উপজেলার বনগ্রাম গ্রামের গোপাল চন্দ্র জানায়, একেতো বৃষ্টি নাই তার ওপর পোকাড় আক্রমন। তিনি দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে বলেন, বৃষ্টির অভাবে জমিত সেচ দিয়ে যে টুকু ধান গারছি তাও বোধহয় পোকায় খাইবে। তিনি জানান, তার এবারে ৬ দোন জমির মধ্যে অনেক কষ্টে ৩ দোন (৭৫ শতক) জমিতে আমন আবাদ করছি। মাজরা পোকাড় ওষধ ২ বার স্প্রে করছি তাও হামার ধান ক্ষেত পোকা মুক্ত হয় নাই। উপজেলার পূর্বচান্দঘাট গ্রামের হানিফ নেতা জানান, হামরা অরিজিনাল কৃষক, জমিতে আবাদ করি আর সারা বছর সংসারের খরচ চালাই, তিনি বলেন, তার ৪ একর জমির সবটাতেই মাজরা পোকা ধরছে। অনেক কষ্টে ওষুধ স্প্রে করনো আল্লায় জানে এলা কী হইবে। আবাদ তো অর্ধেক খাইছে খরায় আর বাকী অর্ধেক বোধায় পোকায় খাইবে। কীটনাশক বিক্রেতা বরুয়াহাট বাজারের আনোয়ারুল ইসলাম জানান, এলাকার বেশীর ভাগ জমিত মাজরা পোকাড়র আক্রমন হয়েছে।
তবে ভিরতাকো, কাটাপ্রিড, জি গোল্ড, ফিকর, জেলড, মর্টার ইত্যাদি জাতীয় ওষুধ নিয়মিত স্প্রে করলে পোকাড় প্রকোপ কমে যাবে। বিষয়টি নিয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মামুনর রশীদ জানান চলতি মৌসুমে উপজেলায় ১১ হাজার ৪’শ ৭৫ হেক্টর জমিতে আমন চাষ করা হয়েছে। মাজরা পোকাড়র আক্রমন নাই। তারমতে, উপজেলার ১৯ টি ব্লকে ১৯ জন উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা সারাক্ষণ মাঠে কাজ করেন। তিনি নিজেও গত মঙ্গলবার সন্ধায় আলোর ফাঁদ তৈরী করে মাজরা পোকা সনাক্তের চেষ্টা করেছেন কিন্ত পাননি। তবে কী কৃষকরা ভুল করছেন, নাকী কৃষি অফিস তাদের তদারকিতে গাফিলতি করছেন এ নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। কৃষি কর্মকর্তা অবশ্য মাজরা পোকাড় আক্রমন প্রতিরোধে জমিতে পার্চিং করা এবং লাইভ প্রতিরোধ অর্থাৎ ধৈঞ্চা গাছ লাগানোর পরামর্শ দিয়েছেন।
একদিকে কৃষক বলছেন মাজরা পোকা অপর দিকে কৃষি অফিস বলছেন মাজরা পোকা নয়। এখন কৃষক কোন পথে হাটবেন সেটা নিয়েও কৃষকরা দিশেহারা হয়ে পড়েছেন।