Showing posts with label ছাত্রলীগ. Show all posts
Showing posts with label ছাত্রলীগ. Show all posts
ঈদের দিনেও রাজু ভাস্কর্যে ছাত্রলীগের পদবঞ্চিতদের অবস্থান

ঈদের দিনেও রাজু ভাস্কর্যে ছাত্রলীগের পদবঞ্চিতদের অবস্থান

admin June 05, 2019

রংপুর এক্সপ্রেস ডেস্ক:
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) রাজু ভাস্কর্যের সামনে অবস্থান কর্মসূচি অব্যাহত রেখেছেন ছাত্রলীগের পদবঞ্চিতরা। অন্যান্য দিনের মতো বুধবার ঈদের দিনও অবস্থান নেন তারা।


এদিকে সকালে ঈদের নামাজ পড়ে বিক্ষুব্ধ ছাত্রলীগ নেতাদের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান।


আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, ছাত্রলীগের কমিটিতে বিতর্কিত নেতাদের নাম প্রকাশ না করার মাধ্যমে তাদের বাঁচানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।


আন্দোলনকারীদের মুখপাত্র সাবেক কর্মসূচি ও পরিকল্পনা বিষয়ক সম্পাদক রাকিব হোসেন বলেন, সবাই তো চায় পরিবারের সঙ্গে, বাবা মায়ের সঙ্গে ঈদ করতে, আমরাও চেয়েছিলাম। পরিবার ছাড়া এখানে ঈদ করছি, এজন্য আমাদের খুব খারাপ লাগছে। তারা বিতর্কিতদের ঈদ করার সুযোগ দিল, আর আমাদের ঈদ করার সুযোগ দিল না।


তিনি দাবি করেন, বিতর্কিতদের নামের তালিকা প্রকাশ করতে হবে এবং তাদের সবাইকে কমিটি থেকে বাদ দিতে হবে। কমিটি পুনর্গঠন না হওয়া পর্যন্ত এই অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়া হবে।


গত ১৩ মে ছাত্রলীগের ৩০১ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়। এরপর পদ না পাওয়া নেতারা এই কমিটি পুনর্গঠনের দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন। তারা অভিযোগ করেন, বিবাহিত, মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী, চাকরিজীবী ও বিভিন্ন মামলার আসামিসহ নানা অভিযোগে অভিযুক্ত অনেককে পদ দেওয়া হয়েছে। আর ত্যাগী নেতাদের বঞ্চিত করা হয়েছে।

ছাত্রলীগে ‘উনিশ’ আতঙ্ক

ছাত্রলীগে ‘উনিশ’ আতঙ্ক

admin June 01, 2019

অনলাইন ডেস্ক:
ছাত্রলীগে এখন বড় আতঙ্কের নাম গাণিতিক সংখ্যা ‘১৯’। সংগঠনটির ৩০১ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি নিয়ে তুমুল বিতর্কের ফলে কেন্দ্রীয় নেতাদের জন্য সংখ্যাটি এখন ভয়ের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।


কেন্দ্রীয় কমিটির অর্ধশত বিতর্কিত নেতাকে বাদ দিতে পদবঞ্চিতদের আন্দোলনের মুখে ১৯টি পদ শূন্য ঘোষণা থেকেই এ আতঙ্কের উৎপত্তি। ছাত্রলীগ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদ শূন্যের এ সংখ্যা ঘোষণা করলেও পদ বা ব্যক্তির নাম ঘোষণা করেনি। ফলে এই ১৯ জন কারা- সেটাই এখন সংগঠনটির আলোচনার কেন্দ্রে। এ অবস্থায় পদ পেয়েও প্রত্যাশিত উচ্ছ্বাস নেই কেন্দ্রীয় নেতাদের মধ্যে।


অন্যদিকে বিতর্কিতদের বাদ দিতে রোজার মধ্যে টানা ছয় দিন রাজু ভাস্কর্যে পদবঞ্চিতদের অবস্থান, এ আতঙ্ক আরও বাড়িয়ে দিচ্ছে। যদিও ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী দেশে ফিরলে তার নির্দেশনা অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। এ ক্ষেত্রে শূন্যপদ বাড়তে পারে, কমতেও পারে।


গত ২৮ মে দিবাগত রাত ১টায় এই ১৯টি পদ শূন্য ঘোষণা করেন ছাত্রলীগ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক। এর আগে গত ১৩ মে ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা হয়। ৩০১ সদস্যের এ কমিটির শতাধিক নেতার বিরুদ্ধে গঠনতন্ত্র লঙ্ঘন করে পদ পাওয়া এবং বিভিন্ন অন্যায়, অপকর্ম ও অনুপ্রবেশের অভিযোগ ওঠে। নতুন কমিটির সদস্যদের মধ্যে হত্যা মামলার আসামি থেকে শুরু করে বিবাহিত, বিএনপি-জামায়াত সংশ্লিষ্টতা, মাদক গ্রহণ ও ব্যবসা, চাকরিজীবীর নাম রয়েছে। অন্যদিকে এই কমিটিতে জায়গা হয়নি সর্বশেষ কমিটির গুরুত্বপূর্ণ পদ ও অবস্থানে থাকা প্রায় অর্ধশত নেতার। এতে ক্ষোভ জানিয়ে কমিটি প্রত্যাখ্যান করলে তাদের ওপর দু’দফায় হামলা করে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের অনুসারীরা।


১৫ মে চাপের মুখে ছাত্রলীগ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক ১৭ জন বিতর্কিত নেতার একটি তালিকা প্রকাশ করেন। তাদের বিরুদ্ধে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তথ্য-প্রমাণসাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করে পদগুলো শূন্য হবে বলে ঘোষণা দেয়া হয়। এরপর ১৬ মে বিভিন্ন অপরাধ অপকর্মে জড়িত এবং সংগঠনের গঠনতন্ত্র ও রেওয়াজ পরিপন্থী উপায়ে পদপ্রাপ্ত বিতর্কিত ৯৯ নেতার নাম প্রকাশ করেন পদবঞ্চিতরা। সংগঠনের শীর্ষ নেতৃত্ব ও পদবঞ্চিতদের এমন মুখোমুখি অবস্থানের ফলে আওয়ামী লীগের ৪ সিনিয়র নেতার হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হয়। যদিও পরবর্তী সময়ে ২৪ ঘণ্টা সময়ের মধ্যে ছাত্রলীগ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক ১৭টি পদ শূন্য ঘোষণা করেনি।


এদিকে কমিটি গঠনের পর ১৫ মে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার নির্দেশে সংগঠনটির নতুন কমিটির শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন কর্মসূচি স্থগিত করা হয়েছিল। তখন অপরাধী ও বিতর্কিতদের কমিটি থেকে বাদ দিতেও নির্দেশ দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। অথচ সেই নির্দেশনা পালন না করে ২৭ মে মধ্যরাতে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন কর্মসূচি ঘোষণা করে ছাত্রলীগ। ফলে ২৬ মে দিবাগত রাত ১টা থেকে ফের আন্দোলনে নামেন পদবঞ্চিতরা। শুক্রবার টানা ষষ্ঠ দিনের মধ্যে অবস্থান অব্যাহত রেখেছেন তারা। আন্দোলনকারীরা জানিয়েছেন, বিতর্কিতদের বাদ দিয়ে যোগ্যদের পদায়ন না করা পর্যন্ত তারা এ অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাবেন। ১৯টি শূন্য পদের নাম প্রকাশের দাবিও রয়েছে তাদের। দাবি না মানলে তারা বাড়ি যাবেন না, ঢাকায়ই ঈদ করবেন।


ছাত্রলীগের সদ্যবিদায়ী কমিটির প্রচার সম্পাদক (বর্তমান কমিটিতে পদবঞ্চিত) সাইফ উদ্দিন বাবু বলেন, আন্দোলনের মুখে ছাত্রলীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক প্রথমে ১৭ জনের কথা স্বীকার করলেও ১৪ দিন পর ১৯ জনের পদ শূন্য করার কথা উল্লেখ করে প্রেস বিজ্ঞপ্তি দিয়েছেন। তাদের এই পদক্ষেপ আজ প্রমাণ করল আমাদের দাবি ও আন্দোলন গুরুত্বহীন ছিল না। ১৯টি পদ শূন্য হলেও এখন পর্যন্ত যে যার মতো স্বপদে বহাল আছে। এটা শুধু সুপরিকল্পিত নয়, অপরাজনীতি ও চাতুরীও বটে। অবিলম্বে শূন্য হওয়া ১৯ জনের নাম ও পদের বিষয়টি স্পষ্ট করতে হবে। একই সঙ্গে তাদের সব দাবি মেনে কমিটি পুনর্গঠন না করা পর্যন্ত অবস্থান কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি।


সদ্যবিদায়ী কমিটির কর্মসূচি ও পরিকল্পনাবিষয়ক সম্পাদক রাকিব হোসেন বলেন, অভিযুক্ত শতাধিক নেতার নাম আমরা বলেছি। তাদের মধ্যে অকাট্য দলিলসহ ৫০ জনের তালিকা দিতে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের সঙ্গে অসংখ্যবার যোগাযোগ করেও পাইনি। পরে নানক ভাইকে (জাহাঙ্গীর কবির নানক) দিয়েছি। অথচ নতুন নাটক সাজিয়ে ১৯টি পদ শূন্য ঘোষণা করে একটি প্রেস রিলিজ দেয়া হয়েছে। যা একেবারেই অস্পষ্ট। সেখানে কারও নাম নেই, কোনো কিছু সুস্পষ্টভাবে বলা হয়নি। আমরা এই ছল-চাতুরীর প্রতিবাদ জানাই। ১৯টি শূন্যপদের নাম ঘোষণা করতে আমরা ৪৮ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়েছিলাম। তা-ও মানা হয়নি। এভাবে সংগঠন চলতে পারে না। আমাদের দাবি, সব বিতর্কিতকে সংগঠন থেকে বাদ দিতে হবে। প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী তা না করা পর্যন্ত লাগাতার আন্দোলন চলবে।


এ ছাড়া নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বর্তমান কেন্দ্রীয় কমিটির অন্তত ১০ জন নেতা বলেছেন, এই ১৯টি শূন্যপদের নাম ঘোষণা করা উচিত। কারণ তারা পদ পেয়েও এক ধরনের আতঙ্কের মধ্যে রয়েছেন। তৃণমূলে সেভাবে কাজ করতে পারছেন না। অনেকেই জিজ্ঞেস করছেন, ‘ভাই, উনিশ জনের মধ্যে আছেন নাকি?।’ তারা বলছেন, সামনে ঈদ। পদপ্রাপ্তদের প্রায় সবাই গ্রামের বাড়িতে যাবেন। নেতাকর্মীদের সঙ্গে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন। অথচ পদ নিয়ে ধোঁয়াশা অবস্থার কারণে তারা কর্মসূচি সাজাতে পারছেন না। তাই ঈদের আগেই শূন্যপদের বিষয়টি স্পষ্ট করার দাবি জানিয়েছেন তারা।


শূন্যপদের নাম ঘোষণা না করার বিষয়ে ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী বলেন, যেসব পদ শূন্য ঘোষণা করা হয়েছে তাদেরকে কিন্তু সংগঠন থেকে অব্যাহতিও দেয়া হয়নি বহিষ্কারও করা হয়নি। যেহেতু অভিযোগ এসেছে তাই ১৯টি পদ শুধু শূন্য ঘোষণা করা হয়েছে। কিন্তু এই ১৯ জনের বিষয়ে আমরা কিছু জায়গায় সিদ্ধান্ত নিতে পারছি না। যেমন, এদের একজন বিয়ে করেছে কিন্তু বউ মারা গেছে। আরেকটা মেয়ের ডিভোর্স হয়েছে তিন বছর আগে। আরেকজন তিন বছর আগে চাকরি করত। আমরা এদের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে পারছি না বলে আমাদের একমাত্র অভিভাবক জননেত্রী শেখ হাসিনার জন্য অপেক্ষা করছি। তিনি দেশে ফিরলে তার সঙ্গে কথা বলে শূন্যপদের নাম ঘোষণা করা হবে।


ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, আমাদের যে বিতর্কিতদের বিরুদ্ধে অ্যাকশন নিতে অনীহা নেই, সেটা বোঝানোর জন্যই পদগুলো শূন্য ঘোষণা করা হয়েছে। আপা (প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা) দেশে এলে তার কাছে অভিযুক্তদের নাম, পদ ও অভিযোগ উত্থাপন করা হবে। পরে তার নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করব। এ ক্ষেত্রে শূন্যপদ বাড়তেও পারে, কমতেও পারে। গঠনতন্ত্রের বয়সের নিয়ম লঙ্ঘনের বিষয়ে তিনি বলেন, ছাত্রলীগের প্রথম গঠনতন্ত্র শেখ হাসিনা। আমরা যদি তাকে বোঝাতে পারি যে দলের বৃহত্তর স্বার্থে একটা ছেলে তার বয়স যদি দুই মাস বেশি হয়, আপা যদি তাকে রাখতে বলেন, তাহলে সে থাকবে। তবে সিদ্ধান্ত অবশ্যই আপার।


আন্দোলনকারীদের কাছে বিতর্কিত অর্ধশত নেতার অকাট্য দলিল আছে এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে গোলাম রাব্বানী বলেন, অকাট্য দলিল একজনেরও নেই। এটা যদি তারা বলে থাকে ভুল বলেছে। অকাট্য দলিল থাকলে তো আমদেরই দিত। ছাত্রলীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক বা দফতর সেলে অভিযোগ না দিয়ে মিডিয়াকে বা কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের নেতাদের দেয়ার সুযোগ নেই। সূত্র: যুগান্তর

ঢাবির ছাত্রলীগ নেতা আহসান হাবীবের ৪র্থ মৃত্যুবার্ষিকী

ঢাবির ছাত্রলীগ নেতা আহসান হাবীবের ৪র্থ মৃত্যুবার্ষিকী

admin May 29, 2019

স্টাফ রিপোর্টার:
ট্রেন দুর্ঘটনায় নিহত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক মুসলিম হল ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী ছাত্র আহসান হাবীবের ৪র্থ মৃত্যুবার্ষিকী আগামীকাল বুধবার। তার ৪র্থ মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষে তার গ্রামের বাসা রংপুর সদর উপজেলার পালিচড়ায় দোয়া ও ইফতার মাহফিল এর আয়োজন করেছে তার পরিবার।


২০১৫ সালের ২৯ মে বাড়ি থেকে ঢাকা যাবার সময় রংপুরের শ্যামপুর রেল স্টেশনে ট্রেন দুর্ঘটনায় মৃত্যুবরণ করেন তিনি। রংপুর সদরের পালিচড়া বকসিপাড়ার অধিবাসী সাবেক সমবায় কর্মকর্তা মফিজার রহমানের প্রথম ছেলে আহসান হাবীব ঢাবির পরিসংখ্যান বিভাগের মেধাবী ছাত্র ছিলেন।


আহসান হাবীব রংপুর কালেক্টর স্কুল এন্ড কলেজ থেকে মাধ্যমিক ও রংপুর ক্যান্ট পাবলিক থেকে স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিসংখ্যান বিভাগে ভর্তি হন। এরপর সেখানেই ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন। তৎকালীন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকী নাজমুল আলমের আস্থাভাজন ছিলেন আহসান হাবীব।


তার রাজনৈতিক সহ-যোদ্ধারা জানা যায় তিনি ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন প্রখর, ত্যাগী ছাত্রনেতা। মুজিব আদর্শ বুকে ধারণ করে তার নিজের ক্যাম্পাসের ছোট-বড় সকলের বিপদে-আপদে পাশে ছিলেন।


স্থানীয় এক আ.লীগ নেতা বলেন, হাবীব ছিল আমার এলাকার মেধাবীদের মধ্যে একজন। সে ছিল উদীয়মান তরুণ নেতৃত্বের প্রতীক। তার মৃত্যুতে যে শুন্যতা সৃষ্টি হয়েছে তা সহজে পূরণ হবে না।


এদিকে ছাত্রলীগ নেতা মরহুম আহসান হাবীব এর ৪র্থ মৃত্যু বার্ষিকীতে তার জন্য সকলের কাছে দোয়া চেয়েছেন তার একমাত্র ছোট ভাই সাংবাদিক হাসান আল সাকিব। তিনি বলেন, হাবীব ভাইয়া অনেক ভালো মানুষ ছিলেন। তার জন্য সকলেই দোয়া করবেন।

আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু করলো ছাত্রলীগের নিউজপোর্টাল

আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু করলো ছাত্রলীগের নিউজপোর্টাল

admin May 25, 2019

রংপুর এক্সপ্রেস ডেস্ক:
দীর্ঘ ৮ মাস পরীক্ষামূলক কার্যক্রম চালানোর পর আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু করলো ছাত্রলীগের নিজস্ব নিউজ পোর্টাল বিএসএলনিউজ ডটকম বিডি (bslnews.com.bd)। এটি বাংলাদেশে ছাত্রলীগের মুখপাত্র হিসেবে কাজ করবে। শুক্রবার ভোরে ছাত্রলীগের সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী এ আনুষ্ঠানিক যাত্রার ঘোষণা দেন।


এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তারা বলেন, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সকল সাংগঠনিক ইউনিটসমূহের সাংগঠনিক কার্যক্রম তুলে ধরতে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের নিজস্ব নিউজ পোর্টাল bslnews.com.bd চালু করা হয়েছে।


বিজ্ঞপ্তিতে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সকল সাংগঠনিক ইউনিট সমূহের সভাপতি/সাধারণ সম্পাদকদ্বয়কে তাদের সব সাংগঠনিক কার‌্যক্রমের সংবাদ bslnews1971@gmail.com এ প্রেরণের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়।


ছাত্রলীগের প্রচার সম্পাদক মো. শফিকুল আলম রেজার সার্বিক সহযোগিতায় এবং গণযোগাযোগ ও উন্নয়ন সম্পাদক শেখ শামীম তুযের নেতৃত্বে ৭ জনের একটি টিমকে এ পোর্টাল পরিচালনার দায়িত্ব দিয়েছে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ।


বিএসএল নিউজ টিমের অন্য সদস্যরা হলেন ছাত্রলীগের গণযোগাযোগ ও উন্নয়ন বিষয়ক উপ সম্পাদক সালাহ উদ্দিন জসিম, মোহাম্মদ হোসাইন, সুশোভন অর্ক ও নাজমুল হুদা সুমন। এছাড়াও অনলাইন বিশেষজ্ঞ দিব্য মণ্ডল ও ইমতুজ জাভেদ পিজন এ টিমের সদস্য হিসেবে কাজ করবেন।


ছাত্রলীগের নিজস্ব নিউজ পোর্টাল হিসেবে এর সার্বিক তত্ত্বাবধান করবেন সংগঠনটির সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী।

কাউনিয়াতেও কৃষকদের ধান কাটার সহযোগিতায় ছাত্রলীগ

কাউনিয়াতেও কৃষকদের ধান কাটার সহযোগিতায় ছাত্রলীগ

admin May 24, 2019

কাউনিয়া প্রতিনিধি, রংপুর:
ধানের দরপতন আর শ্রমিক সংকট ও মজুরি বেশীর ফলে ক্ষেতে পাকা ধান নিয়ে যখন বিপাকে পরেছেন কৃষকরা, এ পরিস্থিতিতে তাদের পাশে ‘কৃষক বাঁচলেই বাঁচবে দেশ, শেখ হাসিনার বাংলাদেশ’-স্লোগানকে সামনে রেখে এলাকার গরীব কৃষকদের ধান কাটতে সহযোগিতার কর্মসূচি শুরু করেছে কাউনিয়া উপজেলা ছাত্রলীগ।


বৃহঃস্পতিবার (২৩ মে) উপজেলা ছাত্রলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি জামিল হোসাইন এর নেতৃত্বে সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপজেলার আরাজী খোর্দ্দ ভূতছাড়া গ্রামের দরিদ্র চাষী আব্দুল কুদ্দুসের ক্ষেতে ধান কাটার মধ্যদিয়ে স্থানীয় কৃষকদের পাশে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে এ সহযোগিতা কার্যক্রম আরম্ভ করেন।


এসময় জামিল হোসাইন বলেন, চলতি মওসূমে বোরো ধান চাষের উৎপাদন খরচ বেশী হওয়ায় কৃষকরা আর্থিক ক্ষতির মুখোমুখি হচ্ছেন। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে কৃষকদের পাশে রয়েছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। মধ্যস্বত্বভোগীদের দৌরাত্ব কমিয়ে কৃষকদের উৎপাদিত ধানের ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত করার দাবী জানান ছাত্রলীগের এ নেতা। তিনি আরও বলেন, নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে প্রান্তিক কৃষকদের ক্ষেতে ধান কাটার মাধ্যমে তাদেরকে সহযোগিতা করছি।


উল্লেখ্য ইতোপূর্বে কৃষকদের ধান কাটাসহ সব ধরনের সহযোগিতা করতে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের পক্ষথেকে স্ব-স্ব এলাকায় চাষীদের প্রয়োজনীয়তার নিরিখে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে পাশে থেকে ধান কাটাসহ সর্বাত্মক সহযোগিতার আহ্বান জানানো হয়।

দিনাজপুরে আদিবাসী কৃষকের ধান কেটে দিল ছাত্রলীগ

দিনাজপুরে আদিবাসী কৃষকের ধান কেটে দিল ছাত্রলীগ

admin May 24, 2019

দিনাজপুর প্রতিনিধি:
ধানের ন্যায্যমূল্যের দাবিতে দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ হচ্ছে। কৃষকের পাশে দাঁড়াচ্ছে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা। এর ধারাবাহিকতায় বোরো মৌসুমের প্রায় শেষ দিকে এসে কৃষকের খেতের ধান কেটে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে ক্ষমতাসীন ছাত্রসংগঠন ছাত্রলীগ।


জানা যায়, শুক্রবার সকাল ১১ টার দিকে দিনাজপুরের কাহারোল উপজেলার সুন্দরপুর ইউনিয়নের গড়মল্লিকপুর গ্রামের আদিবাসী রবি টুডুর এক বিঘা জমির ধান কাটছেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।


কৃষক রবি টুডু এবং স্ত্রী বাসন্তী হাজদাসহ ছাত্রলীগের দিনাজপুর জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক গোলাম ইমতিয়াজ ইনানের নেতৃত্বে প্রায় ৫০ জনের একটি দল জমির ধান কেটে দেন। ধান কাটার পর তা মাথায় করে কৃষক রবি টুডুর বাড়িও পৌঁছে দেন ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা।


এ বিষয়ে জমির মালিক রবি টুডু বলেন, ‘সকাল থেকে আমি এবং আমার স্ত্রী মিলে জমির ধান কিছুটা কেটেছিলাম। জমিতে ধান লাগিয়ে যে টাকা খরচ হয়েছে তা ধান বিক্রি করে ওঠান সম্ভব না। তাই অতিরিক্ত মজুরি দিয়ে শ্রমিক নিয়ে ধান কাটার সামর্থ্য আমার নেই। এমন সময় বেশ কিছু ছেলে ছাত্রলীগের কর্মী পরিচয় দিয়ে ধান কাটার প্রস্তাব দেন। আমি এক বিঘা জমিতে ধান রোপন করেছি। অল্প একটু সময়ের মধ্যেই সবাই মিলে ধান কেটে আমার বাড়িতে পৌঁছে দেয়।’


বেশ কিছুদিন ধরে দেশের বিভিন্ন স্থানে স্বেচ্ছাসেবীদের ধান কাটার দৃশ্য দেখা গেলেও তা মাথায় নিয়ে কৃষকের বাড়িতে পৌঁছে দেওয়ার দৃশ্য এটাই প্রথম। স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে ধান কাটতে আসা দিনাজপুর জেলা ছাত্রলীগের কর্মী জারিফ খান জিওন বলেন, ‘ধানের বাজার বর্তমানে কম। আবার ধান কাটা শ্রমিকের মজুরি বেশি এবং স্বল্পতার কারণে অনেক কৃষকই হিমশিম খাচ্ছেন। আমরা দলের নির্দেশে এবং জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম ইমতিয়াজ ইনান ভাইয়ের নেতৃত্বে এখানে এসে কৃষকের ধান কেটে দিচ্ছি।’


গোলাম ইমতিয়াজ ইনান বলেন, ‘বর্তমানে কৃষকদের ধানের বাজার কম থাকায় তারা হতাশায় পড়েছেন। এমন পরিস্থিতিতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে ও ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক কৃষকদের জমির ধান কেটে দেওয়ার উদ্যোগ নেই’।


‘শুক্রবার সকালে ছাত্রলীগের কর্মী ইব্রাহিম হোসেন হিমেল আমাদের জানায়, কাহারোল উপজেলার সুন্দরপুর ইউনিয়নের গড়মল্লিকপুর গ্রামের আদিবাসী কৃষক রবি টুডু ও তার স্ত্রীসহ জমিতে ধান কাটছেন। আমরা খবর পেয়ে ছাত্রলীগের প্রায় ৫০ জনের মতো এসে এক বিঘা জমির ধান কেটে সেগুলো মাথায় করে ধান ভাঙানোর নির্দিষ্ট জায়গায় রেখে আসি।’

Image Gallary

 
1 / 3
   
Caption Text
 
2 / 3
   
Caption Two
 
3 / 3
   
Caption Three