রংপুর এক্সপ্রেস ডেস্ক:
‘শেখ হাসিনার উদ্যোগ, ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ’ এই স্লোগান সামনে রেখে প্রস্তাবিত বাজেটে বিদ্যুৎখাতে ২৮ হাজার ৫১ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে। যা গত বাজেটে ছিল ২৬ হাজার ৫০২ কোটি টাকা। দেশে বিদ্যুতের উৎপাদন বাড়াতে ১৯ হাজার ৬৫০ মেগাওয়াট ক্ষমতার আরো ১৭টি নতুন বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের পরিকল্পনার কথা বলা হয়েছে প্রস্তাবিত বাজেটে।
বিদায়ী ২০১৮-১৯ অর্থবছরের সম্পূরক বাজেট সংসদে পেশ করছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। এরপর আসন্ন অর্থবছর অর্থাৎ, ২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট সংসদে উত্থাপন তিনি। বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টার দিকে অর্থমন্ত্রী বক্তৃতা শুরু করেন।
এর আগে মুস্তফা কামাল প্রথা অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সংসদ অধিবেশন কক্ষে যান। এরপর স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অধিবেশন শুরু হয়। অধিবেশনের শুরুতেই স্পিকারের অনুমতিসাপেক্ষে বাংলাদেশের বাজেট ইতিহাস নিয়ে একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করেন অর্থমন্ত্রী। বাজেট পেশের অনুমতি নিয়ে প্রথমে ২০১৮-১৯ অর্থবছরের সম্পূরক বাজেট বক্তৃতা শুরু করেন মুস্তফা কামাল।
এরপর শুরু করেন ‘সমৃদ্ধ আগামীর পথযাত্রায় বাংলাদেশ: সময় এখন আমাদের, সময় এখন বাংলাদেশের’ শীর্ষক ১০০ পৃষ্ঠার ২০১৯-২০ সালের প্রস্তাবিত বাজেট উত্থাপন। প্রস্তাবিত বাজেট বক্তৃতায় মুস্তফা কামাল বলেন, সবার জন্য বিদ্যুৎ সুবিধা নিশ্চিত করাই আমাদের লক্ষ্য। আমরা স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘ মেয়াদে কাজ করছি।
২০২১ সালে ২৪, ২০৩০ সালে ৪০ এবং ২০৪১ সালে ৬০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করবো। বর্তমানে ২১ হাজার ১৬৯ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করছি। দেশের সব মানুষ বিদ্যুৎ উৎপাদনের সুবিধা পাচ্ছে, ফলে ৯৩ শতাংশ মানুষ এর আওতায় এসেছে। পুরাতন বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো মেরামতের মাধ্যমে অতিরিক্ত বিদ্যুৎ উৎপাদনের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।