রংপুর এক্সপ্রেস ডেস্ক:
মৌলভীবাজারে ঘরের মধ্যে দাদিকে বেঁধে রেখে উঠানে নিয়ে মাদ্রাসাছাত্রীকে (১২) গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। গত ১৫ জুন রাতে সদর উপজেলার কাগাবলা ইউনিয়নে অথানগিরি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
মৌলভীবাজার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.আলমগীর হোসেন ঘটনান সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ধর্ষণের শিকার ওই মাদ্রাসাছাত্রীর মা বাদী হয়ে দু’জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেছেন।
মামলার আসামিরা হলেন- জাহিদ মিয়া (৩০) ও রাব্বি মিয়া (২৮)। ভুক্তভোগী ওই কিশোরী স্থানীয় একটি মাদ্রাসার ৬ষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী।
ধর্ষণের শিকার মাদ্রাসাছাত্রীর মা জানান, গত ১৫ জুন মেয়েকে দাদির কাছে রেখে আত্মীয়র বাড়িতে গিয়েছিলেন তিনি। ওইদিন গভীর রাতে দাদির পাশে ঘুমিয়েছিল ওই কিশোরী। এ সময় অভিযুক্ত জাহিদ মিয়া ও রাব্বি মিয়া টিনের বেড়া কেটে ঘরে ঢুকে। পরে ওই কিশোরী ও তার দাদিকে বেঁধে ফেলে তারা। পরে তারা ঘর থেকে বের করে উঠানে নিয়ে কিশোরীকে ধর্ষণ করে।
এসময় ওই কিশোরীর মুখ বেঁধে রাখে তারা। এক পর্যায়ে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে ওই কিশোরী। ভোরবেলা জ্ঞান ফেরার পর দাদির বাঁধন খুলে মাকে ফোন করে জানায় সে। বর্তমানে ভুক্তভোগী ওই মাদ্রাসা ছাত্রী মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো.ইমরান হোসেন জানান, প্রাথমিক তদন্তে ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে।
এদিকে স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আসামি রাব্বীর চাচা খুরশেদ মিয়া ও স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তিরা বিষয়টি ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করছেন। এছাড়া ধর্ষণের শিকার ওই মাদ্রাসাছাত্রীর পরিবারকে মামলা তুলে নেয়ার জন্য হুমকিও দেয়া হচ্ছে।