নীলফামারী প্রতিনিধি:
মোটরসাইকেলের ধাক্কায় আহত এক শিশুর চিকিৎসার টাকা চাওয়াকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের হামলায় নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার পল্লীতে মঞ্জুরুল ইসলাম (৫০) নামের এক ব্যাক্তিকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে আজ বুধবার (৫ জুন) ঈদের দিন দুপুরে জেলার মর্গে ময়নাতদন্ত করেছে।
এ ঘটনায় হত্যার শিকার মঞ্জুরুল ইসলামের স্ত্রী আশেদা বেগম বাদী হয়ে নায়ীয় ১৫ জন ও অজ্ঞাত দুই সহ ১৭ জনের নামে ডিমলা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। নিহত মঞ্জুরুল ইসলাম ডিমলা উপজেলার ঝুনাগাছ চাঁপানী ইউনিয়নের দক্ষিন ঝুনাগাছ চাঁপানী গ্রামের চাকলাপাড়ার মৃত নলেয়া মামুদের ছেলে।
মামলা ও এলাকাবাসী সুত্রে জানা গেছে, গতকাল মঙ্গলবার (৪ জুন) বিকালে উক্ত গ্রামে অজ্ঞাত দুই ব্যাক্তি মোটরসাইকেল যোগে গ্রামের মৃত ছকিমুদ্দিনের ছেলে নাসির হোসেন রিয়াদের বাড়িতে বেড়াতে আসে। আসার পথে অজ্ঞাত ওই দুই ব্যাক্তির মোটরসাইকেলের ধাক্কায় আহত হয় একই গ্রামের রবিউল ইসলামের চার বছরের শিশু মেয়ে রিয়া। গ্রামবাসীর সঙ্গে উক্ত মঞ্জুরুল ইসলাম ও উক্ত মোটরসাইকেল আরোহীদের কাছে শিশুটির চিকিৎসার জন্য টাকা দাবি করে।
‘খবর পেয়ে নাসির হোসেন রিয়াদ লোকজন নিয়ে ঘটনাস্থলে এসে মোটরসাইকেল সহ তার দুই আত্মীয়কে তার বাড়িতে পাঠিয়ে দিয়ে গ্রামবাসীর উপর হামলা চালায়। এতে ঘটনাস্থলে নিহত হয় মঞ্জুরুল ইসলাম।’
ডিমলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মফিজ উদ্দিন শেখ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে রাতেই মরদেহ উদ্ধার করা হয়। আসামীরা সকলে পলাতক। আসামীদের গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।