Showing posts with label সিগারেট. Show all posts
Showing posts with label সিগারেট. Show all posts
বাড়ছে বিড়ি-সিগারেটসহ তামাকজাত পণ্যের দাম

বাড়ছে বিড়ি-সিগারেটসহ তামাকজাত পণ্যের দাম

admin June 14, 2019
রংপুর এক্সপ্রেস ডেস্ক:
নতুন অর্থবছরের (২০১৯-২০) প্রস্তাবিত বাজেটে বিড়ি-সিগারেটসহ তামাকজাত দ্রব্যের ওপর সম্পূরক শুল্ক বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। এতে বিড়ি-সিগারেটসহ তামাকজাত পণ্যের দাম বাড়বে।

প্রস্তাবিত বাজেটে সিগারেটের নিম্নস্তরের ১০ শলাকার দাম ৩৭ টাকা এবং ৫৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের প্রস্তাব করা হয়েছে। মধ্যম স্তরের ১০ শলাকার দাম ৬৩ টাকা এবং ৬৫ শতাংশ সম্পূরক শুল্কের প্রস্তাব করা হয়েছে। এছাড়া উচ্চ স্তরের ১০ শলাকার দাম ৯৩ টাকা ও ১২৩ টাকা এবং ৬৫ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আরোপের প্রস্তাব করা হয়েছে।

যন্ত্রের সাহায্য ব্যতীত হাতে তৈরি ফিল্টারবিহীন বিড়ির ২৫ শলাকার দাম ১৪ টাকা এবং ৩৫ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আরোপ করার প্রস্তাব করা হয়েছে। ফিল্টার সংযুক্ত বিড়ির ২০ শলাকার দাম ১৭ টাকা ও ৪০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আরোপ করার প্রস্তাব করা হয়েছে।

বিড়ি-সিগারেটের মতো ভয়াবহ আরেকটি পণ্য জর্দা ও গুল। এগুলোর ব্যবহার সরাসরি হওয়ায় শরীরের ওপর এর বিরূপ প্রভাবও বেশি। এর ব্যবহার কমানোর জন্য প্রতি ১০ গ্রাম জর্দার দাম ৩০ টাকা ও ৫০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক এবং প্রতি ১০ গ্রাম গুলের দাম ১৫ টাকা এবং ৫০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক নির্ধারণের জন্য বাজেটে প্রস্তাব করা হয়েছে।

২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট জাতীয় সংসদে উপস্থাপন করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। ‘সমৃদ্ধির সোপানে বাংলাদেশ, সময় এখন আমাদের’ শীর্ষক বাজেটের আকার ধরা হয়েছে ৫ লাখ ২৩ হাজার ১৯০ কোটি টাকা।
কেন বাংলাদেশের ট্যোবাকো খাতে কোটি কোটি টাকা বিনিয়োগ জাপানি কোম্পানির

কেন বাংলাদেশের ট্যোবাকো খাতে কোটি কোটি টাকা বিনিয়োগ জাপানি কোম্পানির

admin August 08, 2018

ধুমপান বিরোধী প্রচারণা, সরকারগুলোর সচেষ্টতা ও স্বাস্থ্য সচেতনতার কারণে উন্নত দেশগুলোতে ধুমপায়ীর সংখ্যা দিন দিন কমলেও এদেশে তা দিন দিন বাড়ছে। ইউরোপ-আমেরিকার বড় বড় ট্যোবাকো কোম্পানিগুলো ওদের উন্নত দেশগুলোতে ব্যবসার সুবিধা করতে না পেরে ঝুঁকছে এশিয়ার দেশগুলোর দিকে। ইতোমধ্যেই ব্রিটিশ ট্যোবাকো বাংলাদেশের বিড়ি-সিগারেটের বাজারে একটা বড় স্থান করে নিয়েছে। আর এখন স্থান করে নেওয়ার পথে জাপানের সর্ববৃহৎ ট্যোবাকো কোম্পানি জাপান ট্যোবাকো ইনকরপোরেটেড (JTI)।


দেশে বর্তমানে ধুমপায়ীর সংখ্যা এক কোটি আশি লাখেরও বেশি। পরিসংখ্যানে জানা গেছে এ সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে। আর এই সুযোগকে কাজে লাগাচ্ছে জাপানের সর্ববৃহৎ এ ট্যোবাকে কোম্পানিটি। আর এ জন্য ইতোমধ্যেই তারা কিনেছে বাংলাদেশের বৃহত্তম এক ট্যোবাকো কোম্পানির পুরো মালিকানা। যা কিনতে তাদের লেগেছে ১২ হাজার ৪ শ কোটি টাকা।



[নিরাপদ পথ চাই আন্দোলন: ছোটদের থেকে শিক্ষা নেওয়া উচিৎ]


জাপানে বিড়ি-সিগারেটের উপর দিন দিন নিষেধাজ্ঞা বাড়ায় জাপান ট্যোবাকো মূলত বাইরের দেশ গুলোয় বিনিয়োগ জোর দিয়েছে। ইতোমধ্যে গতবছরে এরা ইন্দোনেশিয়া, ফিলিপাইনসহ বেশ কয়েকটি দেশের অনেক কোম্পানির পুরো মালিকানা বা শেয়ার কিনে নিয়েছে।



কেন টাকা ঢালছে জাপান ট্যোবাকো ইনকরপোরেটেড (জেটিআই)?


জাপান ট্যোবাকো মনে করে বাংলাদেশ বিশ্বের একটি অন্যতম সিগারেট বাজার। কোম্পানিটি এক বিবৃতিতে জানায়, 'সিগারেটের চাহিদায় বাংলাদেশ দুনিয়ার অষ্টম বৃহত্তম বিড়ি-সিগারেটের বাজার।' মূলত এখানের তুলনায় অধিক মুনাফা অর্জন করার মতো স্থান পৃথিবীতে অনেক কম। এসব কারণেই তারা এ দেশের সিগারেট খাতে এতো বিপুল পরিমাণ অর্থ বিনিয়োগ করছে। বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম কোম্পানি আকিজ গ্রুপের মালিকানা কেনার পর জাপানি ওই কোম্পানিটি এক বিবৃতিতে জানায়, তারা বাংলাদেশের বিড়ি-সিগারেটের বাজারের অন্তত বিশ শতাংশে তারাই অংশীদার হবে।


জানা গেছে, বাংলাদেশের রাজস্বের এক বিরাট অংশ আসে ট্যোবাকো থেকে। যার পরিমাণ প্লাস-মাইনাস ১৫ শত কোটি টাকারও বেশি। আর ধুমপান বিরোধীরা মনে করেন, এ কারণেই দেশের সরকার বিড়ি-সিগারেটের কর-কাঠামোতে পরিবর্তন আনতে আনছে না। ফলে দিন দিন বাড়ছে ধুমপায়ী মানুষের সংখ্যা।

Image Gallary

 
1 / 3
   
Caption Text
 
2 / 3
   
Caption Two
 
3 / 3
   
Caption Three