নিউজ ডেস্ক:
দ্বিতীয় দফায় ৯৩টি পণ্যের মান পরীক্ষা করে ২২টি ব্র্যান্ডের পণ্যকে ‘নিম্ন মানের বলে ঘোষণা করা হয়েছে। এসব পণ্য আগামী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে বাজার থেকে তুলে নিতে কোম্পানিগুলোকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার জাতীয় মান নির্ধারণকারী সংস্থা বিএসটিআই এই নির্দেশ দেন।
এর মধ্যে রয়েছে- হাসেম ফুডসের কুলসন ব্র্যান্ডের লাচ্ছা সেমাই এবং এস এ সল্টের মুসকান ব্র্যান্ডের আয়োডিনযুক্ত লবণ, প্রাণ ডেইরির প্রাণ প্রিমিয়াম ব্র্যান্ডের ঘি, স্কয়ার ফুড অ্যান্ড বেভারেজের রাঁধুনী ব্র্যান্ডের ধনিয়া গুঁড়া ও জিয়ার গুঁড়া, চট্টগ্রামের যমুনা কেমিক্যাল ওয়ার্কসের এ-৭ ব্র্যান্ডের ঘি, চট্টগ্রামের কুইন কাউ ফুড প্রোডাক্টসের গ্রিন মাউন্টেন ব্র্যান্ডের বাটার অয়েল, চট্টগ্রামের কনফিডেন্স সল্টের কনফিডেন্স ব্র্যান্ডের আয়োডিনযুক্ত লবণ, ঝালকাঠির জে কে ফুড প্রোডাক্টের মদিনা ব্র্যান্ডের লাচ্ছা সেমাই, চাঁদপুরের বিসমিল্লাহ সল্ট ফ্যাক্টরির উট ব্র্যান্ডের আয়োডিনযুক্ত লবণ এবং চাঁদপুরের জনতা সল্ট মিলসের নজরুল ব্র্যান্ডের আয়োডিনযুক্ত লবণ।
এসব পণ্যের লাইসেন্স স্থগিত করেছে বিএসটিআই। তবে থ্রি স্টার ফ্লাওয়ার মিলের থ্রি স্টার ব্র্যান্ডের হলুদের গুঁড়া এবং এগ্রো অর্গানিকের খুশবু ব্র্যান্ডের ঘি নিম্নমানের হওয়ায় কোম্পানি দুটির লাইসেন্স বাতিল করেছে বিএসটিআই।
এছাড়া আরও ৮টি প্রতিষ্ঠান বিএসটিআইয়ের কোনো লাইসেন্স ছাড়াই পণ্য বাজারজাত করছিল। তাদের নাম প্রকাশ না করে এসব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে নিয়োমিত মামলা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে বিএসটিআই।
এদিকে গত রোজাকে সামনে রেখে বাজার থেকে ৪০৬টি পণ্যের নমুনা সংগ্রহ করে তার মান পরীক্ষা করে বিএসটিআই। গত ১ মে প্রথম ধাপে ৩১৩টি পণ্যের মান পরীক্ষার ফল প্রকাশ করে তারা। সেখানে ৫২টি ব্র্যান্ডের পণ্যকে নিম্নমানের বলে ঘোষণা করা হয়। তবে পরে কয়েকটি পণ্য মানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলে তাদের উপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয় বিএসটিআই। এরপর দ্বিতীয় ধাপে বাকি ৯৩টি পণ্যের মান পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হল।