‘পার্কিংকই’ অ্যাপ দিবে ট্রাফিক সমস্যার সমাধান

admin June 30, 2018
নতুন কোনো জায়গায় গেলে শখের গাড়িটি কোথায় পার্ক করবেন তা নিয়ে অনেকেই বিপাকে পড়েন। তবে ফোনে যদি ‘পার্কিংকই’ নামে একটি অ্যাপ ইন্সটল করা থাকে তাহলে এই সমস্যা থেকে সহজেই মুক্তি মিলবে।
ব্যহারকারীর অবস্থান থেকে ৫ কিলোমিটারের মধ্যে ফ্রি এবং নিরাপদ বিনামূল্যের সব পার্কিং প্লেস খুঁজে দেবে অ্যাসপটি। এছাড়া, কিভাবে সেখানে যেতে অ্যাপটির মাধ্যমে সেটাও দেখে নেওয়া যাবে।
একটি গবেষণায় দেখা গেছে, একজন ড্রাইভার গাড়ির পার্কিং খুঁজতে গিয়ে তার জীবনের ১০৬ দিনের সমপরিমাণ সময় ব্যয় করেন। এছাড়া, ঢাকাশহরে ৩০ শতাংশ যানজট এই অবৈধ পার্কিংয়ের জন্যই সৃষ্টি হয়।
বর্তমানে প্রায় ৫ হাজার ব্যবহারকারী ঢাকার ১০ হাজার বেশী পার্কিং স্পেস এ নিরাপদে তাদের গাড়িটি বৈধভাবে পার্ক করছে।
বাসা-বাড়ির মালিকরাও পার্কিংয়ের জায়গা ভাড়া দিয়ে অ্যাসপটির সাহায্যে আয়ও করছেন। পার্কিংকই’ এর প্রতিষ্ঠাতা রাফাত রহমান জানান, অ্যাপটি চালকও গ্যারেজের মালিকের মধ্যে সমন্বয় করবে। গাড়ি সকালে বের হলে সাধারণত গ্যারেজ বা পার্কিং স্পেস খালি থাকে।
সেখানে অ্যাপ ব্যবহার করে চালককে ঘণ্টা, দিন বা সপ্তাহ চুক্তিতে ভাড়া দেওয়া যাবে।এমনকি এই অ্যাপ ব্যবহার করে সুলভমূল্যে মাসিক পার্কিং খুজে পাওয়া যাবে। অ্যাপটির সাহায্যে লোকেশনও ঘণ্টা অনুযায়ী ৫ থাকে ৩০ টাকায় পার্কিং ভাড়া পাওয়া যাবে। এ পর্যন্ত অ্যাপটি দিয়ে ১৫০০ এর বেশী পারকিং সফল ভাবে সম্পন্ন হয়েছে।
অ্যাসপটি সম্পর্কে পার্কিংকই এর প্রধান কারিগরি কর্মকর্তা সাব্বির আহমেদ বলেন, পার্কিং সমস্যা এবং যানজট নিয়ে কাজ করাটা সত্যি বেশ চ্যাইলেঞ্জিং ছিল। আমরা চেষ্টা করেছি যতটা সম্ভব একটি সুন্দর ইউজার ইন্টারফেসের অ্যাপ্লিকেশন তৈরি করতে। যেন সবাই তা সহজেই ব্যবহার করতে পারেন।
ব্যইবহারকারীদের গাড়ির নিরাপত্তা দেওয়ার বিষয়ে প্রতিষ্ঠানটির হেড অফ বিজনেস আরিফুর রহমান বলেন, অ্যাপটিতে নিবন্ধনের সময় গাড়ি মালিকও পার্কিং স্পেস যিনি ভাড়া দেবেন তাদের ন্যাশনাল আইডি কার্ড আমরা ভেরিফাই করেছি। উভয়ের জন্য টার্মস অ্যান্ড কন্ডিশনস পলিসি আছে। আমাদের অপারেশন টিম আছে যারা ব্যকবহারকারীদের ভেরিফাই করছে। এ ছাড়া বিভিন্ন ইনস্যুরেন্স কোম্পানির সঙ্গেও আলোচনা চলছে।

বাংলাদেশে মোবাইল ব্যবহারকারী ১৫ কোটির বেশি

admin June 30, 2018
বাংলাদেশে মোবাইল সংযোগকারীর সংখ্যা গত মে মাস পর্যন্ত ১৫ কোটি ৭ লাখ ২০ হাজার। মার্চ মাস শেষে গ্রাহক সংখ্যা ছিল ১৫ কোটি ৩ লাখ ৩০ হাজার। এমন তথ্য জানায়, বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)।
বিটিআরসির পরিসংখ্যান অনুযায়ী মে মাসের শেষে দেশের সবচেয়ে বড় অপারেটর গ্রামীণ ফোনের গ্রাহক সংখ্যা ৬ কোটি ৮৬ লাখ ৯০ হাজার। বাংলালিংকের ৩ কোটি ৩৩ লাখ ৪০ হাজার। রবির ৪ কোটি ৫০ লাখ ২০ হাজার। রাষ্ট্রায়ত্ত মোবাইল অপারেটর টেলিটকের গ্রাহক সংখ্যা দাঁড়ায় ৩৭ লাখ ৫০ হাজার।

মেয়েরা শেষ বলে আয়ারল্যান্ডকে হারাল

admin June 30, 2018
এশিয়া কাপ ফাইনালের পর এবার আয়ারল্যান্ড সফরের শুরুতেও ম্যাচের শেষ বলে রুদ্ধশ্বাস জয় পেয়েছে বাংলাদেশ জাতীয় নারী ক্রিকেট দল। গতকাল ডাবলিনে সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচে আইরিশদের চার উইকেটে হারিয়েছে বাংলাদেশের মেয়েরা। এই ফরম্যাটে এটি বাংলাদেশের নবম জয়। তিন ম্যাচের সিরিজে ১-০ তে এগিয়ে গেল সালমা খাতুনের দল।
শেষ ১২ বলে ১৮ রান দরকার ছিল বাংলাদেশের। ১৯তম ওভারে আসে ১৪ রান। শেষ ওভারের চার বলে আসে তিন রান। কিন্তু পঞ্চম বলে রানআউট হন সানজিদা ইসলাম (৫)। শেষ বলে সিঙ্গেল নিয়ে দলকে স্নায়ুক্ষয়ী জয় এনে দেন ফাহিমা খাতুন। ১৮ বলে অপরাজিত ২৬ রানের গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলেন তিনি।
যদিও শুরুতে নিগার সুলতানার ৩৮ বলে ৪৬ রানের ইনিংসই জয়ের ভিত গড়ে দিয়েছিল। টপঅর্ডারে আয়েশা রহমান ২৪, ফারজানা হক ১৩ রান করেন। ছয় উইকেটে ১৩৫ রান তুলে ম্যাচ জিতে নেয় বাংলাদেশ।
জয়ের সঙ্গে এই ম্যাচে বড় অর্জন এসেছে পেসার জাহানারা আলমের হাত ধরে। নারী আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বাংলাদেশের প্রথম বোলার হিসেবে পাঁচ উইকেট পেয়েছেন তিনি। ২৮ রান দিয়ে ক্যারিয়ারে প্রথমবার পাঁচ উইকেট পান জাহানারা। তার বোলিং তোপেই আগে ব্যাট করা আয়ারল্যান্ড আট উইকেটে ১৩৪ রানের বেশি যেতে পারেনি। স্বাগতিকদের পক্ষে ইসোবেল জয়েস ৪১, লুইস ২৮, অধিনায়ক ডেলানি ২২, গার্থ ২০ রান করেন।

ট্রিলিয়ন ডলারের এশিয়া প্যাসিফিকে সাইবার ঝুঁকি

admin June 30, 2018
এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলে সাইবার নিরাপত্তার অভাবে ব্যবসায় ও যোগাযোগ প্রযুক্তি খাত ১.৭৪৫ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলারের আর্থিক ক্ষতির শিকার হতে পারে, এমন তথ্য মিলেছে সা¤প্রতিক এক গবেষণায়। মার্কিন প্রযুক্তি জায়ান্ট মাইক্রোসফটের তত্ত¡াবধানে গবেষণা প্রতিষ্ঠান ফ্রস্ট অ্যান্ড সালিভানের করা গবেষণায় এই শংকা প্রকাশ করা হয়েছে।
মোট প্রায় ২৪.৩ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার জিডিপি’র এই অঞ্চলের ব্যবসায় ও যোগাযোগপ্রযুক্তি খাতে প্রভাবশালী ব্যক্তিদের সাইবার নিরাপত্তা লঙ্ঘনের বিষয়ে সচেতন করা এবং প্রতিষ্ঠানগুলোর সাইবার নিরাপত্তা কৌশল বাস্তবায়নে প্রয়োজনীয় বিষয়গুলো চিহ্নিত করার লক্ষ্যে এই গবেষণা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে মাইক্রোসফট।
‘এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলে সাইবার নিরাপত্তা হুমকির সম্যক ধারণা: ডিজিটাল বিশ্বে আধুনিক এন্টারপ্রাইজগুলোর সুরক্ষা’ শীর্ষক এ গবেষণা প্রতিবেদন তৈরিতে ব্যবসায় ও যোগাযোগ প্রযুক্তি খাতে মাঝারি এবং বৃহৎ মানের প্রতিষ্ঠান ও সংস্থার ১৩০০ ব্যক্তিকে নিয়ে জরিপ করা হয়। 
প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, জরিপ করা ২৫ শতাংশ প্রতিষ্ঠানে সাইবার নিরাপত্তা লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটেছে বা তারা এ ব্যাপারে নিশ্চিত নয়। আর তথ্য নিরাপত্তা লঙঘনের বিষয়ে তাদের কাছে কোন তথ্য নেই এমন প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ২৭ শতাংশ।
এ নিয়ে মাইক্রোসফট এশিয়ার এন্টারপ্রাইজ সাইবার সিকিউরিটি গ্রæপের পরিচালক এরিক লাম বলেন, “প্রতিষ্ঠানগুলো এখন তাদের গ্রাহকদের সঙ্গে সংযুক্ত হতে এবং তাদের কার্যক্রমের পূর্ণ উপযোগিতা ব্যবহারে ক্লাউড ও মোবাইল কম্পিউটিং সেবা গ্রহণ করছে।” তিনি আরও বলেন, “প্রথাগত যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিপক্ষকে অদৃশ্য করার ফলে আক্রমণের নতুন লক্ষ্য তৈরি হয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলো উল্লেখযোগ্য পরিমাণ আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে পাশাপাশি তাদের গ্রাহক সন্তুষ্টি ও সুনাম বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে যা সা¤প্রতিক কিছু সাইবার নিরাপত্তা লঙ্ঘনের ঘটনায় সুস্পষ্ট।”
জরিপে ছয়জন উত্তরদাতার মধ্যে একজন জানিয়েছেন, সাইবার ঝুঁকির কথা বিবেচনা করে তাদের প্রাতিষ্ঠানিক ডিজিটাল রূপান্তর স্থগিত করেছে।
এ প্রতিবেদন মতে, মুক্তিপণ দাবির মতো সাইবার আক্রমণ বা র‍্যানসমওয়্যার এন্টারপ্রাইজগুলোর দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের প্রতিষ্ঠানগুলো যারা সাইবার নিরাপত্তা লঙ্ঘনের শিকার হয়েছে সেসবের মধ্যে প্রতারণাপূর্ণ ওয়্যার ট্রান্সফার, ডেটা দুর্নীতি ও অনলাইন ব্র্যান্ড ইমপারসোনেশন সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ বিষয় ও শঙ্কার কারণ; কেননা এ ধরনের ক্ষতি প্রতিষ্ঠানের জন্য মারাত্মক এবং এ ক্ষতি থেকে উত্তরণের জন্য প্রতিষ্ঠানগুলোর খুবই কম সময় থাকে।
প্রতিবেদনের বলা হয়, এ অঞ্চলে চারটির মধ্যে তিনটি প্রতিষ্ঠান সাইবার নিরাপত্তার সুরক্ষা বৃদ্ধিতে ইতোমধ্যেই এআই প্রযুক্তি গ্রহণ করেছে বা করার পথে আছে।

ফ্রান্স-আর্জেন্টিনা লড়াই পরিসংখ্যানে

admin June 30, 2018
সব শঙ্কাকে উড়িয়ে দিয়ে বিশ্বকাপের গ্রæপ পর্ব পেরিয়েছে লিওনেল মেসির আর্জেন্টিনা। শনিবার বাংলাদেশ সময় রাত ৮টায় কাজানে কোয়ার্টার-ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে প্রতিপক্ষ ‘সি’ গ্রæপের চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্স। মুখোমুখি দেখায় লাতিন পরাশক্তিরা এগিয়ে থাকলেও ফরাসিদের আত্মবিশ্বাস যোগাবে বিশ্বকাপের নক আউট পর্বে দলটির অতীত রেকর্ড।

# এর আগে ফ্রান্স ও আর্জেন্টিনা ১১ বার মুখোমুখি হয়েছে। আর্জেন্টিনা জিতেছে ছয় বার, ফ্রান্স দুই বার। ড্র হয়েছে তিনটি ম্যাচ।

# তবে কখনো কোনো প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচে আর্জেন্টিনাকে হারাতে পারেনি ফ্রান্স।

# মুখোমুখি হওয়া ১১ ম্যাচের আটটিতেই আর্জেন্টিনার জালে বল জড়াতে পারেনি ফরাসিরা।

# ১৯৭৮ ও ১৯৮৬ সালে দুইবার বিশ্বকাপ জিতেছে লাতিন পরাশক্তি আর্জেন্টিনা। অন্যদিকে ১৯৯৮ সালে ঘরের মাঠে নিজেদের একমাত্র বিশ্বকাপ জিতে ফ্রান্স।

# পেনাল্টি শুট আউট বাদ দিলে বিশ্বকাপের নক আউট পর্বের শেষ ১১ ম্যাচে ফরাসিদের হার মোটে একটি। ২০১৪ সালে ব্রাজিল বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন জার্মানির কাছে একমাত্র হারটি ১-০ গোলে।

# বিশ্বকাপে নিজেদের শেষ ১৩ উপস্থিতির মধ্যে ১২ বারই নূন্যতম শেষ ষোলোয় পৌঁছেছে আর্জেন্টিনা। একমাত্র ২০০২ সালে জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়া বিশ্বকাপে গ্রæপ পর্ব থেকে ছিটকে যায় লাতিন পরাশক্তিরা।

# বিশ্বকাপের নক আউট পর্বে এর আগে ৬৬৬ মিনিট খেলে কোনো গোল করতে পারেননি আর্জেন্টিনার অধিনায়ক লিওনেল মেসি। অবশ্য ফ্রান্সের বিপক্ষে সবশেষ গোলের দেখা পাওয়া আর্জেন্টাইন খেলোয়াড় তিনিই। ২০০৯ সালে একটি প্রীতি ম্যাচে ফরাসিদের বিপক্ষে গোল করেছিলেন বার্সেলোনা তারকা, দল জিতেছিল ২-০ গোলে।

# ম্যাচে দুই দল মিলিয়ে দেখা যেতে পারে পিএসজির পাঁচজন খেলোয়াড়কে। ফ্রান্স দলে আছেন লিগ ওয়ান চ্যাম্পিয়নদের তিন সদস্য - কিলিয়ান এমবাপে, আলফুঁস আরিওলা ও প্রেসনেল কিম্পেম্বে। আর্জেন্টিনায় আছেন আরও দুজন, আনহেল দি মারিয়া ও জিওভানি লো সেলসো। অবশ্য দি মারিয়া ও এমবাপে বাদে বাকিদের শুরুর একাদশে থাকার সম্ভাবনা সামান্যই। # আন্তর্জাতিক ফুটবলে আর্জেন্টিনার হয়ে সর্বোচ্চ ৬৫ গোল করেছেন লিওনেল মেসি। আর সর্বোচ্চ ১৪৬ ম্যাচে দেশের প্রতিনিধিত্ব করেছেন হাভিয়ের মাসচেরানো। দুজনেই আছেন এবারের বিশ্বকাপের আর্জেন্টিনা দলে।

# আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড গনসালো হিগুয়াইন দেশের হয়ে নিজের শেষ আট ম্যাচে কোনো গোল করতে পারেননি।

# আর্জেন্টিনার ছয়জনের (এভার বানেগা, গাব্রিয়েল মের্কাদো, হাভিয়ের মাসচেরানো, লিওনেল মেসি, মার্কোস আকুনা ও নিকোলাস ওতামেন্দি) ও ফ্রান্সের তিনজনের (পল পগবা, বেøইস মাতুইদি ও কোরোঁতাঁ তোলিসো) একটি করে হলুদ কার্ড রয়েছে। শেষ ষোলোতে একটি হলুদ কার্ড পেলেই এক ম্যাচের নিষেধাজ্ঞায় পড়বেন তারা।

# ফ্রান্সের হয়ে সবচেয়ে বেশি ৭৯ ম্যাচে কোচের দায়িত্ব পালন করেছেন রেমোঁ ডমেনেক ও দিদিয়ে দেশম। শেষ ষোলোতে সবচেয়ে বেশি ম্যাচে কোচের দায়িত্ব পালনের রেকর্ডটি এককভাবে নিজের করে নেবেন দেশম।

# গ্রæপ পর্বের তিন ম্যাচে তিনটি গোল করেছে ফ্রান্স যার একটি এসেছে স্পট কিক থেকে ও আরেকটি আত্মঘাতী। হজম করেছে এক গোল।

পরিবার বিচ্ছিন্ন শিশুদের আশ্রয়কেন্দ্রে মেলানিয়া

admin June 30, 2018
যুক্তরাষ্ট্রের কঠোর অভিবাসন নীতির কারণে পারিবার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়া শিশুদের একটি আশ্রয়কেন্দ্র পরিদর্শন করেছেন দেশটির ফার্স্টলেডি মেলানিয়া ট্রাম্প। গতকাল তিনি অ্যারিজোনায় স্বাস্থ্য ও মানবিক সেবা অধিদপ্তর পরিচালিত অভিবাসী শিশুদের একটি আশ্রয়কেন্দ্র পরিদর্শনে যান। অবৈধ অভিবাসন বিষয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ‘জিরো টলারেন্স’ নীতির কারণে গত মাসের শুরু থেকে দেশটিতে ব্যাপক ধরপাকড় শুরু হয়। বিশেষ করে মেক্সিকো সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করা ব্যক্তিদের আটক করে তাদের বিচার শুরু করা হয়েছে।  অবৈধ অভিবাসনের দায়ে আটক ব্যক্তিদের বিচার চলাকালীন সময়ে বন্দি করে রাখায় তাদের সন্তানরা পরিবার বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। পিতা-মাতা থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়া ওই সব শিশুদের (কয়েক মাস বয়স থেকে ১৭ বছর পর্যন্ত) বিভিন্ন আশ্রয় কেন্দ্রে রাখা হয়েছে। বরাবরই পরিবার থেকে শিশুদের বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ার বিপক্ষে কথা বলেছেন মেলানিয়া। তার মুখপাত্র স্টেফানি গ্রিশাম বলেন, “তিনি মনে করেন, (অভিবাসী) শিশুদের তাদের পিতা-মাতার সঙ্গে একত্রে থাকা উচিত। এ বিষয়ে তিনি তার স্বামীকে সব সময়ই কথা বলে চলেছেন।” অ্যারিজোনার রাজধানী ফিনেক্সের ওই আশ্রয়কেন্দ্রে ১২১টি শিশুকে রাখা হয়েছে, যাদের বয়স কয়েকমাস থেকে ১৭ বছর। সেখানে কিশোরী মায়েদেরও দেখা যায়। মেলানিয়ার অভিবাসী শিশুদের আশ্রয় কেন্দ্র পরিবর্শনে যাওয়া এবারই প্রথম নয়। এর আগে তিনি টেক্সাসে একটি আশ্রয় কেন্দ্র পরিদর্শন গিয়েছিলেন।
 মে মাস থেকে এখন পর্যন্ত দুই হাজারের বেশি শিশু পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। যা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও আন্তর্জাতিক মহলে তীব্র সমালোচনা হয়েছে। মেলানিয়া ও সাবেক ফার্স্টলেডি লরা বুশ শিশুদের পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন করা উচিত না বলে মন্তব্য করেছেন।
নিজ দলের ভেতরেও কড়া সমালোচনার শিকার হওয়ার পর শিশুদের পরিবারের সঙ্গে একত্রীকরণের ব্যবস্থা নেওয়ার প্রতিশ্রæতি দিয়েছিলেন ট্রাম্প। তারমধ্যেই গত মঙ্গলবার ক্যালিফোর্নিয়ার সান ডিয়াগো ফেডারেল আদালত যুক্তরাষ্ট্র সরকারকে ৩০ দিনের মধ্যে শিশুদের তাদের পরিবারের কাছে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন। এছাড়া ১৭টি অঙ্গরাজ্যে ট্রাম্প প্রশাসনের ‘জিরো টলারেন্স’ নীতিকে চ্যালেঞ্জ করা হয়েছে। এর মধ্যে ওয়াশিংটন, নিউ ইয়র্ক ও ক্যালিফোর্নিয়ায় মামলার শুনানি শুরু হয়েছে। এদিকে বৃহস্পতিবার ওয়াশিংটনে কয়েকশ বিক্ষোভকারী সিনেট ভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে ট্রাম্পের এ নীতির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ শুরু করে। পরে পুলিশ প্রায় ছয়শ বিক্ষোভকারীকে আটক করে।

এবারই প্রথম ভাবনা

admin June 30, 2018
গেল ২৫শে জুন থেকে গতকাল পর্যন্ত কলকাতার নন্দনে দ্বিতীয়বারের মতো অনুষ্ঠিত হলো ফেডারেশন অব ফিল্ম সোসাইটিজ আয়োজিত ‘বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উৎসব’। এই আয়োজনে গতকাল সন্ধ্যা ছয়টায় ভাবনা অভিনীত প্রথম চলচ্চিত্র অনিমেষ আইচ পরিচালিত ‘ভয়ংকর সুন্দর’ প্রদর্শনের মধ্যদিয়ে উৎসবের সমাপ্তি ঘটে। এর আগে এ চলচ্চিত্রটি আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া, সিঙ্গাপুর, লন্ডন, কানাডায় আন্তর্জাতিক উৎসবে প্রদর্শিত হয়েছে। তবে, এবারই প্রথম কোনো আন্তর্জাতিক উৎসবে ভাবনা তার নিজের ছবির প্রদর্শনীতে আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে অংশ নেয়ার সুযোগ পান। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এর আগে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক উৎসবে ‘ভয়ংকর সুন্দর’-এর প্রদর্শন উপলক্ষে আমন্ত্রণ থাকার পরও অংশ নিতে পারিনি। কিন্তু এবার যেহেতু কলকাতায় এই উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে তাই সুযোগটা কাজে লাগালাম।
নিজের অভিনীত প্রথম সিনেমার আন্তর্জাতিক প্রদর্শনীতে থাকতে পেরে আমি সত্যিই খুব উচ্ছ¡সিত। এই ভালোলাগা প্রকাশের নয়। ভাবনা জানান, আগামি ১লা জুলাই তিনি দেশে ফিরবেন।

দীর্ঘ বৈঠকের পর অভিবাসী প্রশ্নে সমঝোতায় ইইউ

admin June 30, 2018
টানা দশ ঘণ্টা বৈঠকের পর অভিবাসী ইস্যুতে সমঝোতায় উপনীত হয়েছেন ইউরোপের নেতারা। বেলজিয়ামের রাজধানী ব্রাসেলসে শুক্রবার স্থানীয় সময় ভোরের আগে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) শীর্ষ নেতারা অভিবাসনপ্রত্যাশীদের চাপ সামলাতে একযোগে কাজ করার ব্যাপারে একমত হন বলে জানিয়েছে বিবিসি। সম্মেলনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ইতালি ও গ্রিসের ওপর চেপে বসা হাজার হাজার অভিবাসীর বোঝা নিজেদের মধ্যে ভাগ করে নিতে রাজি হয়েছে অন্য দেশগুলো। জোটভুক্ত অন্য দেশগুলোর সহায়তা না পেলে শরণার্থীদের নিয়ে যে কোনো প্রস্তাবে ভেটো ক্ষমতা প্রয়োগ করা হবে বলে আগেই হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন ইতালির প্রধানমন্ত্রী গুইসেপ্পে কন্তে। সমঝোতার ফলে এখন থেকে স্বেচ্ছাসেবার ভিত্তিতে ইইউভুক্ত দেশগুলো নতুন অভিবাসী কেন্দ্র ঠিক করতে পারবে বলে জানিয়েছেন ইইউ নেতারা। যাচাইবাছাই শেষে সেসব কেন্দ্র থেকেই সত্যিকারের শরণার্থীদের গ্রহণ করা হবে; ফেরত পাঠানো হবে বাকি ‘অনিয়মিত অভিবাসীদের’। জোটভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে শরণার্থীদের অবাধ চলাচলের সুযোগে কড়াকড়ি আরোপের ব্যাপারেও নতুন এ যৌথ ঘোষণায় বলা হয়েছে। এতে সমুদ্র ও স্থল পথে ইউরোপে অভিবাসনপ্রত্যাশীদের চাপ কমাতে ব্যবস্থা গ্রহণের উদ্যোগ নেওয়ার পাশাপাশি তুরস্ক ও উত্তর আফ্রিকার দেশগুলোতে অর্থনৈতিক সাহায্য বাড়ানোরও প্রস্তাব করা হয়েছে। এবারের সম্মেলনের পর ইউরোপ আরও দায়িত্বশীল হল, বাড়াল সংহতির হাত। আমরা এখন থেকে আর একা নয়,” ইইউ বৈঠকে সমঝোতার পর বলেছেন ইতালির প্রধানমন্ত্রী কন্তে।  ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর মতে, বৈঠকের পর ইউরোপীয় দেশগুলোর মধ্যে সহযোগিতার পথ আরও সক্রিয় হল।  কিছু কিছু বিষয়ে একমত হলেও ‘মতপার্থক্য নিরসন’ করে অভিবাসী সংকট মেটাতে ইউরোপের আরও অনেক কাজ করা বাকি বলে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় জানিয়েছেন জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা মেরকেলও। শুক্রবারের যৌথ ঘোষণায় ২৮ দেশের জোট ইউরোপীয় ইউনিয়নের নেতারা সীমান্তে সুরক্ষা জোরদারের ব্যাপারেও একমত হয়েছেন বলে জানিয়েছে বিবিসি। বুধবার থেকে ব্রাসেলসে শুরু হওয়া এই সম্মেলনের প্রথম থেকেই ইউরোপের দেশগুলোর মধ্যে অভিবাসনপ্রত্যাশীদের নিয়ে মতবিরোধ আরও স্পষ্ট হয়ে উঠতে থাকে। আফ্রিকা দিয়ে অসংখ্য শরণার্থী ইতালি ও গ্রিসে প্রবেশ করার পর দেশ দুটি ইউরোপের অন্য দেশগুলোকে এ চাপ ভাগ করে নেওয়ার আহŸান জানালেও অনেক দেশই এ বিষয়ে তাদের জোরাল আপত্তির কথা জানায়। উরোপিয়ান কাউন্সিল বলছে, অভিবাসনপ্রত্যাশীদের চাপ ২০১৫-র মতো না হলেও নতুন করে আফ্রিকা হয়ে ইউরোপে প্রবেশের হার বৃদ্ধি পাচ্ছে। সংকট মোকাবেলায় উত্তর আফ্রিকার দেশগুলোতেই অভিবাসন কেন্দ্র বানাতে ইউরোপ প্রস্তাব দিলেও মরক্কো প্রথম থেকেই এ ধরণের ভাবনার বিরোধিতা করে আসছে। দেশের ভেতর অভিবাসী ইস্যু নিয়ে চাপে থাকা জার্মান চ্যান্সেলরের জন্যও এবারের বৈঠক স্বস্তির হতে পারে বলে ধারণা পর্যবেক্ষকদের। ইউরোপের অন্য দেশে নিবন্ধিত শরণার্থীদের জার্মানিতে প্রবেশের ব্যাপারে আপত্তি তুলে এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে চলতি সপ্তাহের রোববার পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়েছিল মেরকেলের জোটসঙ্গী সিএসইউ পার্টি। অন্যথায় ক্ষমতাসীন বাভারিয়ান কোয়ালিশন সরকার থেকে সরে যাওয়ারও হুমকি ছিল সিএসইউ নেতা ও বর্তমান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হর্স্ট সিহফের। সিএসইউ ছাড়া মেরকেলের পক্ষে পার্লামেন্টে সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ অসম্ভব হয়ে পড়ত।

ঢাকা থেকে মালয়েশিয়ায় পূর্ণিমা

admin June 30, 2018
দেশীয় চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় মুখ পূর্ণিমা ঢাকা থেকে মালয়েশিয়া পৌঁছেছেন। দীর্ঘদিন পর নতুন কাজে সেখানে গেলেন তিনি। এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে এই তারকা মুঠোফোনে বলেন, এখানে প্রবাসী দর্শকদের জন্য একটি অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করবো আমি। মালয়েশিয়ার এজিডি পিকচারের আয়োজনে আগামীকাল কুয়ালালামপুরের কে ডবিøউ সি মলে ‘ঈদ উৎসব ২০১৮’ নামের এক অনুষ্ঠানে আমি উপস্থিত থাকবো। আমার সঙ্গে এ অনুষ্ঠানে ফেরদৌস ভাইও উপস্থাপনা করবেন। তিনি দু’দিন আগেই মালয়েশিয়া পৌঁছেছেন।
আশা করি, অনুষ্ঠানটি সবাই বেশ পছন্দ করবেন। এ অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ থেকে সংগীতশিল্পী আইয়ুব বাচ্চু, মিলা, ইমরানসহ আরো কয়েকজন পারফর্ম করবেন। এ অনুষ্ঠানের বাইরে আগামি ৮ই জুলাই ‘জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ২০১৬’- এর মূল অনুষ্ঠানটির উপস্থাপনা করবেন পূর্ণিমা। ‘জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার’ অনুষ্ঠানে পূর্ণিমা একা নন, তার পাশাপাশি চিত্রনায়ক ফেরদৌসও উপস্থাপনা করবেন। এদিকে পূর্ণিমা বর্তমানে আরটিভির ‘এবং পূর্ণিমা’ অনুষ্ঠানটি নিয়মিত উপস্থাপনা করছেন। টেলিভিশন উপস্থাপনার পাশাপাশি মঞ্চে বড় বড় করপোরেট শো উপস্থাপনা করছেন এ অভিনেত্রী। পাশাপাশি বিজ্ঞাপনে মডেল হিসেবেও কাজ করছেন তিনি। আর পছন্দের ছবি হাতে পেলে আবারো দর্শকরা বড়পর্দায় দেখতে পাবেন পূর্ণিমাকে। 

এক ব্যক্তিকে বেধড়ক পেটালেন নোরা!

admin June 30, 2018

রাস্তায় এক ব্যক্তিকে বেধড়ক পেটালেন বিগ বস প্রতিযোগী নোরা ফতেহি। প্রকাশ্যে রাস্তার ওপর ওই ব্যক্তিকে ধরে মারধর শুরু করেন তিনি। বিষয়টি অবাক করার মতো হলেও সত্যি। ঘটনা হল, স¤প্রতি মুম্বইয়ের রাস্তায় একটি ভিডিও শুট করেন নোরা। বলিউডের বিভিন্ন চরিত্রগুলো কীভাবে সাধারণ মানুষের উপর প্রভাব বিস্তার করে, নোরার ওই নতুন ভিডিওতে তাই দেখানো হয়েছে। ওই ভিডিওতে লাল শাড়িতে দেখা যাচ্ছে  নোরাকে।
পাশাপাশি লাল শাড়ি পরা নোরাকে ‘থোড়া রেশম লাগতা হ্যায়’-র গানে নাচতে দেখা যায়। জানা গেছে, অচেনা ওই ব্যক্তির চোখ  থেকে বলিউডের ঘোর কেটে যাওয়ার পর পরই তাকে ধরে পেটাতে শুরু করেন নোরা।এদিকে, বেশ কয়েক বছর লিভ ইন সম্পর্কের পর অবশেষে অঙ্গদ বেদির সঙ্গে সম্পর্ক ভাঙে নোরার। এরপরই নেহা ধুপিয়ার সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন অঙ্গদ। এখন সাবেক মিস ইন্ডিয়া নেহা ধুপিয়াকে বিয়ে করে সুখে সংসার করছেন অঙ্গদ। 

এবার অস্ট্রেলিয়ায় ‘বিজলী’

admin June 30, 2018
চিত্রনায়িকা ববি এখন অস্ট্রেলিয়ায়। সেখানে তার অভিনীত ‘বিজলী’ ছবিটি দেখানো হবে। এরইমধ্যে অস্ট্রেলিয়ায় পৌঁছেছেন ববি। এতে বিজলী চরিত্রে তিনি অভিনয় করেছেন এই তারকা অভিনেত্রী। এ প্রসঙ্গে ছবির পরিচালক ইফতেখার চৌধুরী বলেন, প্রথমে অস্ট্রেলিয়ায় ‘বিজলী’র চারটি শো অনুষ্ঠিত হবে। দর্শক চাহিদার ওপর ভিত্তি করে শো বাড়ানোর পরিকল্পনা রয়েছে।
দেশে ‘বিজলী’ দর্শকের অনেক প্রশংসা পেয়েছে। আশা করছি, প্রবাসীদেরও মন জয় করতে পারবে। তিনি আরও বলেন, অস্ট্রেলিয়ায় প্রথম শোতে অংশ নিতে ববি আজ  সেখানে পৌঁছেছেন। আমি অসুস্থ থাকায় যেতে পারিনি। সায়েন্স ফিকশন ছবিটি অস্ট্রেলিয়ার পর নিউজিল্যান্ডে মুক্তি পাবে।
পর্যায়ক্রমে আমেরিকা ও কানাডাসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ছবিটি মুক্তি দেওয়া হবে বলে জানান নির্মাতা। প্রযোজনা সূত্রে জানা যায়, ৮ই জুলাই সিডনিতে ছবিটির প্রথম প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হবে। উল্লেখ্য, গত ১৩ই এপ্রিল ‘বিজলী’ বাংলাদেশের ৭৯টি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায়। এতে ববি ছাড়াও অভিনয় করেছেন ইলিয়াস কাঞ্চন, মিশা সওদাগর, আহমেদ শরীফ, মিজু আহমেদ, টাইগার রবি, শিমুল খান, কলকাতার অভিনেতা শতাব্দী রায় ও রণবীর। ববির নিজস্ব প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান ববস্টার থেকে ছবিটি নির্মাণ করা হয়েছে। 


দিনাজপুরে ঐতিহাসিক সান্তাল বিদ্রোহ উপলক্ষে ‘সিদু-কানু দিবস’ পালন

admin June 30, 2018
৩০ জুন ঐতিহাসিক সান্তাল বিদ্রোহ উপলক্ষে ‘সিদু-কানু দিবস’ পালন করা হয়। এই দিবসটি যথাযথ মর্যাদার সাথে পালনের লক্ষে গতকাল শনিবার সকাল ৯টায় দিনাজপুর সুইহারি নভারা জুনিয়র হাই স্কুল প্রাঙ্গনে চাম্পাগাড়-এর আয়োজনে দিনব্যাপী বিভিন্ন কর্ম সুচীর মাধ্যমে দিবসটি উদযাপন করা হয়। 
দিনব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচীর মধ্যে সকাল ৯টায় সুইহারি প্যারিশ ক্যাম্পাস হতে বর্ণাঢ্য র‌্যালী বের হয়ে নভারা স্কুল প্রাঙ্গনে শেষ হয়। সকাল ১০টায় নভারা স্কুল প্রাঙ্গনে সিদু-কানু’র অস্থায়ী সৃতি স্থম্ভে শ্রদ্ধাঞ্জলী নিবেদন শেষে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। পরে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন সুইহরি মিশন-এর সহকারি পালপরোহিত ফাদার যোসেফ মূর্মু। 
অনুষ্ঠানে চাম্পাগাড়-এর সভাপতি ফাদার লাজারুশ সরেন’র সভাপতিত্বে অতিথিদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের উপদেষ্ঠা ফাদার ফ্রান্সিস মূর্মু, সদস্য সুশীলা টুডু, জুলিয়ান সরেন,  রবি মার্ডী, সহ-সভাপতি যোগেন জুলিয়ান বেসরা প্রমুখ। অনুষ্ঠানটি সার্বিক পরিচালনা করেন সালভাতর পাউরিয়া ও মাইকেল মার্ডী।
উল্লেখ্য, ১৫৩ বছর আগে নিরিহ ও শান্তি প্রিয় সান্তাল আদীবাসীরা ক্রমাগত শোষন, বঞ্চনা, নির্যাতন, দাসত্ব, যখন সহ্যের সীমা ধৈর্য্যের বাঁধ ভেঙ্গে সান্তালরাই দাবানলের মত জ¦লে উঠেছিল। সেই দিনটি ৩০ জুন ১৮৫৫ সাল, যা সান্তাল বিদ্রোহ দিবস নামে ইতিহাস খ্যাত। এই দিনে সিদু-কানহুর ডাকে প্রায় ৩০ হাজার সান্তাল বিদ্রোহের জন্য তীর ধনুক নিয়ে সমবেত হয়।

চিংড়ি রফতানিতে স্থবিরতা

admin June 30, 2018
সুস্বাদু আর পুষ্টিগুণের কারণে বিশ্বে চিংড়ি সিফুড হিসেবে সমাদৃত। উন্নত রাষ্ট্রগুলোতে এর চাহিদাও অনেক। কিন্তু নানা কারণে দেশের দ্বিতীয় রফতানিকারক পণ্য চিংড়ি রফতানিতে এসেছে স্থবিরতা। ক্রমান্বয়ে সাদা সোনাখ্যাত চিংড়ির রফতানি নিম্নমুখী। বিশ্বব্যাপী ভেনামি (এক প্রকার হাইব্রিড) চিংড়ির বাজার দখলের কারণে দেশের চিংড়ি রফতানি অর্ধেকে নেমে এসেছে। এতে সরকার কোটি কোটি টাকার রাজস্ব হারাচ্ছে, অন্যদিকে বেকার হওয়ার শঙ্কায় রয়েছে লাখো মানুষ।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বিশ্ব বাজার আবারও বাংলাদেশের দখলে আনতে বাগদার পাশাপাশি ভেনামি চিংড়ি চাষের প্রয়োজন। ভেনামি চিংড়ি চাষে খরচ ও দাম কম আর উৎপাদন বেশি হওয়ায় এর চাহিদা বেশি। যদিও নানা অজুহাতে বাংলাদেশে এই চিংড়ি চাষের অনুমোদন নেই। যেখানে দক্ষিণ এশিয়ার সব দেশে এর চাষ হচ্ছে। ২০০০ সাল পর্যন্ত বিশ্বে বাগদা চিংড়ির বাজার ছিল ১২ লাখ টন। ৯০ দশক থেকে প্যাসিফিক সাদা চিংড়ি বা ভেনামী চিংড়ির বাজার বড় হতে থাকে। বাংলাদেশ ছাড়া দক্ষিণ এশিয়ার সব দেশে এ চিংড়ি চাষ হয়।
বাগদা আগে থেকে শুরু হলেও এর চাষ বাড়ানো যায়নি, অন্যদিকে ভেনামির উৎপাদন অনেক বেশি। বাগদার উৎপাদন হেক্টর প্রতি ৩শ’ থেকে ৪শ’ কেজি, ঘেরে বা হ্যাচারিতে এটির উৎপাদন ৩ থেকে ৬ হাজার কেজি অন্যদিকে ভেনামির উৎপাদন ১০ হাজার থেকে ৩০ হাজার কেজি। দেশে ২০১৩-২০১৪ অর্থবছর থেকে ২০১৬-২০১৭ অর্থবছরে ক্রমান্বয়ে চিংড়ির রফতানি নিম্নমুখী। ২০১৬-২০১৭ অর্থবছরের মার্চ, এপ্রিল ও মে মাসে চিংড়ি রফতানি প্রায় অর্ধেকে নেমে আসে। ২০১৮ সালের তিন মাসে (মার্চ, এপ্রিল, মে) ৪ হাজার ৮৪৩ মেট্রিক টন চিংড়ি রফতানি হয় যার বাজার মূল্য ৫৮ হাজার ৮৯৬ মার্কিন ডলার। তার আগের বছরে (২০১৭) একই সময়ে রফতানি হয় ৭ হাজার ১৬০ মেট্রিক টন যার বাজার ম্ল্যূ ছিলো ৮৬ হাজার ৬১৩ মার্কিন ডলার। বিশ্বে রফতানির ৭৭ শতাংশ অবদান ভেনামির যেগুলো ৭২ শতাংশ এশিয়ায় উৎপাদন। বাগদার অবদান ১২ শতাংশ। শুধু রোগের কথা বলে ভেনামি চাষ বর্জন করা হয়।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ ফ্রোজেন ফুডস এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সহ-সভাপতি কাজী বেলায়েত হোসেন বলেন, এখন বিশ্ববাজারে বাগদার বাজার হারিয়ে যাচ্ছে। আমরা সরকারের কাছে অনুরোধ করেছি ভেনামি চাষের জন্য। কিন্তু নানা অজুহাতে আজও অনুমতি পায়নি। কক্সবাজার চকোরিয়া বা পাইকগাছাতে জমি চেয়েছিলাম সেটা পায়নি। এ চিংড়ি চাষে যদি রোগ হবে তাহলে ভারত কেন প্রতিবছর চাষ বাড়াচ্ছে। মৎস্য গবেষক ও সাবেক মৎস্য কর্মকর্তা প্রফুল্ল কুমার সরকার বলেন, সরকার ভেবেছিল ভেনামি চিংড়ি চাষ করলে বাগদা হারিয়ে যাবে। তবে এটা নিয়ে গবেষণা হচ্ছে। যেহেতু এ চিংড়ির উৎপাদন বেশি, বিশ্বে চাহিদা বেশি তাই করপোরেট হাউজকে এগিয়ে আসতে হবে। সরকারের সঙ্গে সমঝোতার মাধ্যমে এটার চাষ নিয়ে ভাবতে হবে। এতে আমাদের রফতানি বাড়বে, বৈদেশিক মুদ্রা আসবে।

অভ্যন্তরীণ বাজার থেকে বোরো ধান সংগ্রহে পিছিয়ে পড়েছে সরকার

admin June 30, 2018
অভ্যন্তরীণ বাজার থেকে এখন পর্যন্ত আশানুরূপ বোরো ধান সংগ্রহ করতে পারেনি খাদ্য অধিদফতর। বরং সেক্ষেত্রে ব্যাপকভাবে পিছিয়ে রয়েছে। সরকার চলতি বছর বোরো মৌসুমে অভ্যন্তরীণ বাজার থেকে দেড় লাখ টন ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে। কিন্তু ইতিমধ্যে প্রায় অর্ধেক সময় পেরিয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত খাদ্য অধিদফতর মাত্র ২ হাজার ৫০০ টনের মতো ধান সংগ্রহ করতে পেরেছে। খাদ্য অধিদফতর সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়।
সূত্রমতে, খাদ্য পরিকল্পনা ও পরিধারণ কমিটির ৮ এপ্রিলের সভায় বোরো মৌসুমে ৮ লাখ টন সিদ্ধ চাল, এক লাখ টন আতপ চাল এবং দেড় লাখ টন বোরো ধান (দেড় লাখ টন ধানে এক লাখ টন চাল পাওয়া যাবে) সংগ্রহের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। সরকারি ৩৮ টাকা কেজি দরে সিদ্ধ চাল, ৩৭ টাকা কেজি দরে আতপ চাল এবং ২৬ টাকায় ধান কেনা হবে। বিগত ২ মে থেকে বোরো সংগ্রহ শুরু হয়েছে এবং আগামী ৩১ আগস্ট পর্যন্ত তা চলবে। কিন্তু বাজারে ধানের দাম বেড়ে যাওয়ায় সরকার লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী ধান সংগ্রহ করতে পারছে না। কৃষকরা ধান দিচ্ছে না।
সূত্র জানায়, খাদ্য অধিদফতর গত ২৫ জুন পর্যন্ত সিদ্ধ চাল সংগ্রহ করেছে ৪ লাখ ৩৯ হাজার ৬৯৩ টন, আতপ চাল সংগ্রহ করেছে ৩২ হাজার ৯৬১ টন। পাশাপাশি ধান সংগ্রহ করা হয়েছে ২ হাজার ৪৯৩ টন। আর ২৫ জুন পর্যন্ত ৭ লাখ ৯৬ হাজার ৮৮৮ টন সিদ্ধ এবং ৬৫ হাজার ৩৮১ টন আতপ চাল সংগ্রহের জন্য মিলারদের সঙ্গে চুক্তি করা হয়েছে। বর্তমানে সরকারি খাদ্যশস্য মজুদের পরিমাণ প্রায় ১৩ লাখ টন। গতবছর এই সময়ে মোট মজুদের পরিমাণ ছিল ৪ লাখ ৭৭ হাজার।
এদিকে এ প্রসঙ্গে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (সংগ্রহ ও সরবরাহ) জানান, যেখানে ধান সংগ্রহের অগ্রাধিকার আছে সেখানে সংগ্রহ হচ্ছে। ধান রক্ষণাবেক্ষণে একটু সমস্যা হয়। সেজন্য যেখান থেকে ধান সংগ্রহ করলে কৃষক লাভবান হবে এবং ধান পরিবহন সহজ হবে, সেখান থেকে ধান সংগ্রহ করা হয়। পাশাপাশি সরকারি গুদাম খালি হওয়া সাপেক্ষে ধান কেনা হয়ে থাকে। সেজন্য ক্রমান্বয়ে ধান কেনা হয়। বর্তমানে ধান কম কেনা হচ্ছে না। বরং সরকারি সংরক্ষণ সক্ষমতা অনুযায়ী ধান কেনা হচ্ছে। আর ধান কিনতে না পারলে দেড় লাখ টন সমপরিমাণ চাল সংগ্রহ করা যাবে। সেই সুযোগও রয়েছে।

হ্যাটট্রিক মারলেন ববি

admin June 29, 2018
২০১০ সালে ‘খোঁজ-দ্য সাচর্’ ছবি দিয়ে রুপালি পদার্য় পা রাখেন এ প্রজন্মের চিত্রনায়িকা ইয়ামিন হক ববি। এরপর ববি একে একে উপহার দিয়েছেন দেহরক্ষী, ফুল অ্যান্ড ফাইনাল, ইঞ্চি ইঞ্চি প্রেম, রাজত্ব, অ্যাকশন জেসমিন, স্বপ্নছোঁয়া, ওয়ান ওয়ে, হিরো : দ্যা সুপারস্টার, আই ডোন্ট কেয়ার, বিজলীর মতো দশর্কপ্রিয় কিছু ছবি। চলতি বছর আরও তিন ছবি নিয়ে আশাবাদী ববি। এগুলো হচ্ছে-নোলক, বেপরোয়া ও বৃদ্ধাশ্রম। ববির মতে, তিনটি ছবি চার ধরনের। একটির সঙ্গে অন্যটির মিল নেই। শুধু কথার কথা নয়। ছবিগুলো দশর্করা দেখলে বুঝতে পারবেন। তবে এর মধ্যে ‘নোলক’ ছবিকেই এগিয়ে রাখছেন ববি। গত ডিসেম্বর মাসে শুরু হয় শাকিব খান-ববি অভিনীত ‘নোলক’ ছবির শুটিং। টানা ৩২ দিন শুটিং চলে ভারতের রামুজি ফিল্ম সিটিতে। তখন ছবির ৮০ ভাগের বেশি শুটিং শেষ হয়। এরপর কেটে গেছে প্রায় সাত মাস! এই সময়টায় ‘নোলক’-এ শাকিবের কয়েকটি লুক ও স্থিরচিত্র প্রকাশ পেয়েছে। তারপর থেকে দশর্কদের আগ্রহ বাড়ে ছবিটি নিয়ে। আন-অফিসিয়ালি শোনা যায়, ঈদুল আজহায় ‘নোলক’ মুক্তি পাবে। এ প্রসঙ্গে ববি বলেন, ‘আমার ক্যারিয়ারে নোলকের মতো এমন ব্যতিক্রমী গল্পের ছবিতে কাজ করিনি। নোলকের জন্য আমার অন্য রকম একটা মায়া জন্মেছে। মুক্তির পর নোলক ছবি ভালো লাগবে না, এমন দশর্ক খুঁজে পাওয়া যাবে না। এটা আমি আত্মবিশ্বাস নিয়েই বলছি।’ তিনি আরও বলেন, ‘ছবির প্রযোজক সব কিছুই সুন্দর আর গোছানো কাজ হয়েছে। নোলকের ৮০ শতাংশ শুটিং শেষ। বাকি আছে দুটি ও মাত্র একটি সিকোয়েন্স বাকি আছে। তবে ছবিটি কবে নাগাদ মুক্তি পাবে এটি প্রযোজক ও পরিচালকই ভালো বলতে পারবেন।’ এ ছাড়া বৃদ্ধাশ্রম নামের ছবিতে কাজ করেছেন ববি। শুটিং শেষ, শুধু এই ছবির গান বাকি আছে বলে জানান তিনি। ববি বলেন, এটা পুরোপুরি সমাজসেবামূলক একটা ছবি। আমার সঙ্গে কাজ করেছেন এস ডি রুবেল। এটাও খুব ভালো ছবি হবে আমি মনে করি। সবশেষে ববি জানালেন, বেপরোয়া ছবির খবর। বললেন, এটা পুরোপুরি বাণিজ্যিক ধারার একটি ছবি। কলকাতার নিমার্তা রাজা চন্দ ছবিটি বানাচ্ছেন। ববি বলেন, চারটি ছবি একটার পর একটা মুক্তি পাবে। সবগুলো ছবি এই বছরেই আসবে। ছবিগুলো নিয়ে আমি ভীষণ আশাবাদী। প্রতিটি ছবিটি আমার লুক, গেটআপে দশর্ক ভিন্নতা পাবে। এখন শুধু মুক্তির অপেক্ষা।

হিনা খোলামেলা ছবি শেয়ার করে তোপের মুখে

admin June 29, 2018

হিনা খান। ভারতীয় টিভি সিরিয়ালের পরিচিত মুখ। টিভি সিরিয়াল ‘ইয়ে রিশতা কিয়া কেহলাতা হ্যায়’র মাধ্যমে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পান তিনি। বিগ বস-১১-এর প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েও আলোচনায় আসেন তিনি। এদিকে স¤প্রতি বিকিনি পরিহিত বেশ কিছু খোলামেলা ছবি ইন্সটাগ্রামে  শেয়ার করে তোপের মুখে পড়েছেন তিনি। ভারতীয় গণমাধ্যমে খবর, বয়ফ্রেন্ড রকি জয়সওয়ালের সঙ্গে গোয়ায় গিয়েছিলেন হিনা খান।
আর  সেখানে গিয়ে কালো বিকিনি পরে ছবি শেয়ার করেন হিনা খান। কখনও পুলে বসে নিজের সেই খোলামেলা ছবি শেয়ার করেন হিনা, আবার কখনও রকির সঙ্গে ঘনিষ্ঠ ছবি শেয়ার করতে দেখা যায় তাকে। আর এরপরই আক্রমণের মুখে পড়তে হয় বিগ বসের প্রাক্তন এই  প্রতিযোগীকে। হিনা কীভাবে ওই ধরনের ছবি শেয়ার করলেন, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয় নেটদুনিয়ায়। এটা কী ধরনের পোশাক এবং ছবি বলেও তোলা হয় প্রশ্ন। পাশাপাশি ‘ধর্মের উপর সম্মান প্রদর্শন করুন’ বলেও আক্রমণ করা হয় হিনাকে। যদিও এ বিষয়ে পরবর্তীতে কোনো কথা বলেননি হিনা।

বিদেশে কৃষি পণ্য রপ্তানিতে আয় বেড়েছে

admin June 29, 2018
ইতিবাচক ধারায় রয়েছে দেশের কৃষি পণ্য রপ্তানি। বিশ্বের ৫০টিরও বেশি দেশে কৃষি ও কৃষিজাত পণ্য রপ্তানি হচ্ছে। গত জুলাই-মে সময়ে কৃষি পণ্যে রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১৮ শতাংশ। মোট আয় ৬০ কোটি ৯০ লাখ ডলার। দেশি মুদ্রায় পরিমাণ ৫ হাজার কোটি টাকারও বেশি। বাংলাদেশ রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা যায়।
সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, দেশের প্রধান কৃষিপণ্যের মধ্যে রয়েছে চা, সবজি, ফুল, ফল, মসলা, শুকনো খাবার ইত্যাদি। তার মধ্যে ১১ মাসে চা ও সবজি বাদে অন্যান্য সবগুলো উপখাতে রপ্তানি প্রবৃদ্ধি আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে বেড়েছে। চলতি ২০১৭-১৮ অর্থবছরের প্রথম ১১ মাসে কৃষিপণ্য রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৫২ কোটি ৩ লাখ ৫০ হাজার মার্কিন ডলার। তার বিপরীতে আয় হয়েছে ৬০ কোটি ৯০ লাখ ডলার। যা লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় ১৭ দশমিক ০৪ শতাংশ বেশি। আর বিগত ২০১৬-১৭ অর্থবছরের প্রথম ১১ মাসের তুলনায়ও ১৮ দশমিক ০৯ শতাংশ বেশি। গত অর্থবছরের ২০১৬-১৭ প্রথম ১১ মাসে এ খাতের আয় ছিল ৫১ কোটি ৫৭ লাখ ডলার। চলতি ২০১৭-১৮ অর্থবছরের পুরো সময়ে কৃষি পণ্যে রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৫৭ কোটি ৬০ লাখ মার্কিন ডলার। গত ২০১৬-১৭ অর্থবছরে এ খাতে আয় হয়েছিল ৫৫ কোটি ৩১ লাখ মার্কিন ডলার। ২০১৫-১৬ অর্থবছরে আয় হয়েছিল ৫৯ কোটি ৬০ লাখ ৬০ হাজার মার্কিন ডলার।
সূত্র জানায়, গত জুলাই-মে মেয়াদে এদেশ থেকে ফল রপ্তানিতে আয় হয়েছে ২২ লাখ ৪০ হাজার মার্কিন ডলার। যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ২৩ দশমিক ৭৩ শতাংশ এবং আগের অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ৪১ দশমিক ৭৭ শতাংশ বেশি। ২০১৬-১৭ অর্থবছরের জুলাই- মে মেয়াদে ফল রপ্তানিতে আয় হয়েছিল ১৫ লাখ ৮০ হাজার মার্কিন ডলার। একই সময়ে মসলা জাতীয় পণ্য রপ্তানি করে ৪ কোটি ৬ লাখ ডলার, শুকনো খাবার রপ্তানিতে আয় হয়েছে ১৭ কোটি ৯৭ লাখ মার্কিন ডলার, তামাক জাতীয় পণ্য রপ্তানি করে ৫ কোটি ৪২ লাখ ডলার আয় হয়েছে। তবে কৃষি পণ্যের মধ্যে চা রপ্তানি খুব একটা ভালো অবস্থানে নেই। দিন দিন পণ্যটির রপ্তানির পরিমাণ কমছে। চলতি অর্থবছরের প্রথম ১১ মাসে চা রপ্তানিতে আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা ছিল ৪৫ লাখ ২০ হাজার ডলার। তার বিপরীতে আয় হয়েছে মাত্র ২৫ লাখ ৩০ হাজার ডলার। যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৪৪ দশমিক ০৩ শতাংশ কম। একই সাথে বিগত ২০১৬-১৭ অর্থবছরের একই সময়ের চেয়েও ৪১ দশমিক ০৩ শতাংশ আয় কমেছে। গত অর্থবছরের জুলাই-মে মেয়াদে চা রপ্তানি হয়েছিল ৪২ লাখ ৯০ হাজার মার্কিন ডলার। 
সূত্র আরো জানায়, গত জুলাই-মে মেয়াদে সবজি রপ্তানিতে ৭ কোটি ২২ লাখ ৭০ হাজার মার্কিন ডলার আয়ের লক্ষ্যমাত্রা থাকলেও আয় হয়েছে ৭ কোটি ১২ লাখ ৩০ হাজার মার্কিন ডলার। যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে এক দশমিক ৪৪ শতাংশ কম। একই সাথে আগের অর্থবছরের প্রথম ১১ মাসের তুলনায়ও সাত দশমিক ৩৭ শতাংশ কম। বিগত ২০১৬-১৭ অর্থবছরে প্রথম ১১ মাসে সবজি রপ্তানিতে আয় হয়েছিল ৭ কোটি ৬৯ লাখ মার্কিন ডলার।
কোরআন-হাদিসের ভয় দেখিয়ে ছাত্রীদের যৌন হয়রানি, তদন্তে কমিটি

কোরআন-হাদিসের ভয় দেখিয়ে ছাত্রীদের যৌন হয়রানি, তদন্তে কমিটি

admin June 28, 2018


লক্ষ্মীপুর: লক্ষ্মীপুরে কোরআন-হাদিসের ভয় দেখিয়ে বিদ্যালয়ের কোমলমতি শিশু শিক্ষার্থীদের যৌন হয়রানির অভিযোগ উঠেছে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক ধর্মশিক্ষকের বিরুদ্ধে। বিদ্যালয়টির খণ্ডকালীন শিক্ষক তোফায়েল আহমদের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ উঠার পর থেকে সে কৌশলে এলাকা ছেড়ে পালিয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয়রা। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী পরিবার ও গ্রামবাসীর মধ্যে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে। দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন তারা। এদিকে বৃহস্পতিবার দুপুরে তিন সদস্যের একটি টিম গঠনসহ তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়ার কথা নিশ্চিত করেছে উপজেলা প্রশাসন।
সরেজমিনে জানা যায়, তিন বছর পূর্বে লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার চর রমনী মোহন ইউনিয়নের করাতির হাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের খণ্ডকালীন শিক্ষক নিযুক্ত হন তোফায়েল আহমদ। তার বাড়ি সদর উপজেলার মাছিম নগর গ্রামে। নিয়োগ পাওয়ার পর স্থানীয় হাওলাদার বাড়িতে লজিং মাস্টার থেকে পাশ্ববর্তী একটি মসজিদে ইমামতি করতেন তিনি। পাশাপাশি সকালে মক্তবে শিশুদের আরবি শিক্ষা ও রাতে প্রাইভেট পড়াতেন ওই শিক্ষক। এ সুবাদে কোমলমতি শিশু ছাত্রীদের যৌন হয়রানি করতেন তিনি। কোরআন হাদিসের ভয় দেখিয়ে শিক্ষকের সকল কথা মানার ও কাউকে না বলার প্রতিশ্রুতি নিয়ে যৌন হয়রানি (ধর্ষণ ও শ্লীলতাহানি) করে আসছিলেন শিক্ষক তোফায়েল। গত ২৬ জুন মঙ্গলবার এক ছাত্রীর সাথে অশালীন আচরণ করলে সে বিষয়টি তার পরিবারকে জানায়। এরপর স্কুলের শিক্ষকদের বিষয়টি জানালে এবং ঘটনা জানাজানি হলে অন্য ৭-৮জন ছাত্রীও তাদের সঙ্গে এমন আচরণ করা হয়েছে বলে জানায়। ফাঁস হয়ে যায় শিক্ষক তোফায়েলের অপকর্ম। বিষয়টি জানতে পেরে কৌশলে অভিযুক্ত শিক্ষক তোফায়েল আহমদ এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায়। বর্তমানে তার ব্যবহৃত মুঠোফোনটিও বন্ধ বলে জানান বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক খালেদা ইয়াছমিন পিঙ্কি।
ঘটনার শিকার একাধিক শিক্ষার্থী জানান, হুজুর স্যার (তোফায়েল আহমদ) খারাপ কাজ (ধর্ষণ) করতো, শরীরের বিভিন্ন স্থানে হাত দিতো, কাউকে না বলার জন্য কোরআন হাদিস ধরিয়ে ভয় দেখাতো। আর কাউকে বললে রূপালী পাগলীর মতো হয়ে যাবি, বলে ভয় দেখাতো। এ কারণে অনেকেই ভয়ে মুখ খুলে নি। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে অভিভাবক ও গ্রামবাসীরা বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠে। লম্পট শিক্ষকের দৃষ্টান্তমূলক বিচার দাবি করেন তারা।
উপজেলা শিক্ষা অফিসার মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান মোল্লা জানান, এ ঘটনায় তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত টিম গঠন করা হয়েছে। এ ধরনের ঘটনার প্রমাণ পেলে দায়ী ব্যক্তির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এছাড়া এ ধরনের ঘটনা যেন আর না ঘটে সেজন্য সকল বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের সচেতন করা হবে বলেও জানান তিনি। একইভাবে তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণের কথা জানান উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ শাহাজান আলী।

Image Gallary

 
1 / 3
   
Caption Text
 
2 / 3
   
Caption Two
 
3 / 3
   
Caption Three