Showing posts with label বাজেট. Show all posts
Showing posts with label বাজেট. Show all posts
বাজেটে কৃষিখাতে ৪০ শতাংশ বরাদ্দের দাবিতে রৌমারীতে বিক্ষোভ

বাজেটে কৃষিখাতে ৪০ শতাংশ বরাদ্দের দাবিতে রৌমারীতে বিক্ষোভ

admin June 17, 2019

রৌমারী প্রতিনিধি, কুড়িগ্রাম:
বাজেটে কৃষিখাতে ৪০ শতাংশ বরাদ্দের দাবিসহ বেশ কিছু দাবিতে রৌমারীতে মানববন্ধ ও বিক্ষোভ সমাবেশ করা হয়েছে।


কৃষি কৃষক ক্ষেতমজুর রক্ষণ সংগ্রাম কমিটির উদ্যোগে রবিবার সকাল ১১ টায় রৌমারী উপজেলা সদরে বিভিন্ন সড়কে বিক্ষোভ মিছিল প্রদক্ষিণ শেষে উপজেলা চত্ত্বরে এক মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।


এসময় বক্তব্য রাখেন, সংগ্রাম কমিটির ও বাসদ মার্কসবাদী নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা মহিউদ্দিন আহমেদ, আব্দুর রাজ্জাক, মঈন উদ্দিন, ফিরোজ আহমেদ, ফারুক আহমেদসহ প্রমুখ।


বক্তারা বলেন, বর্তমান সরকারের যে বাজেট ঘোষণা করা হয়েছে তা গরীব মানুষ মারার বাজেট। এই বাজেট বাতিল করে অবিলম্বে কৃষি খাতে ৪০% বরাদ্দ দেওয়ার দাবি জানানো হয়। সেই সাথে ধান ক্রয়ে দুর্নীতি লুটপাট বন্ধ করে সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে ধান ক্রয়ের দাবিও করেন বক্তারা।


মানববন্ধনে বক্তরা ধান কেনা-বেচা অনিয়ম দুর্নীতি বন্ধ, ক্ষেত মজুরদের সারাবছর কাজ, আর্মি দরে রেশন, বাজেটের ৪০% কৃষি খাতে বরাদ্দ, কৃষি ঋণ মওকুফ, বিনা পয়সায় শিক্ষা-চিকিৎসার ব্যবস্থা, কৃষি ফসলের ন্যায্য মূল্যের দাবি তুলে ধরেন।

মিডিয়া মালিকদের খেলাপি ঋণ নিয়ে অনুসন্ধান করুন: প্রধানমন্ত্রী

মিডিয়া মালিকদের খেলাপি ঋণ নিয়ে অনুসন্ধান করুন: প্রধানমন্ত্রী

admin June 15, 2019

নিউজবিডি ডেস্ক:
সংবাদমাধ্যমের মালিকদের কার কত খেলাপি ঋণ আছে, সে বিষয়ে অনুসন্ধান করে প্রতিবেদন প্রকাশ করতে সাংবাদিকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, তারা (মিডিয়া মালিকরা) যেন তাদের টাকাটা শোধ দিয়ে তারপরে তাদের পত্রিকায় এ ব্যাপরে (খেলাপি ঋণ নিয়ে) লেখেন, সে ব্যাপারে আমার অনুরোধ থাকবে।


‘সমৃদ্ধ আগামীর’ প্রত্যাশা সামনে রেখে নতুন অর্থবছরের জন্য সোয়া পাঁচ লাখ কোটি টাকার বাজেট প্রস্তাব বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদের সামনে উপস্থাপন করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। তিনি অসুস্থ থাকায় শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু সম্মেলন কেন্দ্রে বাজেট পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে আসেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।


শুরুতে এবারের বাজেটের বিভিন্ন দিক এবং সরকারের পরিকল্পনার কথা সাংবাদিকদের সামনে তুলে ধরেন সরকারপ্রধান। পরে বাজেট নিয়ে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন।


ব্যাংক খাতে খেলাপি ঋণের পরিমাণ গত ১০ বছরে ২৩ হাজার কোটি টাকা থেকে বেড়ে এক লাখ ১০ হাজার টাকা হওয়ার বিষয়টি তুলে ধরে একজন সাংবাদিক প্রশ্ন করেন, সরকার বিভিন্ন ক্ষেত্রে সাফল্য পেলেও খেলাপি ঋণ কমিয়ে আনতে সফল হচ্ছে না কেন।


জবাব দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী প্রথমে ওই সাংবাদিকের কাছে জানতে চান তিনি কোন প্রতিষ্ঠানে কাজ করেন।


সেই প্রতিবেদক নিজের পত্রিকার নাম বলার পর প্রধানমন্ত্রী বলেন, যারা এখানে পত্রিকায় চাকরি করেন, তাদের আমি একটা কথা জিজ্ঞেস করব, আপনারা কি একটা খবর নেবেন, যে আপনাদের মালিকরা কে কোন ব্যাংক থেকে কত টাকা ঋণ নিয়েছেন, আর ঋণগুলো শোধ দিয়েছে কি না। আপনারা দয়া করে সমস্ত ব্যাংকগুলি থেকে এ তথ্যটা আগে বের করেন, যত মিডিয়া এখানে আছেন… প্রত্যেকেই বলবেন যে আমি অনুরোধ করেছি আপনাদের, যে কোন মালিক কোন ব্যাংক থেকে কত টাকা ঋণ নিয়ে কত টাকা শোধ দেয়নি বা খেলাপি হয়ে সেটাকে আবার পুনরায় ই (পুনঃতফসিল) করে গেছেন। এটার একটা হিসাব বের করলে আমাকে আর প্রশ্ন করা লাগবে না


সাংবাদিকদের উদ্দেশে সরকারপ্রধান বলেন, যার যার মালিককে বলেন, খেলাপি ঋণ শোধ দিতে, তাহলে আর খেলাপি ঋণ থাকবে না।


শেখ হাসিনা বলেন, দেশে ব্যাংক খাতে সুদের হার অত্যন্ত বেশি, আর সুদ ধরা হয় চক্রবৃদ্ধি হারে। ফলে যখন হিসাব প্রকাশ করা হয় তখন চক্রবৃদ্ধি হারে খেলাপি ঋণের পরিমাণটা অনেক বড় দেখায়। প্রকৃত ঋণটা যদি ধরা হয়, তাহলে দেখা যাবে অত বড় না। এর পেছনে নিশ্চয় কোনো ইন্টারেস্ট আছে যেজন্য ওই চক্রবৃদ্ধি হারে যেটা বর্ধিত সুদ, সেটাসহ সেটাকে খেলাপি ঋণ ধরা হয়। সেটা একটা দুর্বলতা আছে আমাদের। সেটা আমরা অ্যাড্রেস করে এবং সেটা যাতে না হয়, তার ব্যবস্থা আমরা নিচ্ছি।


যারা খেলাপি হয়েছেন, তাদের তা পরিশোধ করার জন্য ‘একটা সুযোগ’ দেওয়া হবে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সেই সাথে সাথে সব পত্রিকাগুলোর মালিকরা কে কত ঋণ নিয়েছে, বা ইলেকট্রনিক মিডিয়া বা অন্যান্য মিডিয়া, সেগুলোর একটা হিসাব নেওয়া হবে।


বাংলাদেশ ব্যাংক গত সোমবার খেলাপি ঋণের হালনাগাদ যে তথ্য প্রকাশ করে, তাতে দেখা যায়, গত মার্চ শেষে খেলাপি ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে এক লাখ ১০ হাজার ৮৭৩ কোটি টাকা, যা মোট বিতরণ করা ঋণের ১১ দশমিক ৮৭ শতাংশ।


মার্চ শেষে ব্যাংক খাতে অবলোপনকৃত খেলাপি ঋণের (রাইট অফ) স্থিতি ছিল ৩৯ হাজার ২৪৮ কোটি টাকা। খেলাপি ঋণের সঙ্গে অবলোপনকৃত খেলাপি ঋণ যোগ করলে বাংলাদেশের ব্যাংক খাতে মোট খেলাপি ঋণের পরিমাণ দাঁড়ায় এক লাখ ৫০ হাজার ১২২ কোটি টাকা।


বছরের পর বছর ধরে ব্যাংক ব্যবস্থায় মন্দ মানে শ্রেণিকৃত খেলাপি ঋণ স্থিতিপত্র (ব্যালেন্স শিট) থেকে বাদ দেওয়াকে ঋণ অবলোপন-রাইট অফ বলে। যদিও এধরনের ঋণগ্রহীতা পুরো টাকা পরিশোধ না করা পর্যন্ত খেলাপি হিসেবে বিবেচিত হন।


বছরের শুরুতে দায়িত্ব নেওয়ার পর অর্থমন্ত্রী মুস্তফা কামাল ঘোষণা দিয়েছিলেন, খেলাপি ঋণ আর ‘এক টাকাও বাড়বে না’।


সেজন্য ঋণ অবলোপনের নীতিমালা শিথিলসহ কিছু পদক্ষেপও নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু অর্থমন্ত্রীর সে কথা ফলেনি, খেলাপি ঋণ বেড়েই চলেছে।

বাড়ছে বিড়ি-সিগারেটসহ তামাকজাত পণ্যের দাম

বাড়ছে বিড়ি-সিগারেটসহ তামাকজাত পণ্যের দাম

admin June 14, 2019
রংপুর এক্সপ্রেস ডেস্ক:
নতুন অর্থবছরের (২০১৯-২০) প্রস্তাবিত বাজেটে বিড়ি-সিগারেটসহ তামাকজাত দ্রব্যের ওপর সম্পূরক শুল্ক বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। এতে বিড়ি-সিগারেটসহ তামাকজাত পণ্যের দাম বাড়বে।

প্রস্তাবিত বাজেটে সিগারেটের নিম্নস্তরের ১০ শলাকার দাম ৩৭ টাকা এবং ৫৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের প্রস্তাব করা হয়েছে। মধ্যম স্তরের ১০ শলাকার দাম ৬৩ টাকা এবং ৬৫ শতাংশ সম্পূরক শুল্কের প্রস্তাব করা হয়েছে। এছাড়া উচ্চ স্তরের ১০ শলাকার দাম ৯৩ টাকা ও ১২৩ টাকা এবং ৬৫ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আরোপের প্রস্তাব করা হয়েছে।

যন্ত্রের সাহায্য ব্যতীত হাতে তৈরি ফিল্টারবিহীন বিড়ির ২৫ শলাকার দাম ১৪ টাকা এবং ৩৫ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আরোপ করার প্রস্তাব করা হয়েছে। ফিল্টার সংযুক্ত বিড়ির ২০ শলাকার দাম ১৭ টাকা ও ৪০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আরোপ করার প্রস্তাব করা হয়েছে।

বিড়ি-সিগারেটের মতো ভয়াবহ আরেকটি পণ্য জর্দা ও গুল। এগুলোর ব্যবহার সরাসরি হওয়ায় শরীরের ওপর এর বিরূপ প্রভাবও বেশি। এর ব্যবহার কমানোর জন্য প্রতি ১০ গ্রাম জর্দার দাম ৩০ টাকা ও ৫০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক এবং প্রতি ১০ গ্রাম গুলের দাম ১৫ টাকা এবং ৫০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক নির্ধারণের জন্য বাজেটে প্রস্তাব করা হয়েছে।

২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট জাতীয় সংসদে উপস্থাপন করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। ‘সমৃদ্ধির সোপানে বাংলাদেশ, সময় এখন আমাদের’ শীর্ষক বাজেটের আকার ধরা হয়েছে ৫ লাখ ২৩ হাজার ১৯০ কোটি টাকা।
বাজেট ঘাটতি ১ লাখ ৪৫ হাজার কোটি টাকা

বাজেট ঘাটতি ১ লাখ ৪৫ হাজার কোটি টাকা

admin June 14, 2019

রংপুর এক্সপ্রেস ডেস্ক:
প্রস্তাবিত (২০১৯-২০) অর্থবছরের ৫ লাখ ২৩ হাজার ১৯০ কোটি টাকার বাজেটের ঘাটতি ধরা হয়েছে ১ লাখ ৪৫ হাজার ৩৮০ কোটি টাকা। যা চলতি অর্থবছরের বাজেটের থেকে ২০ হাজার ৮৭ কোটি টাকা বেশি। এটি মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) ৫ শতাংশ।


বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে শুরু হওয়া বাজেটে অধিবেশনে ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজটে প্রস্তাব করা হয়। এবারের বাজেটের শিরোনাম ‘সমৃদ্ধ আগামীর পথযাত্রায় বাংলাদেশ: সময় এখন আমাদের, সময় এখন বাংলাদেশের’।


বাজেটে প্রস্তাবে বলা হয়, প্রস্তাবিত বাজেটে ঘাটতি ধরা হয়েছে ১ লাখ ৪৫ হাজার ৩৮০ কোটি টাকা। সর্বশেষ ২০১৮-১৯ অর্থবছরের বাজেটের ঘাটতি ছিল এক লাখ ২৫ হাজার ২৯৩ কোটি টাকা।


বাজেটে ঘাটতি পূরণে বৈদেশিক উৎস থেকে নিট ৬৮ হাজার ১৬ কোটি টাকা ঋণ নেওয়া হতে পারে। এটি মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) ২ দশমকি ৪ শতাংশ। চলতি অর্থবছরের মূল বাজেটের পরিমাণ ৫০ হাজার ১৬ কোটি টাকা।


এছাড়া অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে নিট ৭৭ হাজার ৩৬৩ কোটি টাকা নেওয়া হবে। এটি মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) ২ দশমকি ৭ শতাংশ। চলতি অর্থবছরে এর পরিমাণ ৭১ হাজার ২২৬ কোটি টাকা। অভ্যন্তরীণ উৎসের মধ্যে ব্যাংকিং খাত ও সঞ্চয়পত্র থেকে ঋণ নেওয়া হবে। এর মধ্যে ব্যাংক খাত থেকে ৪৭ হাজার ৩৬৪ কোটি টাকা (চলতি অর্থবছরের মূল বাজেটে এর পরিমাণ ৪২ হাজার ২৯ কোটি টাকা) এবং সঞ্চয়পত্র খাত থেকে ২৭ হাজার কোটি টাকা (চলতি অর্থবছরের মূল বাজেটে এর পরিমাণ ২৬ হাজার ১৯৭ কোটি টাকা) নেওয়া হতে পারে।


এছাড়া অন্যান্য খাত থেকে নেওয়ার পরিকল্পনা করা হচ্ছে তিন হাজার কোটি টাকা। এটি চলতি অর্থবছরে একই পরিমাণ রয়েছে। এর আগে বিকেল তিনটার দিকে বাজেট পেশের অনুমতি নিয়ে প্রথমে ২০১৮-১৯ অর্থবছরের সম্পূরক বাজেট বক্তব্য শুরু করেন আ হ ম মুস্তফা কামাল।


এরপর শুরু করেন ‘সমৃদ্ধ আগামীর পথযাত্রায় বাংলাদেশ: সময় এখন আমাদের, সময় এখন বাংলাদেশের’ শীর্ষক ১০০ পৃষ্ঠার ২০১৯-২০ সালের প্রস্তাবিত বাজেট উত্থাপন। কিন্তু অসুস্থ থাকায় কিছুক্ষণ পর থেকে বাজেট উপস্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজেই। সংসদে উপস্থাপনের আগে মন্ত্রিসভায় অনুমোদিত হয় প্রস্তাবিত বাজেটটি। দুপুরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সংসদের ক্যাবিনেট কক্ষে মন্ত্রিসভার বিশেষ বৈঠকে বাজেটটি অনুমোদন করা হয়।


এবারের বাজেটের আকার ৫ লাখ ২৩ হাজার ১৯০ কোটি টাকা, যা জিডিপির ১৮ দশমিক ১ শতাংশ। এবারের বাজেটে পরিচালনসহ অন্যান্য খাতে মোট বরাদ্দ রাখা হয়েছে ৩ লাখ ২০ হাজার ৪৬৯ কোটি টাকা। বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে বরাদ্দ রাখা হয়েছে ২ লাখ ২ হাজার ৭২১ কোটি টাকা। বাজেটে ঘাটতি দাঁড়াবে ১ লাখ ৪৫ হাজার ৩৮০ কোটি টাকা, যা জিডিপির ৫ শতাংশ। ঘাটতি মেটাতে বৈদেশিক ঋণ ৬৮ হাজার ১৬ কোটি টাকা, অভ্যন্তরীণ উৎস হতে ৭৭ হাজার ৩৬৩ কোটি টাকা সংগ্রহ করা হবে। অভ্যন্তরীণ উৎসের মধ্যে ব্যাংক থেকে ৪৭ হাজার ৩৬৪ কোটি টাকা এবং সঞ্চয়পত্র ও অন্যান্য ব্যাংক বহির্ভূত খাত থেকে নেওয়া হবে ৩০ হাজার কোটি টাকা।


এবারের বাজেটে বড় আকারের ব্যয় মেটাতে মোট রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৩ লাখ ৭৭ হাজার ৮১০ কোটি টাকা। এটি জিডিপির ১৩ দশমিক ১ শতাংশের সমান। এর মধ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) আদায় করবে ৩ লাখ ২৫ হাজার ৬০০ কোটি টাকা, এনবিআর বহির্ভূত কর আদায় ধরা হয়েছে ১৪ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। কর ছাড়া আদায় বা প্রাপ্তি ধরা হয়েছে ৩৭ হাজার ৭১০ কোটি টাকা।

বাজেট ২০১৯-২০: প্রতিরক্ষা খাতে বরাদ্দ ৩২ হাজার ৫২০ কোটি টাকা

বাজেট ২০১৯-২০: প্রতিরক্ষা খাতে বরাদ্দ ৩২ হাজার ৫২০ কোটি টাকা

admin June 14, 2019

রংপুর এক্সপ্রেস ডেস্ক:


শতকরা হিসাবে গত অর্থবছরের তুলনায় এবারের বরাদ্দ কমেছে। ২০১৯-২০ অর্থবছরের জন্য জাতীয় সংসদে প্রস্তাবিত বাজেটে সামরিক খাতে মোট বাজেটের ৬ দশমিক ১ শতাংশ বরাদ্দ রাখা হয়েছে।


সশস্ত্র বাহিনী ও প্রতিরক্ষা বিষয়ক অন্যান্য দফতর ও সংস্থার সক্ষমতা বাড়াতে ২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে প্রতিরক্ষা খাতে ৩২ হাজার ৫২০ কোটি ৪ লাখ ৬৫ হাজার টাকার পরিচালন ও উন্নয়ন ব্যয় ধরা হয়েছে। যা গত বছরের তুলনায় ৯ দশমিক ৪ শতাংশ বেশি। তবে শতকরা হিসাবে গত অর্থবছরের তুলনায় এবারের বরাদ্দ কমেছে। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে সামরিক খাতে বরাদ্দ ছিল মোট বাজেটের ৬ দশমিক ৪৩ শতাংশ।


বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে উত্থাপিত প্রস্তাবিত বাজেটে এ প্রস্তাব করা হয়েছে। প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর আধুনিকায়ন এবং সক্ষমতা বৃদ্ধির বিষয়টি সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার খাত হিসেবে রাখা হয়েছে। আবহাওয়া অধিদফতরকে রাখা হয়েছে দ্বিতীয় অগ্রাধিকার খাত হিসেবে। তৃতীয় অগ্রাধিকার খাত হিসেবে রাখা হয়েছে আন্তঃবাহিনী দফতরগুলোকে। আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক নিরাপত্তা ও শান্তিরক্ষায় জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী বাহিনীতে অংশগ্রহণের বিষয়টি রাখা হয়েছে চতুর্থ অগ্রাধিকার খাত হিসেবে।


প্রতিরক্ষা খাতের গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলোর মধ্যে রয়েছে দেশের প্রতিরক্ষা বাহিনীগুলোর ব্যবস্থাপনা, স্থলসীমা, জলসীমা, আকাশসীমা ও সমুদ্রসীমা রক্ষা করা। সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর আইন ও বিধি-বিধান প্রণয়ন, বাজেট ব্যবস্থাপনা, সামরিক ভূমি ব্যবস্থাপনা, আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ, পূর্বাভাস। দেশের ক্যাডেট কলেজগুলো এবং ন্যাশনাল ক্যাডেট কোরের প্রশাসনিক ও শিক্ষা কার্যক্রম সমন্বয় ও তদারকি করা। মহাকাশ গবেষণা, ভূ-উপগ্রহ পাঠানোসংক্রান্ত গবেষণা কার্যক্রম ও জরিপ অধিদফতরের কার্যক্রম পরিচালনা ও সামগ্রিক তত্ত্বাবধান করা।


অগ্রাধিকারে পুলিশসহ চার বাহিনী: এবারের বাজেটে পুলিশ, বিজিবি, আনসার ও কোস্টগার্ডকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার ব্যয় খাত ও কর্মসূচির মধ্যে রাখা হয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীন জননিরাপত্তা বিভাগের জন্য নতুন (২০১৯-২০) অর্থবছরে ব্যয় ধরা হয়েছে ২১ হাজার ৯২৩ কোটি ১৭ লাখ ৪১ হাজার টাকা।


স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের প্রধান কার‌্যাবলির মধ্যে রয়েছে, জননিরাপত্তার সঙ্গে সম্পর্কিত নীতিনির্ধারণী প্রশাসনিক কার্যক্রম ও এতদসংক্রান্ত আইন, বিধি ও নীতিমালা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করা।


কৌশলগত গোয়েন্দা কার্যক্রম পরিচালনা, আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ ও উন্নয়নের মাধ্যমে অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা নিশ্চিত করে দেশের উন্নয়ন সুসংহত করা। সীমান্ত সুরক্ষা ও চোরাচালান প্রতিরোধ কার্যক্রম, সন্ত্রাস ও উগ্রবাদ দমনে সামাজিক সচেতনতা বাড়ানোসহ আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর সঙ্গে সম্মিলিত কার্যক্রম গ্রহণ। জননিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের প্রয়োজনীয় অস্ত্র, সরঞ্জাম, রসদ ও প্রশিক্ষণের ব্যবস্থাকরণ, যুদ্ধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার যথাযথ প্রসিকিউশন দাখিল, ভিকটিম ও সাক্ষীদের নিরাপত্তা বিধান করা। জননিরাপত্তা রক্ষায় বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা ও দেশের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখা ও চুক্তি করা।


বাংলাদেশ পুলিশ, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি), আনসার ও ভিডিপি এবং কোস্টগার্ডের কর্মদক্ষতা ও সক্ষমতা বাড়াতে বাজেটে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার খাতের মধ্যে রাখা হয়েছে। অভ্যন্তরীণ আইনশৃঙ্খলা রক্ষা এবং জনসাধারণের জীবন ও সম্পদের নিরাপত্তা বিধানের উদ্দেশ্যে এসব বাহিনীকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে। সীমান্ত সুরক্ষা, চোরাচালান দমন এবং মানব ও মাদকপাচার রোধের জন্য বিজিবির পুনর্গঠনকে দ্বিতীয় অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে।


অন্যদিকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষাসেবা বিভাগের অধীন ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর, কারা অধিদফতর ও বহিরাগমন ও পাসপোর্ট অধিদফতরের জন্য এবারের বাজেটে ব্যয় ধরা হয়েছে তিন হাজার ৬৯৪ কোটি ৯২ লাখ ২৪ হাজার টাকা। প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বৃদ্ধি, দুর্যোগ মোকাবিলা, মাদক নিয়ন্ত্রণ, সুষ্ঠু কারা ব্যবস্থাপনা ও বিদেশ গমনাগমন আরও সহজ, টেকসই ও সময়োপযোগী করার মাধ্যমে নাগরিক সেবা ও নাগরিক মর্যাদা বাড়ানোর জন্য বাজেটে এ অর্থ বরাদ্দ রাখা হয়েছে।


সুরক্ষা সেবা বিভাগের প্রধান কার‌্যাবলির মধ্যে রয়েছে, সুরক্ষা সেবা সংক্রান্ত বিধি-বিধান, নীতিমালা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন, কারা ব্যবস্থাপনা আধুনিকায়ন, মাদক ও নেশাজাতীয় দ্রব্যের অপব্যবহার রোধ, পাসপোর্ট, ভিসা ও নাগরিকত্ব দেওয়া সহজীকরণ, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স কার্যক্রম পরিচালনা, প্রাকৃতিক ও সামাজিক দুর্যোগের সময় উদ্ধার কাজে সহায়তা ও বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা ও দেশের সঙ্গে লিয়াজোঁ রক্ষা ও চুক্তি সম্পাদন করা।


এর আগে জাতীয় সংসদ ভবনে প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে মন্ত্রিপরিষদের বৈঠকে ২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে অনুমোদন দেওয়া হলেও সে বৈঠকেও আধঘণ্টা দেরিতে পৌঁছান অর্থমন্ত্রী। দুপুর ১টা ২১ মিনিটে বৈঠকে যোগ দেন তিনি। এবার অর্থমন্ত্রী হিসেবে আ হ ম মুস্তাফা কামালের এটিই প্রথমবারের মতো বাজেট পেশ। এটি দেশের ৪৮তম ও আওয়ামী লীগ সরকারের ২০তম বাজেট। বাজেট পেশ করার সময় অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তাফা কামাল অসুস্থ হয়ে পড়লে তার পক্ষ থেকে সংসদে বাজেট বক্তৃতা পেশ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বাজেট ২০১৯-২০: জাতীয় পরিচয়পত্র পাচ্ছে ১৮ বছরের কম বয়সীরাও

বাজেট ২০১৯-২০: জাতীয় পরিচয়পত্র পাচ্ছে ১৮ বছরের কম বয়সীরাও

admin June 14, 2019

রংপুর এক্সপ্রেস ডেস্ক:
নিবন্ধনের আওতায় আসছে দেশের ১৮ বছরের কম বয়সী নাগরিকরা। নির্বাচন কমিশন (ইসি) ভোটার হওয়ার অযোগ্য এসব নাগরিককে নিবন্ধনের মাধ্যমে জাতীয় পরিচয়পত্র সরবরাহ করবে।


এ প্রক্রিয়া বাস্তবায়ন হলে দেশের সব নাগরিক নিবন্ধনের আওতায় চলে আসবে। শূণ্য থেকে ১৮ বছরের কম বয়সী নাগরিকদের নিবন্ধন ও তাদের পরিচয়পত্র সরবরাহের জন্য আসন্ন ২০১৯-২০ অর্থ বছরে বাজেট বরাদ্দেরও প্রস্তাব করা হয়েছে।


এতদিন ১৮ বছর এবং তদূর্ধ্ব ব্যক্তিদের জাতীয় পরিচয়পত্র দেওয়া হতো। সব মিলিয়ে আসন্ন ২০১৯-২০২০ অর্থ বছরে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের জন্য ১৯২০ কোটি ৭০ লাখ টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব রাখা হয়েছে। এরমধ্যে পরিচালন খাতে ৭৭৯ কোটি ৪৭ লাখ টাকা ও উন্নয়ন খাতে ১১৪১ কোটি ২৩ লাখ টাকা বরাদ্দ রয়েছে।


অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে ২০১৯-২০ অর্থ বছরের পাঁচ লাখ ২৩ হাজার ১৯০ কোটি টাকার বাজেট উপস্থাপন করেন। ২০১৯-২০ অর্থ বছরের বাজেটে ইসির শূন্য হতে ১৮ বছর নাগরিকদের নিবন্ধন ও এনআইডি প্রদানসহ অন্তত ১১টি খাতে কর্মসূচি বাস্তবায়নের কথা বলা হয়েছে।


অন্য খাতগুলোর মধ্যে রয়েছে- ছবিসহ ভোটার তালিকা তৈরি, সংসদের উপনির্বাচন, স্থানীয় সরকারের সাধারণ ও উপনির্বাচন, উন্নতমানের স্মার্ট জাতীয়পত্র প্রদান, ২ বছর মেয়াদী পেপার লেমিনেটেড পরিচয়পত্র প্রদান, ইভিএম প্রকল্পের আওতায় ৮২ হাজার ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ও সংশ্লিষ্ট যন্ত্রপাতি ক্রয়, কর্মকর্তাদের দেশি-বিদেশি প্রশিক্ষণ, প্রবাসী বাংলাদেশি নাগরিকদের প্রবাসেই নিবন্ধন ও পরিচয়পত্র প্রদান, এনআইডি তথ্য যাচাই এবং ইসির উন্নয়ন ও নির্বাচনি ব্যবস্থাপনার উন্নয়ন।


একাদশ সংসদ নির্বাচন থাকায় এবং বছরের মধ্যবর্তী সময়ে ইভিএম ক্রয় প্রকল্পসহ চলতি অর্থ বছরে পরিচালন ও উন্নয়ন খাতে ইসির সংশোধিত বাজেট ছিল চার হাজার ৩৪৩ কোটি ১২ লাখ ২৩ হাজার টাকা। চলতি অর্থ বছরে ইসির জন্য বরাদ্দ ছিল এক হাজার ৮৯৫ কোটি টাকা।


এরমধ্যে উন্নয়ন বরাদ্দ ছিল ২১০ কোটি টাকা আর পরিচালনা ব্যয় ছিল এক হাজার ৬৮৫ কোটি টাকা।

Image Gallary

 
1 / 3
   
Caption Text
 
2 / 3
   
Caption Two
 
3 / 3
   
Caption Three