গাইবান্ধা সদর হাসপাতালকে ২৫০ শয্যায় উন্নীতকরণের কাজ শুরু

admin September 08, 2018

গাইবান্ধা: গাইবান্ধা সদর হাসপাতাল ২০০ শয্যা থেকে ২৫০ শয্যায় উন্নীত হচ্ছে। এজন্য ৮ তলা বিশিষ্ট একটি বহুতল ভবনের নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে। কাজ শেষ হবে ২০২০ সালের জুন মাসে। আর এই ভবনে হাসপাতালের কার্যক্রম চালু হলে উপকৃত হবে গাইবান্ধার সাত উপজেলার ২৬ লাখেরও বেশি রোগী। এ ছাড়া সদর হাসপাতাল ঘেঁষে দক্ষিণ পাশে চালু হবে একটি নার্সিং কলেজ। এ জন্য জমি অধিগ্রহণও সম্পন্ন হয়েছে। এখন শুধু টেন্ডার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে ভবন নির্মাণের কাজ শুরু করতে বাকি।


গাইবান্ধা গণপূর্ত বিভাগ জানিয়েছে, ১২ তলা ভিত্তির উপর প্রথমে ৮ তলার অবকাঠামো নির্মিত হবে। পরে অর্থ বরাদ্দ সাপেক্ষে নির্মিত হবে বাকি চার তলা। ৮ তলা ভবন নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ৩৫ কোটি টাকা। নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে চলতি বছরের ১ জুন। আর কাজ শেষ হবে ২০২০ সালের জুন। এই বহুতল ভবন নির্মাণের অনুমতি পেয়েছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান দ্যা ইঞ্জিনিয়ার অ্যান্ড আর্কিটেক্স লিমিটেড।


জেলা সদর হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, ২৫০ শয্যা অনুমোদনের জন্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে আবেদন করা হয়েছে। সদর হাসপাতাল ঘেঁষে দক্ষিণ পাশে তিন একর জমিতে একটি নার্সিং কলেজ চালু করার জন্য অনুমোদন, জমি অধিগ্রহণ ও বরাদ্দ পাওয়া গেছে। ২০১৪ সালে অধিগ্রহণ করা জমির টাকা পরিশোধ করা হয়। এখন টেন্ডার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে নির্মাণ কাজ শুরু করা বাকি মাত্র। এই নার্সিং কলেজে এইচএসসি পাশ করে ভর্তি হতে হবে।


খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নার্সিং কলেজে আর্টস ও কমার্স (ব্যবসায় শিক্ষা) বিভাগের শিক্ষার্থীদের ৩ বছর মেয়াদী ডিপ্লোমা কোর্সে ভর্তি হতে হবে। আরও উচ্চ শিক্ষা অর্জন করতে চাইলে পরে আবারও ২ বছর মেয়াদী বিএসসি ডিগ্রি লাভ করতে পারবেন তারা। এ ছাড়া শুধুমাত্র সাইন্স বিভাগ থেকে পাস করা শিক্ষার্থীরা সরাসরি ৪ বছর মেয়াদী এই বিএসসি ডিগ্রি লাভ করতে পারবেন। ডিপ্লোমা ও বিএসসি পাস করার পর শিক্ষার্থীরা সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে নার্স হিসেবে যোগদান করতে পারবেন। এরপরও রয়েছে আরও উচ্চতর ডিগ্রি গ্রহণের সুযোগ।


আরও পড়তে পারেন >> প্রাইম মেডিকেলে একই সঙ্গে ৪ সন্তানের জন্ম দিলেন গাইবান্ধার পপি


সরেজমিনে দেখা গেছে, সদর হাসপাতালের ভেতরে পুরুষ ও মহিলা ওয়ার্ডে জায়গার সংকুলান না হওয়ায় রোগীদের বারান্দায় চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। হাসপাতালের উত্তর পাশে পুরোনো আবাসিক কোয়ার্টারগুলো ভেঙে ফেলা হয়েছে। ওই স্থানে ৮ তলা বিশিষ্ট বহুতল ভবন নির্মাণের কাজ শুরু করা হয়েছে। ভবন তৈরির স্থানে বৃষ্টির পানি জমে থাকায় থেমে আছে কাজ। মাটি কাটার মেশিনসহ ভবন নির্মাণের প্রয়োজনীয় উপকরণও এনে রাখা হয়েছে এই হাসপাতাল চত্ত¡রে। আর নার্সিং কলেজ স্থাপনের জায়গাটি এখন পানিতে ভর্তি। হাসপাতাল ক্যাম্পাসের দেয়ালে লাগানো হয়েছে নার্সিং কলেজের সাইনবোর্ড।


হাসপাতালে ভর্তি রোগী ও তাদের স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, রোগী বেশি হওয়ার কারণে বর্তমানে রোগীদের বারান্দায় চিকিৎসা সেবা নিতে হচ্ছে। নির্মাণ কাজ চলা ওই বহুতল ভবনটিতে কার্যক্রম শুরু হলে রোগীদের জন্য অনেক উপকার হবে। সুযোগ-সুবিধা বেশি পাবেন রোগীরা। সেই সঙ্গে নার্সিং কলেজের শিক্ষার্থীরা সদর হাসপাতালে ইন্টার্নি করলে ভর্তি রোগীরাও উপকৃত হবে। তাই হাসপাতালের ৮ম তলার এই বহুতল ভবনের নির্মাণ কাজ দ্রুত শেষ ও নার্সিং কলেজের নির্মাণ কাজ শুরু করে কার্যক্রম চালু করার তাগিদ দেন ভুক্তভোগীরা।


গাইবান্ধা গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আরিফুজ্জামান খন্দকার বলেন, হাসপাতালের জন্য ১২ তলা ভিত্তির উপর প্রথমে ৮ তলা ভবন নির্মিত হবে। আর নির্মাণ কাজ শেষ হবে ২০২০ সালের জুন মাসে। পরে চাইলে বাকি চার তলার কাজও করা যাবে। হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক (উপ-পরিচালক) ডা. অমল চন্দ্র সাহা (এসি সাহা) জাগো নিউজকে বলেন, ৮ তলার এই বহুতল ভবনের নির্মাণ কাজ শেষে হাসপাতালের কার্যক্রম চালু ও নার্সিং কলেজের প্রশাসনিক কার্যক্রম শুরু হলে স্বাস্থ্য সেবার ক্ষেত্রে এ জেলার মানুষের জন্য হবে এক মাইলফলক। ৮ তলা বিশিষ্ট ভবনের নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে আর নার্সিং কলেজের টেন্ডার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে দ্রুত নির্মাণ কাজ শুরু করার জন্য স্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগের প্রধান প্রকৌশলী বরাবর চিঠি দিয়েছি।

এই বিভাগের আরও খবর

পরবর্তী পোস্ট
« Prev Post
পূর্বের পোস্ট
Next Post »
নিচের বক্সে মন্তব্য লিখুন

Disqus
আপনার মন্তব্য যোগ করুন

No comments

Image Gallary

 
1 / 3
   
Caption Text
 
2 / 3
   
Caption Two
 
3 / 3
   
Caption Three