অনলাইন ডেস্ক:
ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’ মোকাবিলায় সেনাবাহিনীকে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ। আজ বৃহস্পতিবার সকালে সাভারে এক অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন।
জেনারেল আজিজ আহমেদ বলেন, ‘দুর্যোগের পূর্বে আমাদের কোথাও যদি কোনো দায়িত্ব দেওয়া হয় অথবা দুর্যোগ চলাকালীন বা পরবর্তী সময়ে যেকোনো পরিস্থিতিতে সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে আশেপাশের এলাকায় বা তাদের দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় যেকোনো দায়িত্ব পালনের জন্য আমরা প্রস্তুত রয়েছি।’
সেনাবাহিনীর সকল ডিভিশন এবং এরিয়া হেড কোয়ার্টারকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে জানিয়ে সেনাপ্রধান বলেন, ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় বেসামরিক প্রশাসনের সঙ্গেও সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখা হচ্ছে।
গত ২৪ এপ্রিল সৃষ্ট নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’তে রূপ নেয় ২৭ এপ্রিল। এটি ভারতের উড়িষ্যা, পশ্চিমবঙ্গে আঘাত হানার পর কিছুটা দুর্বল হয়ে আগামীকাল শুক্রবার সকালে বাংলাদেশে আঘাত হানতে পারে বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান।
গতকাল বুধবার বিকেলে সচিবালয়ে ‘ফণী’ মোকাবেলায় জরুরি প্রস্তুতি সভা শেষে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী বলেন, ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় দেশের উপকূলীয় ১৯ জেলায় নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খোলা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচির (সিপিপি) ৫৬ হাজার স্বেচ্ছাসেবককে প্রস্তুত রাখার পাশাপাশি উপকূলীয় সেনা ক্যাম্পগুলোকে সতর্ক রাখা হয়েছে।
ইতিমধ্যে মাইকিং করে প্রস্তুতিমূলক কাজ শুরু হয়েছে। উপকূলীয় জেলার ডিসিদের দুইশ মেট্রিক টন চাল পৌঁছে দেওয়া হয়েছে; জেলা প্রশাসকদের পাঁচ লাখ করে টাকা দেওয়া আছে জরুরি সহায়তার জন্য। এ ছাড়া ঘূর্ণিঝড়ের ঝুঁকিতে থাকা এলাকার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সাপ্তাহিক ছুটি এবং অন্যান্য ছুটি বাতিল করে তাদেরকে কর্মস্থলে উপস্থিত থাকতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
এদিকে বঙ্গোপসাগর সংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’ শক্তি সঞ্চয় করে আরও উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হচ্ছে। এ কারণে চার সমুদ্রবন্দরে স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। এর মধ্যে মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত, চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরকে ৬ নম্বর বিপদ সংকেত ও কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে ৪ নম্বর হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।