৫৮টি নিউজ পোর্টাল বন্ধ, কিন্তু কেন?
আরও পড়তে পারেন :
বিশ কোটিতে বিক্রি প্রিয়াঙ্কার বিয়ের ছবি
Rangpur Express:
এখন চারদিকে কথা হচ্ছে রণভীর সিং ও দীপিকা পাড়ুকোনের বিয়ে নিয়ে। ইতালির লেক কোমার ভিলা দেল বালাবিয়ানে শেষ হয়েছে দীপিকা পাড়ুকোন এবং রণবীর সিংয়ের বিয়ের অনুষ্ঠান। এবার বলিউড আরেক তারকার বিয়ের অনুষ্ঠান দেখার প্রহর গুনছে। এই শীতেই বিয়ের পিঁড়িতে বসতে চলেছেন অভিনেত্রী প্রিয়াঙ্কা চোপড়া ও নিক জোনস।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যখন রণভীর-দীপিকার বিয়ের ছবি ভাইরাল হচ্ছে। তখনই খবর এলো বিয়ের আনুষ্ঠানিকতার আগেই বিয়ের সব ছবি বিক্রি হয়ে গেছে প্রিয়াঙ্কার। ২০ কোটির টাকায় একটি পত্রিকার কাছে বিয়ের ছবির স্বত্ব বিক্রি করে দিয়েছেন প্রিয়াঙ্কা।
অর্থাৎ ওই পত্রিকা ছাড়া আর কোথাও ছবি প্রকাশিত হবে না। বিয়ের ছবি দেখতে হলে ওই পত্রিকা প্রকাশের জন্য অপেক্ষা করতে হবে। আমস্টারডমে বর-কনের ব্যাচলের পার্টি হয়ে গেছে ধূমধাম করে। এর পরে মূল বিয়ের অনুষ্ঠান নিউ ইয়র্কে। এখনও পর্যন্ত জানা গেছের, তিন দিনের অনুষ্ঠান হবে সেই বিয়েতে। প্রায় ২০০০ মানুষকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
Source: বিশ কোটিতে বিক্রি প্রিয়াঙ্কার বিয়ের ছবি
Rangpur Express/S
মেডিকেল কলেজে সুযোগ পেয়েও ভর্তি হতে পারছে না লালমনিরহাটের আরিফুল
বাকী অংশ পড়তে ক্লিক করুন:
মেডিকেল কলেজে সুযোগ পেয়েও ভর্তি হতে পারছে না লালমনিরহাটের আরিফুল
Source: বিনিয়োগ বার্তা
# লালমনিরহাট, হাতীবান্ধা, Lalmonirhat, Hatibandha
ইতিহাসে আজকের দিনে: শনিবার ০৬ অক্টোবর’২০১৮
- ফোর্ট উইলিয়াম দুর্গে প্রথম ব্রিটিশ পতাকা উত্তোলন (১৭০২)
- কবি আলফ্রেড টেনিসনের মৃত্যু (১৮৯২)
- বসনিয়া ও হারজেগোভিনার ভূখণ্ড অস্ট্রিয়ার অধিভুক্ত (১৯০৮)
- তুর্কী সাম্রাজ্যের অধীন বৈরুতে ফ্রান্সের দখল কায়েম (১৯১৮)
- চিয়াং কাইশেক চীনের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত (১৯২৮)
- মেক্সিকোর সিয়াটলের কাছে ট্রেন লাইনচ্যুত হয়ে ২০৮ তার্থযাত্রী নিহত(১৯৭২)
- ইসরাইলের সঙ্গে মিশর-সিরিয়ার যুদ্ধ শুরু (১৯৭৩)
- থাইল্যান্ডে সামরিক অভ্যুত্থান (১৯৭৬)
- মিশরের প্রেসিডেন্ট আনোয়ার সাদাত সেনাবাহিনীর হাতে নিহত (১৯৮১)
- বসনিয়ায় ৬০ দিনের যুদ্ধবিরতি চুক্তি স্বাক্ষর (১৯৯৫)।
সৌদির কাছ থেকে কোটি ডলার নিয়েছেন টনি ব্লেয়ার
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: সাবেক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ারের সঙ্গে সৌদি আরবের সম্পর্কের বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ২০১৬ সালে এই প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন টনি ব্লেয়ার। ব্রিটিশ দৈনিক টেলিগ্রাফে প্রকাশিত খবরে প্রতিষ্ঠানটি সৌদি আরবের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষরের বৈধতা দাবি করেছে। তারা দাবি করছেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী সৌদি আরবের এই অর্থের কোনও অংশই গ্রহণ করেননি। এ ছাড়া যে মুনাফা হয়েছে তা প্রতিষ্ঠানের পরামর্শক কাজ থেকে আসেনি।
টনি ব্লেয়ারের এনজিওতে সৌদি অর্থের আগমণ এবং ইয়েমেনে সৌদি জোটের অভিযানকে তার সমর্থন করায় ঘটনাটি সমালোচনার জন্ম দিয়েছে। প্রতিষ্ঠিত এনজিও সৌদি আরবের কাছ থেকে কয়েক লাখ ব্রিটিশ পাউন্ড গ্রহণের ঘটনা সামনে আসার পর এই অনুসন্ধান শুরু হয়েছে। মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক সংবাদমাধ্যম মিডল ইস্ট মনিটর এখবর জানিয়েছে।
টনি ব্লেয়ার ইনস্টিটিউট কর্তৃক প্রকাশিত হিসাব প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, সৌদি আরবের কাছ থেকে প্রতিষ্ঠানটি ১২ মিলিয়ন ডলার তহবিল পেয়েছে। ফিন্যান্সিয়াল টাইমস পত্রিকা এই অর্থের যোগানদাতা হিসেবে মিডিয়া ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড নামের প্রতিষ্ঠানের কথা উল্লেখ করেছে। এই প্রতিষ্ঠানটি আবার সৌদি রিসার্চ অ্যান্ড মার্কেটিং গ্রুপের একটি সহযোগী সংগঠন।
টনি ব্লেয়ার ইনস্টিটিউটের জুলাই মাসের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, প্রতিষ্ঠানটি সৌদি আরবের প্রভাবশালী যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের সঙ্গে একটি চুক্তিতে উপনীত হয়েছে এই বছরের শুরুতে। সৌদি আরবকে আধুনিকায়নে সহযোগিতার জন্য এই চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির জন্য এটাই সবচেয়ে বড় ধরনের চুক্তি।
‘মেঘকন্যা’ রূপে নিঝুম
বিনোদন ডেস্ক: অভিনেত্রী নিঝুম রুবিনা এ পর্যন্ত নূর মোহাম্মদ মনিরের ‘কিস্তির জ্বালা’, জাকির হোসেন রাজুর ‘এর বেশি ভালোবাসা যায় না’, আবুল কালাম আজাদের ‘অনেক সাধনার পরে’, শাহিন সুমনের ‘মিয়া বিবি রাজী’, মিনহাজ অভির ‘মেঘকন্যা’, রাহুল রওশনের ‘জান রে’ ও মোহাম্মদ আসলামের ‘ভালোবাসা ডটকম’সহ বেশকিছু ছবিতে অভিনয় করেছেন।
এরইমধ্যে তার চারটি ছবি মুক্তিও পেয়েছে। এবার আরেকটি ছবি নিয়ে দর্শকের সামনে হাজির হচ্ছেন তিনি। ছবির নাম ‘মেঘকন্যা’। এখানে চিত্রনায়ক ফেরদৌসের বিপরীতে অভিনয় করেছেন নিঝুম। এ প্রসঙ্গে নিঝুম রুবিনা বলেন, প্রযোজক সমিতি থেকে আসছে ১২ই অক্টোবর ছবি মুক্তির তারিখ নেয়া হয়েছে। এটা গল্প প্রধান ছবি। এ ছবিটি করতে গিয়ে আমি অনেক পরিশ্রম করেছি।
এ ছবির কাহিনি ও গান দর্শকদের বেশ ভালো লাগবে বলে আশা করছি। আজ শুক্রবার এ ছবির প্রথম গানটি লাইভ টেকনোলজির ইউটিউব চ্যানেল থেকে প্রকাশ হয়েছে। এরপর পোস্টার, টিজার, ট্রেলার ধীরে ধীরে প্রকাশ করবেন বলে জানান ছবির প্রযোজক এজেডএম জাহাঙ্গীর কবির।
আরও পড়তে পারেন >> ক্ষোভ প্রকাশ করলেন ঐন্দ্রিলা আহমেদ
জয়া মিডিয়া প্রোডাকশনের ব্যানারের এ ছবিতে ফেরদৌস-নিঝুম রুবিনা ছাড়াও বিভিন্ন চরিত্রে আরো অভিনয় করেছেন সুচরিতা, শম্পা হাসনাইন, হৃদ্য প্রমুখ। এ ছবির চিত্রগ্রহণ করেছেন মাহফুজুর রহমান। গানগুলোর সংগীত পরিচালনা করেছেন শওকত আলী ইমন। এ ছবির বাইরে এই প্রযোজনা সংস্থা থেকে ‘সংসার’, ‘বেসামাল’ এবং ‘জান রে’ নামে আরো তিনটি ছবি সামনে মুক্তি পাবে। এ তিনটি ছবিতেও নিঝুম রুবিনা অভিনয় করেছেন।
ক্ষোভ প্রকাশ করলেন ঐন্দ্রিলা আহমেদ
বিনোদন ডেস্ক: দশ বছর পর বিরতি ভেঙে অভিনয়ে ফেরেন বুলবুল আহমেদের মেয়ে ঐন্দ্রিলা আহমেদ। এরইমধ্যে বেশ কিছু নাটকেও তাকে দেখা গেছে। তবে এবার এই অভিনেত্রীর কণ্ঠে শোনা গেল ক্ষোভের কথা। গেল ৪ঠা সেপ্টেম্বর ছিল বাংলা চলচ্চিত্রের মহানায়ক বুলবুল আহমেদের জন্মদিন। কিন্তু এই মহানায়ককে নিয়ে এফডিসিতে ছিল না কোনো আয়োজন। দু’একটি গণমাধ্যম ও টিভি চ্যানেলেই তার জন্মদিন সীমাবদ্ধ ছিল। এনিয়ে দারুণ ক্ষোভ প্রকাশ করলেন তার উত্তরসূরি ঐন্দ্রিলা আহমেদ। ঐন্দ্রিলা বলেন, একজন মহানায়ক কালে কালে জন্মায় না।
এর মূল্যায়ন করা উচিত। বুলবুল আহমেদ শুধু আমার পিতা নন, তিনি এদেশের সম্পদ। শুধু আমার বাবা কেন, এই দেশে আরো অনেক গুণী মানুষই উপেক্ষিত। আমি মনে করি, চলচ্চিত্রে যারা এখন নেতৃত্ব দিচ্ছেন তাদের এই বিষয়গুলোর প্রতি সচেতন থাকা প্রয়োজন। যাদের হাত ধরে চলচ্চিত্র আজ এই অবস্থানে, তাদের উপেক্ষিত করে ভালো কিছু হতে পারে না।
এদিকে ঐন্দ্রিলা একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে বর্তমানে জব করছেন বলেন জানান। তার পাশাপাশি ভালো গল্প ও চরিত্র পেলে ছোট পর্দায় অভিনয় করছেন। জনপ্রিয় অভিনেতা অপূর্বর সঙ্গে ‘বিলাভড’ শিরোনামের একটি নাটকের মধ্য দিয়ে নতুন যাত্রা শুরু করেন তিনি। এ ছাড়া রিদম খানের ‘চিলে কোঠার সংসার’, দিপু হাজরার ‘ফেইক লাভ’, কাজী সাঈফের ‘আতংক’, পৃথ্বিরাজের ‘ছোট ছোট আশা ভালোবাসা’ ও ‘জল পুকুরে ডুব’ শিরোনামের নাটকগুলোতে তিনি অভিনয় করেন।
পঞ্চগড়ে বঙ্গবন্ধু জাতীয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টের উদ্বোধন
পঞ্চগড়: পঞ্চগড়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জাতীয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টের (অনুর্ধ্ব ১৭) উদ্বোধন করা হয়েছে। আজ শুক্রবার বিকেলে পঞ্চগড় বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলাম স্টেডিয়ামে আনুষ্ঠানিকভাবে এই টুর্নামেন্টের উদ্বোধন করেন পঞ্চগড় জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম।
পঞ্চগড় সদর উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ গোলাম আজম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সার্কেল) সুদর্শন কুমার রায়, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এহেতেশাম রেজা, পৌর মেয়র তৌহিদুল ইসলাম, সদর উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান কামরুন নাহার শাহীন। খেলাটি শিশু-কিশোরসহ সব বয়সের মানুষ উপভোগ করেন।
উদ্বোধনী খেলায় চাকলাহাট ইউনিয়ন ফুটবল একাদশ ও কামাত কাজলদিঘি ইউনিয়ন ফুটবল একাদশ অংশগ্রহণ করে। খেলায় কামাত কাজলদিঘি ইউনিয়ন ফুটবল একাদশ জয়ী হয়। টুর্নামেন্টে পঞ্চগড় সদর উপজেলার ১০ ইউনিয়ন থেকে ১০ টি ফুটবল দল অংশগ্রহণ করবে।
ঠাকুরগাঁওয়ে সড়ক দূর্ঘটনায় কিশোরের মর্মান্তিক মৃত্যু
ঠাকুরগাঁও: ঠাকুরগাঁওয়ে সড়ক দুর্ঘটনায় এক কিশোরের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। আজ শুক্রবার সন্ধ্যা সোয়া ৬ টার দিকে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার মথুরাপুর নামক স্থানে এ দূর্ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয়সূত্রে জানা গেছে, ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমান ইউনিয়নের মথুরাপুর এলাকার দুলাল মিয়ার ছেলে নিশাদ (১৮) ঠাকুরগাঁও রোড এলাকায় পারিবারিক কাজে যায়। সেখান থেকে বিকেল সোয়া ছয়টার দিকে বাইকযোগে বাড়ি ফেরার পথে বাড়ির কাছে আসলে বালিয়াডাঙ্গী থেকে রাস্তার কাজে ব্যবহৃত বালিরট্রাক ((ঢাকা মেট্রো-উ-১১১১৩৬) বিপরীত দিকে আসার সময় নিশানকে চাঁপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলে তার শরীরের বিভিন্ন অংশ ছিন্ন-বিচ্ছিন্ন হয়ে সে মারা যায়। ঘাতক ট্রাকটি স্থানীয়রা আটক করলেও ড্রাইভার ও হেলপার পালিয়ে যায়।
আরও পড়তে পারেন >> প্রাইম মেডিকেলে একই সঙ্গে ৪ সন্তানের জন্ম দিলেন গাইবান্ধার পপি
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ঠাকুরগাঁও সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)আব্দুল লতিফ মিঞা পিপিএম জানান, ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।
গাইবান্ধা সদর হাসপাতালকে ২৫০ শয্যায় উন্নীতকরণের কাজ শুরু
গাইবান্ধা: গাইবান্ধা সদর হাসপাতাল ২০০ শয্যা থেকে ২৫০ শয্যায় উন্নীত হচ্ছে। এজন্য ৮ তলা বিশিষ্ট একটি বহুতল ভবনের নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে। কাজ শেষ হবে ২০২০ সালের জুন মাসে। আর এই ভবনে হাসপাতালের কার্যক্রম চালু হলে উপকৃত হবে গাইবান্ধার সাত উপজেলার ২৬ লাখেরও বেশি রোগী। এ ছাড়া সদর হাসপাতাল ঘেঁষে দক্ষিণ পাশে চালু হবে একটি নার্সিং কলেজ। এ জন্য জমি অধিগ্রহণও সম্পন্ন হয়েছে। এখন শুধু টেন্ডার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে ভবন নির্মাণের কাজ শুরু করতে বাকি।
গাইবান্ধা গণপূর্ত বিভাগ জানিয়েছে, ১২ তলা ভিত্তির উপর প্রথমে ৮ তলার অবকাঠামো নির্মিত হবে। পরে অর্থ বরাদ্দ সাপেক্ষে নির্মিত হবে বাকি চার তলা। ৮ তলা ভবন নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ৩৫ কোটি টাকা। নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে চলতি বছরের ১ জুন। আর কাজ শেষ হবে ২০২০ সালের জুন। এই বহুতল ভবন নির্মাণের অনুমতি পেয়েছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান দ্যা ইঞ্জিনিয়ার অ্যান্ড আর্কিটেক্স লিমিটেড।
জেলা সদর হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, ২৫০ শয্যা অনুমোদনের জন্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে আবেদন করা হয়েছে। সদর হাসপাতাল ঘেঁষে দক্ষিণ পাশে তিন একর জমিতে একটি নার্সিং কলেজ চালু করার জন্য অনুমোদন, জমি অধিগ্রহণ ও বরাদ্দ পাওয়া গেছে। ২০১৪ সালে অধিগ্রহণ করা জমির টাকা পরিশোধ করা হয়। এখন টেন্ডার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে নির্মাণ কাজ শুরু করা বাকি মাত্র। এই নার্সিং কলেজে এইচএসসি পাশ করে ভর্তি হতে হবে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নার্সিং কলেজে আর্টস ও কমার্স (ব্যবসায় শিক্ষা) বিভাগের শিক্ষার্থীদের ৩ বছর মেয়াদী ডিপ্লোমা কোর্সে ভর্তি হতে হবে। আরও উচ্চ শিক্ষা অর্জন করতে চাইলে পরে আবারও ২ বছর মেয়াদী বিএসসি ডিগ্রি লাভ করতে পারবেন তারা। এ ছাড়া শুধুমাত্র সাইন্স বিভাগ থেকে পাস করা শিক্ষার্থীরা সরাসরি ৪ বছর মেয়াদী এই বিএসসি ডিগ্রি লাভ করতে পারবেন। ডিপ্লোমা ও বিএসসি পাস করার পর শিক্ষার্থীরা সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে নার্স হিসেবে যোগদান করতে পারবেন। এরপরও রয়েছে আরও উচ্চতর ডিগ্রি গ্রহণের সুযোগ।
আরও পড়তে পারেন >> প্রাইম মেডিকেলে একই সঙ্গে ৪ সন্তানের জন্ম দিলেন গাইবান্ধার পপি
সরেজমিনে দেখা গেছে, সদর হাসপাতালের ভেতরে পুরুষ ও মহিলা ওয়ার্ডে জায়গার সংকুলান না হওয়ায় রোগীদের বারান্দায় চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। হাসপাতালের উত্তর পাশে পুরোনো আবাসিক কোয়ার্টারগুলো ভেঙে ফেলা হয়েছে। ওই স্থানে ৮ তলা বিশিষ্ট বহুতল ভবন নির্মাণের কাজ শুরু করা হয়েছে। ভবন তৈরির স্থানে বৃষ্টির পানি জমে থাকায় থেমে আছে কাজ। মাটি কাটার মেশিনসহ ভবন নির্মাণের প্রয়োজনীয় উপকরণও এনে রাখা হয়েছে এই হাসপাতাল চত্ত¡রে। আর নার্সিং কলেজ স্থাপনের জায়গাটি এখন পানিতে ভর্তি। হাসপাতাল ক্যাম্পাসের দেয়ালে লাগানো হয়েছে নার্সিং কলেজের সাইনবোর্ড।
হাসপাতালে ভর্তি রোগী ও তাদের স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, রোগী বেশি হওয়ার কারণে বর্তমানে রোগীদের বারান্দায় চিকিৎসা সেবা নিতে হচ্ছে। নির্মাণ কাজ চলা ওই বহুতল ভবনটিতে কার্যক্রম শুরু হলে রোগীদের জন্য অনেক উপকার হবে। সুযোগ-সুবিধা বেশি পাবেন রোগীরা। সেই সঙ্গে নার্সিং কলেজের শিক্ষার্থীরা সদর হাসপাতালে ইন্টার্নি করলে ভর্তি রোগীরাও উপকৃত হবে। তাই হাসপাতালের ৮ম তলার এই বহুতল ভবনের নির্মাণ কাজ দ্রুত শেষ ও নার্সিং কলেজের নির্মাণ কাজ শুরু করে কার্যক্রম চালু করার তাগিদ দেন ভুক্তভোগীরা।
গাইবান্ধা গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আরিফুজ্জামান খন্দকার বলেন, হাসপাতালের জন্য ১২ তলা ভিত্তির উপর প্রথমে ৮ তলা ভবন নির্মিত হবে। আর নির্মাণ কাজ শেষ হবে ২০২০ সালের জুন মাসে। পরে চাইলে বাকি চার তলার কাজও করা যাবে। হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক (উপ-পরিচালক) ডা. অমল চন্দ্র সাহা (এসি সাহা) জাগো নিউজকে বলেন, ৮ তলার এই বহুতল ভবনের নির্মাণ কাজ শেষে হাসপাতালের কার্যক্রম চালু ও নার্সিং কলেজের প্রশাসনিক কার্যক্রম শুরু হলে স্বাস্থ্য সেবার ক্ষেত্রে এ জেলার মানুষের জন্য হবে এক মাইলফলক। ৮ তলা বিশিষ্ট ভবনের নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে আর নার্সিং কলেজের টেন্ডার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে দ্রুত নির্মাণ কাজ শুরু করার জন্য স্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগের প্রধান প্রকৌশলী বরাবর চিঠি দিয়েছি।
প্রাইম মেডিকেলে একই সঙ্গে ৪ সন্তানের জন্ম দিলেন গাইবান্ধার পপি
হাসপাতাল সূত্র জানায়, শুক্রবার সকালে প্রসব বেদনা উঠলে তাকে প্রাইম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হাসপাতালের গাইনী চিকিৎসক লায়লা হাসনা বানু দুপুর আড়াইটার দিকে ওই গৃহবধূর অস্ত্রোপচার করলে পরপর চার সন্তানের জন্ম হয়।
পপির বড় ভাই মোস্তাকিন রহমান শিশির জানান, ৮ বছর আগে তার বোনের সঙ্গে মহসীনের বিয়ে হয়। মহসীন ঢাকায় একটি কোম্পানীতে চাকরি করেন। বিয়ের পর এই প্রথম তাদের এক সঙ্গে চার সন্তানের জন্ম হয়। এতে পরিবারের সকলেই খুশি। বর্তমানে চার সন্তান ও প্রসূতি সুস্থ রয়েছেন বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক লায়লা হাসনা বানু।
১০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে শুরু হচ্ছে বড়পুকুরিয়ায় কয়লা উত্তোলন
রংপুর এক্সপ্রেস: দীর্ঘ প্রায় তিন মাস (৮৮ দিন) বন্ধ থাকার পর ১০ সেপ্টেম্বর, সোমবার দিনাজপুরের পার্বতীপুরে বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি থেকে পুনরায় কয়লা উত্তোলন শুরু হচ্ছে। ওই দিন খনির ১৩১৪ নম্বর কোল ফেইজ হতে পরীক্ষমূলকভাবে কয়লা উত্তোলন শুরু করা হবে। এর আগে গত ১৫ জুন খনির উৎপাদনশীল ১২১০ নম্বর কোল ফেইজের উৎপাদনযোগ্য কয়লার মজুদ শেষ হয়ে যাওয়ায় ১৬ জুন থেকে খনির কয়লা উত্তোলন বন্ধ হয়ে যায়। একই সময় খনির কোল ইয়ার্ড ও কয়লাভিত্তিক ৫২৫ মেগাওয়াট বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে কয়লার মজুদ শূন্যের কোটায় নেমে আসে। এতে কয়লার অভাবে গত ২২ জুলাই বড়পুকুরিয়ায় বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়। ফলে উত্তরাঞ্চলের ৮ জেলায় বিদ্যুতের ভয়াবহ লো-ভোল্টেজ ও লোডশেডিং সমস্যা প্রকট হয়ে ওঠে।
এদিকে খনির কয়লা মজুদের হিসাবে গরমিল ও ১ লাখ ৪৪ হাজার ৬৪৪ মে.টন কয়লা ঘাটতির ঘটনা প্রকাশ হয়ে পড়লে সারাদেশে তোলপাড় সৃষ্টি হয়। এমন পরিস্থিতিতে খনির চীনা ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান, খনি কর্তৃপক্ষ ও বাংলাদেশি খনি শ্রমিকদের ঐকান্তিক চেষ্টায় নির্দ্ধারিত সময়ের আগে আগামি ১০ সেপ্টেম্বর বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির ১৩১৪ নম্বর ফেইজ থেকে কয়লা উত্তোলন শুরু হতে যাচ্ছে। তবে বাংলাদেশি খনি শ্রমিকরা তারও আগে ৮ সেপ্টেম্বর থেকে পরীক্ষামূলকভাবে কয়লা উত্তোলন শুরু করতে চায়।
গত বুধবার বিকেলে বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি পরিদর্শনে গেলে খনির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো. ফজলুর রহমান সাংবাদিকদের এসব কথা জানান। খনির মহাব্যবস্থাপক (মাইনিং) সাইফুল ইসলাম সরকার বলেন, কয়লার অভাবে বন্ধ হয়ে যাওয়া বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের তিনটি ইউনিট দ্রুত চালু করতে জোর তৎপরতা চলছে। গত ২৬ আগস্ট বিকেলে খনির প্রশাসনিক ভবনে পিডিবি, চীনা ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান সিএমসি-এক্সএমসি কনসোর্টিয়াম ও বিসিএমসিএল’র মধ্যে অনুষ্ঠিত ত্রিপক্ষীয় বৈঠক হয়। বৈঠকে আগামি ১০ সেপ্টেম্বর বড়পুকুরিয়ায় কয়লা উত্তোলন শুরুর একটি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। সিদ্ধান্তটি ইতোমধ্যে আনুষ্ঠানিকভাবে সরকার তথা জ¦ালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় এবং পেট্রো-বাংলা কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।
তবে ৬ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হওয়া ‘জাতীয় বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সপ্তাহ’ উদযাপন উপলক্ষে জ¦ালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে ঢাকায় আয়োজিত তিন দিনব্যাপি (৬ থেকে ৮ সেপ্টেম্বর) বিদ্যুৎ ও জ্বালানি মেলা সফল করতে কয়লা খনির বাংলাদেশি শ্রমিকরা ৮ সেপ্টেম্বর কয়লা উত্তোলন শুরু করতে চান। সে কারণে ৬ থেকে ১০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে যে কোন দিন বড়পুকুরিয়ায় কয়লা উত্তোলন শুরু হতে পারে বলে তিনি জানান। খনি শ্রমিকদের সংগঠন বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের উপদেষ্টা আমজাদ হোসেন ও সংগঠনের সভাপতি রবিউল ইসলাম বলেন, প্রয়োজনে ৬ ঘন্টার প্রতি শিফটের স্থলে অতিরিক্ত দুই ঘন্টাসহ প্রতি শিফটে ৮ ঘন্টা কাজ করে হলেও শ্রমিকেরা ৮ সেপ্টেম্বরের মধ্যে খনির কয়লা উত্তোলন শুরু করতে চায়। শীঘ্রই কয়লা উত্তোলন শুরুর সম্ভাবনা সৃষ্টি হওয়ায় খনি কর্তৃপক্ষ, পিডিবি, পেট্রোবাংলার কর্মকর্তা ও সরকারের নীতি নির্দ্ধারক পর্যায়ে স্বস্তি ফিরে এসেছে বলে সংশ্লিষ্ট সুত্র জানায়।
নীলফামারীতে মন্দিরের প্রতিমা ভাংচুর-অগ্নিসংযোগ
নীলফামারী: নীলফামারীর ডিমলায় জমি দখলে বাধা দেয়াকে কেন্দ্র করে রাধা কৃরে প্রতিমা ভাংচুর করে মন্দিরে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় হিরা লাল ভুইমালী নামের এক কিশোর কে কুপিয়ে গুরুত্বর জখম করে দুর্বৃত্তরা। আজ শুক্রবার সকালে উপজেলা সদরের শিব মন্দির পাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, উপজেলা সদর ইউনিয়নের বাবুরহাট (শিব মন্দির) পাড়া গ্রামের মৃত নারায়ন ভুইমালীর মৃত্যুর পর গত ১০ বছর যাবত নারায়ন ভুইশালীর বিধবা স্ত্রী বাসন্তী ভুইমালী তার নাবালক পুত্র হিরা লাল ভুইমালীকে নিয়ে মৃত স্বামীর বসত বাড়ীতে বসবাস করে আসছিলো। এমতাবস্থায় আজ সকালে খগাখড়িবাড়ী ইউনিয়নের বন্দও খড়িবাড়ী গ্রামের মৃত তমদ্দিনের পুত্র আতাউড় রহমান (৪৫) ও ডিমলা সদরের বাবুরহাট (শিব মন্দির) পাড়া গ্রামের মৃত চাটি মামুদের পুত্র মহুবার রহমানসহ (৫০) তাদের লোকজন নিয়ে ওই বিধবার বসত বাড়ি জবরদখলের উদ্দেশ্যে হামলা চালায়। এ সময় গাছপালা কর্তন করতে থাকলে ওই বিধবা তার নাবালক সন্তান বাধা দিতে গেলে তাকে কুপিয়ে গুরুত্বর জখম করে। এবং বিধবার পারিবারিক পুজা মন্ডপ ঘড়ের রাধা কৃরে প্রতিমা ভাংচুড় করে অগ্নিসংযোগ ঘটায়।
সংবাদ পেয়ে ডিমলা থানার এসআই সুমন রায় ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানা যায়।
ভোটার হিসেবে নিবন্ধিত হতে বেপরোয়া কার্যক্রম চালাচ্ছে রোহিঙ্গারা
রংপুর এক্সপ্রেস: মিয়ানমার থেকে আসা রোহিঙ্গারা এদেশের ভোটার হিসাবে নিবন্ধতি হতে বেপরোয়া কার্যক্রম চালাচ্ছে। সরকারের সতর্কতামূলক পদক্ষেপ সত্ত্বেও তাদের ঠেকানো যাচ্ছে না। ইতিমধ্যে নির্বাচন কমিশন (ইসি)চট্টগ্রাম অঞ্চলের ৪টি জেলার ৩২ উপজেলায় ভোটার হওয়া ২৪৩ রোহিঙ্গাকে শনাক্ত করেছে। তাদের কারোরই জাতীয় পরিচয়পত্র পাওয়ার কথা না থাকলেও সঠিকভাবেই তারা ভোটার হিসাবে নিবন্ধিত হয়েছে। অভিযোগ রয়েছে- রোহিঙ্গারা অর্থের বিনিময়ে দালালের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র যোগাড় করছে। আর ওসব নথি কাজে লাগিয়েই বাংলাদেশে ভোটার হিসেবে নিবন্ধিত হচ্ছে তারা। ঘটনাগুলো সামনে আসার পর টনক নড়েছে ইসির। বর্তমানে ইসির জেলা-উপজেলা পর্যায়ের কার্যালয়গুলো বিষয়টি খতিয়ে দেখছে। ইসি সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়।
সূত্রমতে, ভোটার তালিকায় রোহিঙ্গা উদ্বাস্তুদের নাম অন্তর্ভুক্তির বিষয়টি প্রথমে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) এক অনুসন্ধানে উঠে আসে। তারপর বিষয়টি নিয়ে জেলা নির্বাচন কমিশন তদন্ত শুরু করে। তাতে অনেক সতর্কতার মধ্যেও বেশকিছু রোহিঙ্গা ভোটার তালিকায় নিজেদের নাম অন্তর্ভুক্ত করতে সক্ষম হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধরা পড়ে। বিষয়টি নিয়ে প্রশাসনের নজরদারি থাকলেও অর্থের বিনিময়ে স্থানীয় প্রতিনিধিদের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র তৈরি করছে রোহিঙ্গারা। আর ওসব কাগজপত্রের ভিত্তিতেই জাতীয় পরিচয়পত্র তৈরি করছে তারা। এমন অবস্থায় মাঠপর্যায়ে জন্মনিবন্ধন সনদ ও ইউনিয়ন পরিষদের জাতীয়তা সনদ দেয়ার ক্ষেত্রে কঠোর অবস্থানে যাওয়ার দাবি উঠছে।
সূত্র জানায়, স্থানীয় পর্যায়ে দালালের হাত ধরে টাকার বিনিময়ে ভোটার হচ্ছে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে পড়া রোহিঙ্গারা। নির্বাচন কমিশনের জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগ স¤প্রতি চট্টগ্রাম অঞ্চলের আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তাকে (চট্টগ্রাম অঞ্চল) একটি চিঠি পাঠায়। ওই চিঠিতে রোহিঙ্গা হিসেবে শনাক্ত হওয়া ২৪৩ ভোটারের নাম, ভোটার নম্বর, জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর, ভোটার হওয়ার এলাকার নাম ও ওয়ার্ড-ইউনিয়নের নাম দেয়া হয়। স¤প্রতি বাংলাদেশের ভোটার হয়েছেন মোহাম্মদ ইসমাইল ও আবু তালেব। তাদের মধ্যে মোহাম্মদ ইসমাইল ভোটার হয়েছেন কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা হিসেবে। তার বরাদ্দ পাওয়া ভুয়া জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর ১৯৮৯০৩১৫১৩১২৯৪৪০০, ভোটার নম্বর ০৩০২১১২৯৪৪০০। আর একই ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা হিসেবে ভোটার হয়েছেন আবু তালেব। তার অধিকারে থাকা জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর ১৯৫৮০৩১৫১৩১৩০১৪০০, ভোটার নম্বর ০৩০২১৫৩০১৪০০। তালিকায় সন্দেহভাজন রোহিঙ্গা হিসেবে তাদের নাম এসেছে।
নিষেধাজ্ঞার মাধ্যমে সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোয় রোহিঙ্গাদের ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার সব পথ বন্ধ করে দেয়া হলেও কেউ কেউ ভোটার হয়ে যাচ্ছে। তারা দালালদের মাধ্যমে টাকার বিনিময়ে ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। যদিও ইউনিয়ন পরিষদ থেকে জন্মনিবন্ধন সনদ দেয়ার ক্ষেত্রে বেশ সতর্কতা অবলম্বন করা হচ্ছে। কিন্তু কক্সবাজারে রোহিঙ্গা উদ্বাস্তুর ঢল নামার পর গত কয়েক মাস আগে অনলাইনে জন্মনিবন্ধনের ক্ষেত্রে কক্সবাজারের পাসওয়ার্ড লক করে দেয়া হয়। তারপরও দালালদের মাধ্যমে ভোটার হওয়ার সুযোগ পাচ্ছে রোহিঙ্গারা। তার মধ্যে কেউ কেউ পাসপোর্টও গ্রহণ করেছে বলে স্থানীয় প্রশাসন প্রমাণ পেয়েছে।
সূত্র আরো জানায়, অবৈধভাবে ভোটার হিসেবে নিবন্ধিত হওয়ারা রোহিঙ্গারা শুধু কক্সবাজার বা বান্দরবান নয়, চট্টগ্রামের সিটি করপোরেশন এলাকায়ও রোহিঙ্গা হিসাবে শনাক্ত হয়েছে অনেক ভোটার। তার মধ্যে নাসিরাবাদ, জালালাবাদ, চান্দগাঁও, মৌলভীপাড়া, হালিশহর, কাট্টলী, শুলকবহর, পতেঙ্গা, কাটগড় এলাকায় একাধিক ব্যক্তি রোহিঙ্গা ভোটার হিসেবে শনাক্ত হয়েছে। মূলত রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে পালিয়ে এসে জনপ্রতিনিধিদের সহায়তায় দালালদের টাকা দিয়ে তারা ভোটার হয়েছেন বলে অভিযোগ তুলেছে ইসি কর্মকর্তারা। তাছাড়া চট্টগ্রামের বিভিন্ন উপজেলাতেও ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হতে আসা রোহিঙ্গাদের শনাক্ত করা হয়েছে। ইতিমধ্যে ভুয়া কাগজপত্র নিয়ে ভোটার হতে এসে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে ধরা পড়েছে মিয়ানমারের ৫/৬ জন বাসিন্দা। তারা টাকার বিনিময়ে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংগ্রহ করে বিভিন্ন মাধ্যমে ভোটার হওয়ার চেষ্টা করে।
এদিকে নির্বাচন কমিশন সচিবালয় থেকে পাঠানো এক চিঠিতে বলা হয়েছে, তালিকায় থাকা ব্যক্তিরা প্রাথমিকভাবে রোহিঙ্গা হিসেবে শনাক্ত হলেও অধিকতর তদন্ত প্রয়োজন। জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের ওই চিঠিতে বিশেষ কমিটির মাধ্যমে অভিযুক্ত ২৪৩ ভোটারের তথ্য যাচাই করে দ্রুত সময়ের মধ্যে একটি প্রতিবেদন দিতে অনুরোধ জানানো হয়। তালিকাটি ইতিমধ্যে স্থানীয় পর্যায়ের সংশ্লিষ্ট নির্বাচন কমিশন কার্যালয়গুলোয় পাঠানো হয়েছে। ভোটার তালিকায় দেয়া তথ্যের সঙ্গে স্থানীয় পর্যায়ের অনুসন্ধানে পাওয়া তথ্যের গরমিল পাওয়া গেলে অভিযুক্তদের জাতীয় পরিচয়পত্র বাতিল করা হবে।
অন্যদিকে এ প্রসঙ্গে চট্টগ্রামের আঞ্চলিক নির্বাচন কমিশনার মুহাম্মদ হাসানুজ্জামান জানান, রোহিঙ্গারা বিভিন্ন কৌশলে ভোটার হওয়ার চেষ্টা করছে। প্রশাসনের নজরদারি থাকলেও অর্থের বিনিময়ে স্থানীয় প্রতিনিধিদের মাধ্যমেও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র তৈরি করা হচ্ছে। অস্বীকার করার উপায় নেই যে, বিভিন্ন বাধা উপেক্ষা করে রোহিঙ্গারা ভোটার হচ্ছে, জাতীয় পরিচয়পত্র পাচ্ছে। আর চাহিদা অনুযায়ী কাগজপত্রের সঠিকতা পেলে নির্বাচন কমিশনেরও কিছু করার থাকে না।
কুড়িগ্রামে জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড নিয়ে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত
কুড়িগ্রাম: সেন্টার ফর রিসার্চ এন্ড ইনফরমেশন (সিআইআর) এবং ইয়াং বাংলা আয়োজিত জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড-২০১৮ উপলক্ষে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্টিত হয়েছে। সিআইআর প্রতিনিধি স্বেচ্ছাসেবক সংগঠন আশার আলো পাঠশালার আয়োজনে আজ শুক্রবার সকালে জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এসময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক উপ-সচিব রফিকুল ইসলাম। অন্যান্যদের সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আমিন আল পারভেজ, নাগেশ্বরী উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা মনজুরুল আলম, কুড়িগ্রাম প্রেসক্লাব সভাপতি এড. আহসান হাবীব নীলু, আশার আলো পাঠশালার প্রতিষ্ঠাতা কুমার বিশ্বজিৎ বর্মণ প্রমুখ।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, বাংলাদেশের তরুণ প্রজন্মের হাত ধরে একটি সমৃদ্ধ দেশ গড়ার লক্ষ্যে ২০১৪সালে প্রতিষ্ঠি হয় সেন্টার ফর রিসার্চ এন্ড ইনফরমেশন (সিআইআর) দেশের বৃহত্তম তরুণদের প্লাটফর্ম ইয়াং বাংলা। এই সংগঠনটি ২০১৫সাল থেকে জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড প্রদান করে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় ২০১৮সালে ১০বিভাগের উপর বিশেষ অবদান রাখার জন্য পুরস্কার প্রদান করা হবে নির্বাচিত স্বেচ্ছাসেবি সংগঠন গুলোকে।
কুড়িগ্রামে প্রাথমিক পর্যায়ে বঙ্গবন্ধু-বঙ্গমাতা গোল্ডকাপ ফুটবলের ফাইনাল অনুষ্ঠিত
কুড়িগ্রাম: কুড়িগ্রামে উপজেলা পর্যায়ে প্রাথমিক বিদ্যালয় বঙ্গবন্ধু-বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল বিকেলে কুড়িগ্রাম স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ ফাইনাল খেলায় সদর উপজেলা ভোগডাঙ্গা বানির খামার সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ৩-০ গোলে বেলগাছা আত্তারাম সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়কে পরাজিত উপজেলা পর্যায়ে চ্যাম্পিয়ন হয়।
অন্যদিকে বঙ্গমাতা গোল্ডকাপ টুর্নামেন্টে মোগলবাসা ইউনিয়নের সেনের খামার সরকারী প্রাথমিক বিদ্যারয় ২-০ গোলে হলো খানা ইউনিয়নের চর শুভার কুটি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়কে পরাজিত করে। পরে বিজয়ী ও বিজিতদের মাঝে পুরস্কার বিতরন করেন কুড়িগ্রাম সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আমান উদ্দিন মঞ্জু। এসময় উপস্থিত ছিলেন সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আমিন আল পারভেজ, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার, বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানসহ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।
হতাশ নুসরাত ফারিয়া!
বিনোদন ডেস্ক: প্রায় বছর খানেক ধরে নতুন ছবিতে কাজ করেছেন নুসরাত ফারিয়া। ছবিটি মুক্তি পায় এ বছরের শুরুর দিকে। ‘ইন্সপেক্টর নটি কে’ নামের সেই ছবির পর আর কোনো ছবির শুটিংয়ে দেখা যায় নি আলোচিত এই নায়িকাকে। তিন বছর আগে ‘আশিকী’ দিয়ে উপস্থাপিকা থেকে নায়িকা বনে যাওয়া ফারিয়া একটানা ছবির কাজ করেছেন গত বছরের শেষ পর্যন্ত। বিষয়টি তাকে ভাবায়। একটা সময় নাকি হতাশায় ডুবে যান। বুধবার ঢাকার গুলশানের একটি পাঁচতারা হোটেলে নতুন ছবি ‘শাহেনশাহ’র মহরত অনুষ্ঠানে কথাটি বলেই ফেললেন এ নায়িকা।
উপস্থাপিকা ফারিয়ার চলচ্চিত্রে অভিষেক হয় জাজ মাল্টিমিডিয়ার ব্যানারের ছবিতে অভিনয় দিয়ে। এ প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ভারতের কলকাতার ছবিতেও অভিষেক ঘটে তাঁর। যৌথ প্রযোজনায় নির্মিত কয়েকটি ছবিতে অভিনয় করে চমকে দেন এই নায়িকা। জাজ মাল্টিমিডিয়ার সঙ্গে চুক্তি শেষ হওয়ার পর বেশ কয়েক মাস বসে থাকতে হয় তাঁকে। তবে একের পর ছবিতে অভিনয়ের প্রস্তাব পেয়েছেন, কিন্তু গল্প পছন্দ না হওয়াতে সেসব ছবিতে কাজ করতে রাজি হননি বলেও জানান। নুসরাত ফারিয়া বলেন, ‘নতুন ছবি “শাহেনশাহ”য় অভিনয়ের প্রস্তাবের ঠিক কিছুদিন আগে আরেকটি ছবিতে সাইন করেছিলাম। সেই ছবিতে চুক্তি হওয়ার আগে ১৬ ছবির গল্প শুনেছি। একটিও পছন্দ হয়নি। কেন জানি মনে হচ্ছিল, ভালো কোনো কাজ পাচ্ছি না। আমি চাইছিলাম, আবার এমন একটি ছবি করব, তুলকালাম কাণ্ড যেন ঘটে যায়। সবকিছু আমাকে হতাশায় ডুবায়। কেন এমনটা হচ্ছে, কিছুই বুঝতে পারছিলাম না! সব কটি গল্প পড়ার পর অভিনয়ের প্রস্তাব বাতিল করেছি। ফাইনালি “শাহেনশাহ” ছবিতে অভিনয়ের প্রস্তাব এল। গল্প ভালো, আর নায়ক তো সুপারস্টার। দুইয়ে দুইয়ে চার, আর চারে দুয়ে মিলে ছয় হয়ে গেল। এবার আর ঠেকায় কে।’
এদিকে মহরতের আগে ‘শাহেনশাহ’ ছবির একটি গানের শুটিংয়েও অংশ নিয়েছেন শাকিব খান আর নুসরাত ফারিয়া। ব্যাংককে শাকিব খানের সঙ্গে প্রথম ছবির শুটিংয়ের অভিজ্ঞতাও দারুণ ছিল বলে জানালেন ফারিয়া। বললেন, ‘যেদিন শুটিং আমি একটু দেরিতে ঘুম থেকে উঠেছিলাম। ভেবেছিলাম, শাকিব খান হয়তো দেরিতে উঠবেন। শুটিংও দেরিতে শুরু হবে। আমি যখন ঘুমে, তখন দরজায় কড়া নাড়েন শাকিব খানের মেকআপ আর্টিস্ট সবুজ। জানালেন, শাকিব ভাই জিম আর সুইমিং করে শুটিংয়ের জন্য পুরোপুরি তৈরি। আমিও তড়িঘড়ি করে রেডি হয়ে বের হয়ে গেলাম। একটা মানুষ দেড় দশকেরও বেশি সময় ধরে অভিনয় করছেন, এখনো কত সিরিয়াস! এটা আমাকে মুগ্ধ করেছে। শাকিব ভাইয়ের ব্যাপারে আমি খুবই হ্যাপি।’
পরিচালক শামীম আহেমদ জানান, ১১ সেপ্টেম্বর থেকে কক্সবাজারে আবার শুরু হচ্ছে ‘শাহেনশাহ’ ছবির শুটিং। উপস্থাপনা থেকে চলচ্চিত্রের নায়িকা হিসেবে নাম লেখানো নুসরাত ফারিয়া একসময় চলচ্চিত্রে এসে থিতু হন। প্রথম ছবি ‘আশিকী’ দিয়ে বাজিমাত করেন। নানা কারণে ছবিটি ফারিয়াকে আলোচনায় এনে দেয়। এরপর বাংলাদেশ ও ভারতের কয়েকটি বাংলা ছবিতেও অভিনয় করেন। এসব ছবিতে নুসরাত ফারিয়ার বিপরীতে অভিনয় করেন বাংলাদেশের আরিফিন শুভ, কলকাতার জিৎ, ওম আর অঙ্কুশ।
এজেন্ট ব্যাংকিংয়ে ঝুঁকছে গ্রাম-গঞ্জের মানুষ
রংপুর এক্সপ্রেস: গ্রাম-গঞ্জের মানুষ এখন ব্যাংকিং সুবিধা পাচ্ছে। আর এ সুবিধা দিচ্ছে এজেন্ট ব্যাংকিং। ফলে গ্রামীণ জনগণ এখন অধিক হারে এজেন্ট ব্যাংকিংয়ে ঝুঁকছে। তাতে বদলে যাচ্ছে গ্রামীণ অর্থনীতি। মূলত ব্যাংকিং সুবিধা বঞ্চিত মানুষদের ব্যাংকিং সেবার আওতায় আনতে এজেন্ট ব্যাংকিং চালু করা হয়। এ ব্যাংকিংয়ে সাধারণ ব্যাংকের মতোই প্রায় সব সুবিধা পাওয়া যায়। সেজন্য গ্রাহককে বাড়তি কোনো চার্জও পরিশোধ করতে হয় না। এমনকি ব্যাংকের ডেবিট কার্ড ব্যবহারেরও সুযোগ পাওয়া যায়। ফলে গ্রামীণ অঞ্চলে দ্রুত জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে ব্যাংকিং। বর্তমানে গ্রামীণ এলাকায় এজেন্ট ব্যাংকিংয়ে গ্রাহক সংখ্যা শহরের তুলনায় ৬ গুণ বেশি। দেশের ব্যাংক সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়।
সূত্রমতে, দেশের ১৭টি ব্যাংকের এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের এজেন্টের সংখ্যা ৩ হাজার ৫৮৮টি এবং তাদের আউটলেট রয়েছে ৫ হাজার ৩৫১টি। ওসব এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেটের মাধ্যমে ১৭ লাখ ৭৭ হাজার ৪০০ গ্রাহক অ্যাকাউন্ট খুলেছেন। তার মধ্যে গ্রামের মানুষই ১৫ লাখ ৪০ হাজার ৩৭৭ জন। বাকিরা শহরের। এজেন্ট ব্যাংকিং অ্যাকাউন্টে মোট স্থিতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৬৫১ কোটি টাকা। এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে প্রতিবারে সর্বোচ্চ ২৫ হাজার টাকা জমা অথবা তোলা যায়। তবে অন্তমুর্খী রেমিট্যান্সের ক্ষেত্রে উত্তোলনের এ সীমা প্রযোজ্য নয়। দিনে দুবার জমা ও উত্তোলন করা যায়। প্রতি এজেন্টের অবশ্যই সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের সঙ্গে চলতি হিসাব থাকতে হয়। ওই হিসাবের সর্বোচ্চ স্থিতি সীমা ১০ লাখ টাকা দেয়া আছে। এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে নতুন ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলা, অ্যাকাউন্টে টাকা জমা ও উত্তোলন, টাকা স্থানান্তর (দেশের ভিতর), রেমিট্যান্স উত্তোলন, বিভিন্ন মেয়াদি আমানত প্রকল্প চালু, ইউটিলিটি সার্ভিসের বিল পরিশোধ, বিভিন্ন প্রকার ঋণ উত্তোলন ও পরিশোধ এবং সামাজিক নিরাপত্তার আওতায় সরকারি সকল প্রকার ভর্তুকি গ্রহণ করা যায়। তবে এজেন্টরা কোনো চেক বই বা ব্যাংক কার্ড ইস্যু করতে পারেন না। আর এজেন্টরা বিদেশি সংক্রান্ত কোনো লেনদেনও করতে পারেন না। তাছাড়া এজেন্টদের কাছ থেকে কোনো চেকও ভাঙানো যায় না। এজেন্টরা মোট লেনদেনের ওপর কমিশন পেয়ে থাকেন।
সূত্র জানায়, এজেন্ট ব্যাংকিং অ্যাকাউন্টে মোট জমা হওয়া অর্থের মধ্যে ডাচ-বাংলা ব্যাংকের স্থিতি সবচেয়ে বেশি। তাছাড়া ডাচ-বাংলার আউটলেটও বেশি। তার পরের অবস্থানেই আছে ব্যাংক এশিয়া। তৃতীয় অবস্থানে আছে আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক। তাছাড়া সোস্যাল ইসলামী, মধুমতি, মিউচুয়াল ট্রাস্ট, এনআরবি কমার্শিয়াল, স্ট্যান্ডার্ড, অগ্রণী, ফাস্ট সিকিউরিটি ইসলামী, মিডল্যান্ড, সিটি ও ইসলামী ব্যাংক ভালো কাজ করছে। মূলত পল্লী এলাকার মানুষের ব্যাংকের আওতায় আনতে এই কার্যক্রম শুরু হয়। সেজন্যপ্র্রথমে কয়েকটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক ও বেসরকারি খাতের ব্যাংক এশিয়াকে নিয়ে পাইলট প্রকল্প করে সরকার। রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলো সেসময় এগিয়ে না আসায় ব্যাংক এশিয়ার মাধ্যমে ওই কার্যক্রম শুরু হয়। এ কার্যক্রমের মাধ্যমে গ্রামীণ মানুষের আর্থিক জ্ঞান (ফাইন্যান্সিয়াল লিটারেসি) হচ্ছে। আর গ্রামীণ অর্থনীতিতে যে পরিবর্তন এসেছে সেখানে এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের ভূমিকা অন্যতম। ওই ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে গ্রামীণ এলাকায় আরও অনেক কিছু করা সম্ভব।
সূত্র আরও জানায়, আর্থিক অন্তর্ভুক্তির লক্ষ্যে সমাজের অবহেলিত জনগোষ্ঠীকে স্বল্প খরচে ব্যাংকিং সেবা দিতে প্রথমে মোবাইল ব্যাংকিং চালু হয়। তারপরে একই উদ্দেশ্যে এজেন্ট ব্যাংকিং সেবা চালু করে বাংলাদেশ ব্যাংক। ২০১৩ সালের ৯ ডিসেম্বর এজেন্ট ব্যাংকিং নীতিমালা জারি করে বাংলাদেশ ব্যাংক। পরে ২০১৪ সালে ব্যাংক এশিয়া প্রথমে ওই সেবা চালু করে। এজেন্ট ব্যাংকিং হলো-সমঝোতা স্মারক চুক্তির বিপরীতে এজেন্ট নিয়োগ দিয়ে ব্যাংকিং সেবা দেয়া। কোনো ধরনের বাড়তি চার্জ ছাড়া এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে প্রত্যন্ত অঞ্চলে সেবা দিচ্ছে ব্যাংকগুলো। ২০১৩ সালের প্রথম নীতিমালায় প্রথমে শুধু পল্লী এলাকায় এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের অনুমতি দেয়া হলেও পরের বছর নীতিমালায় কিছুটা সংশোধন আনা হয়। সংশোধিত নীতিমালা অনুযায়ী যেখানে ব্যাংকের শাখা নেই এমন পৌর ও শহর অঞ্চলেও এজেন্ট নিয়োগ দেয়া যায়। তবে মেট্রোপলিটন ও সিটি করপোরেশন এলাকায় না করার যে নিষেধাজ্ঞা ছিল তা আগের মতোই বহাল রাখা হয়।
এদিকে বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক অন্তর্ভুক্তি বিভাগের মহাব্যবস্থাপক আবুল বশর জানান, যেসব জায়গায় ব্যাংকের শাখা নেই সেখানকার মানুষ এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে তাদের ব্যাংকিং প্রয়োজন মিটাতে পারছে। সাধারণ ব্যাংকিংয়ের মতো তাদের মোবাইলে লেনদেন সংক্রান্ত তথ্য যাচ্ছে। ফলে তাদের বিশ্বাস বাড়ছে। তাতে এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের জনপ্রিয়তা দিন দিন বাড়ছে। বিশেষ করে গ্রামীণ মানুষ এ সেবাকে খুব ভালোভাবে গ্রহণ করেছে।
বাংলাদেশের এশিয়া কাপ জেতার সামর্থ্য আছে -মাশরাফি
খেলাধুলা ডেস্ক: এশিয়া কাপে সবশেষ তিন আসরের দুটির ফাইনালিস্ট বাংলাদেশের এবার শিরোপা জয়ের সম্ভাবনা দেখছেন অনেকেই। চ্যাম্পিয়ন হওয়া সম্ভব মনে করছেন মাশরাফি বিন মুর্তজাও। দুই ফেভারিট ভারত ও পাকিস্তানের চেয়ে নিজেদের খুব একটা পিছিয়ে রাখছেন না বাংলাদেশ অধিনায়ক। আবু জায়েদ চৌধুরী, মোহাম্মদ মিঠুনরা সরাসরিই বলেছেন শিরোপা জয়ের লক্ষ্যের কথা। সংবাদ সম্মেলনে সরাসরি শিরোপা জেতার কথা না বললেও সেই একই আত্মবিশ্বাস দেখা গেল মাশরাফির মাঝেও।
"সম্ভাবনা কতটুকু এভাবে আসলে বলা যায় না। দলগুলো যদি দেখেন, তাহলে আমরা খুব বেশি পিছিয়ে নেই। হয়তো ভারত অনেক ভালো দল। পাকিস্তান তাদের 'ঘরের মাঠে' খেলবে। কিছুটা বাড়তি সুবিধা তারা পাবে। তাদের দলে রিস্ট স্পিনার বেশি আছে। তবুও আমার কাছে মনে হয় আমাদের সামর্থ্য আছে তাদেরকে হারানোর।"
তিনি বলেন, "আমরা শুরুটা কেমন করি আর পরের রাউন্ডে যেতে পারি কিনা, সেটা দেখতে হবে। এখানে বিভিন্ন 'ক্যালকুলেশন' আছে। সব কিছু ঠিক থাকলে আমার কাছে মনে হয়, আমরা খুব বেশি পিছিয়ে নেই।" 'বি' গ্রুপে বাংলাদেশের সঙ্গী শ্রীলঙ্কা ও আফগানিস্তান। সেরা দুই দল খেলবে সুপার ফোরে। একটা করে ম্যাচ ধরে এগোতে চান মাশরাফি। অন্যান্যের প্রতি শ্রদ্ধা আছে। শক্তির বিবেচনায় প্রতিপক্ষদের কাউকে কাউকে এগিয়েও রাখছেন। নিজেদের সামর্থ্যে আস্থা রেখে জয়ের খুব ভালো সম্ভাবনাও দেখছেন তিনি।
তিনি বলেন, "আপনারা অনেকে টুর্নামেন্ট জেতার কথা বলছেন। আমি আবার এই ধরনের না, আমি এই ধরনের কথা বলতে চাই না। আমি মনে করি, আমাদের সামর্থ্য আছে। বাকি দলগুলোর সাথে যদি তুলনা করেন, কন্ডিশন, উইকেট ও কিছু টুকটাক ব্যাপার থাকে...রিস্ট স্পিনাররা কেমন ফর্মে আছে। সব কিছু মিলিয়ে আমাদের থেকে বেটার টিম আছে এই টুর্নামেন্টে।"
বলেন, "তবে বাকি দলের সাথে আমাদের খুব বেশি পার্থক্য আছে বলে মনে হয় না। সেই পার্থক্যটা আমরা যদি ভালো ক্রিকেট খেলে পূরণ করতে পারি, আমার কাছে তাহলে সব কিছুই সম্ভব মনে হয়। সবকিছুর আগে নির্ভর করছে আমরা প্রথম ম্যাচটা ভালো খেলে জিততে পারি কি-না তার উপর।" দল ছন্দে আছে। সবশেষ সিরিজে হারিয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে। সামনে থেকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন মাশরাফি। দারুণ বোলিং করছেন অধিনায়ক। বরাবরের মতোই যতটা সম্ভব অবদান রাখার লক্ষ্য তার।
বলেন, "আমার নিজের কোনো লক্ষ্য কখনও থাকে না। ওয়েস্ট ইন্ডিজেও যাইনি, এখানেও যাবো না। কখনও এমন লক্ষ্য নিয়ে যাই না। আমি চেষ্টা করব অবদান রাখার, যতটুক পারি। এটা খারাপও হতে পারে ভালোও হতে পারে। এটা নিয়ে আসলে এত মাথা ব্যথা নেই। আর টুর্নামেন্টের শুরুতে তো থাকেই না।"
সমকামিতার বৈধতা দিল ভারতের সুপ্রিম কোর্ট
আর্ন্তজাতিক ডেস্ক: ঔপনিবেশিক আমলের ফৌজদারি আইনের একটি ধারা অবৈধ ঘোষণা করে ভারতে সমকামিতার অধিকারকে বৈধতা দিয়েছে দেশটির সুপ্রিম কোর্ট। আজ বৃহস্পতিবার ঐতিহাসিক এই রায়ে ভারতের সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ বিচারকের বেঞ্চ বলেছে, সমকামিতাকে শাস্তিযোগ্য অপরাধ বিবেচনা করার ওই আইন এখন অযৌক্তিক। রাষ্ট্রের সব নাগরিককেই সমান অধিকার দিতে হবে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, সুপ্রিম কোর্ট রায় ঘোষণার পর ভারতের বিভিন্ন অংশে এলজিবিটি কমিউনিটির প্রতিনিধিরা রাস্তায় নেমে এসে উল্লাস প্রকাশ করে। তাদের সঙ্গে যোগ দেন উদারপন্থি অধিকারকর্মীরাও। ৫৪৭ পৃষ্ঠার এই রায়ে ভারতের প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্র রায়ে বলেছেন, কেউ তার ব্যক্তি স্বাতন্ত্র্যকে এড়িয়ে যেতে পারে না। এখনকার সমাজ ব্যক্তি স্বাতন্ত্র্যের প্রশ্নে অনেক বেশি অনুকূল। “ভারতের সংবিধান একজন সাধারণ নাগরিককে যেসব অধিকার দেয়, তার সবগুলোই এলজিবিটি কমিউনিটির প্রাপ্য।”
আরও পড়তে পারেন >> জাপানে ৬.৭ মাত্রার ভূমিকম্প, নিহত ৪
ভারতসহ দক্ষিণ এশিয়ার অধিকাংশ দেশে ফৌজদারি আইন হিসেবে ১৮৬০ সালে ব্রিটিশ সরকারের তৈরি করা দণ্ডবিধিই প্রয়োজনমত বদলে নিয়ে চালু রাখা হয়েছে। ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৭ নম্বর ধারায় বলা হয়েছে, ‘প্রকৃতির নিয়মের বিরুদ্ধে’ গিয়ে কেউ পুরুষ, নারী বা জন্তুর সঙ্গে যৌনসঙ্গম করলে তার যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বা দশ বছরের জেল হতে পারে। সেই সঙ্গে হতে পারে জরিমানা। বাংলাদেশের ফৌজদারি দণ্ডবিধিতেও একই ধারায় মোটামুটি একই ভাষায় একই শাস্তির কথা বলা হয়েছে। সে অনুযায়ী বাংলাদেশেও সমকামিতা দণ্ডনীয় অপরাধ বিবেচনা করা হয়।
ওই আইন বাতিলের দাবি জানিয়ে ভারতের এলজিবিটি (লেসবিয়ান, গে, বাইসেক্সুয়াল ও ট্রান্সজেন্ডার) অধিকার সংগঠনগুলো বলে আসছিল, বিশ্বের ৭৪টি দেশ যেখানে সমকামিতাকে আইনি স্বীকৃতি দিয়েছে, সেখানে জনসংখ্যার দিক দিয়ে বিশ্বের সবচেয়ে বড় গণতান্ত্রিক দেশ ভারতে ৩৭৭ ধারায় তাদের হেনস্তার শিকার হতে হচ্ছে।
এনডিটিভির খবরে বলা হয়, ২০০৯ সালে দিল্লি হাই কোর্ট এক রায়ে ৩৭৭ ধারাকে অসাংবিধানিক ঘোষণা করে। সেখানে বলা হয়, কেবল অপ্রাপ্তবয়স্ক ও ইচ্ছার বিরুদ্ধে যৌনসংসর্গের ক্ষেত্রে ওই আইন প্রয়োগ করা যাবে।কিন্তু কয়েকটি ধর্মীয় সংগঠনের আপিলে ২০১৩ সালের ডিসেম্বরে ভারতের সুপ্রিম কোর্ট হাই কোর্টের সেই রায় খারিজ করে দেয়। সে সময় সুপ্রিম কোর্টের রায়ে বলা হয়, সরকার চাইলে আইন বাতিল বা নতুন আইন তৈরি করতে পারে।
এর তিন বছরের মাথায় শাস্ত্রীয় নৃত্যশিল্পী নভতেজ সিং জোহর, ম্যাক্সিম ম্যাগাজিনের ভারতীয় সংস্করণের সম্পাদক সুনীল মেহরা, বিখ্যাত শেফ রীতু ডালমিয়া, ব্যবসায়ী আমন নাথ এবং অভিনেত্রী আয়েষা কাপুর নতুন একটি পিটিশন নিয়ে যান ভারতের সুপ্রিম কোর্টে।
সেখানে বলা হয়, দণ্ডবিধির ৩৭৭ ধারার কারণে এলজিবিটি জনগোষ্ঠী স্বাভাবিক জীবনযাপনের অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। ভারতীয় পত্রিকাগুলো বলছে, নরেন্দ্র মোদীর বিজেপি সরকার সুপ্রিম কোর্টে ৩৭৭ ধারা নিয়ে এই মামলায় নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করতে চায়নি। সরকারের অবস্থান জানাতে আদালতে বার বার সময় চেয়েছে রাষ্ট্রপক্ষ। কিন্তু পার্লামেন্টে ৩৭৭ ধারা বাতিলের বিল আনতে চাইলে বিজেপি সে বিষয়ে আলোচনাই করতে দেয়নি।
জাপানে ৬.৭ মাত্রার ভূমিকম্প, নিহত ৪
আর্ন্তজাতিক ডেস্ক: প্রাকৃতিক দুর্যোগ পিছু ছাড়ছে না জাপানের; ২৫ বছরের মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী টাইফুন জেবিতে তছনছ হওয়ার পর এবার দেশটির উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশ হোক্কাইডোতে ৬.৭ মাত্রার ভূমিকম্পের খবর পাওয়া গেছে। গেল ভোররাত ৩টা ৮ মিনিটে হোক্কাইডোতে এ ভূমিকম্প অনুভূত হয় বলে জাপানের আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে। এতে অন্তত চার জন নিহত ও ৩৩ জন নিখোঁজ রয়েছেন বলে জাপানি গণমাধ্যমের বরাতে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
দেশটির রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন এনএইচকে জানিয়েছে, ভূমিকম্পের পর ১২০ জনকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। ভূমিকম্পের পর বিভিন্ন স্থাপনা দুর্বল হয়ে পড়ায় বড় ধরনের দুর্ঘটনা এড়াতে সবাইকে সতর্কভাবে চলার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের ভূ-তাত্তি¡ক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) বলছে, ৬.৬ মাত্রার ওই ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল তমোকোমাই শহরের কাছে, ভূপৃষ্ঠের ২৭ কিলোমিটার গভীরে।
হোক্কাইডোতে ১৯৯৬ সালের পর এটিই সবচেয়ে বড় ভূমিকম্প বলে স্থানীয় গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছে। ভূমিকম্পের পর থেকে হোক্কাইডোর প্রায় ত্রিশ লাখ বাড়িতে বিদ্যুৎ ও গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। সব ধরনের ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে; বন্ধ রয়েছে দ্রæতগামী ট্রেন এবং প্রায় সব ধরনের সাধারণ পরিবহন। এ ভূমিকম্পের মাত্র এক দিন আগে সুপার টাইফুন জেবির তাণ্ডবে দেশটির পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশ ওসাকা ও কিয়েতোতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়; নিহত হন ১১ জন। এনএইচকের টেলিভিশনে প্রচারিত ভিডিওতে দেখা যায়, ভূমিকম্পের পরপরই পুরো শহে বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়ে। ধসে পড়া রাস্তা এবং দুমড়ে মুচড়ে যাওয়া বাড়িঘরের দৃশ্যও দেখা যায় সেখানে।
বৃহস্পতিবার সকালে এক সংবাদ সম্মেলনে জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে বলেন, “এটি সত্যি মর্মান্তিক দুর্যোগ। আমরা একটি টাস্কফোর্স গঠন করেছি। ইতোমধ্যে প্রায় ২৫ হাজার সৈন্য আহতদের উদ্ধারে তৎপরতা শুরু করেছে। ঝুঁকি এড়াতে জনসাধারণকে আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে অবস্থান করতে বলা হয়েছে।”
তিনি বলেন, ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ তাৎক্ষণিকভাবে নির্ণয় করা কঠিন। তবে সরকার জনগণের নিরাপত্তাকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে।
এদিকে টোকিওতে বাংলাদেশ দূতাবাসের প্রধান কর্মকর্তা মোহাম্মদ জোবায়েদ হোসেন বলেন, “আমরা খোঁজ নিয়ে জেনেছি, হোক্কাইডোর ভূমিকম্পে কোনো বাংলাদেশি আহত হননি। এখানে বসবাসরত সকল বাংলাদেশি নিরাপদে রয়েছেন।” গত ১৮ জুন জাপানের ওসাকায় ৬.১ মাত্রার ভূমিকম্পে ৫ জন নিহত হয়। এরপর জুলাই মাস জুড়ে তাপদাহে ৮৩ জন, অতিবৃষ্টিতে ২২৪ জনের মৃত্যু হয়। এরপর মঙ্গলবারের টাইফুনে আরও ১১ জনের প্রাণ যায়।
এদিকে টাইফুন জেবির সঙ্গে আসা জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত জাপানের দ্বিতীয় বৃহত্তম আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ‘কানসাই’ শুক্রবার থেকে আবার চালু হবে বলে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। তবে প্রাথমিকভাবে সেখানে কেবল অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট ওঠানামা করবে। আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চালু হতে কিছুদিন সময় লাগতে পারে বলে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। ওসাকা সাগরের মধ্যে একটি কৃত্রিম দ্বীপে নির্মিত এই বিমানবন্দরটি জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হলে সব ধরনের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। সেখানে আটকা পড়া ৫ হাজার যাত্রীকে বুধবার উদ্ধার করে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়।
টলি অভিনেত্রী পায়েল চক্রবর্তীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার
বিনোদন ডেস্ক: হোটেল থেকে টলি অভিনেত্রী পায়েল চক্রবর্তীর (৩৮) ঝুলন্ত মরদেহউদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল বুধবার বিকেলে শিলিগুড়ির এয়ারভিউ মোড়ের একটি হোটেল থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
পায়েল চক্রবর্তী বাংলা সিরিয়াল ‘চোখের তারা তুই’-তে অভিনয় করে অনেকের নজর কেড়েছিলেন। এর পরে ‘ককপিট’ ছবিটিতে একটি ছোট চরিত্রে দেখা যায় তাকে। এ ছাড়া ‘গোয়েন্দা গিন্নি’ ও ‘জড়োয়ার ঝুমকো’-তেও অভিনয় করেছিলেন তিনি। কিছুদিন আগেই বিবাহ বিচ্ছেদ হয় ওই অভিনেত্রীর। তার দু’বছরের একটি সন্তান রয়েছে। তার বাড়ি দক্ষিণ কলকাতার নেতাজিনগরে। মঙ্গলবার রাতে শিলিগুড়ির এয়ারভিউ মোড় সংলগ্ন নবীন সেন রোডের একটি হোটেলে ওঠেন তিনি।
আরও পড়তে পারেন >> নারী-শিশুদের পাশে দাড়ানোর আহ্বান সানি লিওনের
হোটেল কর্মী অরুণ দেব বলেন, ওই নারী রাতে হোটেলে আসেন। সোজা রুমে চলে যান। রাতে খাবারও খাননি। সকালে ডাকাডাকি করে তার সাড়া পাওয়া না যাওয়ায় পুলিশে খবর দেয়া হয়।
শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনারেটের ডিসিপি (জোন-১) গৌরব লাল বলেন, অভিনেত্রীর মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তার মৃত্যুর রহস্য উদঘাটনের চেষ্টা চলছে।
নারী-শিশুদের পাশে দাড়ানোর আহ্বান সানি লিওনের
বিনোদন ডেস্ক: বলিউডে ক্যারিয়ার শুরু করেই সফলতা অর্জন করেন সানি লিওন। একের পর এক ব্যবসা সফল ছবি উপহার দিতে থাকেন। বলিউডের ছবিগুলোতেও বেশ খোলামেলা হয়েই কাজ করেছেন তিনি। বর্তমানে নতুন আরো কয়েকটি ছবির কাজ করছেন এ নায়িকা। তবে সম্প্রতি নতুন একটি ভিডিও প্রকাশ করেছেন তিনি। আর সেই ভিডিওতে একটি আহ্বান জানিয়েছেন সবার উদ্দেশে। অসহায় নারী ও শিশুদের জন্য কাজ করছেন সানি। তাদের জন্য ফান্ড গঠনের কাজেও তিনি অংশ নেন।
তারই ধারাবাহিকতায় এই ভিডিওটি প্রকাশ করেন এ অভিনেত্রী। সানি সেই ভিডিওতে বলেন, ভারতে অসহায় নারী ও শিশুর সংখ্যা অসংখ্য। এসব নারী ও শিশু তাদের মৌলিক চাহিদা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। কিন্তু তাদের পাশে দাঁড়ানোর তেমন কেউ নেই। তাদের সহযোগিতাটা খুব দরকার। সেটা হলে তারা স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে পারবে। আমি সবাইকে অনুরোধ করবো সাধ্য অনুযায়ী এসব নারী ও শিশুর পাশে দাঁড়ান। এটা মানুষ হিসেবে আমাদের কর্তব্য। প্লিজ, এগিয়ে আসুন।
সৈয়দপুরে গৃহবধুর লাশ উদ্ধার, হত্যার অভিযোগ
নীলফামারী: নীলফামারীর সৈয়দপুরে খোলা বাজারের (ওএমএস) এর চাল নিয়ে বিরোধের জের ধরে এক গৃহবধুকে হত্যা করে গাছের সাথে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে বলে অভিযোগ করছে নিহতের পরিবার। এ ঘটনায় অভিযুক্ত ওই নারীর স্বামী ও সতিন বর্তমানে পলাতক। ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল বুধবার দিবাগত রাত আনুমানিক ৩ টার দিকে উপজেলার কামারপুকুর ইউনিয়নের বাউলের ডাঙ্গাপাড়া গ্রামে।
নিহত গৃহবধু জাহেদা খাতুনের ভাই নজরুল ইসলাম অভিযোগ করে জানান, আমার বোন জাহেদা খাতুন তার স্বামীর দ্বিতীয় স্ত্রী হওয়ায় স্বামীর বাড়ি আদানীমোড়ে না থেকে পৃথকভাবে কামারপুকুর ব্রিজ সংলগ্ন বাউলের ডাঙ্গাপাড়ায় বসবাস করেন। গতকাল ৫ সেপ্টেম্বর সকালে কামারপুকুর বাজার থেকে ওএমএস’র ৩০ কেজি চাল কিনে আমার বোন জাহেদা। ওই চাল থেকে অর্ধেক চাল দাবি করে জাহেদার স্বামী আতিয়ার রহমানের প্রথম স্ত্রী তহমিনা বেগম। চাল দিতে অস্বীকৃতি জানালে জাহেদার সাথে তহমিনা ও আতিয়ার ঝগড়া বাধায়। এক পর্যায়ে গালাগালি ও ধ্বস্তা-ধ্বস্তির ঘটনাও ঘটে। সেসময় বিষয়টি ওই পর্যন্ত থেমে থাকে। কিন্তু আতিয়ার রহমান ও তার প্রথম স্ত্রী তহমিনা নিজেদের বাড়ি আদানি মোড়ে না গিয়ে জাহেদার বাড়িতেই বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত অবস্থান করে। রাতের বেলা ঘুমের সময় জাহেদার হাত পা বেধে মুখে বালিশ চাপা দিয়ে তাকে হত্যা করে। রাত আনুমানিক ৩ টার দিকে জাহেদার ছেলে হাসু (৮) আমাদের বাড়িতে এসে তার মাকে মেরে ফেলার খবর দেয়। আমরা তাৎক্ষণিক ছুটে গিয়ে দেখতে পাই বাড়ির পাশে কামারপুকুর ব্রিজ সংলগ্ন বাকডোকরা খালের ধারে গাছের ডালে জাহেদার মরদেহ ঝুলানো রয়েছে।
জাহেদার ছেলে হাসু জানায়, আমার বাবা ও বড় মা তহমিনা আমার মাকে বালিশ চাপা দিয়ে মারছে। আমাকে ভয় দেখিয়েছে। এ ঘটনার পর থেকে আতিয়ার ও তার প্রথম স্ত্রী তহমিনা পলাতক রয়েছে। পুলিশ খবর পেয়ে সকালে লাশ উদ্ধার করে নীলফামারী মর্গে ময়না তদন্তের জন্য প্রেরণ করেছে।
কামারপুকুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রেজাউল করিম লোকমান জানান, জাহেদার ভাই নজরুল জানায় যে তার স্বামী জাহেদাকে হত্যা করে লাশ গাছের সাথে ঝুলিয়ে রেখেছে। পরে পুলিশকে সংবাদ দিলে থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। সৈয়দপুর থানার অফিসার ইনচার্জ শাহজাহান পাশা জানান, মামলা হলে আসামীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
পশ্চিমবঙ্গে ‘পঞ্চকন্যা’ সম্মানে ভূষিত নীলফামারীর মেয়ে সুমি
নীলফামারী: ভারতের পশ্চিমবঙ্গে কুসুমের ফেরা ‘পঞ্চকন্যা’ অনন্য সম্মানে ভূষিত হয়েছেন নীলফামারী জেলার মেয়ে সরকার ফারহানা আখতার সুমি। পশ্চিমবঙ্গের মেদেনীপুর নিউদিঘায় “আন্তর্জাতিক ইলিশ বাঁচাও ও পর্যটন উৎসব ২০১৮” -এ কবি সাহিত্যিকদের উপস্থিতিতে তাকে এই সম্মাননা প্রদান করা হয়। সম্প্রতি এ উৎসবের আয়োজন করে ডায়মন্ড হারবার প্রেসক্লাব। বাংলাদেশের সুমি ছাড়াও পশ্চিমবঙ্গের আরো চার কবি সাহিত্যিককে ওই সম্মানে ভুষিত করা হয়।
উৎসব আলোচনা সভায় উদযাপন কমিটির আহবায়ক অমৃত মাইতি, আন্তর্জাতিক আহবায়ক খায়রুল আনাম, প্রেসক্লাবের সভাপতি অশোক রায় চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক সাকিল আহমেদ বক্তব্য দেন। একই অনুষ্ঠানে কবি সুকুমার রায় স্মৃতি পদক ও অগ্নিবীণা পুরস্কার করা হয় পশ্চিমবঙ্গের দু’জনকে।
নীলফামারী জেলার ডোমার উপজেলার ভোগডাবুুড়ি ইউনিয়নের চিলাহাটি গ্রামের মেয়ে সরকার ফারহানা আখতার সুমি জানান, আমাকে লেখিকা ও সমাজ সেবী হিসেবে নির্বাচিত করে ‘পঞ্চকন্যা’ অনন্য সম্মানে ভুষিত করে সম্মাননা প্রদান করা হয়। তিনি বলেন, অনুষ্ঠানে বরেণ্য কবি সাহিত্যিকদের উপস্থিতিতে প্রদান করা হয় ক্রেস্ট। এটি আমার জন্য বিরাট পাওয়া।
প্রসঙ্গত, সরকার ফারহানা আকতার সুমি বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড কেন্দ্রীয় কাউন্সিলের সাধারণ সম্পাদক (কল্যাণ ও পুর্ণবাসন) ও বাংলাদেশ যুবমহিলা লীগের সহ শিক্ষা পাঠাগার ও প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়া তিনি নীলফামারী-০১(ডোমার-ডিমলা) আসনে আওয়ামীলীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী।
রৌমারীতে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে সাবেক এমপির সহযোগীকে মারপিট
রৌমারী, কুড়িগ্রাম: কুড়িগ্রামের রৌমারীতে সাবেক এমপি জাকিরের সহযোগী সেকেন্দার আলী বাবলু (৩৪) কে ঘর থেকে ডেকে নিয়ে বেদম মারপিট করেছে দুর্বৃত্বরা। গত বুধবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে বন্দবেড় ইউনিয়নের উত্তর বাইটকামারি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আহত ব্যক্তি রৌমারী হাসপাতালে চিকিৎসাধীনে রয়েছে।
এলাকাবাসি ও পরিবার সুত্রে জানা গেছে, ৭/৮ জনের একটি দুর্বৃত্বের দল রাতের অন্ধকারে ঘুমিয়ে থাকা সেকেন্দার আলী বাবলুকে বাহির থেকে ডেকে ঘর থেকে বেড় করে কিছু বুঝে উঠার আগেই এলোপাতারি মারপিট শুরু করে দুর্বৃত্বরা। বাড়িতে থাকা তার স্ত্রী সুফিয়া খাতুনের ডাক চিৎকার শুনে গ্রামবাসি এগিয়ে আসলে দুর্বৃত্বরা পালিয়ে যায়। পরে আহত অবস্থায় গ্রামবাসিরা তাকে উদ্ধার করে রৌমারী হাসপাতালে ভর্তি করে।
রৌমারী হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক মো. জোবায়ের আহমেদ শিমুল জানান, আহত ব্যক্তির শরীরে বিভিন্ন স্থানে ক্ষতের সৃষ্টি হয়েছে। তার অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত মামলার প্রস্তুতি চলছে।
সৈয়দপুরে অপহরণের শিকার স্কুলছাত্র উদ্ধার, আটক ১
নীলফামারী: নীলফামারীর সৈয়দপুরে সিনেমার শুটিংয়ের কায়দায় অপহরণের শিকার এক স্কুল ছাত্রকে উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় এক যুবককে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে এলাকাবাসী। ঘটনাটি ঘটেছে আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১০ টায় সৈয়দপুর শহরের বাইপাস সড়ক বসুনিয়াপাড়া মোড় এলাকায়। আটক যুবকের নাম ফয়সাল। সে শহরের সাহেবপাড়া হানিফ মোড় সংলগ্ন মুক্তিযোদ্ধা স্কুল এলাকার মো: মিলনের ছেলে। উদ্ধারকৃত স্কুল ছাত্রের নাম মো: আমান। সে একই এলাকার মৃত. জব্বারের ছেলে ও সৈয়দপুর রেলওয়ে সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেনীর ছাত্র।
আমান জানায়, সকাল সাড়ে ৮টার দিকে প্রাইভেট থেকে ফিরে বাড়ির সামনে ব্রাশ করছিলাম। এমন সময় একটি কার এসে দাঁড়ায় বাড়ি সংলগ্ন রাস্তায়। কার থেকে ২ জন অপরিচিত যুবক এসে আমার ক্লাসমেট আকাশের বাড়ি দেখিয়ে দিতে বলে। আমি আকাশের বাড়ির ঠিকানা বলার পর তারা অনুরোধ করে যে তাদের যেন বাড়ি পর্যন্ত পৌছে দেয়া হয়। এতে সম্মত হয়ে তাদের সাথে মাইক্রোবাসে উঠে শহরের পূর্ব দিকে সৈয়দপুর থানার পাশে রাসুলপুর এলাকায় ফ্রি আমিন স্কুলের দিকে যেতে বলি। কিন্তু তারা আমাকে নিয়ে উল্টোদিকে অর্থাৎ রেলওয়ে কারখানা হয়ে মিস্ত্রিপাড়া মোড় দিয়ে পশ্চিমে বাইপাস সড়কের দিকে যেতে থাকে। এতে আমি আপত্তি করায় তারা জোড় পূর্বক সেদিকেই যেতে ড্রাইভারকে তাগাদা দেয়। এক পর্যায়ে একটি তোয়ালে দিয়ে আমার চোখ মুখ বেঁধে ফেলে। এতে আমি চিৎকার করলে ড্রাইভার হঠাৎ মাইক্রোবাস থামিয়ে দিয়ে চাবি নিয়ে নেমে পড়ে এবং বলে এমন ভাড়া সে যাবেনা। এর ফলে অপহরণকারীরা কার থেকে নেমে দক্ষিণ দিকে পালিয়ে যায় এবং আমি নামার পর ড্রাইভারকে চিনতে পারি। পরে ড্রাইভার আমাকে নিয়ে বাড়ি পৌছে দেয়। তার সহযোগিতায় এ অপহরণ ঘটনার সাথে জড়িতদের মধ্যে একজনের পরিচয় জানতে পেরে তাকে এলাকাবাসী আটক করে স্থানীয় রেলওয়ে শ্রমিকলীগ অফিসে নিয়ে যায়। সেখানে তাকে বেধড়ক গণপিটুনি দেয়া হয়। পরে পুলিশ খবর পেয়ে ৩ টার দিকে সেখান থেকে তাকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
এ ব্যাপারে কার চালক এনামুল হক জানায়, বুধবার আমির নামে একজন ড্রাইভারের সাথে ২ হাজার ৫শ’ টাকায় শুটিং করার কথা বলে ভাড়া ঠিক করে ফয়সাল। কিন্তু কোন কারণে আমির যেতে না পারায় আজ (বৃহস্পতিবার) সকালে আমাকে জানালে আমি যেতে রাজি হই। এসময় আমাকে জানানো হয় যে, ৪ জন যাত্রী দিনাজপুর যাবে। তবে তারা রেলওয়ে শ্রমিকলীগ অফিস, রেলওয়ে কারখানা ও দিনাজপুরের জেলখানার পিছনে, বড় ময়দান এলাকায় কিছুক্ষণ করে অবস্থান করবেন। কারণ এসব জায়গায় শুটিং করা হবে। সে অনুযায়ী সকাল সাড়ে ৮ টার দিকে রেলওয়ে মাঠের মাইক্রো স্ট্যান্ড থেকে ফয়সাল আমার গাড়িতে উঠে রেলওয়ে শ্রমিকলীগ অফিসের সামনে গিয়ে নেমে পরে এবং সেখানে ৩ যুবক ওঠে। তারা সেখান থেকে প্রথমে মুক্তিযোদ্ধা স্কুলের সামনে গিয়ে এক ছেলেকে নিয়ে আসে। তারা এসময় জানায় যে এখন নায়কের ছোট ভাইকে অপহরণের শুটিং হবে। কিন্তু তাদের হাতে কোন ক্যামেরা বা অন্যান্য উপকরণ না থাকায় আমার একটু সন্দেহ হয়। সে ব্যাপারে তাদের জিজ্ঞাসা করলেও তারা কোন উত্তর দেয়নি। তারপর রেলওয়ে কারখানার কাছে আসার পর ছেলেটি আমাকে ফ্রি আমিন স্কুলের দিকে যেতে বলে কিন্তু কারে ওঠা অপর যাত্রীরা আমাকে মিস্ত্রিপাড়ার দিকে যাওয়ার জন্য তাগাদা দেয়। এতে ভাড়াকারীদের কথায় আমি সেদিকেই যেতে থাকি। একসময় বসুনিয়াপাড়া মোড়ে এলে আমার কাছ থেকে তোয়ালা চেয়ে নিয়ে যখন ছেলেটির চোখ মুখ বেধে দেয় তখন আমার সন্দেহ সত্যে পরিণত হওয়ায় আমি গাড়ি বন্ধ করে চাবি নিয়ে নেমে প্রথমে ছেলেটিকে আমার দরজা দিয়ে বাইরে আনি পড়ে ওই যুবকদের ধরার চেষ্টা করার আগেই তারা দরজা খুলে বের হয়ে দিনাজপুরের পখে রাবেয়া মিলের দিকে পালিয়ে যায়। পরে ছেলেটিকে উদ্ধার করে তার বাড়িতে পৌছে দেই।
আটক যুবক শহরের আলম প্রেসের মেশিন ম্যান ফয়সাল জানায়, আমান আমার ব্যাপারে অশ্লীল অপপ্রচারণা চালাচ্ছিল। আমি নাকি নেশা করি, মেয়েদের সাথে ঘুরি। তাকে বার বার নিষেধ করা সত্বেও সে থামেনি। একারণে তাকে ভয় দেখিয়ে নিবৃত করার জন্য নাটক করতে সাগর ভাইয়ের শরনাপন্ন হই। তিনি প্লাজায় প্রায়ই আসেন। কিন্তু তার বাসা কোথায় বা কি করেন তা জানিনা। তিনি তার আরও ২ বন্ধুসহ আমাকে সহযোগিতা করতে চান বলেই এ কাজ করেছি। কিন্তু আমি আমানকে শুধু ভয় দেখাতে বলেছি। কিন্তু তারা যে তাকে মারধর করবে বা চোখ মুখ বেঁধে নিয়ে যাবে তা আমার জানা ছিলনা।
সৈয়দপুর থানার অফিসার ইনচার্জ শাহজাহান পাশা জানান, শুটিংয়ের নাম করে কার ভাড়া নিয়ে অপহরনের চেষ্টা করা হয়েছিল এবং স্কুলছাত্র ও চালকের সাহসিকতা ও বুদ্ধিমত্বায় তারা রেহাই পায় মর্মে অভিযোগ পেয়েছি। এ ঘটনায় জড়িত একজনকে আটক করা হয়েছে, অপর ৩ জনকে আটকের চেষ্টা করা হচ্ছে।
রাণীশংকৈলে জাতীয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টের উদ্বোধন
রাণীশংকৈল, ঠাকুগাঁও: ঠাকুরগাঁয়ের রাণীশংকৈলে শেখ রাশেল মিনি স্টেডিয়ামে আজ বৃহস্পতিবার বিকালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জাতীয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টের শুভ উদ্বোধন করা হয়েছে। টুর্নামেন্টের উদ্বোধন করেন সংসদ সদস্য মোছা. সেলিনা জাহান লিটা।
এসময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঠাকুরগাঁও-৩ আসনের সাংসদ অধ্যাপক মো. ইয়াসিন আলী। আরও উপস্থিত ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান আইনুল হক, মাহফুজা বেগম পুতুল, পৌর মেয়র আলমগীর সরকার, উপজেলা আ’লীগ সভাপতি সইদুল হক, পৌর আওয়ামী লীগ সভাপতি ও উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম সরকার, থানা অফিসার ইনচার্জ আ. মান্নান, জেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা এবং খেলার উপপরিচালক মো. আব্দুল কাদির প্রমুখ।
অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মৌসুমী আফরিদা। উদ্বোধনী খেলায় ১নং ধর্মগড় ইউপি ও ৬নং কাশিপুর ইউনিয়ন পরিষদ খেলায় অংশগ্রহণ করে।
পীরগঞ্জে বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সাথে শিক্ষার্থী-অভিভাবকদের ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া
বিদ্যালয় শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও স্থানীয়রা জানান, আজ বৃহস্পতিবার সকালে যথারিতি ক্লাশ চলছিলো। হঠাৎ করে বহিরাগতদের সাথে নিয়ে স্কুলে আসেন স্থগিত হওয়া ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতা রেজাউল করিম নান্নু। তিনি মাঠের মধ্যে থাকা ছাত্রছাত্রীদের স্কুল ভবনের দোতলায় যেতে বলেন। ছাত্রছাত্রীরা দোতলা উঠলে তার সঙ্গে আসা লোকেরা দোতলার সিড়ির গেটে তালা দিয়ে ছাত্রছাত্রীদের আটকে রাখেন। এসময় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি রেজাউল করিম নান্নু পীরগঞ্জ পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি খলিলুর রহমানের ছোট ভাই খায়রুল ইসলাম খয়বারকে স্কুলের নতুন প্রধান শিক্ষক হিসেবে ঘোষণা করেন। এতে বিক্ষুদ্ধ শিক্ষার্থীরা তালা ভেঙ্গে বাহিরে বেরিয়ে পড়ে। উত্তেজিত ছাত্রছাত্রীদের সাথে নান্নুর লোকজনের বাক-বিতণ্ডার একপর্যায়ে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। পরে নান্নুর লোকজনেরা শিক্ষার্থীদের বাধা উপেক্ষা করে খায়রুল ইসলামকে প্রধান শিক্ষকের কক্ষে নিয়ে যায়। এঘটনা জানাজানি হলে শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও স্থানীয়রা মিলে প্রধান শিক্ষকের কক্ষ ঘেরাও করলে সেখানে ম্যানেজিং কমিটির লোকজনের সাথে ধাওয়া-ধাওয়ির ঘটনা ঘটে। এতে সভাপতি নান্নুর সাথে আসা বহিরাগতদের হামলার শিকার হয় সাধারণ ছাত্রছাত্রীসহ অভিভাবক ও স্থানীয়রা। পরে পুলিশ এসে স্কুল থেকে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও তার লোকজনকে সরিয়ে নিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। বর্তমানে ওই এলাকায় টানটান উত্তেজনা বিরাম করছে।
এদিকে ধাওয়া-ধাওয়ির সময় ম্যানেজিং কমিটির লোকজনের হামলায় স্থানীয় ইউপি সদস্য মোস্তাফিজার রহমান গোলাপ, স্কুল ম্যানেজিং সাবেক সহ সভাপতি মাহমুদুল হক তুষার, অভিভাবক শরিফুল ইসলাম সবুজ, শিক্ষার্থী লিখন, তাসকিরাতুলসহ অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে গোলাপ, তুষার ও সবুজকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ব্যপারে স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সুনীল চন্দ্র রায় জানান, আমি বিভিন্ন রকমের চাপে রয়েছি। এই মুহুর্তে আমি কাউকে কিছু বলতে পারছি না।
অন্যদিকে প্রধান শিক্ষক নিয়োগের ব্যাপারে পীরগঞ্জ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুল মতিন মন্ডল বলেন, রায়পুর বহুমূখী উচ্চ বিদ্যালয়ে এখনো কোন প্রধান শিক্ষকের কাগজপত্রে কোন সই করা হয়নি। এদিকে পীরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ওয়াহিদা খানম বলেন, শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের কারণে আমি ওই ম্যানেজিং কমিটির কার্যক্রম স্থগিত করেছিলাম। তারপরও কেন এ ঘটনা ঘটেছে তা খতিয়ে দেখা হবে। পীরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেজাউল করিম বলেন, স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির কার্যক্রম নিয়ে শিক্ষার্থী ও স্থানীয়দের সাথে কমিটির সভাপতির বিরোধ চলছে। সেই জের ধরেই ঘটনাটি ঘটেছে। তবে বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।
সাঁতারে বিশ্ব রেকর্ড নেত্রকোনার ক্ষিতীন্দ্র চন্দ্রের
সারাদেশ: একটানা ১৮৫ কিলো মিটার সাঁতার কেটে বিশ্ব রেকর্ড গড়েছেন বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের এএনএস কনসালট্যান্ট ও নেত্রকোনা জেলার সাঁতারু বীর মুক্তিযোদ্ধা ক্ষিতীন্দ্র চন্দ্র বৈশ্য। বিশ্ব রেকর্ড গড়ার লক্ষ্যে গেল সোমবার শেরপুরের নালিতাবাড়ি উপজেলার ভোগাই নদীর ব্রিজ থেকে সাঁতার শুরু করেন তিনি। এরপর বিরামহীন ভোগাই, নেতাই, কংস ও মগড়া নদী পাড়ি দেয়ার পর বুধবার রাত ৮টায় মোট ৬১ ঘণ্টায় তিনি ১৮৫ কিলোমিটার নদীপথ সফলভাবে সাঁতরে অতিক্রম করেন। নেত্রকোনার মদন উপজেলার দেওয়ান বাজারে মগড়া নদীর ঘাটে এ প্রদর্শনী শেষ করেন ক্ষিতীন্দ্র চন্দ্র।
এর আগে গত বছরের আগস্ট মাসে মাত্র ৪৩ ঘণ্টায় ১৪৬ কিলোমিটার নদীপথ পাড়ি দিয়েও রেকর্ড সৃষ্টি করেছিলেন তিনি। ৬৭ বছর বয়সী প্রবীণ এ সাঁতারু জানান, গিনেস রেকর্ড বুকে স্থান পেতে এ চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করেছিলেন তিনি। বিরামহীন সাঁতার প্রদর্শনী চলাকালে এক মিনিটের জন্যও কোথাও থামেননি। নদীতে সাঁতার অব্যাহত রেখেই গ্রহণ করছেন তরল জাতীয় খাবার।
মূলত আমেরিকার সাঁতারু ডায়ানা নাঈদের ২০১৩ সালে কিউবা টু ফ্লোরিডার ১৭৭ কিলোমিটার দূরপাল্লার সাঁতারের বিশ্ব রেকর্ড ভাঙতেই তার এ সাঁতার। ক্ষিতীন্দ্র সাঁতার করছেন এমন খবরে বুধবার দুপুরের পর থেকে হাজার হাজার নারী-পুরুষ-শিশু মগড়া নদীর বিভিন্ন ঘাটে ও আনাচে-কানাচে অপেক্ষা করতে থাকে। তাকে দেখেই উল্লাসে ফেটে পড়েন তারা।
সোমবার সকাল ৭টা ১০ মিনিটে শেরপুরের নালিতাবাড়ির ভোগাই নদীর ওপর নির্মিত সেতুর পশ্চিম প্রান্ত থেকে ঝাঁপ দিয়ে সাঁতার শুরু করেন ৬৭ বছর বয়সী এই সাঁতারু। এর আগে সেখানে এক অনুষ্ঠানে এ সাঁতার কার্যক্রম উদ্বোধন করেন নালিতাবাড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আরিফুর রহমান। এ সময় নালিতাবাড়ী পৌর মেয়র আবু বক্কর সিদ্দিক, নেত্রকোনার মদন পৌরসভার সাবেক মেয়র মোদাচ্ছের হোসেন শফিকসহ মদন নাগরিক কমিটি এবং নালিতাবাড়ি প্রেসক্লাব নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। ক্ষিতীন্দ্রের এ সাঁতারে মদন উপজেলা নাগরিক কমিটি ও নালিতাবাড়ি পৌরসভা এ সাঁতার অনুষ্ঠানে ক্ষিতীন্দ্র চন্দ্র বৈশ্যকে সার্বিক সহায়তা করে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্র ক্ষিতীন্দ্র চন্দ্র বৈশ্যের বাড়ি নেত্রকোনার মদন উপজেলার জাহাঙ্গীরপুর গ্রামে। বর্তমানে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের এএনএস কনসালট্যান্ট হিসেবে কর্মরত। ১৯৭০ সালে সিলেটের ধোপাদিঘি পুুকুরে সাঁতারু অরুণ কুমার নন্দীর বিরামহীন ৩০ ঘণ্টার সাঁতার প্রদর্শনী দেখে তিনি সাঁতারে উদ্বুদ্ধ হন। শুরুতে ওই বছরের মদন উপজেলার জাহাঙ্গীরপুর উন্নয়ন কেন্দ্রের পুকুরে ১৫ ঘণ্টার সাঁতার প্রদর্শনীতে অংশগ্রহণ করে আলোচিত হন।
পরবর্তীতে দেশের বিভিন্ন স্থানে দীর্ঘ সাঁতারের রেকর্ডও রয়েছে তার। ১৯৭৪ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হলের পুকুরে ৯৩ ঘণ্টা ১১ মিনিট বিরামহীন সাঁতার প্রদর্শন করে জাতীয় রেকর্ড সৃষ্টি করেন। জাতীয় রেকর্ড সৃষ্টি করায় ওইদিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল ক্লাস বন্ধ ঘোষণা করা হয় এবং ডাকসুর উদ্যোগে ক্যাম্পাসে বিজয় মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।
জানা যায়, ১৯৭৬ সালে তিনি জগন্নাথ হলের পুকুরে ১০৮ ঘণ্টা ৫ মিনিটব্যাপী সাঁতার প্রদর্শন করে পুরাতন রেকর্ড ভেঙে নতুন রেকর্ড সৃষ্টি করেন। এর স্বীকৃতি হিসেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জগন্নাথ হলের পুকুরে পাড়ে একটি স্মারক (ফলক) নির্মাণ করে।
এছাড়া বিভিন্ন সময়ে ঢাকা স্টেডিয়ামের সুইমিং পুল, মদন উপজেলা পরিষদের পুকুর এবং নেত্রকোনা পৌরসভার পুকুরে তার একাধিক সাঁতার প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়েছে। ভারতেও দূরপাল্লার সাঁতার প্রদর্শনীতে অংশ নিয়েছেন তিনি। ১৯৮০ সালে মাত্র ১২ ঘণ্টা ২৮ মিনিটে মুর্শিদাবাদের ভাগিরথী নদীর জঙ্গিপুর ঘাট থেকে গোদাবরী ঘাট পর্যন্ত ৭৪ কিলোমিটার নদীপথ পাড়ি দেন তিনি।
সাঁতার প্রদর্শনী ও রেকর্ড সৃষ্টির স্বীকৃতি হিসেবে অসংখ্য পুরস্কার-সম্মাননা পেয়েছেন ক্ষিতীন্দ্র চন্দ্র। ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তাকে গণভবনে ডেকে রূপার নৌকা উপহার দেন। একই বছর ডাকসু তাকে বিশেষ সম্মাননা সূচক স্বর্ণপদক দেয়। এছাড়াও জগন্নাথ হল কর্তৃপক্ষ দুইবার এবং শামছুন্নাহার হল কর্তৃপক্ষ একবার তাকে সংবর্ধনা ও স্বর্ণপ্রদক প্রদান করে। এছাড়া বহু সংগঠন পুরস্কৃত করে তাকে।
মদন উপজেলা নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক (সাবেক মেয়র) দেওয়ান মোদাচ্ছের হোসেন শফিক জানান, এই কৃতি সাঁতারুর ১৮৫ কিলোমিটার বিরামহীন সাঁতারের রের্কড রাখতে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত তারিখ ও সময় নির্ধারিত ভিডিও ক্যামেরায় ফুটেজ রাখা হয়েছে। এই সাঁতারে যারা সহযোগিতা করেছেন তাদের তিনি উপজেলা নাগরিক কমিটির পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জানান।
ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক মো. আরিফুল ইসলাম বলেন, ক্ষিতীন্দ্র চন্দ্র বৈশ্য আমাদের দেশের গর্ব, ওনাকে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সংবর্ধনা দেয়া হবে। গিনেস বুকে নাম লেখার জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে সহযোগিতা করা হবে।
মেয়েরা বিয়ের পরে হঠাৎ কেন মোটা হতে থাকে?
ঘটনা-১: বিয়ের আগে বেশ শুকনা ছিলো শিমু। কিন্তু বিয়ের কিছুদিন পরই হঠাৎ সে মোটা হতে শুরু করেছে। এবং খুব দ্রুতই তা বাড়ছে। বিষয়টি নিয়ে চিন্তিত হয়ে পরে শিমু। পরে টেনশনে পরে সে খাওয়া-দাওয়া বন্ধ করে দেয়। কিন্তু তাতে তো হিতে-বিপরীত! কারণ না খেয়ে, টেনশনে না ঘুমিয়ে শিরিন দিন দিন আরও বেশি মোটা হতে থাকে।
এই ঘটনা শুধু শিমুর ক্ষেত্রেই নয়, বরং সব নারীরাই বিয়ের পরপরই মোটা হতে থাকেন। কেন, কিভাবে মোটা হচ্ছে না বুঝেই অনিয়ম করে শরীর আরো ভারি করে ফেলেন। আসুন কারণগুলো জেনে নেই এবং মেনে চলার চেষ্টা করে শরীরকে ফিট রাখা যায়।
সঠিক খাদ্যাভ্যাস না মানা
বিয়ের আগে আকর্ষণীয় ফিগারের অধিকারী হতে অনেক মেয়ে কঠিন ডায়েট বা খাদ্যাভ্যাস মেনে চলে। চর্বিযুক্ত খাবার, কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার, ফাস্ট ফুড সব কিছুতেই তখন তাদের ‘না’ থাকে। ওজন নিয়ন্ত্রণের জন্য সব সময়ই একটা তাগিদ থাকে। তবে অনেকেই বিয়ের পর এই খাদ্যাভ্যাস আর ঠিকমতো মেনে চলতে পারে না।
আরও পড়তে পারেন >> ‘টাকা’র জীবাণু ক্ষতি করছে আমাদের!
ভাজা খাবার এবং তেল জাতীয় খাবার খাওয়া অস্বাস্থ্যকর। তবে দেখা যায়, বিয়ের পর বিভিন্ন দাওয়াতে গিয়ে বা বাড়িতে অতিথি এলে এ ধরনের খাবারগুলোই বেশি খাওয়া হয়। এ কারণে ওজন দ্রুত বেড়ে যায়। আবার অনেক মেয়েই নতুন নতুন রেসিপি রান্না করে পরিবারের লোকজনকে খাওয়াতে ভালোবাসেন। এটিও ওজন বাড়ার একটি বড় কারণ। এতে কোনো সন্দেহ নেই যে, পরিবারের সবাইকে ভালো ভালো খাবার খাওয়াতে ভালোই লাগে, তবে এর মানে এই নয় যে, আপনাকেও সে সব খাবার চেখে দেখতে হবে!
নিজের জন্য সময় নেই
বিয়ের পর নতুন সম্পর্ক, নতুন মানুষজন, সব কিছুর ভিড়ে নিজের জন্য সময় বের করা বেশ কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ে। তখন গুরুত্ব বদলে যায় বা অগ্রাধিকার বদলে যায়, ফলে নিজের প্রতি আর নজর দেওয়া হয় না, ব্যায়াম তো দূরের বিষয়। বিয়ের পর মুটিয়ে যাওয়া এটি একটি বড় কারণ। আগে হয়তো ব্যায়ামের জন্য বা স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস পালনের জন্য সময় বের করতেন, তবে বিয়ের পর এগুলো আর হয়ে ওঠে না। পরিবারের সদস্যদের সময় দিতে গিয়ে বা সংসারের কাজের ঝামেলায় নিজের জন্য আর সময়ই পাওয়া যায় না। মুটিয়ে যাওয়ার ঝুঁকির কথা ভেবে তাই নিজের জন্য সময় বের করুন। খাওয়াদাওয়ায় নিয়ন্ত্রণ আনার চেষ্টা করুন।
বাইরের খাবার
বিয়ের পর মেয়েদের ওজন বেড়ে যাওয়ার আরেকটি কারণ রান্না এড়িয়ে যাওয়া এবং বাইরের খাবার খাওয়া। অনেকেই বিয়ের পর রান্নার ক্ষেত্রে অতটা পটু থাকেন না, তখন বাইরের খাবার হয় ভরসা। বাইরের খাবার বা হোটেলের খাবারে প্রচুর তেল দেওয়া হয়। এই অস্বাস্থ্যকর খাবার ওজন বাড়িয়ে দেয়।
গর্ভধারণের জন্য
গর্ভধারণের কারণে অধিকাংশ নারী ওজন বাড়িয়ে ফেলেন। গবেষণায় দেখা যায়, প্রায় ১০ থেকে ১২ কেজি ওজন এই সময়টায় বেড়ে যায়।
জন্মনিয়ন্ত্রক পদ্ধতি
জন্মনিয়ন্ত্রক যেকোন পদ্ধতি গ্রহণ করলে (যেমন- পিল বা ইনজেকশন) বিয়ের পর মেয়েরা মোটা হয়ে যায়।
নিজেদের কাছে বেশি সময় থাকতে চায়
অনেক স্বামীই রয়েছেন, যারা বেশি সময় ধরে স্ত্রীর সঙ্গ পছন্দ করেন। যার জন্য হয়তো স্ত্রীর আর ব্যায়াম করা হয়ে ওঠে না। পরস্পরের বোঝাপড়ার জন্য এটি অবশ্যই ভালো। তবে স্বাস্থ্যকেও তো গুরুত্ব দিতে হবে। তাই স্বামীকেও উদ্বুদ্ধ করুন আপনার সঙ্গে ব্যায়াম করতে। অথবা দুজনে একত্রে কোনো জিমে ভর্তি হয়ে যেতে পারেন।
আলস্য
বিয়ের পর মেয়েরা শুধু খায় আর ঘুমায়, কোনো কাজই করে না। বিয়ের পর অনেকে ব্যস্ত হয়ে পড়ে আবার অনেকে নিজের প্রতি এতই অবহেলা দেখায় যে শরীরেরও যত্ন নেয় না। বিয়ের পর ওজন বাড়ার বড় কারণ এই আলস্য।
চমকে দিলেন তিশা
বিনোদন ডেস্ক: ১১ বছর পর টেলিভিশনের জন্য টেলিছবি নির্মাণ করেন মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। আনিসুল হকের লেখা উপন্যাস ‘আয়েশামঙ্গল’ অবলম্বনে এটি নির্মাণ করেন তিনি। এটিতে আয়েশা চরিত্রে অভিনয় করেন নুসরাত ইমরোজ তিশা। তার সঙ্গে জুটি বাঁধেন অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী। টেলিছবিটি শুরু থেকে বেশ আলোচনায় আসে। একদিকে ১১ বছর পর ফারুকীর টেলিছবি নির্মাণ।
অন্যদিকে এর কেন্দ্রীয় চরিত্র তিশা। এটি প্রচারের পর দর্শকদের নিরাশ হতে হয়নি। তিশা দর্শকদের চমকে দিলেন। তার অনবদ্য অভিনয়ের মধ্য দিয়ে সবাইকে ভীষন ঘোরে রাখেন তিনি। এ প্রসঙ্গে তিশা বলেন, আয়েশার জন্য যে পরিমাণ ভালোবাসা পাচ্ছি, মেসেজ পাচ্ছি, সেটা বলে বোঝাতে পারবো না। সবার কাছে কৃতজ্ঞ। আয়েশাকে যখন আমি দেখি, ঠিকঠাক চিনতে পারি না। কে এই মেয়েটা? এত বেদনার ভার নিয়ে মেয়েটা হাঁটছে কিভাবে?
আরও পড়তে পারেন >> তৃতীয় সপ্তাহে নতুন ৪০ প্রেক্ষাগৃহে ‘জান্নাত’
এটি ছাড়াও তিশাকে ঈদে দেখা গেছে সাগর জাহানের ‘মাখন মিয়ার শিক্ষিত বউটা’ ও ‘মাহিনের রূপবান বিয়ে’, মাবরুর রশিদ বান্নাহর ‘একটু হাসো’, মাসুদ সেজানের ‘চরিত্র: স্ত্রী’, আবু হায়াত মাহমুদের ‘বৃত্ত’সহ বেশ কিছু নাটকে। বিশেষ দিবসের নাটক টেলিছবির বাইরে এই অভিনেত্রী চলচ্চিত্রের কাজ নিয়ে ব্যস্ত থাকেন। সম্প্রতি তৌকীর আহমেদের ‘ফাগুন হাওয়া’ ছবির কাজ শেষ করেছেন তিনি। ভাষা আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে এই ছবিটি নির্মিত হয়েছে।
তৃতীয় সপ্তাহে নতুন ৪০ প্রেক্ষাগৃহে ‘জান্নাত’
বিনোদন ডেস্ক: ঈদুল আজহায় মুক্তি পেয়েছে মোস্তাফিজুর রহমান মানিক পরিচালিত ‘জান্নাত’। মুক্তির পর থেকেই সিনেমাটি প্রশংসা পাচ্ছে। যার ফলে তৃতীয় সপ্তাহে এসে সিনেমাটি নতুন আরো ৪০টি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেতে যাচ্ছে। আসছে শুক্রবার থেকে অর্ধশত প্রেক্ষাগৃহে ‘জান্নাত’ দেখা যাবে। বিষয়টি নিয়ে পরিচালক বেশ উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন।
আজ বুধবার মোস্তাফিজুর রহমান মানিক বলেন, ঈদের দিন ‘জন্নাত’ মাত্র সারাদেশের ২১টি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায়। তৃতীয় সপ্তাহে এসে প্রেক্ষাগৃহের সংখ্যা বেড়ে দ্বিগুণ হচ্ছে। বিষয়টি অনেক আনন্দের। ধ্বংস স্তূপ থেকে ‘জান্নাত’ আলোর মুখ দেখছে। যেটা সম্ভব হয়েছে সিনেমাটির কোয়ালিটির কারণে। ‘জান্নাত’ দেখে কেউ খারাপ বলেননি। প্রেক্ষাগৃহের মালিক, বুকিং এজেন্ট ও দর্শকরা সবাই প্রশংসা করেছেন। আর এটাই আমাদের সার্থকতা।
আরও পড়তে পারেন >> ‘হেলো হেলো’ গানে মালাইকার ঝড়
যদিও প্রেক্ষাগৃহের সংখ্যা দিয়ে সিনেমার কোয়ালিটি বিচার করা যায় না। তবুও তৃতীয় সপ্তাহে এসে সংখ্যা বাড়াটা আমি ইতিবাচক দেখছি। কারণ সিনেমাটি ভালো না হলে এত প্রেক্ষাগৃহের নতুন করে মুক্তি পাওয়ার সুযোগ থাকতো না’, যোগ করে বলেন ‘দুই নয়নের আলো’খ্যাত এই নির্মাতা। ‘জান্নাত’-এ জুটি বেঁধে অভিনয় করেছেন সাইমন সাদিক ও মাহিয়া মাহি।
এসএস মাল্টিমিডিয়া প্রযোজিত সিনেমাটির কাহিনি লিখেছেন সুদীপ্ত সাঈদ খান। সংলাপ ও চিত্রনাট্য লিখেছেন আসাদ জামান। এতে আরও অভিনয় করেছেন আলীরাজ, মিশা সওদাগর, মারুফ প্রমুখ।
‘হেলো হেলো’ গানে মালাইকার ঝড়
বিনোদন ডেস্ক: ‘ছাঁইয়া ছাঁইয়া’, ‘মুন্নি বদনাম’ এই গানগুলোর কথা এখনো মনে পড়ে। যেখানে বেশ নজর কেড়েছিলেন মালাইকা আরোরা। সেই মালাইকা আবার ফিরছেন সিনেমায়। বিশাল ভরদ্বাজের পরিচালনায় ‘পটাকা’ সিনেমায় অভিনয় করছেন তিনি।
এই ছবির ‘হেলো হেলো’- গানে নাচতে দেখা গেছে তাকে। আরবাজ খানের প্রাক্তন স্ত্রীর এই গানটি প্রকাশ পাওয়ার পরই তা ভাইরাল হয়ে যায়। ‘হেলো হেলো’ গানে কণ্ঠ দিয়েছেন রেখা ভরদ্বাজ। সেই সঙ্গে যুক্ত হয়েছে মালাইকার নাচ। সবকিছু মিলিয়ে মুক্তির আগেই বেশ সাড়া ফেলেছে গানটি।
আগামী ২৮ সেপ্টেম্বর মুক্তি পাবে ‘পটাকা’ সিনেমাটি। এই সিনেমায় রাধিকা মদন, সানায়া মালহোত্রা, সুনীল গ্রোভারের পাশাপাশি রয়েছেন বিজয় রাজ এবং টেলিভিশন অভিনেতা সনদ বর্মাও। মালাইকা বলেন, আমার কাজটা করে খুব ভালো লেগেছে। ছবির নাম আর টাইটেল ট্র্যাক দুটোই ভালো লেগেছে।
বহুজাতিক কোম্পানিগুলোর আন্তর্জাতিক লেনদেন বিশেষ নিরীক্ষার উদ্যোগ এনবিআরের
রংপুর এক্সপ্রেস: জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)এদেশে কর্মরত শতাধিক বহুজাতিক কোম্পানির আন্তর্জাতিক লেনদেন বিশেষভাবে নিরীক্ষার উদ্যোগ নিয়েছে। ওসব কোম্পানির বিদেশে অবস্থিত মূল কোম্পানি কিংবা অন্য কোম্পানির সঙ্গে লেনদেনের সব তথ্য পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে যাচাই-বাছাই করা হবে। ওই লক্ষ্যে এনবিআরের ট্রান্সফার প্রাইসিং সেলকে শক্তিশালী করতে স¤প্রতি তা পুনর্গঠন করা হয়েছে। বর্তমানে এনবিআরের কাছে রয়েছে শতাধিক কোম্পানির আন্তর্জাতিক লেনদেনের তথ্যসহ নথিপত্র। তার মধ্য প্রাথমিকভাবে নিরীক্ষা করা হবে লেনদেনে সন্দেহ রয়েছে এমন কোম্পানির তথ্য। ফলে বহুজাতিক কোম্পানিগুলোর লেনদেনে স্বচ্ছতার পাশাপাশি কর ফাঁকি ধরা সম্ভব হবে। এনবিআর সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়।
সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, বিদেশি কোম্পানিগুলোর শাখা কোম্পানি সুদ, মুনাফা, কোনো সম্পদ কিংবা কোনো পণ্যের মূল্য মূল কোম্পানিতে পাঠায়। তাছাড়া পণ্য বা সেবা আমদানির মূল্যও মূল কোম্পানি বা অন্য কোনো কোম্পানিকে পাঠায়। তা ট্রান্সফার প্রাইসিং হিসেবে পরিচিত। তবে পণ্যের দর কম বা বেশি দেখিয়ে কিংবা মুনাফার অর্থ প্রেরণে মিথ্যা তথ্য দেয়ার মাধ্যমে কর ফাঁকির পাশাপাশি অর্থপাচারের অভিযোগ দীর্ঘদিনের। অভিযোগ রয়েছে, এর ফলে বহুজাতিক কোম্পানিগুলো বছরে হাজার হাজার কোটি টাকা পাচার করে থাকে। কিন্তু কার্যকর কোনো উপায় না থাকায় ওসব কর ফাঁকি অধরাই থেকে যাচ্ছে। সাধারণত যেসব দেশে কর হার বেশি, সে দেশের প্রতিষ্ঠান থেকে নানা কৌশলে কর হার কম- এমন দেশের সহযোগী প্রতিষ্ঠানে অর্থ স্থানান্তর করা হয়। তাতে বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানের আয় বাড়ে, কিন্তু কর কম দিতে হয়। এটি এক ধরনের অর্থপাচার। তাতে প্রাপ্য রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে অপেক্ষাকৃত বেশি কর রয়েছে এমন দেশগুলো। এভাবে বিশ্বজুড়ে অনেক বহুজাতিক কোম্পানি কর এড়িয়ে যায় বা কর ফাঁকি দেয়।
সূত্র জানায়, এদেশে কর্মরত বহুজাতিক কোম্পানিসহ আন্তর্জাতিক লেনদেনে স্বচ্ছতা আনার মাধ্যমে কাক্সিক্ষত কর আদায়ের লক্ষ্যে সরকার ২০১২ সালে ট্রান্সফার প্রাইসিং আইন প্রণয়ন করে। তবে ২০১৪ সালে তার কার্যক্রম শুরু করে। ওই লক্ষ্যেই ট্রান্সফার প্রাইসিং সেল গঠন করা হয়। কিন্তু এখনো পর্যন্ত বহুজাতিক কোম্পানিগুলোর লেনদেন সংক্রান্ত নথি বিশেষায়িত নিরীক্ষা করা শুরু হয়নি। এ কার্যক্রমে গতি আনার লক্ষ্যে স¤প্রতি ট্রান্সফার প্রাইসিং সেল পুনর্গঠন করা হয়। এনবিআরের প্রথম সচিব শব্বির আহমেদের নেতৃত্বে ৮ সদস্যের ওই সেল নতুন করে অডিট কার্যক্রম তদারক করবে। আর চলতি অর্থবছরের মধ্যেই বহুজাতিক কোম্পানিগুলোর মধ্যে সন্দেহজনক লেনদেনকারী কোম্পানিগুলো অডিট কার্যক্রম শুরু করা হবে। বছরে কমপক্ষে ৩ কোটি টাকা আন্তর্জাতিক লেনদেন হয় এমন ১শ’ থেকে ১২০টি কোম্পানি এনবিআরের কাছে তাদের সব লেনদেনের বিবরণী পাঠায়। যদিও দেশে বহুজাতিক কোম্পানির সংখ্যা প্রায় পৌনে ২শ’। প্রাথমিকভাবে তার মধ্য থেকেই সন্দেহজনক লেনদেনকারী বা উচ্চ ঝুঁকিতে থাকা কোম্পানির তথ্য যাচাই-বাছাই কার্যক্রম শুরু হবে। যে সব কোম্পানির লেনদেনে সন্দেহ তৈরি হবে, সেগুলোতে বিশেষায়িত অডিট কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে।
সূত্র আরো জানায়, বিদেশের সহযোগী প্রতিষ্ঠানের ব্যবসার ধরনসহ যাবতীয় তথ্য সংরক্ষণ করতে হবে। ওই প্রতিষ্ঠানটি প্রকৃত দাম দিয়েই পণ্য আমদানি করেছে কিনা তা বছর শেষে যাচাই-বাছাই করবে এনবিআর। প্রতিষ্ঠানটি যে পণ্য আমদানি করেছে সেই পণ্যের বাজারমূল্য নির্ধারণ করবেন কর কর্মকর্তারা। এ কার্যক্রম পরিচালনা করা গেলে বহুজাতিক কোম্পানিগুলোর আন্তর্জাতিক লেনদেন এবং আয়কর প্রদানের ক্ষেত্রে অনেক বেশি স্বচ্ছতা আসবে। আর বহুজাতিক কোম্পানি ছাড়াও আন্তর্জাতিকভাবে লেনদেন করে এমন প্রতিষ্ঠানের উপর একটি জরিপ চালিয়ে ৯২১টি প্রতিষ্ঠান চিহ্নিত করা হয়েছে।
এদিকে শুধু শাখা কোম্পানি এবং মূল কোম্পানি ট্রান্সফার প্রাইসিংয়ের নামে কারসাজির সঙ্গে জড়িত এমন নয়। অন্য কোন কোম্পানি পারস্পরিক সমঝোতার মাধ্যমেও মূল্য কারসাজি করে থাকে। ফলে সংশ্লিষ্ট দেশ কাক্সিক্ষত রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হয়। বেশিরভাগ বহুজাতিক কোম্পানি মূলত আমদানিতে বাড়তি মূল্য দেখানোর মাধ্যমে কর ফাঁকি এবং অর্থপাচার করে। ২ ডলারের পণ্য আমদানিতে হয়ত ১০ ডলার দেখায়। তার বাইরে আরো অনেক উপায়ে বহুজাতিক কোম্পানিগুলোর একটি অংশ কর ফাঁকি দেয়। এভাবে ফলে বড় অঙ্কের কর ফাঁকি দেয়া সম্ভব।
অন্যদিকে বিশ্বব্যাপী ট্রান্সফার প্রাইসিংয়ের মাধ্যমে কর ফাঁকি ঠেকাতে বেশ আগে থেকেই কার্যক্রম শুরু করা হলেও এই অঞ্চলের দেশগুলো তাতে কিছুটা পিছিয়ে রয়েছে। ভারতে ২০০১ সালে এ ধরনের উদ্যোগ নেয়ার পর কার্যক্রম শুরু হয় ২০০৬ সালে। শ্রীলঙ্কায় শুরু হয়েছে ২০০৮ সালে। বাংলাদেশ আরো পিছিয়ে রয়েছে। দেশে ২০১২ সালে এ সংক্রান্ত আইন হলেও কার্যক্রম শুরু হতে যাচ্ছে চলতি বছর।
কাউনিয়ায় আমন ক্ষেতে মাজরা পোকার আক্রমণ
উপজেলার বনগ্রাম গ্রামের গোপাল চন্দ্র জানায়, একেতো বৃষ্টি নাই তার ওপর পোকাড় আক্রমন। তিনি দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে বলেন, বৃষ্টির অভাবে জমিত সেচ দিয়ে যে টুকু ধান গারছি তাও বোধহয় পোকায় খাইবে। তিনি জানান, তার এবারে ৬ দোন জমির মধ্যে অনেক কষ্টে ৩ দোন (৭৫ শতক) জমিতে আমন আবাদ করছি। মাজরা পোকাড় ওষধ ২ বার স্প্রে করছি তাও হামার ধান ক্ষেত পোকা মুক্ত হয় নাই। উপজেলার পূর্বচান্দঘাট গ্রামের হানিফ নেতা জানান, হামরা অরিজিনাল কৃষক, জমিতে আবাদ করি আর সারা বছর সংসারের খরচ চালাই, তিনি বলেন, তার ৪ একর জমির সবটাতেই মাজরা পোকা ধরছে। অনেক কষ্টে ওষুধ স্প্রে করনো আল্লায় জানে এলা কী হইবে। আবাদ তো অর্ধেক খাইছে খরায় আর বাকী অর্ধেক বোধায় পোকায় খাইবে। কীটনাশক বিক্রেতা বরুয়াহাট বাজারের আনোয়ারুল ইসলাম জানান, এলাকার বেশীর ভাগ জমিত মাজরা পোকাড়র আক্রমন হয়েছে।
তবে ভিরতাকো, কাটাপ্রিড, জি গোল্ড, ফিকর, জেলড, মর্টার ইত্যাদি জাতীয় ওষুধ নিয়মিত স্প্রে করলে পোকাড় প্রকোপ কমে যাবে। বিষয়টি নিয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মামুনর রশীদ জানান চলতি মৌসুমে উপজেলায় ১১ হাজার ৪’শ ৭৫ হেক্টর জমিতে আমন চাষ করা হয়েছে। মাজরা পোকাড়র আক্রমন নাই। তারমতে, উপজেলার ১৯ টি ব্লকে ১৯ জন উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা সারাক্ষণ মাঠে কাজ করেন। তিনি নিজেও গত মঙ্গলবার সন্ধায় আলোর ফাঁদ তৈরী করে মাজরা পোকা সনাক্তের চেষ্টা করেছেন কিন্ত পাননি। তবে কী কৃষকরা ভুল করছেন, নাকী কৃষি অফিস তাদের তদারকিতে গাফিলতি করছেন এ নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। কৃষি কর্মকর্তা অবশ্য মাজরা পোকাড় আক্রমন প্রতিরোধে জমিতে পার্চিং করা এবং লাইভ প্রতিরোধ অর্থাৎ ধৈঞ্চা গাছ লাগানোর পরামর্শ দিয়েছেন।
একদিকে কৃষক বলছেন মাজরা পোকা অপর দিকে কৃষি অফিস বলছেন মাজরা পোকা নয়। এখন কৃষক কোন পথে হাটবেন সেটা নিয়েও কৃষকরা দিশেহারা হয়ে পড়েছেন।
সামাজিক সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে ‘জাগ্রত তেঁতুলিয়ার’ আত্মপ্রকাশ
তেঁতুলিয়া, পঞ্চগড়: ‘তেঁতুলিয়ার তারুণ্য জেগেছে এবার, করবে অন্যায় সাধ্য কার’ এই স্লোগানকে সামনে নিয়ে পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় একটি তারুণদীপ্ত সেচ্ছাসেবী সংগঠনের আত্মপ্রকাশ হয়েছে। আজ বুধবার দুপুরে তেঁতুলিয়ার স্থানীয় একটি হোটেলে সাংবাদিক সম্মেলনের মাধ্যমে এই সংগঠনের যাত্রা শুরু হয়। সংগঠনটির সমন্বয়ক সাংবাদিক আতাউর রহমান কাবুল সংবাদ সম্মেলনে তাদের কার্যক্রমের লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন।
এ সময় তিনি জানান, তরুণ নিয়ে গঠিত জাগ্রত তেঁতুলিয়া মাদক, বাল্য বিয়ে, বোমা মেশিন বন্ধ করাসহ বিভিন্ন সামাজিক সচেতনতামূলক কাজ করবে। এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আবু তোয়াবুর রহমান, তেঁতুলিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাজী মাহমুদুর রহমান ডাবলু, তেঁতুলিয়া উপজেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক মোকলেছুর রহমান, জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক শহিদুল ইসলামসহ গণমাধ্যম কর্মীরা।
বাংলাবান্ধা বন্দরে চার্জ পরিশোধ না করায় শতাধিক ট্রাক আটকা, অচলাবস্থা সৃষ্টি
বন্দর সূত্রে জানা যায়, সিএন্ডএফ এর কতিপয় এজেন্টরা বন্দর চার্জ প্রায় ২ কোটি ৫০ লাখ টাকা বকেয়া রেখেছে। তাই বন্দর কতৃপক্ষ সিএন্ডএফ এজেন্টদের নতুন করে আমদানি করা পণ্যে বন্দর চার্জ নগদ টাকা পরিশোধ করতে বললে এই অচল অবস্থা সৃষ্টি হয়। ভুটান থেকে আমদানি করা ১০৩টি ট্রাকের পাথর আনলোড না করায় ভুটানের প্রায় দেড় শতাধিক ট্রাক চালক সহ বন্দরে গত ৬ দিন যাবত আটকা পড়েছে। গত বৃহষ্পতিবার থেকে এই অচলাবস্থা বিরাজমান করছে। এতে করে ভুটানের ট্রাক চালকদের মধ্যে খোভের সৃষ্টি হয়ে বন্দর সংরক্ষিত এলাকায় বিরাজ করছে চরম উত্তেজনা ।
ল্যান্ডপোর্র্টের ম্যানেজার মামুন সোবহান জানান, ১২/১৩ জন সিএন্ডএফ এজেন্ট তাদের ২ কোটি ৪৭ লাখ ৯৪ হাজার ৭৪০ টাকা বকেয়া রেখেছে। আগের টাকা বকেয়া রাখতে পারে কিন্তু এখন নগদ টাকা জমা দিলে মালামাল লোড আনলোড করা হবে। নগদ টকা জমা প্রদান করা সরকারি নিয়ম।
এ বিষয়ে কাস্টমের রাজস্ব কর্মকতা জাকির হোসেন তাহের জানান, মঙ্গলবার (৪ সেপ্টেম্বর) বিকেলে ভুটানের শ্রমিক (ড্রাইভার/হেলপার) পোর্টে হৈ চৈ করতে থাকে। এটা সিএন্ডএফের বিষয় আমাদের করার কিছু নাই।
কাউনিয়ায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে আটটি পরিবারের বাড়িঘর পুড়ে ছাই
কাউনিয়া, রংপুর: রংপুরের কাউনিয়া উপজেলার শহীদবাগ ইউনিয়নের উত্তর বল্লভবিষ্ণ গ্রামে বুধবার ভোরে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে আটটি পরিবারের বাড়িঘর পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি এসেও চিকন রাস্তা দিয়ে ঘটনাস্থলে প্রবেশ করতে না পারার কারণে ঘন্টাব্যাপী আগুনের তাণ্ডবে বাড়িঘরসহ সবকিছু পুড়ে ছাই হয়ে যায়। ক্ষতিগ্রস্থ পরিবার গুলো খোলা আকাশের নিচে মানবেতর জীবন যাপন করছে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পারিবারিক সূত্র জানায়, গত মঙ্গলবার ভোরে সাইদ আলীর গোয়াল ঘরে মশা তাড়ানোর জন্য কয়েল লাগালে সেই কয়েলের আগুন তামাকের গর্দ্দায় লেগে এই অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত ঘটে। নিমিষে আগুন ছড়িয়ে পরে শাহ আলীর ৩টি টিনের ঘর ও ঘরে থাকা ব্যবসার ১ লাখ ২৫ হাজার টাকা, ৯০ মন ধান, চাউল, পাট, বাইসাইকেল, আসবাবপত্র, সহিদুল ইসলামের দুইটি টিনের ঘর, নগদ ৩০ হাজার টাকা, ধান, চাউল, পাট, আসবাসপত্র, সাইদ আলীর দুইটি টিনের ঘর, ১০ হাজার টাকা, ধান, চাউল, আসবাবপত্র, ইমান হোসেনের ১টি টিনের ঘর, ৩০ হাজার টাকা, ধান, চাউল আসবাবপত্র, হাস-মুরগী, নুরুন্নবী মিয়ার ২টি টিনের ঘর, ৩৫ হাজার টাকা, ধান, চাউল, হাঁস-মুরগী, আসবাবপত্র, বাইসাইকেল, শ্যালো মেশিন, শাহজামাল এর ২টি টিনের ঘর, ধান, চাউল আসবাবপত্র, দারেজ আলীর ১টি পাকা ঘরের টিনের চালা, ২০মন ধান, চাউল আসবাবপত্র এবং হাসেম আলীর ১টি টিনের ঘর, ধান চাউল আসবাব পত্র পুড়ে ছাই হয়ে যায়। সকলের মিলে ক্ষতির পরিমান প্রায় ৪০ লাখ টাকা বলে ক্ষতিগ্রস্তরা জানিয়েছেন।
ফায়ার সার্ভিসের দায়িত্বে থাকা একজন জানান, রাস্তা চিকন হওয়ায় বড় গাড়ি নিয়ে আমরা সময় মতো ঘটনাস্থলে পৌছতে পারি নাই, ফলে আমাদের তেমন কিছু করার ছিল না। ঘটনাস্থল উপজেলা নির্বাহী অফিসার এসএম নাজিয়া সুলতানা ও শহীদবাগ ইউপি চেয়ারম্যান এমএ হান্নান পরিদর্শন করেছেন। বর্তমানে ক্ষতিগ্রস্থরা খোলা আকাশের নিচে মানবেতর জীবন যাপন করছে।
কুড়িগ্রামের রাজারহাটে তিস্তা নদীতে শ্যালো নৌকাসহ এক ব্যক্তি নিখোঁজ
কুড়িগ্রাম: কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলার তিস্তা নদীতে নৌকা ডুবির ঘটনায় নৌকা সহ এক ব্যক্তি নিখোঁজ হয়েছে। রংপুর ফায়ার সার্ভিস ইউনিটের ডুবুরী দল দিন ব্যাপী চেষ্টা করেও নিখোঁজ ব্যক্তিকে উদ্ধার করতে পারেনি।
প্রত্যক্ষদর্শী ও ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা যায়, আজ মঙ্গলবার রাজারহাট উপজেলার বিদ্যানন্দ ইউনিয়নের ডাংরারহাট গুচ্ছ গ্রামের তীর সংরক্ষন বেড়ি বাঁধ ভাঁঙ্গন রোধে বালু ভর্তি জিও ব্যাগ ফেলার কাজ চলছে। মঙ্গলবার সকালে তিস্তা নদীর ওপার থেকে শ্যালো নৌকায় বস্তা ভর্তি বালু নিয়ে বেড়ি বাঁধ আসার পথে মাঝ নদীতে তীব্র স্রোতে নৌকাটি ডুবে যায়। এসময় নৌকায় থাকা শ্রমিকদের মধ্যে রফিকুল (২২) নুর হোসেন (১৫) ও আনিছুর (১৬) সাঁতরিয়ে নদীর কিনারায় পৌঁছে অসুস্থ্য হলে স্থানীয় লোকজন তাদের উদ্ধার করেন। কিন্তু নৌকা সহ মাঝি মন্তাজ আলী (৭০) নদীতে ডুবে নিখোঁজ হয়।
খবর পেয়ে রংপুর ফায়ার সার্ভিস ইউনিটের ডুবুরী আ. মতিনের নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার তৎপরতা শুরু করেন। তারা স্থানীয় ৩জন ডুবুরী সহ বেলা ১১টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত চেষ্টা চালিয়েও নিখোঁজ মন্তাজ আলী ও নৌকাটি উদ্ধার করতে পারেনি।
এদিকে খবর পেয়ে দুপুরে রাজারহাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহ, রাশেদুল হক প্রধান ও রাজারহাট থানা অফিসার ইনচার্জ মো. মোখলেসুর রহমান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
কুড়িগ্রামে দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সম্মেলন, দুদকের দেয়া শিক্ষা উপকরণ বিতরণ
কুড়িগ্রাম: কুড়িগ্রামে দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির আয়োজনে সততা সংঘের সাংগঠনিক সম্মেলন ও দুর্নীতি দমন কমিশন কর্তৃক প্রদত্ত শিক্ষা উপকরণ বিতরণ কর্মসূচি পালিত হয়েছে। আজ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টায় কুড়িগ্রাম শহরের কলেজমোড়স্থ প্রবীন ভবনে জেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি এ.কে.এম সামিউল হক এর সভাপতিত্বে জেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সাংগঠনিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। পরে শিক্ষার্থীদের মাঝে দুর্নীতি দমন কমিশন প্রদত্ত দুর্নীতি বিরোধী স্লোগান সম্বলিত স্কুল ব্যাগ, খাতা ও স্কেল এবং পুরস্কার বিতরণ করা হয়।
উক্ত সভায় সততার মাধ্যমে জীবন গঠনের লক্ষ্যে শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আমিন আল পারভেজ। এসময় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন দুর্নীতি দমন কমিশন, সজেকা, রংপুর এর সহকারি পরিদর্শক বাবু অমলেন্দু কোচ, জেলা দুর্নীতি প্রতিরধ কমিটি কুড়িগ্রাম -এর সাধারণ সম্পাদক হারুন অর রশিদ, সহ সভাপতি জনাব মো. আফতাব উদ্দিন ও দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সদস্য বাবু উদয় শংকর চক্রবর্তী। বক্তারা বলেন, সততার অনুশীলনের জন্য শিক্ষার্থীদের এখন থেকে পিতা মাতার কাছে মিথা কথা না বলার প্রতিজ্ঞা গ্রহণ করতে। সভাপতি তার বক্তব্যে উল্লেখ করেন শৈশব কাল থেকে সততার অনুশীলন না করলে পরবর্তী জীবনে তা বাস্তবায়ন করা কঠিন হয়ে পড়ে।