
বগুড়া: জেলার শেরপুরে প্রেমিককে বেঁধে রেখে তারই প্রেমিকাকে দলবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছে শেরপুর থানা পুলিশ। উপজেলার সীমাবাড়ী ইউনিয়নের নাকুয়া দাখিল মাদ্রাসার একটি কক্ষে গত ২৬ মাচ এ ঘটনা ঘটে। ধর্ষিতা মেয়েটি এইসএসসি পরীক্ষার্থী। এ ঘটনায় অভিযুক্তদের মধ্যে দুই জনকে গতকাল সোমবার বিকেলে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ঘটনাটি গত ২৬মার্চ ঘটলেও জানাজানি হয় গতকাল সোমবার। মেয়েটি গত রবিবার এইসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে শেরপুর থেকে বাড়িতে আসলে পরিবারকে ওই ঘটনা জানায়। পরে গতকাল সোমবার মেয়েটির বাবা বাদি হয়ে ওই ৩ ধর্ষককে অভিযুক্ত করে শেরপুর থানায় মামলা করেন।
শেরপুর থানার ওসি (তদন্ত) বুলবুল ইসলাম জানান, রংপুর সদরের এক যুবকের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল মেয়েটির। গত ২৬ মার্চ উভয়ই শেরপুর শহরে আসে এবং সেখান থেকে সীমাবাড়ী ইউনিয়নের নাকুয়া দাখিল মাদ্রাসায় যায়। সেখানে এক কক্ষে বসে কথা বলছিল তারা। এসময় নাকুয়া গ্রামের আকুল মিয়া, স্বপন ও সোহাগ নামে তিন যুবক সেখানে যান। ওই কক্ষে প্রেমিকযুগলকে আটকে রেখে তাদের কাছে ২০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে। কিন্তু তারা টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে অভিযুক্তরা তাদের মারধর করে এবং প্রেমিককে বেঁধে রেখে মেয়েটিকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে।
ওসি জানান, গত সোমবার দুপুরে মেয়েটির বাবা বাদি হয়ে ওই তিন যুবককে অভিযুক্ত করে শেরপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এরপর পুলিশ অভিযান চালিয়ে সোহাগ ও স্বপন শেখকে আটক করা হয়েছে। অভিযানে দুই যুবককে আটক করা হলেও পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে আকুল মিয়া পালিয়ে যায়। তবে তাকে ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান ওসি।
