বরগুনা প্রতিনিধি:
বঙ্গোপসাগর তীরবর্তী বনফুল আবাসনসংলগ্ন একটি ছোট খাল থেকে দুটি মাথা ও দুটি চামড়াসহ প্রায় ৫ মণ হরিণের মাংস জব্দ করা হয়েছে। এসময় হরিণ ধরার ফাঁদসহ একটি ছোট ট্রলার আটক করা হয়। ধারণা করা হচ্ছে, অন্তত ৮ টি হরিণ জবাই করা হয়েছে।
শনিবার ভোর রাত সাড়ে ৩ টার দিকে বনবিভাগের চরলাঠিমারা বিটের কর্মকর্তা মো. বদিউজ্জামান খান সোহাগের নেতৃত্বে অভিযানে এসব জব্দ করা হয়। জব্দ করা ট্রলারের মাঝি মো. ইলিয়াস। সে কোস্টগার্ডের ট্রলার চালায়।
বিট কর্মকর্তা মো. বদিউজ্জামান খান সোহাগ জানান, রাত সাড়ে ৩ টার দিকে বঙ্গোপসাগর তীরবর্তী চরলাঠিমারা বনফুল আবাসনসংলগ্ন একটি ছোট খালে হরিণের মাংস নিয়ে অবস্থান করছিলেন পাচারকারীরা। এলাকাবাসী বিষয়টি টের পেয়ে ট্রলারের কাছে যান। তাদের দেখে ট্রলারের লোকজন পালিয়ে যান।
পরে বনবিভাগের খবর দিলে ঘটনাস্থলে গিয়ে মাংস ও ট্রলার জব্দ করে। তাৎক্ষণিকভাবে পাথরঘাটা থানা পুলিশকে জানালে পুলিশ ও কোস্টগার্ড ঘটনাস্থলে হাজির হন। তাদের উপস্থিতিতে দুটি চামড়া, দুটি মাথা থাকলেও প্রায় পাঁচ মণ হরিণের মাংসসহ ৩০টি রান পাওয়া যায়। ধারণা করা হচ্ছে অন্তত ৮ টি জীবিত হরিণ জবাই করা হয়েছিল।
বিট কর্মকর্তা আরও জানান, কোস্টগার্ডের মাঝি মো. ইলিয়াসের বাবা আবদুর রহমান সিকদার এলাকায় হরিণ পাচারকারী হিসেবে চিহ্নিত। ওই ট্রলারটি আবদুর রহমান সিকদারের বলে এলাকাবাসী নিশ্চিত করেছেন। এ ব্যাপারে বন্য প্রাণী সংরক্ষণ আইনে মামলার প্রস্তুতি চলছে।
দুই বস্তা হরিণ ধরা ফাঁদসহ ট্রলারটি বনবিভাগের জিম্মায় রয়েছে। ভ্রাম্যমাণ আদালতের নিদের্শনা পেলে মাংসগুলো মাটি চাপা দেয়া হবে বলে জানান ওই বিট কর্মকর্তা।