Showing posts with label ধর্ষণ. Show all posts
Showing posts with label ধর্ষণ. Show all posts
মাদ্রাসাছাত্র কর্তৃক চার বছরের শিশুকে ধর্ষণ

মাদ্রাসাছাত্র কর্তৃক চার বছরের শিশুকে ধর্ষণ

admin June 23, 2019

রংপুর এক্সপ্রেস ডেস্ক:
গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরে মাত্র চার বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে মাদ্রাসা ছাত্র আরথিন মোড়ল (১২) নামের এক কিশোরকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার রাতে মুকসুদপুর উপজেলার রাগদী এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।


গ্রেপ্তার হওয়া আরথিন মোড়ল মুকসুদপুর উপজেলার উত্তর গঙ্গারামপুর এলাকার এমারাত মোড়লের ছেলে। সে মুন্সিগঞ্জে একটি মাদ্রাসায় পড়াশোনা করে।


মুকসুদপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোস্তফা কামাল পাশা জানান, বুধবার দুপুরে গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার উত্তর গঙ্গরামপুর গ্রামের এক দিন মজুরের শিশু কন্যাকে মাদ্রাসা ছাত্র আরথিন মোড়ল বাড়ির পাশের পাটখেতে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে। নির্যাতীতার মা বিষয়টি টের পেলে পরে সে শিশুটিকে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়।


এ ঘটনায় স্থানীয়রা কয়েক দফা সালিশের মাধ্যমে বিষয়টি মীমাংসার চেষ্টা করে। কিন্তু তারা এতে ব্যর্থ হন। পরে স্থানীয় থানায় মামলা করেন মেয়েটির মা।


এ ঘটনায় অভিযান চালিয়ে বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার রাগদী এলাকা থেকে মাদ্রাসা ছাত্র আরথিন মোড়ল (১২) গ্রেপ্তর করেছে পুলিশ। এ বিষয়ে তাকে বিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।


এদিকে নির্যাতিতা শিশুটিকে প্রথমে রাজৈর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। কিন্তু অবস্থার অবনতি হওয়ায় বুধবার রাতেই তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য মাদারীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন তার মা।


তিনি বলেন, ওই ছেলে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে আমার মেয়ের সাথে খারাপ কাজ করেছে। পরে আমি বাড়ির পাশের পাট ক্ষেতে গিয়ে দেখি আমার মেয়ে উলঙ্গ অবস্থায় পড়ে আছে। আমাকে দেখে ওই ছেলে পালিয়ে গেছে। আমরা গরীব মানুষ। প্রথমে এলাকার লোকজন সালিশ করে দিবে বলেছিল। পরে তারা কিছুই করেনি। আমি এর বিচার চাই।


স্থানীয় মাতুব্বর ফিরোজ মল্লিক বলেন, বিষয়টি আমি জানি। সত্য ঘটনা তো চাপা থাকে না। অনেকেই চেয়েছিল সালিসের নামে ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে। আমি মেয়েটিকে হাসপাতালে ভর্তি করে থানায় মামলা করার পরামর্শ দিয়েছি। ওই ছেলে এর আগেও অন্য একটি মেয়েকে ধর্ষণ করেছিলো।

ঠাকুরগাঁওয়ে ৮ম শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণ

ঠাকুরগাঁওয়ে ৮ম শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণ

admin June 23, 2019

রংপুর এক্সপ্রেস ডেস্ক:
ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার মোহাম্মদপুর গিলাবাড়ীতে অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী ধর্ষণের শিকার হয়েছে। এ ব্যাপারে শুক্রবার রাতে ভিকটিমের বাবা ঠাকুরগাঁও সদর থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন।


অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গিলাবাড়ি আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী শুক্রবার সন্ধ্যায় বাড়ির পাশের ভূট্টাক্ষেতে শুকনো ভুট্টার খড়ি সংগ্রহ করতে যায়। এসময় একই এলাকার মোহাম্মদ মোতালেবের ছেলে সবুজ ও তার সঙ্গী সাইফুল, বাবুসহ বেশ কয়েকজন ছাত্রীটিকে জোর করে ভুট্টাক্ষেতের ভেতর নিয়ে প্রথমে সবুজ ধর্ষণ করে। পরে তার অন্য সঙ্গীরাও ধর্ষণের চেষ্টা চালায়।


এ সময় প্রতিবেশি কালু ও ওসমান পাওয়ার টলি নিয়ে পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন। মেয়েটির চিৎকারে তারা ঘটনা বুঝতে পেরে ধর্ষকদের ধাওয়া করেন। এসময় বখাটে সবুজ ও তার সঙ্গীরা পাল্টা তাদের ওপর চড়াও হয়। এতে গুরুতর আহত হন কালু ও ওসমান। বর্তমানে তারা আধুনিক সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।


এ ব্যাপারে ঠাকুরগাঁও সদর থানার ওসি (তদন্ত) চিত্ত রঞ্জন রায় জানান, ভিকটিমের বাবা বাদী হয়ে ধর্ষকসহ ৩ জনের নাম উল্লেখ করে সদর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। ডাক্তারি পরীক্ষা শেষে বিস্তারিত জানা যাবে। অভিযুক্তদের আইনের আওতায় আনার প্রক্রিয়া চলছে।

দাদিকে বেঁধে মাদ্রাসাছাত্রীকে গণধর্ষণ

দাদিকে বেঁধে মাদ্রাসাছাত্রীকে গণধর্ষণ

admin June 23, 2019

রংপুর এক্সপ্রেস ডেস্ক:
মৌলভীবাজারে ঘরের মধ্যে দাদিকে বেঁধে রেখে উঠানে নিয়ে মাদ্রাসাছাত্রীকে (১২) গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। গত ১৫ জুন রাতে সদর উপজেলার কাগাবলা ইউনিয়নে অথানগিরি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।


মৌলভীবাজার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.আলমগীর হোসেন ঘটনান সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ধর্ষণের শিকার ওই মাদ্রাসাছাত্রীর মা বাদী হয়ে দু’জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেছেন।


মামলার আসামিরা হলেন- জাহিদ মিয়া (৩০) ও রাব্বি মিয়া (২৮)। ভুক্তভোগী ওই কিশোরী স্থানীয় একটি মাদ্রাসার ৬ষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী।


ধর্ষণের শিকার মাদ্রাসাছাত্রীর মা জানান, গত ১৫ জুন মেয়েকে দাদির কাছে রেখে আত্মীয়র বাড়িতে গিয়েছিলেন তিনি। ওইদিন গভীর রাতে দাদির পাশে ঘুমিয়েছিল ওই কিশোরী। এ সময় অভিযুক্ত জাহিদ মিয়া ও রাব্বি মিয়া টিনের বেড়া কেটে ঘরে ঢুকে। পরে ওই কিশোরী ও তার দাদিকে বেঁধে ফেলে তারা। পরে তারা ঘর থেকে বের করে উঠানে নিয়ে কিশোরীকে ধর্ষণ করে।


এসময় ওই কিশোরীর মুখ বেঁধে রাখে তারা। এক পর্যায়ে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে ওই কিশোরী। ভোরবেলা জ্ঞান ফেরার পর দাদির বাঁধন খুলে মাকে ফোন করে জানায় সে। বর্তমানে ভুক্তভোগী ওই মাদ্রাসা ছাত্রী মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।


মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো.ইমরান হোসেন জানান, প্রাথমিক তদন্তে ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে।


এদিকে স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আসামি রাব্বীর চাচা খুরশেদ মিয়া ও স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তিরা বিষয়টি ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করছেন। এছাড়া ধর্ষণের শিকার ওই মাদ্রাসাছাত্রীর পরিবারকে মামলা তুলে নেয়ার জন্য হুমকিও দেয়া হচ্ছে।

শ্যালিকাকে ধর্ষণের পর হত্যা পুত্রের, লজ্জায় পিতার আত্মহত্যা

শ্যালিকাকে ধর্ষণের পর হত্যা পুত্রের, লজ্জায় পিতার আত্মহত্যা

admin June 23, 2019

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলায় শ্যালিকাকে ধর্ষণ শেষে হত্যার অভিযোগে একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রেজাউল কবির জানান, গতকাল ভোরে অষ্টগ্রামে এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার মো. নাইম ইসলাম (২৭) সদর উপজেলার নাটাই ইউনিয়নের শালগাঁও গ্রামের বসু মিয়ার ছেলে।
বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে নাইমের বাড়ি থেকে তার শ্যালিকা তামান্নার লাশ উদ্ধার করা হয়। এরপর থেকে নাইম পলাতক ছিলেন।


এদিকে ছেলের অপকর্মের কারণে লজ্জায় আত্মহত্যা করেছে নাঈম ইসলামের পিতা বসু মিয়া (৫০)। শনিবার সকাল ১০টার দিকে উপজেলার গোসাইপুর গ্রাম থেকে গাছের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত বসু মিয়া জেলার সদর উপজেলার নাটাই (দক্ষিণ) ইউনিয়নের শালগাঁও গ্রামের মলাই মিয়ার ছেলে।


গত ২০ জুন বসু মিয়ার ছেলে নাঈম ইসলাম (২৭) তার শ্যালিকা তামান্না আক্তারকে (১৫) ধর্ষণের পর হত্যা করে।


ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মুহাম্মদ আলমগীর হোসেন জানান, ছেলের ধর্ষণের ঘটনায় মামলা হওয়ার ভয়ে বসু মিয়া বাড়ি ছেড়ে গোসাইপুর গ্রামের তার এক আত্মীয়ের বাড়িতে চলে আসেন। ঘটনাটি নিয়ে তিনি হতাশায় ভুগছিলেন।


প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, ভোরে আত্মীয়ের বাড়ির পাশে একটি গাছের সঙ্গে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন বসু মিয়া।


উলে­খ্য, নাঈম তার বাবা বসু মিয়ার সঙ্গে জেলা শহরের সড়ক বাজারে নৈশপ্রহরীর কাজ করেন। গত ১৭ জুন শ্যালিকা তামান্নাকে খবর দিয়ে বাড়িতে আনেন নাঈম।


বুধবার রাতে বসু মিয়া কাজে গেলেও নাঈম যাননি। নাঈমের স্ত্রী স্মৃতি কাজে না যাওয়ার কারণ জানতে চাইলে নাঈম জানান তিনি সকালে ঢাকা থেকে তার মাকে আনতে যাবেন।


রাত সাড়ে ৯টার দিকে নাঈম আমের জুস নিয়ে তার মেয়ে জান্নাতকে খাওয়ান। জুস খেয়ে জান্নাত ঘুমিয়ে পড়ে। এরপর তামান্নাকেও জুস খেতে বললে তামান্না জুস না খাওয়ায় স্মৃতি সেই জুস খান। জুস খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে স্মৃতি অচেতন হয়ে পড়েন।


সকালে ঘুম থেকে ওঠে তামান্নাকে ডাক দিলেও সে কোনো সাড়া দেয়নি। এরপর তামান্নার কাছে গিয়ে দেখেন তার শরীর রক্তাক্ত।


খবর পেয়ে গ্রামের এক সর্দার বাড়িতে আসলে নাঈম পালিয়ে যান। নাঈম ধর্ষণের পর তামান্নাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ করেন স্ত্রী স্মৃতি।


এ ঘটনায় অভিযুক্ত নাঈম শনিবার ভোরে সদর থানা পুলিশের হাতে আটক হওয়ার পর শ্যালিকাকে হত্যার ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।

ফুলবাড়ীতে ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণ

ফুলবাড়ীতে ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণ

admin June 23, 2019

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি:
কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলায় এক স্কুলছাত্রীকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল শুক্রবার সকালে উপজেলার কাশিপুর ইউনিয়নের পূর্ব শ্যামপুর গ্রামের জেলে পাড়ায়। এ ঘটনায় ধর্ষণের শিকার ওই কিশোরী বাদী হয়ে ফুলবাড়ী থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেছেন ধর্ষকের বিরুদ্ধে ।


ওই এলাকার ছয়ফুর ইসলাম ও লতিফ সরকার জানান যায়, ঝালু বিশ্বাসের মেয়ে ও গাগলা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী পার্শ্ববর্তী হযরত আলীর বাড়িতে সুপারি কুড়াতে যায়। এ সময় কৌশলে জাবদুল হোসেন (৫০) ওই কিশোরীর মুখ চেপে ধরে বাড়ি সংলগ্ন পাটক্ষেতে নিয়ে গিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। এসময় তার আর্তচিৎকারে লোকজন ঘটনাস্থলে জড়ো হলে জাবদুল পালিয়ে যায়। পরে মেয়েটিকে উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে আসা হয়।


জাবদুল ওই এলাকার নাড়িয়া বাজারির ছেলে। সে পাঁচ সন্তানের জনক।


এদিকে দিনভোর স্থানীয় মাতব্বরা সালিশী বৈঠক করার পর দেনদরবারে সিদ্ধান্ত নিতে না পারায় বাধ্য হয়ে মামলা দায়েরের জন্য মেয়েটিকে শনিবার থানায় পাঠানো হয়।


কাশিপুর ইউনিয়নের ইউপি সদস্য আফছার হোসেন জানান এটি একটি ন্যাক্কারজনক ঘটনা। এর উপযুক্ত বিচার হওয়ার দরকার। তা না হলে ধর্ষণের ঘটনা দিন দিন বেড়ে যাবে ।


ফুলবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ খন্দকার ফুয়াদ রুহানী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, থানায় একটি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ধর্ষকের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। মেয়েটির ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য কুড়িগ্রামে পাঠানো হয়েছে ।

সিল্কসিটি এক্সপ্রেসের টয়লেটে কিশোরীকে ধর্ষণ চেষ্টা, যুবক আটক

সিল্কসিটি এক্সপ্রেসের টয়লেটে কিশোরীকে ধর্ষণ চেষ্টা, যুবক আটক

admin June 21, 2019

ঢাকা থেকে রাজশাহীগামী ‘সিল্কসিটি এক্সপ্রেস’ ট্রেনের টয়লেটে এক কিশোরীকে ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতের এ ঘটনায় অভিযুক্ত যুবক মমিনুল ইসলামকে (২৬) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তিনি চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদরের বাসিন্দা।


পুলিশ জানায়, চলন্ত ট্রেনে শ্লীলতাহানির শিকার ১৪ বছর বয়সী ওই কিশোরীর বাড়ি সিরাজগঞ্জে। সে অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী। তার নানার বাড়ি রাজশাহীর পবা উপজেলার দামকুড়াহাট এলাকায়। নানি ও খালার সঙ্গে সে রাজশাহী আসছিল। সিরাজগঞ্জের মনসুর আলী স্টেশনে তারা সিল্কসিটি এক্সপ্রেস ট্রেনের ‘ঝ’ বগিতে উঠেছিলেন।


ওই ট্রেনে দায়িত্ব পালন করছিলেন সিরাজগঞ্জ রেলওয়ে থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) উজ্জ্বল চন্দ্র বিশ্বাস। তিনিই ওই কিশোরীকে ট্রেনের টয়লেট থেকে উদ্ধার করেন। তিনি জানান, পাবনার ঈশ্বরদী বাইপাস পার হওয়ার পর ওই কিশোরী ট্রেনের টয়লেটে ঢোকে। তখন টয়লেটের সামনেই দাঁড়িয়ে ছিলেন অভিযুক্ত যুবক। ওই কিশোরী টয়লেট থেকে বের হওয়ার জন্য দরজা খুললেই তিনি ভেতরে ঢুকে পড়েন। এরপর রাজশাহীর বাঘা উপজেলার আড়ানী স্টেশন আসা পর্যন্ত প্রায় ৪০ মিনিট তিনি ওই কিশোরীকে টয়লেটে আটকে রেখে শ্লীলতাহানি করেন।


এএসআই উজ্জ্বল বলেন, ট্রেনের শব্দের কারণে ওই কিশোরীর চিৎকার শোনা যায়নি। তবে যাত্রীরা লক্ষ্য করেন অনেকক্ষণ ধরেই টয়লেটের দরজা ভেতর থেকে বন্ধ। তারা দরজায় ধাক্কা দিয়ে খুলতে বলেন। কিন্তু দরজা খোলা হচ্ছিল না। একপর্যায়ে তারা ওই কিশোরীর চিৎকার শুনতে পান। এরপরই দায়িত্বরত পুলিশকে ডাকা হয়। তিনি গিয়ে টয়লেটের দরজা খুলতে বাধ্য করেন। এ সময় কাঁদতে কাঁদতে ওই কিশোরী বেরিয়ে আসে।


রাত পৌনে ১১টার দিকে ট্রেনটি রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশনে পৌঁছে। এ সময় অভিযুক্ত যুবক, ওই কিশোরী এবং তার খালা ও নানিকে রাজশাহী রেলওয়ে থানায় নিয়ে এসে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।


রাজশাহী রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাঈদ ইকবাল জানান, নির্মাণ শ্রমিক মমিনুল ঢাকা থেকে বাড়ি আসছিলেন। ওই কিশোরীর ভাষ্য অনুযায়ী, ট্রেনের টয়লেটের ভেতর মমিনুল দীর্ঘ সময় ধরে ওই কিশোরীর মুখ চেপে ধরে ধর্ষণের চেষ্টা চালান। তবে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেনি। কিন্তু শ্লীলতাহানি ঘটেছে।


ওসি বলেন, ঘটনাস্থল রেলওয়ের ঈশ্বরদী থানার অধীনে। তাই রাত ১২টার ঢাকাগামী ‘ধূমকেতু এক্সপ্রেস’ ট্রেনে অভিযুক্ত যুবককে ঈশ্বরদী থানায় পাঠানো হয়েছে। ওই কিশোরীকে নিয়ে তার নানি এবং খালাও গেছেন। ঈশ্বরদী থানায় তারা মমিনুলের বিরুদ্ধে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগে মামলা করেছেন।

Image Gallary

 
1 / 3
   
Caption Text
 
2 / 3
   
Caption Two
 
3 / 3
   
Caption Three