ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি:
বোরো ধানের বাম্পার ফলন সত্ত্বেও দাম পায়নি কৃষক। উৎপাদন খরচও উঠছে না তাদের। অনেকেই ঋণ পরিশোধ করতে গরু-ছাগল বিক্রি করছেন। এরই মধ্যে দুয়ারে কড়া নাড়ছে ঈদ। কিন্তু ঠাকুরগাঁওয়ের কৃষক পরিবারে নেই উৎসবের আমেজ। চরম অর্থকষ্টে দিন কাটছে তাদের। ধানের দামের প্রভাব পড়েছে ঈদ বাজারেও। ঈদের কয়েকদিন বাকি থাকলেও জমেনি কেনাকাটা।
কৃষকরা জানিয়েছেন, অর্থাভাবে বেশিরভাগ পরিবারেই এখনও নতুন জামাকাপড় কেনা হয়নি। কেউ কেউ বিভিন্ন দোকানের ঋণ শোধ করতে কম দামে ধান বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন। টাকা না থাকায় কৃষক পরিবারের বেশিরভাগই এবার বঞ্চিত হবেন ঈদ আনন্দ থেকে।
কথা হয় উপজেলার পৌর শহরের রাজু নামের ধান চাষীর সাথে। তিনি হতাশার সাথে জানান আড়াই বিঘা জমি বার হাজার টাকায় একটি ফসল আবাদ করবে বলে চুক্তি নেয় । সেই হিসেবে তার এই আড়াই বিঘা জমিতে ধার-দেনা করে মোট খরচ করেন আঠাইশ হাজার টাকা । আর এই জমির ধান বিক্রি করে পেয়েছেন সতের হাজার টাকা । আর এই কৃষককে লোকশান গুনতে হচ্ছে এগার হাজার টাকা। শুধু রাজু নয় এর মতো অনেক কৃষকের ভাগ্যে এরকম শনিদশা জুটেছে।
এছাড়া শহরের বিভিন্ন দোকান-পাঠ ঘুরে দেখা যায় যে, দোকানে শুধু চাকুরিজীবী ব্যক্তিদের কেনাকাটা করতে দেখা যায়। যার ফলে ঈদের বাজারে ক্রেতার উপস্থিতি খুবই কম। ঈদের প্রকৃত আনন্দ থেকে উপজেলার কৃষক বঞ্চিত হচ্ছে। তাদের কপালে হতাশার ছাপ দেখা যাচ্ছে। বছরের একটি দুইটি দিন যদি একটু আনন্দ করতে না পারব তাহলে আমাদের কিসের জীবন। এমনই ক্ষোভের কথা কৃষকের মুখে মুখে। ধানের নায্য দাম না পেয়ে হতাশায় ঈদ পার করতে হচ্ছে কৃষককে।