অনলাইন ডেস্ক:
অনেক জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে একাদশ সংসদের সংরক্ষিত নারী আসনে দলের সহআন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানাকে মনোনয়ন দিয়েছে বিএনপি। বিএনপির জন্য নির্ধারিত এই সংরক্ষিত নারী আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা। সবকিছু ঠিক থাকলে একটি আসনে একক প্রার্থী থাকায় প্রার্থিতা প্রত্যাহারের দিন শেষে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হবেন রুমিন।
সোমবার দুপুর সোয়া একটায় নির্বাচন কমিশনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মোঃ আবুল কাসেমের কাছে তিনি মনোনয়নপত্র জমা দেন।
রিটার্নিং কর্মকর্তা আবুল কাশেম জানান, তফসিল অনুযায়ী জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত নারী আসনটির জন্য সোমবার মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন। মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই করা হবে আগামীকাল মঙ্গলবার। ২৮ মে এই নির্বাচনে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন। আর কোনো প্রার্থী নির্ধারিত সময়ে মনোনয়নপত্র জমা না দিলে এবং ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা ২৮ তারিখের মধ্যে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার না করে নিলে নির্ধারিত সময়ের পর একক প্রার্থী হিসেবে তিনিই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় বিজয়ী হবেন।
ইসি সচিব বলেছেন,‘রিটার্নিং কর্মকর্তা যদি দেখেন, সব কাগজ ঠিক আছে, তবে গেজেট প্রকাশ করা হবে।’
ইসির ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার শেষ তারিখ ২০ মে, বাছাই ২১ মে, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ২৮ মে ও ভোট ১৬ জুন।
গত মাসে একাদশ জাতীয় সংসদে যোগ দিয়েছে বিএনপি। নিয়মানুযায়ী একজন নারী সংসদ সদস্য পাবে দলটি। ফলে তফসিল ঘোষণার পর থেকে সংরক্ষিত নারী আসনে বিএনপির কাকে মনোনয়ন দেয়া হবে তা নিয়ে চলছিল জল্পনা কল্পনা। এই পদে প্রতিযোগী অনেক থাকলেও নারী এমপির তালিকায় বিএনপির সিনিয়র নেতাদের পছন্দের তালিকার শীর্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা।
মনোনয়ন পাওয়ার পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় রুমিন ফারহানা বলেন, দেশনেত্রী ও গণতন্ত্রের মা বেগম খালেদা জিয়া ভিত্তিহীন মামলায় আজ কারাগারে। দল আমার ওপর যে আস্থা রেখেছে বিশেষ করে ম্যাডামের মুক্তি ও গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা, জনগণ ও দলের পক্ষে কথা বলা- এটি যেন এমপি হয়ে করতে পারি সে জন্য সবার কাছে দোয়া চাই।
একাদশ সংসদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসন থেকে মনোনয়ন চেয়েছিলেন রুমিন ফারহানা। কিন্তু সেখানে মনোনয়ন দেওয়া হয় উকিল আব্দুস সাত্তারকে। মনোনয়ন দৌড়ে দলটির ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট নিতাই রায় চৌধুরীর মেয়ে নিপুণ রায় চৌধুরীর সম্ভাবনাও জোরালো ছিল। তিনি দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের পুত্রবধূ।
একাদশ সংসদ নির্বাচনের ৫০টি সংরক্ষিত নারী আসনের মধ্যে ৪৯টি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছে। এরমধ্যে আওয়ামী লীগের ৪৩ জন, জাতীয় পার্টির চারজন, ওয়ার্কার্স পার্টির একজন এবং স্বতন্ত্র একজন রয়েছেন।