Showing posts with label রংপুর এক্সপ্রেস. Show all posts
Showing posts with label রংপুর এক্সপ্রেস. Show all posts
চার ঘণ্টা পর ঢাকা-উত্তরবঙ্গে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক

চার ঘণ্টা পর ঢাকা-উত্তরবঙ্গে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক

admin June 21, 2019

চার ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর ঢাকা-উত্তরবঙ্গ রেলরুটে ফের ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে। শুক্রবার দুপুর ২টায় গাজীপুরের সালনায় আন্তঃনগর রংপুর এক্সপ্রেস ট্রেনের লাইনচ্যুত বগি উদ্ধারের পর এ রুটে ট্রেন চলাচল শুরু হয়।


জয়দেবপুর জংশনের স্টেশন মাস্টার মো. শাহজাহান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। সকাল পৌনে ১০টা থেকে এ রুটে ট্রেন চলাচল বন্ধ ছিল।


জয়দেবপুর রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক (এসআই) সুব্রত দাস জানান, রংপুর থেকে ঢাকাগামী আন্তঃনগর রংপুর এক্সপ্রেস ট্রেনটি গাজীপুরের সালনা এলাকায় এসে পৌঁছালে ট্রেনের একটি বগির দুটি চাকা লাইনচ্যুত হয়ে যায়।


ফলে এ রুটে সব ধরনের ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরে ঢাকা থেকে রিলিফ ট্রেন এসে লাইনচ্যুত বগিটি উদ্ধারের পর ওই রুটে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়।


উত্তরবঙ্গগামী এ রেলরুটে ট্রেনের বগি লাইনচ্যুতির ঘটনায় সকাল থেকে গাজীপুর, টঙ্গী, কালিয়াকৈর ও টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে বেশ কয়েকটি ট্রেন আটকা পড়ে। এ সময় সীমাহীন দুর্ভোগে পড়েন যাত্রীরা।

৯ টার ট্রেন ছাড়লো বিকেল সাড়ে ৩ টায়

৯ টার ট্রেন ছাড়লো বিকেল সাড়ে ৩ টায়

admin June 01, 2019

রংপুর এক্সপ্রেস ডেস্ক:
ঈদে ঘরমুখো মানুষদের নিয়ে ঢাকা থেকে ছেড়ে যাওয়া রেলের চরম শিডিউলে বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। নির্ধারিত সময় সকাল ৯ টায় রংপুরের উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়ার কথা থাকলেও রংপুর এক্সপ্রেস প্রায় ৭ ঘণ্টা দেরিতে কমলাপুর স্টেশন ছেড়ে যায়।


শুক্রবার (৩১ মে) দুপুরে কমলাপুর রেলস্টেশনের ৩ নাম্বার প্লাটফর্ম থেকে রংপুরের উদ্দেশ্যে বিকাল ৩ টা ৫০ মিনিটে ছেড়ে যায় রংপুর এক্সপ্রেস।


সরজমিন দেখা যায়, সকাল থেকে কমলাপুর স্টেশন থেকে যতগুলো ট্রেন ছেড়ে গিয়েছে তার ভেতরে সবচেয়ে বেশি দেরিতে গন্তব্যস্থলে রওনা হয় রংপুর এক্সপ্রেস । সকাল থেকে উত্তরাঞ্চলের এই ট্রেনের জন্য দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করেন যাত্রীরা। তবে দীর্ঘ সময় পরেও কাঙ্ক্ষিত ট্রেনের দেখা পেয়েও খুশি যাত্রীরাও।


রংপুরগামী ট্রেনের যাত্রী শারমিন সুলতানা বলেন, আমরা সকাল ৮ টা থেকে ট্রেনের জন্য অপেক্ষা করছি। ঈদ যাত্রার প্রথম দিনে ট্রেনের শিডিউল বিপর্যয় যাত্রীদের জন্য খুব বড় একটা দুর্ভোগ। তার পরেও ৭ ঘণ্টা অপেক্ষা করার পরে ট্রেন পেয়ে ভালোই লাগছে।


উত্তরবঙ্গগামী আরেক যাত্রী বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী রাজু আহমেদ বলেন, বাবা মায়ের সাথে ঈদ উদযাপন করতে রংপুর যাচ্ছি। রংপুর এক্সপ্রেস ট্রেনের আজ মারাত্মক শিডিউল বিপর্যয় ঘটেছে। আমরা দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষায় ছিলাম ট্রেন কখন আসবে। তবে শেষ মুহূর্তে ট্রেনে উঠতে পেরে বাড়ি যাওয়ার আনন্দে দুর্ভোগ অনেকটাই কমে গেছে। তবে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের উচিত যেন ঈদের সামনে ট্রেনের শিডিউল ঠিক থাকে সেভাবে ব্যবস্থা করা।

উত্তরের ৮ জেলায় ৬৫০ মেগাওয়াটের চাহিদায় সরবরাহ ১২৫ মেগাওয়াট, বিদ্যুৎবিভ্রাট
চরমে

উত্তরের ৮ জেলায় ৬৫০ মেগাওয়াটের চাহিদায় সরবরাহ ১২৫ মেগাওয়াট, বিদ্যুৎবিভ্রাট চরমে

admin August 14, 2018

বন্ধ বড়পুকুরিয়া তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র, চরম বিদ্যুৎবিভ্রাটে উত্তরের ৮ জেলার মানুষ


রংপুর এক্সপ্রেস: তিন মাস ধরে কয়লা সরবরাহ বন্ধ থাকায় বর্তমানে পুরো বন্ধ রয়েছে বড় পুকুরিয়ার কয়লা ভিত্তিক তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র। আর এতে অন্ধকার যেন সঙ্গী হয়েছে উত্তরের আট জেলার মানুষের। প্রতিদিন গড়ে ৮ ঘণ্টারও বেশি বিদ্যুৎ বিভ্রাট চলছে এ অঞ্চলে। এতে করে গরমে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে মানুষ। বিঘ্নিত হচ্ছে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। লেখাপড়ায় বিঘ্ন ঘটছে ছাত্রছাত্রীদের। সেই সাথে কল কারখানাগুলিতে চলছে চরম বিপর্যয়কর অবস্থা।


জানা যায়, রংপুর বিভাগের আট জেলার জন্য প্রতিদিন বিদ্যুৎ প্রয়োজন হতো ৬৫০ মেঘাওয়াট। যার ৫২৫ মেগাওয়াট আসতো বড়পুকুরিয়া তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে। কিন্তু গত তিনমাস ধরে কয়লা সরবরাহ বন্ধ থাকায় বর্তমানে বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে পারছে না এ তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি।


বড় পুকুরিয়ার তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র সূত্রে জানা যায়, তাদের ৩ টি উইনিট চালু রাখতে প্রতিদিন কয়লার প্রয়োজন ৪ থেকে ৫ হাজার মেট্রিক টন। যা নিকটস্থ খনি থেকে নেওয়া হতো। বর্তমানে খনির কোল ইয়ার্ড সম্পূর্ণটাই ফাঁকা। সেপ্টেম্বরের প্রথমার্ধে কয়লা উত্তোলনের কথা বলা হলেও বিষয়টি খুব একটা নিশ্চিত নয়। কোলইয়র্ড ফাঁকার বিষয়টি জানাজানি হলে জ্বালানী মন্ত্রণালয় জানিয়েছিল বিদেশ থেকে কয়লা আমদানি করে বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি সচল রাখা হবে। কিন্তু এখন পর্যন্ত এ ব্যাপারে কোন আলামত পাওয়া যায়নি।


রংপুর বিভাগের আট জেলার মধ্যে সবচেয়ে বেশি বিদ্যুৎ বিভ্রাটে পড়েছে দিনাজপুর, রংপুর, কুড়িগ্রাম, নীলফামারী, লালমনিরহাট ও গাইবান্ধা জেলা। ফলে ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে কৃষকরাও। এই মৌসুমের অত্র এলাকার ধান আবাদ বৃষ্টির পানির উপর নির্ভরশীল। বৃষ্টি না হলে চাষিরা স্যালো, ডিপ ও অন্যান্য উৎস ব্যবহারের কথা ভাবেন। কিন্তু বর্তমানে বিদ্যুতের এই অবস্থায় তাও করতে পারছেন না কৃষকরা।


জানা যায়, গত মে মাসের পুরোটাই কয়লা শ্রমিকদের আন্দোলনের ফলে কয়লা উত্তোলন বন্ধ থাকে। আর গত ১৬ জুন থেকে খনির নতুন ফেইজ নির্মাণের জন্য ভূ-অভন্তর থেকে কয়লা উত্তোলন বন্ধ রয়েছে।


তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রকৌশলী আবদুল হাকিম জানান, গত জুন মাসে খনি কর্তৃপক্ষের কাছে সে সময় জানতে চাওয়া হয়েছিল এর কোনো প্রভাব নিকটস্থ তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রটিতে বিদ্যুৎ উদপাদনের ক্ষেত্রে পড়বে কিনা। সেসময় তারা সাফ জানিয়েছিলেন কখনই না। পরবর্তীতে অনুসন্ধানে জানা যায়, যে পরিমাণ কয়লা কোলইয়র্ডে উদ্বৃত্ত থাকার কথা তা নেই। বিদ্যুৎ সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান নেস্কোর রংপুর জোনের প্রধান প্রকৌশলী শাহাদত হোসেন জানান, কিছুই করার নেই। ৮ জেলায় বিদ্যুৎ চাহিদা ৬৫০ মেগাওয়াট, যার ৫২৫ মেগাওয়াট বড় পুকুরিয়া বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে আসতো। এখন কয়লার অভাবে কেন্দ্রটি বন্ধ।


উল্লেখ হিসাব অনুযায়ী ১ লাখ ৪৪ হাজার টন কয়লা থাকার কথা ছিল খনির কোল ইয়র্ডে। যার কোনো হদিস নেই। কয়লা গায়েবের ঘটনা জানাজানি হলে গঠন করা হয় তদন্ত কমিটি। বিদায়ী ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ ১৯ জনকে আসামি করে মামলাও দায়ে করা হয়। বিষয়টি বর্তমানে তদন্তাধীন।

Image Gallary

 
1 / 3
   
Caption Text
 
2 / 3
   
Caption Two
 
3 / 3
   
Caption Three