Showing posts with label ঈদযাত্রা. Show all posts
Showing posts with label ঈদযাত্রা. Show all posts
ঈদযাত্রায় পথদুর্ঘটনা: নিহত ২৪৭, আহত ৬৬৪ জন

ঈদযাত্রায় পথদুর্ঘটনা: নিহত ২৪৭, আহত ৬৬৪ জন

admin June 13, 2019

স্টাফ রিপোর্টার:
ঈদযাত্রায় ১২ দিনে ১৮৫ সড়ক দুর্ঘটনায় সারাদেশে ২২১ জন নিহত হয়েছেন। মহাসড়কে দুর্ঘটনায় মোট ৬৫২ জন আহত ও ৩৭৫ জন পঙ্গু হয়েছেন। তবে সড়ক, রেল ও নৌপথে সম্মিলিত ২১২ দুর্ঘটনায় ২৪৭ নিহত ও ৬৬৪ জন আহত হয়েছেন।


বুধবার বেলা পৌনে ১২টায় রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে ‘ঈদযাত্রায় সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিবেদন ২০১৯’ প্রকাশ উপলক্ষে যাত্রী অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এতথ্য জানানো হয়। সংগঠনের সভাপতি ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) কামরুল ইসলাম লিখিত বক্তব্যে বলেন, সাড়ে ৫ কোটি মানুষ ঈদযাত্রায় বাড়ি ফিরেছেন।


৩০ মে থেকে ১০ জুন পর্যন্ত ১২ দিনে মহাসড়কে ২২১ জন নিহত হয়েছেন। নৌপথে ৫ দুর্ঘটনায় ৪ জন নিহত ও ১২ জন আহত হয়েছেন। রেলপথে ট্রেনে কাঁটা পড়ে পূর্বাঞ্চলে ১৩ জন ও পশ্চিমাঞ্চলে ৯ জনসহ মোট ২২ জন নিহত হয়েছেন।


তিনি বলেন, ৬৩টি বাস, ৩৮টি ট্রাক-কাভার্ড ভ্যান ও পিকআপ, ১৯টি কার-মাইক্রো, ৩০টি নছিমন-করিমন, ৬৪টি মোটরসাইকেল ও ২৬টি অন্য যানবাহনে এসব দুর্ঘটনায় জড়িত ছিলো। ৫১টি গাড়িচাপায়, ৮১টি সংঘর্ষ, ১৯টি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে ও অন্যান্য কারণে ৩৪টি দুর্ঘটনা ঘটে।


কামরুল ইসলাম বলেন, আমাদেরকে ঈদে বাড়ি ফেরার সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। নতুবা ঈদের সময় পার্শ্ববর্তী দেশ থেকে গাড়ি ভাড়া করে এনে যাত্রী সেবার ব্যবস্থা করতে হবে।


নিরাপদ সড়কের জন্য তিনি ১০টি সুপারিশ তুলে ধরে বলেন, বছরের প্রথম থেকেই পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে, যাতে যেকোনো উৎসবে যাত্রা নিরাপদ হয়।


সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক কামরুল ইসলাম, যাত্রী অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের অর্থ সম্পাদক সাইমুন নাহার এবং প্রচার ও প্রকাশনা আবুল বাশার হাওলাদার প্রমুখ।

ঈদযাত্রায় সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেছে ১৪২ জন, দুর্ঘটনা ৯৫টি

ঈদযাত্রায় সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেছে ১৪২ জন, দুর্ঘটনা ৯৫টি

admin June 11, 2019

রংপুর এক্সপ্রেস ডেস্ক:
ঈদুল ফিতরের ছুটিতে সারা দেশে সড়ক দুর্ঘটনায় ১৪২ জন নিহত ও ৩২৪ জন আহত হয়েছেন। ৩০ মে বৃহস্পতিবার থেকে ৯ জুন রবিবার পর্যন্ত ১১ দিনে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন সড়ক, মহাসড়ক ও আঞ্চলিক সড়কে সংঘটিত ৯৫টি দুর্ঘটনায় এসব হতাহতের ঘটনা ঘটে।


সোমবার নৌ, সড়ক ও রেলপথ রক্ষা জাতীয় কমিটির ঈদ যাতায়াত পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদনে এসব তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, সড়ক দুর্ঘটনা ছাড়া সাম্প্রতিক বছরগুলোর তুলনায় এবার সড়ক ও নৌপথে ঈদযাত্রা স্বস্তিদায়ক ছিল। তবে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে জনগণ প্রত্যাশিত সেবা পায়নি।


বিভিন্ন পত্রিকার অনলাইন সংস্করণ, অনলাইন নিউজপোর্টাল, সংবাদ সংস্থা ও টেলিভিশন চ্যানেলের তথ্য-উপাত্তের ওপর ভিত্তি করে এই প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে।


প্রতিবেদনে বলা হয়, দূরপাল্লার সড়ক-মহাসড়কে বড় ধরনের যানজট ছিল না। নৌ ও রেলপথ ছিল দুর্ঘটনামুক্ত। মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া ও মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া ফেরিঘাটের ব্যবস্থাপনা ভালো থাকায় পদ্মার শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ি ও পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথে ফেরি ও লঞ্চ চলাচল নিরবিচ্ছিন্ন ছিল। এর ফলে রাজধানীর সঙ্গে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সড়ক যোগাযোগও ছিল স্বাভাবিক।


প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ঈদ-সার্ভিসে পর্যাপ্তসংখ্যক লঞ্চ থাকায় ঢাকার সদরঘাট টার্মিনাল থেকে উপকূলীয় জেলাগুলোর সঙ্গে নৌ যোগাযোগ স্বাভাবিক ও যাত্রীভোগান্তি কম ছিল। তবে এক শ্রেণির নৌ শ্রমিক ও কর্মচারিরা ডেকের যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করেছেন।


অতিরিক্ত ভাড়ার বিষয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়, অনলাইনে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রিতে প্রযুক্তিগত সমস্যা ও ঈদ-যাত্রার প্রথম দিন থেকে দূরপাল্লার অনেক ট্রেনের সময়সূচি বিপর্যয়ের কারণে অগণিত যাত্রী চরম দুর্ভোগের শিকার হয়েছে। ঈদের আগে ঢাকা-মাওয়া, ঢাকা-পাটুরিয়া ও ঢাকা-ময়মনসিংহসহ দূরপাল্লার বিভিন্ন সড়কে মাত্রাতিরিক্ত বাসভাড়া আদায় বন্ধ করা যায়নি। ঈদ-ফেরত যাত্রীদের কাছ থেকেও একইভাবে বাড়তি ভাড়া আদায় করা হলেও তা বন্ধ করতে পারেনি প্রশাসন। এমনকি লঞ্চ ও ট্রেনের ছাদে যাত্রী পরিবহনও বন্ধ করা সম্ভব হয়নি।


এছাড়া ঈদের ছুটিতে রাজধানীর মধ্যে চলাচলরত বাস ও অটোরিকশাগুলো যাত্রীদের কাছ থেকে দ্বিগুণ-তিনগুণ ভাড়া আদায় করেছে। উবার ও পাঠাও’র মতো রাইড শেয়ারিং অ্যাপের মাধ্যমে যাত্রী বহনকারি কোম্পানিগুলোও ঈদ-ছুটিতে তাদের ইচ্ছেমতো ভাড়া বাড়িয়েছিল বলে প্রতিবেদনে অভিযোগ করা হয়।

ঈদযাত্রার শেষদিনে পথে পথে দুর্ভোগ উত্তরের মানুষদের

ঈদযাত্রার শেষদিনে পথে পথে দুর্ভোগ উত্তরের মানুষদের

admin June 04, 2019
রংপুর এক্সপ্রেস ডেস্ক:
পরিবার নিয়ে গ্রামের বাড়ি বগুড়াতে ঈদ করতে যাচ্ছেন রহমত উল্লাহ। সড়কে যাতে যানজটে পড়তে না হয় সে বিষয়টি মাথায় রেখে ভাড়া করা মাইক্রোতে করে গুলশান থেকে মঙ্গলবার সকাল সকাল রওনা হন বাড়ির উদ্দেশে। সাতটার মধ্যে টাঙ্গাইল পৌঁছার পর তাদের গাড়ি আটকে যায় যানজটে।

যানজটের ভয়াবহতা এতটা ভয়াবহ যে দুপুর একটা নাগাদ সেখানেই দাঁড়িয়ে থাকে তাদের গাড়ি। সামনের সড়কের পরিস্থিতি এমন ভয়াবহ যে কখন নাগাদ গন্তব্য পৌঁছতে পারবেন তা নিয়ে চিন্তিত তিনি। পরিবার নিয়ে আনন্দের ঈদযাত্রা সীমাহীন দুর্ভোগে পরিণত হয়েছে এই পরিবারটির জন্য।

শুধু রহমত উল্লাহই নয়, ঢাকা থেকে উত্তরাঞ্চলের দিকে যাওয়া সবাইকে যানজটে নাকাল হতে হচ্ছে। জানা গেছে, ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতুপূর্ব মহাসড়কে দীর্ঘ যানজট সৃষ্টি হয়েছে।

অন্যদিকে সিরাজগঞ্জ অংশে যানজটের কারণে সেতুতে টোল আদায় সকাল থেকে বন্ধ রাখে কর্তৃপক্ষ। সেতুর পশ্চিমপাড় স্বাভাবিক হওয়ার পর পুনরায় টোল আদায় শুরু হবে।

জানা গেছে, মঙ্গলবার ভোর রাত থেকে সকাল পৌনে ১০টা পর্যন্ত মহাসড়কের বঙ্গবন্ধু সেতুপুর্ব থেকে মির্জাপুর উপজেলার পাকুল্লা পর্যন্ত গাড়ির দীর্ঘ সারি দেখা গেছে।

এছাড়া সড়কে বিভিন্ন এলাকায় মানুষ পরিবহনের অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে রয়েছে। মহাসড়কের বঙ্গবন্ধু সেতুপূর্ব, এলেঙ্গা বাসস্ট্যান্ড, রাবনা বাইপাস, বাঐখোলা, করটিয়া হাটবাইপাস, নাটিয়াপাড়া ও পাকুল্লায় যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।

হানিফ পরিবহনের চালক নাজমুল মিয়া জানান, মহাসড়কে গাড়ির প্রচুর চাপ। ফলে সকাল থেকে মির্জাপুরের পাকুল্লা থেকে টাঙ্গাইলের বাঐখোলা আসতে প্রায় তিন ঘণ্টা সময় লেগেছে। যা অন্য সময় ১০ থেকে ১৫ মিনিট সময় লাগতো।

বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোশারফ হোসেন জানান, গাড়ির অতিরিক্ত চাপ থাকায় থেমে থেমে বঙ্গবন্ধু সেতুর পূর্ব পার থেকে প্রায় ৪৫ কিলোমিটার যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। সিরাজগঞ্জ থেকে গাড়ি টানতে না পাড়ায় এ যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।

সোলায়মান নামের একজন যাত্রী রাস্তায় যানজটের কথা তুলে ধরে বলেন, পরিবারের সঙ্গে ঈদ করবো তাই সোমবার বিকাল পাঁচটায় রওনা দিয়ে রাত ২টায় টাঙ্গাইলে আসলাম।

যদিও গত কয়েকদিনে সড়কে যাত্রী চাপ থাকলেও এতটা দুর্ভোগে পড়তে হয়নি। রাস্তা অনেকটা ফাঁকাই ছিল। তবে গার্মেন্টস ছুটি হওয়ায় এই এলাকায় সড়কে যাত্রী চাপ বেড়েছে বহুগুণ। এছাড়া বৃষ্টির কারণেও গাড়ি ধীরগতিতে চলছে। এর মধ্যে ভোরে সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জে যাত্রীবাহী একটি বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে চারজন নিহত হলে যানজট আরও তীব্র হয়।

বঙ্গবন্ধু সেতু কর্তৃপক্ষ জানায়, সোমবার সকাল ৬টা থেকে মঙ্গলবার সকাল ৬টা পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু সেতু দিয়ে ৩৫ হাজার ২৭১টি গাড়ি পার হয়েছে। এতে সেতুর টোল আদায় হয়েছে ২ কোটি ৪৪ হাজার ৯৬০ টাকা।

উত্তরের পথে তীব্র যানজট থাকলেও ভিন্নচিত্র আছে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে। গত কয়েক বছরের তুলনায় এবার অনেকটা স্বস্তি নিয়ে বাড়ি ফিরছেন চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, ফেনী, নোয়াখালী ও কুমিল্লার যাত্রীরা। যদিও মঙ্গলবার কুমিল্লা এলাকায় হালকা যানজটের খবর পাওয়া গেছে।

স্বস্তিতে বাড়ি ফিরছেন ঘরমুখী মানুষ

admin June 04, 2019

রংপুর এক্সপ্রেস ডেস্ক:
ঈদযাত্রায় সড়ক পথে যানজট না থাকায় রাজধানী থেকে স্বস্তিতে বাড়ি ফিরছেন মানুষ। সোমবার সকালে উত্তরাঞ্চল, দক্ষিণাঞ্চলসহ চট্টগ্রাম মহাসড়কে একই অবস্থা দেখা গেছে। এবার ঈদের ছুটিতে সড়কপথে বাড়ি ফেরা মানুষের যাত্রা নির্বিঘ্নে করতে সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করায় সড়কপথে অন্যান্য বছরের মতো যানজট নেই।


টাঙ্গাইল: ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়ক যানজটমুক্ত থাকায় স্বস্তিতে বাড়ি ফিরছেন ঘরমুখো মানুষ। রাজধানী ঢাকার সাথে সড়ক পথে উত্তরবঙ্গের ২৩ জেলার একমাত্র যোগাযোগ মাধ্যম এই মহাসড়কটি। মির্জাপুর বাইপাস আন্ডার পাস ব্রিজ, ধেরুয়ায় রেলওয়ে ওভার ব্রিজ, কালিয়াকৈরের লতিফপুরে রেলওয়ের রেলওয়ের ওভার ব্রিজ, দেওহাটা আন্ডার পাস ব্রিজ, টাঙ্গাইলের ঘারিন্দা আন্ডার পাস ব্রিজ, চন্দ্রায় ওভার ব্রিজ ও কোনাবাড়ি ওভার ব্রিজ খুলে দেওয়ায় ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক ও বঙ্গবন্ধু সেতু একসেস জাতীয় মহাসড়কে নেই যানজট। এবারের ঈদে যানজট মুক্ত, নিরাপদে এবং কম সময়ে বাড়ি ফিরতে পারায় তাদের স্বস্তির কথা জানিয়েছেন যাত্রীরা।



যাত্রী ও পরিবহন শ্রমিকরা জানিয়েছেন, প্রতি বছর রোজা ও কোরবানীর ঈদ এলেই ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয। ঈদের আগে ও পরে ৫-৬ দিন এই যানজট স্থায়ী থাকে। কিন্ত এ বছর হয়েছে পুরোটাই উল্টো। চন্দ্র থেকে বঙ্গবন্ধু সেতুর পুর্বপ্রাপ্ত পর্যন্ত চার লেনের কাজ মোটামুটি সমাপ্তির পথে। যাত্রীদের দর্র্ভোগের কথা চিন্তা করে যোগাযোগ ও সেতু মন্ত্রণালয় এবং চারলেন কাজে নিয়োজিত ঠিকাদারী সংস্থা ওভার ব্রিজ ও ছোট বড় মিলে ৩৬ ব্রিজের দুপাশ খুলে দেওয়ায় দ্রুত গতিতে চলছে দুদিক থেকে যানবাহন। এছাড়া চন্দ্রা থেকে বঙ্গবন্ধু সেতুর পূর্ব প্রান্ত পর্যন্ত বসানো হয়েছে মোবাইল কোর্ট ও স্টাইকিং ফোর্স। বিভিন্ন পয়েন্টে কাজ করছেন, জেলা ও থানা পুলিশ, হাইওয়ে পুলিশ, এপিবিএন সদস্য, ট্রাফিক পুলিশ ও আনসার বাহিনীর সদস্যরা। টাঙ্গাইল জেলা পরিবহন মালিক সমিতির সদস্যবৃন্দ এবং পরিবহন শ্রমিক সংগঠনের নেতাকর্মীরাও পুলিশের সঙ্গে কাজ করছেন যানমুক্ত রাখার জন্য বলে পুলিশ জানিয়েছেন।


গাজীপুর: রবিবার রাতে বৃষ্টি ও সোমবার সকালে চান্দনা চৌরাস্তার কাছে ময়মনসিংহগামী সড়কে একটি ট্রাক বিকল কয়ে যাওয়ায় ঢাকা -ময়মনসিংহ সড়কে কিছু সময়ের জন্য যানজট সৃষ্টি হয়। তবে বিকল হয়ে যাওয়া ট্রাকটি সরানো হলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।


কুমিল্লা: এবার কাঁচপুর, মেঘনা, গোমতী এবং কোনাবাড়ী উড়াল সড়ক খুলে দেওয়ায় পাল্টে গেছে পরিস্থিতি। এখন অনেকটাই নির্বিঘ্নে বাড়ি ফিরছে মানুষ। মহাসড়কে আগের মতো আর যানজট নেই। সম্প্রতি ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দ্বিতীয় মেঘনা ও গোমতী সেতুর উদ্বোধন করেন। একই সঙ্গে কোনাবাড়ী উড়াল সড়কটিও উদ্বোধন করেন। এরপর এগুলো যান চলাচলের জন্য খুলে দেয়া হয়। গত মার্চে যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয় দ্বিতীয় কাঁচপুর সেতু।


ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের চিটাগাং রোড, সোনারগাঁর কাঁচপুর এবং মেঘনা টোলপ্লাজা এলাকা ছিল যানজটপ্রবণ। প্রতি বছর ঈদযাত্রায় ঘরমুখো মানুষের জন্য এই তিনটি স্থান ছিল আতঙ্কের নাম। শীতলক্ষ্যা, মেঘনা ও গোমতীতে তিনটি নতুন সেতু নির্মাণের পর দুই ঘণ্টায় নেমেছে ঢাকা-কুমিল্লার দূরত্ব। চট্টগ্রাম যেতে লাগছে ৫ ঘণ্টা।


মুন্সীগঞ্জ: প্রিয়জনের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নিতে বাড়ি ফিরছে মানুষ। ঈদের ছুটি কাটাতে পরিবার নিয়ে রাজধানী ছাড়তে শুরু করেন ঘরে ফেরা মানুষ। তবে দক্ষিণাঞ্চলের ২১ জেলার মানুষ এবার নির্বিঘ্নে পারাপার হচ্ছে শিমুলিয়া ঘাট দিয়ে। নেই কোনো যানজট, নেই ফেরি সংকট। বিআইডব্লিউটিসির শিমুলিয়া ঘাট ম্যানেজার (বাণিজ্য) আব্দুল আলীম জানান, অন্যান্য বারের চাইতে এবার অনেকটাই ফাঁকা শিমুলিয়া প্রান্তর। আমাদের মোট ১৮টা ফেরি যানবাহন ও যাত্রী পারাপারের জন্য চলমান রয়েছে।


মানিকগঞ্জ: ঈদযাত্রার চতুর্থ দিনে মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া ফেরি ঘাটে যাত্রী ও যানবাহনের চাপ রয়েছে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে যানবাহনের সংখ্যাও বাড়ছে। তবে বড় ধরনের ভোগান্তি ছাড়াই ফেরি ও লঞ্চে পার হতে পারছেন যাত্রীরা।


বিআইডব্লিটিসির আরিচা অঞ্চলের এজিএম জিল্লুর রহমান জানান, সোমবার সকালে পাটুরিয়ায় ব্যক্তিগত গাড়ির চাপ বাড়ে। তবে ছোট বড় ২০টি ফেরি দিয়ে যানবাহন পারাপার অব্যাহত থাকায় যানবাহনগুলোকে দীর্ঘ লাইনে অপেক্ষায় থাকতে হচ্ছে না। ঘাটে পৌঁছেই নদী পার হতে পারছেন সবাই।

যানজটমুক্ত সড়কে স্বস্তিতে বাড়ি ফিরছে মানুষ

যানজটমুক্ত সড়কে স্বস্তিতে বাড়ি ফিরছে মানুষ

admin June 03, 2019

রংপুর এক্সপ্রেস ডেস্ক: সড়ক-মহাসড়কে এবার যানজট না থাকায় নির্বিঘ্নে ও স্বস্তিতে বাড়ি ফিরছেন রাজধানী ঢাকা ও গাজীপুরে বসবাসরত ঘরমুখো মানুষ। প্রিয়জনদের সঙ্গে ঈদ করতে আজও অনেকে বাড়ি যাচ্ছেন। ঈদের আগের দিন পর্যন্ত এমন কি ঈদের দিনও অনেকে বাড়ি যাবেন। এবার ঈদের ছুটিতে সড়কপথে বাড়ি ফেরা মানুষের যাত্রা নির্বিঘ্নে করতে সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করার ফলে সড়কপথে অন্যান্য বছরের মতো যানজট নেই।


কোন ধরনের ভোগান্তি ও সমস্যা ছাড়াই স্বস্তিতে মানুষ বাড়ি যেতে পারছেন। বৃহস্পতিবার বিকাল থেকেই মানুষ গ্রামের বাড়ির পথে রওয়ানা দিচ্ছেন। এখনও মানুষ রাজধানী ছাড়ছে। রাস্তায় ভোগান্তি কম থাকায় এবার বেশি সংখ্যক মানুষ রাজধানী ছাড়ছেন বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।


গাবতলী, মহাখালী ও সায়েদাবাদ বাস টার্মিনাল, কমলাপুর ও বিমানবন্দর রেলওয়ে স্টেশন এবং সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালে আজও যাত্রীচাপ লক্ষ্য করা গেছে। প্রতি বছরই ঈদে ঘরমুখো মানুষের সড়কপথে বাড়ি ফেরার সবচেয়ে উদ্বেগের বিষয় ছিল মহাসড়কে যানজট। বিশেষ করে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কাঁচপুর, মেঘনা ও গোমতী সেতু এবং ঢাকা-বগুড়া ও ময়মনসিংহ সড়কের গাজীপুর, কোনাবাড়ী ও চন্দ্রা এলাকার যানজটের বিড়ম্বনা ঈদ আনন্দকেই মাটি করে দিত।


তবে এবার কাঁচপুর, মেঘনা, গোমতী এবং কোনাবাড়ী উড়াল সড়ক খুলে দেওয়ায় পাল্টে গেছে পরিস্থিতি। এখন অনেকটাই নির্বিঘ্নে বাড়ি ফিরছে মানুষ। মহাসড়কে আগের মতো আর যানজট নেই। সম্প্রতি ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দ্বিতীয় মেঘনা ও গোমতী সেতুর উদ্বোধন করেন। একই সঙ্গে কোনাবাড়ী উড়াল সড়কটিও উদ্বোধন করেন। এরপর এগুলো যান চলাচলের জন্য খুলে দেয়া হয়। গত মার্চে যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয় দ্বিতীয় কাঁচপুর সেতু।


ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের চিটাগাং রোড, সোনারগাঁর কাঁচপুর এবং মেঘনা টোলপ্লাজা এলাকা ছিল যানজটপ্রবণ। প্রতি বছর ঈদযাত্রায় ঘরমুখো মানুষের জন্য এই তিনটি স্থান ছিল আতঙ্কের নাম। শীতলক্ষ্যা, মেঘনা ও গোমতীতে তিনটি নতুন সেতু নির্মাণের পর দুই ঘণ্টায় নেমেছে ঢাকা-কুমিল্লার দূরত্ব। চট্টগ্রাম যেতে লাগছে ৫ ঘণ্টা।


একই অবস্থা ঢাকা-বগুড়া মহাসড়কেও। এ মহাসড়ক দিয়ে প্রতিদিন দেশের উত্তরবঙ্গের ১১৮টি রোডের হাজার হাজার যানবাহন চলাচল করে। ঈদে যানবাহনের চাপ বৃদ্ধি পায় বহু গুণ। উত্তরবঙ্গের সঙ্গে রাজধানীর যোগাযোগের একমাত্র এই মহাসড়ক পথে যানজট ছিল নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার। যানজটে আটকে পড়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা যানবাহনে বসে থাকতে হতো। কোনাবাড়ী উড়াল সড়ক খুলে দেওয়া এবং জয়দেবপুর থেকে এলেঙ্গা পর্যন্ত চার লেন সড়ক খুলে দেওয়ায় এখন বগুড়া যেতে সময় লাগছে ৫ থেকে সাড়ে ৫ ঘণ্টা। এছাড়া ঢাকা-খুলনা, ঢাকা-যশোর, ঢাকা-সিলেট মহাসড়কেও যানজট নেই। নির্বিঘ্নে বাড়ি ফিরছে ঘরমুখো মানুষ। আগের চেয়ে কম সময়ে পৌঁছাচ্ছেন যাত্রীরা।


ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়ক যানজটমুক্ত থাকায় স্বস্তিতে বাড়ি ফিরছে ঘরমুখো মানুষ। রাজধানী ঢাকার সাথে সড়ক পথে উত্তরবঙ্গের ২৩ জেলার একমাত্র যোগাযোগ মাধ্যম এই মহাসড়কটি। এবার প্রায় ৯ দিনের ছুটির ফাঁদে পড়ছে দেশ। তবে এর মাঝে আগামীকাল ৩ জুন সোমবার অফিস-আদালত খোলা। ঈদযাত্রা লম্বা করার জন্য সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারিদের অনেকেই ওইদিন ছুটি নিয়েছেন। শুক্র ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি। পবিত্র লাইলাতুল কদরের ছুটি আজ। মাঝখানে সোমবার অফিস-আদালত খোলা থাকলেও মঙ্গল, বুধ ও বৃহস্পতিবার ঈদের ছুটি। পরের দুই দিন শুক্র ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি। অর্থাৎ সোমবার একদিনের ছুটি নিলে ৯ দিনের ছুটি পাচ্ছেন।


বৃহস্পতিবার বিকাল থেকেই বাস-ট্রেন-লঞ্চে ঘরমুখো মানুষের ভিড় ছিল ব্যাপক। অফিস শেষে অসংখ্য মানুষ বাড়ির উদ্দেশে রওনা দেন। অফিস-আদালতে রমজানের কর্মদিবস বিকাল সাড়ে ৩টায় শেষ হওয়ায় বৃহস্পতিবার দুপুর থেকেই শুরু হয়েছে ঈদযাত্রা। রবিবার সকাল থেকে নির্দিষ্ট সময়সূচি অনুযায়ী প্রতিটি ট্রেনে ছাড়লেও ভিড় ছিল একটু বেশি।

চাপ থাকলেও যানজট নেই ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে

চাপ থাকলেও যানজট নেই ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে

admin June 01, 2019

বৃহস্পতিবার থেকে পরিজনের সাথে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নিতে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে নাড়ীর টানে ঘরে ফিরতে শুরু করেছে মানুষ। ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে স্বাভাবিক গতিতে যানবাহন চলাচলের ফলে ঈদযাত্রায় ঘরে ফেরা মানুষের মাঝে অনেকটা স্বস্তি বিরাজ করছে।


টাঙ্গাইলের বিভিন্ন বাসস্ট্যাড এলাকায় উত্তরবঙ্গগামী মানুষের ভীড় লক্ষ্য করা গেছে। অতিরিক্ত ভাড়া ও যানবাহন সংকটের অভিযোগ করছেন তারা।


টাঙ্গাইলের ট্রাফিক পরিদর্শক শহিদুল ইসলাম বলেন, টাঙ্গাইলে আজ মহাসড়কের কোথাও যানজট নেই। যানবাহন স্বাভাবিক গতিতেই চলাচল করছে। এ রুটে চলাচলরত ঘরমুখো মানুষ স্বস্তিতেই বাড়ি ফিরছেন।


শুক্রবার সকাল ৬টা থেকে আজ শনিবার সকাল ৬টা পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু সেতু দিয়ে ২৫ হাজার ১৮৬টি যানবাহন পারাপার হয়েছে। এতে টোল আদায় হয়েছে ৩ কোটি ১৬ লাখ ১৬হাজার ৮শ’ টাকা।



গুগল ট্রাফিক ম্যাপে যানজটের লাইভ আপডেট দেখতে ক্লিক করুন⇒


জানা যায়, ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক দিয়ে উত্তরবঙ্গ ও বৃহত্তর ময়মনসিংহের ২৬টি জেলার অন্তত ৯০টি সড়কের যানবাহন চলাচল করে। এই মহাসড়ক দিয়ে যান চলাচল নির্বিঘ্ন করতে ২০১৩ সালে দুই লেনের এই মহাসড়কটি চার লেনে উন্নীতকরণ প্রকল্প হাতে নেয় সরকার। ২০১৬ সালে প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ শুরু হয়। প্রকল্পটি ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারির মধ্যে শেষ হওয়ার কথা ছিল। তবে দুটি সার্ভিস লেন, ২৯টি নতুন ব্রিজ, চারটি ফ্লাইওভার ও ১৪টি আন্ডারপাস সংযুক্ত হওয়ায় কাজটি এখনও চলমান রয়েছে।


পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ঈদের ছুটিতে মানুষ ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়ক হয়ে বাড়ি ফিরতে শুরু করায় যানবাহনের চাপ বেড়েছে। গতকাল শুক্রবার রাত ১২টা থেকে শনিবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় এই মহাসড়ক ও বঙ্গবন্ধু সেতু দিয়ে ২৫ হাজার ১৮৬টি যানবাহন চলাচল করেছে। এর মধ্যে ঢাকা থেকে উত্তরবঙ্গগামী যানবাহন সংখ্যা ১৩ হাজার ৩৪০ আর উত্তরবঙ্গ থেকে ঢাকাগামী যানবাহন সংখ্যা ১১ হাজার ৩৪৬টি। এ যান চলাচলে সেতুর টোল আদায় হয়েছে ৩ কোটি ১৬ লাখ ১৬ হাজার ৮০০ টাকা। তবে গত বৃহস্পতিবার থেকে শুক্রবার পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় এই মহাসড়ক দিয়ে সেতু হয়ে ১৯ হাজার ৭৮৭টি যানবাহন চলাচল করেছে। এর মধ্যে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসে ১০ হাজার ২৫৪টি ও উত্তরবঙ্গ থেকে ঢাকার দিকে যায় ৯ হাজার ৫৩৩টি যানবাহন।


এ প্রসঙ্গে বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোশারফ হোসেন জানান, মহাসড়কে যানবাহনের চাপ বৃদ্ধি পেয়েছে। ঈদের ছুটির দ্বিতীয় দিন শনিবার এ মহাসড়কে যানবাহন চলাচলের চাপ প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে। এর ফলে মহাসড়কে যানজট না থাকলেও কিছু কিছু স্থানে উন্নয়ন কাজ চলমান থাকায় ওই সকল স্থানে যানবাহন চলাচল করছে একটু ধীরগতিতে। এ সত্ত্বেও যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। এছাড়াও মহাসড়কের যান চলাচল স্বাভাবিক ও ঈদে ঘরমুখো মানুষের বাড়ি ফেরা নিশ্চিত করতে জেলা পুলিশের প্রায় সহস্রাধিক সদস্য নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। পাশাপাশি আনসার সদস্যরাও পুলিশ বাহিনীকে সহায়তা করছে। ছিনতাই প্রতিরোধে মহাসড়কে সাদা পোশাকের পুলিশ সদস্যদের পাশাপাশি র‌্যাবের তৎপরতাও জোরদার রয়েছে।

Image Gallary

 
1 / 3
   
Caption Text
 
2 / 3
   
Caption Two
 
3 / 3
   
Caption Three