Showing posts with label আফগানিস্তান. Show all posts
Showing posts with label আফগানিস্তান. Show all posts
ইংল্যান্ডের কাছে দেড়শ’ রানের হার আফগানদের

ইংল্যান্ডের কাছে দেড়শ’ রানের হার আফগানদের

admin June 19, 2019

আফগানিস্তানের জন্য লক্ষ্যটা ছিল স্বপ্ন ছোঁয়ার মতো। ইংল্যান্ডের দেয়া ৩৯৮ রানের লক্ষ্য তাড়া করে জিততে বিশ্বকাপে নতুন ইতিহাস তৈরি করতে হতো দলটিকে। সেই বাস্তবতা উপলব্ধি করেই খেলে আফগানিস্তান। তাই জয়ের চিন্তা বাদ দিয়ে হারের ব্যবধান কমানোর লক্ষ্য নেয় তারা। সেই লক্ষ্য মোটামুটি সফল হয়েছে। শেষ পর্যন্ত আফগানিস্তান নির্ধারিত ওভার শেষে ৮ উইকেটে ২৪৭ রান করে। তাই ইংল্যান্ড ১৫০ রানের বড় জয় পায়।


চলতি বিশ্বকাপে ৩৯৭ রানের সর্বোচ্চ ইনিংস খেলে ইংল্যান্ড। বিশ্বকাপে ইংলিশদের এটা সর্বোচ্চ রানের ইনিংস। এর আগে চলতি বিশ্বকাপেই বাংলাদেশের বিপক্ষে ৬ উইকেটে ৩৮৬ রান করেছিল ইয়ন মরগানের নেতৃত্বাধীন দল। তবে বিশ্বকাপের ইতিহাসে আফগানিস্তানের বিপক্ষে গত আসরে সর্বোচ্চ ৪১৭/৬ রানের রেকর্ড গড়া ইনিংস খেলেছে অস্ট্রেলিয়া।


মঙ্গলবার ইংল্যান্ডের ম্যানচেস্টারে প্রথমে ব্যাট করে ৬ উইকেটে ৩৯৭ রানের পাহাড় গড়ে ইংল্যান্ড। টার্গেট তাড়া করতে নেমে ৮ উইকেটে ২৪৭ রান তুলতে সক্ষম হয় আফগানিস্তান। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৭৬ রান করেন হাসমতউল্লাহ শহীদি। এছাড়া ৪৬ রান করেন রহমত শাহ। ৪৪ ও ৩৭ রান করেন সাবেক ও বর্তমান অধিনায়ক আসগর আফগান ও গুলবাদিন নাইব।


ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৩৯৮ রানের পাহাড় ডিঙাতে নেমে ভরকে যায়নি আফগানিস্তান। রানের পাহাড়ে চাপা পড়েও অসাধারণ ব্যাটিং করেন হাসমতউল্লাহ শহীদি ও আসগর আফগানরা। দলীয় ৪ রানে ওপেনার নুর আলী জাদরান আউট হলে দলের হাল ধরেন গুলবাদিন নাইব ও রহমত শাহ।


দ্বিতীয় উইকেটে তারা ৪৮ রানের জুটি গড়েন। ২৮ বলে ৩৭ রান করে ফেরেন আফগানিস্তানের অধিনায়ক গুলবাদিন নাইব। এরপর তৃতীয় উইকেটে হাসমতউল্লাহর সঙ্গে ৫২ রানের জুটি গড়তেই বিপদে পড়ে যান রহমত শাহ। ৭৪ বলে ৪৬ রান করে ফেরেন তিনি।


২৪.৫ ওভারে দলীয় ১০৪ রানে তিন ব্যাটসম্যানের বিদায়ের পর দলের হাল ধরেন হাসমতউল্লাহ ও আসগর আফগান। চতুর্থ উইকেটে তারা ৯৪ রানের জুটি গড়েন। ৪৮ বলে তিনটি চার ও ২টি ছক্কায় ৪৪ রান করে ফেরেন সাবেক অধিনায়ক আসগর আফগান। মাত্র ৯ রানে আউট হন মোহাম্মদ নবী।


ব্যাটসম্যানদের এই আসা-যাওয়ার মিছিলে ব্যতিক্রম ছিলেন হাসমতউল্লাহ। ইনিসের শেষ দিকে জফরা আর্চারের গতির বলে বোল্ড হওয়ার আগে ১০০ বলে পাঁচটি চার ও দুটি ছক্কায় ৭৬ রান করে ফেরেন হাসমত। তার বিদায়ের পর ১৩ বলে ১৫ রান করে ফেরেন নজিবুল্লাহ জাদরান। শেষ দিকে রশিদ খান ও ইকরাম আলিখিনরা দলের পরাজয়ের ব্যবধান কিছুটা কমালেও হারা এড়াতে পারেননি।


ইংল্যান্ড ৩৯৭/৬


ইয়ন মরগানের চতুর্থ দ্রুততম সেঞ্চুরি এবং জনি বেয়ারস্টো-জো রুটের ঝড়ো ফিফটিতে রানের পাহাড় গড়েছে ইংল্যান্ড। মঙ্গলবার আফগানিস্তানের বিপক্ষে ৬ উইকেটে ৩৯৭ রানের বিশাল সংগ্রহ করে ইংলিশরা। চলতি বিশ্বকাপে এটাই দলীয় সর্বোচ্চ রানের ইনিংস।


বিশ্বকাপে এটা তাদের দলীয় সর্বোচ্চ রানের ইনিংস। এর আগে চলতি বিশ্বকাপেই বাংলাদেশের বিপক্ষে ৬ উইকেটে ৩৮৬ রান করেছিল ইয়ন মরগানের দল।


তবে বিশ্বকাপের ইতিহাসে দলীয় সর্বোচ্চ ৪১৭/৬ রানের রেকর্ড গড়া ইনিংস খেলে অস্ট্রেলিয়া। ২০১৫ সালের বিশ্বকাপে এই আফগানিস্তানের বিপক্ষেই এই রেকর্ড গড়েছিল মাইকেল ক্লার্কের নেতৃত্বাধীন দল।


মঙ্গলবার ইংল্যান্ডের ম্যানচেস্টারের ওল্ড ট্রাফোর্ডে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিং করে ইংল্যান্ড।আফগানিস্তানের বিপক্ষে ব্যাটিংয়ে নেমে রীতিমতো ব্যাটিং তাণ্ডব চালান জনি বেয়ারস্টো, ইয়ন মরগান ও জো রুট।


মাত্র ৫৭ বলে সেঞ্চুরি করেন ইংলিশ অধিনায়ক ইয়ন মরগান। তিনি ৭১ বলে ১৭টি ছক্কা ও চারটি চারের সাহায্যে ১৪৮ রান করে আউট হন। এছাড়া ৯৯ বলে ৯০ রান করেন বেয়ারস্টো। ৮২ বলে ৮৮ রান করেন জো রুট।


প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে জনি বেয়ারস্টোর সঙ্গে উদ্বোধনীতে নেমে ৯.৩ ওভারে ৪৪ রানের জুটি গড়েন জেমস ভিন্স। দৌলত জাদরানের বলে ক্যাচ তুলে দেয়ার আগে ৩১ বলে ২৬ রান করে ফেরেন জেমস ভিন্স।


ওয়ান ডাউনে ব্যাটিংয়ে নামে দুর্দান্ত ফর্মে থাকা জো রুট। দ্বিতীয় উইকেটে রুটকে সঙ্গে নিয়ে ১২০ রানের জুটি গড়েন বেয়ারস্টো। এই জুটিতেই অনবদ্য ব্যাটিং করে ৬১ বলে ফিফটি পূর্ণ করে সেঞ্চুরির পথেই ছিলেন তিনি।


কিন্তু ৯৯ বলে ৮টি চার ও তিন ছক্কায় ৯০ রান করে গুলবাদিন নাইবের গতির মুখে পড়ে সাজঘরে ফেরেন বেয়ারস্টো। তার বিদায়ে ২৯.৫ ওভারে ১৬৪ রানে দ্বিতীয় উইকেট হারায় ইংল্যান্ড।


এরপর তৃতীয় উইকেটে জো রুটের সঙ্গে ১৮৯ রানের জুটি গড়েন ইয়ন মরগান। আর এই জুটিতেই ৫৭ বলে শতরানের ম্যাজিক ফিগার স্পর্শ করেন তিনি। বিশ্বকাপের ইতিহাসে এটা চতুর্থ দ্রুততম সেঞ্চুরি।


এর আগে ২০১১ সালের বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে মাত্র ৫০ বলে সেঞ্চুরির রেকর্ড গড়েছেন আয়ারল্যান্ডের ক্রিকেটার কেভিন ওব্রায়েন। ৫১ বলে সেঞ্চুরি করেছেন অস্ট্রেলিয়ার তারকা ক্রিকেটার গ্ল্যান ম্যাক্সওয়েল। আর ৫২ বলে সেঞ্চুরির রেকর্ড গড়েছেন এবি ডি ভিলিয়ার্স।


ইয়ন মরগানের মতো সেঞ্চুরির পথেই ছিলেন জো রুট। গুলবাদিন নাইবের শিকারে পরিণত হওয়ার আগে ৮২ বলে পাঁচটি চার ও এক ছক্বায় ৮৮ রান করে ফেরেন রুট। এর আগের ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সেঞ্চুরি করেছিলেন তিনি।


জো রুট বিদায় নেয়ার পর পরই আউট হয়ে যান ইয়ন মরগান। গুলবাদিন নাইবের তৃতীয় শিকার পরিণত হওয়ার আগে মাত্র ৭১ বলে ১৭টি ছক্কা ও ৪টি চারের সাহায্যে ১৪৮ রান করেন মরগান। শেষ দিকে মঈন আলীর ৯ বলের অপরাজিত ৩১ রানের ঝড়ো ইনিংসে ৬ উইকেটে ৩৯৭ রানের পাহাড় গড়ে ইংল্যান্ড।

দ.আফ্রিকার কাছে পাত্তাই পেল না আফগানরা

দ.আফ্রিকার কাছে পাত্তাই পেল না আফগানরা

admin June 16, 2019

রংপুর এক্সপ্রেস ডেস্ক:
প্রথম তিন ম্যাচ হেরে বিশ্বকাপের শুরুটা মোটেও ভালো করতে পারেনি দক্ষিণ আফ্রিকা। বৃষ্টির কারণে ম্যাচ পরিত্যক্ত হওয়ায় বাড়ে জয়ের অপেক্ষা। শেষ পর্যন্ত নিজেদের পঞ্চম ম্যাচে এসে প্রথম জয়ের দেখা পেলো প্রোটিয়ারা। বৃষ্টি বিঘ্নিত ম্যাচে আফগানিস্তানকে ৯ উইকেটে হারিয়েছে ফাফ ডুপ্লেসিসের দল। ওয়ানডে ইতিহাসে প্রথমবার মুখোমুখি হলো এই দুই দল।


বৃষ্টির কারণে ৫০ ওভারের ম্যাচ ৪৮ ওভারে নামিয়ে আনা হয়। কার্ডিফের সোফিয়া গর্ডেন্সে আগে ব্যাট করে প্রোটিয়া বোলিং তোপে মাত্র ১২৫ রানে অলআউট হয় আফগানিস্তান। জবাবে ব্যাট করতে নেমে কুইন্টন ডি ককের অর্ধশতকে ১১৬ বল হাতে রেখে জয় তুলে নেয় প্রোটিয়রা।

১২৭ রানের নতুন টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে বেশ সাবধানেই ব্যাট চলাতে থাকেন দুই প্রোটিয়া ওপেনার হাশিম আমলা ও কুইন্টন ডি কক। তাদের ব্যাটিং দৃড়তায় আফগানিস্তানের বোলাররা কোন রকম সুবিধাই করতে পারেনি। উদ্বোধনী জুটিতেই জয়ে ভিত্তি পেয়ে যায় দক্ষিণ আফ্রিকা। ১০৪ রান আসে আমলা ও ডি ককের ব্যাট থেকে।

অর্ধশতক তুলে নেন ডি কক। ৬৮ রান করে গুলবাদিন নাঈবের বলে আউট হন তিনি। এরপর জয়ের আনুষ্ঠানিকতা সারেন আমলা ও আন্দ্রেল ফেলুকায়ো। দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দিয়ে মাঠ ছাড়েন তারা। ১ উইকেটে ১৩১ করে দক্ষিণ আফ্রিকা। আমলা ৪১ ও ফেলুকায়ো ১৭ রানে অপরাজিত ছিলেন।

এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নামে আফগানিস্তান। তবে ইনিংসের প্রথমেই আসে বৃষ্টির বাধা। ৫.৫ ওভারে বিনা উইকেটে ৩৩ রান তুলেতেই বৃষ্টির কারণে খেলা বন্ধ হয়ে যায়। কিছুক্ষণ পর আবার খেলা শুরু হলে দলীয় ৩৯ রানে হযরতউল্লাহ জাজাইয়ের উইকেট হারায় আফগানিস্তান। দলীয় ৫৬ রানে বিদায় নেন রহমত শাহ।

২০ ওভারে ২ উইকেটে ৬৯ রান তোলার পর দ্বিতীয় দফায় বৃষ্টির কারণে খেলা বন্ধ হয়ে যায়। বৃষ্টির থামার পর ম্যাচ পুনরায় শুরু হলে ৫০ ওভারের ম্যাচ ৪৮ ওভারে নামিয়ে আনা হয়।

এরপরই আফগানিস্তানের ব্যাটিংয়ে ধস নামান প্রোটিয়া বোলাররা। ইমরান তাহির, ক্রিস মরিসের বোলিং তোপে মাত্র ১২৫ রানে অলআউট হয় আফগানরা। সর্বোচ্চ ৩৫ রান আসে রশিদ খানের ব্যাট থেকে। এছাড়া দুই ওপেনার নূর আলী জাদরান ৩২ ও হজরতউল্লাহ জাজাই ২২ করলেও বাকিরা কেউই দুই অঙ্কের ঘরে পৌঁছাতে পারেননি।


সংক্ষিপ্ত স্কোর


আফগানিস্তান: ৩৪.১ ওভারে ১২৫/১০ (রশিদ খান ৩৫, নুর আলী জাদরান ৩২, হযরতউল্লাহ ২২; ইমরান তাহির ৪/২৯, ক্রিস মরিস ৩/১৩)।


দক্ষিণ আফ্রিকা: ২৮.৪ ওভারে ১৩১/১ (ডি কক ৬৮, আমলা ৪১*, ফেহালুকাওয়ে ১৭*)।


ফল: দক্ষিণ আফ্রিকা ৯ উইকেটে জয়ী।


ম্যাচ সেরা: দুর্দান্ত বোলিং করে ৪ উইকেট নিয়ে ম্যাচ সেরা ইমরান তাহির।
ফিঞ্চ-ওয়ার্নারে সহজ জয় পেল অজিরা

ফিঞ্চ-ওয়ার্নারে সহজ জয় পেল অজিরা

admin June 02, 2019

রংপুর এক্সপ্রেস ডেস্ক:
১ বছর নিষেধাজ্ঞা কাটানো ডেভিড ওয়ার্নার প্রত্যাবর্তনে দেখা দিলেন পুরনো রূপে। তাকে যোগ্য সঙ্গ দিলেন অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চ। দুজনের দুর্দান্ত ফিফটিতে আফগানরদের ৭ উইকেটে হারিয়ে শুভ সূচনা করলো অস্ট্রেলিয়া।


ব্রিস্টলে শনিবার (১ জুন) চলতি বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে আফগানদের ছুড়ে দেওয়া ২০৮ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে ওপেনিং জুটিতেই ৯৬ রান তুলে ফেলেন দুই অজি ওপেনার ফিঞ্চ ও ওয়ার্নার। এর মধ্যে ফিফটি তুলে দেন ফিঞ্চ। তার ৪৯ বলে ৬৬ রানের দুর্দান্ত ইনিংসটি শেষ হয় ১৬তম ওভারে গুলবাদিন নায়িবের বলে। ইনিংসটি ৬টি চার ও ৪টি ছক্কায় সাজানো।


অধিনায়কের বিদায়ের পর হাত খুলতে শুরু করেন বল টেম্পারিং কাণ্ডে জড়িয়ে ১২ মাস নিষিদ্ধ থাকার পর এই ম্যাচ দিয়ে আন্তর্জাতিক ম্যাচে ফেরা ওয়ার্নার। উসমান খাজাকে নিয়ে ৬০ রানের জুটি গড়ার পথে ওয়ার্নার একাই করেন ৩২ রান। সঙ্গী খাজা ১৫ রান করেই রশিদ খানের বলে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়ে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন।


ফেরার প্রথম ম্যাচেই ওয়ার্নার তুলে নিয়েছেন ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ১৮তম হাফসেঞ্চুরি। ৭৪ বলে হাফসেঞ্চুরি পান তিনি। তার মতো একই অপরাধে ১২ মাস নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে ফেরা সাবেক অজি অধিনায়ক স্টিভেন স্মিথ মাত্র ১৮ রান করে আফগান স্পিনার মুজিব উর রহমানের শিকার হয়ে ফিরলেও সাবেক ডেপুটির সঙ্গে যোগ করেন ৪৯ রান।


স্মিথ যখন আউট হন তখন জয় থেকে মাত্র ৩ রান দূরত্বে দাঁড়িয়ে অস্ট্রেলিয়া। ক্রিজে এসে মুখোমুখি হওয়া প্রথম বলেই বাউন্ডারি হাঁকিয়ে দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন অজি অলরাউন্ডার গ্ল্যান ম্যাক্সওয়েল। তবে অল্পের জন্য প্রত্যাবর্তনেই সেঞ্চুরি মিস করেন ওয়ার্নার। রয়ে যান ৮৯ রানে অপরাজিত। তার এই ১১৪ বলের ইনিংসটি ৮ চারে সাজানো।
বল হাতে ১টি করে উইকেট পান আফগানিস্তানের মুজিব, গুলবাদিন ও রশিদ খান।


এর আগে টসে জিতে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ব্যাটিং বিপর্যয়ের মুখে পড়ে আফগানিস্তান। মাত্র ৫ রান তুলতেই দুই ওপেনার মোহাম্মদ শাহজাদ ও হজরুতুল্লাহ জাজাইয়ের উইকেট হারায় মাত্র দ্বিতীয় বিশ্বকাপ খেলতে আসা দলটি। এরপর রহমত শাহ (৪৩), গুলবাদিন (৩১), নাজিবুল্লাহ জাদরান (৫১) ও রশিদ খানের (২৭) ইনিংসে ভর করে ২০৭ রানের সংগ্রহ পায় আফগানরা।


বল হাতে ৩টি করে উইকেট নিয়েছেন অজি পেসার প্যাট কামিন্স ও লেগ স্পিনার অ্যাডাম জাম্পা। ২ উইকেট গেছে মার্কাস স্টয়নিসের ঝুলিতে। বাকি ১ উইকেট মিচেল স্টার্ক।


ম্যাচসেরা নির্বাচিত হয়েছেন ডেভিড ওয়ার্নার।

২০৮ রানের টার্গেটে ব্যাট করছে অস্ট্রেলিয়া

২০৮ রানের টার্গেটে ব্যাট করছে অস্ট্রেলিয়া

admin June 02, 2019

রংপুর এক্সপ্রেস ডেস্ক:
ব্রিস্টলের কাউন্টি গ্রাউন্ডে শনিবার (১ জুন) বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টায় মুখোমুখি হয়েছে আফগানিস্তান ও অস্ট্রেলিয়া। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে শুরুতে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়লেও অস্ট্রেলিয়াকে ২০৮ রানের টার্গেট দিয়েছে আফগানিস্তান। যদিও নির্ধারিত ৫০ ওভার তারা ব্যাট করতে পারেনি। অস্ট্রেলিয়ার বোলিং তোপে ৩৮.২ ওভারে গুটিয়ে যায় আফগানদের ইনিংস।


টসে করতে নেমে ভাগ্য সহায় হয় আফগানিস্তানের। টসে জেতেন আফগান অধিনায়ক গুলবাদিন নাইব। টসে জিতে তিনি প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন। ব্যাট করতে নেমে ইনিংসের প্রথম ওভারে দলীয় শূন্য রানের মাথায় বিদায় নেন আফগান ওপেনার মোহম্মদ শেহজাদ। তাকে সাজঘরে ফেরান মিচেল স্টার্ক। এরপর আফগান শিবিরে আঘাত হানেন প্যাট কামিন্স। তার শিকার হজরতুল্লাহ জাজাই। দলের রান তখন ৫। বিদায়ের আগে জাজাই করেন ০ রান।


এরপর দলের হাল ধরেন রহমত শাহ ও হাসমাতুল্লাহ শাহিদি। ৫১ রানের জুটি গড়ে শুরুর ধাক্কা সামাল দেন তারা। এই জুটি ভাঙেন এডাম জাম্পা। ব্যক্তিগত ১৮ রানের মাথায় হাসমাতুল্লাহ শাহিদিকে সাজঘরে ফেরান তিনি। আফগানিস্তানের দলীয় রান তখন ৫৬। এরপর স্কোরবোর্ডে ৭৭ রান যোগ হতেই আফগানরা হারিয়ে ফেলেছে টপ অর্ডারের আরও ২ উইকেট। ৭৭ রানে ৫ উইকেট হারানোর দলকে খেলায় ফেরাতে ব্যাটিং তাণ্ডব চালান অধিনায়ক গুলবাদিন নাইব ও নজিবুল্লাহ জাদরান।


ষষ্ঠ উইকেটে ৮৩ রানের দায়িত্বশীল জুটি গড়েন তারা। অস্ট্রেলিয়ান বোলারদের রীতিমতো তুলোধুনো করেন নাইব-নজিবুল্লাহ। একের পর এক বাউন্ডারি হাঁকিয়ে যাওয়া গুলবাদিন নায়েব ৩৩ বলে ৩১ রান করে ফেরেন। তাকে সাজঘরে ফেরান স্টোইনিস। দলের রান তখন ১৬০। এরপর আবার আঘাত হানেন স্টোইনিস।


দলীয় ১৬২ রানের মাথায় নজিবুল্লাহ জাদরান ব্যক্তিগত ৫১ রান করে বিদায় নেন। এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারায় আফগানিস্তান। লোয়ার অর্ডার ব্যাটসম্যান রশিদ খান ও মুজিব উর রহমান ৩৯ রানের জুটি গড়লে আফগানদের সংগ্রহ ২০০ রানের গন্ডি অতিক্রম করে। রশিদ খান ১১ বলে ২৭ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন। মুজিব উর রহমান ৯ বলে ১৩ রান করেন।


শেষ পর্যন্ত আফগামিস্তানের সংগ্রহ দাড়ায় ৩৮.২ ওভারে ২০৭ রান। অজিদের পক্ষে এডাম জাম্পা ও প্যাট কামিন্স ৩টি করে উইকেট নেন। মার্কস স্টোইনিস নেন ২ উইকেট। মিচেল স্টার্কের শিকার ১ উইকেট।

টস জিতে ব্যাটিংয়ে আফগানিস্তান

টস জিতে ব্যাটিংয়ে আফগানিস্তান

admin June 02, 2019

অনলাইন ডেস্ক:
বিশ্বকাপের ১২তম আসরের চতুর্থ ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় আফগানিস্তান। ইংল্যান্ডের ব্রিস্টলের কাউন্টি গ্রাউন্ডে ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হচ্ছে। বিশ্বকাপে এর আগে একটি মাত্র ম্যাচে মুখোমুখি হয় দুই দল। সেই ম্যাচে জয় লাভ করে পাঁচবারের বিশ্বকাপজয়ী দল অস্ট্রেলিয়া। আন্তর্জাতিক ওয়ানডে ক্রিকেটে এ পর্যন্ত উভয় দল ২টি ম্যাচে মুখোমুখি হয়। দুই ম্যাচে জয় পায় অস্ট্রেলিয়া।


অস্ট্রেলিয়া এ পর্যন্ত ৯৩০টি ওয়ানডে ম্যাচ খেলে ৫৬২টিতে জয় পেয়েছে। অন্যদিকে বিশ্বকাপের মূল পর্বে প্রথমবার খেলার সুযোগ পাওয়া আফগানিস্তান খেলেছে মাত্র ১১৪টি ওয়ানডে ম্যাচ। এর মধ্যে জয় পেয়েছে ৫৯ ম্যাচে, আর হেরেছে ৫১টিতে।


বিশ্বকাপের মাঠের লড়াইয়ে নামার আগে দুর্দান্ত ফর্মে রয়েছে অস্ট্রেলিয়া। বল টেম্পারিং কাণ্ডের নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে দলে ফিরেছেন ডেভিড ওয়ার্নার ও স্টিভ স্মিথ। তাদের অন্তর্ভূক্তি আরও শক্তিশালী হয়েছে টিম অস্ট্রেলিয়া। বিশ্বকাপের আগে আনুষ্ঠানিক দুটি প্রস্তুতি ম্যাচে ইংল্যান্ড ও শ্রীলংকার বিপক্ষে দুর্দান্ত জয় পায় অস্ট্রেলিয়া।


অন্যদিকে আফগানিস্তান নিজেদের প্রথম প্রস্তুতি ম্যাচে পাকিস্তানকে হারিয়ে বিশ্বকে চমকে দেয়। তবে দ্বিতীয় ম্যাচে বিশ্বকাপের স্বাগতিক দল ইংল্যান্ডের কাছে পাত্তাই পায়নি আফগানরা।


অস্ট্রেলিয়া: আরোন ফিঞ্চ (অধিনায়ক), ডেভিড ওয়ার্নার, ওসমান খাজা, স্টিভ স্মিথ, শোন মার্স, অ্যালেক্স কেরি (উইকেট কিপার), মার্কুস স্টোইনিস, গ্লেন ম্যাক্সওয়েল, মিচেল স্টার্ক, কেন রিচার্ডসন, পেট কুমিন্স, জেসন বেহরেনডোরফ, নাথান কুটলার-নিল, অ্যাডাম জাম্পা ও নাথান লিয়ন।


আফগানিস্তান: গুলবদিন নাইব (অধিনায়ক), মোহাম্মদ শাহজাদ (উইকেট কিপার), নুর আলি জারদান, হজরতুল্লাহ জাজাই, রহমত শাহ, আসগর আফগান, হাসমতুল্লাহ শহিদি, নাজিবুল্লাহ জারদান, সামিউল্লাহ শিনওয়ারি, মোহাম্মদ নবী, রশিদ খান, দৌলত জারদান, আফতাব আলম, হামিদ হাসান ও মুজিব উর রহমান।

দুই শিশু-অন্তঃসত্ত্বাসহ একই পরিবারের ৭ জনকে হত্যা

দুই শিশু-অন্তঃসত্ত্বাসহ একই পরিবারের ৭ জনকে হত্যা

admin May 28, 2019

নিউজিবিডি ডেস্ক:
আফগানিস্তানে একই পরিবারের সাতজনকে খুন করল দুর্বৃত্তরা। রবিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে কাবুলের পিডি-থ্রি জেলার কার্তে-ই-সাখি এলাকায়। এখনও পর্যন্ত ওই দুর্বৃত্তদের কোনও পরিচয় জানতে পারেনি পুলিশ। মৃতদের মধ্যে তিনজন মহিলা এবং দুজন শিশু।


প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গিয়েছে, এর মধ্যে আটমাসের একজন গর্ভবতী মহিলাও আছেন। মৃতদের এক আত্মীয় আতাউল্লা বাহাদুরি বলেন, এই হামলার জেরে তিনজন মহিলা, দুজন শিশু ও দুজন পুরুষের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়াও জখম হয়েছে দুটি শিশু। তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। মৃতদের মধ্যে ওই পরিবারের প্রধান ও তাঁর স্ত্রী, তাঁদের বড় ছেলে ও তাঁর স্ত্রী এবং শ্যালিকা, বড় ছেলের দুই শিশুপুত্র রয়েছে।


পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বড়দের গুলি করে হত্যা করে ওই বন্দুকধারীরা । তারপর দুটি শিশুর মুখে বালিশ চাপা দিয়ে তাদের খুন করে। এই ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যেতেই পালিয়ে যায় তারা।


স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, কিছুদিন ধরে ওই এলাকায় প্রচুর ডাকাতি, খুন ও ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটছে। সরকারের কাছে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা নিয়ে অনেকবার দরবার করলেও কোনও লাভ হয়নি।


উল্লেখ্য রবিবার সকালেই কাবুলের পিডি-ফাইভ জেলার কার্তে-ই-নাউ এলাকায় বেসরকারি সংস্থার এক কর্মকর্তাকে গুলি করে হত্যা করা হয়। তার আগে শনিবার কাবুলের ডাউনটাউন এলাকায় অবস্থিত অ্যাটর্নি জেনারেলের অফিসের সামনে এক ব্যক্তি খুন করে দুর্বৃত্তরা।

Image Gallary

 
1 / 3
   
Caption Text
 
2 / 3
   
Caption Two
 
3 / 3
   
Caption Three