখা যাচ্ছে রামের ছবি।


গত নভেম্বরে বিবিসির গবেষণায় দেখা গেছে যে, এরকম একটি জাতীয়তাবাদের পরিচয় তৈরির চেষ্টায় মিথ্যা সংবাদ ছড়ানো হয়েছে, ডানপন্থী নেটওয়ার্কে মিথ্যা গল্প তৈরি করা হয়েছে আর সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে এরকম একটি বার্তা ছড়িয়ে দেয়ার চেষ্টা করা হয়েছে।


শক্তিমান ব্যক্তিত্বের রাজনীতি আর ভূ-রাজনৈতিক গুরুত্ব নরেন্দ্র মোদিকে নিজেদের ম্যানিফেস্টোতে শক্তির প্রতীক হিসাবে তুলে ধরেছে বিজেপি, বিশেষ করে পাকিস্তানে জঙ্গি ঘাটিতে অভিযান চালানোর পর।


আগের কয়েকটি রাজ্য নির্বাচনে নরেন্দ্র মোদির জনপ্রিয়তা কমে গেলেও, ওই হামলার পর তার জনপ্রিয়তা অনেক বেড়ে গেছে।


তার সমর্থকরা বরাবরই, তাদের ভাষায় নেহরু-গান্ধী পরিবারের বাইরে তৃণমূল থেকে নিজের চেষ্টায় তার উঠে আসার বিষয়কে তুলে ধরেছেন।


সাধারণ ভারতীয়দের কাছে তুলে ধরার চেষ্টা করা হয়েছে যে, তিনি একজন একনিষ্ঠ, কঠোর পরিশ্রমী আর চৌকস ব্যক্তি। তার নেতৃত্বে ভারত দুইবার পাকিস্তানকে মোকাবেলা করেছে আর একবার চীনকে- যারা এই অঞ্চলের অপর দুই পারমাণবিক শক্তিধর দেশ।


বিশেষ করে দক্ষিণপূর্ব এশিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের অনুপস্থিতিতে আস্তে আস্তে চীনের পাল্টা শক্তি হয়ে উঠছে ভারত, বলছে যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক থিংক ট্যাংক কাউন্সিল অন ফরেন রিলেশন্স।


দ্বিতীয় মেয়াদেও যদি মোদি ভারতীয় প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা অব্যাহত রাখেন, তাহলে হয়তো দক্ষিণপূর্ব এশিয়ায় ভূ-রাজনৈতিক জোট এবং বন্ধুত্বের পালাবদল দেখা যেতে পারে।


ডানপন্থীদের উত্থান ও জনপ্রিয়তা জনপ্রিয় শ্লোগান এবং ধারণা নিয়ে ডানপন্থী রাজনীতি করছে বিজেপি। যখন অভিবাসীদের ‘পশু’ বলে বর্ণনা করেন ডোনাল্ড ট্রাম্প, তখন বিজেপি প্রেসিডেন্ট অমিত শাহ অবৈধ অভিবাসীদের বর্ণনা করেছেন ‘তেলাপোকা’ বলে, এবং তাদের বঙ্গোপসাগরে ছুড়ে ফেলার অঙ্গীকার করেছেন। পাশাপাশি তিনি হিন্দু আর বুদ্ধ শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দেয়ারও প্রস্তাব করেছেন।


উত্তর প্রদেশে বিজেপির মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ বলেছেন, কংগ্রেস সবুজ ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছে। (সবুজ বলতে ইসলামকে বর্ণনা করা হচ্ছে)


গত পাঁচ বছরে বিজেপির শাসনামলে ভারতে হিন্দু-মুসলিম সম্পর্ক সবচেয়ে অবনতি হয়েছে এবং দেশটিতে নিজেদের ভবিষ্যৎ নিয়ে মুসলমানদের মধ্যে শঙ্কা তৈরি হয়েছে।


হয়তো নির্বাচনে জয়ের কৌশল হিসাবেও বিভেদের এসব শ্লোগান নেয়া হতে পারে, কিন্তু সেখান থেকে ফিরে আসাটা কঠিন। আর বাস্তবতা হলো, জনপ্রিয় নেতারা সাধারণত সংখ্যাগরিষ্ঠ মতের সঙ্গেই থাকেন। ফলে প্রশ্ন হলো, তারা কি আসলে কখনো সেখান থেকে ফিরতে চাইবেন কিনা?


জলবায়ু পরিবর্তন গ্রিনপিস এন্ড অ্যানালাইসিসের মার্চ ২০১৯ সালের প্রতিবেদনে বায়ু দূষণের দিক থেকে বিশ্বের সবচেয়ে ৩০টি দেশের মধ্যে ভারতের অবস্থান ২২তম।


যদিও চীনের জনসংখ্যাকে ছাড়াতে ভারতের আরো পাঁচবছর সময় লাগবে, তবে বিশ্বব্যাংক সতর্ক করে দিয়েছে, সামনের বছর নাগাদ ভারতের পানি, বাতাস, মাটি এবং বনের ওপর চাপের দিক থেকে দেশটি বিশ্বের শীর্ষে উঠে যাবে।


একই সঙ্গে বিশ্বের সবচেয়ে দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতি, ঘন অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড আর লাখ লাখ মানুষের দারিদ্রসীমার নীচে থাকার বিষয়টি নরেন্দ্র মোদিকে কঠিন সংকটের মুখে ফেলতে পারে।


অর্থনীতির যেকোনো ধরণের শ্লথগতির ফলে চাকরি বাজারে মন্দা নামবে। অন্যদিকে অনিয়ন্ত্রিত অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড দেশটির প্রকৃতির ওপর প্রভাব ফেলবে, যা পরিবেশের ক্ষতি করতে পারে এবং ভবিষ্যতের জন্য ঝুঁকি তৈরি করবে।


তবে এসব কিছু সত্ত্বেও প্যারিস চুক্তি মেনে চলার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন নরেন্দ্র মোদি এবং ভারতের গ্রিনহাউজ গ্যাস নিঃসরণের হার আগামী ১০ বছরের মধ্যে ৩৫ শতাংশ কমিয়ে আনার ঘোষণা দিয়েছেন।


সূত্র: বিবিসি বাংলা

বশিরহাটে বাজিমাৎ নায়িকা নুসরাতের

বশিরহাটে বাজিমাৎ নায়িকা নুসরাতের

admin May 24, 2019

রংপুর এক্সপ্রেস ডেস্ক:
রাজনীতিতে নেমেই টলিউড অভিনেত্রী নুসরাত জাহানের জয়জয়কার। লোকসভা নির্বাচনে বসিরহাট থেকে তিনি প্রায় তিন লাখ ভোট বেশি পেয়ে বিজয় অর্জন করেছেন।


পশ্চিমবঙ্গের প্রায় সব আসনেই হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয়েছে বিজেপি ও তৃণমূলের। এমনকি তৃণমূলের বাঘা বাঘা নেতারাও হারতে বসেছেন। তৃণমূলের এমন ক্রান্তিলগ্নে ৩ লাখ ১১ হাজার ৮৩৫ ভোট বেশি পেয়ে বিজয় অর্জন করেছেন নুসরাত। এমন খবর জানিয়েছে আনন্দ বাজার।


অভিনয় থেকে রাজনীতি, কার অনুপ্রেরণায় রাজনীতিতে পদচারণা করেছেন এমন প্রশ্নের উত্তরে সম্প্রতি এই অভিনেত্রী পশ্চিম বঙ্গের একটি গণমাধ্যমকে জানান, পশ্চিমবঙ্গের বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী এবং সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতিষ্ঠাতা-সভানেত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের অনুপ্রেরণাতেই রাজনীতিতে এসেছেন তিনি।


বলেন, অভিনয় থেকে রাজনীতি কথাটা মোটেই সত্যি নয়। অভিনয়ে ছিলাম, আছি এবং থাকব। অভিনয় জগতে থাকা অবস্থাতেই আমি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘ফ্যান’ ছিলাম। এরপর প্রার্থী হওয়ার প্রস্তাব আসার পরে, দ্বিতীয় বার আর কিছু ভাবিনি। মানুষকে আমি বরাবরই ভালবাসি। তাই মানুষের জন্য কাজ করার এই সুযোগ হারাতে চাই না।


কলকাতার এই অভিনেত্রী জয়ের ব্যাপারে আগে থেকেই পুরোপুরি আশাবাদী ছিলেন। ফলাফল ঘোষণার আগে তিনি জানিয়েছিলেন, ভোটের লড়াইয়ে তিনি বিজয় অর্জন করে সংসদে যাবেন।


তবে সংসদে গেলে কী করবেন সেটা আগে থেকেই মানুষকে প্রতিশ্রুতি দিতে চান না। তিনি বলেন, আমি আগে থেকে কোনও প্রতিশ্রুতি বা কথা দিতে চাই না। আমার কাজই কথা বলবে। ওয়েট অ্যান্ড ওয়াচ।


এদিকে শুধু নুসরাত জাহান নয়, লোকসভা নির্বাচনে প্রথমবার অংশ নিয়ে তৃণমূলের পক্ষে বিজয় এনে দিয়েছেন তার সময়ের আরেক দাপুটে অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তী। যাদবপুর থেকে নির্বাচনে অংশ নিয়ে প্রায় সোয়া দুই লাখ ভোট বেশি পেয়ে তিনি নির্বাচিত হয়েছেন। তারকাদের মধ্যে তৃণমূলের পক্ষে বিজয়ী হয়েছেন টলিউডের শীর্ষ তারকা অভিনেতা দীপন অধিকারী দেব।

মোদিকে ঠেকাতে মহাজোট গঠনে তুমুল দৌড়ঝাঁপ বিরোধীদের

মোদিকে ঠেকাতে মহাজোট গঠনে তুমুল দৌড়ঝাঁপ বিরোধীদের

admin May 18, 2019

অনলাইন ডেস্ক:
ভারতের চলমান লোকসভা নির্বাচনের শেষ দফার ভোটের আগে ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দল ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) বিরোধী মহাজোট গঠনে তৎপর হয়ে উঠেছে দেশটির প্রধানবিরোধী দল কংগ্রেস। আগামী ২৩ মে ভোটের চূড়ান্ত ফল ঘোষণার আগেই এই তৎপরতা দৃশ্যমান হয়ে উঠেছে।


ইতোমধ্যে কংগ্রেসের পক্ষ থেকে জোটসঙ্গী হিসেবে তামিলনাড়ুর রাজনৈতিক দল দ্রাভিড়া মুন্নেট্রা কাড়াগাম (ডিএমকে) এবং ওড়িশার বিজেডি, অন্ধ্রপ্রদেশের ওয়াইএসআর কংগ্রেস এবং তেলেঙ্গানার রাষ্ট্র্র সমিতির (টিআরএস) মতো আঞ্চলিক দলগুলোর নেতাদের সঙ্গে মহাজোট গঠনে যোগাযোগ করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বিরোধী ঐক্যকে অটুট করে তোলার লক্ষ্যে কংগ্রেস এই প্রচেষ্টা শুরু করেছে।


এছাড়া বিহার এবং ঝাড়খণ্ডের স্থানীয় জনতা দল (সেকুলার), মহারাষ্ট্রের আঞ্চলিক রাজনৈতিক দল জাতীয়তাবাদী কংগ্রেস পার্টি (এনসিপি) এবং উত্তরপ্রদেশের প্রধান দুই দল সমাজবাদী পার্টি এবং বহুজন সমাজ পার্টির নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করছে কংগ্রেস। এবারের নির্বাচনে মোদিকে হারানোর লক্ষ্যে এসব দলের সঙ্গে মহাঐক্য গড়ার কাজ শুরু করেছে দলটি।


ভারতীয় একটি গণমাধ্যম বলছে, শনিবার সকালের দিকে রাজধানী নয়াদিল্লিতে কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধীর বাসভবনে গিয়ে দেখা করেছেন বিরোধী শিবিরের অন্যতম মুখ অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী এন চন্দ্রবাবু নাইডু। ভোট পরবর্তী সম্ভাব্য পরিস্থিতি ও জোট নিয়ে তারা আলোচনা করেছেন।


কংগ্রেস সভাপতির পদ বছর খানেক আগে ছাড়লেও সোনিয়া গান্ধী এখনও ইউনাইটেড প্রোগ্রেসিভ অ্যালায়েন্সের (ইউপিএ) চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করছেন। ৭২ বছর বয়সে এসে এবার নিজ দলকে ক্ষমতায় ফেরাতে ব্যাপক দৌড়ঝাঁপ করছেন তিনিও। আগামী ২৩ মে চলতি লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল বেরোনোর পরে বিরোধীদের সঙ্গে নিয়ে মহাজোট গঠনের দায়িত্ব নিজ কাঁধে তুলে নিয়েছেন বর্ষীয়ান এই নেত্রী।


প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ঠেকাতে বিরোধীদের একই পাটাতনে নিয়ে আসার উদ্যোগ নিয়েছেন তিনি। নির্বাচনে সোনিয়া গান্ধী তার কেন্দ্র রায়বেরেলি থেকে লড়লেও নির্বাচনের প্রচারপর্বে সেভাবে তাকে দেখা যায়নি। তার ছেলে কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী এবং মেয়ে প্রিয়াঙ্কা গান্ধী নির্বাচনী প্রচার সামলেছেন।


কিন্তু ফল প্রকাশের সময় যত ঘনিয়ে আসছে, সোনিয়ার তৎপরতা ততই বাড়ছে। এমনকি অতীতে তাকে কেন্দ্র করে যেসব নেতা কংগ্রেস থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিলেন, এখন তাদেরকে কংগ্রেসের সঙ্গে একমঞ্চে আনার গুরুদায়িত্ব পালন করছেন সোনিয়া।


কংগ্রেস এখন এতটাই ছাড় দিতে প্রস্তুত যে দলটির জ্যেষ্ঠ নেতা গোলাম নবী আজাদ বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী পদ পাওয়ার জন্য তারা আকুল হবেন না। যদিও পরে কংগ্রেস নেতা রণদীপ সুরজেওয়ালা বলেছেন, একক বৃহত্তম দল নির্বাচিত হলে কংগ্রেসের নেতৃত্বের ওপরে দাবি জানানো স্বাভাবিক। কিন্তু সব কিছুই এখন নির্ভর করছে ফলাফল কী হয়, তার ওপর।


মোদিবিরোধী জোট গড়তে দেশটির তিনটি প্রধান আঞ্চলিক দলকে কাছে টানার চেষ্টা করছে কংগ্রেস। এর মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের ক্ষমতাসীন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃণমূল কংগ্রেস, মায়াবতীর বিএসপি এবং অখিলেশ যাদবের এসপি। অনেক আঞ্চলিক নেতার সঙ্গে ব্যক্তিগত সম্পর্ক ভালো থাকায় এই দলগুলোর সঙ্গে এখন যোগাযোগ করছেন সোনিয়া।


২৩ মে নির্বাচনী ফল ঘোষণার দিনে নয়াদিল্লিতে সোনিয়া গান্ধীর সভাপতিত্বে বৈঠকে বসবেন মহাজোটের সম্ভাব্য এসব দলের শীর্ষ নেতারা। তার আগে দফায় দফায় বৈঠক করেছেন বিরোধীরা। শেষদফায় রোববারের ভোটের আগেই মুখোমুখি বসতে চলেছেন চন্দ্রবাবু নাইডু এবং রাহুল গান্ধী। দিল্লিতে এনসিপি নেতা শারদ পাওয়ারের সঙ্গে ইতোমধ্যে একদফা বৈঠক সেরেছেন চন্দ্রবাবু নাইডু।


ওয়ান ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাহুলের সঙ্গে দিল্লিতে বৈঠক করার পর চন্দ্রবাবু নাইডু উত্তর প্রদেশের লখনউয়ে বিএসপি নেত্রী মায়াবতী এবং এসপি নেতা অখিলেশ যাদবের সঙ্গেও বৈঠক করবেন। রাহুলের সঙ্গে বৈঠকের আগে শুক্রবার তিনি সিপিএম নেতা সীতারাম ইয়েচুরি এবং আম আদমি পার্টির প্রধান অরবিন্দ কেজরিওয়ালের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। বৈঠকে ভোট পরবর্তী জোট নিয়ে আলোচনা হয়েছে।


শুক্রবার চন্দ্রবাবু জানিয়েছিলেন, বিজেপি বিরোধী সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে তিনি হাত মেলাতে প্রস্তুত। তাতে কেসিআর থাকলেও আপত্তি নেই তার। তেলেঙ্গানা নিয়ে কেসিআরের সঙ্গে চন্দ্রবাবু নাইডুর বিবাদ নতুন নয়। চরম বিরোধীদলকেও বিজেপিবিরোধী জোটে নিতে কোনো আপত্তি নেই বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি।


ভারতের এবারের ১৭ তম লোকসভা নির্বাচনে সাত দফার ভোট শুরু হয়েছিল ১১ এপ্রিল। যা শেষ হচ্ছে রোববার (১৯ মে)। ভোটগ্রহণ শেষে নির্বাচনের চূড়ান্ত ফল ঘোষণা করা হবে ২৩ মে। ওইদিন জানা যাবে দেশটির ক্ষমতায় মোদির বিজেপি নাকি রাহুল গান্ধীর কংগ্রেস।

ভারতে ৭ রাজ্যে চলছে পঞ্চম ধাপের নির্বাচন

ভারতে ৭ রাজ্যে চলছে পঞ্চম ধাপের নির্বাচন

admin May 06, 2019

অনলাইন ডেস্ক:
ভারতের লোকসভা নির্বাচনের পঞ্চম ধাপে আজ সোমবার ৭ রাজ্যের ৫১ আসনে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। এসব আসনে ভোটার সংখ্যা প্রায় ৯ কোটি। এই ধাপের ভোটে ভাগ্য নির্ধারিত হবে ৬৭৪ প্রার্থীর। দেশটির স্থানীয় সময় সকাল ৭ টা নাগাদ শুরু হয় এ ভোটগ্রহণ, চলবে বিকাল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত।


আজকের ধাপে ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং, কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী, সাবেক সভাপতি সোনিয়া গান্ধী, বিজেপির মন্ত্রী স্মৃতি ইরানির মতো হেভিওয়েট প্রার্থীরাও রয়েছেন।


সোমবার পশ্চিমবঙ্গের ৭, উত্তর প্রদেশের ১৪, বিহারের ৫, রাজস্থানের ১২, মধ্যপ্রদেশের ৭, জম্মু-কাশ্মীরের ২ এবং ঝাড়খন্ডের ৪ আসনে ভোটগ্রহণ হবে। উত্তর প্রদেশের রায় বরেলি আসন থেকে সোনিয়া গান্ধী ও আমেথি আসন থেকে লড়ছেন রাহুল গান্ধী।


রায় বরেলিতে সোনিয়ার মূল প্রতিদ্বন্দ্বী সাবেক কংগ্রেস নেতা ও বর্তমানে বিজেপি প্রার্থী দীনেশ প্রতাপ সিং। আর আমেথিতে রাহুলের প্রতিদ্বন্দ্বী বর্তমান মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি।


এই দুই আসন কংগ্রেসের ঘাঁটি বলে পরিচিত হলেও বিশ্লেষকরা বলছেন, এবার লড়াইটা জমজমাট হতে পারে। এই দফার ভোটে পশ্চিমবঙ্গে ভোটারদের বিশেষভাবে নিরাপত্তা দেওয়া হবে। এজন্য সব রকম প্রস্তুতি নিয়েছে ভারতের নির্বাচন কমিশন। এমনকি বিশেষ বিশেষ ক্ষেত্রে প্রার্থীদের ওপরও বিশেষ নজরদারি করা হবে বলেও জানানো হয়েছে। বাকি দুই ধাপের ভোটগ্রহণ হবে যথাক্রমে ১২ ও ১৯ মে আর ভোট গণনা হবে ২৩ মে।

Image Gallary

 
1 / 3
   
Caption Text
 
2 / 3
   
Caption Two
 
3 / 3
   
Caption Three