Showing posts with label রাজশাহী. Show all posts
Showing posts with label রাজশাহী. Show all posts
রাজশাহীতে দুই নারীর লাশ উদ্ধার

রাজশাহীতে দুই নারীর লাশ উদ্ধার

admin June 23, 2019
রংপুর এক্সপ্রেস ডেস্ক:
রাজশাহীর মোহনপুরে দুই নারীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এদের মধ্যে একজনকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে এবং অন্যজন আত্মহত্যা করেছেন বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে পুলিশ।

শনিবার দুপুরে লাশ দু’টি উদ্ধার করা হয়। নিহত দুই নারী হলেন- মোহনপুর উপজেলার ওষায়ের হাটরা গ্রামের বাবুল ইসলামের স্ত্রী আসমা বেগম (৪০) ও দুর্গাপুর গ্রামের বুলবুল্লাহর স্ত্রী আনোয়ারা বেগম (৪৮)। আনোয়ারার ঘরে ফাঁস দেওয়া অবস্থায় পাওয়া গেছে। আর আসমার লাশ পাওয়া গেছে বাড়ি থেকে আধা কিলোমিটার দূরে বিলের মধ্যে।

মোহনপুর থানার ওসি মোস্তাক আহমেদ জানান, সকালে পদ্ম বিলে ছাগল চরাতে গিয়ে দুই শিশু আসমার লাশ দেখতে পায়। এরপর বিষয়টি জানাজানি হলে, পুলিশ গিয়ে দুপুরে তার লাশ উদ্ধার করে। তিনি আরো জানান, মরদেহের পা ও মুখে জখম রয়েছে। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে একটি কনডমের প্যাকেট উদ্ধার করা হয়েছে।

এ থেকে ধারণা করা হচ্ছে, ধর্ষণের পর তাকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এদিকে, আনোয়ারার পরিবারের বরাত দিয়ে মোহনপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক আফজাল হোসেন জানান, দীর্ঘদিন ধরে নানা অসুখ-বিসুখে ভুগছিলেন আনোয়ারা। এজন্য গত শুক্রবার দিবাগত রাতের কোনো একসময় তিনি ঘরে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করতে পারেন। খবর পেয়ে শনিবার দুপুরে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।

পুলিশ জানিয়েছে, ওই দুই নারীর লাশ ময়নাতদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। আসমার লাশ উদ্ধারের ঘটনায় থানায় অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করা হবে। আর আনোয়ারার আত্মহত্যার ঘটনায় থানায় অপমৃত্যুর (ইউডি) মামলা করা হবে।
সিল্কসিটি এক্সপ্রেসের টয়লেটে কিশোরীকে ধর্ষণ চেষ্টা, যুবক আটক

সিল্কসিটি এক্সপ্রেসের টয়লেটে কিশোরীকে ধর্ষণ চেষ্টা, যুবক আটক

admin June 21, 2019

ঢাকা থেকে রাজশাহীগামী ‘সিল্কসিটি এক্সপ্রেস’ ট্রেনের টয়লেটে এক কিশোরীকে ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতের এ ঘটনায় অভিযুক্ত যুবক মমিনুল ইসলামকে (২৬) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তিনি চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদরের বাসিন্দা।


পুলিশ জানায়, চলন্ত ট্রেনে শ্লীলতাহানির শিকার ১৪ বছর বয়সী ওই কিশোরীর বাড়ি সিরাজগঞ্জে। সে অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী। তার নানার বাড়ি রাজশাহীর পবা উপজেলার দামকুড়াহাট এলাকায়। নানি ও খালার সঙ্গে সে রাজশাহী আসছিল। সিরাজগঞ্জের মনসুর আলী স্টেশনে তারা সিল্কসিটি এক্সপ্রেস ট্রেনের ‘ঝ’ বগিতে উঠেছিলেন।


ওই ট্রেনে দায়িত্ব পালন করছিলেন সিরাজগঞ্জ রেলওয়ে থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) উজ্জ্বল চন্দ্র বিশ্বাস। তিনিই ওই কিশোরীকে ট্রেনের টয়লেট থেকে উদ্ধার করেন। তিনি জানান, পাবনার ঈশ্বরদী বাইপাস পার হওয়ার পর ওই কিশোরী ট্রেনের টয়লেটে ঢোকে। তখন টয়লেটের সামনেই দাঁড়িয়ে ছিলেন অভিযুক্ত যুবক। ওই কিশোরী টয়লেট থেকে বের হওয়ার জন্য দরজা খুললেই তিনি ভেতরে ঢুকে পড়েন। এরপর রাজশাহীর বাঘা উপজেলার আড়ানী স্টেশন আসা পর্যন্ত প্রায় ৪০ মিনিট তিনি ওই কিশোরীকে টয়লেটে আটকে রেখে শ্লীলতাহানি করেন।


এএসআই উজ্জ্বল বলেন, ট্রেনের শব্দের কারণে ওই কিশোরীর চিৎকার শোনা যায়নি। তবে যাত্রীরা লক্ষ্য করেন অনেকক্ষণ ধরেই টয়লেটের দরজা ভেতর থেকে বন্ধ। তারা দরজায় ধাক্কা দিয়ে খুলতে বলেন। কিন্তু দরজা খোলা হচ্ছিল না। একপর্যায়ে তারা ওই কিশোরীর চিৎকার শুনতে পান। এরপরই দায়িত্বরত পুলিশকে ডাকা হয়। তিনি গিয়ে টয়লেটের দরজা খুলতে বাধ্য করেন। এ সময় কাঁদতে কাঁদতে ওই কিশোরী বেরিয়ে আসে।


রাত পৌনে ১১টার দিকে ট্রেনটি রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশনে পৌঁছে। এ সময় অভিযুক্ত যুবক, ওই কিশোরী এবং তার খালা ও নানিকে রাজশাহী রেলওয়ে থানায় নিয়ে এসে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।


রাজশাহী রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাঈদ ইকবাল জানান, নির্মাণ শ্রমিক মমিনুল ঢাকা থেকে বাড়ি আসছিলেন। ওই কিশোরীর ভাষ্য অনুযায়ী, ট্রেনের টয়লেটের ভেতর মমিনুল দীর্ঘ সময় ধরে ওই কিশোরীর মুখ চেপে ধরে ধর্ষণের চেষ্টা চালান। তবে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেনি। কিন্তু শ্লীলতাহানি ঘটেছে।


ওসি বলেন, ঘটনাস্থল রেলওয়ের ঈশ্বরদী থানার অধীনে। তাই রাত ১২টার ঢাকাগামী ‘ধূমকেতু এক্সপ্রেস’ ট্রেনে অভিযুক্ত যুবককে ঈশ্বরদী থানায় পাঠানো হয়েছে। ওই কিশোরীকে নিয়ে তার নানি এবং খালাও গেছেন। ঈশ্বরদী থানায় তারা মমিনুলের বিরুদ্ধে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগে মামলা করেছেন।

রাজশাহীতে কবরস্থ করার একদিন পর থানায় হাজির নারী!

রাজশাহীতে কবরস্থ করার একদিন পর থানায় হাজির নারী!

admin June 13, 2019

নিউজ ডেস্ক:
রাজশাহীর বাঘা উপজেলায় ভুট্টাক্ষেত থেকে সোমবার অজ্ঞাত এক নারীর লাশ উদ্ধারের পরদিন তাকে সনাক্ত করা হয় গোলাপি বেগম নামে। ময়নাতদন্ত শেষে পারিবারিক গোরস্থানে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় দাফন করা হয় তার লাশ। একদিন পর বুধবার সকালে গোলাপী বেগম থানায় ফিরে জানালেন তিনি মরেননি।


গোলাপি বেগম বাঘা উপজেলার আড়ানী পৌরসভার পাঁচপাড়া এলাকার বাকপ্রতিবন্ধী মনির হোসেনের স্ত্রী।


বাঘা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহসীন আলী জানান, গত সোমবার ভুট্টা ক্ষেত থেকে এক নারীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছিল। তার মুখমন্ডল ছিল পোড়া মবিলে ঝলসানো। এ কারণে লাশের পরিচয় নিশ্চিত করতে পারছিল না কেউ।


লাশের পাশ থেকে একটি কালো বোরকা, এক জোড়া স্যান্ডেল, একটি গুলের কোটা উদ্ধার করা হয়। পরদিন মঙ্গলবার গোলাপীর পরিবারের লোকজন থানায় এসে উদ্ধার করা আলামত দেখে ওই লাশ সনাক্ত করলে ময়নাতদন্ত শেষে পুলিশ লাশ তাদের কাছে হস্তান্তর করে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় পারিবারিক করবস্থানে লাশ দাফনও করা হয়।


গোলাপি বেগম বলেন, গত ২৯ মে বুধবার ঈদের আগে তিনি রুস্তমপুর হাটে ৪২ হাজার টাকায় তার পালিত একটি গরু বিক্রি করেন। এই টাকা নেয়ার জন্য শ্বশুর বাড়ির লোকজন তাকে চাপ দিতে থাকে। নিরুপায় হয়ে তিনি পরদিন বিদ্যুৎ বিল দেয়ার নাম করে ৬ বছরের সন্তানকে রেখে বাড়ি থেকে বের হয়ে রাজশাহীর এক আত্মীয়ের বাড়িতে গিয়ে উঠেন।


পরে ৬ বছরের সন্তান মারুফ হোসেন ও পেটের ৫ মাসের সন্তানের কথা ভেবে বুধবার সকালে রাজশাহী থেকে থেকে তিনি মহানন্দা ট্রেনে আড়ানী স্টেশনে এসে নামেন। এ সময় স্থানীয় কিছু মানুষ তাকে চিনতে পেরে ইউনিয়ন পরিষদে নিয়ে যায়। সেখান থেকে তাকে থানায় পাঠিয়ে দেয়া হয়।


গোলাপি বেগমের ভাসুর মাজদার রহমান বলেন, গোলাপী বেগম বাড়ি থেকে বের হওয়ার পর বিভিন্নস্থানে খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে আমি বাদী হয়ে গত ১ জুন বাঘা থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করি। মৃত ওই নারীর মুখে মবিল মাখানোর কারণে আমরা সঠিকভাবে লাশ চিনতে পারিনি।


বাঘা থানার ওসি বলেন, এখন মৃত নারীর পরিচয় মিলছে, তার নাম দোলেনা বেগম (৩৮)। বাড়ি পাশ্ববর্তী চারঘাট উপজেলার মুক্তারপুর গ্রামের চারা বটতলায়। তার স্বামীর নাম সুরুজ মিয়া। তিনি উদ্ধার হওয়া লাশের পোশাক, স্যান্ডেল ও ছবি দেখে পুলিশকে জানিয়েছেন মৃত ওই নারী তাঁর স্ত্রী। গত এক সপ্তাহ আগে তিনি বাড়ি থেকে নিখোঁজ হন। এরপর থেকে বিভিন্ন আত্মীয়-স্বজনদের বাড়িতে খুঁজেও তাকে পাননি। দু’দিন আগে চারঘাট থানায় একটি জিডি করেন। সেখান থেকে তথ্য পেয়ে বাঘা থানায় এসে তাঁর স্ত্রীর ছবি দেখে তিনি লাশ সনাক্ত করেন।


বাঘা-চারঘাট সার্কেলের সিনিয়র এএসপি নুরে আলম বলেন, আমরা প্রথমে জেনেছিলোম উদ্ধার হওয়া লাশ আড়ানী পৌর এলাকার পাঁচপাড়া গ্রামের বাকপ্রতিবন্ধী মোমিনের স্ত্রী গোলাপির। কিন্তু বুধবার সকালে গোলাপি নিজ থেকে থানায় হাজির হওয়ায় জানলাম এ লাশটি সুরুজ মিয়ার স্ত্রী দোলেনার। এখন সুরুজ মিয়ার তথ্য মতে পুলিশ অগ্রসর হচ্ছে। আশা করা যায় খুব শিগগির তার হত্যার প্রকৃত রহস্য আমরা উদঘাটন করতে সক্ষম হবো।

রাজশাহীতে পরিবহন শ্রমিক নেতার গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার

রাজশাহীতে পরিবহন শ্রমিক নেতার গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার

admin June 12, 2019

রাজশাহী প্রতিনিধি:
রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলায় ইটভাটা থেকে এক পরিবহন শ্রমিক নেতার গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত নুরুল ইসলাম উপজেলা সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি। মঙ্গলবার বেলা সোয়া ১১টার দিকে লাশটি উদ্ধার করা হয় বলে পুলিশ জানিয়েছে।


পুঠিয়া থানার ওসি শাকিল উদ্দিন আহমেদ বলেন, গত সোমবার রাত ১১টার দিকে কে বা কারা তাকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায়। এরপর তিনি আর বাড়ি ফেরেননি। সকালে স্থানীয়রা ইটভাটার পাশে লাশ পড়ে থাকতে দেখে থানায় খবর দেয়। তার পেটে গুলির চিহ্ন রয়েছে।
এ ঘটনায় বেলা সাড়ে ১১টা থেকে সাড়ে ১২টা পর্যন্ত রাজশাহী-ঢাকা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন স্থানীয় শ্রমিকরা। পরে পুলিশ গিয়ে খুনি গ্রেফতার করে বিচারের আশ্বাস দিলে শ্রমিকরা অবরোধ তুলে নেন বলে জানান ওসি শাকিল উদ্দিন আহমেদ।
গাজীপুরে যাত্রীকে পিষে মারা সেই বাসের কন্ডাক্টরও গ্রেফতার


এফএনএস: গাজীপুরে এক যাত্রীকে লাথি মেরে নিচে ফেলে বাসের চাকায় পিষে হত্যার ঘটনায় অভিযুক্ত বাসচালকের পর বাসটির কন্ডাক্টরকেও (চালকের সহযোগী) গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। গত সোমবার রাতে শেরপুরের নন্দীবাজার এলাকা থেকে বাস কন্ডাক্টর আনোয়ার হোসেনকে (৩০) গ্রেফতার করা হয়।


জয়দেবপুর থানার উপএসআই আবদুর রহমান ভুঁইয়া ও সাদেকুর রহমান জানান, প্রথমে গত সোমবার বিকেলে ভারত পালিয়ে যাওয়ার সময় ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট ও ধোবাউড়া থানা সীমান্ত এলাকার কংস নদ থেকে অভিযুক্ত বাসচালক রোকন উদ্দিনকে (৩৫) গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে তাঁকে নিয়ে অভিযুক্ত অন্য আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান চালানো হয়। রাতে চালক রোকন উদ্দিনের মাধ্যমে মোবাইল ফোনে কৌশলে বাস কন্ডাক্টর আনোয়ারকে তাঁর বাড়ির পার্শ্ববর্তী নন্দীবাজার এলাকায় ডেকে আনা হয়। রাত ৯টার দিকে আনোয়ার পুলিশের পাতা ফাঁদে পা দিয়ে বাজারসংলগ্ন একটি নির্জন স্থানে পৌঁছায়। সে সময় ওত পেতে থাকা পুলিশ সদস্যরা তাঁকে গ্রেফতার করে। পরে রাতেই সেখান থেকে গ্রেফতার চালক ও কন্ডাক্টরকে নিয়ে গাজীপুরের উদ্দেশে রওনা দেয় পুলিশ।


যাত্রীকে বাসের চাকার নিচে ফেলে পিষে মারা প্রসঙ্গে জয়দেবপুর থানার ওসি আসাদুজ্জামান, নিহতের স্ত্রী পারুল আক্তার ও ভাই জামাল উদ্দিন জানান, গত রোববার ঈদের ছুটি শেষে স্ত্রী পারুল আক্তারকে নিয়ে আলম এশিয়া পরিবহনের একটি বাসে করে ময়মনসিংহের শ্বশুরবাড়ি থেকে গাজীপুরের বাসায় ফিরছিলেন স্থানীয় স্কটেক্স অ্যাপারেলস পোশাক কারখানার গাড়িচালক সালাহ উদ্দিন (৩৫)। পথে বাড়তি ভাড়া আদায় নিয়ে বাসের সুপারভাইজার, কন্ডাক্টর, হেলপার ও চালকের সঙ্গে সালাহ উদ্দিনের বাগবিতণ্ডা হয়। নিজেকে গাড়িচালক পরিচয় দিয়ে সালাহ উদ্দিন মোট বাসভাড়া ৬০০ টাকার কিছু কম দিতে চাইলে ওই বাগবিতণ্ডার সূত্রপাত হয়। পরে তিনি ভাড়ার পুরো টাকাই পরিশোধ করেন। কিন্তু বিতণ্ডার জেরে বাসের সুপারভাইজার, কন্ডাক্টর ও হেলপার সালাহ উদ্দিনকে লাঞ্ছিত করেন এবং বাস থেকে ফেলে দেওয়ার হুমকি দেন।


এদিকে বাসকর্মীদের হাতে মারধরের আশঙ্কায় সালাহ উদ্দিন তাঁর ভাই জামাল উদ্দিনকে মোবাইল ফোনে সংবাদ দিয়ে তাঁদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে গাজীপুরের বাঘেরবাজার বাসস্ট্যান্ডে আসতে বলেন। খবর পেয়ে জামাল বাসস্ট্যান্ডে গিয়ে ভাই ও ভাবির জন্য অপেক্ষা করতে থাকেন। একপর্যায়ে বাসটি বাঘেরবাজার এলাকায় পৌঁছলে বাসের শ্রমিকরা লাথি মেরে সালাহ উদ্দিনকে বাস থেকে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে ফেলে দেন ও বাসের চালক তাঁর স্ত্রীকে না নামিয়ে বাসটি নিয়ে চলে যাওয়ার চেষ্টা করেন। সে সময় সালাহ উদ্দিন ও জামাল উদ্দিন গতিরোধের চেষ্টায় বাসের সামনে দাঁড়ালে চালক সালাহ উদ্দিনকে চাপা দিয়ে বাসটি নিয়ে পালিয়ে যান। এতে বাসের চাকায় পিষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই সালাহ উদ্দিন নিহত হন। পরে প্রায় পাঁচ কিলোমিটার দূরে মহাসড়কের আমতলা এলাকায় বাস থেকে ধাক্কা দিয়ে সালাহ উদ্দিনের স্ত্রীকে ফেলে দেওয়া হয় ওই বাস থেকে। স্থানীয় হোতাপাড়া এলাকার ফুয়াং কারখানার সামনে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের পাশে বাসটি ফেলে রেখে পালিয়ে যান বাসের চালক, কন্ডাক্টর ও হেলপার।


পরে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় বাসটি জব্দ করলেও চালক, সুপারভাইজার, কন্ডাক্টর ও হেলপারের খোঁজ পায়নি। এদিকে ওই ঘটনায় রাতে নিহতের ছোট ভাই জামাল উদ্দিন বাদী হয়ে জয়দেবপুর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। তাতে বাসের চালক, কন্ডাক্টর, হেলপার ও সুপারভাইজারকে আসামি করা হয়। পুলিশ ঘটনার পর থেকেই পলাতক আসামিদের গ্রেফতারের জন্য বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালায়। এরই একপর্যায়ে জব্দ হওয়া বাসের ভেতর থেকে একটি মামলার রসিদ উদ্ধার করে পুলিশ। তাতে চালকের তথ্য ও মোবাইল নম্বর পাওয়া যায়। পরে সেই সূত্র ধরে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় জয়দেবপুর থানা পুলিশ গাজীপুর ও ময়মনসিংহের বিভিন্ন স্থানে চালক রোকন উদ্দিনকে গ্রেফতারে অভিযান চালায়। শেষমেশ গত সোমবার বিকেল ৪টার দিকে রোকন উদ্দিন তাঁর মাকে নিয়ে ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট ও ধোবাউড়া সীমান্ত এলাকা দিয়ে ভারতে পালিয়ে যাচ্ছিলেন বলে খবর পায় পুলিশ।


খবর পেয়ে জয়দেবপুর থানার এসআই আবদুর রহমানের নেতৃত্বে ওই এলাকায় অভিযান চালানো হয়। সে সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে রোকন উদ্দিন পাশের কংস নদীতে ঝাঁপ দেন। পুলিশও নদীতে ঝাঁপিয়ে পড়ে তাঁকে গ্রেফতার করে। সে সময় কৌশলে রোকন উদ্দিনের মা সেখান থেকে পালিয়ে যেতে সমর্থ হন। নিহত সালাহ উদ্দিন ঢাকার আলুবাজার এলাকার মৃত শাহাবউদ্দিনের ছেলে। তিনি চাকরির কারণে গাজীপুর সদর উপজেলার বাঘেরবাজার এলাকার আতাউর রহমানের বাড়িতে স্ত্রীকে নিয়ে ভাড়া থাকতেন।

রাজশাহীর বিমানবন্দরে ২৭টি গুলিসহ পিস্তল জব্দ

রাজশাহীর বিমানবন্দরে ২৭টি গুলিসহ পিস্তল জব্দ

admin May 24, 2019

রংপুর এক্সপ্রেস ডেস্ক:
রাজশাহীর শাহমুখদুম বিমানবন্দরে নভোএয়ারের এক যাত্রীর কাছ থেকে ২৭টি গুলিসহ পিস্তল জব্দ করা হয়েছে। বিমানবন্দরের ব্যবস্থাপক সেতাফুর রহমান জানান বৃহস্পতিবার বেলা পৌনে ১২টায় এসএম হাসান (৭০) নামে এক ব্যক্তি এই অস্ত্র-গুলি বহন করছিলেন।


রাজশাহী-ঢাকা রুটের নভোএয়ারের এই যাত্রী রাজশাহী শহরের বোয়ালিয়া থানার উপশহর এলাকার বাসিন্দা। ব্যবস্থাপক সেতাফুর বলেন এই যাত্রী রাজশাহী থেকে ঢাকা যাওয়ার জন্য তার লাইসেন্স করা অস্ত্র-গুলি নিয়ে বন্দরে আসেন।


নিয়ম অনুযায়ী তিনি অস্ত্র বহনের কথা আগে ঘোষণা করেননি। পরে নিরাপত্তা তল্লাশির সময় তার কাছে একটি বিদেশি পিস্তল ও ২৭ রাউন্ড গুলি মেলে। ওই যাত্রী দাবি করেছেন আগে ঘোষণার নিয়ম সম্পর্কে তিনি জানতেন না।


তার অস্ত্র-গুলি বিমান বন্দর থানায় জমা দেওয়া হয়েছে। পরে তাকে ছেড়ে দিলে তিনি নভোএয়ারেই ঢাকার পথে রওনা হন। এ বিষয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ সম্পর্কে তাৎক্ষণিকভাবে কিছু বলেননি বন্দর ব্যবস্থাপক সেতাফুর রহমান।

রাজশাহীতে গাছ থেকে আম সংগ্রহ ও বিক্রি শুরু

রাজশাহীতে গাছ থেকে আম সংগ্রহ ও বিক্রি শুরু

admin May 15, 2019

অনলাইন ডেস্ক:
প্রশাসনের বেঁধে দেয়া সময় অনুযায়ী রাজশাহীতে আজ বুধবার সকালে আম পাড়া, বাজারজাতকরণ ও বিক্রি শুরু হয়েছে। প্রতিমণ আম বিক্রি হচ্ছে ৮০০-১২০০ টাকায়।এদিকে বাঘা উপজেলায় আম পাড়া মৌসুম শুরু হওয়ায় দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে ক্রেতারা আসছেন আড়তে।


উপজেলার আমের আড়ত ঘুরে দেখা গেছে, আম ক্রয়ের জন্য বিভিন্ন ছোটবড় আড়ত ধোয়া-মোছার কাজ করা হয়েছে। কিছু স্থানে গড়ে তোলা হয়েছে অস্থায়ী আড়ত। প্রতি বছর উপজেলায় আমের আড়তে প্রায় সাড়ে চার হাজার শ্রমিকের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়। শ্রমিকরাও শেষ মুহূর্তে আড়তদারদের সঙ্গে দৈনিক মজুরি নিয়ে দরকষাকষি করে কাজ করেন।


আড়ানী পৌরবাজারের আড়তদার মোহাম্মদ বাদশা হোসেন বলেন, বুধবার সকাল থেকে আম কেনাবেচা শুরু হয়েছে। বিগত বছরের তুলনায় এ বছর বাগানে আম অনেক কম ধরেছে। তার ওপর দফায় দফায় প্রাকৃতিক দুর্যোগ বয়ে যাচ্ছে। ফলে চাহিদা অনুসারে আম পাওয়া কঠিন হয়ে পড়বে। এবার গুটিজাতীয় আম প্রতি মণ ৮০০-১২০০ টাকা দরে কেনাবেচা শুরু হয়েছে।


সিরাজগঞ্জ থেকে আড়ানীর আড়তে আসা আম ব্যবসায়ী আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, আম মৌসুমে প্রতি বছর কয়েকটি আড়ত ঘুরে আম কিনে থাকি। জেলার মধ্যে সবচেয়ে ভালো মানের আম বাঘা উপজেলার আড়তে পাওয়া যায়। এখান থেকে আম কিনে দেশের বিভিন্ন জেলায় চাহিদা মোতাবেক সরবরাহ করে থাকি। উপজেলার হামিদকুড়া গ্রামের আমচাষি বিরাজ আলী বলেন, বুধবার থেকে আম পাড়া শুরু হয়েছে। তাই আমের বাজারদর জানতে আড়তে এসেছি।


এ ব্যাপারে বাঘা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যজিস্ট্রেট শাহিন রেজা বলেন, কোন আম কখন পাড়তে হবে সে মোতাবেক একটি দিকনির্দেশনা ক্রেতা-বিক্রেতাদের দেয়া হয়েছে। এ ছাড়া আমাদের পক্ষ থেকে সার্বক্ষণিক আম আড়তগুলোতে মনিটরিং থাকবে। এছাড়া কোথাও কোনো অনিয়মের খবর পেলে তৎক্ষণিক আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।


ইতিমধ্যে জেলা প্রশাসকের এক সভায় স্থানীয় বাগান মালিক ও ব্যবসায়ীদের কয়েকটি ধাপে আম ক্রয়-বিক্রয়ের নিদের্শনা দেন। সে নির্দেশনা মোতাবেক ১৫ মে থেকে গুটিজাতীয় আম পাড়া শুরু হয়েছে। এছাড়া গোপালভোগ ২ মে, রানিপ্রসাদ ও লক্ষণভোগ ২৫ মে, হীমসাগর ২৮ মে, ল্যাংড়া ৬ জুন, আম্রপালি ও ফজলি ১৬ জুন এবং আশ্বনী ১ জুলাই থেকে আম পাড়া শুরু হবে।

Image Gallary

 
1 / 3
   
Caption Text
 
2 / 3
   
Caption Two
 
3 / 3
   
Caption Three