সৈয়দপুরে গৃহবধুর লাশ উদ্ধার, হত্যার অভিযোগ

admin September 07, 2018

নীলফামারী: নীলফামারীর সৈয়দপুরে খোলা বাজারের (ওএমএস) এর চাল নিয়ে বিরোধের জের ধরে এক গৃহবধুকে হত্যা করে গাছের সাথে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে বলে অভিযোগ করছে নিহতের পরিবার। এ ঘটনায় অভিযুক্ত ওই নারীর স্বামী ও সতিন বর্তমানে পলাতক। ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল বুধবার দিবাগত রাত আনুমানিক ৩ টার দিকে উপজেলার কামারপুকুর ইউনিয়নের বাউলের ডাঙ্গাপাড়া গ্রামে।


নিহত গৃহবধু জাহেদা খাতুনের ভাই নজরুল ইসলাম অভিযোগ করে জানান, আমার বোন জাহেদা খাতুন তার স্বামীর দ্বিতীয় স্ত্রী হওয়ায় স্বামীর বাড়ি আদানীমোড়ে না থেকে পৃথকভাবে কামারপুকুর ব্রিজ সংলগ্ন বাউলের ডাঙ্গাপাড়ায় বসবাস করেন। গতকাল ৫ সেপ্টেম্বর সকালে কামারপুকুর বাজার থেকে ওএমএস’র ৩০ কেজি চাল কিনে আমার বোন জাহেদা। ওই চাল থেকে অর্ধেক চাল দাবি করে জাহেদার স্বামী আতিয়ার রহমানের প্রথম স্ত্রী তহমিনা বেগম। চাল দিতে অস্বীকৃতি জানালে জাহেদার সাথে তহমিনা ও আতিয়ার ঝগড়া বাধায়। এক পর্যায়ে গালাগালি ও ধ্বস্তা-ধ্বস্তির ঘটনাও ঘটে। সেসময় বিষয়টি ওই পর্যন্ত থেমে থাকে। কিন্তু আতিয়ার রহমান ও তার প্রথম স্ত্রী তহমিনা নিজেদের বাড়ি আদানি মোড়ে না গিয়ে জাহেদার বাড়িতেই বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত অবস্থান করে। রাতের বেলা ঘুমের সময় জাহেদার হাত পা বেধে মুখে বালিশ চাপা দিয়ে তাকে হত্যা করে। রাত আনুমানিক ৩ টার দিকে জাহেদার ছেলে হাসু (৮) আমাদের বাড়িতে এসে তার মাকে মেরে ফেলার খবর দেয়। আমরা তাৎক্ষণিক ছুটে গিয়ে দেখতে পাই বাড়ির পাশে কামারপুকুর ব্রিজ সংলগ্ন বাকডোকরা খালের ধারে গাছের ডালে জাহেদার মরদেহ ঝুলানো রয়েছে।


জাহেদার ছেলে হাসু জানায়, আমার বাবা ও বড় মা তহমিনা আমার মাকে বালিশ চাপা দিয়ে মারছে। আমাকে ভয় দেখিয়েছে। এ ঘটনার পর থেকে আতিয়ার ও তার প্রথম স্ত্রী তহমিনা পলাতক রয়েছে। পুলিশ খবর পেয়ে সকালে লাশ উদ্ধার করে নীলফামারী মর্গে ময়না তদন্তের জন্য প্রেরণ করেছে।


কামারপুকুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রেজাউল করিম লোকমান জানান, জাহেদার ভাই নজরুল জানায় যে তার স্বামী জাহেদাকে হত্যা করে লাশ গাছের সাথে ঝুলিয়ে রেখেছে। পরে পুলিশকে সংবাদ দিলে থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। সৈয়দপুর থানার অফিসার ইনচার্জ শাহজাহান পাশা জানান, মামলা হলে আসামীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এই বিভাগের আরও খবর

পরবর্তী পোস্ট
« Prev Post
পূর্বের পোস্ট
Next Post »
নিচের বক্সে মন্তব্য লিখুন

Disqus
আপনার মন্তব্য যোগ করুন

No comments

Image Gallary

 
1 / 3
   
Caption Text
 
2 / 3
   
Caption Two
 
3 / 3
   
Caption Three