হলি আর্টিজান বেকারিতে হামলার দুই বছর: ২১ জঙ্গির কার কী ভূমিকা ছিল

admin June 30, 2018
গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গি হামলা ঘটনার দুই বছর হতে চলেছে। এরই মধ্যে এই হামলার ঘটনায় দায়ের করা মামলার তদন্ত শেষে চার্জশিট প্রস্তুত করেছে তদন্তকারী সংস্থা কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট- সিটিটিসি। তদন্তে আলোচিত এই হত্যাযজ্ঞের সঙ্গে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে ২১ জনের সম্পৃক্ততার প্রমাণ পেয়েছে সিটিটিসি। এদের মধ্যে ঘটনার পর কমান্ডো অভিযানে নিহত পাঁচ হামলাকারী ছাড়াও আরও আট জন মারা গেছে সিটিটিসি ও র‌্যাবের অন্যান্য অপারেশনে। গ্রেফতার হওয়া ছয় আসামি ইতোমধ্যে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছে। দুই জনকে পলাতক দেখিয়ে চার্জশিট প্রস্তুত করেছে মামলার তদন্তকারী সংস্থা।
বৃহস্পতিবার (২৮ জুন) ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া বলেছেন, ‘কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের কর্মকর্তারা নিরবচ্ছিন্নভাবে এবং অত্যন্ত আন্তরিকতার সঙ্গে তদন্ত করেছেন। তদন্ত একেবারে শেষ পর্যায়ে আছে। এক সপ্তাহের মধ্যে বা ১০ দিনের মধ্যে এই মামলার অভিযোগপত্র আদালতে দাখিল করতে পারবো।’
২০১৬ সালের ১ জুলাই গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গিরা হামলা চালিয়ে ৯ ইতালিয়ান, সাত জাপানিজ, একজন ভারতীয়, একজন আমেরিকান-বাংলাদেশ দ্বৈত নাগরিক ও দুজন বাংলাদেশি এবং দুই পুলিশ কর্মকর্তাসহ মোট ২২ জনকে হত্যা করে। জঙ্গিরা রেস্টেুরেন্টের অন্যান্য অতিথি এবং কর্মচারীদের রাতভর জিম্মি করে রাখে। পরদিন সকালে সেনাবাহিনীর কমান্ডো অভিযানের মাধ্যমে শেষ হয় এই জিম্মিদশা। অপারেশন থান্ডারবোল্ট নামে পরিচালিত এই অভিযানে পাঁচ জঙ্গি ও একজন পিৎজা শেফ নিহত হয়। এছাড়া, ঘটনার সময় সন্দেহভাজন হিসেবে আটক হওয়া একজন কর্মচারী নিহত হন ৮ জুলাই। আলোচিত এই ঘটনায় গুলশান থানার পুলিশ বাদী হয়ে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে একটি মামলা দায়ের করে।
মামলার তদন্ত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, আলোচিত এই ঘটনায় হামলার পরিকল্পনা থেকে শুরু করে বিভিন্ন পর্যায়ে মোট ২১ জন জঙ্গির জড়িত থাকার তথ্য ও প্রমাণ তারা পেয়েছেন। তাদের নামেই আদালতে চার্জশিট দেওয়া হচ্ছে। এর মধ্যে যারা  বিভিন্ন অভিযানে নিহত হয়েছে, ঘটনার সঙ্গে তাদের জড়িত থাকার বিবরণ উল্লেখ করে চার্জশিটে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

জড়িত ২১ জন কারা?


সিটিটিসি সূত্রে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে জড়িত ২১ জঙ্গির সংক্ষিপ্ত বিবরণ এবং হত্যাকাণ্ডে তাদের কার কী ভূমিকা ছিল, তা তুলে ধরা হলো—
নিহত জঙ্গিরা (ওপরে বাঁ থেকে ) তামিম, মারজান, জাহিদ, সারোয়ার, বাশার ও কাদেরি

তামিম চৌধুরী: বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত কানাডিয়ান নাগরিক তামিম আহমেদ চৌধুরীকে গুলশান হামলার অন্যতম প্রধান পরিকল্পনাকারী হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে চার্জশিটে। ২০১৩ সালের ৫ অক্টোবর তুরস্ক হয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করে তামিম। এরপর প্রথম দিকে জুনুদ আল তাওহিদ নামে একটি জঙ্গি সংগঠন তৈরি করার চেষ্টা করে সে। পরবর্তীতে পুরনো জেএমবির শীর্ষ নেতা আব্দুস সামাদ মামু, মামুনুর রশীদ রিপন ও সরোয়ার জাহানসহ নব্য জেএমবি নামে একটি জঙ্গি সংগঠন গঠন করে। পরবর্তীতে তামিমের পরিকল্পনাতেই গুলশানের হোলি আর্টিজান বেকারিতে হামলা চালানো হয়। হামলার দিন সে মিরপুরের একটি আস্তানায় বসে দুই সহযোগীসহ হামলার পুরো বিষয়টি অনলাইনের মাধ্যমে দেখভাল করে। ২০১৬ সালের ২৭ আগস্ট নারায়ণগঞ্জের পাইকপাড়ায় পুলিশ সদর দফতর ও কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের জঙ্গিবিরোধী এক অভিযানে দুই সহযোগীসহ মারা যায় তামিম।

সরোয়ার জাহান ওরফে আব্দুর রহমান: গুলশান হামলার আরেক শীর্ষ পরিকল্পনাকারী হিসেবে তদন্তে নাম এসেছে সারোয়ার জাহান ওরফে আব্দুর রহমানের। সরোয়ার জাহান ছিল নব্য জেএমবির আধ্যাত্মিক নেতা। গুলশান হামলার আগে সে তামিম চৌধুরীসহ পাঁচ হামলাকারীকে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার একটি বাসায় বসে সর্বশেষ নির্দেশনা দেয়। সরোয়ার জাহান এক সময় পুরনো জেএমবির শীর্ষ নেতা ছিল। তামিমের মাধ্যমে সে নব্য জেএমবিতে যোগাদান করে। সরোয়ার জাহান চাপাইনবাবগঞ্জের ভোলাহাট উপজেলার দলদলি ইউনিয়নের নামো-মুশরীভূজা গ্রামের আব্দুল মান্নানের সন্তান । ২০১৬ সালের ৮ অক্টোবর আশুলিয়ায় সারোয়ারের বাড়িতে র‌্যাব অভিযান চালালে পাঁচ তলা থেকে লাফিয়ে পড়ে পালাতে গিয়ে নিহত হয় সে।

তানভীর কাদেরী ওরফে জামসেদ: হলি আর্টিজানের হামলাকারীদের আশ্রয়দাতা ও অর্থদাতা হিসেবে নাম এসেছে তানভীর কাদেরী ওরফে জামসেদের নাম। হামলার আগে বিভিন্ন সময়ে নব্য জেএমবির সদস্যদের নিজের বাড়িতে থাকার ব্যবস্থা করে দিতো সে। নব্য জেএমবির সাংগঠনিক পরিকল্পনা অনুযায়ী বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার ই-ব্লকের ছয় নম্বর সড়কের টেনামেন্ট-৩ এর ফ্ল্যাট-এ /৬ ভাড়া নেয় সে। পাঁচ হামলাকারী ওই বাসাতেই ওঠেছিল। হামলার আগে অস্ত্র ও বোমা নিয়ে ওই বাসা থেকেই বেড়িয়ে যায় তারা। পরবর্তীতে তানভীর কাদেরী, তার স্ত্রী ও সন্তান, তামিম চৌধুরী, মারজান ও রাজীব গান্ধীরা ওই বাসাটি ছেড়ে চলে যায়। ব্যাংক কর্মকর্তা থেকে জঙ্গিবাদে জড়িয়ে পড়া তানভীর কাদেরীর গ্রামের বাড়ি গাইবান্ধা সদর উপজেলার বোয়ালিয়া ইউনিয়নের পশ্চিম বাটিকমারি গ্রামে। তার বাবার নাম বাতেন কাদেরী। ২০১৬ সালের ১০ সেপ্টেম্বর আজিমপুর এলাকায় সিটিটিসির এক অভিযানে নিহত হয় সে।

নূরুল ইসলাম মারজান: নূরুল ইসলাম মারজানকে গুলশান হামলার পরিকল্পনাকারীদের সহযোগী হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। একই সঙ্গে শীর্ষ নেতা তামিম চৌধুরীর সহযোগী হিসেবে গুলশান হামলার পরিকল্পনা বাস্তবায়নকারী হিসেবেও উল্লেখ করা হয়েছে মারজানের নাম। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি বিভাগের শিক্ষার্থী মারজান নিজে জঙ্গিবাদে জড়ানোর পর স্ত্রীকেও জঙ্গিবাদে জড়ায়। তার  বাড়ি পাবনা সদর থানার হেমায়েতপুর ইউনিয়নের আফুরিয়া গ্রামে। তার বাবার নাম নিজাম উদ্দিন। ২০১৭ সালের ৬ জানুয়ারি মোহাম্মদপুর বেড়িবাঁধ এলাকায় কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে একসহযোগীসহ নিহত হয় মারজান।

বাশারুজ্জামান চকোলেট: মারজানের মতো বাশারুজ্জামান চকোলেটও শীর্ষ নেতা তামিম চৌধুরীর সহযোগী হিসেবে গুলশান হামলার পরিকল্পনা বাস্তবায়নে গুরুত্বপূণ ভূমিকা রাখে। এমনকি তামিমের বিশ্বস্ত সহচর হিসেবে তথ্য আদান-প্রদান ও হামলাকারীদের দেখভাল করার কাজ করতো বাশারুজ্জামান। গুলশান হামলায় অংশ নেওয়া পাঁচ হামলাকারীর একই রঙের গেঞ্জি ও ট্র্যাক সু ও জুতা কেনার কাজটিও করেছিল বাশারুজ্জামান। তার বাবার নাম সিরাজ উদ্দিন। রাজশাহীর তানোর উপজেলার লালপুর এলাকায় তার বাড়ি। ঢাকার নর্থ-সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কম্পিউটার সায়েন্সে স্নাতক ডিগ্রিধারী বাশারুজ্জামান রাজধানীর তেজগাঁও এলাকায় শ্বাশুরবাড়িতে থাকা অবস্থাতে জঙ্গিবাদে জড়িয়ে ঘর ছাড়ে। ২০১৭ সালের ২৬ ও ২৭ এপ্রিল চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জে সিটিটিসির এক জঙ্গিবিরোধী অভিযানে নিহত হয় বাশার।

মিজানুর রহমান ওরফে ছোট মিজান: সোহেল মাহফুজ, সাগর ও বড় মিজানের সঙ্গে গুলশান হামলায় অস্ত্র ও গ্রেনেড সরবরাহে মিজানুর রহমান ওরফে ছোট মিজানের ভূমিকা ছিল বলে তদন্তে উঠে এসেছে। পুরনো জেএমবির সদস্য ছোট মিজান নব্য জেএমবিতে যোগ দেওয়ার পর চাঁপাইনবাবগঞ্জ এলাকায় দায়িত্বশীল পদে কাজ করেছে। তার কাজ ছিল সীমান্ত দিয়ে অস্ত্র ও  বিস্ফোরক পাচার করে বিভিন্ন আস্তানায় পৌঁছে দেওয়া। ২০১৭ সালের ২৬ ও ২৭ এপ্রিল চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জে সিটিটিসির এক জঙ্গিবিরোধী অভিযানে বাশারের সঙ্গে নিহত হয় ছোট মিজান। 

মেজর (অব.) জাহিদুল ইসলাম: গুলশান হামলায় অংশ নেওয়া হামলাকারীদের প্রশিক্ষক হিসেবে তদন্তে নাম এসেছে সেনাবাহিনী থেকে অবসর নেওয়া মেজর জাহিদুল ইসলামের। নব্য জেএমবিতে ‘মেজর মুরাদ’ হিসেবে পরিচিত ছিল সে। গাইবান্ধা ও বগুড়ার বিভিন্ন জঙ্গি আস্তানায় সে হলি আর্টিজানের হামলাকারীদের শারীরিক ও অস্ত্র চালনার প্রশিক্ষণ দেয়। কুমিল্লার সদর উপজেলার পাঁচথুবী ইউনিয়নের চাঁন্দপুর এলাকার বাসিন্দা পুলিশের সাবেক পরিদর্শক নুরুল ইসলামের ছেলে জাহিদ। কানাডা যাওয়ার কথা বলে সেনাবাহিনীর চাকরি ছেড়ে নব্য জেএমবির আরেক নেতা মুসার মাধ্যমে জঙ্গিবাদে জড়িয়ে পড়ে জাহিদ। স্ত্রী ও সন্তানসহ কথিত হিজরতের নামে ঘর ছাড়ে। ২০১৬ সালের ২ সেপ্টেম্বর মিরপুরের রূপনগরে সিটিটিসির জঙ্গিবিরোধী অভিযানে নিহত হয় জাহিদ।

রায়হান কবির ওরফে তারেক: গুলশান হামলায় প্রশিক্ষক হিসেবে রায়হান কবির ওরফে তারেক নামে আরেক তরুণের নামও তদন্তে উঠে এসেছে। মামলার অভিযোগপত্রে রায়হানকে প্রশিক্ষক হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। গাইবান্ধায় নব্য জেএমবির একটি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে গুলশান হামলায় অংশ নেওয়া পাঁচ হামলাকারীকে প্রশিক্ষণ দেয় তারেক। তার গ্রামের বাড়ি রংপুর জেলার পীরগাছা থানার পাশুয়া টাঙ্গাইলপাড়ায়। তার বাবার নাম শাহজাহান মিয়া। ২০১৩ সালে সে একই ইউনিয়নের দামুরচাকলা এলাকার  দেওয়ান সালেহ আহম্মেদ মাদ্রাসা থেকে দাখিল পাস করে। এরপর ঢাকায় এসে জঙ্গিবাদে জড়িয়ে পড়া তারেক ২০১৬ সালের ২৬ জুলাই কল্যাণপুরের জঙ্গি আস্তানায় পুলিশের অভিযানে আট সহযোগীসহ নিহত হয়।

হামলায় সরাসরি অংশ নেওয়া নিহত জঙ্গিরা:

রোহান ইবনে ইমতিয়াজ: হলি আর্টিজান বেকারিতে যে পাঁচ জঙ্গি সরাসরি হামলায় অংশ নিয়েছিল, তাদের দলনেতা ছিল রোহান ইবনে ইমতিয়াজ। তার সাংগঠনিক নাম আবু রাহিক আল বাঙালি। ঢাকার ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি থেকে বিবিএ পড়া অবস্থায় অনলাইনের মাধ্যমে জঙ্গিবাদে জড়িয়ে পড়ে সে। জঙ্গিবাদে জড়িয়ে ২০১৫ সালের ৩০ ডিসেম্বর ঘর ছেড়েছিল রোহান। নব্য জেএমবির বিভিন্ন আস্তানায় প্রশিক্ষণ নিয়ে ২০১৬ সালের পহেলা জুলাই হলি আর্টিজান বেকারিতে সরাসরি হামলায় অংশ নেয়। রোহানের বাবার নাম ইমতিয়াজ খান বাবুল। তাদের বাসা ঢাকার লালমাটিয়ার ‘বি’ ব্লকের ৭/৯ নম্বর প্লটে। জঙ্গি হামলার পরদিন কমান্ডো অভিযানে নিহত হয় রোহান।
গুলশান হামলায় সরাসরি অংশ নেওয়া পাঁচ জঙ্গি (বাঁ থেকে) নিবরাস, মোবাশ্বের, রোহান,  উজ্জ্বল ও পায়েল


নিবরাস ইসলাম: গুলশান হামলায় সরাসরি অংশ নেওয়া নিবরাস ইসলামের সাংগঠনিক নাম ছিল আবু মুহারিব আল বাঙালি। ঢাকার টার্কিশ হোপ স্কুল থেকে ও লেভেল এবং এ লেভেল শেষ করে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় নর্থ সাউথে ভর্তি হয়েছিল নিবরাস। সেখান থেকে মালয়েশিয়া গিয়ে মোনাশ ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি হয়। মোনাশে পড়া অবস্থায় তিউনিশিয়ান এক বন্ধুর মাধ্যমে জঙ্গিবাদে জড়িয়ে পড়ে নিবরাস। ২০১৫ সালের অক্টোবর মাসে দেশে ফিরে আসে। এরপর ২০১৬ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি হিজরতের নামে ঘর ছেড়ে যায় নিবরাস। তার বাবার নাম নজরুল ইসলাম। উত্তরার তিন নম্বর সেক্টরের সাত নম্বর সড়কের ৩১ নম্বর বাসায় পরিবারের সঙ্গে থাকতো সে।

মীর সামিহ মোবাশ্বের: গুলশান হামলায় সরাসরি অংশ নেওয়া আরেক জঙ্গি হলো মীর সামিহ মোবাশ্বের। তার সাংগঠনিক নাম আবু সালামাহ আল বাঙালি। স্কলাসটিকা থেকে ও লেভেল পাস করা মোবাশ্বের এ লেভেল পরীক্ষার আগে জঙ্গিবাদে জড়িয়ে ২০১৬ সালের ২৯ ফেব্রুয়ারি বাড়ি ছেড়ে চলে যায়। অন্যদের মতো মোবাশ্বেরও গাইবান্ধা, বগুড়া ও ঝিনাইদহে নব্য জেএমবির আস্তানায় থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে তামিম চৌধুরীর নির্দেশে হলি আর্টিজান বেকারিতে হামলায় অংশ নেয়। মীর সামিহ মোবাশ্বেরের বাবার নাম মীর হায়াত এ কবির। বাবা-মায়ের সঙ্গে সে বনানীর পুরনো ডিওএইচএসের পাঁচ নম্বর সড়কের ৬৮/এ নম্বর বাসায় থাকতো। গুলশান হামলার পরদিন কমান্ডো অভিযানে নিহত হয় মোবাশ্বের।

খায়রুল ইসলাম পায়েল: সরাসরি হামলায় অংশ নেওয়া খায়রুল ইসলাম পায়েলের সাংগঠনিক নাম আবু উমায়ার আল বাঙালি। তার গ্রামের বাড়ি বগুড়া জেলার শাহজাহানপুর থানার চুতিনগর ইউনিয়নের ব্রিকুষ্টিয়ায়। তার বাবা আবুল হোসেন একজন দিনমজুর। পায়েল প্রথমে ব্রিকুষ্টিয়া দারুল হাদিস সালাদিয়া কওমি মাদ্রাসায় পড়াশুনা করে। পরে ডিহিগ্রাম ডিইউ সেন্ট্রাল ফাজিল মাদ্রাসা থেকে ২০১৩ সালে দাখিল ও ২০১৫ সালে আলিম পাস করে। হামলার এক বছর আগে থেকে নিখোঁজ ছিল সে। গুলশান হামলা ছাড়াও আরও বেশ কয়েকটি হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে সে জড়িত ছিল। নব্য জেএমবির দায়িত্বশীল নেতা রাজীব ওরফে গান্ধী ওরফে সুভাষ ওরফে জাহাঙ্গীরের মাধ্যমে জঙ্গিবাদে জড়িয়ে পড়ে পায়েল। গুলশান হামলার পরদিন কমান্ডো অভিযানে নিহত হয় সে।

শফিকুল ইসলাম উজ্জ্বল ওরফে বিকাশ: শফিকুল ইসলাম উজ্জলের সাংগঠনিক নাম আবু মুসলিম আল বাঙালি। গুলশান হামলায় সরাসরি অংশ নেওয়া উজ্জ্বলের গ্রামের বাড়ি বগুড়ার ধুনট উপজেলার ভাণ্ডার বাড়ি ইউনিয়নের কৈয়াগাড়ি গ্রামে। তার বাবার নাম বদিউজ্জামান বদি। উজ্জল ধুনটের গোঁসাইবাড়ি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি ও গোসাইবাড়ি ডিগ্রি কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করে। এরপর বগুড়া সরকারি আজিজুল হক কলেজে ভর্তি হয়। পরে পড়ালেখা বাদ দিয়ে ঢাকার আশুলিয়া থানার শাজাহান মার্কেট এলাকায় মাদারী মাতব্বর কিন্ডারগার্টেন স্কুলে শিক্ষকতার চাকরি নেয়। তাবলিগে যাবার নাম করে জঙ্গিবাদে জড়িয়ে পড়ে সে। পায়েলও  রাজীব গান্ধীর হাত ধরেই জঙ্গিবাদে জড়িয়ে গুলশান হামলায় অংশ নেয়। হামলার পরদিন সকালে কমান্ডো অভিযানে নিহত হয় সে।

গ্রেফতার হওয়া ছয় জঙ্গি

জাহাঙ্গীর হোসেন ওরফে রাজীব গান্ধী: জাহাঙ্গীর হোসেন ওরফে রাজীব গান্ধীর বিরুদ্ধে গুলশান হামলার পরিকল্পনাকারী ও হামলাকারী জঙ্গি সরবরাহকারী হিসেবে তথ্য-প্রমাণ পেয়েছে মামলার তদন্ত সংশ্লিষ্টরা। ২০১৭ সালের ১৪ জানুয়ারি ঢাকার কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের হাতে গ্রেফতার হওয়া রাজীব গান্ধী গুলশান হামলার আদ্যোপান্ত স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। রাজীবের বাড়ি গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জের পশ্চিমরাঘরপুর এলাকার ভূতমারী ঘাট এলাকায়। তার বাবার নাম মাওলানা ওসমান গণি মণ্ডল। স্থানীয় একটি কলেজ থেকে এসএসসি পাস করা রাজীব ২০১৫ সালে স্ত্রী ও সন্তান নিয়ে ‘হিজরত’ করে। স্থানীয় একটি কলেজ থেকে সে এসএসসি পাস করেছে। রাজীব বর্তমানে কারাবন্দি রয়েছে।
গ্রেফতার জঙ্গিরা (বাঁ থেকে ঘড়ির কাঁটার মতো) রাজীব, সাগর, মাহফুজ, বড় মিজান, রাশেদ ও রিগ্যান


আসলামুল ইসলাম ওরফে রাশেদ ওরফে র‌্যাশ: গুলশান হামলার পরিকল্পনা সহযোগী ও বাস্তবায়নকারী হিসেবে তদন্তে নাম এসেছে আসলামুল ইসলাম ওরফে রাশেদ ওরফে র‌্যাশের নাম। সে ছিল শীর্ষ নেতা তামিম চৌধুরীর ঘনিষ্ট। নওগাঁর মান্দা এলাকার আব্দুস সালামের ছেলে রাশেদ উচ্চ মাধ্যমিক পড়া অবস্থাতেই প্রথমে অনলাইনের মাধ্যমে জঙ্গিবাদে জড়িয়ে পড়ে। পরবর্তী সময়ে নব্য জেএমবির নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ হয় তার। ঢাকায় আসার পর তামিম চৌধুরী ও মারজানের সঙ্গে থেকে জঙ্গি কার্যক্রম চালিয়ে যেতে থাকে। গুলশান হামলার পরিকল্পনা বাস্তবায়নে তামিম ও মারজানের সহযোগী হিসেবে কাজ করে। ২০১৭ সালের ২৮ জুলাই নাটোর থেকে গ্রেফতার হওয়ার পর আদালতে দায় স্বীকার করে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিও দিয়েছে সে। বর্তমানে রাশেদ কারাবন্দি রয়েছে।

সোহেল মাহফুজ ওরফে হাতকাটা মাহফুজ: গুলশান হামলায় অস্ত্র ও বোমা তৈরি এবং সরবরাহকারী হিসেবে তদন্তে নাম এসেছে সোহেল মাহফুজ ওরফে হাতকাটা মাহফুজের নাম। সোহেল মাহফুজ এক সময় পুরনো জেএমবির শীর্ষ নেতা ছিল। ২০০২ সালে পাবনা জেলা স্কুলে দশম শ্রেণিতে পড়া অবস্থাতেই জঙ্গিবাদে জড়িয়ে পড়ে সে। সোহেল মূলত বোমা তৈরির কারিগর। বোমা তৈরি করতে গিয়ে তার এক হাত উড়ে যায়। ২০১৪ সালে তামিম চৌধুরীর সঙ্গে যুক্ত হয়ে নব্য জেএমবির অস্ত্র ও বোমা তৈরির কারিগর হিসেবে কাজ করতে থাকে। গুলশান হামলায় ব্যবহৃত গ্রেনেডগুলো   শেওড়াপাড়ার আস্তানায় বসে নিজের হাতেই তৈরি করেছিল সে। ২০১৭ সালের ৭ জুলাই চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ থানাধীন পুস্কনি এলাকা থেকে তিন সহযোগীসহ গ্রেফতার করা হয় তাকে। পরবর্তীতে কয়েক দফা রিমান্ড শেষে ২৩ জুলাই গুলশান হামলার দায় স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয় সোহেল। তার গ্রামের বাড়ি কুষ্টিয়ার কুমারখালীর শিলাইদহ এলাকার সাদিপুর কাবলিপপাড়া এলাকায়। তার বাবার নাম রেজাউল করিম শেখ। বর্তমানে সে কারাগারে রয়েছে।

হাদীসুর রহমান সাগর: গুলশান হামলার তদন্তে হাদীসুর রহমান সাগরের বিরুদ্ধে বোমা তৈরি ও অস্ত্র-বোমা সরবরাহের তথ্য-প্রমাণ পেয়েছেন তদন্তকারীরা । মামলার অভিযোগপত্রে তার নাম থাকছে। পুরানো জেএমবির সদস্য সাগর ২০০১ সালে জয়পুরহাট সদরের বানিয়াপাড়া আলিয়া কামিল মাদ্রাসা থেকে আলিম পাস করার পর থেকেই জঙ্গিবাদে জড়িয়ে পড়ে। ভারত থেকে অস্ত্র ও বিস্ফোরক আনার সবগুলো রুট জানা ছিল তার। ২০১৪ সালে সে নব্য জেএমবির হয়ে কাজ শুরুর পর হলি আর্টিজানে হামলার জন্য অস্ত্র ও বিস্ফোরক সরবরাহ করেছিল সে। সাগরের গ্রামের বাড়ি জয়পুরহাটের কয়রাপাড়ায়। বাবার নাম হারুন অর রশিদ। এ বছরের (২০১৮) ২১ মার্চ চাপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ থেকে সাগরকে গ্রেফতারের পর দুই দফা রিমান্ড শেষে ৫ এপ্রিল গুলশান হামলায় সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছে। সাগর আরেক জঙ্গি মারজানের ভগ্নিপতি বর্তমানে সে কারাগারে রয়েছে। 

রাকিবুল হাসান রিগ্যান: গুলশান হামলা মামলার তদন্তে রাকিবুল হাসান রিগ্যানের নাম এসেছে হামলাকারীদের প্রশিক্ষক হিসেবে। বয়সে তরুণ  রিগ্যান ২০১৫ সালে বগুড়া সরকারি শাহ সুলতান কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করার পর জঙ্গিবাদে জড়িয়ে পড়ে। ওই বছরের ২৬ জুলাই সকালে কোচিংয়ের কথা বলে ঘর ছাড়ে রিগ্যান। নব্য জেএমবির তরুণ প্রশিক্ষক হিসেবে গাইবান্ধা ও বগুড়ার বিভিন্ন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে গুলশান হামলায় অংশ নেওয়া হামলকারীদের ধর্মীয় ও শারীরিক প্রশিক্ষণ দিয়েছিল সে। রিগ্যানের বাড়ি বগুড়ার জামিলনগর এলাকায়। তার বাবার নাম মৃত রেজাউল করিম। ২০১৬ সালের ২৬ জুলাই কল্যাণপুরের জঙ্গি আস্তানায় অভিযান চলাকালে পালিয়ে যাওয়ার সময় রিগ্যানকে গ্রেফতার করেন সিটিটিসি’র সদস্যরা। ওই বছরের ৩ অক্টোবার গুলশান হামলায় নিজের জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয় রিগ্যান। বর্তমানে সে কারাবন্দি রয়েছে।

মিজানুর রহমান ওরফে বড় মিজান: গুলশান হামলায় ব্যবহৃত অস্ত্র, বিস্ফোরক ও গোলাবারুদ চাঁপাইনবাবগঞ্জ এলাকার সীমান্ত থেকে ঢাকায় আনার দায়িত্ব ছিল মিজানুর রহমান ওরফে বড় মিজানের। মামলার তদন্তে উঠে এসেছে— আমের ঝুড়িতে করে চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে অস্ত্র ও বিস্ফোরক ঢাকায় এনে তামিম ও মারজানের কাছে পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করতো সে। ২০১৭ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি বনানী এলাকা থেকে মিজানুর রহমান ওরফে বড় মিজানকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পুরনো জেএমবির সদস্য বড় মিজান চাঁপাইনবাবগঞ্জ এলাকায় নব্য জেএমবি’র আঞ্চলিক সংগঠক ও সামরিক কমান্ডার হিসেবে দায়িত্ব পালন করতো। গ্রেফতারের পর গত বছরের ২৬ মার্চ হলি আর্টিজানে হামলার দায় স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে সে। বর্তমানে মিজান কারাগারে রয়েছে।

পলাতক দুই জঙ্গি

মামুনুর রশিদ রিপন: গুলশান হামলার পরিকল্পনা ও হামলাকারী (জঙ্গি) সরবরাহকারী হিসেবে নাম এসেছে নব্য জেএমবির গুরুত্বপূর্ণ নেতা মামুনুর রশীদ রিপনের। এক সময় পুরনো জেএমবির শীর্ষ নেতা ছিল রিপন। বাংলাদেশে এসে তামিম চৌধুরী যে কয়জনের সঙ্গে ঘনিষ্ট হয়ে নব্য জেএমবি গঠন করে, রিপন তাদের মধ্যে অন্যতম। রিপন এক সময় উত্তরবঙ্গের সামরিক কমান্ডার হিসেবে কাজ করতো। গুলশান হামলায় জড়িত থাকার পাশাপাশি উত্তরবঙ্গে একাধিক হত্যাকাণ্ডে জড়িত সে। তার গ্রামের বাড়ি বগুড়ার নন্দীগ্রাম থানার চৌদীঘির মারিয়া এলাকায়। তার বাবার নাম নাছের উদ্দিন। গুলশান হামলার পর থেকেই রিপন পলাতক রয়েছে। গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের ধারণা, রিপন ভারতে গিয়ে আত্মগোপন করে আছে।
গুলশান হামলায় জড়িত দুই পলাতক জঙ্গি (বাঁ থেকে) মামুনুর রশীদ রিপন ও শরীফুল ইসলাম খালিদ

শরীফুল ইসলাম খালিদ: রিপনের মতো খালিদও হলি আর্টিজানে হামলার পরিকল্পনায় সহযোগিতা, বাস্তবায়ন ও হামলাকারী সরবরাহে ভূমিকা রেখেছিল বলে তদন্তে প্রমাণ পেয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। খালিদ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী ছিল। নব্য জেএমবির শীর্ষ নেতা তামিম চৌধুরীর সঙ্গে প্রথম থেকেই যোগাযোগ ছিল তার। রাজশাহী জেলার বাগমারা থানার শ্রীপুর এলাকায় তার গ্রামের বাড়ি। তার বাবার নাম আব্দুল হাকিম। গুলশান হামলার পর থেকে সেও পলাতক রয়েছে। রিপনের সঙ্গে সেও ভারতে আত্মগোপন করে আছে বলে গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের ধারণা।  (বাংলাট্রিবিউন)

সংবাদ সম্মেলনের আগে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের ওপর হামলা

admin June 30, 2018

কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। আজ শনিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে এ হামলার ঘটনা ঘটে। এতে আন্দোলনকারীদের প্ল্যাটফর্ম বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক নুরুল হক নুরসহ অন্তত তিনজন আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে নুরুল হক নুরর অবস্থা গুরুতর বলে জানা গেছে।

কোটা বাতিল বলে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের প্রায় তিন মাস পার হলেও প্রজ্ঞাপন জারির কার্যকর কোনো পদক্ষেপ না নেয়ায় নতুন করে আন্দোলনের প্রস্তুতির জন্য শনিবার বেলা ১১টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে সংবাদ সম্মেলন ডাকে আন্দোলনকারীরা। তবে সংবাদ সম্মেলন শুরুর আগেই তাদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে।

এ হামলার জন্য ছাত্রলীগকে দায়ী করেছেন কোটা সংস্কার আন্দোলনের নেতারা। অান্দোলনকারীদের যুগ্ম-অাহ্বায়ক রাশেদ খান বলেন, ‘আন্দোলনকারী অনেকের ওপর হামলা করেছে ছাত্রলীগ। এতে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। নুরের অবস্থা অাশংকাজনক।’

তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছে ছাত্রলীগ। তাদের দাবি, কোটা নিয়ে আন্দোলনকারীদের অন্তর্কলহের জের ধরে এই হামলার ঘটনা ঘটেছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আজ (শনিবার) বেলা ১১টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের সংবাদ সম্মেলন হওয়ার কথা ছিল। তবে তার আগেই ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা সেখানে অবস্থান নেয়। সংবাদ সম্মেলনের জন্য কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের একটি দল কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে আসার পর ‘শিবির ধর’, ‘শিবির ধর’ বলে অতর্কিত হামলা চালানো হয়। নুরকে ঘিরে ধরে মারধর করা হয়। এসময় ‘ওরে মেরে ফেল’, ‘কলিজা কাট’ ইত্যাদি উক্তি করে তাকে লাথি, ঘুষি, চড়-থাপ্পড় দিতে থাকে হামলাকারীরা। একপর্যায় নুর মাটিতে পড়ে গেলে শোয়া অবস্থায় তাকে লাথি মারতে থাকে তারা। এরপর লাইব্রেরি বাহিরে টেনে নিয়ে এসে আবারও তাকে মারধর করা হয়। এসময় তার নাক-মুখ ফেটে রক্ত বের হতে দেখা যায়। পরে শিক্ষকরা তাকে উদ্ধার করে লাইব্রেরির ভেতরে নিয়ে যান। এসময় কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের প্রধান গ্রন্থাগারিক এস এম জাবেদ আহমেদও হামলাকারীদের হাতে লাঞ্ছিত হন।

পরে লাইব্রেরির সামনে বিশ্বধর্ম ও সংস্কৃতি বিভাগের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র আরশসহ আরও দুইজনকে মারধর করা হয়। আহতদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

এ বিষয়ে পুলিশে রমনা বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মারুফ হোসেন সরদার বলেন, ‘বিষয়টি আমরা শুনেছি। কিন্তু আমরা চাইলেই ক্যাম্পাসের ভেতরে যেতে পারি না। এ ঘটনায় কাউকে গ্রেফতারও করা হয়নি।’

এদিকে হামলার প্রতিবাদে রোববার থেকে দেশের সব কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে অনির্দিষ্টকালের জন্য ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কোটা সংস্কারের দাবিতে গড়ে ওঠা আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের প্ল্যাটফর্ম বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ। একই সঙ্গে সারা দেশে অবরোধ কর্মসূচিও পালন করা হবে বলে জানিয়েছেন আন্দোলনকারীদের যুগ্ম আহ্বায়ক রাশেদ খান।

কোটা সংস্কারের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে ক্ষুব্ধ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ১১ এপ্রিল জাতীয় সংসদে কোটা ব্যবস্থা বাতিলের কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘কোটা নিয়ে যখন এতকিছু, তখন কোটাই থাকবে না। কোনও কোটারই দরকার নেই। যারা প্রতিবন্ধী ও ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী তাদের আমরা অন্যভাবে চাকরির ব্যবস্থা করে দেব।’

কিন্তু প্রধানমন্ত্রী বক্তব্য অনুযায়ী কোটা নিয়ে কোনো আদেশ জারি করা না হলে ফের স্বোচ্চার হন শিক্ষার্থীরা।

বজ্রপাতে কুড়িগ্রাম আলিয়া কামিল মাদরাসায় অগ্নিকাণ্ড

admin June 30, 2018
কুড়িগ্রামে বজ্রপাতে আলিয়া কামিল মাদ্রাসায় অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে গেছে একটি টিনশেড বিল্ডিংয়ের ৪টি রুম। এই ৪টি রুমে মাদ্রাসার অধ্যক্ষ এবং উপাধ্যক্ষের চেম্বার, অফিস, অভ্যন্তরীণ পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের কক্ষে থাকা প্রয়োজনীয় কাগজপত্রাদী, কম্পিউটার, ল্যাপটপ, আসবাবপত্রসহ প্রায় ৩০ লাখ টাকার মালামাল সম্পূর্ণভাবে ভস্মীভূত হয়েছে।
গত ২৪ জুন রবিবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে এ বজ্রপাতের ঘটনা ঘটে। ফায়ার সার্ভিসের ৪টি ইউনিট প্রায় ৪০ মিনিট চেষ্টা করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
ফায়ার সার্ভিস জানায়, রবিবার সকালে মাদ্রাসা টিনসেড ভবনের উপর বজ্রপাতের ঘটনা ঘটে। এতে মাদ্রাসার সুপারের রুমে আগুন লেগে তা দ্রুত পার্শ্ববর্তী রুমগুলোতে ছড়িয়ে পড়ে। কুড়িগ্রাম আলিয়া কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ নূর বখত জানান, মাদ্রাসায় বজ্রপাতে আগুনের ঘটনায় প্রায় ৩০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।


কাউন্সিলর একরামের মৃত্যুর সময়ের শরীর শিউরে ওঠা অডিও ক্লিপ

admin June 30, 2018
কক্সবাজার-টেকনাফের মেরিন ড্রাইভ সড়কে র‌্যাবের সঙ্গে কথিত ‘বন্দুকযুদ্ধে’ তিনবারের নির্বাচিত পৌর কাউন্সিলর ও উপজেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি একরামুল হকের মৃত্যু মেনে নিতে পারছেন না পরিবার ও রাজনৈতিক সহকর্মীরা। তাদের দাবি- এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড।

ঘটনার ৬ দিনের মাথায় নিহত একরামুল হকের স্ত্রী আয়েশা বেগম, দুই মেয়ে তাহিয়াত ও নাহিয়ান কক্সবাজার প্রেস ক্লাবে বৃহস্পতিবার সংবাদ সম্মেলনে হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ফোনের অটো রেকর্ডারে রেকর্ড হওয়া চারটি ক্লিপ সাংবাদিকদের শোনান।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে আয়েশা বলেন, ২৬ মে রাতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয় দিয়ে একরামকে তুলে নিয়ে যায়। এ সময় আমার স্বামী মোবাইলে আমার মেয়ে ও আমার সঙ্গে কথা বলেন। তখন তার কণ্ঠে আতঙ্ক ছিল।

এরপর থেকে আমার মোবাইলটি সারাক্ষণ খোলা ছিল। এতে রেকর্ড হচ্ছিল। ওই দিন রাতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চিৎকার ও গুলির শব্দ শুনেই আমি ও আমার পরিবার আঁতকে উঠি। তখনই বুঝতে পারি আমার স্বামীকে অন্যায়ভাবে গুলি করে হত্যা করেছে র‌্যাব।



মাদক বিরোধী অভিযানের এক্সক্লুসিভ ভিডিও

admin June 30, 2018
মাদক বিরোধী অভিযানের এক্সক্লুসিভ ভিডিও

 

বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের উৎক্ষেপণের ভিডিও

admin June 30, 2018
বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ বাংলাদেশের প্রথম ভূস্থির যোগাযোগ উপগ্রহ। এটি বাংলাদেশ সময় ১২ মে ভোর ০২:১ থেকে৪ তে কেনেডি স্পেস সেন্টার উৎক্ষেপণ করা হয়।  এই প্রকল্পটি ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের অধীন বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন কর্তৃক বাস্তবায়িত হয় এবং এটি ফ্যালকন ৯ ব্লক ৫ রকেটের প্রথম পেলোড উৎক্ষেপণ ছিল।

বিস্তারিত- https://bn.wikipedia.org/wiki/বঙ্গবন্ধু-১






বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইন্টারিট নিয়ে একটি শর্ট ডকুমেন্টারি:


ভাঙন আতঙ্কে কুড়িগ্রামের নদী পাড়ের বাসিন্দারা

admin June 30, 2018
কুড়িগ্রামে নদ-নদী তীরবর্তী মানুষের মাঝে বন্যার পাশাপাশি ভাঙন আতঙ্ক তীব্র আকার ধারণ করেছে। বাঁধের ঝুঁকিপূর্ণ স্থানসমূহ দ্রুত সংস্কার করা না হলে বন্যার পানিতে ঘরবাড়িসহ কৃষিজমি মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হবে। কুড়িগ্রামে ১৬টি নদ-নদীর ৩১৬ কিলোমিটার দীর্ঘ নদী পথ রয়েছে। এখানে প্রায় সাড়ে চার শতাধিক ছোটবড় চরাঞ্চল। ৯টি উপজেলায় ৩টি পৌরসভা,৭৩ ইউনিয়নে ২০ লাখের অধিক মানুষের বসবাস। এরমধ্যে ৬০ হতে ৬৫টি ইউনিয়নে ছোটবড় প্রায় সাড়ে ৪ শতাধিক চরে সাড়ে ছয় শতাধিক গ্রামে চার লক্ষাধিক মানুষ বসবাস করে। ফলে প্রতিবছর বন্যায় এদের সিংহ ভাগই বন্যায় আক্রান্ত হয়। আর নদ-নদীর ভাঙনে প্রতি বছরই শতশত পরিবার গৃহহীন হয়ে পড়ে। চোখের সামনেই বসতবাড়ি, বাগান ও আবাদি জমিসহ সহায় সম্বল নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যাওয়া দেখতে হয় ভাঙন কবলিতদের।

সরেজমিনে দেখা যায়, সদর উপজেলার হলোখানা ইউনিয়নের চর সারডোব এলাকার বাংটুর ঘাট হতে ফুলবাড়ি উপজেলার সঙ্গে সংযোগ যোগাযোগ পাকা রাস্তার ২শ মিটার বাঁধের ঢাল ধরলা নদীর ভাঙনে বিলীন হয়ে গেছে। অপরদিকে চিলমারী উপজেলার ব্রহ্মপুত্র নদীর স্থায়ী ডান তীর রক্ষা প্রকল্পের কাঁচকোল দক্ষিণ খামার এলাকায় পিচিংসহ ৯৫মিটার ব্লক নদীতে ধসে পড়েছে এবং উলিপুর উপজেলার কাজির চরের বাঁধের ৫৫ মিটার ঢাল বিলীন হয়ে গেছে।

এছাড়াও আরও রাজারহাটের ছিনাই ইউনিয়নের কালোয়ার ৪শ মিটার, কাঁঠালবাড়ি ইউনিয়নের বাংটুর ঘাটে ৩শ মিটার, হলোখানা ইউনিয়নের চর সারডোবে ৪শ মিটার, মোগলবাসা ইউনিয়নের সিতাই ঝাড় ৩শ মিটার, বামন ডাঙ্গা ইউনিয়নে ৩শ মিটার, মুরিয়া বাজার ২শ মিটার, লালমনিরহাট জেলার বড়বাড়িতে ১৫০মিটারসহ দুই কিলোমিটার বাঁধের অংশ ঝুঁকিতে রয়েছে। দ্রুত এসব ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধ ঠিক করা না হলে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করে ঘরবাড়ি ও ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হবে।

চিলমারী উপজেলার রাণীগঞ্জ ইউনিয়নের দক্ষিণ খামার পাড় গ্রামের ভাঙ্গনের স্বীকার গাদলু চন্দ্র দাস (৪৫) বলেন, ঈদের দিন ভোর বেলা আকষ্মিক ভাবে ব্লকে ভাঙন শুরু হয়। এতে একদিনেই ১২টি পরিবার ২০টি ঘরবাড়ি ভেঙে গৃহহীন হয়ে পড়ে।

ভাঙনের স্বীকার কার্তিক চন্দ্র (৫০), জোস্না (৫৫) ও মেনেকা (৬৫) জানান, সরকার কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে ব্লকের কাজ করছে। কিন্তু সেই কাজেও অনিয়ম করেছে ঠিকাদারসহ কর্তৃপক্ষ। মৌখিক অভিযোগ দিলেও তারা তা আমলে নেয়নি। যার কারণে ব্লকের বাঁধ এক বছরের মাথায় ভেঙে আমাদের ঘরবাড়ি নদীর পেটে যাচ্ছে।

কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী শফিকুল ইসলাম বলেন, টাস্ক ফোর্সের মাধ্যমে পরীক্ষা-নিরীক্ষার পরেই ব্লকগুলো ব্যবহার করা হয়েছে। প্রাকৃতিক কারণে প্রায় ৬শ মিটার ব্লক ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। ভাঙন এলাকায় জরুরি ভিত্তিতে কাজ শুরু করা হয়েছে। জেলার বাকি ঝুঁকিপূর্ণ বাঁধের অংশ মেরামতের জন্য মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে। বরাদ্দ পেলেই কাজ শুরু করা হবে।

বালিয়াডাঙ্গীতে সাঁওতাল বিদ্রোহ দিবস পালন

admin June 30, 2018

আজ ৩০ জুন ঐতিহাসিক সাঁওতাল বিদ্রোহ দিবস। ১৮৫৫ সালের সাঁওতাল বিদ্রোহ নিরক্ষর সাঁওতালেরা রক্ত দিয়ে রচনা করেছিল ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী সংগ্রামের ইতিহাসে গৌরবোজ্জল এক অধ্যায়। মুক্তিকামী মানুষের কাছে সাঁওতাল বিদ্রোহ আজও প্রেরণার উৎস। তাই ৩০ জুন 'সাঁওতাল বিদ্রোহ দিবস' হিসেবে শ্রদ্ধার  সঙ্গে স্মরণ করা হয়। 
দিবসটি উদযাপন উপলক্ষে আজ ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গীতে জাতীয় আদিবাসী পরিষদ বালিয়াডাঙ্গী কর্তৃক শোভাযাত্রা, আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন। শোভাযাত্রা শেষে বালিয়াডাঙ্গী অডিটোরিয়াম হলরুমে  আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।  সভায় রাফায়েল মরমুর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহি অফিসার আঃ মান্নান, বিশেষ অতিথি মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আঃ রহমান, প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসার সামিয়েল মার্ডার, ঠাকুরগাঁও জেলা আদিবাসি সংগঠনের উপদেষ্টা সাংবাদিক সামশুজ্জোহা।  সভায় বক্তব্য রাখেন আদিবাসী নেতা ঢেরা মুরমু সহ আদিবাসি নেতৃবর্গ। 
উল্লেখ যে, ভারতের ভাগলপুর, মুর্শিদাবাদ ও বীরভূম জেলার প্রায় দেড় হাজার বর্গমাইল এলাকা দামিন-ই-কোহ্ বা 'পাহাড়ের ওড়না' এলাকা হিসেবে চিহ্নিত। ভগনা ডিহি গ্রামের সিধু, কানু, চাঁদ ও ভৈরব এই চার ভাইয়ের নেতৃত্বে দামিন-ই-কোহ্ অঞ্চলে সংঘটিত হয় সাঁওতাল বিদ্রোহ। 
১৮৫৫ সালের ৩০ জুন বড়রা ডিহি গ্রামের ৪০০ গ্রামের প্রতিনিধ ১০ হাজার সাঁওতাল কৃষকের বিরাট প্রতিনিধি জমায়েত হয়। এই জমায়েতে সিধু-কানু ভাষণ দেন। এই সভায় সিদ্ধান্ত হয়, অত্যাচারী শোষকদের হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য সবাইকে এক হয়ে লড়তে হবে। এখন থেকে কেউ জমির কোনো খাজনা দেবে না এবং প্রত্যেকে এক হয়ে লড়তে হবে। প্রত্যেকেরই যত খুশি জমি চাষ করার স্বাধীনতা থাকবে। আর সাঁওতালদের সব ঋণ এখন বাতিল হবে। তারা মুলুক দখল করে নিজেদের সরকার কায়েম করবে। ১০ হাজার সাঁওতাল কৃষক সেদিন শোষণহীন সমাজ প্রতিষ্ঠার শপথ ছিল বিদ্রোহ শপথ। মূল দাবি ছিল, 'জমি চাই, মুক্তি চাই।

দেশি লুকে নিকের সঙ্গে কোথায় গেলেন প্রিয়াঙ্কা?

admin June 30, 2018

বলিউডে এখন টক অফ দ্য টাউন প্রিয়াঙ্কা-নিক৷ ‘দেশি গার্ল’-এর দেশি লুক সামনে আসতেই আবার শুরু গুঞ্জন৷ মার্কিনি বয়ফ্রেন্ডের সঙ্গে এক্কেবারে বং লুকে দেখা গেল পিসিকে৷ গোয়া থেকে ছুটি কাটিয়ে এসে শাড়ি পরে সেজেগুজে কোথায় গেলেন বলিউডের লাভ বার্ডস?

আলি আব্বাস জাফর পরিচালিত ‘ভারত’-র শুটিং শুরু হতে এখনও বেশ কয়েকদিন বাকি৷ তার আগে আপাতত ছুটির মুডে প্রিয়াঙ্কা চোপড়া৷ নিউ জার্সির অ্যাটলান্টিস সিটিতে নিকের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেই সোজা উড়ে এসেছেন মুম্বইতে৷ সঙ্গে অবশ্যই তাঁর ‘ফেভরিট ম্যান’ নিক৷ মা মধু চোপড়ার সঙ্গে দেখা করিয়ে দিতেই নাকি নিককে নিয়ে এক্কেবারে নিজের দেশে প্রিয়াঙ্কা৷ এরপর অবসর কাটাতে নিকের সঙ্গে গোয়াও যান ‘পিগি চপস’৷ লাভ বার্ডসের সঙ্গে ‘ড্রামা কুইন’ পরিণীতি চোপড়াও ছিলেন৷ রাখঢাক আর না রেখে বুধবার নিককে ‘ফেভরিট ম্যান’ বলে আরও গুঞ্জন উসকে দেন প্রিয়াঙ্কা৷ গোয়ায় দুজনের ছুটি কাটানোর ছবি ভাইরাল হয়ে যাওয়ার পর থেকেই চলছে গুঞ্জন৷ এখন একটাই কানাঘুষো তবে কি এবার বাগদান পর্ব সেরেই ফেলছেন দুজনে?

এরই মাঝে আবারও চমক৷ এবার বং লুকে ‘পিগি চপস’৷ সাদা শাড়িতে সেজে গুজে দেখে গেল তাঁকে৷ গোয়া থেকে ফিরে মুম্বইতে আকাশ আম্বানি ও শ্লোকা মেহেতার মেহেন্দি অনুষ্ঠানে গেলেন তিনি৷ সঙ্গে নিক জোনাস৷ মেহেন্দি অনুষ্ঠানে একেবারে সপরিবারে উপস্থিত ছিলেন লাভ বার্ডস৷ ছবিতে দেখা গিয়েছে মা মধু চোপড়াকেও৷

মেহেন্দি পার্টিতে আকাশ ও শ্লোকার সঙ্গে ছবিও ক্লিক করে নেন প্রিয়াঙ্কা৷ সেই ছবি ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করেন ‘পিগি চপস’৷ দুজনকে কনগ্র্যাচুলেশনও জানান ‘দেশি গার্ল’৷

গোয়া ট্রিপের পর ‘দেশি গার্ল’ ও তাঁর মার্কিনি বয়ফ্রেন্ডের মেহেন্দি পার্টিতে যুগল উপস্থিতি নিজেদের এনগেজমেন্টের গুঞ্জন আরও জোরালো করেছে৷ নিজে মুখে যদিও অফিসিয়ালি জুটি বাঁধার বিষয়ে মুখ খোলেননি প্রিয়াঙ্কা৷ তবে শোনা যাচ্ছে জুলাইতে নাকি এনগেজমেন্ট দুজনের৷

জ্যাকুলিনের চমক হলিউডে প্রথম লুকে!

admin June 30, 2018
বলিউড নায়িকাদের কাজের দ্বিতীয় জায়গা এখন হলিউড। ঐশ্বরিয়া, প্রিয়াঙ্কা, দীপিকার পদচারণার পর এমনটাই হতে যাচ্ছে এখন। সেই তালিকায় এখন যোগ হয়েছে জ্যাকুলিন ফার্নান্দেজের নাম। ‘ডেফিনেশন অব ফিয়ার’ শিরোনামে একটি ছবির মাধ্যমে হলিউডে পা রেখেছেন জ্যাকুলিন। ছবিটি পরিচালনা করেছেন জেমস সিম্পসন।
স¤প্রতি ইউটিউবে প্রকাশিত হয়েছে ছবিটির ট্রেলার। ট্রেলারে উপস্থিতিতে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন জ্যাকুলিন।
এ প্রসঙ্গে জ্যাকুলিন বলেন, ‘ভৌতিক একটি ছবিতে অভিনয় করেছি। কাজটি নিয়ে আমি খুব উচ্ছ¡সিত। প্রথম হলিউড সিনেমা হিসেবে এটি স্বাভাবিক অনুভ‚তি। সিনেমা সংশ্লিষ্টরাও বেশ সন্তুষ্ট।’
নিয়মিত হলিউড সিনেমায় তাকে দেখা যাবে কি-না সেই প্রসঙ্গে জ্যাকুলিন বলেন, ‘নিয়মিত হওয়ার বিষয়টি এখন বলা সম্ভব নয়। কারণ ছবিটি এখনো মুক্তি পায়নি। এটি সময় হলে বোঝা যাবে।’

নবনির্বাচিত কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দকে বাংলাদেশ ফটো জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের অভিনন্দন

admin June 30, 2018

বাংলাদেশ ফটো জার্নালিষ্ট এসোসিয়েশনের নব নির্বাচিত সভাপতি গোলাম মোস্তফা, সাধারণ সম্পাদক কাজল হাজরা, সাংগঠনিক সম্পাদক মোবারক হোসেনসহ ২০১৮-২০২০ শেষনের কার্যনির্বাহী সংসদের সকল সদস্যকে অভিনন্দন জানিয়েছেন বাংলাদেশ ফটো জার্নালিষ্ট এসোসিয়েশন, রংপুর এর সভাপতি কাজী জাহিদ হোসেন লুসিড, সহ সভাপতি এম মিরু সরকার, সাধারণ সম্পাদক মমিনুল ইসলাম রিপন, সহ সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান আরমান, সাংগঠনিক সম্পাদক নজমুল ওয়াহাব টিপু, কোষাধ্যক্ষ ইমরোজ হোসেন ইমু, প্রচার, দপ্তর ও প্রকাশনা সম্পাদক মেজবাহুল মোকাররম হিমেল, কার্যকরী সদস্য আসাদুজ্জামান আফজাল, শাহীন হোসেন জাকির, মেরাজুল ইসলাম মেরাজ, সদস্য মঈনুল ইসলাম, কামরুজ্জামান সেলিম, শাহীন হোসেন, পারভেজ ইসলাম প্রমুখ।
অভিনন্দন বার্তায় নেতৃবৃন্দ কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের সুস্থাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করে বলেন, তাদের সুযোগ্য নেতৃত্বে সারা বাংলাদেশের ফটো সাংবাদিকদের অধিকার এবং নিরাপত্বা নিশ্চিত হবে। পাশাপাশি পেশাগত মানোন্নয়নে তারা গুরুত্বপুর্ন ভূমিকা পালন করবেন।

বোদায় বড় পর্দায় বিশ্বকাপের খেলা দেখতে দর্শকদের ভীড়

admin June 30, 2018
পঞ্চগড়ের বোদায় বড় পর্দায় বিশ্বকাপের খেলা দেখতে দর্শকদের ভীড় বাড়ছে। বোদা পৌর শহরের পল্লীবিদ্যুৎ সংলগ্ন বিশিষ্ট সমাজসেবী, জাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক, বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী ও বোদা মহিলা মহাবিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক এমরান আল আমিন তার নিজস্ব উদ্যোগে মিল চাতাল মাঠে প্রজেক্টরের মাধ্যম বড় পর্দায় বিশ্বকাপ ফুটবল খেলা দেখানোর আয়োজন করেছেন। এই আয়োজনটি উপজেলার মধ্যে সবচেয়ে বড় আয়োজন বলে অনেকেই মনে করছেন। প্রতিদিন খেলা দেখতে দর্শকদের ভীড় বাড়ছে। দূর দুরান্ত থেকে অনেকে বড় পর্দায় খেলা দেখতে আসছেন। এ বিষয়ে এমরান আল আমিনের বললে আমি একজন ফুটবল প্রেমী মানুষ হিসেবে সবার সাথে খেলা উপভোগ করতেই ২০০২ সালের থেকে বিশ্বকাপ খেলা বড় পর্দায় দেখানোর ব্যবস্থা করি। ২০০২ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত চলতি বিশ্বকাপের খেলা দেখার ধারাবাহিকতা ধরে রেখেছি।  

আমরণ অনশনে অসুস্থ ৯২ শিক্ষক-কর্মচারী

admin June 30, 2018
স্বীকৃতপ্রাপ্ত নন-এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিভুক্তির দাবিতে আমরণ অনশন কর্মসূচিতে এ পর্যন্ত ৯২ জন শিক্ষক-কর্মচারী অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। তাদের মধ্যে ৬৯ জনকে স্যালাইন দেয়া হয়েছে এবং বৃষ্টিতে ভিজে অসুস্থ হয়ে পড়ায় গতকাল পর্যন্ত ১১ জনকে ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি করা হয়েছে। নন-এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষক কর্মচারী ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ ড. বিনয় ভ‚ষণ রায় জাগো নিউজকে এসব তথ্য জানিয়েছেন।
গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ২০তম দিনেও তারা কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছেন। এছাড়া ৫ম দিনের মতো তাদের আমরণ অনশন কর্মসূচির চলছে। ড. বিনয় ভ‚ষণ রায় বলেন, সংসেদ বাজেট পাশ হয়েছ। যিদ আমাদের দাবি মেন না নেয়া হয় তাহেল আরও কঠোর কর্মসূচি দেয়া হেব। যত ঝড়-তুফান আসুক না কেন আমাদের দাবি না মানা পর্যন্ত আমরা অনশন চালিয় যাবে। অনশনে অংশ নেয়া শিক্ষকরা বলেন, তারা ১৫ থেকে ২০ বছর যাবত সারাদেশে পাঁচ হাজারের অধিক স্বীকৃতিপ্রাপ্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ২০ লাখের বেশি শিক্ষার্থীকে বিনা বেতনে পাঠদান দিয়ে আসছেন। অনেকের চাকরির মেয়াদ আছে ৫-১০ বছর। বেতন-ভাতা না পাওয়ায় শিক্ষক-কর্মচারীরা অত্যন্ত কষ্টকর ও মানবেতর জীবনযাপন করছেন।
তারা বলেন, গত ১২ জুন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত করতে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (স্কুল-কলেজ) এর জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা ২০১৮ জারি করা হয়েছে। এই নীতিমালা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পাঠদান অনুমতি ও স্বীকৃতির সময় আরোপিত শর্তের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। চলতি ২০১৮-১৯ বাজেটে নতুন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির জন্য বরাদ্দের কোনো সুস্পষ্ট ঘোষণা নেই। যার ফলে নন-এমপিও শিক্ষক কর্মচারীর অত্যন্ত হতাশ ও আশাহত হয়ে পড়েছেন। এ অবস্থায় মহামান্য রাষ্ট্রপতির হস্তক্ষেপে সারাদেশের নন এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান একযোগে এমপিওভুক্তি হলে সকলেই সন্তুষ্ট চিত্তে বাড়ি ফিরে যাবে।
এর আগে এমপিওভুক্তির দাবিতে নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীরা গত বছরের ২৬ ডিসেম্বর থেকে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে লাগাতার কর্মসূচি শুরু করেন। নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষক-কর্মচারী ফেডারেশনের ডাকে টানা ওই অবস্থান ও অনশনের একপর্যায়ে গত ৫ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রীরর পক্ষ থেকে তার তৎকালীন একান্ত সচিব সাজ্জাদুল হাসান সেখানে গিয়ে তাদের দাবি মেনে নেয়ার আশ্বাস দেন।
এরপর শিক্ষক-কর্মচারীরা আন্দোলন কর্মসূচি স্থগিতের ঘোষণা দেন। সরকারের বিভিন্ন পর্যায় থেকে বলা হয়েছে আসন্ন অর্থ বছরে নতুন বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করা হবে। কিন্তু অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত ২০১৮-২০১৯ অর্থ বছরের যে বাজেট প্রস্তাব করেন, সেখানে নতুন এমপিওভুক্তির বিষয়ে সুস্পষ্টভাবে কিছু বলা হয়নি বলে জানান তারা।

স্কুলছাত্রীকে গণধর্ষণের পর ভিডিও ছড়ানোর হুমকি, আটক ২

admin June 30, 2018

টাঙ্গাইলের গোপালপুরে ৪র্থ শ্রেণিতে পড়–য়া এক স্কুলছাত্রীকে গণধর্ষণ ও ধর্ষণের ভিডিও ছড়িয়ে দেয়ার হুমকি দিয়ে দুই লাখ টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগে ধর্ষক ও তার সহযোগীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় ওই স্কুলছাত্রীর মা বাদী হয়ে বৃহস্পতিবার গোপালপুর থানায় গণধর্ষণ ও পর্নগ্রাফি আইনে মামলা করেছেন। পরে অভিযান চালিয়ে পুলিশ দুইজনকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতাররা হলেন- উপজেলার পাথালিয়া গ্রামের হাসেন আলীর ছেলে মজনু মিয়া (৩০) ও তার সহযোগী একই গ্রামের ফজলু মিয়ার স্ত্রী জোছনা বেগম (৪০)।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বাবা-মায়ের বিবাহ বিচ্ছেদ হয়ে যাওয়ায় পর বিধবা নানির কাছে থেকে উপজেলার নগদাশিমলা ইউনিয়নের উত্তর পাথালিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণিতে ওই ছাত্রী লেখাপড়া করতো। গত ১৬ এপ্রিল সে উত্তর পাথালিয়া গ্রামের প্রতিবেশী ফজলু মিয়ার বাড়ির ফ্রিজে রাখা দুধ আনতে যায়। এ সময় ফজলু মিয়ার স্ত্রী জোছনা বেগমের যোগসাজশে একই গ্রামের হাসেন আলীর ছেলে মজনু মিয়া এবং শামসুল হকের ছেলে সোহাগ (১৫) ওই স্কুলছাত্রীকে কৌশলে ঘরে আটক করে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। গত বৃহস্পতিবার (২৮ জুন) নির্যাতনের শিকার মেয়েটির মা তিনজনকে আসামি করে গোপালপুর থানায় গণধর্ষণ ও পর্নগ্রাফি আইনে মামলা দায়ের করলে পুলিশ অভিযান চালিয়ে মজনু মিয়া ও তার সহযোগী জোছন বেগমকে গ্রেফতার করে। অপর আসামি সোহাগ পলাতক রয়েছে।
মামলার বাদী ওই স্কুলছাত্রীর মা অভিযোগ করেন, তাদের দারিদ্রতা ও অসহায়ত্বের সুযোগ নিয়ে ধর্ষকরা পুনরায় মেয়েটিকে তাদের হাতে তুলে দেয়ার জন্য বাড়িতে এসে হুমকি-ধামকি দিতে থাকে। এমতাবস্থায় তার স্কুলে যাওয়া বন্ধ হয়ে যায়। পরে নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে মেয়েটিকে টাঙ্গাইল শহরের এক আত্মীয়ের বাড়িতে নিয়ে লুকিয়ে রাখা হয়। গত ৯ জুন ধর্ষকরা মেয়েটির নানিবাড়ি গিয়ে নানির হাতে ধর্ষণের প্রমাণ হিসেবে একটি মোবাইলের মেমোরি কার্ড তুলে দেয়। এ প্রসঙ্গে গোপালপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাসান আল মামুন জানান, এ ঘটনায় দুই আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আরেক আসামিকে গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।

এবার ‘ইনস্টাগ্রাম লাইট’

admin June 30, 2018

নিজেদের ছবি শেয়ারিং অ্যাপ ইনস্টাগ্রামের ‘হালকা’ সংস্করণ ইনস্টাগ্রাম লাইট উন্মোচন করেছে অ্যাপটির মালিক প্রতিষ্ঠান ফেইসবুক। মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনবিসি’র প্রতিবেদনে বলা হয়, বুধবার অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোনগুলোর জন্য গুগল প্লে স্টোরে ‘নীরবেই’ ৫৭৪ কিলোবাইটের এই অ্যাপ আনা হয়। মূল ইনস্টাগ্রাম অ্যাপের ক্ষেত্রে প্রায় ৯০ মেগাবাইট জায়গা দরকার হয়।
ইনস্টাগ্রাম লাইট অ্যাপটি দিয়ে ব্যবহারকারীরা ছবি ও ২৪ ঘণ্টা পর অদৃশ্য হয়ে যায় এমন স্টোরি দেখতে ও পোস্ট করতে পারবেন। এই অ্যাপের ব্যবহারকারীরা বর্তমানে এর মাধ্যমে বন্ধুদের মেসেজ পাঠানো বা ভিডিও শেয়ার করতে পারছেন না। তবে গুগল প্লে স্টোরে অ্যাপটির বর্ণনায় বলা হয়েছে শীঘ্রই এই সুবিধাগুলোও আনা হবে।
কম দামের অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসগুলোর আধিপত্য বজায় রাখা ক্রমবর্ধ্মান বাজারগুলোর দিকে লক্ষ্য রেখে ইনস্টাগ্রাম লাইট অ্যাপটি আনা হয়েছে, এমনটাই উল্লেখ করা হয় প্রতিবেদনে। ২০১৫ সালে ফেইসবুক অ্যাপেরও একটি ‘লাইট’ সংস্করণ আনা হয়েছিল।
ইনস্টাগ্রামের এক মুখপাত্র প্রযুক্তি সাইট টেকক্রাঞ্চ-কে বলেন, “আমরা ইনস্টাগ্রামের নতুন একটি সংস্করণ নিয়ে পরীক্ষা করছি যা আপনাদের ডিভাইসের কম জায়গা নেবে, কম ডেটা ব্যবহার করবে ও দ্রæত শুরু হবে।” 

করুনারত্নের দেড়শ বাংলাদেশের ব্যাটিং ধসের পর

admin June 30, 2018
সাব্বির রহমান ছুটছিলেন দেড়শ পেরিয়ে। বাংলাদেশ ‘এ’ ছিল চারশর কাছাকাছি। এরপরই নাটকীয় ধস। সাব্বির পারলেন না দুইশর কাছে যেতে। দল গুটিয়ে গেল চারশ পেরিয়েই। এরপর ড্রয়ের আগে দারুণ ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশকে ভোগালেন দিমুথ করুনারত্নে।
ড্র হয়েছে বাংলাদেশ ‘এ’ ও শ্রীলঙ্কা ‘এ’ দলের আনঅফিসিয়াল টেস্ট। শুক্রবার শেষ দিনে বাংলাদেশ প্রথম ইনিংসে অলআউট হয়েছে ৪১৪ রানে। শ্রীলঙ্কা ‘এ’ দ্বিতীয় ইনিংসে তুলেছে ২ উইকেটে ২৬২ রান। 
বাংলাদেশ চতুর্থ দিন শুরু করছিল ৪ উইকেটে ৩৬০ রান নিয়ে। সাব্বির অপরাজিত ছিলেন ১৪৪ রানে।
জাকির হাসানের সঙ্গে তার আগের দিনের জুটি এদিনও দলকে টেনে নেয় কিছুদূর। দুজনের ১০৪ রানের জুটি শেষ হয় জাকিরের বিদায়ে। ৩৫ রান করা বাঁহাতি ব্যাটসম্যানকে ফেরান লাকশান সান্দাক্যান। 
এই চায়নাম্যান বোলারই এরপর ধসিয়ে দেন বাংলাদেশকে। ক্যারিয়ারে প্রথমবার দেড়শ ছাড়িয়ে সাব্বির আউট হন ১৬৫ রানে।
অলরাউন্ডার মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিন পারেননি সুযোগ কাজে লাগাতে। লোয়ার অর্ডারেও টিকতে পারেননি কেউ। ২৭ রানে বাংলাদেশ হারায় শেষ ৬ উইকেট।
আগের দিন বেশ খরুচে হলেও এদিন দারুণ বোলিংয়ে সান্দাক্যান ইনিংস শেষ করেন ১০৮ রানে ৫ উইকেট নিয়ে।
দুই ইনিংস শেষ হতেই হয়ে গেছে চতুর্থ দিন সকাল, ম্যাচের ফল তাই অবধারিতই ছিল। শেষের আগে ব্যাটিং অনুশীলন দারুণ ভাবে সেরে নেন করুনারতেœ। প্রথম ইনিংসের সেঞ্চুরিয়ান থিরিমান্নেও রান পেয়েছেন আবার।
দেশের মাটিতে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজের প্রস্ততির জন্য করুনারতেœকে এই সিরিজে পাঠিয়েছে নির্বাচকরা। সেই প্রস্তুতি হলো দুর্দান্ত। শেষ দিনে বাংলাদেশের বোলারদের নির্বিষ বোলিংকে তুলোধুনো করে বাঁহাতি ওপেনার করেছেন ১৬৫ বলে ১৬১।
লাহিরু মিলান্থার সঙ্গে করুনারতেœর উদ্বোধনী জুটি ছিল ৯৩ রানের। দ্বিতীয় উইকেটে করুনারতেœ ও থিরিমান্নে গড়েন ১৬৫ রানের জুটি। থিরিমান্নে অপরাজিত থাকেন ৬৭ রানে। 
তিন ম্যাচ সিরিজের দ্বিতীয় চারদিনের ম্যাচ আগামি মঙ্গলবার থেকে সিলেটে।  সংক্ষিপ্ত স্কোর: 
শ্রীলঙ্কা ‘এ’ ১ম ইনিংস: ৪৪৯/৮ (ডি.) 
বাংলাদেশ ‘এ’ ১ম ইনিংস: ১৩৫ ওভারে ৪১৪ (আগের দিন ৩৬০/৪)(সাব্বির ১৬৫, জাকির ৩৫, সাইফ উদ্দিন ৯, আবু হায়দার ০, নাঈম ৮*, অপু ০, খলেদ ৬; থারাকা ১/৬৮, মাদুশাঙ্কা ০/৫৭, আসালাঙ্কা ১/৪১, জয়াসুরিয়া ৩/৮৩, সান্দাক্যান ৫/১০৮, শাম্মু ০/৭, মিলান্থা ০/৩৫, প্রিয়াঞ্জন ০/১১)।
শ্রীলঙ্কা ‘এ’ ২য় ইনিংস: ৫৭ ওভারে ২৬২/২ (করুনারতেœ ১৬১, মিলান্থা ৩০, থিরিমান্নে ৬৭*, প্রিয়াঞ্জন ২*; খালেদ ৬-১-২৭-০, আবু হায়দার ৪-০-২৩-০, নাঈম ১৯-২-৮৫-০, নাজমুল অপু ১০-০-৩৭-১, মোসাদ্দেক ৯-০-৩৯-১, সাদমান ১-০-৪-০, সাইফ উদ্দিন ৪-০-২৩-০, সৌম্য ৪-০-২৩-০)।
ফল: ম্যাচ ড্র
সিরিজ: ৩ ম্যাচ সিরিজে ০-০ সমতা

‘পার্কিংকই’ অ্যাপ দিবে ট্রাফিক সমস্যার সমাধান

admin June 30, 2018
নতুন কোনো জায়গায় গেলে শখের গাড়িটি কোথায় পার্ক করবেন তা নিয়ে অনেকেই বিপাকে পড়েন। তবে ফোনে যদি ‘পার্কিংকই’ নামে একটি অ্যাপ ইন্সটল করা থাকে তাহলে এই সমস্যা থেকে সহজেই মুক্তি মিলবে।
ব্যহারকারীর অবস্থান থেকে ৫ কিলোমিটারের মধ্যে ফ্রি এবং নিরাপদ বিনামূল্যের সব পার্কিং প্লেস খুঁজে দেবে অ্যাসপটি। এছাড়া, কিভাবে সেখানে যেতে অ্যাপটির মাধ্যমে সেটাও দেখে নেওয়া যাবে।
একটি গবেষণায় দেখা গেছে, একজন ড্রাইভার গাড়ির পার্কিং খুঁজতে গিয়ে তার জীবনের ১০৬ দিনের সমপরিমাণ সময় ব্যয় করেন। এছাড়া, ঢাকাশহরে ৩০ শতাংশ যানজট এই অবৈধ পার্কিংয়ের জন্যই সৃষ্টি হয়।
বর্তমানে প্রায় ৫ হাজার ব্যবহারকারী ঢাকার ১০ হাজার বেশী পার্কিং স্পেস এ নিরাপদে তাদের গাড়িটি বৈধভাবে পার্ক করছে।
বাসা-বাড়ির মালিকরাও পার্কিংয়ের জায়গা ভাড়া দিয়ে অ্যাসপটির সাহায্যে আয়ও করছেন। পার্কিংকই’ এর প্রতিষ্ঠাতা রাফাত রহমান জানান, অ্যাপটি চালকও গ্যারেজের মালিকের মধ্যে সমন্বয় করবে। গাড়ি সকালে বের হলে সাধারণত গ্যারেজ বা পার্কিং স্পেস খালি থাকে।
সেখানে অ্যাপ ব্যবহার করে চালককে ঘণ্টা, দিন বা সপ্তাহ চুক্তিতে ভাড়া দেওয়া যাবে।এমনকি এই অ্যাপ ব্যবহার করে সুলভমূল্যে মাসিক পার্কিং খুজে পাওয়া যাবে। অ্যাপটির সাহায্যে লোকেশনও ঘণ্টা অনুযায়ী ৫ থাকে ৩০ টাকায় পার্কিং ভাড়া পাওয়া যাবে। এ পর্যন্ত অ্যাপটি দিয়ে ১৫০০ এর বেশী পারকিং সফল ভাবে সম্পন্ন হয়েছে।
অ্যাসপটি সম্পর্কে পার্কিংকই এর প্রধান কারিগরি কর্মকর্তা সাব্বির আহমেদ বলেন, পার্কিং সমস্যা এবং যানজট নিয়ে কাজ করাটা সত্যি বেশ চ্যাইলেঞ্জিং ছিল। আমরা চেষ্টা করেছি যতটা সম্ভব একটি সুন্দর ইউজার ইন্টারফেসের অ্যাপ্লিকেশন তৈরি করতে। যেন সবাই তা সহজেই ব্যবহার করতে পারেন।
ব্যইবহারকারীদের গাড়ির নিরাপত্তা দেওয়ার বিষয়ে প্রতিষ্ঠানটির হেড অফ বিজনেস আরিফুর রহমান বলেন, অ্যাপটিতে নিবন্ধনের সময় গাড়ি মালিকও পার্কিং স্পেস যিনি ভাড়া দেবেন তাদের ন্যাশনাল আইডি কার্ড আমরা ভেরিফাই করেছি। উভয়ের জন্য টার্মস অ্যান্ড কন্ডিশনস পলিসি আছে। আমাদের অপারেশন টিম আছে যারা ব্যকবহারকারীদের ভেরিফাই করছে। এ ছাড়া বিভিন্ন ইনস্যুরেন্স কোম্পানির সঙ্গেও আলোচনা চলছে।

বাংলাদেশে মোবাইল ব্যবহারকারী ১৫ কোটির বেশি

admin June 30, 2018
বাংলাদেশে মোবাইল সংযোগকারীর সংখ্যা গত মে মাস পর্যন্ত ১৫ কোটি ৭ লাখ ২০ হাজার। মার্চ মাস শেষে গ্রাহক সংখ্যা ছিল ১৫ কোটি ৩ লাখ ৩০ হাজার। এমন তথ্য জানায়, বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)।
বিটিআরসির পরিসংখ্যান অনুযায়ী মে মাসের শেষে দেশের সবচেয়ে বড় অপারেটর গ্রামীণ ফোনের গ্রাহক সংখ্যা ৬ কোটি ৮৬ লাখ ৯০ হাজার। বাংলালিংকের ৩ কোটি ৩৩ লাখ ৪০ হাজার। রবির ৪ কোটি ৫০ লাখ ২০ হাজার। রাষ্ট্রায়ত্ত মোবাইল অপারেটর টেলিটকের গ্রাহক সংখ্যা দাঁড়ায় ৩৭ লাখ ৫০ হাজার।

Image Gallary

 
1 / 3
   
Caption Text
 
2 / 3
   
Caption Two
 
3 / 3
   
Caption Three