Showing posts with label সৈয়দপুর. Show all posts
Showing posts with label সৈয়দপুর. Show all posts
সৈয়দপুরে সাঁতার প্রতিযোগিতা করতে গিয়ে ২ শিশু নিহত

সৈয়দপুরে সাঁতার প্রতিযোগিতা করতে গিয়ে ২ শিশু নিহত

admin June 15, 2019

নীলফামারী প্রতিনিধি:
সৈয়দপুরে খড়খড়িয়া নদীতে সাঁতারের প্রতিযোগিতা করতে গিয়ে কুরবান আলী (১০) ও মেরাজ আলী (১২) নামে দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার দুপুরে শহররক্ষা বাঁধ সংলগ্ন বুড়ির কুড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।


সৈয়দপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহজাহান পাশা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। নিহত কুরবান আলী উপজেলা শহরের কাজিপাড়া গ্রামের বাদল হোসেনের ছেলে। মেরাজ আলী একই এলাকার আবেদ আলীর ছেলে।


পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, কুরবান ও মেরাজসহ একদল শিশু ঘটনাস্থলের কাছের একটি জাম গাছে ওঠে। এরপর তারা সাঁতরে নদী পার হয়ে ওপারের বট গাছে উঠবে, এমন প্রতিযোগিতায় করে। প্রথমে কুরবান ও মেরাজ নদীতে নামে। তারা নদীর মাঝখানে গিয়ে ডুবে যায়।


এ সময় অন্য বন্ধুরা তাদেরকে বাঁচাতে গিয়ে ব্যর্থ হয়ে তীরে উঠে চিৎকার করতে থাকে। পথচারীরা ছুটে এসে ওই দুজনকে উদ্ধার করে সৈয়দপুর ১০০ শয্যা হাসপাতালে নিয়ে যায়। জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. জাকিয়া সুলতানা তাদেরকে মৃত ঘোষণা করেন।

সৈয়দপুরের ঈদ বাজারে ‘ফাগুন বউয়ের শাড়ি’

সৈয়দপুরের ঈদ বাজারে ‘ফাগুন বউয়ের শাড়ি’

admin June 02, 2019

নীলফামারী প্রতিনিধি:
ঈদুল ফিতর উপলক্ষে প্রতিনিয়ত বিপনীবিতানগুলোতে ক্রেতাদের ভিড় বেড়েই চলেছে। প্রতিবারের ঈদে পাওয়া যাচ্ছে ভারতীয় বিভিন্ন সিরিয়ালের নামে শাড়ি ও থ্রি-পিস। নীলফামারীর সৈয়দপুর শহরের ঈদ বাজারে বিভিন্ন পোশাকের মধ্যে ফাগুন বউ নামের শাড়ির ব্যাপক বিক্রি হচ্ছে।


সরেজমিনে জানা যায়, ভারতের ফাগুন বউয়ের পসরা এখন সৈয়দপুরে। ভারতীয় চ্যানেল স্টার জলসায় ফাগুন বউ নামে একটি ধারাবাহিক নাটক চলছে সেই নাটকের নামে এই শাড়ির নামকরণ করা হয়েছে। সৈয়দপুরে এসব শাড়ি কিনতে নারীরা আসছেন দিনাজপুর জেলার খানসামা উপজেলা, চিরিরবন্দর উপজেলা,পার্বতিপুর উপজেলা, নীলফামারী জেলার জলঢাকা উপজেলা, ডোমার উপজেলা,ডিমলা, কিশোরীগঞ্জ উপজেলাসহ রংপুর জেলার তারাগঞ্জ উপজেলায়।


এছাড়া শিল্প-বাণিজ্যের ব্যস্ততম শহর সৈয়দপুর উপজেলা।এ শহরে খুচরা, পাইকারি পোশাক ও থান কাপড়ের অসংখ্য প্রতিষ্ঠান রয়েছে। ক্রেতা সাধারণের উপচেপড়া ভিড়ও রয়েছে। এখানে বেশকিছু প্রতিষ্ঠানে স্বল্প মূল্যেও পোশাক পাওয়া যাচ্ছে।


দিনাজপুরের পাবর্তীপুর শহর থেকে সৈয়দপুর প্লাজায় সুপার মার্কেটে আসা একজন বলেন, সৈয়দপুরে কেনাকাটার পরিবেশটা অত্যন্ত ভাল। ঈদ বাজার বলেই ভিড় প্রচুর। তবে এখানে সাশ্রয়ী দামে সব পোশাক কিনতে পাওয়া যায়।


এই মার্কেটগুলোতে সারারাত বেচাবিক্রি চলে। বাজারে তাঁত, কাতান, জামদানি ও বুটিক শাড়ি ছাড়াও মেয়েদের গাউন, থ্রি-পিস তো আছেই। তবে শাড়ি-কাপড়ের দোকানে সবচেয়ে বেশি বিক্রি হচ্ছে ফাগুন বউ শাড়ি। এ শাড়ির দাম আট হাজার টাকা।


সৈয়দপুর ঈদ বাজারে বেচা-কেনা বেড়ে যাওয়ায় দোকানিগণ সারা রাত ধরে জনস্বার্থে খোলা রাখছেন তাদের প্রতিষ্ঠানটি। শহরে নিরাপত্তা জোরদার থাকায় আশপাশের উপজেলা থেকে ক্রেতা সাধারণ তাদের চাহিদামত পোশাক কিনে বাড়ি ফিরছেন।


অন্যদিকে নিউ ক্লথ মার্কেট, পৌর বাজার, শেরেবাংলা সড়কের শিল্প সাহিত্য সংসদের সুপার মার্কেট, এসআর প্লাজা, শহীদ ডা. জিকরুল হক সড়কের পৌর মার্কেট, কারখানা গেট বাজার, ক্যান্ট বাজার, সবখানে মানুষের উপচেপড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে।


নিউ ক্লথ মার্কেটের বিভিন্ন দোকানে ভারতীয় পাঞ্জাবির ব্যাপক চাহিদা লক্ষ্য করা গেছে। ১২শ টাকা থেকে শুরু ১০ হাজার টাকা মূল্যের পাঞ্জাবিও পাওয়া যাচ্ছে ওই প্রতিষ্ঠানে।

সৈয়দপুরে অপহরণের শিকার স্কুলছাত্র উদ্ধার, আটক ১

সৈয়দপুরে অপহরণের শিকার স্কুলছাত্র উদ্ধার, আটক ১

admin September 07, 2018

নীলফামারী: নীলফামারীর সৈয়দপুরে সিনেমার শুটিংয়ের কায়দায় অপহরণের শিকার এক স্কুল ছাত্রকে উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় এক যুবককে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে এলাকাবাসী। ঘটনাটি ঘটেছে আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১০ টায় সৈয়দপুর শহরের বাইপাস সড়ক বসুনিয়াপাড়া মোড় এলাকায়। আটক যুবকের নাম ফয়সাল। সে শহরের সাহেবপাড়া হানিফ মোড় সংলগ্ন মুক্তিযোদ্ধা স্কুল এলাকার মো: মিলনের ছেলে। উদ্ধারকৃত স্কুল ছাত্রের নাম মো: আমান। সে একই এলাকার মৃত. জব্বারের ছেলে ও সৈয়দপুর রেলওয়ে সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেনীর ছাত্র।


আমান জানায়, সকাল সাড়ে ৮টার দিকে প্রাইভেট থেকে ফিরে বাড়ির সামনে ব্রাশ করছিলাম। এমন সময় একটি কার এসে দাঁড়ায় বাড়ি সংলগ্ন রাস্তায়। কার থেকে ২ জন অপরিচিত যুবক এসে আমার ক্লাসমেট আকাশের বাড়ি দেখিয়ে দিতে বলে। আমি আকাশের বাড়ির ঠিকানা বলার পর তারা অনুরোধ করে যে তাদের যেন বাড়ি পর্যন্ত পৌছে দেয়া হয়। এতে সম্মত হয়ে তাদের সাথে মাইক্রোবাসে উঠে শহরের পূর্ব দিকে সৈয়দপুর থানার পাশে রাসুলপুর এলাকায় ফ্রি আমিন স্কুলের দিকে যেতে বলি। কিন্তু তারা আমাকে নিয়ে উল্টোদিকে অর্থাৎ রেলওয়ে কারখানা হয়ে মিস্ত্রিপাড়া মোড় দিয়ে পশ্চিমে বাইপাস সড়কের দিকে যেতে থাকে। এতে আমি আপত্তি করায় তারা জোড় পূর্বক সেদিকেই যেতে ড্রাইভারকে তাগাদা দেয়। এক পর্যায়ে একটি তোয়ালে দিয়ে আমার চোখ মুখ বেঁধে ফেলে। এতে আমি চিৎকার করলে ড্রাইভার হঠাৎ মাইক্রোবাস থামিয়ে দিয়ে চাবি নিয়ে নেমে পড়ে এবং বলে এমন ভাড়া সে যাবেনা। এর ফলে অপহরণকারীরা কার থেকে নেমে দক্ষিণ দিকে পালিয়ে যায় এবং আমি নামার পর ড্রাইভারকে চিনতে পারি। পরে ড্রাইভার আমাকে নিয়ে বাড়ি পৌছে দেয়। তার সহযোগিতায় এ অপহরণ ঘটনার সাথে জড়িতদের মধ্যে একজনের পরিচয় জানতে পেরে তাকে এলাকাবাসী আটক করে স্থানীয় রেলওয়ে শ্রমিকলীগ অফিসে নিয়ে যায়। সেখানে তাকে বেধড়ক গণপিটুনি দেয়া হয়। পরে পুলিশ খবর পেয়ে ৩ টার দিকে সেখান থেকে তাকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।


এ ব্যাপারে কার চালক এনামুল হক জানায়, বুধবার আমির নামে একজন ড্রাইভারের সাথে ২ হাজার ৫শ’ টাকায় শুটিং করার কথা বলে ভাড়া ঠিক করে ফয়সাল। কিন্তু কোন কারণে আমির যেতে না পারায় আজ (বৃহস্পতিবার) সকালে আমাকে জানালে আমি যেতে রাজি হই। এসময় আমাকে জানানো হয় যে, ৪ জন যাত্রী দিনাজপুর যাবে। তবে তারা রেলওয়ে শ্রমিকলীগ অফিস, রেলওয়ে কারখানা ও দিনাজপুরের জেলখানার পিছনে, বড় ময়দান এলাকায় কিছুক্ষণ করে অবস্থান করবেন। কারণ এসব জায়গায় শুটিং করা হবে। সে অনুযায়ী সকাল সাড়ে ৮ টার দিকে রেলওয়ে মাঠের মাইক্রো স্ট্যান্ড থেকে ফয়সাল আমার গাড়িতে উঠে রেলওয়ে শ্রমিকলীগ অফিসের সামনে গিয়ে নেমে পরে এবং সেখানে ৩ যুবক ওঠে। তারা সেখান থেকে প্রথমে মুক্তিযোদ্ধা স্কুলের সামনে গিয়ে এক ছেলেকে নিয়ে আসে। তারা এসময় জানায় যে এখন নায়কের ছোট ভাইকে অপহরণের শুটিং হবে। কিন্তু তাদের হাতে কোন ক্যামেরা বা অন্যান্য উপকরণ না থাকায় আমার একটু সন্দেহ হয়। সে ব্যাপারে তাদের জিজ্ঞাসা করলেও তারা কোন উত্তর দেয়নি। তারপর রেলওয়ে কারখানার কাছে আসার পর ছেলেটি আমাকে ফ্রি আমিন স্কুলের দিকে যেতে বলে কিন্তু কারে ওঠা অপর যাত্রীরা আমাকে মিস্ত্রিপাড়ার দিকে যাওয়ার জন্য তাগাদা দেয়। এতে ভাড়াকারীদের কথায় আমি সেদিকেই যেতে থাকি। একসময় বসুনিয়াপাড়া মোড়ে এলে আমার কাছ থেকে তোয়ালা চেয়ে নিয়ে যখন ছেলেটির চোখ মুখ বেধে দেয় তখন আমার সন্দেহ সত্যে পরিণত হওয়ায় আমি গাড়ি বন্ধ করে চাবি নিয়ে নেমে প্রথমে ছেলেটিকে আমার দরজা দিয়ে বাইরে আনি পড়ে ওই যুবকদের ধরার চেষ্টা করার আগেই তারা দরজা খুলে বের হয়ে দিনাজপুরের পখে রাবেয়া মিলের দিকে পালিয়ে যায়। পরে ছেলেটিকে উদ্ধার করে তার বাড়িতে পৌছে দেই।


আটক যুবক শহরের আলম প্রেসের মেশিন ম্যান ফয়সাল জানায়, আমান আমার ব্যাপারে অশ্লীল অপপ্রচারণা চালাচ্ছিল। আমি নাকি নেশা করি, মেয়েদের সাথে ঘুরি। তাকে বার বার নিষেধ করা সত্বেও সে থামেনি। একারণে তাকে ভয় দেখিয়ে নিবৃত করার জন্য নাটক করতে সাগর ভাইয়ের শরনাপন্ন হই। তিনি প্লাজায় প্রায়ই আসেন। কিন্তু তার বাসা কোথায় বা কি করেন তা জানিনা। তিনি তার আরও ২ বন্ধুসহ আমাকে সহযোগিতা করতে চান বলেই এ কাজ করেছি। কিন্তু আমি আমানকে শুধু ভয় দেখাতে বলেছি। কিন্তু তারা যে তাকে মারধর করবে বা চোখ মুখ বেঁধে নিয়ে যাবে তা আমার জানা ছিলনা।


সৈয়দপুর থানার অফিসার ইনচার্জ শাহজাহান পাশা জানান, শুটিংয়ের নাম করে কার ভাড়া নিয়ে অপহরনের চেষ্টা করা হয়েছিল এবং স্কুলছাত্র ও চালকের সাহসিকতা ও বুদ্ধিমত্বায় তারা রেহাই পায় মর্মে অভিযোগ পেয়েছি। এ ঘটনায় জড়িত একজনকে আটক করা হয়েছে, অপর ৩ জনকে আটকের চেষ্টা করা হচ্ছে।

সৈয়দপুরে শিক্ষকের বিরুদ্ধে স্কুলছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগে মামলা

সৈয়দপুরে শিক্ষকের বিরুদ্ধে স্কুলছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগে মামলা

admin September 04, 2018

নীলফামারী: নীলফামারীর সৈয়দপুরে সেন্টপল কিন্ডারগার্টেন স্কুলের পরিচালক ত্রিমতি বিশ্বাস টেম্পুর বিরুদ্ধে পঞ্চম শ্রেনীর এক ছাত্রীকে যৌন হয়রানীর অভিযোগে মামলা হয়েছে। গতকাল সোমবার সৈয়দপুর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ২০০০ আইনে এ মামলা দায়ের করা হয়। মামলার বাদি যৌন হয়রানীর শিকার স্কুল ছাত্রীর মা মোছা. রেশমা ই্য়াসমিন।


সৈয়দপুর শহরের নতুন বাবুপাড়ার সাদ্দাম মোড়ের বেসরকারী স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা লাইফ বাংলাদেশ কর্তৃক পরিচালিত সেন্ট পল কিন্ডার গার্টেন স্কুলে গত বৃহস্পতিবার দুপুরে ওই যৌন হয়রানীর ঘটনা ঘটে। প্রতিষ্ঠানটির প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক একই এলাকার ত্রিমতি বিশ্বাস টেম্পু।


অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার ক্লাস শেষে ওই ছাত্রী কোচিং ক্লাসের জন্য স্কুল চত্ত্বরে অপেক্ষা করছিল। এসময় ওই ছাত্রীকে স্কুলের পরিচালক ত্রিমতি বিশ্বাস টেম্পু তার ব্যক্তিগত একটি কক্ষে ডেকে নিয়ে কক্ষের দরজা বন্ধ করে দেয়। পরে পরিচালক ওই স্কুল ছাত্রীকে কাছে নিয়ে ঠোটে চুমু দেয়া ছাড়াও শরীরের স্পর্শকাতর জায়গায় হাত দিয়ে কু-প্রস্তাব দেয়। এসময় অপর এক স্কুল ছাত্রী এসে ওই কক্ষের দরজায় কড়া নারলে স্কুলের পরিচালক ত্রিমতি বিশ্বাস টেম্পু ওই ছাত্রীকে ছেড়ে দিয়ে দরজা খুলে দেয়। পরে ওই স্কুল ছাত্রী পরিচালকের কক্ষ থেকে বেড়িয়ে স্কুলের শিক্ষিকা মোছা: মৌসুমী আক্তারকে ঘটনার বিষয়টি জানান। কিন্তু ওই শিক্ষিকা ঘটনার বিষয়ে চুপ থাকার জন্য বলে ওই ছাত্রীকে। পরবর্তীতে কোচিং শেষে বাড়ি ফিরে স্কুল ছাত্রী পুরো ঘটনাটি তার মাকে খুলে বলে।


এলাকার অনেকের মন্তব্য ইতিপূর্বেও ওই স্কুল পরিচালক ত্রিমতি বিশ্বাসের বিরুদ্ধে একই ধরণের অনেক ঘটনা ঘটিয়েছেন। তার বিরুদ্ধে শক্ত কোন ব্যবস্থা না নেয়ায় তিনি একের পর এক এ ধরণের অপকর্ম করেই যাচ্ছেন। আমরা এবার তার যথাযথ ও উপযুক্ত শাস্তি দাবি করছি।


সৈয়দপুর থানার অফিসার ইনচার্জ শাহজাহান পাশা মামলার বিষয়ে সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, মামলা হয়েছে। স্কুল ছাত্রীর মা মোছা. রেশমা ইয়াসমিন এ প্রতিবেদককে বলেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান মূলত: মানুষকে শিক্ষিত করার জন্য। আর এই স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা বা পরিচালকরা হলেন শিক্ষিত সমাজ গড়ার উদ্যোক্তা।কিন্তু যদি এই উদ্যোক্তারাই অমানুষের মত আচরণ করে তবে স্কুলে ছাত্র ছাত্রীরা নিরাপদ নয়। আর কোন ছাত্রীকে এভাবে যৌন হয়রানীর শিকার হতে না হয় সেজন্য সকলকে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানাই। তিনি ত্রিমতি বিশ্বাসের শাস্তি দাবি করে বলেন, আমি সুষ্ঠু বিচার চাই।


মানবাধিকার সংগঠন বাংলাদেশ নারী নির্যাতন প্রতিরোধ কল্যাণ সোসাইটির রংপুর বিভাগীয় শাখার সাধারণ সম্পাদক মো: জাকির হোসেন স্কুল ছাত্রীর যৌন হয়রানীর তীব্র নিন্দা প্রতিবাদ জানান। শিঘ্রই ওই স্কুল পরিচালককে গ্রেফতার করে বিচারের মুখোমুখি করতে হবে। অন্যথায় এ ব্যাপারে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।

সৈয়দপুরে বৃদ্ধের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার, গোপনে দাফনের চেষ্টা

সৈয়দপুরে বৃদ্ধের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার, গোপনে দাফনের চেষ্টা

admin September 04, 2018

নীলফামারী: নীলফামারীর সৈয়দপুরে ষাটোর্ধ এক বৃদ্ধের অর্ধগলিত লাশ গোপনে দাফন করার সময় উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ মঙ্গলবার দুপুরে শহরের কয়া গোলাহাট পশ্চিম রেলওয়ে কলোনী থেকে নীলফামারীর এএসপি অশোক কুমার পালসহ সৈয়দপুর থানা পুলিশ লাশটি কাফন পরানো অবস্থায় উদ্ধার করেন। পরে লাশটি ময়না তদন্তের জন্য নীলফামারী জেলা মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনাটি পুলিশকে জানানোয় গোপনে লাশ দাফনে তৎপর এলাকার একটি চক্র সাংবাদিকের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে প্রাণ নাশের ভয়ভীতি দেখিয়েছে এবং কিভাবে সাংবাদিকতা করে তা দেখে নেয়ার হুমকি প্রদান করেছে।


জানা যায়, গোলাহাট রেলওয়ে কলোনী পশ্চিম এলাকার ৯৩৯ নং ডাবল (দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট) কোয়াটারে দীর্ঘ দিন থেকে বসবাস করছেন মো: নাইম হোসেন (৬০) মাস্টার নামে একজন প্রাইভেট টিউটর। তিনি নি:সন্তান ও আয় রোজগার কম হওয়ায় তার স্ত্রী রওশন আরা ও পালিত কন্যা লিজা দীর্ঘ প্রায় ৭ বছর যাবত তার শ্বশুড়ালয় সৈয়দপুর শহরের হাওয়ালদারপাড়ায় অবস্থান করছেন। ফলে তিনি একাকীই কোয়াটারে থাকেন। এমতাবস্থায় ঘটনার দিন সকাল ৮ টার দিকে পাশের কোয়াটারের লোকজন পঁচা গন্ধ পেয়ে বাড়ির প্রধান গেট খোলা পেয়ে ঢু মেরে দেখেন, কোয়াটারের আঙ্গিনায় মাষ্টার চিৎ হয়ে পড়ে আছেন এবং তার শরীর থেকে দূর্গন্ধ ও পোকা বের হচ্ছে। তৎক্ষনাৎ বিষয়টি এলাকার মাতবব্বর তোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী ও সাবেক পৌর প্যানেল মেয়র হিটলার চৌধুরীকে জানানো হলে তাদের পরামর্শে তাড়াহুড়া করে প্রশাসনকে না জানিয়েই দাফনের জন্য গোশল করানো ও কাফন পড়িয়ে খাটিয়ায় করে জানাযার ব্যবস্থা করা হয়। এসময় খবর পেয়ে হঠাৎ নীলফামারীর এএসপি (সৈয়দপুর সার্কেল) অশোক কুমার পালসহ সৈয়দপুর থানার অফিসার ইনচার্জ শাহজাহান পাশা, তদন্ত ইনচার্জ তাজ উদ্দিন আহমেদসহ সঙ্গীয় ফোর্স উপস্থিত হয়ে প্রাথমিক সুরতহাল তদন্ত করেন। এসময় লাশের মাথার পেছনে আঘাতের চিহ্ন ও সদর দরজা খোলা থাকার তথ্য পেয়ে সন্দেহ করেন যে বৃদ্ধের মৃত্যু হত্যা না নিছক দূর্ঘটনাজনিত স্বাভাবিক মৃত্যু তা নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত লাশ দাফন করা যাবেনা। তাই তারা লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসেন। পরে লাশটি ময়না তদন্তের জন্য নীলফামারী মর্গে প্রেরণ করা হয়।



[সৈয়দপুরে শিক্ষকের বিরুদ্ধে স্কুলছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগে মামলা]


এ ব্যাপারে মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী জানান, নাইম মাস্টার অত্যন্ত সৎ ও নিরীহ লোক ছিলেন। সম্ভবত গত শনিবার রাতে লেট্রিনে যাওয়ার সময় তিনি পড়ে গিয়ে আহত বা তাৎক্ষনিক মারা গেছেন। কারণ শনিবারের পর কেউ তাকে দেখেনি। কিন্তু দু:খজনক যে আমরা ব্যাপারটি টের পাইনি। এখন জানতে পেরে তার সৎকারের উদ্যোগ নিয়েছি। এদিকে একটি সূত্র নাম না প্রকাশের শর্তে জানান, ওই এলাকার রেলওয়ে কোয়াটার ও জমি দখলবাজ একটি চক্র বৃদ্ধের মৃত্যুর বিষয়টি লোকজনকে না জানিয়ে গোপনে লাশ দাফন করে কোয়াটারটি দখলের অপচেষ্টায় আছে। এ কারণে প্রশাসনকেও জানানো হয়নি। কিন্তু সাংবাদিক খবরটি পুলিশকে দিয়ে তাদের চক্রান্ত ভেস্তে দিয়েছেন। এজন্য তারা সাংবাদিকের উপর ক্ষিপ্ত।


সূত্রটি আরও জানায়, ওই চক্রটি গোলাহাট রেলওয়ে কলোনীসহ আশাপাশের প্রায় ২ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে রেলওয়ের কোয়াটার ও ফাঁকা জায়গা দখল, ক্রয়-বিক্রয়ের হোতা হিসেবে পরিচিত। তারা এর পাশাপাশি এলাকায় জুয়া ও মাদকের কারবারও পরিচালনা করে থাকে। এলাকাসহ সৈয়দপুর শহরের কেউই তাদের বিরুদ্ধে কখনো অবস্থান নেয়নি। এক ধরণের রাজত্ব বিরাজ করছে এখানে তাদের। প্রশাসন ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দসহ সকল স্তরের লোকজন তাদের হাতে জিম্মি।


এ ব্যাপারে সাংবাদিক শাহজাহান আলীকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি জানান, আমি দায়িত্ব মনে করে আমার সহকর্মীদের বিষয়টি জানিয়েছিলাম। তাদের কেউ হয়তো পুলিশকে জানিয়েছেন। কিন্তু মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী ও তার সাঙ্গপাঙ্গ ইতু আহমেদসহ কয়েকজন আমি ঘটনাস্থল থেকে চলে আসার পর পুলিশকে খবর দেয়ার জন্য আমাকে সন্দেহ করেন। এজন্য তারা নাকি আমাকে সাংবাদিকতা শিখিয়ে দিবেন বা দেখা পেলে লাঞ্চিত করবেন বলে শুনেছি। কিন্তু তারা এখনও আমাকে সরাসরি কিছু বলেনি। তবে বিষয়টি মৌখিকভাবে এএসপি কে জানিয়েছি। এএসপি (সৈয়দপুর সার্কেল) অশোক কুমার পাল জানান, লাশ আমরা ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করেছি। পোস্ট মর্টেম রিপোর্ট এলেই বোঝা যাবে ঘটনাটি হত্যা না স্বাভাবিক মৃত্যু।

সৈয়দপুরের খরখরিয়া নদী থেকে এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধার

সৈয়দপুরের খরখরিয়া নদী থেকে এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধার

admin August 29, 2018

নীলফামারী: নীলফামারীর সৈয়দপুর পৌর এলাকার কুন্দল কেন্দ্রীয় শ্মশান সংলগ্ন খরখরিয়া নদী থেকে এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করেছে স্থানীয়রা। আজ ২৯ আগস্ট, বুধবার সকালে উদ্ধারকৃত ওই ব্যক্তির নাম আহসান হাবিব হৃদয় (৪০)। সে সৈয়দপুর উপজেলার কামারপুকুর ইউনিয়নের নিজামের চৌপথী এলাকার বাসিন্দা সৈয়দপুর পৌরসভার সাবেক প্রকৌশলী মো: রুস্তম আলীর ছেলে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নদীতে লাশটি পড়ে থাকতে দেখে তারা জীবিত আছে ভেবে ফায়ার সার্ভিসকে খবর দিলে উদ্ধারকর্মীরা এসে তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় ১০০ শয্যা হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. জাকিয়া সুলতানা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে খবর পেয়ে পরিবারের লোকজন এসে লাশ দাফনের জন্য নিয়ে যায়। পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, হৃদয়কে গত রাত থেকে কোথাও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। সে নিয়মিত নেশা করতো। এ কারণে প্রায়ই রাত-বিরাতে বাড়ির বাইরে থাকতো। সে কারণে তারা তার নিখোঁজের ব্যাপারে তেমন একটা উদ্বিগ্ন ছিলনা।
ফায়ার সার্ভিস ও চিকিৎসক সূত্রে জানা যায়, তার শরীরে আঘাতের কোন চিহ্ন নেই। তাছাড়া তার শরীর থেকে দেশীয় মদের গন্ধ পাওয়া যাচ্ছিল। একারণে সন্দেহ করা হচ্ছে যে আহসান হাবিব হৃদয়ের মৃত্যুর কারণ অতিরিক্ত মদ পান হতে পারে। তবে লাশ নদীতে কেন এ নিয়ে এলাকাবাসীর ধারণা, সে গত ২৮ আগস্ট রাতে শহরের দেশীয় মদ ভাটি থেকে মদ খেয়ে মাতাল অবস্থায় কুন্দল শ্মশান এলাকায় চলে আসে এবং রাতের যে কোন সময় সে নদীতে পড়ে যায় এবং সেখানেই তার মৃত্যু হয়।
সৈয়দপুর থানার অফিসার ইনচার্জ শাহজাহান পাশা মুঠোফোনে জানান, পরিবারের পক্ষ থেকে কোন অভিযোগ না থাকায় এ ব্যাপারে একটি ইউডি মামলা হয়েছে এবং লাশ দাফনের জন্য পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

Image Gallary

 
1 / 3
   
Caption Text
 
2 / 3
   
Caption Two
 
3 / 3
   
Caption Three