Showing posts with label বোরো ধান. Show all posts
Showing posts with label বোরো ধান. Show all posts
কৃষকদের কাছ থেকে আরও আড়াই লাখ টন ধান কেনার সিদ্ধান্ত

কৃষকদের কাছ থেকে আরও আড়াই লাখ টন ধান কেনার সিদ্ধান্ত

admin June 12, 2019

রংপুর এক্সপ্রেস ডেস্ক:
দাম পড়ে যাওয়ার কৃষকদের কাছ থেকে আরও আড়াই লাখ মেট্রিক টন বোরো ধান কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার মঙ্গলবার সচিবালয়ে এক তাৎক্ষণিক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানান। কৃষিমন্ত্রী আবদুর রাজ্জাক এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন।


খাদ্যমন্ত্রী বলেন, এবার বোরোর ফলন ‘অনেক উদ্বৃত্ত’ হয়ে গেছে। দেশের খাদ্য গুদামগুলোর ধারণ ক্ষমতা ১৯ লাখ ৬০ হাজার মেট্রিক টন। আর এখন গুদামে আছে ১৪ লাখ মেট্রিক টন খাদ্যশষ্য। গত সোমবার প্রধানমন্ত্রী দিক নির্দেশনা দিয়েছেন, আমরা আরও আড়াই লাখ মেট্রিক টন ধান কৃষকের কাছ থেকে কিনব। এতেও বাজার না উঠলে (ধানের) পরিমাণ আরও বাড়াব, যেন কৃষক নায্যমূল্য পান।


এই আড়াই লাখ টনের বাইরে প্রয়োজনে আরও এক বা দুই লাখ মেট্রিক টন ধান কৃষকের কাছ থেকে কেনা হবে বলে জানান কৃষিমন্ত্রী রাজ্জাক। এবছর বোরো মৌসুমে সরকার ১০ লাখ মেট্রিক টন সিদ্ধ চাল, দেড় লাখ টন আতপ চাল এবং দেড় লাখ টন বোরো ধান এবং ৫০ হাজার মেট্রিক টন গম কেনার সিদ্ধান্ত নেয়। ঠিক হয়, ২৫ এপ্রিল থেকে প্রতিকেজি ধান ২৬ টাকা এবং প্রতি কেজি চাল ৩৬ টাকায় কিনবে সরকার। কিন্তু সরকারিভাবে ধান-চাল ক্রয় শুরু হতে দেরির কারণে ফড়িয়ারা সেই সুযোগ নেয়। তারা ইচ্ছামতো দাম নির্ধারণ করলে ধান নিয়ে অসহায় অবস্থায় পড়েন কৃষকরা। উৎপাদন খরচ না ওঠায় অসন্তোষ থেকে পাকা ধানে কৃষকের আগুন দেওয়ার ঘটনাও ঘটে।


এই পরিস্থিতিতে কৃষকদের বাঁচাতে নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে মন্ত্রণালয়কে বেশি ধান কেনার ব্যবস্থা নিতে সুপারিশ করে খাদ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি। পাশাপাশি চাল আমদানি নিরুৎসাহিত করতে শুল্ক বাড়ানো হয়।


খাদ্যমন্ত্রী জানান, এখন পর্যন্ত কৃষকের কাছ থেকে ৩০ হাজার টন বোরো ধান কেনা হয়েছে। এক লাখ ২০ হাজার টন ধান কেনা এখনও বাকি আছে। আরও দেড় লাখ টন ধান কেনার সিদ্ধান্ত হওয়ায় এবার সব মিলিয়ে মোট চার লাখ টন বোরো ধান কৃষকের কাছ থেকে কিনবে সরকার।

কাউনিয়ায় অভ্যন্তরীণ বোরো ধান সংগ্রহ উদ্বোধন

কাউনিয়ায় অভ্যন্তরীণ বোরো ধান সংগ্রহ উদ্বোধন

admin May 31, 2019

কাউনিয়া প্রতিনিধি, রংপুর:
রংপুরের কাউনিয়ায় অভ্যন্তরীণ বোরো ধান সংগ্রহ অভিযান শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৩০ মে) খাদ্য গুদামে আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উলফৎ আরা বেগম।


এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদ সদস্য আবুল কাশেম, উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক রইচ উদ্দিন, ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসিএলএসডি) শামীমা নাসরিন, প্রত্যাশার আলো পত্রিকার সম্পাদক সারওয়ার আলম মুকুল প্রমূখ।


এবারে চলতি মওসুমে প্রতি কেজি ২৬ টাকা দরে ২’শ ৩৩ মেট্রিকটন ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। আগামী ৩১ আগষ্ট ২০১৯ পর্যন্ত উপজেলার কৃষকদের নিকট থেকে এ ধান সংগ্রহ করা হবে।

এক মণ ধানের দামে ১ কেজি গরুর মাংস, কৃষকের কপালে হাত

এক মণ ধানের দামে ১ কেজি গরুর মাংস, কৃষকের কপালে হাত

admin May 09, 2019

বগুড়া প্রতিনিধি:
বগুড়ায় বোরো ধানের বাম্পার ফলনেও কপাল পুরেছে কৃষকের। ন্যায্য দাম না পাওয়ায় লোকসান গুনতে হচ্ছে তাদের। সংশ্লিষ্টরা বলছেন- এমন অবস্থা চলতে থাকলে ধান চাষে আগ্রহ হারাবে কৃষক।


খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বর্তমান বাজারে বোরো চায়না ধান বিক্রি হচ্ছে ৪২০ থেকে ৪৫০, ব্রি ধান-৫৮ বিক্রি হচ্ছে ৪৮০ থেকে ৫০০, ব্রি -২৮ বিক্রি হচ্ছে ৫০০ টাকা দরে। যা বর্তমানে এক কেজি গরুর মাংসের দামের সমান। ধানের এমন দাম পেয়ে বিপাকে পড়েছেন এ অঞ্চলের ধান চাষিরা।


জেলা কৃষি অফিস জানিয়েছে, এবার বগুড়ার ১২ উপজেলায় এক লাখ ৮৯ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হলেও চাষাবাদ হয় এক লাখ ৮৮ হাজার ১০০ হেক্টর জমিতে। আর ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয় ৬০ লাখ ৫৪ হাজার টন। মাঠ পর্যায়ে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চলতি বোরো মৌসুমে সব ধরনের কৃষি পন্যের দাম বাড়ার কারণে কৃষকের উৎপাদন খরচও বেড়েছে।


এ ব্যাপারে জেলার শিবগঞ্জের মোকামতলা এলাকার কাশিপুর গ্রামের ধান চাষি আব্দুল মান্নান পোদ্দার জানান, আমি ৪ বিঘা জমিতে ধান চাষ করেছি। এবার প্রতি বিঘা বোরো চাষে ১৪ হাজার ৫০ টাকা খরচ হয়েছে। তার মতে, এক বিঘা জমিতে বীজ বাবদ ৪শ ৫০ টাকা, হালচাষ ৮শ টাকা, চারা লাগানো ৮শ টাকা, সেচ খরচ বাবদ ১২শ টাকা, সার বাবদ ৪ হাজার টাকা, কীটনাশক বাবদ ২ হাজার টাকা, পরিচর্যা বাবদ ১ হাজার টাকা ও ধান কাটা বাবদ ৪ হাজার টাকা খরচ হয়েছে।


তিনি আরও জানান, ভালো ফলন হলে ১ বিঘা জমিতে সাধারণত ১৮ থেকে ২০ মন ধান হয়ে থাকে। সে হিসেবে ৫০০ টাকা মন হলে ২০ মন ধানের বিক্রি দাম হয় ১০ হাজার টাকা। তাই প্রতি বিঘায় প্রায় ৪ হাজারের বেশি টাকা লোকসান গুনতে হচ্ছে তাদের। তবে সবচেয়ে বেশি লোকসানে পড়েছে এ জেলার বর্গা চাষিরা। উৎপাদিত ফসলের ভাগ জমির মালিককে দেয়ায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতির মুখে পড়েছেন তারা।


জেলার নন্দীগ্রাম উপজেলার হাটলাল গ্রামের কৃষক বজলুর রহমান বলেন, ঘূর্ণীঝড় ফণীর প্রভাবে বৃষ্টি পাতের কারণে অনেক ধানের জমি পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় ধান কাটা বাবদ বাড়তি খরচ দিতে হচ্ছে শ্রমিকদের। তাই আমাদের এবার অনেক লোকসান হচ্ছে।


বগুড়ার গোকুল এলাকার ধান চাষি আইন উদ্দিন জানান, এবার ফসল ভালো হয়েছে। কিন্তু খরচ তোলা নিয়ে চিন্তায় রয়েছি। পাশাপাশি শ্রমিক সংকট তো রয়েছেই। গ্রামের শ্রমিকদের দিতে হচ্ছে অতিরিক্ত মজুরি।


জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর বগুড়ার উপ-পরিচালক নিখিল চন্দ্র বিশ্বাস জানান, বর্তমানে আবহাওয়া ভালো থাকায় এবং কৃষি অফিসের সঠিক পরামর্শ ও কৃষকদের কঠোর পরিশ্রমে এবার জেলায় বোরো ধানের ভালো ফলন হয়েছে। যা উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে বলেও মনে করেন তিনি।


এ দিকে ধান চাষে কৃষকদের আস্থা ও উৎসাহ যোগাতে দ্রুত ধানের ন্যয্য মূল্য নিশ্চিত করতে সরকারের সুদৃষ্টি দেয়া সময়ের দাবি বলে মনে করছেন এ অঞ্চলের কৃষকরা।



আরও দেখুন: আকাশ ছোঁয়া গোস্তের দাম ওে জনগণের প্রতিক্রিয়া >>


https://www.youtube.com/watch?v=zF8sPlXg55w

Image Gallary

 
1 / 3
   
Caption Text
 
2 / 3
   
Caption Two
 
3 / 3
   
Caption Three