Showing posts with label বরগুনা. Show all posts
Showing posts with label বরগুনা. Show all posts
মেয়েকে পুড়িয়ে হত্যার পর বাবার আত্মহত্যা

মেয়েকে পুড়িয়ে হত্যার পর বাবার আত্মহত্যা

admin June 14, 2019

রংপুর এক্সপ্রেস ডেস্ক:
বরগুনার পাথরঘাটায় এক যুবক ঘরে আগুন দিয়ে সৎ মেয়েকে পুড়িয়ে হত্যার পর আত্মহত্যা করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।


গত বুধবার গভীর রাতে রুহিতা গ্রামের এ ঘটনায় মেয়েটির মা দগ্ধ হয়েছেন বলে পাথরঘাটা থানার ওসি হানিফ শিকদার জানিয়েছেন।


নিহতরা হলেন- ওই গ্রামের সাজেনূর বেগমের মেয়ে সখিনা (১০) ও সাজেনুরের দ্বিতীয় স্বামী বেলাল হোসেন (৩৫)।


সাজেনুরের চাচাত ভাই মো. ইব্রাহিম বলেন, বছর দেড়েক আগে ৩০ বছর বয়সী সাজেনুরের সঙ্গে বেলালের বিয়ে হয়। প্রথম দিকেই কলহ দেখা দিলে একাধিকবার শালিস হয়। সাজেনূর ও তার মেয়েকে আগুনে পুড়িয়ে মারার হুমকিও দেন বেলাল।


গত বুধবার রাত আড়াইটার দিকে ঘরে আগুন দিয়ে বেলাল দরজা বন্ধ করে দেন। আগুন নিভিয়ে উদ্ধার করার আগেই সখিনা মারা যায়। সাজেনুরকে পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়ে। এদিকে বেলাল একটি আমগাছের সঙ্গে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক মো. জিয়া উদ্দিন বলেন, সাজেনুরের শরীরের ৮০ ভাগই পুড়ে গেছে। অবস্থা আশঙ্কাজনক।


তার চিকিৎসার জন্য নগদ ১০ হাজার টাকা সহযোগিতা দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন পাথরঘাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. হুমায়ুন কবির।


শাজেনূরের ফুফাতো বোন ফাতেমা বেগম জানান, দগ্ধ অবস্থায় হাসপাতালে নেওয়ার পথে শাজেনূর জানিয়েছেন, রাতে তার ঘরে হঠাৎ করে আগুন জ¦লে উঠে। এ সময় মা-মেয়ে ঘর থেকে বের হতে চাইলে (তার দ্বিতীয় স্বামী) বেলাল হোসেন রাম দা দিয়ে ধাওয়া দেয়, এজন্য তারা ঘর থেকেও বের হতে পারেননি। এতে ঘটনাস্থলেই আগুনে পুড়ে মারা যায় কারিনা। দগ্ধ হন শাজেনূর। পরে তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায় স্থানীরা।


পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল কর্মকর্তা ডা. জিয়া উদ্দিন আগুনে দগ্ধ হয়ে শিশু মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, এ ঘটনায় শাজেনূর নামে এক নারীকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তার শরীরের ৮০ শতাংশেরও বেশি পুড়ে গেছে।


পাথরঘাটা থানা ওসি হানিফ শিকদার বলেন, ময়না-তদন্তের জন্য শিশু কারিনার লাশ বরগুনা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।

দাদনের টাকা পরিশোধে ব্যর্থ: জেলেকে শিকলে বেঁধে নির্যাতন (ভিডিওসহ)

দাদনের টাকা পরিশোধে ব্যর্থ: জেলেকে শিকলে বেঁধে নির্যাতন (ভিডিওসহ)

admin June 10, 2019

বরগুনার পাথরঘাটায় দাদনের টাকা পরিশোধে ব্যর্থ হওয়ায় ট্রলার মাঝি জাকির হোসেনের বিরুদ্ধে জসিম নামে এক জেলেকে শিকলে বেঁধে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। গতকাল রোববার সকালে উপজেলার জেলে পল্লী হাজিরখাল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আহত জসিম ওই এলাকার বাসিন্দা।


জেলে জসিম বলেন, ‘চার মাস আগে পাথরঘাটার নজরুলের মালিকানাধীন ট্রলারের জেলে হিসেবে সাগরে মাছ ধরতে ৮ হাজার টাকা দাদন নিয়েছি। মৌসুমের শুরুতে মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা থাকলেও ট্রলারের মাঝি জাকির সাগরে যেতে তাগিদ দেন। কিন্তু এতে আমি রাজি হইনি।’


তিনি আরও বলেন, ‘রোববার সকালে বাজারে গেলে ট্রলারের মাঝি জাকির হোসেনের সঙ্গে আমার দেখা হয়। এ সময় জাকির আমাকে তার ট্রলারের কাছে নিয়ে যান। জাকির টাকা ফেরত চাইলে আমি ১৫ দিন সময় চাই। কিন্তু সময় না দিয়ে আমাকে মারধর করে অন্যান্য জেলেদের সহায়তায় শিকল দিয়ে বেঁধে রাখে।’


‘সকাল ৯টা থেকে দুপুর পর্যন্ত শিকলে আটকে রেখে নির্যাতন করা হয়। খবর পেয়ে ট্রলার মালিকের ছোট ভাই আল-আমিন ঘটনাস্থলে পৌঁছে আমাকে মুক্ত করে চিকিৎসা দিয়ে বাড়িতে পাঠান’ বলেও জানান জসিম।


এ ব্যাপারে অভিযুক্ত মাঝি জাকির হোসেন বলেন, ‘জসিম আরও কয়েকটি ট্রলারের দাদন নিয়েছে। আমাদের টাকা ফেরত চাইলে তা ফেরত না দিয়ে গা ঢাকা দিয়ে থাকে। দীর্ঘদিন পর তার দেখা পেলে তাকে ট্রলারের স্টাফদের কাছে রেখে আমি বাড়িতে যাই। পরে কে বা কারা জসিমকে শিকলে বেঁধেছে আমি জানি না।’


ট্রলার মালিক নজরুল ইসলাম বলেন, ‘মৌসুমে মাঝির দায়িত্বেই ট্রলার মাছ শিকারে যায়। জেলে জোগাড় ও দাদন দেওয়াসহ জেলেদের সব দায়িত্ব থাকে মাঝির ওপর। জসিমকে শিকলে বেঁধে রাখার ঘটনা শুনে তাৎক্ষণিক আমার ছোট ভাইকে পাঠিয়ে জসিমকে মুক্ত করে চিকিৎসা দিয়ে বাড়ি পাঠিয়েছি। মাঝি জাকির যে ঘটনা ঘটিয়েছে জেলে সমিতির মাধ্যমে এর বিচার হবে।’


বাংলাদেশ মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী জানান, ৬৫ দিনের মৎস্য অবরোধের কারণে উপকূলীয় হাজার হাজার জেলে বেকার হয়ে পড়েছে। দাদনের টাকা নিয়ে পাথরঘাটায় যে ঘটনা ঘটেছে তা অত্যন্ত দুঃখজনক।


বরগুনা জেলে সমিতির সাধারণ সম্পাদক দুলাল মাঝি বলেন, ‘জেলে সমিতিতে ভুক্তভোগী জেলে অভিযোগ করলে তদন্ত করে মাঝির বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’


পাথরঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হানিফ সিকদার বলেন, এ ব্যাপারে কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। ভুক্তভোগী অভিযোগ করলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


[embed]https://youtu.be/-t3UG7etkSo[/embed]
বরগুনায় হরিণের মাথাসহ ৫ মণ মাংস জব্দ

বরগুনায় হরিণের মাথাসহ ৫ মণ মাংস জব্দ

admin May 18, 2019

বরগুনা প্রতিনিধি:
বঙ্গোপসাগর তীরবর্তী বনফুল আবাসনসংলগ্ন একটি ছোট খাল থেকে দুটি মাথা ও দুটি চামড়াসহ প্রায় ৫ মণ হরিণের মাংস জব্দ করা হয়েছে। এসময় হরিণ ধরার ফাঁদসহ একটি ছোট ট্রলার আটক করা হয়। ধারণা করা হচ্ছে, অন্তত ৮ টি হরিণ জবাই করা হয়েছে।


শনিবার ভোর রাত সাড়ে ৩ টার দিকে বনবিভাগের চরলাঠিমারা বিটের কর্মকর্তা মো. বদিউজ্জামান খান সোহাগের নেতৃত্বে অভিযানে এসব জব্দ করা হয়। জব্দ করা ট্রলারের মাঝি মো. ইলিয়াস। সে কোস্টগার্ডের ট্রলার চালায়।


বিট কর্মকর্তা মো. বদিউজ্জামান খান সোহাগ জানান, রাত সাড়ে ৩ টার দিকে বঙ্গোপসাগর তীরবর্তী চরলাঠিমারা বনফুল আবাসনসংলগ্ন একটি ছোট খালে হরিণের মাংস নিয়ে অবস্থান করছিলেন পাচারকারীরা। এলাকাবাসী বিষয়টি টের পেয়ে ট্রলারের কাছে যান। তাদের দেখে ট্রলারের লোকজন পালিয়ে যান।


পরে বনবিভাগের খবর দিলে ঘটনাস্থলে গিয়ে মাংস ও ট্রলার জব্দ করে। তাৎক্ষণিকভাবে পাথরঘাটা থানা পুলিশকে জানালে পুলিশ ও কোস্টগার্ড ঘটনাস্থলে হাজির হন। তাদের উপস্থিতিতে দুটি চামড়া, দুটি মাথা থাকলেও প্রায় পাঁচ মণ হরিণের মাংসসহ ৩০টি রান পাওয়া যায়। ধারণা করা হচ্ছে অন্তত ৮ টি জীবিত হরিণ জবাই করা হয়েছিল।


বিট কর্মকর্তা আরও জানান, কোস্টগার্ডের মাঝি মো. ইলিয়াসের বাবা আবদুর রহমান সিকদার এলাকায় হরিণ পাচারকারী হিসেবে চিহ্নিত। ওই ট্রলারটি আবদুর রহমান সিকদারের বলে এলাকাবাসী নিশ্চিত করেছেন। এ ব্যাপারে বন্য প্রাণী সংরক্ষণ আইনে মামলার প্রস্তুতি চলছে।


দুই বস্তা হরিণ ধরা ফাঁদসহ ট্রলারটি বনবিভাগের জিম্মায় রয়েছে। ভ্রাম্যমাণ আদালতের নিদের্শনা পেলে মাংসগুলো মাটি চাপা দেয়া হবে বলে জানান ওই বিট কর্মকর্তা।

Image Gallary

 
1 / 3
   
Caption Text
 
2 / 3
   
Caption Two
 
3 / 3
   
Caption Three