রংপুর এক্সপ্রেস ডেস্ক:
গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরে মাত্র চার বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে মাদ্রাসা ছাত্র আরথিন মোড়ল (১২) নামের এক কিশোরকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার রাতে মুকসুদপুর উপজেলার রাগদী এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার হওয়া আরথিন মোড়ল মুকসুদপুর উপজেলার উত্তর গঙ্গারামপুর এলাকার এমারাত মোড়লের ছেলে। সে মুন্সিগঞ্জে একটি মাদ্রাসায় পড়াশোনা করে।
মুকসুদপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোস্তফা কামাল পাশা জানান, বুধবার দুপুরে গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার উত্তর গঙ্গরামপুর গ্রামের এক দিন মজুরের শিশু কন্যাকে মাদ্রাসা ছাত্র আরথিন মোড়ল বাড়ির পাশের পাটখেতে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে। নির্যাতীতার মা বিষয়টি টের পেলে পরে সে শিশুটিকে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়।
এ ঘটনায় স্থানীয়রা কয়েক দফা সালিশের মাধ্যমে বিষয়টি মীমাংসার চেষ্টা করে। কিন্তু তারা এতে ব্যর্থ হন। পরে স্থানীয় থানায় মামলা করেন মেয়েটির মা।
এ ঘটনায় অভিযান চালিয়ে বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার রাগদী এলাকা থেকে মাদ্রাসা ছাত্র আরথিন মোড়ল (১২) গ্রেপ্তর করেছে পুলিশ। এ বিষয়ে তাকে বিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
এদিকে নির্যাতিতা শিশুটিকে প্রথমে রাজৈর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। কিন্তু অবস্থার অবনতি হওয়ায় বুধবার রাতেই তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য মাদারীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন তার মা।
তিনি বলেন, ওই ছেলে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে আমার মেয়ের সাথে খারাপ কাজ করেছে। পরে আমি বাড়ির পাশের পাট ক্ষেতে গিয়ে দেখি আমার মেয়ে উলঙ্গ অবস্থায় পড়ে আছে। আমাকে দেখে ওই ছেলে পালিয়ে গেছে। আমরা গরীব মানুষ। প্রথমে এলাকার লোকজন সালিশ করে দিবে বলেছিল। পরে তারা কিছুই করেনি। আমি এর বিচার চাই।
স্থানীয় মাতুব্বর ফিরোজ মল্লিক বলেন, বিষয়টি আমি জানি। সত্য ঘটনা তো চাপা থাকে না। অনেকেই চেয়েছিল সালিসের নামে ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে। আমি মেয়েটিকে হাসপাতালে ভর্তি করে থানায় মামলা করার পরামর্শ দিয়েছি। ওই ছেলে এর আগেও অন্য একটি মেয়েকে ধর্ষণ করেছিলো।