Showing posts with label হত্যা. Show all posts
Showing posts with label হত্যা. Show all posts
কুড়িগ্রামে পাওনা টাকা চাইতে গিয়ে খুন গৃহবধূ

কুড়িগ্রামে পাওনা টাকা চাইতে গিয়ে খুন গৃহবধূ

admin June 17, 2019

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি:
কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলায় পাওনা টাকা চাওয়ায় গায়ের ওপর মোটরসাইকেল তুলে দিয়ে আনজু বেগম (৩৮) নামে এক গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।


রোববার (১৬ জুন) দুপুরে উপজেলার নাওডাঙ্গা ইউনিয়নের বিএস দাখিল মাদ্রাসার সামনে এ ঘটনা ঘটে। আনজু বেগম নাওডাঙ্গা ইউনিয়নের বালাটারী গ্রামের মৃত বাচ্চু মিয়ার স্ত্রী। তার তিন মেয়ে ও দুই ছেলে রয়েছে।


স্থানীয়রা জানান, আনজু বেগম রবিউল ইসলাম (২৫) নামে এক যুবককে মোটরসাইকেল ও এক লাখ টাকা দেন ব্যবসার জন্য। পরে লেনদেন নিয়ে তাদের মধ্যে সম্পর্কের অবনতি হয়। পাওনা টাকা ফেরত চাইলে রবিউল বিভিন্নভাবে হুমকি-ধমকি দিতেন।


রোববার (১৬ জুন) নাওডাঙ্গা বিএস দাখিল মাদ্রাসার সামনের রাস্তায় রবিউলের মোটরসাইকেলের গতিরোধ করেন আনজু বেগম। একপর্যায়ে তার শরীরের ওপর দিয়ে মোটরসাইকেল চালিয়ে পালিয়ে যান রবিউল। গুরুতর আহত অবস্থায় গৃহবধূকে উদ্ধার করে এলাকাবাসী ফুলবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করলে, সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।


নাওডাঙ্গা ইউনিয়নের বালাটারী ৩নং ওয়ার্ডের সদস্য রফিকুল ইসলাম বলেন, আনজু বেগম সকালে আমার বাড়িতে রবিউলের কাছে এক লাখ টাকা পাওনার অভিযোগ নিয়ে আসেন। দীর্ঘদিন ধরে টাকা ফেরত দিতে অস্বীকার করায় রবিউলের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে পরামর্শ দিই তাকে।


ফুলবাড়ী হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. কাজী ফাহাদ জানান, হাসপাতালে আসার আগেই ওই নারীর মৃত্যু হয়েছে। বিষয়টি পুলিশকে জানানো হয়েছে।


ফুলবাড়ী থানার উপ-পুলিশ পরিদর্শক হাবিবুর রহমান হাবিব বলেন, মামলার প্রস্তুতি চলছে। লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে।

নীলফামারীর ডিমলায় এক ব্যাক্তিকে পিটিয়ে হত্যা‌

নীলফামারীর ডিমলায় এক ব্যাক্তিকে পিটিয়ে হত্যা‌

admin June 05, 2019

নীলফামারী প্রতিনিধি:
মোটরসাইকেলের ধাক্কায় আহত এক শিশুর চিকিৎসার টাকা চাওয়াকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের হামলায় নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার পল্লীতে মঞ্জুরুল ইসলাম (৫০) নামের এক ব্যাক্তিকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে আজ বুধবার (৫ জুন) ঈদের দিন দুপুরে জেলার মর্গে ময়নাতদন্ত করেছে।


এ ঘটনায় হত্যার শিকার মঞ্জুরুল ইসলামের স্ত্রী আশেদা বেগম বাদী হয়ে নায়ীয় ১৫ জন ও অজ্ঞাত দুই সহ ১৭ জনের নামে ডিমলা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। নিহত মঞ্জুরুল ইসলাম ডিমলা উপজেলার ঝুনাগাছ চাঁপানী ইউনিয়নের দক্ষিন ঝুনাগাছ চাঁপানী গ্রামের চাকলাপাড়ার মৃত নলেয়া মামুদের ছেলে।


মামলা ও এলাকাবাসী সুত্রে জানা গেছে, গতকাল মঙ্গলবার (৪ জুন) বিকালে উক্ত গ্রামে অজ্ঞাত দুই ব্যাক্তি মোটরসাইকেল যোগে গ্রামের মৃত ছকিমুদ্দিনের ছেলে নাসির হোসেন রিয়াদের বাড়িতে বেড়াতে আসে। আসার পথে অজ্ঞাত ওই দুই ব্যাক্তির মোটরসাইকেলের ধাক্কায় আহত হয় একই গ্রামের রবিউল ইসলামের চার বছরের শিশু মেয়ে রিয়া। গ্রামবাসীর সঙ্গে উক্ত মঞ্জুরুল ইসলাম ও উক্ত মোটরসাইকেল আরোহীদের কাছে শিশুটির চিকিৎসার জন্য টাকা দাবি করে।


‘খবর পেয়ে নাসির হোসেন রিয়াদ লোকজন নিয়ে ঘটনাস্থলে এসে মোটরসাইকেল সহ তার দুই আত্মীয়কে তার বাড়িতে পাঠিয়ে দিয়ে গ্রামবাসীর উপর হামলা চালায়। এতে ঘটনাস্থলে নিহত হয় মঞ্জুরুল ইসলাম।’


ডিমলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মফিজ উদ্দিন শেখ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে রাতেই মরদেহ উদ্ধার করা হয়। আসামীরা সকলে পলাতক। আসামীদের গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

দুই শিশু-অন্তঃসত্ত্বাসহ একই পরিবারের ৭ জনকে হত্যা

দুই শিশু-অন্তঃসত্ত্বাসহ একই পরিবারের ৭ জনকে হত্যা

admin May 28, 2019

নিউজিবিডি ডেস্ক:
আফগানিস্তানে একই পরিবারের সাতজনকে খুন করল দুর্বৃত্তরা। রবিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে কাবুলের পিডি-থ্রি জেলার কার্তে-ই-সাখি এলাকায়। এখনও পর্যন্ত ওই দুর্বৃত্তদের কোনও পরিচয় জানতে পারেনি পুলিশ। মৃতদের মধ্যে তিনজন মহিলা এবং দুজন শিশু।


প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গিয়েছে, এর মধ্যে আটমাসের একজন গর্ভবতী মহিলাও আছেন। মৃতদের এক আত্মীয় আতাউল্লা বাহাদুরি বলেন, এই হামলার জেরে তিনজন মহিলা, দুজন শিশু ও দুজন পুরুষের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়াও জখম হয়েছে দুটি শিশু। তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। মৃতদের মধ্যে ওই পরিবারের প্রধান ও তাঁর স্ত্রী, তাঁদের বড় ছেলে ও তাঁর স্ত্রী এবং শ্যালিকা, বড় ছেলের দুই শিশুপুত্র রয়েছে।


পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বড়দের গুলি করে হত্যা করে ওই বন্দুকধারীরা । তারপর দুটি শিশুর মুখে বালিশ চাপা দিয়ে তাদের খুন করে। এই ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যেতেই পালিয়ে যায় তারা।


স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, কিছুদিন ধরে ওই এলাকায় প্রচুর ডাকাতি, খুন ও ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটছে। সরকারের কাছে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা নিয়ে অনেকবার দরবার করলেও কোনও লাভ হয়নি।


উল্লেখ্য রবিবার সকালেই কাবুলের পিডি-ফাইভ জেলার কার্তে-ই-নাউ এলাকায় বেসরকারি সংস্থার এক কর্মকর্তাকে গুলি করে হত্যা করা হয়। তার আগে শনিবার কাবুলের ডাউনটাউন এলাকায় অবস্থিত অ্যাটর্নি জেনারেলের অফিসের সামনে এক ব্যক্তি খুন করে দুর্বৃত্তরা।

নিজের দুই সন্তানকে হত্যার পর আত্মহত্যা

নিজের দুই সন্তানকে হত্যার পর আত্মহত্যা

admin May 27, 2019

রংপুর এক্সপ্রেস ডেস্ক:
যশোরের শার্শা উপজেলায় শাশুড়ির সঙ্গে ঝগড়ার জেরে দুই সন্তানকে হত্যার পর আত্মহত্যা করেছেন এক নারী। রোববার রাত আনুমানিক ১১টার দিকে উপজেলার কায়বা ইউনিয়নের চালিতাবাড়ীয়া দীঘা গ্রামে এ মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে।


নিহতরা হলেন, ওই গ্রামের চা দোকানি ইব্রাহিমের স্ত্রী হামিদা খাতুন (৩৫), তার মেয়ে শরিফা খাতুন (১২) ও ছেলে সোহান হোসেন (৫)। জানা গেছে, সন্তানদের কীটনাশক ট্যাবলেট খাইয়ে হত্যার পর নিজেও ওই ট্যাবলেট খেয়ে আত্মহত্যা করেন হামিদা। ঘটনার সময় ইব্রাহিম দোকানে ছিলেন।


বাগআঁচড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ এসআই সুকদেব ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ ৩টি উদ্ধার করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য যশোরে পাঠানো হবে।

যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগানে বাংলাদেশিকে গুলি করে হত্যা

যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগানে বাংলাদেশিকে গুলি করে হত্যা

admin May 26, 2019

রংপুর এক্সপ্রেস ডেস্ক:
যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগানে এক বাংলাদেশিকে গুলি করে হত্যা করেছে এক দুর্বৃত্ত। স্থানীয় সময় শুক্রবার রাতে এ ঘটনা ঘটে। নিহতের বাংলাদেশির নাম জয়নুল ইসলাম। তার বাড়ি মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলার বর্ণি ইউনিয়নের কাজীবন্ধ গ্রামে।


জয়নুল ইসলাম মিশিগানের ডেট্রয়েটের কাশ্মীর স্ট্রিটে পরিবারসহ বসবাস করতেন। তিনি পেশায় একজন ট্যাক্সিচালক ছিলেন।


নিহতের পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, তারাবির নামাজ পড়ে ট্যাক্সিক্যাব নিয়ে বের হওয়ার পর শুক্রবার দিবাগত রাত আনুমানিক দেড়টা থেকে ৩টার মধ্যে সন্ত্রাসী হামলায় গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন জয়নুল ইসলাম।


এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, অপরাধীকে শনাক্ত করার জোর প্রচেষ্টা চলছে। সন্ত্রাসীর গুলিতে জয়নুল ইসলামের নিহত হওয়ার ঘটনায় বাংলাদেশি কমিউনিটিতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

ভরণপোষণ দিতে না পারার কষ্টে হত্যা করে পিতা

ভরণপোষণ দিতে না পারার কষ্টে হত্যা করে পিতা

admin May 26, 2019

রংপুর এক্সপ্রেস ডেস্ক:
নরসিংদী লঞ্চ টার্মিনালের টয়লেট থেকে শিশু দুই বোনের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সদর থানার ওসি সৈয়দুজ্জামান জানান, গত শুক্রবার রাত ৯ টার দিকে শহরের কাউরিয়াপাড়ায় বিআইডব্লিউটিএ লঞ্চ টার্মিনালের টয়লেট থেকে লাশ দুটি উদ্ধার করেন তারা।


নিহতরা হলো- মনোহরদী চালাকচর গ্রামের শফিকুল ইসলামের মেয়ে তাইন (১১) ও তাইবা (৪)। ওসি সৈয়দুজ্জামান বলেন, গত শুক্রবার রাতে স্থানীয়দের কাছে খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে লাশ দুটি উদ্ধার করে।


এদিকে শনিবার দুপুরে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার মিরাজ উদ্দিন আহাম্মেদ জানান, দরিদ্রতার কারণে সন্তানদের ভরণপোষণ ঠিকমতো দিতে না পারার কষ্ট সইতে না পেরে দুই সন্তানকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন পাষণ্ড বাবা। আটকের পর পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে দুই সন্তানকে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন নিহতদের বাবা শফিকুল ইসলাম। গত শুক্রবার রাত ১২টার দিকে লঞ্চ টার্মিনাল থেকে তাকে আটক করা হয়। আটক শফিকুল ইসলাম একটি গার্মেন্টস কারখানার নিরাপত্তা প্রহরী হিসেবে কর্মরত।


সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার মিরাজ উদ্দিন আহাম্মেদ বলেন, গত শুক্রবার রাতে নরসিংদীর লঞ্চ টার্মিনালের বাথরুম থেকে দুই শিশুর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এরপর থেকে তদন্তে নামে পুলিশ। তদন্ত চলাকালে শফিকুল ইসলামকে দেখে সন্দেহ হলে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে জানা যায় তিনিই নিহতদের বাবা। পরে তাকে আটক করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটক শফিকুল ইসলাম হত্যার কথা স্বীকার করেন।


পুলিশ সুপার আরো জানান, ডাক্তার দেখানোর উদ্দেশে মনোহরদী গ্রামের বাড়ি থেকে দুই সন্তানকে শিবপুর নিয়ে আসেন তিনি। চিকিৎসক না থাকায় তিনি তার সন্তানদের নরসিংদী লঞ্চ টার্মিনালে ঘুরতে নিয়ে যান। ওই সময় তার ছোট মেয়ে লিচু খেতে চায়। কিন্তু তার কাছে পর্যাপ্ত টাকা ছিল না। তার ওপর সামনে ঈদ। সংসারের খরচ ও ঈদে সন্তানদের জামা কাপড় দিতে হবে। এসব ভেবে শফিকুল হিতাহিত জ্ঞান শূন্য হয়ে পড়েন। পরে প্রথমে ছোট মেয়েকে লঞ্চ টার্মিনালের বাথরুমে নিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন। পরে বড় মেয়েকে একই কায়দায় হত্যা করে বাথরুমে লাশ ফেলে রেখে পালিয়ে যান।


এসপি জানান, এ ঘটনায় নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে এখনো মামলা দায়ের করেনি। পরিবার মামলা না করলে পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করবে বলে তিনি জানান। তিনি আরো জানান, প্রাথমিকভাবে শফিকুল ইসলামকে মানসিক ভারসাম্যহীন বলে মনে হয়েছে। কারণ তিনি একেকবার একেক রকম কথা বলছেন।

Image Gallary

 
1 / 3
   
Caption Text
 
2 / 3
   
Caption Two
 
3 / 3
   
Caption Three