ভরণপোষণ দিতে না পারার কষ্টে হত্যা করে পিতা

admin May 26, 2019

রংপুর এক্সপ্রেস ডেস্ক:
নরসিংদী লঞ্চ টার্মিনালের টয়লেট থেকে শিশু দুই বোনের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সদর থানার ওসি সৈয়দুজ্জামান জানান, গত শুক্রবার রাত ৯ টার দিকে শহরের কাউরিয়াপাড়ায় বিআইডব্লিউটিএ লঞ্চ টার্মিনালের টয়লেট থেকে লাশ দুটি উদ্ধার করেন তারা।


নিহতরা হলো- মনোহরদী চালাকচর গ্রামের শফিকুল ইসলামের মেয়ে তাইন (১১) ও তাইবা (৪)। ওসি সৈয়দুজ্জামান বলেন, গত শুক্রবার রাতে স্থানীয়দের কাছে খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে লাশ দুটি উদ্ধার করে।


এদিকে শনিবার দুপুরে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার মিরাজ উদ্দিন আহাম্মেদ জানান, দরিদ্রতার কারণে সন্তানদের ভরণপোষণ ঠিকমতো দিতে না পারার কষ্ট সইতে না পেরে দুই সন্তানকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন পাষণ্ড বাবা। আটকের পর পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে দুই সন্তানকে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন নিহতদের বাবা শফিকুল ইসলাম। গত শুক্রবার রাত ১২টার দিকে লঞ্চ টার্মিনাল থেকে তাকে আটক করা হয়। আটক শফিকুল ইসলাম একটি গার্মেন্টস কারখানার নিরাপত্তা প্রহরী হিসেবে কর্মরত।


সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার মিরাজ উদ্দিন আহাম্মেদ বলেন, গত শুক্রবার রাতে নরসিংদীর লঞ্চ টার্মিনালের বাথরুম থেকে দুই শিশুর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এরপর থেকে তদন্তে নামে পুলিশ। তদন্ত চলাকালে শফিকুল ইসলামকে দেখে সন্দেহ হলে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে জানা যায় তিনিই নিহতদের বাবা। পরে তাকে আটক করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটক শফিকুল ইসলাম হত্যার কথা স্বীকার করেন।


পুলিশ সুপার আরো জানান, ডাক্তার দেখানোর উদ্দেশে মনোহরদী গ্রামের বাড়ি থেকে দুই সন্তানকে শিবপুর নিয়ে আসেন তিনি। চিকিৎসক না থাকায় তিনি তার সন্তানদের নরসিংদী লঞ্চ টার্মিনালে ঘুরতে নিয়ে যান। ওই সময় তার ছোট মেয়ে লিচু খেতে চায়। কিন্তু তার কাছে পর্যাপ্ত টাকা ছিল না। তার ওপর সামনে ঈদ। সংসারের খরচ ও ঈদে সন্তানদের জামা কাপড় দিতে হবে। এসব ভেবে শফিকুল হিতাহিত জ্ঞান শূন্য হয়ে পড়েন। পরে প্রথমে ছোট মেয়েকে লঞ্চ টার্মিনালের বাথরুমে নিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন। পরে বড় মেয়েকে একই কায়দায় হত্যা করে বাথরুমে লাশ ফেলে রেখে পালিয়ে যান।


এসপি জানান, এ ঘটনায় নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে এখনো মামলা দায়ের করেনি। পরিবার মামলা না করলে পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করবে বলে তিনি জানান। তিনি আরো জানান, প্রাথমিকভাবে শফিকুল ইসলামকে মানসিক ভারসাম্যহীন বলে মনে হয়েছে। কারণ তিনি একেকবার একেক রকম কথা বলছেন।

এই বিভাগের আরও খবর

পরবর্তী পোস্ট
« Prev Post
পূর্বের পোস্ট
Next Post »
নিচের বক্সে মন্তব্য লিখুন

Disqus
আপনার মন্তব্য যোগ করুন

No comments

Image Gallary

 
1 / 3
   
Caption Text
 
2 / 3
   
Caption Two
 
3 / 3
   
Caption Three