উত্তরাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি, নিম্নাঞ্চলে বাড়ছে পানি, হুমকিতে মধ্যাঞ্চল

উত্তরাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি, নিম্নাঞ্চলে বাড়ছে পানি, হুমকিতে মধ্যাঞ্চল

admin July 09, 2018
Kurigram Flood Situation, Kurigram Flood, Kurigram Flood 2018

গত ৫ জুলাই থেকে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে তিস্তাসহ বেশকিছু নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় রংপুরের গঙ্গাচড়া, লালমনিরহাট, কুড়িগ্রামের তিস্তা পাড়ের এলাকাগুলোতে বন্যা দেখা দেয়। পানি বৃদ্ধিতে প্লাবিত হয় এসব এলাকার গ্রাম, ভাঙন শুরু হয় নদী পাড়েরর গ্রামগুলো, চরম দুর্ভোগে পরে এলাকার বাসিন্দারা। তবে ইতোমধ্যেই কমতে শুরু করেছে তিস্তাসহ কুড়িগ্রামের ধরলা, ব্রহ্মপুত্র ও দুধকুমারসহ বিভিন্ন নদ-নদীর পানি। ফলে উত্তরাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতি অনেকটা উন্নতির দিকে। উত্তরাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হলেও যমুনা পাড়ের নিম্নাঞ্চল এলাকা বগুড়া, জামালপুর ও সিরাজগঞ্জ জেলায় পানি বাড়ছে বলে জানা গেছে। যমুনার পানি বাড়ায় বন্যার ঝুঁকিতে রয়েছে টাঙ্গাইল, মুন্সীগঞ্জসহ মধ্যাঞ্চলও।



উত্তরাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেও পানি বাড়ছে যমুনা পাড়েরর বগুড়া, জামালপুর ও সিরাজগঞ্জ জেলাসমূহে।যমুনার পানি বাড়ছে হুহু করে, ক্রমেই অবনতি ঘটছে বন্যা পরিস্থিতির। যমুনার পানি বাড়ায় ঝুঁকিতে রয়েছে টাঙ্গাইল, মুন্সীগঞ্জসহ মধ্যাঞ্চলও।

উত্তরাঞ্চলে পানি কমতে শুরু করলেও বন্যার কবলে চরম কষ্ট আর দুর্ভোগে দিন পার করছেন এসব এলাকার ক্ষতিগ্রস্তরা। আবার অনেক এলাকায় যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন রয়েছে। রয়েছে বিশুদ্ধ পানি, আবাস ও খাবার সঙ্কট। আর দূষিত পানি পান করায় বাড়ছে ডায়রিয়াসহ পানিবাহিত বিভিন্ন রোগ। এদিকে এসব এলাকায় বন্যা পরবর্তী ত্রাণ তৎপরতা অব্যাহত আছে। স্থানীয় প্রশাসন ও বিভিন্ন ব্যক্তি উদ্যোগে চলছে ত্রাণ বিতরণ কর্মসূচি।


কুড়িগাম জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন অফিস সূত্রে জানা গেছে, জেলার ক্ষতিগ্রস্ত এসব এলাকায় শুকনো খাবার ও ৫০ টন চাল বিতরণ শুরু হয়েছে। এ ছাড়া ৫০ টন জিআর চাল, দুই লাখ টাকা জিআর ক্যাশ এবং ৩০০ প্যাকেট শুকনো খাবার মজুদ রয়েছে। জানা গেছে, কুড়্রিগামে ধরলা, ব্রহ্মপুত্র ও দুধকুমার নদ-নদী তীরবর্তী এলাকায় ১৫ হাজার মানুষ পানিবন্দি অবস্থায় আছে। অনেক এলাকায় ভেঙে পড়েছে যোগাযোগ ব্যবস্থা। বাড়ছে ডায়রিয়াসহ পানিবাহিত রোগের প্রকোপ। জেলার সদরের সন্ন্যাসী বাঁধে আশ্রয় নেওয়া বাহাদুর মিয়া জানান, ঘরবাড়ি থেকে এখনও পানি পুরোপুরি নামেনি। তাই পলিথিন টাঙিয়ে তারা এখানে আছেন।


Kurigram Flood Situation, Kurigram Flood, Kurigram Flood 2018

রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ এনামুল কবির জানান, তিস্তার পানি কমতে শুরু করেছে। ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা করে দ্রুত জমা দেওয়ার স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। উপজেলার দ্বিতীয় তিস্তা সেতু সড়কের একটি সেতু ধসে গেছে বলেও জানিয়ে তিনি বলেন, সেতুর ভাঙনরোধকল্পে আপাতত বালুর বস্তা দেওয়া হচ্ছে।


অপরদিকে লালমির হাটেও বন্যা পরিস্থিতির অনেকটা উন্নতি হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। লালমনিরহাটের দোয়ানী তিস্তা ব্যারাজ কন্ট্রোল রুম জানিয়েছে, তিস্তার পানি প্রবাহ কমতে শুরু করেছে। ফলে দুর্গত এলাকা থেকে পানি নামছে। জানা গেছে তিস্তা সংলগ্ন চর এলাকাগুলোতে এখনো কয়েখ হাজার মানুষ পানিবন্দী অবস্থায় চরম দুর্ভোগে দিনাতিপাত করছে। তাদের মধ্যে দেখা দিয়েছে বিশুদ্ধ পানি ও খাবারের সঙ্কট। ফলে বন্যা দুর্গতরা তাদের পরিবার-পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। লালমনিরহাট জেলা ত্রাণ শাখার দায়িত্বে থাকা সহকারী কমিশনার সুইচিং মং মারমা বলেন, বন্যদুর্গতদের জন্য ৩৫ মেট্রিক টন জিআর চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। চাল ও অন্যান্য ত্রাণ সাম্রগী বিতরণ চলছে বলেও জানান তিনি।


উত্তরাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেও পানি বাড়ছে বগুড়া, জামালপুর ও সিরাজগঞ্জ জেলার যমুনা পাড়ের নিম্নাঞ্চলসমূহে। এসব এলাকায় বন্যা পরিস্থিতির ক্রমেই অবনতি ঘটছে। যমুনার পানি বাড়ছে হুহু করে। পানির স্রোতে বাঁধ ভেঙে যাচ্ছে, ফলে বৃদ্ধি পেয়েছে নদী ভাঙন। এসব এলাকার লাখো মানুষ দিশেহারা হয়ে পড়েছে। গত কয়েকদিনে তেমন বৃষ্টিপাত না হলেও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলে নদ-নদীর পানি বাড়ছে।


এদিকে উত্তরাঞ্চলে বন্যা কবলিত হওয়ার পাশাপাশি বন্যার আশঙ্কা করা হচ্ছে টাঙ্গাইল, মুন্সীগঞ্জসহ মধ্যাঞ্চলও। পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের গতকালের তথ্য অনুসারে, যমুনা নদীর পানি একটি পয়েন্টে বিপদসীমা অতিক্রম করে এবং দু’টি পয়েন্টে বিপদসীমা বরাবর প্রবাহিত হচ্ছে। এর মধ্যে সিরাজগঞ্জের কাজীপুরে বিপদসীমার ২৭ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে এবং জামালপুর জেলার বাহাদুরাবাদ ও বগুড়া জেলার সারিয়াকান্দিতে বিপদসীমায় অবস্থান করছে বলে জানায় পাউবো। অপরদিকে উজানের বৃষ্টিপাত ও পাহাড়ী ঢল কমে যাওয়ায় বন্যা পরিস্থিতি উন্নতির দিকে যাচ্ছে সিলেটে অঞ্চলে। বন্যা পূর্বাভাস ও সর্তকীরণ কেন্দ্র গতকাল জানিয়েছে, সুরমা, কুশিয়ারা ৪টি পয়েন্টে পানি হ্রাস অব্যাহত থাকতে পারে।

ডেইলি মিররের প্রতিবেদন: জবাই করে ও পুড়িয়ে মারা হয় রোহিঙ্গা শিশুদের

admin July 02, 2018

রোহিঙ্গা শিশুদের জবাই করে হত্যাসহ তাদের জীবন্ত পুড়িয়ে মারার তথ্য প্রকাশ প্রকাশ করেছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ডেইলি মিরর। প্রতিবেদনে রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গা নিধনের ভয়াবহ চিত্র তুলে ধরা হয়েছে। এমন এক সময় ডেইল মিরর এ পিলে চমকানো খবর জানাচ্ছে, যখন রোহিঙ্গাদের দেখতে বাংলাদেশ সফর কছেন জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিয়ো গুতেরেস ও বিশ্ব ব্যাংক প্রধান জিম ইয়ং কিম।

প্রতিবেদনে বলা হয়, মিয়ানমার সেনাবাহিনী, রোহিঙ্গা শিশুদের জবাই করে হত্যার পর টুকরো টুকরো করে আগুনে পুড়িয়ে দেয়। কোনো কোনো শিশুকে আবার আকাশে ছুঁড়ে মেরে, চাপাতি দিয়ে দ্বিখণ্ডিত করার কথাও তুলে ধরা হয়েছে। মিররের বিশেষ প্রতিনিধি টম প্যারোর কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করে এসব তথ্য সংগ্রহ করেন।


যশোর প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হয়ে দুই পাইলট নিহত

admin July 02, 2018
যশোরে বিমান বাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ বিমান (কে-৮ডব্লিউ) বিধ্বস্ত হয়ে দুইজন পাইলট নিহত হয়েছেন। নিহতরা হলেন স্কোয়ার্ডন লিডার মো. সিরাজুল ইসলাম ও এনায়েত কবির পলাশ। ১ জুলাই, রবিবার রাত ৯টার দিকে যশোরের একটি বাওরে বিমানটি বিধ্বস্ত হয়। যশোর বিমান বন্দর কর্তৃপক্ষ জানায়, প্রশিক্ষণ বিমানটি যশোর বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়ন করে। স্থানীয়রা জানান, বিমানটি বুকভরা বাঁওড়ের মাঝেই পড়েছে।

ব্রাজিল-মেক্সিকো লড়াই পরিসংখ্যানে

admin July 02, 2018
১৯৯০ সালের পর থেকে কখনও বিশ্বকাপের কোয়ার্টার-ফাইনালের আগে বাদ পড়েনি ব্রাজিল। অন্যদিকে শেষ ছয় বিশ্বকাপেই দ্বিতীয় রাউন্ড থেকে ছিটকে গেছে মেক্সিকো। বিশ্ব মঞ্চে চার দেখায় একবারও ব্রাজিলকে হারাতে পারেনি, হজম করেছে ১১টি গোল। সামারায় সোমবার বাংলাদেশ সময় রাত ৮টায় কোয়ার্টার-ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে মুখোমুখি হবে দুই দল।

# নিজেদের শেষ ১৫টি প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচে অপরাজিত আছে তিতের ব্রাজিল।

# ১৯৯৯ সালের পর থেকে ব্রাজিলের বিপক্ষে শেষ ১৫ ম্যাচের সাতটিতে জয় আছে মেক্সিকোর, হার পাঁচটি।

# রাশিয়া বিশ্বকাপে এ পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি ৪২ বার বল ড্রিবল করার চেষ্টা করেছেন ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড নেইমার। ২৮ বার ড্রিবল করে তার সবচেয়ে কাছে আছেন আর্জেন্টিনার লিওনেল মেসি।

# এ পর্যন্ত নেইমার ১৮টি গোলের সুযোগ পেয়েছেন, যা আসরে অন্য যে কোনো খেলোয়াড়ের চেয়ে বেশি।

# গ্রæপ পর্বে নিজেদের তিন ম্যাচে ৫৬টি শট নিয়েছে ব্রাজিল। টুর্নামেন্টে টিকে আছে এমন দলগুলির মধ্যে এটি সর্বোচ্চ। শেষ ষোলোর প্রতিপক্ষ মেক্সিকো নিয়েছে ৪৪টি শট।

# টুর্নামেন্টে এখন পর্যন্ত ১ হাজার ৮৮৪টি পাস দেওয়ার চেষ্টা করেছে সেলেসাওরা, যা মেক্সিকোর চেয়ে ৬৩১টি বেশি।

# গ্রæপ পর্বের তিন ম্যাচে ২৯৭.৬৬ কিলোমিটার দৌড়েছে মেক্সিকো। চলতি আসরে এর চেয়ে কম দৌড়েছে শুধু পানামা। ব্রাজিলের সবাই মিলে দৌড়েছে ৩১৩.৪ কিলোমিটার।

# টুর্নামেন্টে টিকে থাকা দলগুলোর মধ্যে ব্রাজিলের চেয়ে বেশি সময় বল পায়ে রাখতে পেরেছে শুধু স্পেন। তিন ম্যাচে ১১১ মিনিট ৪ সেকেন্ড নিজেদের পায়ে বল রেখেছে তিতের দল। অন্যদিকে মেক্সিকোর বল পজেশন ৮৮ মিনিট ৩০ সেকেন্ড।

# গ্রæপ পর্বে দুই হলুদ কার্ড দেখায় শেষ ষোলোয় খেলতে পারবেন না মেক্সিকোর ডিফেন্ডার এক্তর মোরেনো।

# তিন ব্রাজিলিয়ান (ফিলিপে কৌতিনিয়ো, কাসেমিরো ও নেইমার) ও মেক্সিকোর তিন  খেলোয়াড় (এক্তর এররেরা, মিগেল লাইয়ুন ও হেসুস গাইয়ার্দো) আর একটি করে হলুদ কার্ড দেখলেই এক ম্যাচের নিষেধাজ্ঞায় পড়বেন।

# ব্রাজিল ও মেক্সিকো নিজেদের মুখোমুখি হয়েছে ৪০ বার। লাতিন পরাশক্তিদের ২৩ জয়ের বিপরীতে মেক্সিকানদের জয় ১০টি। বিশ্বকাপে চারবার দেখা হয়েছে দুই দলের। প্রথম তিন দেখায় জয় ব্রাজিলের। ২০১৪ সালে ব্রাজিল বিশ্বকাপে শেষ দেখা গ্রæপ পর্বের ম্যাচে। ম্যাচটি গোলশূন্য ড্র হয়েছিল।

# বিশ্বকাপে চারবারের দেখায় ব্রাজিলের জালে কোনো গোল দিতে পারেনি মেক্সিকো, হজম করেছে ১১টি।

# ব্রাজিল শেষবার কোয়ার্টার-ফাইনালে উঠতে পারেনি ১৯৯০ সালে।

# বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত ৫৬ ম্যাচ খেলে কোনো শিরোপা ঘরে তুলতে পারেনি মেক্সিকো। বিশ্ব মঞ্চে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলে শিরোপা জিততে না পারার রেকর্ড এটি।



উরুগুয়ে এমন গোল আগে করেনি

admin July 02, 2018

ম্যাচের অষ্টম মিনিটে উরুগুয়ের দুই ফরোয়ার্ড লুইস সুয়ারেস ও এদিনসন কাভানির মিলিত প্রচেষ্টার গোলটি নিয়ে বিস্মিত ফের্নান্দো সান্তোস। উরুগুয়ে এমন গোল আগে করেনি বলে এর জন্য ডিফেন্ডাররা প্রস্তুত ছিল না বলে জানালেন পর্তুগাল কোচ।
সোচির ফিশৎ স্টেডিয়ামে গত শনিবার কোয়ার্টার-ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে কাভানির জোড়া গোলে ২-১ গোলে হারে পর্তুগাল। এর মধ্যে কাভানির প্রথম গোলটি ছিল সুয়ারেসের সঙ্গে বল দেওয়া নেওয়া করে। মাঝ মাঠে বল পেয়ে কিছুটা এগিয়ে ডান দিক থেকে মাঠের অন্য প্রান্তে সুয়ারেসকে পাঠান কাভানি। এরপর ডি-বক্সে ছুটে গিয়ে বাঁ দিক থেকে আসা সতীর্থের দারুণ ক্রসে হেডে গোল করেন পিএসজির এই ফরোয়ার্ড।
ম্যাচ শেষে সান্তোস জানান, প্রতিপক্ষদের তিনি ভালোভাবে বিশ্লেষণ করেছিলেন কিন্তু সুয়ারেস-কাভানির মিলিত প্রচেষ্টায় হওয়া প্রথম গোলটির জন্য প্রস্তুত থাকা অসম্ভব ছিল।
“বাঁ দিকে ক্রস গেল, এরপর ডান দিকে ক্রস এল-এর বিপক্ষে কোনো উপায় ছিল না। তাদের স্ট্রাইকাররা খুব শক্তিশালী ছিল। একজন সেখানে ছিল, অন্যজন পেছন থেকে এলো। সেটা ছিল অবিশ্বাস্য খেলা। তারা এমন গোল আগে কখনও করেনি।”
৫৫তম মিনিটে কর্নার থেকে হেডে লক্ষ্যভেদ করে পর্তুগালকে ম্যাচে ফেরান পেপে। কিন্তু উরুগুয়েকে আটকে রাখা যায়নি। ৬২তম মিনিটে কাভানির কোনাকুনি শট জাল খুঁজে নিলে ফের পিছিয়ে পড়ে পর্তুগাল। সান্তোসও মেনে নিচ্ছেন উরুগুয়ের রক্ষণের সঙ্গে পেরে ওঠেননি তারা।
“আমরা জানি তাদের মাঝমাঠ খুবই আঁটসাঁট। তাই জায়গা তৈরি করে খেলে উরুগুয়ের রক্ষণ উন্মুক্ত করার চেষ্টা করার জন্য আমাদের কিছু খেলোয়াড় ছিল। প্রথমার্ধে আমরা এটা খুব বেশি পারিনি। দ্বিতীয়ার্ধে তুলনামূলকভাবে ভালো করেছিলাম কিন্তু পারিনি।”

দিল্লিতে এক বাড়িতে এক পরিবারের ১১ জনের মৃতদেহ

admin July 02, 2018
ভারতের রাজধানী দিল্লির একটি বাড়িতে একই পরিবারের ১১ জনের মৃতদেহ পাওয়া গেছে। গতকাল রোববার সকালে উত্তর দিল্লির বুরারি এলাকার একটি বাড়িতে মৃতদেহগুলো পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে এনডিটিভি। তাদের মধ্যে ১০ জনের দেহ সিলিংয়ের লোহার গ্রিল থেকে ঝুলে থাকা অবস্থায় ও বৃদ্ধ এক নারীর মৃতদেহ মেঝেতে শায়িত অবস্থায় পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
তাদের অধিকাংশেরই চোখ ও হাত-পা পেছন দিকে বাঁধা ছিল। পুলিশের ধারণা তারা আত্মহত্যা করেছেন। তাদের মধ্যে সাত জন নারী, এদের একজনের বয়স ৭৫ বছর। মৃতদের মধ্যে দুজন কিশোর বয়সী। বুরারির সান্ত নগরের দোতলা ওই বাড়িটির উপর তলায় পরিবারটি বসবাস করতো। নিচের তলায় তাদের মুদির দোকান ও প্লাইউডের ব্যবসা ছিল। গত ২০ বছর ধরে তারা এই এলাকাটিতে বসবাস করতো।
দিল্লির মধ্যবিত্ত এলাকার এই পরিবারটি প্রতিদিন সকাল ৬টায় দোকান খুলতো। কিন্তু রোববার সকাল সাড়ে ৭টা পর্যন্ত দোকান না খোলায় খোঁজ নেওয়ার জন্য এক প্রতিবেশী উপর তলায় গিয়ে প্রবেশ পথ খোলা দেখতে পান। ভিতরে প্রবেশ করে পরিবারটির অধিকাংশ সদস্যকে ফাঁস লাগানো অবস্থায় গ্রিল থেকে ঝুলতে দেখে হতভম্ব হয়ে পড়েন। তিনি পুলিশকে খবর দেওয়ার পর তারা ঘটনাস্থলে এসে জায়গাটি ঘিরে ফেলে।
ওই ব্যক্তি জানিয়েছেন, মৃতদের সবার চোখ বাঁধা ও মুখ টেপ দিয়ে আটকানো ছিল এবং তারা প্রায় সবাই গলায় ওড়না পেচানো অবস্থায় ঝুলছিল। তদন্তের প্রাথমিক পর্যায়ে ক্লুর খোঁজে ওই এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ পরীক্ষা করে দেখছে পুলিশ। ওই প্রতিবেশী জানিয়েছেন, বাড়িটিতে ভুপিন্দর ও লালিত সিং নামের দুই ভাই ও তাদের পরিবার বসবাস করতো, তারা খুব বন্ধুসুলভ ছিলেন।
“তারা আত্মহত্যা করতে পারেন না। গত রাতেও ভুপিন্দরের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। সে খুব সুখী ছিল এবং তার মধ্যে কোনো মানসিক চাপের লক্ষণ ছিল না,” বার্তা সংস্থা আইএএনএসকে বলেছেন তিনি। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ঘটনার বিষয়ে পুলিশের সঙ্গে কথা বলেছেন। দিল্লি বিজেপির প্রধান মনোজ তিওয়ারিও বুরারি এলাকা পরিদর্শন করেছেন।  
দিল্লির ক্ষমতাসীন আম আদমি পার্টির (এএপি) পোস্ট করা একটি ভিডিওতে ওই এলাকার প্রতিবেশীদের কেজরিওয়ালের সঙ্গে কথা বলতে দেখা গেছে। তারা কেজরিওয়ালকে জানিয়েছেন, একটি বিয়ের প্রস্তুতি নিয়ে পরিবারটি ব্যস্ত ছিল। ঘটনাস্থলে কোনো স্যুইসাইড নোট ছিল না বলে জানিয়েছেন দিল্লি পুলিশের যুগ্ম কমিশনার রাজেশ খুরানা। “সম্ভাব্য সব দিক থেকেই তদন্ত করে দেখছি আমরা, কোনো কিছুই বাতিল করছি না। মৃতদেহগুলো ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে,” বলেছেন তিনি।

একাধিকবার যৌন হয়রানির শিকার হতে হয়েছে আমাকে -স্বরা ভাস্কর

admin July 02, 2018
পেশাগত জগতে বরাবরই খোলামেলা কথা বলতে পছন্দ করেন অভিনেত্রী স্বরা ভাস্কর। নারীবাদী হলেও ক্যারিয়ারের শুরুর দিকে অনেক কঠিন পরিস্থিতি সামলাতে হয়েছে তাকে। তারই একটি গল্প স¤প্রতি শেয়ার করেছেন স্বরা। একটি সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে আড্ডায় তিনি জানিয়েছেন তাকে কোন এক প্রযোজকের ম্যানেজার চুমু খেতে চেয়েছিল। স্বরা এ বিষয়ে বলেন, একাধিকবার যৌন হয়রানির শিকার হতে হয়েছিলো আমাকে। এর মধ্যে একবার এক ব্যক্তি একবার তাকে তার বাড়ির ঠিকানা জিজ্ঞাসা করেছিলেন।
এমন তো কত লোকই করে। কিন্তু এই ব্যক্তিকে স্বরা চিনতেন না। চেনা  নেই, জানা নেই, তাহলে তো আর এমনি এমনি কেউ কারও কাছে বাড়ির ঠিকানা চায় না? তার উপর সে নিজের পরিচয় দিয়েছিল সে নাকি কোনও এক বড় প্রযোজকের ম্যানেজার। খটকা লেগেছিল স্বরার। তবে এখানে যদি সে থেমে যেত, তাও হত। কিন্তু নিজের গ-ীর বাইরে গিয়ে সে স্বরাকে খুশী করার চেষ্টা করেছিল। স্বরা বলেছেন, ওই লোকটি আমার কানে চুমু খেতে চেয়েছিল। আবার লাভ ইউ-ও বলেছিল। কিন্তু এমন ঘটনাকে পাত্তা দেননি স্বরা। তবে এই প্রথমবার নয়। এর আগে আরও একবার কাস্টিং কাউচ নিয়ে মুখ খুলেছিলেন স্বরা।

তিস্তায় পানি বৃদ্ধি, পানিবন্দি ১০ হাজার মানুষ

admin July 02, 2018
ভারী বর্ষণ ও ভারত থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলে তিস্তা, ধরলা ও সানিয়াজান নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় লালমনিরহাটের পাঁচ উপজেলায় সৃষ্ট বন্যায় পানিবন্দি হয়ে পড়েছে প্রায় ১০ হাজার মানুষ। ক্রমেই বাড়ছে পানিবন্দির সংখ্যা। গতকাল রোববার বিকেল ৩টায় দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারাজ দোয়ানী পয়েন্টে পানি প্রবাহ রেকর্ড করা হয় ৫২ দশমিক ৫৮ সেন্টিমিটর। যা বিপদসীমার ২ সেন্টিমিটার নিচে।
তিস্তা ব্যারাজের বন্যা সতর্কীকরণ কেন্দ্র  জানান, ভারী বর্ষণের সঙ্গে উজানের পাহাড়ী ঢলে গতকাল রোববার সকাল থেকে তিস্তার পানি প্রবাহ বৃদ্ধি পেতে থাকে। দুপুর ১২টায় তিস্তা ব্যারাজে পানি প্রবাহ রেকর্ড করা হয় ৫২.৫৬ সেন্টিমিটার। তা বেড়ে গিয়ে বিকেল ৩টায় পানি প্রবাহ রেকর্ড করা হয় ৫২ দশমিক ৫৮ সেন্টিমিটার। এ পয়েন্টের নতুন বিপদসীমা নির্ধারণ করা হয়েছে ৫২ দশমিক ৬০ সেন্টিমিটার।
এদিকে পানি বৃদ্ধির ফলে জেলার পাটগ্রাম উপজেলার বহুল আলোচিত ছিটমহল আঙ্গোরপোতা-দহগ্রাম, হাতীবান্ধার সানিয়াজান, গড্ডিমারী, সিঙ্গিমারী, সিন্দুনা, পাটিকাপাড়া ও ডাউয়াবাড়ী ইউনিয়ন, পার্শ্ববতী কালীগঞ্জ, আদিতমারী ও সদর উপজেলার বেশ ইউনিয়নের চর এলাকার ২০ গ্রামের ১০ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। কয়েক হাজার একর আমন ধানের ক্ষেতসহ অনেক ফসলি ক্ষেত ডুবে গেছে। 
সরেজমিনে দেখা যায়, হাতীবান্ধা উপজেলার ধুবনী গ্রামের অস্থায়ী বাঁধগুলো হুমকির মুখে পড়েছে। এ বাঁধগুলো ভেঙে গেলে তিস্তার পানি হাতীবান্ধা শহরে ঢুকে পড়বে। আদিতমারী উপজেলার বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ সংস্কার না করায় হুমকির মধ্যে পড়েছে মহিষখোচা অংশ।
ইতোমধ্যে চর এলাকাগুলোর যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙে গেছে। চর এলাকাগুলোতে বিশুদ্ধ পানি ও খাবার সংকট দেখা দিয়েছে। এখনও পানিবন্দি পরিবারগুলোর মধ্যে কোন খাবার বিতরণ করতে দেখা যায়নি। তিস্তার পানি আরও বৃদ্ধি পেলে তিস্তা ব্যারেজ রক্ষার্থে পাউবো ‘ফ্লাড বাইপাস’ কেটে দিতে পারে। এ বাঁধ কেটে দিলে গোটা লালমনিরহাট জেলার লক্ষাধিক পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়বে। এতে কোটি কোটি টাকার সম্পদ ক্ষতি হবে।  হাতীবান্ধা উপজেলার চর ধুবনীর আইয়ুব আলী, কিসমত লোহালীর সফিয়ার রহমান পাটিকাপাড়ার রফিকুলসহ অনেক পানিবন্দি পরিবার অভিযোগ করে বলেন, আমরা পানিবন্দি অবস্থায় আছি। এখন পর্যন্ত আমাদের কোনো ত্রাণ বিতরণ করা হয়নি। কেউ আমাদের খোঁজ পর্যন্ত করেনি। হাতীবান্ধার তিস্তা ব্যারাজ সেচ প্রকল্পের পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রফিকুল আলম চৌধুরী  জানান, উজানের ঢলে তিস্তায় ব্যাপকভাবে বাড়ছে পানি প্রবাহ। তবে কী পরিমাণ বাড়তে পারে সে বিষয়ে কোনো তথ্য তিনি দিতে পারেননি। পানি বৃদ্ধি অব্যহত থাকলে ব্যারাজ রক্ষার্থে ফ্লাড বাইপাস কেটে দেয়া হতে পারে। 
লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক শফিউল আরিফ জানান, তিস্তায় পানি বৃদ্ধির কারণে নিচু অঞ্চলের কিছু পরিবার পানিবন্দি হচ্ছে। সকল ইউএনও এবং জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে নদীর তীরবর্তী জনপদের খোঁজ খবর নেয়া হচ্ছে। বিষয়টি  ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে। 

সিরিয়ার বিদ্রোহীরা ফের রাশিয়ার সঙ্গে শান্তি আলোচনায়

admin July 02, 2018
যুদ্ধবিরতিতে পৌঁছানোর লক্ষ্যে রাশিয়ার মধ্যস্থতাকারীদের সঙ্গে ফের আলোচনায় বসেছে সিরীয় বিদ্রোহীরা। জর্ডানের মধ্যস্থতায় সিরিয়ার বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত অংশে দুই পক্ষের মধ্যে আলোচনা শুরু হয়েছে বলে আসাদবিরোধী গোষ্ঠীগুলোর এক মুখপাত্রের বরাত দিয়ে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
সরকারি বাহিনীর লাগাতার বোমাবর্ষণে বিদ্রোহীদের অনেকগুলো ঘাঁটির পতনের পর শনিবার দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের একগুচ্ছ গ্রাম ও শহরের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয় আসাদবাহিনী। ওইদিনই ফ্রি সিরিয়ান আর্মির (এফএসএ) প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনায় রুশ কর্মকর্তারা বিদ্রোহীদের সম্পূর্ণ আত্মসমর্পণ দাবি করলে বুশরা আল শাম শহরে চলমান শান্তি আলোচনা ভেস্তে যায়। 
জর্ডানের মধ্যস্থতা রোববার এফএসএ প্রতিনিধিরা রাশিয়ান কর্মকর্তাদের সঙ্গে ফের আলোচনায় বসেন বলে জানান বিদ্রোহীদের মুখপাত্র ইব্রাহিম আল জাবাউয়ি। “জর্ডানের পৃষ্ঠপোষকতায় বিদ্রোহী ও রাশিয়ান পক্ষের মধ্যে সকালে ফের আলোচনা শুরু হয়েছে,” রয়টার্সকে এমনটাই বলেছেন জাবাউয়ি।
নিজেদের উত্তর সীমান্তে ছড়িয়ে পড়া সহিংসতায় উদ্বিগ্ন জর্ডান অনেক দিন ধরেই দুই পক্ষের মধ্যে যুদ্ধ বন্ধে একটি চুক্তিতে পৌঁছানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী আয়মান সাফাদি বলেছেন, যুদ্ধবিরতিতে পৌঁছাতে তার দেশ লড়াইয়ে অংশ নেওয়া সব পক্ষের সঙ্গে নিবিড় আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে, যেন উদ্বাস্তু নাগরিকদের ঢল সামলানো যায়।
গত মাস থেকে দক্ষিণ¬-পশ্চিমাঞ্চলের বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত এলাকায় অভিযান শুরু করেছে সিরীয় বাহিনী। অভিযান শুরু হওয়ার পর ওই এলাকার লাখ লাখ বেসামরিক বাসিন্দা প্রতিবেশী জর্ডান ও ইসরায়েলের দখলে থাকা গোলযোগপূর্ণ গোলান মালভ‚মির দিকে সরে যেতে বাধ্য হচ্ছেন বলে জানিয়েছে রয়টার্স।

বাতিল হলো প্রিয়াংকার ‘নলিনী’ ছবির শুটিং

admin July 02, 2018
বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ প্রিয়াংকার ‘নলিনী’র শুটিংয়ের অনুমতি বাতিল করেছে। ‘নলিনী: টেগোরস ফার্স্ট লাভ’ ছবির পরিচালক উজ্জ্বল চট্টোপাধ্যায়কে চিঠি দিয়ে জানিয়ে দেওয়া হয়, বিশ্বভারতীতে এই ছবির শুটিং করতে দেওয়া যাবে না। ছবিটি প্রযোজনা করছেন প্রিয়াংকা চোপড়া। প্রযোজনার পাশাপাশি তিনি ছবিতে ‘নলিনী’ চরিত্রে অভিনয় করবেন। কিন্তু বিশ্বভারতীতে শুটিংয়ের অনুমতি বাতিল হওয়ায় ছবির শুটিং শুরুর আগে বড় ধাক্কা খেয়েছেন উজ্জ্বল আর প্রিয়াংকা। এর আগে গত ৬ই জানুয়ারি বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য স্বপন কুমার দত্ত ‘নলিনী: টেগোরস ফার্স্ট লাভ’ ছবির চিত্রনাট্যের ছাড়পত্রসহ বিশ্বভারতীতে ছবির শুটিংয়ের অনুমতি দেন।
ওই সময় উপাচার্য পরিচালককে অনুরোধ জানিয়ে লিখেছেন, ‘নলিনী: টেগোরস ফার্স্ট লাভ’ ছবিটি যেন বিশ্বভারতী থেকে অনুমোদিত চিত্রনাট্য মেনে তৈরি করা হয়। আর এই ছবিতে কোনোভাবেই যেন কবিগুরুর ভাবমূর্তি ক্ষু্ন্ন না হয়। সেদিকে খেয়াল রাখার জন্য পরিচালককে অনুরোধ করেন তিনি। ছবিটি তৈরি হওয়ার পর বাণিজ্যিকভাবে মুক্তি দেওয়ার আগে তা বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষকে একবার দেখিয়ে নেওয়ার জন্য বলেছেন। ওই সময় বিশ্বভারতী চিত্রনাট্যের কিছু অসংগতি আর ভুল তথ্য সংশোধন করে ছবিটি নির্মাণের পরামর্শ দেয়। ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য স্বপন কুমার দত্তর চিঠি পাওয়ার পর পরিচালক উজ্জ্বল চট্টোপাধ্যায় আরেকটি চিঠির মাধ্যমে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষকে জানান, তিনি বিশ্বভারতীর পরামর্শ মেনেই ‘নলিনী: টেগোরস ফার্স্ট লাভ’ ছবিটি তৈরি করবেন। এরপর বাংলা ও মারাঠি ভাষায় ছবির চিত্রনাট্য তৈরির উদ্যোগ নেয় বলিউড তারকা প্রিয়াংকা চোপড়ার প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান। এদিকে গত শুক্রবার ছবির পরিচালক আর বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের এক বৈঠক হয়। এই বৈঠকের পর বিশ্বভারতীর বর্তমান ভারপ্রাাপ্ত উপাচার্য অধ্যাপক সবুজকলি সেন জানান, কোনো বাণিজ্যিক ছবির শুটিংয়ের অনুমতি দিতে পারছে না বিশ্বভারতী। কারণ, বিশ্বভারতী ঐতিহ্যবাহী প্রতিষ্ঠান। বিশ্বভারতীর উপাসনা মন্দির, ছাতিমতলা, পাঠ ভবন চত্বর, মৃণালিনী আনন্দ পাঠশালা, কলাভবন, সংগীত ভবনকে এরইমধ্যে কেন্দ্রীয় সরকার হেরিটেজ বা ঐতিহ্যবাহী ভবন হিসেবে ঘোষণা করেছে। 

আমার জীবনী নিয়ে চলচ্চিত্র চাই না -কাজল

admin July 02, 2018

বলিউডে লেগেছে আত্মজীবনী নির্ভর চলচ্চিত্র বা বায়োপিক নির্মাণের হিড়িক। অজপাড়া গাঁয়ের একজন সফল উদ্যোক্তা থেকে শুরু করে বড় পর্দার সুপারস্টারের জীবনীও চলচ্চিত্রের পর্দায় তুলে ধরছেন নির্মাতারা। এই ধরনের চলচ্চিত্রে দর্শকদের ব্যাপক সাড়াও মিলছে।
২৯ জুন মুক্তিপ্রাপ্ত সঞ্জয় দত্তের জীবনীনির্ভর চলচ্চিত্র ‘সঞ্জু’ একে একে রেকর্ড ভেঙে নতুন রেকর্ড গড়তে শুরু করেছে। তাছাড়া বছর শুরুতে ‘পদ্মাবত’র সাফল্যও সব নির্মাতাদের বায়োপিক নির্মাণের দিকে টানছে।
এই প্রেক্ষাপটে বলিউড অভিনেত্রী কাজল বললেন, তার জীবনী নিয়ে বায়োপিক নির্মিত হোক, সেটা তিনি চান না। ‘দিলওয়ালে দুলহানিয়া লে যায়েঙ্গে’ খ্যাত অভিনেত্রী নিজের মতো থাকতে পছন্দ করছেন, নিজের জীবনী নিয়ে চলচ্চিত্রের বিষয় কারও সঙ্গে কথা বলতেও নারাজ তিনি। 
একটি পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে আলাপচারিতার একপর্যায়ে কাজল বলেন, আমি চাই না কেউ আমার জীবনী নিয়ে চলচ্চিত্র নির্মাণ করুক। আমি আমার মতো করে থাকতে চাই।

১৯৯২ সালে রাহুল রাওয়াইলর ‘বেখুদি’ চলচ্চিত্রের মধ্য দিয়ে চলচ্চিত্রে কাজল দেবগণের অভিষেক ঘটে। নব্বই দশকের এই হার্টথ্রব অভিনেত্রী স্বাভাবিক স্বভাবসুলভ অভিনয়ের জন্য ছিলেন তুমুল জনপ্রিয়।    
দীর্ঘ চলচ্চিত্র ক্যারিয়ারে ‘করণ অর্জুন’, ‘দিলওয়ালে দুলহানিয়া লে যায়েঙ্গে’, ‘পেয়ার কিয়া তো ডরনা ক্যায়া’, ‘কুচ কুচ হোতা হ্যায়’, ‘পেয়ার তো হোনাই থা’, ‘মাই নেম ইজ খান’, ‘ফানা’র মত অসংখ্য ব্যবসা সফল ছবিতে অভিনয় করেছেন তিনি। 
পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে কাজল আইকনিক পাওয়ারহাউজ পারফর্মার অব বলিউড পুরস্কার পেয়েছেন। অনুভ‚তি ব্যক্ত করতে গিয়ে এই অভিনেত্রী বলেন, ‘যখন কেউ কাজের মূল্যায়ন করে তখন চমৎকার এক অনুভ‚তি কাজ করে।’

ভারতে বাস দুর্ঘটনায় নিহত ৪৮

admin July 01, 2018
ভারতের উত্তরাখণ্ড রাজ্যের পৌরি গারওয়াল জেলায় এক বাস দুর্ঘটনায় ৪৮ জন নিহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে তাদের বহনকারী বাসটি পাপালি-বোয়ান সড়কের নৈনিদান্দা ব্লকের একটি গিরিসঙ্কটে পড়ে যায়, খবর এনডিটিভির।
প্রকাশিত প্রতিবেদন ও পৌরি পুলিশের সুপার জগৎ রাম জোশির বক্তব্য অনুযায়ী, বোয়ান থেকে প্রায় ৫০ জন যাত্রী নিয়ে ২৮ আসনের ওই মিনিবাসটি রামনগরের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছিল, পথে গ্বীন গ্রামের কাছে অতিরিক্ত যাত্রীবোঝাই বাসটি ২০০ মিটার গভীর গিরিসঙ্কটে পড়ে যায়। বাসটির ৪৫ জন যাত্রী তাৎক্ষণিকভাবে মারা যান।
গুরুতর আহত কয়েকজন যাত্রীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়, পরে তাদের মধ্যে আরও তিন জন মারা যান।  দুর্ঘটনার কারণ তখনও জানা যায়নি বলে জানিয়েছে পুলিশ। পুলিশ ও ভারতের ন্যাশনাল ডিজাস্টার রেসপন্স ফোর্সের (এনডিআরএফ) একটি টিম উদ্ধার কাজ পরিচালনা করছে।
মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে জানিয়েছেন গারওয়ালের পুলিশ কমিশনার দিলিপ জাওয়ালকার। 
উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী ত্রিবেন্দ্র সিং রাওয়াত দুর্ঘটনায় নিহতদের পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন। নিহতদের প্রত্যেকের পরিবারকে দুই লাখ রুপি ও আহতদের ৫০ হাজার রুপি করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংও নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা প্রকাশ করেছেন।

কোটা সংস্কার আন্দোলনের নেতা রাশেদ গ্রেপ্তার

admin July 01, 2018

সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনের অন্যতম সংগঠক রাশেদ খানকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল সকালে রাজধানীর ভাসানটেক এলাকা থেকে গ্রেপ্তারের পর শাহবাগ থানায় দায়ের করা তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে বলে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপকমিশনার মাসুদুর রহমান জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, আল নাহিয়ান খান জয় নামের এক ব্যক্তির শাহবাগ থানায় আইসিটি আইনের ৫৭ ধারায় করা মামলায় তাকে (রাশেদ খান) গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সে এই মামলার এজাহারনামীয় একমাত্র অভিযুক্ত। তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারপরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন আছে। আল নাহিয়ান খান জয় ছাত্রলীগের সদ্য সাবেক কমিটির আইন বিষয়ক সম্পাদক। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ছাত্র।
মামলার বিষয়ে তিনি জানান, পুলিশ সদর দপ্তরের অনুমতি নিয়ে ১ জুলাই রাতে তিনি শাহবাগ থানায় রাশেদের বিরুদ্ধে এই মামলা করেন।
কারণ জানতে চাইলে আল নাহিয়ান বলেন, রাশেদ ২৭ জুলাই সন্ধ্যা ৮টায় ফেইসবুক লাইভে এসে প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে বলেন ‘মনে হচ্ছে তার বাপের দেশ, সে একাই দেশের মালিক। তিনি যা ইচ্ছে তাই বলবেন আর আমরা কোন কথা বলতে পারবো না’।
এছাড়াও রাশেদ বিভিন্ন সময় ফেইসবুক লাইভে এসে গুজব ছড়িয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটিয়েছে, এই বিষয়টার জন্য আমি মামলা করেছি। এর আগে সকালে ফেইসবুক লাইভে এসে গোয়েন্দা পুলিশ তার পিছু নিয়েছে বলে জানান রাশেদ। এই সময় তাকে বলতে শোনা যায়, ভাসানটেক মজুমদারের মোড় এলাকায় ডিবি আমাকে ধাওয়া দিয়েছে। আমি একটি বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছে। সবাই আমাকে বাঁচান।
সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে ‘বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ’ ব্যানারে কয়েক মাস ধরে আন্দোলন করে আসছে একদল শিক্ষার্থী। তাদের আন্দোলনের মুখে প্রধানমন্ত্রী কোটা বাতিলের ‘ঘোষণা’ দিলেও সরকারি প্রজ্ঞাপন না আসা পর্যন্ত নানা কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছে ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ। গত শনিবার দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করতে গিয়ে পিটুনির শিকার হন কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকারীরা। ক্যাম্পাসের গ্রন্থাগারের সামনে এই হামলার জন্য ছাত্রলীগকে দায়ী করেছেন তারা; হামলার সময় সংগঠনটির কয়েকজন নেতাকে ঘটনাস্থলে দেখা গেছে। তবে হামলায় জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করে সরকার সমর্থক সংগঠনটির নেতারা বলেছেন, আন্দোলনকারীদের ‘অভ্যন্তরীণ কোন্দলে’ হামলার ঘটনা ঘটেছে।

বেনাপোল কাস্টমসে ১৭৯ কোটি টাকার রাজস্ব ঘাটতি

admin July 01, 2018

দেশের সবচেয়ে বড় স্থলবন্দর বেনাপোল কাস্টমস হাউসে ২০১৭-১৮ অর্থবছরে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে রাজস্ব আদায় কমেছে। গেল অর্থবছরে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি রাজস্ব আদায় হলেও এবার ১৭৯ কোটি ৬৪ লাখ টাকা রাজস্ব ঘাটতি হয়েছে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড বেনাপোল কাস্টমস হাউসের জন্য ৪ হাজার ১৯৫ কোটি ৮৮ লাখ টাকার রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে। বিপরীতে ৪ হাজার ১৬ কোটি ২৪ লাখ টাকা আদায় হয়েছে। ২০১৭-১৮ অর্থ বছরে বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারত থেকে ১৮ লাখ ২ হাজার ২৮৪ মেট্রিক টন পণ্য আমদানি হযেছে।
বন্দর ও বাণিজ্য সংশিষ্টরা মনে করছেন, বন্দরে অবকাঠামোগত সমস্যা, পণ্যের নিরাপত্তা শঙ্কা ও কাস্টমস কর্তৃপক্ষের অযৌক্তিক হারে দিন দিন আমদানি পণ্যের ওপর শুল্ক কর বৃদ্ধিতে পাচার কার্যক্রম বেড়ে গেছে। এতে রাজস্ব সঙ্কট হয়েছে। বেনাপোল কাস্টমস হাউসের ডেপুটি কমিশনার জাকির হোসেন জানান, ২০১৬-১৭ অর্থবছরে রাজস্ব বোর্ডের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩ হাজার ৭৬০ কোটি ৩০ লাখ টাকা। আদায় হয়েছিল ৩ হাজার ৮০৫ কোটি ৭০ লাখ টাকা। যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৪৫ কোটি ৪০ লাখ টাকা বেশী রাজস্ব আদায় হযেছে।
অন্যদিকে ২০১৫-১৬ অর্থবছরে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ২ হাজার ৮৫০ কোটি টাকা নির্ধারণ করা হয়। ওই বছরে ২ হাজার ৯৪০ কোটি টাকার রাজস্ব আদায় হয়েছিল। বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশন সভাপতি মফিজুর রহমান সজন জানান, বর্তমান সরকার বন্দর উন্নয়নে সবচেয়ে বেশি ভ‚মিকা রাখে। যদিও প্রয়োজনের তুলনায় উন্নয়ন অনেক কম হয়েছে। বন্দরে শেডের অভাবে মালামাল সংরক্ষণ করা সম্ভব হয় না। বন্দরের চাহিদা অনুযায়ী উন্নয়ন হলে রাজস্ব আদায় দ্বিগুণ করা সম্ভব।
বেনাপোল আমদানি-রপ্তানি সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আলী হোসেন জানান, বেনাপোল বন্দর দিয়ে আমদানি পণ্যের ওপর অযৌক্তিক মূল্যবৃদ্ধি ও শুল্ক হার বৃদ্ধি করায় রাজস্ব আদায়ে ধস নেমেছে। তিনি আরও বলেন, বেনাপোল বন্দরে যে কটি ভয়াবহ অগ্নিকাÐের ঘটনা ঘটেছে। ক্ষতিপুরণ না পেয়ে অনেক ব্যবসায়ী তাদের ব্যবসা বন্ধ করে দিয়েছেন। বেনাপোল বন্দর পরিচালক আমিনুল ইসলাম জানান, বন্দরের নতুন করে জমি অধিগ্রহণের কাজ চলছে। আমদানি পণ্যের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বন্দরে সিসি ক্যামেরা স্থাপনের কাজ চলছে। বন্দরের এসব উন্নয়ন কাজ শেষ হলে রাজস্ব আয় বাড়বে।

গুলশান হামলার দুই বছর: জঙ্গি হামলায় নিহতদের স্মরণ

admin July 01, 2018
দুই বছর আগে ঢাকার ক‚টনৈতিক পাড়া গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে নজিরবিহীন ভয়াবহ জঙ্গি হামলায় নিহতদের স্মরণ করেছে নগরবাসী। গতকাল রোববার সকাল ১০টায় গুলশান-২ এর ৭৯ নম্বর সড়কের ৫ নম্বর বাড়িটির ফটক খুলে দেওয়ার পর শোকার্ত নাগরিকদের পাশাপাশি নিহত বিদেশিদের স্মরণ করতে আসেন ক‚টনীতিকরা। জঙ্গি হামলার পর কয়েক মাস সেই বাড়িটি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিয়ন্ত্রণ থাকার পর বাড়িটিতে বসবাস করছেন মালিক। ওই ভবনের সামনে তৈরি অস্থায়ী বেদীতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানোর ব্যবস্থা করা হয়। সেখানে বেলা ২টা পর্যন্ত দেশি-বিদেশি বিভিন্ন ব্যক্তি ও সংগঠন ফুলের তোড়া দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করে। জাপান ও ইতালি রাষ্ট্রদূতের পর বিদেশি মিশনগুলোর শীর্ষ কর্মকর্তাদের পর নগরীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান ফুল দিয়ে নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। 
২০১৬ সালের ১ জুলাই রাতে ক‚টনীতিক পাড়া গুলিশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে হামলা চালিয়ে ১৭ বিদেশিসহ ২০ জনকে হত্যা করে জঙ্গিরা। তাদের ঠেকাতে গিয়ে দুই পুলিশ কর্মকর্তাও নিহত হন। রাতভর উৎকণ্ঠার পর ২ জুলাই সকালে সেনাবাহিনীর কমান্ডো অভিযানের মধ্য দিয়ে সঙ্কটের অভিযান ঘটে। হামলায় অংশ নেওয়া নব্য জেএমবির পাঁচ জঙ্গি ওই অভিযানে নিহত হয়। জঙ্গি হামলায় নিহতদের মধ্যে নয়জন ছিলেন ইতালির, সাতজন জাপানি। নিহত জাপানিরা বাংলাদেশের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পে কাজ করছিলেন। সেদিন ইতালীয় বায়িং হাউজ স্টুডিও টেক্স লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ৫২ বছর বয়সী নাদিয়া বেনেদিত্তোর সঙ্গে নিহত হয়েছিলেন বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে আসা আরো ৬ জন ইতালীয় ব্যবসায়ী। গতকাল রোববার সকালে স্টুডিও টেক্স লিমিটেডের ৩৫ জন কর্মকর্তা হলি আর্টিজান বেকারিতে আসেন শ্রদ্ধা নিবেদন করতে। তাদের পক্ষে প্রতিষ্ঠানের সিনিয়র মার্চেন্ডাইজার ওয়াহিদ আলম বলেন, নাদিয়া বাংলাদেশের একজন সম্পদ ছিলেন। তিনি ইতালীয় ব্যবসায়ীদের এ দেশে বিনিয়োগ করতে আসতে নানা পরামর্শ ও সহযোগিতা দিতেন। এদেশের অর্থনীতির জন্য ছিল তার অনেক অবদান। নিহতদের প্রতি দলের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা জানানোর পর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সাংবাদিকদের বলেন, হলি আর্টিজানের হামলার পর থেকেই আমরা দ্রæত ব্যবস্থা নিয়েছি। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের চেষ্টায় আমরা জঙ্গিদের নেটওয়ার্ক দুর্বল করতে পেরেছি। তবে তাদের এখনো নির্মূল করা সম্ভব হয়নি।
গত দুই বছরে জঙ্গিবিরোধী অভিযানের পর বাংলাদেশে এখন কতটুকু নিরাপদ এমন প্রশ্নে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী কাদের বলেন, হলি আর্টিজানের পর তেমন কোনো বড় কোনো হামলা ঘটেনি। কিন্তু ইউএসের মতো দেশেও জঙ্গি হামলা হয়। সেই তুলনায় আমরা ভালো আছি। জঙ্গিবাদের সমস্যা মোকাবেলায় ‘সব সময় সতর্ক’ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে সক্ষম বলে তিনি দাবি করেন। বিএনপির পক্ষে নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান দলের ভাইস চেয়ারম্যান রুহুল আলম চৌধুরীরে নেতৃত্বে একটি দল। পরে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, নৃসংশ জঘন্য হত্যাকাÐ যেটা হয়েছিল, যেটা শুধু বাংলাদেশই নয় পুরো বিশ্বকে নাড়া দিয়েছিল। সেই ঘটনার দুই বছরপূর্তি আমরা করছি। এখন পর্যন্ত এ ঘটনার তদন্ত শেষ হয়নি, বিচারকার্য শুরু করতে পারেনি। পরে র‌্যাবের মহাপরিচালক বেনজির আহমেদ নিহতদের স্মরণে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান।
তিনি সাংবাদিকদের বলেন, হলি আর্টিজানের হামলার দিনে আমরা খুব দ্রæত সময়ের মধ্যে তাদের দমন করেছি। গত দুই বছরের জঙ্গিবিরোধী অভিযানের মাধ্যমে আমরা সারা বিশ্বকে সিগনাল দিতে সক্ষম হয়েছি যে, বাংলাদেশ জঙ্গিদের নিরাপদ আশ্রয় নয়। বাংলাদেশের মানুষ জঙ্গিবাদ বরদাস্ত করবে না। এখনো আত্মতুষ্টির কোনো কারণ নেই। কারণ জঙ্গিবাদ একটি দীর্ঘ পক্রিয়া। সম্পর্ণ নির্মূল না হওয়া পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে যেতে হবে। জঙ্গি হামলায় নিহতদের স্মরণে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া। তবে সেখানে তিনি কোনো বক্তব্য দেননি। হলি আর্টিজানে জঙ্গি হামলায় গুরুতর আহত হয়েছিলেন ডিশ ক্লিনার জাকির হোসেন শাওন, পরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ এলাকা থেকে শাওনের ছোট ভাই আব্দুল্লাহকে নিয়ে এসেছিলেন তার মা মাকসুদা বেগম। তার বুকে ছেলের একটি ছবি। মাকসুদা বেগম বলেন, আমার ছেলে কোনো অপরাধ করেনি। তাকে মেরে ফেলা হয়েছে।

দেশে ফিরতে হবে ইউরোপে থাকা লক্ষাধিক অবৈধ বাংলাদেশী অভিবাসীকে

admin July 01, 2018

ইউরোপে অবৈধ অবস্থানকারী লক্ষাধিক বাংলাদেশীকে দেশে ফিরতে হবে। অভিবাসন ইস্যুতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সদস্য দেশগুলোর নতুন চুক্তির আওতায় ওসব বাংলাদেশীর ইউরোপে থাকার আর কোনো সুযোগ থাকছে না। কারণ ইইউভুক্ত ২৮টি দেশ অভিবাসন ইস্যুতে যে চুক্তিতে সই করেছে, তাতে অবৈধ অভিবাসীদের ফেরত পাঠানোর কথা বলা হয়েছে। ইইউ অভিবাসন নিয়ন্ত্রণে মহাদেশীয় সীমান্তে কড়াকড়ি আরোপ, ইউরোপে থাকা অভিবাসন প্রত্যাশীদের বিশেষ হোল্ডিং সেন্টারে রাখা এবং আবেদন প্রত্যাখ্যাত হলে তাদের নিজ দেশে ফেরত পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এমনকি অভিবাসন প্রত্যাশীদের এক দেশ থেকে অন্য দেশে যাওয়া বন্ধ করতে এবং তুরস্ক ও লিবিয়ার মতো ইউরোপের সীমান্তের কাছের দেশগুলোকে অভিবাসন ঠেকাতে প্রণোদনা দিতেও একমত ইইউ সদস্যরা। আর যাদের অভিবাসন বা আশ্রয়ের আবেদন গৃহীত হয়নি এবং যারা ইউরোপে সুরক্ষা পাওয়ার দাবিদার নন, তাদের ফেরত পাঠাতে সংশ্লিষ্ট দেশের সঙ্গে সহযোগিতার সিদ্ধান্ত হয়েছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়।
সূত্রমতে, অভিবাসন সংক্রান্ত ইইউর চুক্তির শর্তই ইউরোপের বিভিন্ন দেশে অবৈধভাবে অবস্থানরত বাংলাদেশীদের বিপদে ফেলেছে। ইউরোস্ট্যাটের পরিসংখ্যান অনুযায়ী তাদের সংখ্যা লক্ষাধিক। অবৈধভাবে ইইউতে প্রবেশ করা নাগরিকের সংখ্যা বিচারে বাংলাদেশের অবস্থান ৩০টি দেশের মধ্যে ১৬তম। ২০০৮ সাল থেকে সেখানে অবৈধভাবে গেছে মোট ১ লাখ ৪ হাজার ৫৭৫ বাংলাদেশী। ২০০৮-১৫ সময়কালে মোট ৯৩ হাজার ৪৩৫ জন বাংলাদেশী অবৈধ অনুপ্রবেশ করে। আর ২০১৬ সালে অনুপ্রবেশ করে আরো ১০ হাজার ৩৭৫ জন বাংলাদেশী। অবৈধ ওসব বাংলাদেশী ইইউ সদস্যভুক্ত ২৮টি দেশে অবস্থান করছে। ২০০৮ সালে অবৈধভাবে ওসব দেশে গেছেন ৭ হাজার ৮৫ জন, ২০০৯ সালে ৮ হাজার ৮৭০, ২০১০ সালে ৯ হাজার ৭৭৫, ২০১১ সালে ১১ হাজার ২৬০ ও ২০১২ সালে ১৫ হাজার ৩৬০ জন বাংলাদেশী। তাছাড়া ২০১৩ সালে ১০ হাজার ১৩০, ২০১৪ সালে ১০ হাজার ১৪৫, ২০১৫ সালে ২১ হাজার ৫৭৫ ও ২০১৬ সালে ১০ হাজার ৩৭৫ জন বাংলাদেশী ইইউ সদস্যভুক্ত দেশগুলোয় অবৈধভাবে প্রবেশ করেছে।
সূত্র জানায়, নতুন চুক্তিতে অভিবাসনকে কোনো একক দেশ নয়, পুরো ইউরোপীয় ইউনিয়নের জন্য চ্যালেঞ্জ বলে অভিহিত করা হয়েছে। স্বাক্ষরকারী নেতারা যে কোনোভাবে ২০১৫ সালের মতো শরণার্থী ও অভিবাসীর অনিয়ন্ত্রিত প্রবাহের পুনরাবৃত্তি ঠেকানোর প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন। অবৈধ অভিবাসীর ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে গত বৃহস্পতিবার টানা ৯ ঘণ্টা আলোচনা করেন ইইউ নেতারা। দীর্ঘ আলোচনার পর ইইউভুক্ত দেশগুলোর সরকারপ্রধানরা ওই অভিবাসন চুক্তির ঘোষণা দেন। ২০১৪ সালে ইউরোপে শরণার্থীর ঢল নামার পর থেকে অভিবাসন ইস্যুতে ইইউ দেশগুলোর মতপার্থক্য ও দূরত্ব বাড়তে থাকে। গ্রিস, পোল্যান্ড ও চেক প্রজাতন্ত্রের মতো নতুন সদস্য দেশগুলো শরণার্থী ইস্যুতে নমনীয় নীতি গ্রহণে জোর অনীহা দেখায়। একই অবস্থান নেয় অভিবাসন-প্রত্যাশী ও শরণার্থীর চাপে বিপর্যস্ত পুরনো সদস্য ইতালি। বিষয়টিকে ঘিরে হুমকিতে পড়া জোটের সংহতি ও অস্তিত্ব টেকাতে ইইউ নেতারা অভিবাসন প্রশ্নে এ কড়াকড়িতে একমত হলেন ইইউ নেতারা। তবে চুক্তিতে অভিবাসীদের আবেদন গ্রহণ-প্রত্যাখ্যানে সুরক্ষার প্রয়োজন বিবেচনার কথা বলা হয়েছে। ওই হিসাবে সিরীয় ও আফগান নাগরিকদের আবেদন তুলনামূলক ইতিবাচকভাবে দেখা হবে। আর অন্যান্য দেশের নাগরিকদের ক্ষেত্রে তাদের জন্মভ‚মির সঙ্গে যোগাযোগ ও সহযোগিতার কথা বলা হয়েছে। ইউরোপে রাজনৈতিক আশ্রয়প্রার্থী বাংলাদেশীদের বিষয়ে ইউরোস্ট্যাটের সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী ইইউ সদস্যভুক্ত বিভিন্ন দেশে ২০১৬ সালে রাজনৈতিক আশ্রয় চেয়ে ১৭ হাজার ২৫৫ জন বাংলাদেশীদের আবেদন ছিল। তা ২০১৭ সালে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৯ হাজার ২৮০ জনে। আর ২০১২ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত রাজনৈতিক আশ্রয় চেয়ে ইইউতে আবেদন করেছে ৮৩ হাজার ৪৯৫ জন বাংলাদেশী। ওসব বাংলাদেশীর বেশির ভাগেরই আবেদন ইতালি, ফ্রান্স, যুক্তরাজ্য, গ্রিস, জার্মানিসহ অন্যান্য সদস্য রাষ্ট্রে। শুধু ইতালিতে বাংলাদেশীদের আবেদনের ৬৩ শতাংশ জমা পড়েছে।
সূত্র আরো জানায়, ইইউর সিদ্ধান্ত অনুযায়ী অবৈধ অভিবাসীদের ইউরোপ থেকে বের করে দেবে। যেসব নাগরিকের ইইউতে থাকার কোনো অধিকার নেই, সেসব নাগরিককে নিজ দেশে ফিরিয়ে নিতে হবে। যেসব দেশ তাদের নাগরিকদের ফিরিয়ে নিতে অস্বীকার করবে, সেসব দেশের নাগরিকদের জন্য ইইউর ভিসা সীমিত হয়ে যাবে। ২০১৪ সাল থেকে অভিবাসীদের নিয়ে কড়াকড়ি আরোপ করে ইইউ। দীঘ সময় ধরে অনুপ্রবেশ করা ওসব অবৈধ অভিবাসী মানব পাচারের শিকার। তাদের বেশির ভাগই সমুদ্রপথে ইতালি হয়ে ইউরোপে প্রবেশ করে। মানব পাচার ঠেকাতে ওই পথটি বন্ধ করেছে ইইউ। ওই পথে আসা বেশির ভাগই মধ্যপ্রাচ্য, উত্তর আফ্রিকা, আফগানিস্তান, পাকিস্তান ও বাংলাদেশের নাগরিক।
এদিকে বিশ্বের যেকোনো স্থানে অবৈধভাবে থাকা বাংলাদেশীদের ফিরিয়ে নিয়ে আসার বিষয়ে সরকারের নীতিগত সিদ্ধান্ত রয়েছে। আর ইইউতে অবৈধভাবে থাকা বাংলাদেশী নাগরিকদের ফিরিয়ে আনতে তাদের সঙ্গে একটি স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউর (এসওপি) সই করেছে বাংলাদেশ। ইতিমধ্যে কিছু বাংলাদেশী ফেরতও এসেছে। নিয়মমাফিক উপায়ে ওসব অবৈধ বাংলাদেশীদের যাচাই-বাছাই প্রক্রিয়া সম্পন্নের পর নাগরিকত্ব নিশ্চিত করে ফিরিয়ে আনা হবে।
অন্যদিকে ইইউর নতুন সিদ্ধান্তে অবৈধ অভিবাসীদের নিয়ে বাংলাদেশের ওপর কোনো বাড়তি চাপ আসবে কিনা প্রসঙ্গে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা জানান, বিষয়টি যখন প্রথম উত্থাপন করা হয়েছে, তখন থেকেই এর ফলাফলের বিষয়ে নজর রাখা হচ্ছে। যে চুক্তিতে ইইউ নেতারা উপনীত হয়েছেন, তাতে দেশ হিসেবে বাংলাদেশের ওপর এখনো কোনো বাড়তি প্রভাব পড়ার বিষয়টি প্রতীয়মান হয়নি। তবে ইইউতে অবৈধভাবে পাড়ি দেয়া, রাজনৈতিক আশ্রয় প্রার্থনা করা বা শরণার্থী হিসেবে নতুন করে আবেদন করা অথবা বাংলাদেশীদের অনিষ্পন্ন আবেদনে এর প্রভাব অবশ্যই পড়বে। এ বিষয়ে আরো বিস্তারিত বিশ্লেষণ করে করণীয় নির্ধারণ করা হবে।

হলি আর্টিজান বেকারিতে হামলার দুই বছর: ২১ জঙ্গির কার কী ভূমিকা ছিল

admin June 30, 2018
গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গি হামলা ঘটনার দুই বছর হতে চলেছে। এরই মধ্যে এই হামলার ঘটনায় দায়ের করা মামলার তদন্ত শেষে চার্জশিট প্রস্তুত করেছে তদন্তকারী সংস্থা কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট- সিটিটিসি। তদন্তে আলোচিত এই হত্যাযজ্ঞের সঙ্গে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে ২১ জনের সম্পৃক্ততার প্রমাণ পেয়েছে সিটিটিসি। এদের মধ্যে ঘটনার পর কমান্ডো অভিযানে নিহত পাঁচ হামলাকারী ছাড়াও আরও আট জন মারা গেছে সিটিটিসি ও র‌্যাবের অন্যান্য অপারেশনে। গ্রেফতার হওয়া ছয় আসামি ইতোমধ্যে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছে। দুই জনকে পলাতক দেখিয়ে চার্জশিট প্রস্তুত করেছে মামলার তদন্তকারী সংস্থা।
বৃহস্পতিবার (২৮ জুন) ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া বলেছেন, ‘কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের কর্মকর্তারা নিরবচ্ছিন্নভাবে এবং অত্যন্ত আন্তরিকতার সঙ্গে তদন্ত করেছেন। তদন্ত একেবারে শেষ পর্যায়ে আছে। এক সপ্তাহের মধ্যে বা ১০ দিনের মধ্যে এই মামলার অভিযোগপত্র আদালতে দাখিল করতে পারবো।’
২০১৬ সালের ১ জুলাই গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গিরা হামলা চালিয়ে ৯ ইতালিয়ান, সাত জাপানিজ, একজন ভারতীয়, একজন আমেরিকান-বাংলাদেশ দ্বৈত নাগরিক ও দুজন বাংলাদেশি এবং দুই পুলিশ কর্মকর্তাসহ মোট ২২ জনকে হত্যা করে। জঙ্গিরা রেস্টেুরেন্টের অন্যান্য অতিথি এবং কর্মচারীদের রাতভর জিম্মি করে রাখে। পরদিন সকালে সেনাবাহিনীর কমান্ডো অভিযানের মাধ্যমে শেষ হয় এই জিম্মিদশা। অপারেশন থান্ডারবোল্ট নামে পরিচালিত এই অভিযানে পাঁচ জঙ্গি ও একজন পিৎজা শেফ নিহত হয়। এছাড়া, ঘটনার সময় সন্দেহভাজন হিসেবে আটক হওয়া একজন কর্মচারী নিহত হন ৮ জুলাই। আলোচিত এই ঘটনায় গুলশান থানার পুলিশ বাদী হয়ে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে একটি মামলা দায়ের করে।
মামলার তদন্ত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, আলোচিত এই ঘটনায় হামলার পরিকল্পনা থেকে শুরু করে বিভিন্ন পর্যায়ে মোট ২১ জন জঙ্গির জড়িত থাকার তথ্য ও প্রমাণ তারা পেয়েছেন। তাদের নামেই আদালতে চার্জশিট দেওয়া হচ্ছে। এর মধ্যে যারা  বিভিন্ন অভিযানে নিহত হয়েছে, ঘটনার সঙ্গে তাদের জড়িত থাকার বিবরণ উল্লেখ করে চার্জশিটে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

জড়িত ২১ জন কারা?


সিটিটিসি সূত্রে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে জড়িত ২১ জঙ্গির সংক্ষিপ্ত বিবরণ এবং হত্যাকাণ্ডে তাদের কার কী ভূমিকা ছিল, তা তুলে ধরা হলো—
নিহত জঙ্গিরা (ওপরে বাঁ থেকে ) তামিম, মারজান, জাহিদ, সারোয়ার, বাশার ও কাদেরি

তামিম চৌধুরী: বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত কানাডিয়ান নাগরিক তামিম আহমেদ চৌধুরীকে গুলশান হামলার অন্যতম প্রধান পরিকল্পনাকারী হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে চার্জশিটে। ২০১৩ সালের ৫ অক্টোবর তুরস্ক হয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করে তামিম। এরপর প্রথম দিকে জুনুদ আল তাওহিদ নামে একটি জঙ্গি সংগঠন তৈরি করার চেষ্টা করে সে। পরবর্তীতে পুরনো জেএমবির শীর্ষ নেতা আব্দুস সামাদ মামু, মামুনুর রশীদ রিপন ও সরোয়ার জাহানসহ নব্য জেএমবি নামে একটি জঙ্গি সংগঠন গঠন করে। পরবর্তীতে তামিমের পরিকল্পনাতেই গুলশানের হোলি আর্টিজান বেকারিতে হামলা চালানো হয়। হামলার দিন সে মিরপুরের একটি আস্তানায় বসে দুই সহযোগীসহ হামলার পুরো বিষয়টি অনলাইনের মাধ্যমে দেখভাল করে। ২০১৬ সালের ২৭ আগস্ট নারায়ণগঞ্জের পাইকপাড়ায় পুলিশ সদর দফতর ও কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের জঙ্গিবিরোধী এক অভিযানে দুই সহযোগীসহ মারা যায় তামিম।

সরোয়ার জাহান ওরফে আব্দুর রহমান: গুলশান হামলার আরেক শীর্ষ পরিকল্পনাকারী হিসেবে তদন্তে নাম এসেছে সারোয়ার জাহান ওরফে আব্দুর রহমানের। সরোয়ার জাহান ছিল নব্য জেএমবির আধ্যাত্মিক নেতা। গুলশান হামলার আগে সে তামিম চৌধুরীসহ পাঁচ হামলাকারীকে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার একটি বাসায় বসে সর্বশেষ নির্দেশনা দেয়। সরোয়ার জাহান এক সময় পুরনো জেএমবির শীর্ষ নেতা ছিল। তামিমের মাধ্যমে সে নব্য জেএমবিতে যোগাদান করে। সরোয়ার জাহান চাপাইনবাবগঞ্জের ভোলাহাট উপজেলার দলদলি ইউনিয়নের নামো-মুশরীভূজা গ্রামের আব্দুল মান্নানের সন্তান । ২০১৬ সালের ৮ অক্টোবর আশুলিয়ায় সারোয়ারের বাড়িতে র‌্যাব অভিযান চালালে পাঁচ তলা থেকে লাফিয়ে পড়ে পালাতে গিয়ে নিহত হয় সে।

তানভীর কাদেরী ওরফে জামসেদ: হলি আর্টিজানের হামলাকারীদের আশ্রয়দাতা ও অর্থদাতা হিসেবে নাম এসেছে তানভীর কাদেরী ওরফে জামসেদের নাম। হামলার আগে বিভিন্ন সময়ে নব্য জেএমবির সদস্যদের নিজের বাড়িতে থাকার ব্যবস্থা করে দিতো সে। নব্য জেএমবির সাংগঠনিক পরিকল্পনা অনুযায়ী বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার ই-ব্লকের ছয় নম্বর সড়কের টেনামেন্ট-৩ এর ফ্ল্যাট-এ /৬ ভাড়া নেয় সে। পাঁচ হামলাকারী ওই বাসাতেই ওঠেছিল। হামলার আগে অস্ত্র ও বোমা নিয়ে ওই বাসা থেকেই বেড়িয়ে যায় তারা। পরবর্তীতে তানভীর কাদেরী, তার স্ত্রী ও সন্তান, তামিম চৌধুরী, মারজান ও রাজীব গান্ধীরা ওই বাসাটি ছেড়ে চলে যায়। ব্যাংক কর্মকর্তা থেকে জঙ্গিবাদে জড়িয়ে পড়া তানভীর কাদেরীর গ্রামের বাড়ি গাইবান্ধা সদর উপজেলার বোয়ালিয়া ইউনিয়নের পশ্চিম বাটিকমারি গ্রামে। তার বাবার নাম বাতেন কাদেরী। ২০১৬ সালের ১০ সেপ্টেম্বর আজিমপুর এলাকায় সিটিটিসির এক অভিযানে নিহত হয় সে।

নূরুল ইসলাম মারজান: নূরুল ইসলাম মারজানকে গুলশান হামলার পরিকল্পনাকারীদের সহযোগী হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। একই সঙ্গে শীর্ষ নেতা তামিম চৌধুরীর সহযোগী হিসেবে গুলশান হামলার পরিকল্পনা বাস্তবায়নকারী হিসেবেও উল্লেখ করা হয়েছে মারজানের নাম। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি বিভাগের শিক্ষার্থী মারজান নিজে জঙ্গিবাদে জড়ানোর পর স্ত্রীকেও জঙ্গিবাদে জড়ায়। তার  বাড়ি পাবনা সদর থানার হেমায়েতপুর ইউনিয়নের আফুরিয়া গ্রামে। তার বাবার নাম নিজাম উদ্দিন। ২০১৭ সালের ৬ জানুয়ারি মোহাম্মদপুর বেড়িবাঁধ এলাকায় কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে একসহযোগীসহ নিহত হয় মারজান।

বাশারুজ্জামান চকোলেট: মারজানের মতো বাশারুজ্জামান চকোলেটও শীর্ষ নেতা তামিম চৌধুরীর সহযোগী হিসেবে গুলশান হামলার পরিকল্পনা বাস্তবায়নে গুরুত্বপূণ ভূমিকা রাখে। এমনকি তামিমের বিশ্বস্ত সহচর হিসেবে তথ্য আদান-প্রদান ও হামলাকারীদের দেখভাল করার কাজ করতো বাশারুজ্জামান। গুলশান হামলায় অংশ নেওয়া পাঁচ হামলাকারীর একই রঙের গেঞ্জি ও ট্র্যাক সু ও জুতা কেনার কাজটিও করেছিল বাশারুজ্জামান। তার বাবার নাম সিরাজ উদ্দিন। রাজশাহীর তানোর উপজেলার লালপুর এলাকায় তার বাড়ি। ঢাকার নর্থ-সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কম্পিউটার সায়েন্সে স্নাতক ডিগ্রিধারী বাশারুজ্জামান রাজধানীর তেজগাঁও এলাকায় শ্বাশুরবাড়িতে থাকা অবস্থাতে জঙ্গিবাদে জড়িয়ে ঘর ছাড়ে। ২০১৭ সালের ২৬ ও ২৭ এপ্রিল চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জে সিটিটিসির এক জঙ্গিবিরোধী অভিযানে নিহত হয় বাশার।

মিজানুর রহমান ওরফে ছোট মিজান: সোহেল মাহফুজ, সাগর ও বড় মিজানের সঙ্গে গুলশান হামলায় অস্ত্র ও গ্রেনেড সরবরাহে মিজানুর রহমান ওরফে ছোট মিজানের ভূমিকা ছিল বলে তদন্তে উঠে এসেছে। পুরনো জেএমবির সদস্য ছোট মিজান নব্য জেএমবিতে যোগ দেওয়ার পর চাঁপাইনবাবগঞ্জ এলাকায় দায়িত্বশীল পদে কাজ করেছে। তার কাজ ছিল সীমান্ত দিয়ে অস্ত্র ও  বিস্ফোরক পাচার করে বিভিন্ন আস্তানায় পৌঁছে দেওয়া। ২০১৭ সালের ২৬ ও ২৭ এপ্রিল চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জে সিটিটিসির এক জঙ্গিবিরোধী অভিযানে বাশারের সঙ্গে নিহত হয় ছোট মিজান। 

মেজর (অব.) জাহিদুল ইসলাম: গুলশান হামলায় অংশ নেওয়া হামলাকারীদের প্রশিক্ষক হিসেবে তদন্তে নাম এসেছে সেনাবাহিনী থেকে অবসর নেওয়া মেজর জাহিদুল ইসলামের। নব্য জেএমবিতে ‘মেজর মুরাদ’ হিসেবে পরিচিত ছিল সে। গাইবান্ধা ও বগুড়ার বিভিন্ন জঙ্গি আস্তানায় সে হলি আর্টিজানের হামলাকারীদের শারীরিক ও অস্ত্র চালনার প্রশিক্ষণ দেয়। কুমিল্লার সদর উপজেলার পাঁচথুবী ইউনিয়নের চাঁন্দপুর এলাকার বাসিন্দা পুলিশের সাবেক পরিদর্শক নুরুল ইসলামের ছেলে জাহিদ। কানাডা যাওয়ার কথা বলে সেনাবাহিনীর চাকরি ছেড়ে নব্য জেএমবির আরেক নেতা মুসার মাধ্যমে জঙ্গিবাদে জড়িয়ে পড়ে জাহিদ। স্ত্রী ও সন্তানসহ কথিত হিজরতের নামে ঘর ছাড়ে। ২০১৬ সালের ২ সেপ্টেম্বর মিরপুরের রূপনগরে সিটিটিসির জঙ্গিবিরোধী অভিযানে নিহত হয় জাহিদ।

রায়হান কবির ওরফে তারেক: গুলশান হামলায় প্রশিক্ষক হিসেবে রায়হান কবির ওরফে তারেক নামে আরেক তরুণের নামও তদন্তে উঠে এসেছে। মামলার অভিযোগপত্রে রায়হানকে প্রশিক্ষক হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। গাইবান্ধায় নব্য জেএমবির একটি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে গুলশান হামলায় অংশ নেওয়া পাঁচ হামলাকারীকে প্রশিক্ষণ দেয় তারেক। তার গ্রামের বাড়ি রংপুর জেলার পীরগাছা থানার পাশুয়া টাঙ্গাইলপাড়ায়। তার বাবার নাম শাহজাহান মিয়া। ২০১৩ সালে সে একই ইউনিয়নের দামুরচাকলা এলাকার  দেওয়ান সালেহ আহম্মেদ মাদ্রাসা থেকে দাখিল পাস করে। এরপর ঢাকায় এসে জঙ্গিবাদে জড়িয়ে পড়া তারেক ২০১৬ সালের ২৬ জুলাই কল্যাণপুরের জঙ্গি আস্তানায় পুলিশের অভিযানে আট সহযোগীসহ নিহত হয়।

হামলায় সরাসরি অংশ নেওয়া নিহত জঙ্গিরা:

রোহান ইবনে ইমতিয়াজ: হলি আর্টিজান বেকারিতে যে পাঁচ জঙ্গি সরাসরি হামলায় অংশ নিয়েছিল, তাদের দলনেতা ছিল রোহান ইবনে ইমতিয়াজ। তার সাংগঠনিক নাম আবু রাহিক আল বাঙালি। ঢাকার ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি থেকে বিবিএ পড়া অবস্থায় অনলাইনের মাধ্যমে জঙ্গিবাদে জড়িয়ে পড়ে সে। জঙ্গিবাদে জড়িয়ে ২০১৫ সালের ৩০ ডিসেম্বর ঘর ছেড়েছিল রোহান। নব্য জেএমবির বিভিন্ন আস্তানায় প্রশিক্ষণ নিয়ে ২০১৬ সালের পহেলা জুলাই হলি আর্টিজান বেকারিতে সরাসরি হামলায় অংশ নেয়। রোহানের বাবার নাম ইমতিয়াজ খান বাবুল। তাদের বাসা ঢাকার লালমাটিয়ার ‘বি’ ব্লকের ৭/৯ নম্বর প্লটে। জঙ্গি হামলার পরদিন কমান্ডো অভিযানে নিহত হয় রোহান।
গুলশান হামলায় সরাসরি অংশ নেওয়া পাঁচ জঙ্গি (বাঁ থেকে) নিবরাস, মোবাশ্বের, রোহান,  উজ্জ্বল ও পায়েল


নিবরাস ইসলাম: গুলশান হামলায় সরাসরি অংশ নেওয়া নিবরাস ইসলামের সাংগঠনিক নাম ছিল আবু মুহারিব আল বাঙালি। ঢাকার টার্কিশ হোপ স্কুল থেকে ও লেভেল এবং এ লেভেল শেষ করে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় নর্থ সাউথে ভর্তি হয়েছিল নিবরাস। সেখান থেকে মালয়েশিয়া গিয়ে মোনাশ ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি হয়। মোনাশে পড়া অবস্থায় তিউনিশিয়ান এক বন্ধুর মাধ্যমে জঙ্গিবাদে জড়িয়ে পড়ে নিবরাস। ২০১৫ সালের অক্টোবর মাসে দেশে ফিরে আসে। এরপর ২০১৬ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি হিজরতের নামে ঘর ছেড়ে যায় নিবরাস। তার বাবার নাম নজরুল ইসলাম। উত্তরার তিন নম্বর সেক্টরের সাত নম্বর সড়কের ৩১ নম্বর বাসায় পরিবারের সঙ্গে থাকতো সে।

মীর সামিহ মোবাশ্বের: গুলশান হামলায় সরাসরি অংশ নেওয়া আরেক জঙ্গি হলো মীর সামিহ মোবাশ্বের। তার সাংগঠনিক নাম আবু সালামাহ আল বাঙালি। স্কলাসটিকা থেকে ও লেভেল পাস করা মোবাশ্বের এ লেভেল পরীক্ষার আগে জঙ্গিবাদে জড়িয়ে ২০১৬ সালের ২৯ ফেব্রুয়ারি বাড়ি ছেড়ে চলে যায়। অন্যদের মতো মোবাশ্বেরও গাইবান্ধা, বগুড়া ও ঝিনাইদহে নব্য জেএমবির আস্তানায় থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে তামিম চৌধুরীর নির্দেশে হলি আর্টিজান বেকারিতে হামলায় অংশ নেয়। মীর সামিহ মোবাশ্বেরের বাবার নাম মীর হায়াত এ কবির। বাবা-মায়ের সঙ্গে সে বনানীর পুরনো ডিওএইচএসের পাঁচ নম্বর সড়কের ৬৮/এ নম্বর বাসায় থাকতো। গুলশান হামলার পরদিন কমান্ডো অভিযানে নিহত হয় মোবাশ্বের।

খায়রুল ইসলাম পায়েল: সরাসরি হামলায় অংশ নেওয়া খায়রুল ইসলাম পায়েলের সাংগঠনিক নাম আবু উমায়ার আল বাঙালি। তার গ্রামের বাড়ি বগুড়া জেলার শাহজাহানপুর থানার চুতিনগর ইউনিয়নের ব্রিকুষ্টিয়ায়। তার বাবা আবুল হোসেন একজন দিনমজুর। পায়েল প্রথমে ব্রিকুষ্টিয়া দারুল হাদিস সালাদিয়া কওমি মাদ্রাসায় পড়াশুনা করে। পরে ডিহিগ্রাম ডিইউ সেন্ট্রাল ফাজিল মাদ্রাসা থেকে ২০১৩ সালে দাখিল ও ২০১৫ সালে আলিম পাস করে। হামলার এক বছর আগে থেকে নিখোঁজ ছিল সে। গুলশান হামলা ছাড়াও আরও বেশ কয়েকটি হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে সে জড়িত ছিল। নব্য জেএমবির দায়িত্বশীল নেতা রাজীব ওরফে গান্ধী ওরফে সুভাষ ওরফে জাহাঙ্গীরের মাধ্যমে জঙ্গিবাদে জড়িয়ে পড়ে পায়েল। গুলশান হামলার পরদিন কমান্ডো অভিযানে নিহত হয় সে।

শফিকুল ইসলাম উজ্জ্বল ওরফে বিকাশ: শফিকুল ইসলাম উজ্জলের সাংগঠনিক নাম আবু মুসলিম আল বাঙালি। গুলশান হামলায় সরাসরি অংশ নেওয়া উজ্জ্বলের গ্রামের বাড়ি বগুড়ার ধুনট উপজেলার ভাণ্ডার বাড়ি ইউনিয়নের কৈয়াগাড়ি গ্রামে। তার বাবার নাম বদিউজ্জামান বদি। উজ্জল ধুনটের গোঁসাইবাড়ি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি ও গোসাইবাড়ি ডিগ্রি কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করে। এরপর বগুড়া সরকারি আজিজুল হক কলেজে ভর্তি হয়। পরে পড়ালেখা বাদ দিয়ে ঢাকার আশুলিয়া থানার শাজাহান মার্কেট এলাকায় মাদারী মাতব্বর কিন্ডারগার্টেন স্কুলে শিক্ষকতার চাকরি নেয়। তাবলিগে যাবার নাম করে জঙ্গিবাদে জড়িয়ে পড়ে সে। পায়েলও  রাজীব গান্ধীর হাত ধরেই জঙ্গিবাদে জড়িয়ে গুলশান হামলায় অংশ নেয়। হামলার পরদিন সকালে কমান্ডো অভিযানে নিহত হয় সে।

গ্রেফতার হওয়া ছয় জঙ্গি

জাহাঙ্গীর হোসেন ওরফে রাজীব গান্ধী: জাহাঙ্গীর হোসেন ওরফে রাজীব গান্ধীর বিরুদ্ধে গুলশান হামলার পরিকল্পনাকারী ও হামলাকারী জঙ্গি সরবরাহকারী হিসেবে তথ্য-প্রমাণ পেয়েছে মামলার তদন্ত সংশ্লিষ্টরা। ২০১৭ সালের ১৪ জানুয়ারি ঢাকার কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের হাতে গ্রেফতার হওয়া রাজীব গান্ধী গুলশান হামলার আদ্যোপান্ত স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। রাজীবের বাড়ি গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জের পশ্চিমরাঘরপুর এলাকার ভূতমারী ঘাট এলাকায়। তার বাবার নাম মাওলানা ওসমান গণি মণ্ডল। স্থানীয় একটি কলেজ থেকে এসএসসি পাস করা রাজীব ২০১৫ সালে স্ত্রী ও সন্তান নিয়ে ‘হিজরত’ করে। স্থানীয় একটি কলেজ থেকে সে এসএসসি পাস করেছে। রাজীব বর্তমানে কারাবন্দি রয়েছে।
গ্রেফতার জঙ্গিরা (বাঁ থেকে ঘড়ির কাঁটার মতো) রাজীব, সাগর, মাহফুজ, বড় মিজান, রাশেদ ও রিগ্যান


আসলামুল ইসলাম ওরফে রাশেদ ওরফে র‌্যাশ: গুলশান হামলার পরিকল্পনা সহযোগী ও বাস্তবায়নকারী হিসেবে তদন্তে নাম এসেছে আসলামুল ইসলাম ওরফে রাশেদ ওরফে র‌্যাশের নাম। সে ছিল শীর্ষ নেতা তামিম চৌধুরীর ঘনিষ্ট। নওগাঁর মান্দা এলাকার আব্দুস সালামের ছেলে রাশেদ উচ্চ মাধ্যমিক পড়া অবস্থাতেই প্রথমে অনলাইনের মাধ্যমে জঙ্গিবাদে জড়িয়ে পড়ে। পরবর্তী সময়ে নব্য জেএমবির নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ হয় তার। ঢাকায় আসার পর তামিম চৌধুরী ও মারজানের সঙ্গে থেকে জঙ্গি কার্যক্রম চালিয়ে যেতে থাকে। গুলশান হামলার পরিকল্পনা বাস্তবায়নে তামিম ও মারজানের সহযোগী হিসেবে কাজ করে। ২০১৭ সালের ২৮ জুলাই নাটোর থেকে গ্রেফতার হওয়ার পর আদালতে দায় স্বীকার করে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিও দিয়েছে সে। বর্তমানে রাশেদ কারাবন্দি রয়েছে।

সোহেল মাহফুজ ওরফে হাতকাটা মাহফুজ: গুলশান হামলায় অস্ত্র ও বোমা তৈরি এবং সরবরাহকারী হিসেবে তদন্তে নাম এসেছে সোহেল মাহফুজ ওরফে হাতকাটা মাহফুজের নাম। সোহেল মাহফুজ এক সময় পুরনো জেএমবির শীর্ষ নেতা ছিল। ২০০২ সালে পাবনা জেলা স্কুলে দশম শ্রেণিতে পড়া অবস্থাতেই জঙ্গিবাদে জড়িয়ে পড়ে সে। সোহেল মূলত বোমা তৈরির কারিগর। বোমা তৈরি করতে গিয়ে তার এক হাত উড়ে যায়। ২০১৪ সালে তামিম চৌধুরীর সঙ্গে যুক্ত হয়ে নব্য জেএমবির অস্ত্র ও বোমা তৈরির কারিগর হিসেবে কাজ করতে থাকে। গুলশান হামলায় ব্যবহৃত গ্রেনেডগুলো   শেওড়াপাড়ার আস্তানায় বসে নিজের হাতেই তৈরি করেছিল সে। ২০১৭ সালের ৭ জুলাই চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ থানাধীন পুস্কনি এলাকা থেকে তিন সহযোগীসহ গ্রেফতার করা হয় তাকে। পরবর্তীতে কয়েক দফা রিমান্ড শেষে ২৩ জুলাই গুলশান হামলার দায় স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয় সোহেল। তার গ্রামের বাড়ি কুষ্টিয়ার কুমারখালীর শিলাইদহ এলাকার সাদিপুর কাবলিপপাড়া এলাকায়। তার বাবার নাম রেজাউল করিম শেখ। বর্তমানে সে কারাগারে রয়েছে।

হাদীসুর রহমান সাগর: গুলশান হামলার তদন্তে হাদীসুর রহমান সাগরের বিরুদ্ধে বোমা তৈরি ও অস্ত্র-বোমা সরবরাহের তথ্য-প্রমাণ পেয়েছেন তদন্তকারীরা । মামলার অভিযোগপত্রে তার নাম থাকছে। পুরানো জেএমবির সদস্য সাগর ২০০১ সালে জয়পুরহাট সদরের বানিয়াপাড়া আলিয়া কামিল মাদ্রাসা থেকে আলিম পাস করার পর থেকেই জঙ্গিবাদে জড়িয়ে পড়ে। ভারত থেকে অস্ত্র ও বিস্ফোরক আনার সবগুলো রুট জানা ছিল তার। ২০১৪ সালে সে নব্য জেএমবির হয়ে কাজ শুরুর পর হলি আর্টিজানে হামলার জন্য অস্ত্র ও বিস্ফোরক সরবরাহ করেছিল সে। সাগরের গ্রামের বাড়ি জয়পুরহাটের কয়রাপাড়ায়। বাবার নাম হারুন অর রশিদ। এ বছরের (২০১৮) ২১ মার্চ চাপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ থেকে সাগরকে গ্রেফতারের পর দুই দফা রিমান্ড শেষে ৫ এপ্রিল গুলশান হামলায় সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছে। সাগর আরেক জঙ্গি মারজানের ভগ্নিপতি বর্তমানে সে কারাগারে রয়েছে। 

রাকিবুল হাসান রিগ্যান: গুলশান হামলা মামলার তদন্তে রাকিবুল হাসান রিগ্যানের নাম এসেছে হামলাকারীদের প্রশিক্ষক হিসেবে। বয়সে তরুণ  রিগ্যান ২০১৫ সালে বগুড়া সরকারি শাহ সুলতান কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করার পর জঙ্গিবাদে জড়িয়ে পড়ে। ওই বছরের ২৬ জুলাই সকালে কোচিংয়ের কথা বলে ঘর ছাড়ে রিগ্যান। নব্য জেএমবির তরুণ প্রশিক্ষক হিসেবে গাইবান্ধা ও বগুড়ার বিভিন্ন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে গুলশান হামলায় অংশ নেওয়া হামলকারীদের ধর্মীয় ও শারীরিক প্রশিক্ষণ দিয়েছিল সে। রিগ্যানের বাড়ি বগুড়ার জামিলনগর এলাকায়। তার বাবার নাম মৃত রেজাউল করিম। ২০১৬ সালের ২৬ জুলাই কল্যাণপুরের জঙ্গি আস্তানায় অভিযান চলাকালে পালিয়ে যাওয়ার সময় রিগ্যানকে গ্রেফতার করেন সিটিটিসি’র সদস্যরা। ওই বছরের ৩ অক্টোবার গুলশান হামলায় নিজের জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয় রিগ্যান। বর্তমানে সে কারাবন্দি রয়েছে।

মিজানুর রহমান ওরফে বড় মিজান: গুলশান হামলায় ব্যবহৃত অস্ত্র, বিস্ফোরক ও গোলাবারুদ চাঁপাইনবাবগঞ্জ এলাকার সীমান্ত থেকে ঢাকায় আনার দায়িত্ব ছিল মিজানুর রহমান ওরফে বড় মিজানের। মামলার তদন্তে উঠে এসেছে— আমের ঝুড়িতে করে চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে অস্ত্র ও বিস্ফোরক ঢাকায় এনে তামিম ও মারজানের কাছে পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করতো সে। ২০১৭ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি বনানী এলাকা থেকে মিজানুর রহমান ওরফে বড় মিজানকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পুরনো জেএমবির সদস্য বড় মিজান চাঁপাইনবাবগঞ্জ এলাকায় নব্য জেএমবি’র আঞ্চলিক সংগঠক ও সামরিক কমান্ডার হিসেবে দায়িত্ব পালন করতো। গ্রেফতারের পর গত বছরের ২৬ মার্চ হলি আর্টিজানে হামলার দায় স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে সে। বর্তমানে মিজান কারাগারে রয়েছে।

পলাতক দুই জঙ্গি

মামুনুর রশিদ রিপন: গুলশান হামলার পরিকল্পনা ও হামলাকারী (জঙ্গি) সরবরাহকারী হিসেবে নাম এসেছে নব্য জেএমবির গুরুত্বপূর্ণ নেতা মামুনুর রশীদ রিপনের। এক সময় পুরনো জেএমবির শীর্ষ নেতা ছিল রিপন। বাংলাদেশে এসে তামিম চৌধুরী যে কয়জনের সঙ্গে ঘনিষ্ট হয়ে নব্য জেএমবি গঠন করে, রিপন তাদের মধ্যে অন্যতম। রিপন এক সময় উত্তরবঙ্গের সামরিক কমান্ডার হিসেবে কাজ করতো। গুলশান হামলায় জড়িত থাকার পাশাপাশি উত্তরবঙ্গে একাধিক হত্যাকাণ্ডে জড়িত সে। তার গ্রামের বাড়ি বগুড়ার নন্দীগ্রাম থানার চৌদীঘির মারিয়া এলাকায়। তার বাবার নাম নাছের উদ্দিন। গুলশান হামলার পর থেকেই রিপন পলাতক রয়েছে। গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের ধারণা, রিপন ভারতে গিয়ে আত্মগোপন করে আছে।
গুলশান হামলায় জড়িত দুই পলাতক জঙ্গি (বাঁ থেকে) মামুনুর রশীদ রিপন ও শরীফুল ইসলাম খালিদ

শরীফুল ইসলাম খালিদ: রিপনের মতো খালিদও হলি আর্টিজানে হামলার পরিকল্পনায় সহযোগিতা, বাস্তবায়ন ও হামলাকারী সরবরাহে ভূমিকা রেখেছিল বলে তদন্তে প্রমাণ পেয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। খালিদ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী ছিল। নব্য জেএমবির শীর্ষ নেতা তামিম চৌধুরীর সঙ্গে প্রথম থেকেই যোগাযোগ ছিল তার। রাজশাহী জেলার বাগমারা থানার শ্রীপুর এলাকায় তার গ্রামের বাড়ি। তার বাবার নাম আব্দুল হাকিম। গুলশান হামলার পর থেকে সেও পলাতক রয়েছে। রিপনের সঙ্গে সেও ভারতে আত্মগোপন করে আছে বলে গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের ধারণা।  (বাংলাট্রিবিউন)

সংবাদ সম্মেলনের আগে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের ওপর হামলা

admin June 30, 2018

কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। আজ শনিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে এ হামলার ঘটনা ঘটে। এতে আন্দোলনকারীদের প্ল্যাটফর্ম বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক নুরুল হক নুরসহ অন্তত তিনজন আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে নুরুল হক নুরর অবস্থা গুরুতর বলে জানা গেছে।

কোটা বাতিল বলে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের প্রায় তিন মাস পার হলেও প্রজ্ঞাপন জারির কার্যকর কোনো পদক্ষেপ না নেয়ায় নতুন করে আন্দোলনের প্রস্তুতির জন্য শনিবার বেলা ১১টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে সংবাদ সম্মেলন ডাকে আন্দোলনকারীরা। তবে সংবাদ সম্মেলন শুরুর আগেই তাদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে।

এ হামলার জন্য ছাত্রলীগকে দায়ী করেছেন কোটা সংস্কার আন্দোলনের নেতারা। অান্দোলনকারীদের যুগ্ম-অাহ্বায়ক রাশেদ খান বলেন, ‘আন্দোলনকারী অনেকের ওপর হামলা করেছে ছাত্রলীগ। এতে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। নুরের অবস্থা অাশংকাজনক।’

তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছে ছাত্রলীগ। তাদের দাবি, কোটা নিয়ে আন্দোলনকারীদের অন্তর্কলহের জের ধরে এই হামলার ঘটনা ঘটেছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আজ (শনিবার) বেলা ১১টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের সংবাদ সম্মেলন হওয়ার কথা ছিল। তবে তার আগেই ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা সেখানে অবস্থান নেয়। সংবাদ সম্মেলনের জন্য কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের একটি দল কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে আসার পর ‘শিবির ধর’, ‘শিবির ধর’ বলে অতর্কিত হামলা চালানো হয়। নুরকে ঘিরে ধরে মারধর করা হয়। এসময় ‘ওরে মেরে ফেল’, ‘কলিজা কাট’ ইত্যাদি উক্তি করে তাকে লাথি, ঘুষি, চড়-থাপ্পড় দিতে থাকে হামলাকারীরা। একপর্যায় নুর মাটিতে পড়ে গেলে শোয়া অবস্থায় তাকে লাথি মারতে থাকে তারা। এরপর লাইব্রেরি বাহিরে টেনে নিয়ে এসে আবারও তাকে মারধর করা হয়। এসময় তার নাক-মুখ ফেটে রক্ত বের হতে দেখা যায়। পরে শিক্ষকরা তাকে উদ্ধার করে লাইব্রেরির ভেতরে নিয়ে যান। এসময় কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের প্রধান গ্রন্থাগারিক এস এম জাবেদ আহমেদও হামলাকারীদের হাতে লাঞ্ছিত হন।

পরে লাইব্রেরির সামনে বিশ্বধর্ম ও সংস্কৃতি বিভাগের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র আরশসহ আরও দুইজনকে মারধর করা হয়। আহতদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

এ বিষয়ে পুলিশে রমনা বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মারুফ হোসেন সরদার বলেন, ‘বিষয়টি আমরা শুনেছি। কিন্তু আমরা চাইলেই ক্যাম্পাসের ভেতরে যেতে পারি না। এ ঘটনায় কাউকে গ্রেফতারও করা হয়নি।’

এদিকে হামলার প্রতিবাদে রোববার থেকে দেশের সব কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে অনির্দিষ্টকালের জন্য ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কোটা সংস্কারের দাবিতে গড়ে ওঠা আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের প্ল্যাটফর্ম বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ। একই সঙ্গে সারা দেশে অবরোধ কর্মসূচিও পালন করা হবে বলে জানিয়েছেন আন্দোলনকারীদের যুগ্ম আহ্বায়ক রাশেদ খান।

কোটা সংস্কারের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে ক্ষুব্ধ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ১১ এপ্রিল জাতীয় সংসদে কোটা ব্যবস্থা বাতিলের কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘কোটা নিয়ে যখন এতকিছু, তখন কোটাই থাকবে না। কোনও কোটারই দরকার নেই। যারা প্রতিবন্ধী ও ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী তাদের আমরা অন্যভাবে চাকরির ব্যবস্থা করে দেব।’

কিন্তু প্রধানমন্ত্রী বক্তব্য অনুযায়ী কোটা নিয়ে কোনো আদেশ জারি করা না হলে ফের স্বোচ্চার হন শিক্ষার্থীরা।

Image Gallary

 
1 / 3
   
Caption Text
 
2 / 3
   
Caption Two
 
3 / 3
   
Caption Three