Showing posts with label বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি. Show all posts
Showing posts with label বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি. Show all posts
বাজেট ২০১৯-২০: ২ লাখ ২ হাজার ৭২১ কোটি টাকার নতুন এডিপি

বাজেট ২০১৯-২০: ২ লাখ ২ হাজার ৭২১ কোটি টাকার নতুন এডিপি

admin June 14, 2019

নিউজবিডি ডেস্ক:
২০১৯-২০ অর্থবছরের জন্য ২ লাখ ২ হাজার ৭২১ কোটি টাকার বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে যোগান দেওয়া হবে ১ লাখ ৩০ হাজার ৯২১ কোটি টাকা। বৈদেশিক সহায়তা থেকে ৭১ হাজার ৮০০ কোটি টাকা ব্যয়ের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে।


বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে আগামী অর্থবছরের বাজেট উপস্থাপনকালে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল এসব কথা জানান। নতুন এডিপিতে মোট প্রকল্প রাখা হয়েছে ১ হাজার ৫৬৪টি। এর মধ্যে কারিগরি সহায়তা প্রকল্প ১১৬টি, জেডিসিএফ প্রকল্প ১টি, স্বায়ত্বশাসিত সংস্থার নিজস্ব প্রকল্প রয়েছে ৮৯টি এবং বিনিয়োগ প্রকল্প রয়েছে ১ হাজার ৩৫৮টি। অন্যদিকে সমাপ্তর জন্য নির্ধারিত প্রকল্প ধরা হয়েছে ৩৫৫টি। পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপের (পিপিপি) প্রকল্প ৬২টি। বৈদেশিক সাহায্যপ্রাপ্তির সুবিধার্থে বরাদ্দহীন অননুমোদিত নতুন প্রকল্প ২৪২টি এবং বরাদ্দহীন অননুমোদিত নতুন প্রকল্প রয়েছে ১ হাজার ৪৫টি। বরাদ্দসহ অনুমোদিত নতুন প্রকল্প ৪১টি।


জানা গেছে, যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন, পদ্মা সেতু ও পদ্মা সেতুতে রেল সংযোগ প্রকল্পের গুরুত্ব বিবেচনায় পরিবহন খাতে বরাদ্দ প্রস্তাব করা হয়েছে ৫২ হাজার ৮০৬ কোটি টাকা, যা মোট এডিপির ২৬ দশমিক শূন্য ৫ শতাংশ। এরপর রয়েছে বিদ্যুৎ খাত। এ খাতে ২৬ হাজার ১৭ কোটি ১৩ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে, যা মোট এডিপির ১২ দশমিক ৮৩ শতাংশ। তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে ভৌত পরিকল্পনা, পানি সরবরাহ ও গৃহায়ন খাত। এ খাতে বরাদ্দ ধরা হয়েছে ২৪ হাজার ৩২৪ কোটি টাকা, যা মোট এডিপির ১২ শতাংশ। চলতি ২০১৮-১৯ অর্থবছরের মূল এডিপিতে বরাদ্দ রয়েছে ১ লাখ ৭৩ হাজার কোটি টাকা। সে তুলনায় নতুন অর্থবছরের এডিপির আকার বেড়েছে ১৭ দশমিক ১৮ শতাংশ। এছাড়া মাঝপথে এ অর্থবছরের বরাদ্দ কমিয়ে সংশোধিত এডিপিতে ধরা হয় ১ লাখ ৬৭ হাজার কোটি টাকা।


সংশোধিত এডিপির তুলনায় নতুন এডিপিতে বরাদ্দ বেড়েছে ২১ দশমিক ৩৯ শতাংশ। তবে মন্ত্রণালয় হিসেবে স্থানীয় সরকার বিভাগে সর্বোচ্চ ২৯ হাজার ৭৭৬ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। পর্যায়ক্রমে শিক্ষা ও ধর্ম খাতে চতুর্থ সর্বোচ্চ বরাদ্দ ধরা হয়েছে ২১ হাজার ৩ ৭৯ কোটি ১২ লাখ টাকা, যা এডিপির ১০ দশমিক ৫৫ শতাংশ। বিজ্ঞান, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি খাতে বরাদ্দ ১৭ হাজার ৫৪১ কোটি ২৬ লাখ টাকা, যা এডিপির ৮ দশমিক ৬৫ শতাংশ।


পল্লী উন্নয়ন ও পল্লী প্রতিষ্ঠান খাতে ১৫ হাজার ১৫৭ কোটি ৪০ লাখ টাকা (বা ৭ দশমিক ৪৮ শতাংশ), স্বাস্থ্য, পুষ্টি, জনসংখ্যা ও পরিবারকল্যাণ খাতে ১৩ হাজার ৫৫ কোটি ৪৭ লাখ টাকা (বা ৬ দশমিক ৪৪ শতাংশ), কৃষি খাতে ৭ হাজার ৬১৬ কোটি টাকা (বা ৩ দশমিক ৭৬ শতাংশ), পানিসম্পদ খাতে ৫ হাজার ৬৫২ কোটি ৯০ লাখ টাকা (বা ২ দশমিক ৭৯ শতাংশ), জনপ্রশাসন খাতে ৫ হাজার ২৪ কোটি টাকা (বা ২ দশমিক ৪৮ শতাংশ) বরাদ্দ প্রস্তাব করা হচ্ছে।


আগামী এডিপিতে মন্ত্রণালয় ও বিভাগের মধ্যে সর্বোচ্চ বরাদ্দ পেয়েছে স্থানীয় সরকার বিভাগ ২৯ হাজার ৭৭৬ কোটি টাকা। দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে বিদ্যুৎ বিভাগ ২৬ হাজার ১৪ কোটি ৪৪ লাখ টাকা। তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ ২৫ হাজার ১৬৩ কোটি ৩৬ লাখ টাকা।


পর্যায়ক্রমে বরাদ্দের ক্ষেত্রে প্রথম ১০ নম্বরে থাকা মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলো হচ্ছে, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় ১৫ হাজার ৯০৮ কোটি ৪৭ লাখ টাকা, রেলপথ মন্ত্রণালয় ১২ হাজার ৫৯৮ কোটি ৬৪ লাখ টাকা, স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ ৯ হাজার ৯৩৬ কোটি ৮০ লাখ টাকা, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় ৯ হাজার ২৭০ কোটি টাকা, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকশিক্ষা বিভাগ ৮ হাজার ৯২৬ কোটি টাকা, সেতু বিভাগ ৮ হাজার ৫৬১ কোটি টাকা এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় ৬ হাজার ২৫৬ কোটি ৬৩ লাখ টাকা খসড়া বরাদ্দ ধরা হয়েছে।


উল্লেখ্য গত ২১ মে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়। এনইসি সভায় সভাপতিত্ব করেন এনইসি চেয়ারপারসন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

আসছে অর্থবছরের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির খসড়া চূড়ান্ত

আসছে অর্থবছরের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির খসড়া চূড়ান্ত

admin May 08, 2019

অনলাইন ডেস্ক:
আগামী ২০১৯-২০ অর্থবছরের জন্য দুই লাখ দুই হাজার ৭২১ কোটি টাকার বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) খসড়া চূড়ান্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে এক লাখ ৩০ হাজার ৯২১ কোটি টাকা এবং বৈদেশিক সহায়তা থেকে ৭১ হাজার ৮০০ কোটি টাকা খরচের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। নতুন অর্থবছরে খাতভিত্তিক বরাদ্দে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার পাচ্ছে পরিবহন খাত।


বুধবার রাজধানীর আগারগাঁও পরিকল্পনা কমিশনের এক বৈঠকে এ খসড়া চূড়ান্ত করা হয়েছে। এতে সভাপতিত্ব করেন পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান। চূড়ান্ত খসড়াটি জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের (এনইসি) বৈঠকে উপস্থাপনের জন্য সুপারিশ করা হয়েছে।


বৈঠক শেষে ব্রিফিংয়ে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, আমরা এডিপির সর্বোচ্চ বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছি। আগামী অর্থবছরেও সেই ধারা অব্যাহত থাকবে। নতুন এডিপিতে মানবসম্পদ উন্নয়ন, বিদ্যুৎ, অবকাঠামো, স্বাস্থ্য, শিক্ষা এবং পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপে (পিপিপি) বিশেষ গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে।


ব্রিফিংয়ে পরিকল্পনা সচিব মো. নুরুল আমিন আগামী অর্থবছরের খসড়ার আকার তুলে ধরেন। এক সপ্তাহের মধ্যেই এটি জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের (এনইসি) সভায় চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করা হবে।


এডিপি পর্যালোচনায় বলা হয়, চলতি অর্থবছরের ১০ মাসে (জুলাই-এপ্রিল) পর্যন্ত সংশোধিত বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (আরএডিপি) বাস্তবায়ন হয়েছে ৫৪ দশমিক ৬৩ শতাংশ। এ সময়ে মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলো খরচ করতে পেরেছে ৯৬ হাজার ৪৯৩ কোটি টাকা।


আগামী অর্থবছরের জন্য খাতভিত্তিক বরাদ্দের খসড়ায় সর্বোচ্চ বরাদ্দ ধরা হয়েছে পরিহন খাতে। যোগাযোগব্যবস্থার উন্নয়ন, পদ্মা সেতু ও পদ্মা সেতুতে রেল সংযোগ প্রকল্পের গুরুত্ব বিবেচনায় পরিবহন খাতে বরাদ্দ প্রস্তাব করা হয়েছে ৫২ হাজার ৮০৫ কোটি ৬৯ লাখ টাকা, যা মোট এডিপির ২৬ দশমিক শূন্য ৫ শতাংশ।


এ ছাড়া অগ্রাধিকার খাত বিবেচনায় বিদ্যুৎ খাতে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বরাদ্দ ধরা হয়েছে ২৬ হাজার ১৭ কোটি ১৩ লাখ টাকা, যা মোট এডিপির ১২ দশমিক ৮৩ শতাংশ। ভৌত পরিকল্পনা, পানি সরবরাহ ও গৃহায়ণ খাতে তৃতীয় সর্বোচ্চ বরাদ্দ ধরা হয়েছে ২৪ হাজার ৩২৪ কোটি টাকা, যা মোট এডিপির ১২ শতাংশ।


এ ছাড়া পর্যায়ক্রমে অন্যান্য খাতের বরাদ্দ হচ্ছে, শিক্ষার প্রসার ও গুণগতমান বাড়াতে শিক্ষা ও ধর্ম খাতে চতুর্থ সর্বোচ্চ বরাদ্দ ধরা হয়েছে ২১ হাজার ৩৭৯ কোটি ১২ লাখ টাকা, যা মোট এডিপির ১০ দশমিক ৫৫ শতাংশ।


এ ছাড়া রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণসহ তথ্যপ্রযুক্তি প্রসারে বিজ্ঞান, তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি খাতে পঞ্চম সর্বোচ্চ বরাদ্দ ১৭ হাজার ৫৪১ কোটি ২৬ লাখ টাকা, যা মোট এডিপির ৮ দশমিক ৬৫ শতাংশ।


গ্রামীণ অর্থনীতিতে গতিশীলতা আনা ও কর্মসংস্থান বাড়াতে পল্লী উন্নয়ন ও পল্লী প্রতিষ্ঠান খাতে ১৫ হাজার ১৫৭ কোটি ৪০ লাখ টাকা বা ৭ দশমিক ৪৮ শতাংশ বরাদ্দ ধরা হয়েছে।


স্বাস্থ্যসেবার মানোন্নয়নে স্বাস্থ্য, পুষ্টি, জনসংখ্যা ও পরিবার কল্যাণ খাতে ১৩ হাজার ৫৫ কোটি ৪৭ লাখ টাকা বা ৬ দশমিক ৪৪ শতাংশ বরাদ্দ দেয়া হচ্ছে। খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনে কৃষি খাতে ৭ হাজার ৬১৫ কোটি ৯৩ লাখ টাকা বা ৩ দশমিক ৭৬ শতাংশ বরাদ্দ ধরা হয়েছে। নদীভাঙন রোধ ও নদীর ব্যবস্থাপনার জন্য পানিসম্পদ খাতে ৫ হাজার ৬৫২ কোটি ৯০ লাখ টাকা বা ২ দশমিক ৭৯ শতাংশ বরাদ্দ ধরা হচ্ছে এবং মানবসম্পদ উন্নয়নসহ দক্ষতা বৃদ্ধিতে গতিশীলতা আনয়নের জন্য জনপ্রশাসন খাতে ৫ হাজার ২৩ কোটি ৮৮ লাখ টাকা বা ২ দশমিক ৪৮ শতাংশ বরাদ্দ প্রস্তাব করা হচ্ছে।

Image Gallary

 
1 / 3
   
Caption Text
 
2 / 3
   
Caption Two
 
3 / 3
   
Caption Three