Showing posts with label শেরপুর. Show all posts
Showing posts with label শেরপুর. Show all posts
শেরপুরে অন্তঃসত্ত্বাকে গাছে বেঁধে নির্যাতন, গর্ভের সন্তান নষ্টের অভিযোগ!

শেরপুরে অন্তঃসত্ত্বাকে গাছে বেঁধে নির্যাতন, গর্ভের সন্তান নষ্টের অভিযোগ!

admin June 12, 2019

নিউজ ডেস্ক:



শেরপুরের নকলায় জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে ডলি খানম (২২) নামে এক অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূকে গাছে বেঁধে বর্বরোচিত নির্যাতন করা হয়েছে। ওই নির্যাতনে গৃহবধূর গর্ভের সন্তান নষ্ট হয়েছে বলে জানা গেছে। গত সোমবার রাতে ওই ঘটনার ভিডিওচিত্র ফাঁস হওয়ায় এলাকায় শুরু হয়েছে তোলপাড়।



 



ডলি খানম পৌর শহরের কায়দা এলাকার দরিদ্র কৃষক শফিউল্লাহর স্ত্রী ও স্থানীয় চন্দ্রকোনা কলেজের ডিগ্রি শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী। অন্যদিকে ঘটনার হোতা নির্যাতিতা গৃহবধূর ভাসুর আবু সালেহসহ জড়িতরা এখনও বুক ফুলিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন এলাকায়।



 



এ ঘটনায় অসহায় শফিউল্লাহ গত ৩ জুন শেরপুরের আমলী আদালতে তার ভাই আবু সালেহসহ ৫ জনকে স্বনামে ও আরো অজ্ঞাতনামা ৫/৭ জনকে আসামি করে একটি নালিশী মামলা দায়ের করছেন। আদালতের বিচারিক হাকিম শরীফুল ইসলাম খান ভিকটিমের এমসি তলব (ডাক্তারি পরীক্ষার সনদ) সাপেক্ষে ঘটনার বিষয়ে তদন্তপূর্বক ১০ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য জামালপুর পিবিআই’র ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার প্রতি নির্দেশ প্রদান করেন।



 



মামলার অভিযোগ থেকে জানা গেছে, নকলা পৌর শহরের উপকণ্ঠ কায়দা গ্রামের মৃত হাতেম আলীর ছেলে মো. শফিউল্লাহর সঙ্গে এক খণ্ড জায়গা নিয়ে তার সহোদর বড়ভাই আবু সালেহ (৫২), নেছার উদ্দিন (৪৮) ও সলিম উল্লাহর (৪৪) বিরোধ ও মামলা চলে আসছিল। এর জের ধরে ১০ মে সকালে স্থানীয় গোরস্থান সংলগ্ন শফিউল্লাহর দখলীয় জমির ইরি-বোরো ধান আবু সালেহ ও তার লোকজন লাঠিসোটা নিয়ে কাটতে গেলে শফিউল্লাহ বাধা দেন।



 



এতে তিনি প্রতিপক্ষের ধাওয়ার মুখে পিছু হটে নকলা থানায় ছুটে যান। ততক্ষণে আবু সালেহর নেতৃত্বে একদল লোক ধান কাটতে শুরু করে। পরে শফিউল্লাহর ৩ মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী ডলি খানম ডাক-চিৎকার দিয়ে বাঁধা দিতে গেলে আবু সালেহর হুকুমে তার ছোটভাই সলিমউল্লাহ, ভাইবউ লাখী আক্তারসহ অন্যান্যরা তাকে ঘেরাও করে ফেলে।



 



এক পর্যায়ে তার চোখে মুখে মরিচের গুড়া ছিটিয়ে দিয়ে তাকে টানা-হেঁচড়া করে পাশের ক্ষেতের আইলের থাকা একটি গাছের সঙ্গে পেছনে হাত রেখে বেঁধে ফেলে। একইসঙ্গে পাশের অন্য গাছের সঙ্গে টানা দিয়ে বেঁধে ফেলে তার ২ পা। এছাড়া তার গোপনাঙ্গসহ পেটে, বুকে, পিঠে উপুর্যপরি কিল-ঘুষি-লাথির আঘাতে তাকে নিস্তেজ করে ফেলে। ওই নির্যাতনের ভিডিওচিত্র ধারণ করে লাখী আক্তার।



 



এ ঘটনা দেখে শফিউল্লাহকে ওই নির্যাতনের খবর জানাতে ছুটে যায় থানায় এক প্রতিবেশী। পরে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে গুরুতর অবস্থায় ডলি খানমকে উদ্ধার এবং ঘটনায় জড়িত আবু সালেহ ও তার ছোট ভাই বউ লাখী আক্তারকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। কিন্তু চিকিৎসার কথা বলে ডলি খানমকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানোর পর প্রভাবশালীদের তদবিরে ছাড়া পেয়ে যান আটক ২ জন।



 



অন্যদিকে বর্বর নির্যাতনে ডলি খানমের রক্তক্ষরণ শুরু হয় এবং তাকে ১৬ মে পর্যন্ত ৭ দিন চিকিৎসা দেয়ার পরও তার অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় জেলা সদর হাসপাতালে রেফার করা হয়। সেখানেও ২২ মে পর্যন্ত ৭ দিন চলে তার চিকিৎসা ও পরীক্ষা-নিরীক্ষা। পরীক্ষা-নিরীক্ষায় দেখা গেছে, নির্যাতনের কারণে ডলি খানমের অকাল গর্ভপাত হয়েছে।



 



ওই ঘটনায় অসহায় শফিউল্লাহ ৩ জুন শেরপুরের আমলী আদালতে আবু সালেহসহ ৫ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতনামা ৫-৭ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা আমলে নিয়ে জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শরীফুল ইসলাম খান ভিকটিমের এমসি তলব সাপেক্ষে ঘটনার বিষয়ে তদন্তপূর্বক ১০ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য জামালপুরের পিবিআইয়ের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার প্রতি নির্দেশ প্রদান করেন।



 



মঙ্গলবার বিকালে নির্যাতিতা গৃহবধূর স্বামী শফিউল্লাহ অভিযোগ করে বলেন, জমিসংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে তার বড়ভাই সেনাসদস্য নেছার উদ্দিনের ইন্ধনে তার স্ত্রী লাখী আক্তার এবং অপর ২ ভাই আবু সালেহ ও সলিমউল্লাহসহ তাদের ভাড়াটে লোকজন তার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী ডলি খানমকে বর্বরোচিত নির্যাতন চালিয়ে গর্ভের সন্তান নষ্ট করে দিয়েছে। এছাড়া তার প্রভাবেই থানা পুলিশের এসআই ওমর ফারুক মহিলা কনস্টেবলসহ সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ডলি খানমকে উদ্ধারের পরও কোন প্রতিকার পাইনি।



 



এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নির্যাতনের ভিডিওটিও থানাতেই গায়েব করে দেয়া হয়েছে। তবে অনেক চেষ্টায় ঘটনার প্রায় এক মাস পরে হলেও সেই ভিডিওর কিছু অংশ এক প্রতিবেশির কাছ থেকে সংগ্রহ করেছি।



 



তিনি আরও বলেন, এমন বর্বর নির্যাতনের পরও তারা আজ বুক ফুলিয়ে ঘুরছে। আর আমি অসহায়। এজন্য আমি ঘটনার উপযুক্ত বিচার চাই।



 



বিষয়টি সম্পর্কে নকলা থানার ওসি কাজী শাহনেওয়াজ বলেন, জমি-জমার বিষয় নিয়ে ভাই-ভাইদের মধ্যে বিরোধ ও দাঙ্গা-হাঙ্গামার আশঙ্কার খবর পেয়ে পুলিশ পাঠিয়ে দুপক্ষকেই শান্ত করা হয়েছিল। গৃহবধূকে নির্যাতনের বিষয়ে কোনো অভিযোগ না পাওয়ায় ব্যবস্থা নেয়া সম্ভব হয়নি।



 



এ ব্যাপারে জামালপুর পিবিআইয়ের দায়িত্বে থাকা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সীমা রাণী সরকার বলেন, আদালতের কাগজপত্র এখনো হাতে পাইনি। পেলে অবশ্যই দ্রুত তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

শেরপুরে সিনেমা হলে অগ্নিকাণ্ড: বেঁচে গেল তিন শতাধিক মানুষ

শেরপুরে সিনেমা হলে অগ্নিকাণ্ড: বেঁচে গেল তিন শতাধিক মানুষ

admin August 26, 2018

সারাদেশ: শো চলাকালে শেরপুরের নকলা্ উপজেলার কল্পনা সিনেমা হলে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এসময় দৌঁড়াদৌঁড়ি করে বের হতে গিয়ে বেশ কয়েকজন দর্শক আহত হলেও কোন হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। আগুনে প্রায় ১৫ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছে মালিকপক্ষ।


জানা গেছে, ঈদ উপলক্ষে দুপুরে ‘অহংকার’ নামে সিনেমার শো চলছিল। এসময় হলে ৩ শতাধিক দর্শক ছিল। তিনতলা এ হলটিতে সিনেমা শুরু হওয়ার কিছুক্ষণ পর কালো ধোঁয়ার গন্ধে হলের ভেতর দর্শকদের শ্বাসকষ্ট অনুভূত হয়। পরে আগুনের লেলিহান শিখা চারদিকে ছড়িয়ে পড়লে আতঙ্কে দৌঁড়াদৌঁড়ি শুরু করে দর্শকরা। কর্তৃপক্ষ ও স্থানীয় লোকজন প্রাথমিকভাবে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। খবর পেয়ে শেরপুর থেকে ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট ঘটনাস্থলে এসে এক ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।


কল্পনা সিনেমা হলের মালিক বাবু মিয়া জানান, বৈদ্যুতিক শর্টশার্কিট থেকে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। এতে প্রায় ১৫ লক্ষাধিক টাকার সম্পদ ভস্মীভূত হয়েছে।


শেরপুর ফায়ার সার্ভিস স্টেশন অফিসার সুবল চন্দ দেবনাথ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, এক ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসা সম্ভব হয়। এতে প্রায় ১০ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হয়েছে এবং প্রায় কোটি টাকার মালামাল অগ্নিকাণ্ড থেকে রক্ষা করা সম্ভব হয়েছে। তবে এ ঘটনায় কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। তিনি বলেন, কি কারণে আগুন লেগেছে তা প্রাথমিকভাবে জানা যায়নি।

শেরপুরে প্রেমিককে বেঁধে প্রেমিকাকে গণধর্ষণ, আটক ২

শেরপুরে প্রেমিককে বেঁধে প্রেমিকাকে গণধর্ষণ, আটক ২

admin April 03, 2018


বগুড়া: জেলার শেরপুরে প্রেমিককে বেঁধে রেখে তারই প্রেমিকাকে দলবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছে শেরপুর থানা পুলিশ। উপজেলার সীমাবাড়ী ইউনিয়নের নাকুয়া দাখিল মাদ্রাসার একটি কক্ষে গত ২৬ মাচ এ ঘটনা ঘটে। ধর্ষিতা মেয়েটি এইসএসসি পরীক্ষার্থী। এ ঘটনায় অভিযুক্তদের মধ্যে দুই জনকে গতকাল সোমবার বিকেলে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ঘটনাটি গত ২৬মার্চ ঘটলেও জানাজানি হয় গতকাল সোমবার। মেয়েটি গত রবিবার এইসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে শেরপুর থেকে বাড়িতে আসলে পরিবারকে ওই ঘটনা জানায়। পরে গতকাল সোমবার মেয়েটির বাবা বাদি হয়ে ওই ৩ ধর্ষককে অভিযুক্ত করে শেরপুর থানায় মামলা করেন।
শেরপুর থানার ওসি (তদন্ত) বুলবুল ইসলাম জানান, রংপুর সদরের এক যুবকের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল মেয়েটির। গত ২৬ মার্চ উভয়ই শেরপুর শহরে আসে এবং সেখান থেকে সীমাবাড়ী ইউনিয়নের নাকুয়া দাখিল মাদ্রাসায় যায়। সেখানে এক কক্ষে বসে কথা বলছিল তারা। এসময় নাকুয়া গ্রামের আকুল মিয়া, স্বপন ও সোহাগ নামে তিন যুবক সেখানে যান। ওই কক্ষে প্রেমিকযুগলকে আটকে রেখে তাদের কাছে ২০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে। কিন্তু তারা টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে অভিযুক্তরা তাদের মারধর করে এবং প্রেমিককে বেঁধে রেখে মেয়েটিকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে।
ওসি জানান, গত সোমবার দুপুরে মেয়েটির বাবা বাদি হয়ে ওই তিন যুবককে অভিযুক্ত করে শেরপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এরপর পুলিশ অভিযান চালিয়ে সোহাগ ও স্বপন শেখকে আটক করা হয়েছে। অভিযানে দুই যুবককে আটক করা হলেও পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে আকুল মিয়া পালিয়ে যায়। তবে তাকে ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান ওসি।

Image Gallary

 
1 / 3
   
Caption Text
 
2 / 3
   
Caption Two
 
3 / 3
   
Caption Three