Showing posts with label বাংলাদেশ. Show all posts
Showing posts with label বাংলাদেশ. Show all posts
অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে লড়াই করে ৪৮ রানে হারলো টাইগাররা

অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে লড়াই করে ৪৮ রানে হারলো টাইগাররা

admin June 21, 2019

লক্ষ্যটা জানা বা শোনার পরই বেশিরভাগ দর্শক মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিলেন টেলিভিশনের সামনে থেকে। এই ম্যাচে বিন্দুমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়ে তোলা সম্ভব তাও ধারণা করেননি অনেকে। কিন্তু তখনও হাল ছাড়েননি টাইগাররা। লক্ষ্যের প্রতি ছুটেছেন প্রতিটা ক্ষণ। ৩৮২ রানের লক্ষ্য তাড়া করে ৪৮ রানে হারলেন বটে, তবে তার আগে ভিত কাঁপিয়ে দিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ান শিবিরের। ম্যাচে কয়েকবার জয়ের স্বপ্নও জাগিয়েছেন টাইগাররা। শতরানের দুর্দান্ত এক ইনিংস খেলেছেন মুশফিকুর রহিম। ৩৩৩ রানে থামে বাংলাদেশের ইনিংস। ওয়ানডে ক্রিকেটে এটি টাইগারদের সর্বোচ্চ সংগ্রহ।


বৃহস্পতিবার ইংল্যান্ডের নটিংহামে প্রথমে ব্যাট করে ডেভিড ওয়ার্নারের সেঞ্চুরি (১৬৬), উসমান খাজা ও অ্যারন ফিঞ্চের ঝড়ো ফিফটিতে ৩৮১ রানের পাহাড় গড়ে অস্ট্রেলিয়া।


টার্গেট তাড়া করতে নেমে মুশফিকুর রহিমের সেঞ্চুরি ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ-তামিম ইকবালের ঝড়ো ফিফটিতে ৩৩৩ রান তুলতে সক্ষম হয় বাংলাদেশ। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ১০২ রান করেন মুশফিক। ৬৯ রান করেন মাহমুদউল্লাহ। এছাড়া ৬২ রান করেন তামিম ইকবাল। ৪১ রান করেন সাকিব।


অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৩৮২ রানের পাহাড় ডিঙাতে নেমে তামিম ইকবালের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝিতে রান আউট হন সৌম্য সরকার। দলীয় ২৩ রানে উদ্বোধনী জুটি ভাঙে টাইগারদের। ওয়ান ডাউনে খেলতে নেমে দুর্দান্ত ব্যাটিং করেন সাকিব আল হাসান। আগের চার ম্যাচে দুই ফিফটির পর ব্যাক টু ব্যাক সেঞ্চুরি করা সাকিব এদিন ফেরেন ৪১ বলে ৪১ রান করে আউট হন।


ইনিংসের শুরু থেকে অসাধারণ ব্যাটিং করেন তামিম ইকবাল। ভালো শুরুর পরও নিজের ইনিংসটা লম্বা করতে পারেননি এ ওপেনার। ফিফটি তুলে নেয়ার পর মারমুখি ভঙিতে খেলে যাওয়া তামিম মিসেল স্টার্কের ভুল শটে আউট হন। তার আগে ৭৪ বলে ৬টি চারের সাহায্যে ৬২ রান করেন তামিম।


আগের ম্যাচে ৬৯ বলে ৯৪ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলে আশা জাগিয়ে ছিলেন লিটন দাস। কিন্তু আজ অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে দলের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে হতাশ করেন লিটন। অজিদের বিপক্ষে ১৭ বলে ২০ রান করে ফেরেন এই উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান।


লিটন দাসের বিদায়ের পর মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের সঙ্গে জুটি বেধে অনবদ্য ব্যাটিং করে যান মুশফিকুর রহিম। পঞ্চম উইকেটে তারা ১২৭ রানের জুটি গড়ে দলকে জয়ের স্বপ্ন দেখান। শেষ দিকে জয়ের জন্য বাংলাদেশের প্রয়োজন ছিল ২৮ বলে ৮০ রান। খেলার এমন অবস্থায় নাথান কোল্টার নিলের তোপের মুখে পড়ে দুই বলে মাহমুদউল্লাহ ও সাব্বির রহমানের উইকেট হারায় বাংলাদেশ।


মাহমুদউল্লাহর বিদায়ের মধ্য দিয়ে জয়ের স্বপ্ন ফিকে হয়ে যায় টাইগারদের। শেষ দিকে মুশফিকুর রহিমের একার লড়াইয়ে পরাজয়ের ব্যবধান কমলেও হার এড়াতে পারেনি বাংলাদেশ।


অস্ট্রেলিয়া ৩৮১/৫


ডেভিড ওয়ার্নারের অনবদ্য সেঞ্চুরিতে বাংলাদেশের বিপক্ষে ৫ উইকেটে ৩৮১ রানের পাহাড় গড়েছে অস্ট্রেলিয়া। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ১৬৬ রান করেন ওয়ার্নার। এছাড়া ৮৯ রান করেন উসমান খাজা। ৫৩ রান করেন অ্যারন ফিঞ্চ।


বৃহস্পতিবার ইংল্যান্ডের নটিংহামে বাংলাদেশের বিপক্ষে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে উড়ন্ত সূচনা করে অস্ট্রেলিয়া। ৯.৩ ওভারে স্কোরবোর্ডে ৫০ রান যোগ করেন দুই ওপেনার অ্যারন ফিঞ্চ ও ডেভিড ওয়ার্নার। উইকেটে থিতু হওয়ার পর থেকেই একের পর এক বাউন্ডারি হাঁকান ওয়ার্নার-ফিঞ্চ।


উদ্বোধনী জুটিতে ডেভিড ওয়ার্নারের সঙ্গে ১২১ রানের জুটি গড়েন অ্যারন ফিঞ্চ। ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠা তাদের এই জুটি ভাঙেন সৌম্য সরকার। মাশরাফি, মোস্তাফিজ, সাকিব, রুবেল মিরাজরা ইনিংসের প্রথম ২০ ওভার বল করেও দলকে ব্রেক থ্রু এনে দিতে ব্যর্থ হন।


টুকটাক বোলিং করা জাতীয় দলের ওপেনার সৌম্য সরকার ২১তম ওভারে বোলিংয়ে এসেই অস্ট্রেলিয়ান অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চকে ক্যাচ তুলতে বাধ্য করেন। রুবেলের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরার আগে ৫১ বলে ৫টি চার ও দুই ছক্কায় ৫৩ রান করেন ফিঞ্চ।


এরপর দ্বিতীয় উইকেটে উসমান খাজাকে সঙ্গে নিয়ে ১৯২ রানের জুটি গড়েন ডেভিড ওয়ার্নার। এই জুটিতেই শতরানের মাইলফলক স্পর্শ করেন অস্ট্রেলিয়ান এ ওপেনার। বিশ্বকাপে তৃতীয় সেঞ্চুরি করার পর একেরপর এক বাউন্ডারি হাঁকিয়ে দেড়শ পূর্ণ করেন ওয়ার্নার। তার ব্যাটে ভর করে রানের পাহাড় গড়ার পুঁজি পায় অস্ট্রেলিয়া।


উইকেটে অনবদ্য ব্যাটিং করে যাওয়া ওয়ার্নারকে শেষ পর্যন্ত সাজঘরে ফেরান সৌম্য সরকার। সৌম্যর বলে বাউন্ডারি হাঁকাতে গিয়ে রুবেলের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরেন ওয়ার্নার। তার আগে ১৪৭ বলে ১৬৬ রান করেন অস্ট্রেলিয়ান এ তারকা ব্যাটসম্যান।


এরপর চার নম্বর পজিশনে ব্যাটিংয়ে নেমে রীতিমতো তাণ্ডব চালান গ্ল্যান ম্যাক্সওয়েল। মাত্র ১০ বলে তিনটি ছক্কা ও দুটি চারের সাহায্যে ৩২ রান করা অস্ট্রেলিয়ান এ খুনে ব্যাটসম্যানকে সাজঘরে ফেরান রুবেল হোসেন। তার দুর্দান্ত থ্রোতে স্ট্যাম্প ভেঙে যায় ম্যাক্সওয়েলের।


তবে সেঞ্চুরির পথেই ছিলেন উসমান খাজা। অনবদ্য ব্যাটিং করে যাওয়া অস্ট্রেলিয়ান এ মুসলিম ক্রিকেটারকে তৃতীয় শিকারে পরিণত করেন সৌম্য সরকার। তার আগে ৭২ বলে ১০টি চারের সাহায্যে ৮৯ রান করেন উসমান খাজা। ছয় নম্বর পজিশনে ব্যাটিংয়ে নেমে রানের খাতা খুলতে না খুলতেই মোস্তাফিজুর রহমানের বলে এলবিডব্লিউ হয়ে ফেরেন স্টিভ স্মিথ।


৪৯ ওভারে দলীয় ৩৬৮/৫ রানের সময় বৃষ্টি শুরু হয়। বৃষ্টির কারণে খেলা আধা ঘণ্টা বন্ধ থাকে। এরপর ব্যাটিংয়ে নেমে ইনিংসের শেষ ওভারে মোস্তাফিজের করা ওভারে ১৩ রান আদায় করে নেন মার্কু স্টইনিস ও অ্যালেক্স ক্যারি। শেষ পর্যন্ত ৫০ ওভারে ৫ উইকেটে ৩৮১ রানে ইনিংস সমাপ্ত করে অস্ট্রেলিয়া। বাংলাদেশ দলের হয়ে ৮ ওভারে ৫৮ রানে ৩ উইকেট নেন সৌম্য সরকার।


সংক্ষিপ্ত স্কোর অস্ট্রেলিয়া: ৫০ ওভারে ৩৮১/৫ (ওয়ার্নার ১৬৬, উসমান ৮৯, ফিঞ্চ ৫৩, ম্যাক্সওয়েল ৩২, স্টইনিস ১৭*, অ্যালেক্স ক্যারি ১১*, স্মিথ ১; সৌম্য ৩/৫৮, মোস্তাফিজ ১/৬৯)।


বাংলাদেশ: ৫০ ওভারে ৩৩৩/১০ (মুশফিক ১০২,মাহমুদউল্লাহ ৬৯, তামিম ৬২, সাকিব ৪১)।


ফল: অস্ট্রেলিয়া ৪৮ রানে জয়ী।

অস্ট্রেলিয়া-বাংলাদেশ ম্যাচেও বৃষ্টির বাগড়া

অস্ট্রেলিয়া-বাংলাদেশ ম্যাচেও বৃষ্টির বাগড়া

admin June 21, 2019

এবারের বিশ্বকাপ জুড়েই বৃষ্টির বাগড়া। বৃষ্টির কারণে চারটি ম্যাচ পরিত্যক্ত হয়েছে। বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়া ম্যাচেও বৃষ্টির হানা। বৃষ্টির কারণে খেলা আপতত বন্ধ রয়েছে। তার আগে ৪৯ ওভারে ৫ উইকেটে ৩৬৮ রান সংগ্রহ করেছে অস্ট্রেলিয়া।


বৃহস্পতিবার ইংল্যান্ডের নটিংহামে বাংলাদেশের বিপক্ষে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে উড়ন্ত সূচনা করে অস্ট্রেলিয়া। ৯.৩ ওভারে স্কোরবোর্ডে ৫০ রান যোগ করেন দুই ওপেনার অ্যারন ফিঞ্চ ও ডেভিড ওয়ার্নার। উইকেটে থিতু হওয়ার পর থেকেই একের পর এক বাউন্ডারি হাঁকান ওয়ার্নার-ফিঞ্চ।


উদ্বোধনীতে জুটিতে ডেভিড ওয়ার্নারের সঙ্গে ১২১ রানের জুটি গড়েন অ্যারন ফিঞ্চ। ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠা তাদের এই জুটি ভাঙেন সৌম্য সরকার। মাশরাফি, মোস্তাফিজ, সাকিব, রুবেল মিরাজরা ইনিংসের প্রথম ২০ ওভার বল করেও দলকে ব্রেক থ্রু এনে দিতে ব্যর্থ হন।


টুকটাক বোলিং করা জাতীয় দলের ওপেনার সৌম্য সরকার বোলিংয়ে এসেই অস্ট্রেলিয়ান অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চকে ক্যাচ তুলতে বাধ্য করেন। রুবেলের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরার আগে ৫১ বলে ৫টি চার ও দুই ছক্কায় ৫৩ রান করেন ফিঞ্চ।


এরপর দ্বিতীয় উইকেটে উসমান খাজাকে সঙ্গে নিয়ে ১৯২ রানের জুটি গড়েন ডেভিড ওয়ার্নার। এই জুটিতেই শতরানের মাইলফলক স্পর্শ করেন অস্ট্রেলিয়ান এ ওপেনার। বিশ্বকাপে তৃতীয় সেঞ্চুরি করার পর একেরপর এক বাউন্ডারি হাঁকিয়ে দেড়শ পূর্ণ করেন ওয়ার্নার। তার ব্যাটে ভর করে রানের পাহাড় গড়ার পুঁজি পায় অস্ট্রেলিয়া।


উইকেটে অনবদ্য ব্যাটিং করে যাওয়া ওয়ার্নারকে শেষ পর্যন্ত সাজঘরে ফেরান সৌম্য সরকার। সৌম্যর বলে বাউন্ডারি হাঁকাতে গিয়ে রুবেলের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরেন ওয়ার্নার। তার আগে ১৪৭ বলে ১৬৬ রান করেন অস্ট্রেলিয়ান এ তারকা ব্যাটসম্যান। ৪৮.২ ওভারে দলীয় ৩১৩ রানে আউট হন ওয়ার্নার।


এরপর চার নম্বর পজিশনে ব্যাটিংয়ে নেমে ব্যাটিং তাণ্ডব চালান গ্ল্যান ম্যাক্সওয়েল। মাত্র ১০ বলে তিনটি ছক্কা ও দুটি চারের সাহায্যে ৩২ রান করা অস্ট্রেলিয়ান এ খুনে ব্যাটসম্যানকে সাজঘরে ফেরান রুবেল হোসেন। তার দুর্দান্ত থ্রোতে স্ট্যাম্প ভেঙে যায় ম্যাক্সওয়েলের।


তবে সেঞ্চুরির পথেই ছিলেন উসমান খাজা। অনবদ্য ব্যাটিং করে যাওয়া অস্ট্রেলিয়ান এ মুসলিম ক্রিকেটারকে তৃতীয় শিকারে পরিণত করেন সৌম্য সরকার। তার আগে ৭২ বলে ১০টি চারের সাহায্যে ৮৯ রান করেন উসমান খাজা। ছয় নম্বর পজিশনে ব্যাটিংয়ে নেমে মোস্তাফিজুর রহমানের বলে এলবিডব্লিউ হয়ে ফেরেন স্টিভ স্মিথ।

রোহিঙ্গা সঙ্কটের সমাধান ও তিস্তা চুক্তি সম্পাদনের আশ্বাস

রোহিঙ্গা সঙ্কটের সমাধান ও তিস্তা চুক্তি সম্পাদনের আশ্বাস

admin June 16, 2019

রংপুর এক্সপ্রেস ডেস্ক:
রোহিঙ্গা সঙ্কট সমাধানে ভারতের সক্রিয় সমর্থন ও সহযোগিতা কামনা, বহুল প্রত্যাশিত তিস্তা চুক্তি সম্পাদন ও সীমান্তে হত্যা বন্ধে ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড.এ কে আব্দুল মোমেন।


ভারতের নবনিযুক্ত পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড.এস. জয়শংকরের সাথে এক দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে তিনি এসব সহযোগিতার কথা ব্যক্ত করেন। শুক্রবার তাজাকিস্তানের রাজধানী দুশানোবেতে স্থানীয় হোটেল সেরিনায় তারা এ বৈঠকে মিলিত হন। ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণের পর বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে এটি ছিল প্রথম বৈঠক।


কনফারেন্স অন ইন্টার‌্যাকশন এন্ড কনফিডেন্স বিল্ডিং মেজারর্স ইন এশিয়া (সিআইসিএ)- এর পঞ্চম সম্মেলনে যোগ দিতে দুশানবেতে অবস্থানরত রাষ্ট্রপতির সফরসঙ্গী হিসেবে অবস্থান করছেন ড.আব্দুল মোমেন। শনিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদবিজ্ঞপ্তিতে এ কথা বলা হয়।


ড.এস জয়শংকর রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধান, বহুল প্রত্যাশিত তিস্তা চুক্তি ও সীমান্তে হত্যাকান্ড বন্ধে প্রয়োজনীয় সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করেন। তিনি বলেন, প্রতিবেশী দেশসমূহের সাথে ভারতের সদ্ভাব ও সম্পর্ক উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সরকার পরিণত সংবেদনশীলতা প্রদর্শন করেছে।


ভারতের পূর্বমুখী অর্থনৈতিক প্রবেশদ্বার (গেটওয়ে) হিসেবে বাংলাদেশের অনন্য সম্ভাবনা ও ভূকৌশলগত সুবিধার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিআইএমএসটিইসি-কে শক্তিশালী করলে উভয় দেশের জন্য মঙ্গলজনক হবে। ভারত আঞ্চলিক সংযোগের ওপর সমধিক গুরুত্বারোপ করে থাকে বলেও জানান তিনি।


ড. মোমেন বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তাদের রাজনৈতিক প্রজ্ঞা ও দূরদর্শিতা এবং পরিপক্ক ও প্রশংসনীয় নেতৃত্বের মাধ্যমে দুই দেশের মধ্যে দীর্ঘ বিরাজিত অমীমাংসিত ও স্পর্শকাতর ইস্যুসমূহ সমাধান করে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে যে অভূতপূর্ব উচ্চতায় উন্নীত করেছেন,তা বিশ্বের অপরাপর দেশগুলোর জন্য এক অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত।


এ সময় তিনি ভারতের সাম্প্রতিক লোকসভা নির্বাচনে বিপুল বিজয়ের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে এবং ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড.এস.জয়শংকরকে অভিনন্দন জানান।


এ সময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশে প্রায় এক’শটি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে (স্পেশাল ইকোনমিক জোন, এসইজেড) ভারতীয় বিনিয়োগ আকর্ষণে ড.এস জয়শংকরের সহযোগিতা কামনা করেন।


তিনি ২০২০ সালে অনুষ্ঠেয় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শততম জন্মবার্ষিকী এবং বাংলাদেশের ৫০ বছরপুর্তি উদযাপনে ভারতকে অংশগ্রহণের আমন্ত্রণ জানান।


বৈঠকে ড.এস. জয়শংকর বাংলাদেশ সফরে আশার কথা ব্যক্ত করেন। বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বিদ্যমান সম্পর্ক ভবিষ্যতে আরো সম্প্রসারিত হবে বলে দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রী সন্তোষ প্রকাশ করেন।

দেশে মানুষের গড় আয়ু বেড়ে ৭২ দশমিক ৩ বছর

দেশে মানুষের গড় আয়ু বেড়ে ৭২ দশমিক ৩ বছর

admin June 13, 2019

রংপুর এক্সপ্রেস ডেস্ক:
গত বছরের চেয়ে বাংলাদেশের মানুষের গড় আয়ু কিছুটা বেড়ে ৭২ দশমিক ৩ হয়েছে। এর মধ্যে পুরুষের আয়ু ৭০ দশমিক ৮ বছর আর নারী ৭৩ দশমিক ৮ বছর। ফলে পুরুষের থেকে নারীরা গড়ে তিন বছর বেশি বাঁচে। ২০১৭ সালে বাংলাদেশের মানুষের গড় আয়ু ৭২ বছর ছিলো।


এ ছাড়া ২০১৬ সালে ৭১.৬, ২০১৫ সালে ৭০.৯, ২০১৪ সালে গড় আয়ু ছিলো ৭০ দশমিক ৭ বছর। ২০১৩ সালে গড় আয়ু ছিলো ৭০ দশমিক ৪ বছর। ২০০৮ সালে গড় আয়ু ছিলো ৬৬ দশমিক ৮ বছর।


বুধবার বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) মনিটরিং দ্যা সিচুয়েশন অব ভাইটাল স্টাটিসটিক্স অব বাংলাদেশ (এমএসভিএসবি) এ প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। সেখানে এ চিত্র উঠে এসেছে। আগারগাঁওয়ের পরিসংখ্যানে ভবনে এ প্রতিবেদন প্রকাশনা অনুষ্ঠান হয়। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান সাংবাদিকদের এসব কথা জানান।


এমএসভিএসবি প্রকল্পের পরিচালক এ কে এম আশরাফুল হক বলেন, নারীদের রোগবালাই কম হয়। তারা উচ্চ রক্তচাপে কম ভোগেন। তাই তাদের গড় আয়ু বেশি। প্রতিবছর বিবিএস ভাইটাল স্ট্যাটিসটিকস প্রকাশ করে থাকে। এ পরিসংখ্যানের মাধ্যমে একজন মানুষের জীবনের জন্ম, মৃত্যু, আয়ুষ্কাল, বিবাহের মতো অবধারিত বিষয়ের চিত্র ওঠে আসে। অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব নজিবুর রহমান। পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব সৌরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন।


বিবিএস জানায়, দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন অব্যাহত রয়েছে। বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৮ দশমিক ১৩ ভাগ। মাথাপিছু আয়ের পরিমাণ ১ হাজার ৯০৯ ডলার। এ ছাড়া অর্থনৈতিক ও সামাজিক সূচকে এগিয়ে যাওয়ায় বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশের কাতারে। দেশে দারিদ্রের হার কমছে। ক্ষুধামুক্ত দেশ সব খাতে এগিয়ে যাচ্ছে। এমএসভিএস প্রকল্পের ২০১৮ সালের জরিপে উঠে এসেছে এরকম চিত্র।

ইংল্যান্ডের পাহাড়সম রান টপকাতে পারলো না টাইগাররা

ইংল্যান্ডের পাহাড়সম রান টপকাতে পারলো না টাইগাররা

admin June 09, 2019

রংপুর এক্সপ্রেস ডেস্ক:
ম্যাচের প্রথম ইনিংসের পরই প্রায় নিশ্চিত হয়ে গেছিল জয়ী দলের নাম। আগে ব্যাট করে ৩৮৬ রানের পাহাড়সম সংগ্রহ দাঁড় করিয়ে জয়ের বন্দরে এক পা দিয়েই রেখেছিল ইংল্যান্ড। দেখার বিষয় ছিলো এ বিশাল লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে কেমন জবাব দেয় বাংলাদেশ।


এ বিশাল সংগ্রহের পেছনে ছুটে ইনিংসের মাঝামাঝি পর্যন্ত ভালোই লড়েছিল টাইগাররা। চলতি বিশ্বকাপে বাংলাদেশের প্রথম সেঞ্চুরিও তুলে নিয়েছেন সাকিব আল হাসান। কিন্তু বাকিদের কাছ থেকে সে অর্থে সমর্থন না পাওয়ায় ম্যাচ শেষে বাংলাদেশের পরাজয়ের ব্যবধানটা বেশ বড়, ১০৬ রানের।



ইংল্যান্ডের করা ৩৮৬ রানের জবাবে দ্বিতীয় বাংলাদেশি হিসেবে সাকিব আল হাসান সেঞ্চুরি করে ১২০ রানের ইনিংস খেলেন। তবু নির্ধারিত ৫০ ওভারের ৭ বল বাকি থাকতেই ২৮০ রানে অলআউট হয়েছে বাংলাদেশ। ১০৬ রানের বড় ব্যবধানের জয়ে হাসিমুখে মাঠ ছেড়েছে স্বাগতিকরা।


কার্ডিফে আজ (শনিবার) টস জিতে প্রথমে বোলিং বেছে নেয় বাংলাদেশ। স্পিন দিয়ে আক্রমণ শুরু করে টাইগাররা। সাকিব আল হাসানের ঘূর্ণিতে শুরুতে কিছুটা কোণঠাসা অবস্থায় ছিল ইংলিশরা।


প্রথম ৫ ওভারে ইংল্যান্ড তুলতে পেরেছিল মাত্র ১৫ রান। কিন্তু পরে সুদে আসলে সেটা পুষিয়ে দিয়েছেন দুই ওপেনার জেসন রয় আর জনি বেয়ারস্টো। তেড়েফুড়ে ব্যাটিং করছিলেন তারা।


কিছুতেই যেন কিছু হচ্ছিল না। শেষ পর্যন্ত ২০তম ওভারে এসে ১১৫ বলে গড়া ১২৮ রানের বিধ্বংসী এই জুটিটি ভাঙেন মাশরাফি। উইকেট না পড়ায় এই ওভারে রাউন্ড দ্য উইকেটে এসেছিলেন নড়াইল এক্সপ্রেস। প্রথম বলেই তাকে খেলতে গিয়ে শর্ট কভারে বল উঠে যায় বেয়ারস্টোর, বাজপাখির মতো ঝাঁপিয়ে পড়ে দুর্দান্ত এক ক্যাচ নেন মেহেদী হাসান মিরাজ। ৫০ বলে ৫১ করে আউট হন বেয়ারস্টো।


এরপর দ্বিতীয় উইকেটে জো রুটকে নিয়ে ৭৭ রানের আরেকটি জুটি গড়েন রয়। ৩২তম ওভারে এসে রুটকে দুর্দান্ত এক ডেলিভারিতে বোর্ড করেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। ২৯ বলে রুট করেন ২১ রান।


সেঞ্চুরির পর জেসন রয় ভয়ংকর থেকে আরও ভয়ংকর হয়ে উঠছিলেন। মেহেদী হাসান মিরাজকে তো এক ওভারে টানা তিন ছক্কাও হাঁকিয়ে দিলেন। ইনিংসের ৩৫তম ওভারে মিরাজের উপর এই তাণ্ডব চালান রয়। তবে তাতে দমে যাননি টাইগার অফস্পিনার। চতুর্থ বলে ঠিকই রয়কে আউট করে দিয়েছেন। মাশরাফি বিন মর্তুজার ক্যাচ হয়ে ইংলিশ ওপেনার ফিরেছেন ১২১ বলে ১৫৩ রান করে, বিধ্বংসী এ ইনিংসে ১৪ বাউন্ডারির সঙ্গে ছিল ৫টি ছক্কার মার।


চতুর্থ উইকেটে আরেকটি বড় জুটি ইংল্যান্ডের। জস বাটলার আর ইয়ন মরগান এই জুটিতে যোগ করেন ৯৫ রান। শেষ পর্যন্ত মারকুটে বাটলারকে (৪৪ বলে ২ চার আর ৪ ছক্কায় ৬৪) বাউন্ডারিতে সৌম্য সরকারের ক্যাচ বানিয়ে ফেরান সাইফউদ্দিন।


৪৭ ওভারে বোলিংয়ে আসেন মিরাজ। চতুর্থ বলে বাউন্ডারিতে মরগান ক্যাচের মতো তুলে দিয়েছিলেন, দৌড়ে গিয়ে তামিম কোনোমতে হাত ছোঁয়ালেও ক্যাচটি তালুবন্দী করতে পারেননি। পরের বলে আবারও তুলে মারেন মরগান। এবার বাউন্ডারিতে একইভাবে দৌড়ে এসে দুর্দান্ত এক ক্যাচ নেন সৌম্য। ৩৩ বলে ৩৫ করে ফেরেন মরগান।


পরের ওভারে মোস্তাফিজুর রহমানের বলে আকাশে ক্যাচ তুলে দেন ৬ রান করা বেন স্টোকস। পয়েন্টে মাশরাফি ক্যাচটা মিসই করে ফেলেছিলেন, তিনবারের চেষ্টায় শেষপর্যন্ত শুয়ে বল তালুবন্দী করেন টাইগার দলপতি।


তবে ৩৪১ রানে ৬ উইকেট ফেললেও ইংল্যান্ডের রানের বান আটকে রাখা সম্ভব হয়নি। ক্রিস ওকস ৮ বলে ১৮ আর লিয়াম প্লাংকেট ৯ বলে ২৭ রানে অপরাজিত থাকেন।


বাংলাদেশের পক্ষে ২টি করে উইকেট নিয়েছেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন এবং মেহেদী হাসান মিরাজ। মাশরাফি বিন মর্তুজা আর মোস্তাফিজুর রহমান পেয়েছেন ১টি করে উইকেট।

টাইগারদের সামনে পাহাড়সম টার্গেট দিলো ইংল্যান্ড

টাইগারদের সামনে পাহাড়সম টার্গেট দিলো ইংল্যান্ড

admin June 09, 2019

রংপুর এক্সপ্রেস ডেস্ক:
বিশ্বকাপে রানের রেকর্ড গড়েছে ইংল্যান্ড। জেসন রয়ের সেঞ্চুরি এবং জস বাটলার ও জনি বেয়ারস্টোর জোড়া ফিফটিতে ৬ উইকেটে ৩৮৬ রানের ইতিহাস গড়েছে ইংল্যান্ড। বিশ্বকাসের ইতিহাসে ইংলিশদের এটা দলীয় সর্বোচ্চ রানের ইনিংস। এর আগে ২০১১ সালের বিশ্বকাপে ভারতের বিপক্ষে ৮ উইকেটে ৩৩৮ রান করে ছিল ইংল্যান্ড।


শনিবার কার্ডিফের সোফিয়া গার্ডেনসে টস হেরে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে উড়ন্ত সূচনা করে ইংল্যান্ড। উদ্বোধনী জুটিতে ১৯.১ ওভারে ১২৮ রান করেন দুই ওপেনার জেসন রয় ও জনি বেয়ারস্টো। এরপর মাশরাফি বিন মুর্তজার বলে মেহেদী হাসান মিরাজের দুর্দান্ত ক্যাচে পরিনত হন বেয়ারস্টো। তার আগে ৫০ বলে ৬টি চারের সাহায্যে ৫১ রান করেন তিনি।


এরপর তিনে ব্যাটিংয়ে নামা জো রুটের সঙ্গে জুটি বেঁধে ফের ৭৭ রান যোগ করেন জেসন রয়। এই জুটিতে সেঞ্চুরি করেন রয়। মোস্তাফিজুর রহমানকে বাউন্ডারি হাঁকানোর মধ্যে দিয়ে ৯২তম বলে শতরানের ম্যাজিক ফিগার স্পর্শ করেন রয়।


আগের ম্যাচে পাকিস্তানের বিপক্ষে সেঞ্চুরি করেন জো রুট। ইংল্যান্ডের এ তারকা ব্যাটসম্যানকে বড় ইনিংস গড়ার সুযোগ দেননি সাইফউদ্দিন। তার গতির বলে বোল্ড হওয়ার আগে ২৯ বলে ২১ রান করার সুযোগ পান রুট।


সেঞ্চুরির পর আগের চেয়েও বেশি আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করেন জেসন রয়। ৩৫তম ওভারে মিরাজের প্রথম তিন বলে তিনটি ছক্কা হাঁকান এ ইংলিশ ওপেনার। চতুর্থ বলেও বাউন্ডারি হাঁকাতে গিয়ে মাশরাফির হাতে ক্যাচ তুলে দেন।


মিরাজের অফ স্পিনে বিভ্রান্ত হওয়ার আগে ১২১ বলে ১৪টি চার ও ৫টি ছক্কায় ১৫৩ রান করেন জেসন রয়। বিশ্বকাপে এটা তার প্রথম সেঞ্চুরি। তবে ওয়ানডে ক্রিকেটে ৭৯তম ম্যাচে এটা নবম শতক।


চার নম্বর পজিশনে ব্যাটিংয়ে নেমে একের পর এক বাউন্ডারি হাঁকান জস বাটলার। আগের ম্যাচে পাকিস্তানের বিপক্ষে সেঞ্চুরি করা ইংলিশ এই হার্ডহিটার ব্যাটসম্যান এদিন ৩৩ বলে ফিফটি গড়েন। মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের দ্বিতীয় শিকারে পরিনত হওয়ার আগে ৪৪ বলে চারটি ছক্কা ও দুটি চারের সাহায্যে ৬৪ রান করে ফেরেন তিনি।


ইনিংসের শেষ দিকে ব্যাটিং তাণ্ডব চালান ইংল্যান্ড অধিনায়ক ইয়ন মরগান। তাকে সাজঘরে ফেরান মিরাজ। তার অফস্পিনে সৌম্য সরকারের তালুবন্দি হওয়ার আগে ৩৩ বলে এক চার ও দুই ছক্কায় ৩৫ রান করেন মরগান।

Image Gallary

 
1 / 3
   
Caption Text
 
2 / 3
   
Caption Two
 
3 / 3
   
Caption Three