২০১৯-২০ অর্থবছরের জন্য ৫ লাখ ২৩ হাজার ১৯০ কোটি টাকার প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপন শুরু করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। বৃহস্পতিবার ৩টার পর স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর অনুমতি নিয়ে তিনি বাজেট উপস্থাপন করতে শুরু করেন।
অসুস্থ থাকায় স্পিকারের অনুমতি নিয়ে অর্থমন্ত্রী বসে বসে বাজেট উপস্থাপন করছেন। বাজেট উপস্থাপনের আগে একটি প্রামাণ্য চিত্র দেখানো হয়।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা জানান, বৃহস্পতিবার দুপুরে অ্যাপোলো হাসপাতাল থেকে সংসদ ভবনে যান অর্থমন্ত্রী। সেখানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে বাজেট সংক্রান্ত মন্ত্রিসভার বৈঠকেও অংশ নেন তিনি।
অর্থমন্ত্রী হিসেবে আ হ ম মুস্তফা কামালের এটি প্রথম বাজেট। আর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকারের টানা একাদশ বাজেট। আগামী ৩০ জুন এই বাজেট পাস হবে। ১ জুলাই থেকে শুরু হবে নতুন অর্থবছর।
অর্থমন্ত্রীর ভাষায় এটি হচ্ছে ‘স্মার্ট’ বাজেট। অর্থমন্ত্রী তার জীবনের প্রথম বাজেটের শিরোনাম করেছেন ‘সমৃদ্ধির সোপানে বাংলাদেশ, সময় এখন আমাদের’।
অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, গ্রামীণ অবকাঠামোর উন্নয়নে জোর দেওয়া হবে এবারের বাজেটে। আয় বৈষম্য কমাতে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় নতুন উদ্যোগ থাকবে। এছাড়া প্রবাসী আয় ও তরুণ উদ্যোক্তাদের জন্য বাজেটে থাকতে পারে প্রণোদনার সুখবর।
এদিকে অর্থমন্ত্রী আগেই জানিয়েছেন, নতুন বাজেটে তিনি কর হার বাড়াতে চান না। বরং করের আওতা বাড়িয়ে রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে চান।
চলতি অর্থবছরে মূল বাজেটের আকার দাঁড়ায় চার লাখ ৬৪ হাজার ৫৭৩ কোটি টাকা। তবে লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী, রাজস্ব আদায় করতে না পারা এবং উন্নয়ন প্রকল্পে পরিকল্পনা অনুযায়ী অর্থখরচ করতে না পারায় চলতি অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটের আকার নির্ধারণ করা হয় চার লাখ ৪২ হাজার ৫৪১ কোটি টাকা। অর্থাৎ আগামী বাজেটের আকার সংশোধিত বাজেট থেকে ৮০ হাজার ৬৪৯ কোটি টাকা বেশি।