Showing posts with label নরসিংদী. Show all posts
Showing posts with label নরসিংদী. Show all posts
নরসিংদী: হত্যার পর লাশকে ধর্ষণ, ধর্ষক সাইফুল গ্রেপ্তার

নরসিংদী: হত্যার পর লাশকে ধর্ষণ, ধর্ষক সাইফুল গ্রেপ্তার

admin June 12, 2019

নরসিংদীর শিবপুর উপজেলায় প্রতিবন্ধী তরুণীকে হত্যার পর ধর্ষণ করা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত ধর্ষক সাইফুল ইসলামকে (২৮) গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১১-এর সদস্যরা।


একই সঙ্গে ধর্ষক সাইফুল ইসলামের দেয়া তথ্য অনুযায়ী প্রতিবন্ধী তরুণীর মোবাইল ও ব্যাগসহ বিভিন্ন জিনিসপত্র উদ্ধার করা হয়েছে। বুধবার সকালে নরসিংদী প্রেসক্লাব মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান র‌্যাব-১১ এর অধিনায়ক কাজী শামসের আহম্মেদ।


তিনি জানান, গত ৬ জুন বিকেলে নরসিংদীর শিবপুর উপজেলার মাছিমপুর গ্রামের সাবিনা আক্তার (২১) নামে এক প্রতিবন্ধী যুবতীকে একই উপজেলার দুলালপুর (খালপাড়) গ্রামের মৃত হানিফ উদ্দিনের পুত্র সাইফুল ইসলাম (২৮) বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে একটি সিএনজি যোগে স্থানীয় কাজীরচর পূর্বপাড়া গ্রামের মো. নাজিম উদ্দিনের কলাবাগানের ভিতর নির্জন স্থানে নিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করে। এতে সাবিনা বাধা দিলে সাইফুল তার জামা দিয়ে সাবিনাকে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করে এবং তার লাশকে ধর্ষণ করে। পরে তার লাশ কলা ক্ষেতে ফেলে চলে যায়।


এ সময় সে সাবিনার ব্যবহৃত মোবাইল ফোন ও ভ্যানিটি ব্যাগ নিয়ে তার নিজ বাড়িতে চলে যায়। ঘটনার পর থেকে সাইফুল আত্মগোপন করে থাকে। গত ৮ জুন স্থানীয় লোকজন উল্লেখিত কলাবাগানে লাশ দেখে শিবপুর থানা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নরসিংদী সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। এ ব্যাপারে সাবিনার মা আফিয়া আক্তার বাদী হয়ে শিবপুর থানায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করে।


র‌্যাবের এই কর্মকর্তা আরও জানান, এ বিষয়ে খবর পেয়ে র‌্যাব তাদের একটি গোয়েন্দা দল এএসপি মোঃ আলেপ উদ্দিনের নেতৃত্বে তদন্ত শুরু করে। গত ১১ জুন র‌্যাব-১১ এর একটি বিশেষ দল শিবপুর থানার কলেজ গেইট এলাকা থেকে হত্যা ও ধর্ষণকারী সাইফুল ইসলামকে গ্রেফতার করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সাইফুল ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে। সাইফুলের দেখানো মতে তার বাড়ির বাথরুম থেকে সাবিনার মোবাইল ফোন ও বাড়ীর পাশের একটি নর্দমা থেকে সাবিনার ভ্যানিটি ব্যাগ উদ্ধার করে।

ভরণপোষণ দিতে না পারার কষ্টে হত্যা করে পিতা

ভরণপোষণ দিতে না পারার কষ্টে হত্যা করে পিতা

admin May 26, 2019

রংপুর এক্সপ্রেস ডেস্ক:
নরসিংদী লঞ্চ টার্মিনালের টয়লেট থেকে শিশু দুই বোনের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সদর থানার ওসি সৈয়দুজ্জামান জানান, গত শুক্রবার রাত ৯ টার দিকে শহরের কাউরিয়াপাড়ায় বিআইডব্লিউটিএ লঞ্চ টার্মিনালের টয়লেট থেকে লাশ দুটি উদ্ধার করেন তারা।


নিহতরা হলো- মনোহরদী চালাকচর গ্রামের শফিকুল ইসলামের মেয়ে তাইন (১১) ও তাইবা (৪)। ওসি সৈয়দুজ্জামান বলেন, গত শুক্রবার রাতে স্থানীয়দের কাছে খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে লাশ দুটি উদ্ধার করে।


এদিকে শনিবার দুপুরে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার মিরাজ উদ্দিন আহাম্মেদ জানান, দরিদ্রতার কারণে সন্তানদের ভরণপোষণ ঠিকমতো দিতে না পারার কষ্ট সইতে না পেরে দুই সন্তানকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন পাষণ্ড বাবা। আটকের পর পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে দুই সন্তানকে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন নিহতদের বাবা শফিকুল ইসলাম। গত শুক্রবার রাত ১২টার দিকে লঞ্চ টার্মিনাল থেকে তাকে আটক করা হয়। আটক শফিকুল ইসলাম একটি গার্মেন্টস কারখানার নিরাপত্তা প্রহরী হিসেবে কর্মরত।


সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার মিরাজ উদ্দিন আহাম্মেদ বলেন, গত শুক্রবার রাতে নরসিংদীর লঞ্চ টার্মিনালের বাথরুম থেকে দুই শিশুর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এরপর থেকে তদন্তে নামে পুলিশ। তদন্ত চলাকালে শফিকুল ইসলামকে দেখে সন্দেহ হলে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে জানা যায় তিনিই নিহতদের বাবা। পরে তাকে আটক করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটক শফিকুল ইসলাম হত্যার কথা স্বীকার করেন।


পুলিশ সুপার আরো জানান, ডাক্তার দেখানোর উদ্দেশে মনোহরদী গ্রামের বাড়ি থেকে দুই সন্তানকে শিবপুর নিয়ে আসেন তিনি। চিকিৎসক না থাকায় তিনি তার সন্তানদের নরসিংদী লঞ্চ টার্মিনালে ঘুরতে নিয়ে যান। ওই সময় তার ছোট মেয়ে লিচু খেতে চায়। কিন্তু তার কাছে পর্যাপ্ত টাকা ছিল না। তার ওপর সামনে ঈদ। সংসারের খরচ ও ঈদে সন্তানদের জামা কাপড় দিতে হবে। এসব ভেবে শফিকুল হিতাহিত জ্ঞান শূন্য হয়ে পড়েন। পরে প্রথমে ছোট মেয়েকে লঞ্চ টার্মিনালের বাথরুমে নিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন। পরে বড় মেয়েকে একই কায়দায় হত্যা করে বাথরুমে লাশ ফেলে রেখে পালিয়ে যান।


এসপি জানান, এ ঘটনায় নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে এখনো মামলা দায়ের করেনি। পরিবার মামলা না করলে পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করবে বলে তিনি জানান। তিনি আরো জানান, প্রাথমিকভাবে শফিকুল ইসলামকে মানসিক ভারসাম্যহীন বলে মনে হয়েছে। কারণ তিনি একেকবার একেক রকম কথা বলছেন।

বেপরোয়া গতি: নরসিংদীতে বাস-লেগুনার সংঘর্ষে নিহত ১১, গাইবান্ধায় ৪

বেপরোয়া গতি: নরসিংদীতে বাস-লেগুনার সংঘর্ষে নিহত ১১, গাইবান্ধায় ৪

admin August 21, 2018

রংপুর এক্সপ্রেস: বেপরোয়া গতির কারণে নরসিংদীর ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে বাস ও লেগুনার মুখোমুখি সংঘর্ষে লেগুনার চালকসহ ১১ জন নিহত হয়েছেন। এ দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত সাত যাত্রী। সোমবার রাত ৯ টার দিকে দিকে নরসিংদীর বেলাবো উপজেলার দরিকান্দি এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। অপরদিকে গাইবান্ধার পলাশবাড়ি উপজেলার মহেশপুর নামক স্থানে দিনাজপুর থেকে ছেড়ে আসা একটি বাস পলাশবাড়ী অভিমুখী একটি অটোরিকশাকে চাপা দিলে চালকসহ ৪ জন নিহত হয়। সোমবার বিকেল ৫ টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।


নরসিংদী জেলা পুলিশ সুপার সাইফুল্লাহ আল মামুন জানান, বাস ও লেগুনা দুটি দ্রুতগতিতে চলছিল। এখানে কোনো জ্যাম ছিলনা। ওভারস্পিডের কারণেই এ দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে আমরা প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছি।


পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কিশোরগঞ্জ থেকে ‌'বস' পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাস ঢাকা যাচ্ছিল। গাড়িটি ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের দরিকান্দি এলাকায় পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা ভৈরবগামী একটি যাত্রীবাহী লেগুনার সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলে ৮ জনের মৃত্যু ঘটে। মৃতদের মধ্যে ৮ জনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তারা হলেন- সুনামগঞ্জ জেলাধীন আজমেরীগঞ্জের আবুল হোসেন (৩০), আবদুল মিয়া (২৪), মোবারক মিয়া (১৮), সুজন মিয়া (২২), তার স্ত্রী রাহেলা বেগম (২০), আবুল হোসেন (৫৫), শামীম (১৮) ও রাকিবুল (৩০)।


তাৎক্ষণিক ফায়ারসার্ভিস ও স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে ভৈরব ও নরসিংদীর বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করেন। তাদের মধ্যে ভৈরব স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২ জনের মৃত্যু হয়। পরে গুরুতর আহ একজন নরসিংদী জেলা হাসপাতালে মারা যান। ভৈরব হাইওয়ে থানার ওসি তৈফিকুর ইসলাম জানান, বাসটির চালক পালিয়ে গেছে। দুর্ঘটনা কবলিত গাড়ি দুটিকে উদ্ধার করা হয়েছে। এই ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করা হবে বলেও জানান তিনি।


অপরদিকে গোবিন্দগঞ্জ হাইওয়ে থানার ওসি আখতারুজ্জামান জানান, দিনাজপুর থেকে ছেড়ে আসা সিরাজগঞ্জগামী ‘জেনিন পরিবহন’ নামে একটি দ্রুত গতির বাস মহেশপুর এলাকায় একটি সিএনজি চালিত অটোরিকশাকে ওভারটেক করার সময় ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই অটোরিকশার চালকসহ ২ যাত্রী মারা যায়, আহত হয় ২ অটোরিকশা যাত্রী। পরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় এক নারী মারা যায়।


নিহতরা হলেন-আব্দুল হান্নান (৫০) ও তার ছেলে আব্দুর রহমান (১৫), চালক সুমন, আরজিনা বেগম (২৬)। নিহত আব্দুল হান্নানের অপর ছেলে মো. আব্দুল্লাহকে (১০) উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।


ওসি আখতারুজ্জামান আরও জানান, নিহতদের লাশ ও দুমড়ে-মুচড়ে যাওয়া সিএনজি উদ্ধার করা হয়েছে এবং স্থানীয়দের সহায়তায় বাসটি আটক করা হলেও ঘাতক বাস চালক ও হেলপার পালিয়ে গেছেন।

Image Gallary

 
1 / 3
   
Caption Text
 
2 / 3
   
Caption Two
 
3 / 3
   
Caption Three