স্টাফ রিপোর্টার:
ঈদযাত্রায় ১২ দিনে ১৮৫ সড়ক দুর্ঘটনায় সারাদেশে ২২১ জন নিহত হয়েছেন। মহাসড়কে দুর্ঘটনায় মোট ৬৫২ জন আহত ও ৩৭৫ জন পঙ্গু হয়েছেন। তবে সড়ক, রেল ও নৌপথে সম্মিলিত ২১২ দুর্ঘটনায় ২৪৭ নিহত ও ৬৬৪ জন আহত হয়েছেন।
বুধবার বেলা পৌনে ১২টায় রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে ‘ঈদযাত্রায় সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিবেদন ২০১৯’ প্রকাশ উপলক্ষে যাত্রী অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এতথ্য জানানো হয়। সংগঠনের সভাপতি ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) কামরুল ইসলাম লিখিত বক্তব্যে বলেন, সাড়ে ৫ কোটি মানুষ ঈদযাত্রায় বাড়ি ফিরেছেন।
৩০ মে থেকে ১০ জুন পর্যন্ত ১২ দিনে মহাসড়কে ২২১ জন নিহত হয়েছেন। নৌপথে ৫ দুর্ঘটনায় ৪ জন নিহত ও ১২ জন আহত হয়েছেন। রেলপথে ট্রেনে কাঁটা পড়ে পূর্বাঞ্চলে ১৩ জন ও পশ্চিমাঞ্চলে ৯ জনসহ মোট ২২ জন নিহত হয়েছেন।
তিনি বলেন, ৬৩টি বাস, ৩৮টি ট্রাক-কাভার্ড ভ্যান ও পিকআপ, ১৯টি কার-মাইক্রো, ৩০টি নছিমন-করিমন, ৬৪টি মোটরসাইকেল ও ২৬টি অন্য যানবাহনে এসব দুর্ঘটনায় জড়িত ছিলো। ৫১টি গাড়িচাপায়, ৮১টি সংঘর্ষ, ১৯টি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে ও অন্যান্য কারণে ৩৪টি দুর্ঘটনা ঘটে।
কামরুল ইসলাম বলেন, আমাদেরকে ঈদে বাড়ি ফেরার সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। নতুবা ঈদের সময় পার্শ্ববর্তী দেশ থেকে গাড়ি ভাড়া করে এনে যাত্রী সেবার ব্যবস্থা করতে হবে।
নিরাপদ সড়কের জন্য তিনি ১০টি সুপারিশ তুলে ধরে বলেন, বছরের প্রথম থেকেই পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে, যাতে যেকোনো উৎসবে যাত্রা নিরাপদ হয়।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক কামরুল ইসলাম, যাত্রী অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের অর্থ সম্পাদক সাইমুন নাহার এবং প্রচার ও প্রকাশনা আবুল বাশার হাওলাদার প্রমুখ।