Showing posts with label জাতীয় সংসদ. Show all posts
Showing posts with label জাতীয় সংসদ. Show all posts
শীর্ষ ৩০০ ঋণ খেলাপির তালিকা প্রকাশ

শীর্ষ ৩০০ ঋণ খেলাপির তালিকা প্রকাশ

admin June 23, 2019

রংপুর এক্সপ্রেস ডেস্ক:
বাংলাদেশের শীর্ষ ৩০০ ঋণ খেলাপির তালিকা সংসদে দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। একই সঙ্গে ২০০৯ সাল থেকে বিভিন্ন ব্যাংক ও লিজিং কোম্পানির কাছ থেকে পাঁচ কোটি টাকার বেশি ঋণ নিয়েছেন, এমন ১৪ হাজার ৬১৭ জনের পূর্ণাঙ্গ তথ্যও দিয়েছেন তিনি। শনিবার সংসদে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য মো. ইসরাফিল আলমের প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী এ তালিকা দেন।


শীর্ষ ১০ ঋণ খেলাপির মধ্যে আছে- চট্টগ্রামের সামানাজ সুপার অয়েল (এক হাজার ৪৯ কোটি টাকা), গাজীপুরের গ্যালাক্সি সোয়েটার অ্যান্ড ইয়ার্ন ডায়িং (৯৮৪ কোটি), ঢাকা সাভারের রিমেক্স ফুটওয়্যার (৯৭৬ কোটি), ঢাকার কোয়ান্টাম পাওয়ার সিস্টেম (৮২৮ কোটি), চট্টগ্রামের মাহিন এন্টারপ্রাইজ (৮২৫ কোটি), ঢাকার রূপালী কম্পোজিট (৭৯৮ কোটি), ঢাকার ক্রিসেন্ট লেদার ওয়্যার (৭৭৬ কোটি), চট্টগ্রামের এস এ অয়েল রিফাইনারি (৭০৭ কোটি), গাজীপুরের সুপ্রভ কম্পোজিট নিট (৬১০ কোটি), গ্রামীণ শক্তি (৬০১ কোটি)। শীর্ষ ৩০০ ঋণ খেলাপির কাছে বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের পাওনা আছে ৫০ হাজার ৯৪২ কোটি টাকা। ২০০৯ সাল থেকে এ পর্যন্ত ৫ কোটি টাকার বেশি ঋণ নেওয়া ১৪ হাজার ৬১৭ জনের বড় একটি অংশ ঋণ খেলাপি, যাদের খেলাপি ঋণের পরিমাণ এক লাখ ১৮৩ কোটি টাকা।


আরেক এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রীর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ৩৯ মাসে খেলাপি ঋণের পরিমাণ বেড়েছে ৪৩ হাজার ২১০ কোটি ১৯ লাখ টাকা। এ সময়ে ঋণ খেলাপির সংখ্যা বেড়েছে ৫৮ হাজার ৪৩৬ জন। সংসদ সদস্য লুৎফুন নেসা খান তার প্রশ্নে ২০০৯ সালে ঋণ খেলাপি কত ছিল ও তাদের কাছে প্রাপ্ত ঋণের পরিমাণ এবং ২০১৮ সালে ওই সংখ্যা ও অর্থের পরিমাণও জানতে চেয়েছিলেন।


তবে অর্থমন্ত্রীর উত্তরে বলা হয়, ডাটা ওয্যারহাউজ না থাকায় বাংলাদেশ ব্যাংকের সিআইবি ডাটাবেইজে ২০১৫ সালের সেপ্টেম্বরের পূর্বের তথ্য সংরক্ষণের ব্যবস্থা না থাকায় ২০০৯ সালের ঋণের তথ্য দেওয়া সম্ভব হয়নি। ফলে লুৎফুন নেসার প্রশ্নের জবাবে ২০০৯ সালের সেপ্টেম্বর থেকে এ পর্যন্ত ঋণ খেলাপি ও তাদের ঋণের পরিমাণ সংসদকে জানান অর্থমন্ত্রী। এ প্রশ্নের জবাবে জানানো হয়, সেপ্টেম্বর ২০১৫ সালে ঋণ খেলাপির সংখ্যা ছিল এক লাখ ১১ হাজার ৯৫৪ জন এবং তাদের কাছে ঋণের পরিমাণ ছিল ৫৯ হাজার ১০৫ কোটি টাকা। আর ডিসেম্বর ২০১৮ সালে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ঋণ খেলাপির সংখ্যা এক লাখ ৭০ হাজার ৩৯০ এবং অর্থের পরিমাণ এক লাখ ২ হাজার ৩১৫ কোটি ১৯ লাখ টাকা।


আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য মোহাম্মদ এবাদুল করিমের এক প্রশ্নের লিখিত উত্তরে অর্থমন্ত্রী জানান, চলতি ২০১৮-১৯ অর্থবছরে হতদরিদ্র কৃষকদের বিনা সুদে ঋণ দেওয়া হয়নি। অর্থমন্ত্রী বলেন, চলতি ২০১৮-১৯ অর্থবছরে হতদরিদ্র কৃষকদের বিনা সুদে ঋণ দেওয়া হয়নি। ব্যাংক আমানতকারীদের কাছ থেকে সংগৃহীত অর্থ গ্রাহকদের মধ্যে ঋণ হিসেবে বিতরণ করে থাকে। সংগৃহীত আমানতের উপর ব্যাংকের মাধ্যমে আমানতকারীদের সুদ দিতে হয় বলে ব্যাংকের পক্ষে বিনাসুদে ঋণ বিতরণ করা সম্ভব হয় না। আওয়ামী লীগের আরেক সদস্য শহীদুজ্জামান সরকারের এক প্রশ্নের লিখিত উত্তরে অর্থমন্ত্রী বলেন, চলতি অর্থবছরে দেশে রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধরণ করা হয়েছে, যার পরিমাণ ২,৮০,০৬৩ (দুই লাখ আশি হাজার তেষট্টি) কোটি টাকা (সংশোধিত)। বিগত অর্থবছরে (২০১৭-১৮) এ লক্ষ্যমাত্রা ছিলো ২,২৫,০০০ (দুই লাখ পঁচিশ হাজার) কোটি টাকা। আহরণ হয়েছে ২,০২,৩১৪.৯৪ (দুই লাখ দুই হাজার তিনশত চৌদ্দ দশমিক নয় চার) কোটি টাকা। অর্থাৎ লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়নি।


সরকার দলীয় সংসদ সদস্য হাজী মো. সেলিমের প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী জানান, রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক থেকে গত বছরে (জানুয়ারি ২০১৮-ডিসেম্বর ২০১৮) ছয় হাজার ১৬৩টি ঋণ হিসাবের বিপরীতে এক হাজার ১৯৮ কোটি ২৪ লাখ টাকা সুদ মওকুফ করা হয়েছে। অর্থমন্ত্রীর তথ্য অনুযায়ী, সব চেয়ে বেশি সুদ মওকুফ করেছে অগ্রণী ব্যাংক। এ ব্যাংকটি ২০০৮টি ঋণের বিপরীতে ৪৯৪ কোটি ৪৪ লাখ টাকা সুদ মওকুফ করেছে। আর বাংলাদেশ ডেভোলপমেন্ট ব্যাংক কোনও সুদ মওকুফ করেনি। অন্যান্য ব্যাংকগুলোর মধ্যে কৃষি ব্যাংক ৬৬টি ঋণ হিসাবের বিপরীতে ৪৩৫ কোটি ৯৬ লাখ, রূপালী ব্যাংক ২০৩টি ঋণ হিসাবের বিপরীতে ১৩৪ কোটি ২৬ লাখ টাকা, সোনালী ব্যাংক ১৪টি ঋণ হিসাবের বিপরীতে ৭৩ কোটি ৭৩ লাখ টাকা, জনতা ব্যাংক ২৪৭৩টি ঋণ হিসাবের বিপরীতে ৫৩ কোটি ৮১ লাখ টাকা, রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক ১৩৮০টি ঋণ হিসাবের বিপরীতে ৪ কোটি ৩৫ লাখ টাকা এবং বেসিক ব্যাংক ১৯টি ব্যাংক হিসাবের বিপরীতে এক কোটি ৬৯ লাখ টাকা সুদ মওকুফ করেছে।

নতুন অর্থবছরে জাতীয় সংসদের বরাদ্দ ৩২৮ কোটি টাকা

নতুন অর্থবছরে জাতীয় সংসদের বরাদ্দ ৩২৮ কোটি টাকা

admin May 24, 2019

রংপুর এক্সপ্রেস ডেস্ক:
আসন্ন ২০১৯-২০ অর্থবছরে জাতীয় সংসদের জন্য ৩২৮ কোটি ২২ লাখ টাকার বাজেট চূড়ান্ত করা হয়েছে যা চলতি ২০১৮-১৯ অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটের চেয়ে ২৯ কোটি ৬ লাখ টাকা বেশি। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে বৃহস্পতিবার সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত সংসদ সচিবালয় কমিশনের ৩০তম বৈঠকে এই বাজেট অনুমোদন দেওয়া হয়। বৈঠকে কমিশনের সদস্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।


নতুন অর্থবছরের বাজেটে সংসদ সচিবালয়ের উপসচিব পদমর্যাদার কর্মকর্তাদের জন্য বিনা সুদে গাড়ি কেনার জন্য ঋণ দিতে অর্থ বরাদ্দ রাখা হয়েছে। এ খাতে সাড়ে ৬ কোটি টাকার মতো অর্থ বরাদ্দ রাখা হয়েছে বলে সংসদ সচিবালয় সূত্রে জানা গেছে।


সংসদ সচিবালয়ের উপসচিব পদমর্যাদার ২২ কর্মকর্তা রয়েছেন। তাদের সকলেই এই ঋণ পাবেন। ঋণ ছাড়াও গাড়ির জ¦ালানি ও অন্যান্য খরচ বাবদ ৫০ হাজার টাকা তারা পাবেন। বৈঠকে অন্যান্যের মধ্যে বিরোধীদলীয় উপনেতা রওশন এরশাদ অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক অংশ নেন। বিশেষ আমন্ত্রণে চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।


প্রসঙ্গত সার্বভৌম প্রতিষ্ঠান জাতীয় সংসদের সংশ্লিষ্টদের বেতনভাতাসহ আনুষঙ্গিক ব্যয় নির্বাহের জন্য প্রতিবছরই কমিশন বৈঠকে বাজেট বরাদ্দ অনুমোদন দেওয়া হয়। পরে তা অর্থ মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। এ ছাড়া সংসদ সচিবালয়ের নতুন পদ সৃষ্টি প্রকল্প প্রণয়নসহ বিভিন্ন নীতিনির্ধারণী সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কমিশন বৈঠক শেষে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী তার কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বরাদ্দ অনুমোদনের তথ্য জানান। বৈঠকে সংসদ সচিবালয়ের বিভিন্ন বিভাগে নতুন পদ সৃষ্টিসহ পদোন্নতির বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। এ-সংক্রান্ত প্রস্তাবনাগুলো অনুমোদন দেওয়া হয়।


এ ছাড়া সংসদ ভবনের নিরাপত্তা বৃদ্ধি মেরামতসহ সংসদ ভবনের সার্বিক উন্নয়নের জন্য সুপারিশ করে কমিটি। বৈঠকে সংসদের লেক সংস্কারের সচিত্র প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন গৃহায়ন ও গণপূর্ত সচিব। এছাড়া বৈঠকে সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতির দফতরের আপ্যায়ন ভাতা মাসে ১২ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ২০ হাজার টাকা সংসদীয় কমিটির বৈঠকে জনপ্রতি আপ্যায়ন ভাতা ১০০ টাকার স্থলে ২০০ টাকাসহ কয়েকটি খাতে ভাতা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে স্পিকার জানান। বর্তমানে স্পিকার ঢাকার বাইরে গেলে ১৯৯৬ সালে কেনা একটি নিশান পেট্রোল এসইউভি ব্যবহার করেন। কমিশন এই গাড়িটির পরিবর্তে একটি নতুন গাড়ি কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।


এছাড়া সংসদের জন্য নতুন ১০টি পাজেরো গাড়ি কেনার সিদ্ধান্ত হয়। সংসদ সচিবালয়ের উপসচিব পদমর্যাদার কর্মকর্তাদের জন্য বিনা সুদে গাড়ি কেনার ঋণ দিতে অর্থ বরাদ্দ রাখা হয়েছে। কমিশন বৈঠকের কার্যপত্র থেকে জানা গেছে এই খাতে সাড়ে ৬ কোটি ৬০ লাখ টাকার মত অর্থ বরাদ্দ রাখা হয়েছে। সংসদ সচিবালয়ের উপসচিব পদ মর্যাদার ২২ জন কর্মকর্তা রয়েছেন। তাদের সকলেই এই সুদমুক্ত ঋণ পাবেন।


ঋণ ছাড়াও গাড়ির জ্বালানি ও অন্যান্য খরচ বাবদ মাসে ৫০ হাজার টাকা তারা পাবেন। যার জন্য বছরে এক কোটি ৩২ লাখ টাকা খরচ হবে। বৈঠকে সংসদ ভবনের নিরাপত্তা বৃদ্ধি মেরামতসহ সংসদ ভবনের সার্বিক উন্নয়নের জন্য সুপারিশ করা হয়। বৈঠকে সংসদের লেক সংস্কারের সচিত্র প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন গৃহায়ন ও গণপূর্ত সচিব। সংসদ লেকের সংস্কার কার্যক্রমে ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে বলে স্পিকার সাংবাদিকদের জানান।


প্রসঙ্গত চলতি বছরের সংশোধিত বাজেট ২৯৯ কোটি ১৬ লাখ টাকা। অবশ্য আসন্ন অর্থবছরের বাজেট চলতি অর্থবছরের মূল বাজেটের তুলনায় ৪ কোটি ৩১ লাখ টাকা কম। চলতি বছরের মূল বাজেট ছিল ৩৩২ কোটি ৫৩ লাখ টাকা।

Image Gallary

 
1 / 3
   
Caption Text
 
2 / 3
   
Caption Two
 
3 / 3
   
Caption Three