Showing posts with label ১৯৯২ বিশ্বকাপ. Show all posts
Showing posts with label ১৯৯২ বিশ্বকাপ. Show all posts
অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে লড়াই করে ৪৮ রানে হারলো টাইগাররা

অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে লড়াই করে ৪৮ রানে হারলো টাইগাররা

admin June 21, 2019

লক্ষ্যটা জানা বা শোনার পরই বেশিরভাগ দর্শক মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিলেন টেলিভিশনের সামনে থেকে। এই ম্যাচে বিন্দুমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়ে তোলা সম্ভব তাও ধারণা করেননি অনেকে। কিন্তু তখনও হাল ছাড়েননি টাইগাররা। লক্ষ্যের প্রতি ছুটেছেন প্রতিটা ক্ষণ। ৩৮২ রানের লক্ষ্য তাড়া করে ৪৮ রানে হারলেন বটে, তবে তার আগে ভিত কাঁপিয়ে দিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ান শিবিরের। ম্যাচে কয়েকবার জয়ের স্বপ্নও জাগিয়েছেন টাইগাররা। শতরানের দুর্দান্ত এক ইনিংস খেলেছেন মুশফিকুর রহিম। ৩৩৩ রানে থামে বাংলাদেশের ইনিংস। ওয়ানডে ক্রিকেটে এটি টাইগারদের সর্বোচ্চ সংগ্রহ।


বৃহস্পতিবার ইংল্যান্ডের নটিংহামে প্রথমে ব্যাট করে ডেভিড ওয়ার্নারের সেঞ্চুরি (১৬৬), উসমান খাজা ও অ্যারন ফিঞ্চের ঝড়ো ফিফটিতে ৩৮১ রানের পাহাড় গড়ে অস্ট্রেলিয়া।


টার্গেট তাড়া করতে নেমে মুশফিকুর রহিমের সেঞ্চুরি ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ-তামিম ইকবালের ঝড়ো ফিফটিতে ৩৩৩ রান তুলতে সক্ষম হয় বাংলাদেশ। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ১০২ রান করেন মুশফিক। ৬৯ রান করেন মাহমুদউল্লাহ। এছাড়া ৬২ রান করেন তামিম ইকবাল। ৪১ রান করেন সাকিব।


অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৩৮২ রানের পাহাড় ডিঙাতে নেমে তামিম ইকবালের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝিতে রান আউট হন সৌম্য সরকার। দলীয় ২৩ রানে উদ্বোধনী জুটি ভাঙে টাইগারদের। ওয়ান ডাউনে খেলতে নেমে দুর্দান্ত ব্যাটিং করেন সাকিব আল হাসান। আগের চার ম্যাচে দুই ফিফটির পর ব্যাক টু ব্যাক সেঞ্চুরি করা সাকিব এদিন ফেরেন ৪১ বলে ৪১ রান করে আউট হন।


ইনিংসের শুরু থেকে অসাধারণ ব্যাটিং করেন তামিম ইকবাল। ভালো শুরুর পরও নিজের ইনিংসটা লম্বা করতে পারেননি এ ওপেনার। ফিফটি তুলে নেয়ার পর মারমুখি ভঙিতে খেলে যাওয়া তামিম মিসেল স্টার্কের ভুল শটে আউট হন। তার আগে ৭৪ বলে ৬টি চারের সাহায্যে ৬২ রান করেন তামিম।


আগের ম্যাচে ৬৯ বলে ৯৪ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলে আশা জাগিয়ে ছিলেন লিটন দাস। কিন্তু আজ অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে দলের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে হতাশ করেন লিটন। অজিদের বিপক্ষে ১৭ বলে ২০ রান করে ফেরেন এই উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান।


লিটন দাসের বিদায়ের পর মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের সঙ্গে জুটি বেধে অনবদ্য ব্যাটিং করে যান মুশফিকুর রহিম। পঞ্চম উইকেটে তারা ১২৭ রানের জুটি গড়ে দলকে জয়ের স্বপ্ন দেখান। শেষ দিকে জয়ের জন্য বাংলাদেশের প্রয়োজন ছিল ২৮ বলে ৮০ রান। খেলার এমন অবস্থায় নাথান কোল্টার নিলের তোপের মুখে পড়ে দুই বলে মাহমুদউল্লাহ ও সাব্বির রহমানের উইকেট হারায় বাংলাদেশ।


মাহমুদউল্লাহর বিদায়ের মধ্য দিয়ে জয়ের স্বপ্ন ফিকে হয়ে যায় টাইগারদের। শেষ দিকে মুশফিকুর রহিমের একার লড়াইয়ে পরাজয়ের ব্যবধান কমলেও হার এড়াতে পারেনি বাংলাদেশ।


অস্ট্রেলিয়া ৩৮১/৫


ডেভিড ওয়ার্নারের অনবদ্য সেঞ্চুরিতে বাংলাদেশের বিপক্ষে ৫ উইকেটে ৩৮১ রানের পাহাড় গড়েছে অস্ট্রেলিয়া। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ১৬৬ রান করেন ওয়ার্নার। এছাড়া ৮৯ রান করেন উসমান খাজা। ৫৩ রান করেন অ্যারন ফিঞ্চ।


বৃহস্পতিবার ইংল্যান্ডের নটিংহামে বাংলাদেশের বিপক্ষে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে উড়ন্ত সূচনা করে অস্ট্রেলিয়া। ৯.৩ ওভারে স্কোরবোর্ডে ৫০ রান যোগ করেন দুই ওপেনার অ্যারন ফিঞ্চ ও ডেভিড ওয়ার্নার। উইকেটে থিতু হওয়ার পর থেকেই একের পর এক বাউন্ডারি হাঁকান ওয়ার্নার-ফিঞ্চ।


উদ্বোধনী জুটিতে ডেভিড ওয়ার্নারের সঙ্গে ১২১ রানের জুটি গড়েন অ্যারন ফিঞ্চ। ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠা তাদের এই জুটি ভাঙেন সৌম্য সরকার। মাশরাফি, মোস্তাফিজ, সাকিব, রুবেল মিরাজরা ইনিংসের প্রথম ২০ ওভার বল করেও দলকে ব্রেক থ্রু এনে দিতে ব্যর্থ হন।


টুকটাক বোলিং করা জাতীয় দলের ওপেনার সৌম্য সরকার ২১তম ওভারে বোলিংয়ে এসেই অস্ট্রেলিয়ান অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চকে ক্যাচ তুলতে বাধ্য করেন। রুবেলের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরার আগে ৫১ বলে ৫টি চার ও দুই ছক্কায় ৫৩ রান করেন ফিঞ্চ।


এরপর দ্বিতীয় উইকেটে উসমান খাজাকে সঙ্গে নিয়ে ১৯২ রানের জুটি গড়েন ডেভিড ওয়ার্নার। এই জুটিতেই শতরানের মাইলফলক স্পর্শ করেন অস্ট্রেলিয়ান এ ওপেনার। বিশ্বকাপে তৃতীয় সেঞ্চুরি করার পর একেরপর এক বাউন্ডারি হাঁকিয়ে দেড়শ পূর্ণ করেন ওয়ার্নার। তার ব্যাটে ভর করে রানের পাহাড় গড়ার পুঁজি পায় অস্ট্রেলিয়া।


উইকেটে অনবদ্য ব্যাটিং করে যাওয়া ওয়ার্নারকে শেষ পর্যন্ত সাজঘরে ফেরান সৌম্য সরকার। সৌম্যর বলে বাউন্ডারি হাঁকাতে গিয়ে রুবেলের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরেন ওয়ার্নার। তার আগে ১৪৭ বলে ১৬৬ রান করেন অস্ট্রেলিয়ান এ তারকা ব্যাটসম্যান।


এরপর চার নম্বর পজিশনে ব্যাটিংয়ে নেমে রীতিমতো তাণ্ডব চালান গ্ল্যান ম্যাক্সওয়েল। মাত্র ১০ বলে তিনটি ছক্কা ও দুটি চারের সাহায্যে ৩২ রান করা অস্ট্রেলিয়ান এ খুনে ব্যাটসম্যানকে সাজঘরে ফেরান রুবেল হোসেন। তার দুর্দান্ত থ্রোতে স্ট্যাম্প ভেঙে যায় ম্যাক্সওয়েলের।


তবে সেঞ্চুরির পথেই ছিলেন উসমান খাজা। অনবদ্য ব্যাটিং করে যাওয়া অস্ট্রেলিয়ান এ মুসলিম ক্রিকেটারকে তৃতীয় শিকারে পরিণত করেন সৌম্য সরকার। তার আগে ৭২ বলে ১০টি চারের সাহায্যে ৮৯ রান করেন উসমান খাজা। ছয় নম্বর পজিশনে ব্যাটিংয়ে নেমে রানের খাতা খুলতে না খুলতেই মোস্তাফিজুর রহমানের বলে এলবিডব্লিউ হয়ে ফেরেন স্টিভ স্মিথ।


৪৯ ওভারে দলীয় ৩৬৮/৫ রানের সময় বৃষ্টি শুরু হয়। বৃষ্টির কারণে খেলা আধা ঘণ্টা বন্ধ থাকে। এরপর ব্যাটিংয়ে নেমে ইনিংসের শেষ ওভারে মোস্তাফিজের করা ওভারে ১৩ রান আদায় করে নেন মার্কু স্টইনিস ও অ্যালেক্স ক্যারি। শেষ পর্যন্ত ৫০ ওভারে ৫ উইকেটে ৩৮১ রানে ইনিংস সমাপ্ত করে অস্ট্রেলিয়া। বাংলাদেশ দলের হয়ে ৮ ওভারে ৫৮ রানে ৩ উইকেট নেন সৌম্য সরকার।


সংক্ষিপ্ত স্কোর অস্ট্রেলিয়া: ৫০ ওভারে ৩৮১/৫ (ওয়ার্নার ১৬৬, উসমান ৮৯, ফিঞ্চ ৫৩, ম্যাক্সওয়েল ৩২, স্টইনিস ১৭*, অ্যালেক্স ক্যারি ১১*, স্মিথ ১; সৌম্য ৩/৫৮, মোস্তাফিজ ১/৬৯)।


বাংলাদেশ: ৫০ ওভারে ৩৩৩/১০ (মুশফিক ১০২,মাহমুদউল্লাহ ৬৯, তামিম ৬২, সাকিব ৪১)।


ফল: অস্ট্রেলিয়া ৪৮ রানে জয়ী।

অস্ট্রেলিয়া-বাংলাদেশ ম্যাচেও বৃষ্টির বাগড়া

অস্ট্রেলিয়া-বাংলাদেশ ম্যাচেও বৃষ্টির বাগড়া

admin June 21, 2019

এবারের বিশ্বকাপ জুড়েই বৃষ্টির বাগড়া। বৃষ্টির কারণে চারটি ম্যাচ পরিত্যক্ত হয়েছে। বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়া ম্যাচেও বৃষ্টির হানা। বৃষ্টির কারণে খেলা আপতত বন্ধ রয়েছে। তার আগে ৪৯ ওভারে ৫ উইকেটে ৩৬৮ রান সংগ্রহ করেছে অস্ট্রেলিয়া।


বৃহস্পতিবার ইংল্যান্ডের নটিংহামে বাংলাদেশের বিপক্ষে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে উড়ন্ত সূচনা করে অস্ট্রেলিয়া। ৯.৩ ওভারে স্কোরবোর্ডে ৫০ রান যোগ করেন দুই ওপেনার অ্যারন ফিঞ্চ ও ডেভিড ওয়ার্নার। উইকেটে থিতু হওয়ার পর থেকেই একের পর এক বাউন্ডারি হাঁকান ওয়ার্নার-ফিঞ্চ।


উদ্বোধনীতে জুটিতে ডেভিড ওয়ার্নারের সঙ্গে ১২১ রানের জুটি গড়েন অ্যারন ফিঞ্চ। ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠা তাদের এই জুটি ভাঙেন সৌম্য সরকার। মাশরাফি, মোস্তাফিজ, সাকিব, রুবেল মিরাজরা ইনিংসের প্রথম ২০ ওভার বল করেও দলকে ব্রেক থ্রু এনে দিতে ব্যর্থ হন।


টুকটাক বোলিং করা জাতীয় দলের ওপেনার সৌম্য সরকার বোলিংয়ে এসেই অস্ট্রেলিয়ান অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চকে ক্যাচ তুলতে বাধ্য করেন। রুবেলের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরার আগে ৫১ বলে ৫টি চার ও দুই ছক্কায় ৫৩ রান করেন ফিঞ্চ।


এরপর দ্বিতীয় উইকেটে উসমান খাজাকে সঙ্গে নিয়ে ১৯২ রানের জুটি গড়েন ডেভিড ওয়ার্নার। এই জুটিতেই শতরানের মাইলফলক স্পর্শ করেন অস্ট্রেলিয়ান এ ওপেনার। বিশ্বকাপে তৃতীয় সেঞ্চুরি করার পর একেরপর এক বাউন্ডারি হাঁকিয়ে দেড়শ পূর্ণ করেন ওয়ার্নার। তার ব্যাটে ভর করে রানের পাহাড় গড়ার পুঁজি পায় অস্ট্রেলিয়া।


উইকেটে অনবদ্য ব্যাটিং করে যাওয়া ওয়ার্নারকে শেষ পর্যন্ত সাজঘরে ফেরান সৌম্য সরকার। সৌম্যর বলে বাউন্ডারি হাঁকাতে গিয়ে রুবেলের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরেন ওয়ার্নার। তার আগে ১৪৭ বলে ১৬৬ রান করেন অস্ট্রেলিয়ান এ তারকা ব্যাটসম্যান। ৪৮.২ ওভারে দলীয় ৩১৩ রানে আউট হন ওয়ার্নার।


এরপর চার নম্বর পজিশনে ব্যাটিংয়ে নেমে ব্যাটিং তাণ্ডব চালান গ্ল্যান ম্যাক্সওয়েল। মাত্র ১০ বলে তিনটি ছক্কা ও দুটি চারের সাহায্যে ৩২ রান করা অস্ট্রেলিয়ান এ খুনে ব্যাটসম্যানকে সাজঘরে ফেরান রুবেল হোসেন। তার দুর্দান্ত থ্রোতে স্ট্যাম্প ভেঙে যায় ম্যাক্সওয়েলের।


তবে সেঞ্চুরির পথেই ছিলেন উসমান খাজা। অনবদ্য ব্যাটিং করে যাওয়া অস্ট্রেলিয়ান এ মুসলিম ক্রিকেটারকে তৃতীয় শিকারে পরিণত করেন সৌম্য সরকার। তার আগে ৭২ বলে ১০টি চারের সাহায্যে ৮৯ রান করেন উসমান খাজা। ছয় নম্বর পজিশনে ব্যাটিংয়ে নেমে মোস্তাফিজুর রহমানের বলে এলবিডব্লিউ হয়ে ফেরেন স্টিভ স্মিথ।

শঙ্কাই সত্যি, বাংলাদেশ-শ্রীলংকা ম্যাচ পরিত্যক্ত ঘোষণা

শঙ্কাই সত্যি, বাংলাদেশ-শ্রীলংকা ম্যাচ পরিত্যক্ত ঘোষণা

admin June 12, 2019

রংপুর এক্সপ্রেস ডেস্ক:
অবিরত বৃষ্টির কারণে ব্রিস্টলে বাংলাদেশ ও শ্রীলংকার মধ্যে আজকের ম্যাচটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। মাঠে পানি জমে আছে। বলা হচ্ছে, যদি বৃষ্টি থেমেও যেত, তবুও খেলার জন্য মাঠ প্রস্তুত করা অসম্ভব হয়ে পড়তো।


এর মধ্যে বৃষ্টি মাথায় নিয়ে আম্পায়াররা মাঠ পরিদর্শন করেন। তারা মাঠের কর্মীদের সঙ্গে পরিস্থিতি নিয়ে আলাপ করেন। পরে বাংলাদেশ সময় মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টায় ম্যাচ পরিত্যক্ত ঘোষণা করেন। কাজেই খেলার পয়েন্ট দুই দলের মধ্যে ভাগাভাগি হয়ে গেছে।


ব্রিস্টলে বৈরী আবহাওয়ার শিকার দ্বিতীয় ম্যাচ এটি। এর আগে শুক্রবার শ্রীলংকার সঙ্গে পাকিস্তানের ম্যাচটি বৃষ্টিতে ভেসে গিয়েছিল।


এবারের আসরে এখন পর্যন্ত সব মিলিয়ে তিন ম্যাচ পরিত্যক্ত হলো বৃষ্টির বাধায়। গত সোমবার সাউথ্যাম্পটনে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও দক্ষিণ আফ্রিকার ম্যাচে খেলা হয় মোটে ৭ ওভার ৩ বল।


চার ম্যাচে ৩ পয়েন্ট নিয়ে সাত নম্বরে আছে বাংলাদেশ। ৪ পয়েন্ট নিয়ে পাঁচ নম্বরে আছে ১৯৯৬ আসরের চ্যাম্পিয়ন শ্রীলংকা।


বাংলাদেশ বনাম শ্রীলংকার ম্যাচটি না হওয়া নিয়ে দর্শকদের মধ্যে আগেই শঙ্কা দেখা দিয়েছিল। কেউ কেউ হতাশ হয়ে মাঠ ছেড়ে বাড়ির পথ ধরেন।


এর আগে গ্যালারি থেকে মাহফুজুর রহমান নামের এক দর্শক জানান, আমরা চারজন মিলে খেলা দেখতে এসেছি। যারা ব্রিটেনের আবহাওয়ার সঙ্গে পরিচিত, তারা বলছেন- পরিস্থিতি ভালো হবে না। অবস্থা দেখে তাদের কাছে মনে হচ্ছে, খেলা না হওয়ার আশঙ্কা ৭৫ শতাংশ। তাই তারা চলে গেছেন।


তার মতে, এই ধরনের বৃষ্টি সাধারণত থামে না। কারণ গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। ব্রিটেনের বাস্তবতায় এই ধরনের বৃষ্টি সারাক্ষণ লেগেই থাকে।


বাংলাদেশ সময় ৫টা ১৫ মিনিটে আম্পায়ারদের মাঠ পরিদর্শনে যাওয়ার কথা ছিল। এরপর খেলার ভবিষ্যৎ নিয়ে তাদের সিদ্ধান্ত জানানোর কথা। কিন্তু বৃষ্টি হওয়ায় তারা মাঠ পরিদর্শন করতে পারেননি।


আগেও একবার বৃষ্টি ফিরে আসায় মাঠ পরিদর্শন স্থগিত করেছিলেন আম্পায়াররা। ব্রিস্টলের আবহাওয়া বুলেটিনে সোমবারই জানানো হয়েছিল, মঙ্গলবার সারাদিন বৃষ্টি হতে পারে। আবহাওয়ার পূর্বাভাস সত্যি হলো। বেরসিক বৃষ্টি হানা দিল বাংলাদেশ বনাম শ্রীলংকা ম্যাচে। বৃষ্টির সঙ্গে বয়ে যাচ্ছে ঠাণ্ডা বাতাস।


গতকাল পড়ন্ত বিকাল থেকেই শুরু হয় বৃষ্টি। তার পর আর মেলেনি সূর্যের দেখা, ঝিরঝিরে বৃষ্টি আর কনকনে বাতাসের সঙ্গে মেঘে ঢাকা আকাশ- ঠিক এ অবস্থায়ই পার হয়েছে রাত।


মঙ্গলবার ভোরেও ব্রিস্টলের আকাশে দেখা যায়নি সূর্যের উপস্থিতি। যেখানে ভোর সাড়ে ৪টা থেকে ৫টার মধ্যেই সূর্য উঠে যায়, সেখানে সকাল ৭টা পর্যন্তও আকাশ ছিল মেঘে ঢাকা।


পয়েন্ট ভাগাভাগিকে সান্ত্বনা পুরস্কার হিসেবে মেনে নিতে হচ্ছে মাশরাফিদের। কিন্তু এটা টাইগারদের জন্য ম্যাচ হারার মতোই ব্যাপার।


শ্রীলংকার বিপক্ষে সবশেষ তিন দেখায় জিতেছে বাংলাদেশ। নিদাহাস ট্রফিতে দুই ম্যাচে এবং এশিয়া কাপে লংকানদের হারিয়েছেন টাইগাররা।


তবে বিশ্বকাপে তিনবারের দেখায় একবারও জয় পাননি তারা। এ ম্যাচে জিততে হলে তাই রেকর্ড ব্রেক করতে হবে। এ ক্ষেত্রে সিনিয়র-জুনিয়রদের সম্মিলিত দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের বিকল্প নেই।

১৯৯২ -এর পাকিস্তান চমক

১৯৯২ -এর পাকিস্তান চমক

admin May 24, 2019

রংপুর এক্সপ্রেস ডেস্ক:
রঙিন পোশাক, সাদা বল। কালো সাইটস্ক্রিন, কৃত্রিম আলো। টিভি সম্প্রচারে নতুনত্ব, দর্শকে ঠাসা স্টেডিয়াম। অনেক দিক থেকেই ১৯৯২ বিশ্বকাপ ছিল চমক জাগানিয়া। তবে আলো ঝলমলে আসরের সবচেয়ে বড় চমকের নাম ছিল পাকিস্তান। খাদে2র কিনারা থেকে ঘুরে দাঁড়িয়ে যেভাবে শিরোপা জিতেছিল ইমরান খানের দল, তা চিরস্থায়ী জায়গা পেয়ে গেছে ক্রিকেটীয় রূপকথায়।


বিদায়ের দুয়ারে দাঁড়িয়ে অস্ট্রেলিয়ার মুখোমুখি হয়েছিল পাকিস্তান। অধিনায়ক ইমরান খান সেদিন টস করতে নামলেন জার্সির বদলে সাদা টি শার্ট গায়ে, যেখানে আঁকা বাঘের ছবি। ধারাভাষ্যকারের প্রশ্নে ইমরান বললেন, “আমি দলকে বলেছি কোণঠাসা বাঘের মতো লড়াই করতে। নিশ্চয়ই জানেন, কোণঠাসা বাঘ কতটা বিপজ্জনক!”


ইমরানের কথাকে সত্যি প্রমাণ করেছিল দল। সেই ম্যাচ থেকেই অবিশ্বাস্যভাবে ঘুরে দাঁড়িয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল পাকিস্তান। পাকিস্তানের শিরোপা জয় ছিল উত্তেজনাপূর্ণ নাটকের শেষ অঙ্ক। তবে নাটকীয়তার অনেক রসদ ছিল শুরু থেকেই।


৬০ ওভার থেকে ওয়ানডে ৫০ ওভারে নেমে এসেছিল আগের বিশ্বকাপেই। ৩০ গজের বৃত্তের সঙ্গেও পরিচয় হয়ে গিয়েছিল সেবার। অস্ট্রেলিয়া ও নিউ জিল্যান্ডে ২২ ফেব্রুয়ারি থেকে ২৫ মার্চ হয়ে যাওয়া পঞ্চম আসরে দেখা মেলে অনেক নতুনের, অনেক প্রথমের।


সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বদল ছিল, প্রথম ১৫ ওভারে ৩০ গজ বৃত্তের বাইরে ২ জনের বেশি ফিল্ডার রাখতে না পারা। ক্রিকেটের চিরায়ত ঘরানা বদলে যাওয়ার মূলে ছিল সেই নিয়ম। এই নিয়মের সুবিধা নিতেই জন্ম হয় পিঞ্চ হিটিংয়ের। ঝড়ো ব্যাটিংয়ের যে ধারা পরবর্তীতে নানাভাবে বিবর্তিত হয়ে এখন রূপ নিয়েছে আগ্রাসী ব্যাটিংয়ের স্বাভাবিকতায়।


তাসমান পারের দুই দেশের ১৮টি ভেন্যুতে সেবার হয়েছিল ৩৯ ম্যাচ। অস্ট্রেলিয়ার ১১ ভেন্যুতে ২৫ ম্যাচ, নিউ জিল্যান্ডের ৭ ভেন্যুতে ১৪টি। দক্ষিণ গোলার্ধে হওয়া প্রথম বিশ্বকাপেই প্রথমবার রঙিন পোশাকে খেলে দলগুলো। সামঞ্জস্য রাখতে খেলা হয় সাদা বলে, কালো সাইটস্ক্রিনে। প্রথমবারের মতো কিছু ম্যাচ হয় দিন-রাতের। দুই সেমি-ফাইনাল ও ফাইনালে ছিলেন ম্যাচ রেফারি।


শুরুতে আগের চার আসরের মতোই আট দলকে নিয়ে বিশ্বকাপ আয়োজনের ভাবনা ছিল। বর্ণবাদ প্রথার অবসানের পর ২১ বছরের নির্বাসন কাটিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা ফেরায় পরিবর্তন আনতে হয় ফরম্যাটে। প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপে অংশ নেয় ৯ দল। লিগের মতো একে অন্যের বিপক্ষে খেলে দেশগুলো। সেরা চার দল জায়গা করে নেয় সেমি-ফাইনালে। এই ফরম্যাটেই হবে ২০১৯ বিশ্বকাপ।


টানা তৃতীয়বারের মতো বাছাই পর্ব পেরিয়ে বিশ্বকাপে জায়গা করে নেয় জিম্বাবুয়ে। এই আসরের পরপরই পূর্ণ সদস্যের মর্যাদা পেয়ে যায় তারা। জিম্বাবুয়ের কাছে বাছাই পর্বের সেমি-ফাইনালে হেরে ভেঙে যায় বাংলাদেশের আরেকটি বিশ্বকাপ স্বপ্ন। ইংল্যান্ডের বাইরে প্রথমবারের মতো হয় বাছাই পর্ব। ফাইনালে স্বাগতিক নেদারল্যান্ডসকে হারিয়ে দেয় জিম্বাবুয়ে।


ব্রায়ান লারা, ইনজামাম-উল-হকের মতো কিংবদন্তিদের আগমণী বার্তা ছিল এই বিশ্বকাপ। ক্রিকেটের গল্পগাঁথায় স্থায়ী আসন পেয়ে গেছে কিছু পারফরম্যান্স। ইনজামামকে জন্টি রোডসের ডাইভ দিয়ে করা রান আউট কিংবা ওয়াসিম আকরামের দুর্দান্ত ইনসুইংয়ে ইংল্যান্ডের ক্রিস লুইসের বোল্ড হয়ে যাওয়া আজও হয়ে আছে ওয়ানডে ক্রিকেটের বড় বিজ্ঞাপন।


১৯৯২ বিশ্বকাপে পরিষ্কার ফেভারিট ছিল অস্ট্রেলিয়া। আগের আসরের চ্যাম্পিয়ন দল ততদিনে আরও পরিণত। নিজ আঙিনায় খেলা, ক্রিকেটাররাও ছিলেন ছন্দে। কিন্তু বদলে যাওয়া নিয়মের সঙ্গে হয়তো মানিয়ে নিতে পারেনি শিরোপাধারীরা। ঠিক উল্টো কাজটা করে ক্রিকেট বিশ্বকে চমকে দেয় নিউ জিল্যান্ড। ব্যাট হাতে দলকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেন মার্টিন ক্রো। ক্রিকেট বিশ্বকে চমকে দেন উদ্ভাবনী অধিনায়কত্বে। জেতেন এই আসর দিয়ে শুরু হওয়া বিশ্বকাপের সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার।


প্রথম ১৫ ওভারের ফিল্ডিং বাধ্যবাধকতার সুবিধা নিতে মারকুটে মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান মার্ক গ্রেটব্যাচকে ওপেনিংয়ে নামিয়ে দেন ক্রো। নতুন ভ‚মিকায় দারুণ সফল হন গ্রেটব্যাচ।
ক্রোর আরেকটি বড় চমক ছিল অফ স্পিনার দীপক প্যাটেলকে দিয়ে বোলিংয়ের সূচনা করা। এখন স্পিনে শুরু নিয়মিত হলেও সেই সময়ে এটি ছিল প্রায় অভাবনীয়। বিস্মিত প্রতিপক্ষরা ভড়কে যায় এই পদক্ষেপে।


ব্যাটিং ও বোলিংয়ে অমন বিপ্লবী ভাবনা আর মিডল অর্ডারে ক্রোর অসাধারণ ধারাবাহিকতায় নিউ জিল্যান্ড হয়ে ওঠে অপ্রতিরোধ্য। টানা সাত ম্যাচ জিতে ১৪ পয়েন্ট নিয়ে সবার ওপরে থেকে সেমি-ফাইনাল নিশ্চিত করে তারা। আট ম্যাচের মধ্যে পাঁচ জয়, দুই হার এবং এক পরিত্যক্ত ম্যাচ থেকে ১১ পয়েন্ট নিয়ে ইংল্যান্ডের অবস্থান ছিল টেবিলের দুইয়ে। ১০ পয়েন্ট নিয়ে সেমি-ফাইনালের তৃতীয় দল দক্ষিণ আফ্রিকা। দুই দশকের নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে ফেরা দলটি নিজেদের প্রথম বিশ্বকাপেই উপহার দেয় বিস্ময়। দুর্দান্ত ফিল্ডিং, দারুণ পেস বোলিং আর ব্যাটিং গভীরতা- সর্বোপরি ক্রিকেট বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন থেকেও দারুণ পেশাদারীত্বের পরিচয় দেয় প্রোটিয়ারা।


সেরা চমক ছিল পাকিস্তানের সেমি-ফাইনালে ওঠা। টুর্নামেন্টের প্রথম ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে ১০ উইকেটে বিধ্বস্ত হয় তারা। প্রথম পাঁচ ম্যাচে একমাত্র জয় ছিল জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে। আর একটি পয়েন্ট ঝুলিতে ছিল ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচ থেকে। ৭৪ রানে অলআউট হলেও বৃষ্টি বাঁচিয়ে দেয় পাকিস্তানকে। পরিত্যক্ত ম্যাচ থেকে পাওয়া ওই ১ পয়েন্ট পরে হয়ে ওঠে মহামূল্য। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ‘কোণঠাসা বাঘ’ হিসেবে খেলতে নামা ম্যাচে জয় দিয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর আখ্যানের শুরু। এরপর শ্রীলঙ্কা ও শেষ ম্যাচে তখনও পর্যন্ত অপরাজেয় নিউ জিল্যান্ডকে হারিয়ে দেয় ইমরানের দল।


তারপরও সেমি-ফাইনাল নিশ্চিত ছিল না তাদের। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে জিতলেই সেমিতে উঠত ওয়েস্ট ইন্ডিজ। কিন্তু আগেই বিদায় নেওয়া অস্ট্রেলিয়া ৫৭ রানে হারিয়ে দেয় ক্যারিবিয়ানদের। অস্ট্রেলিয়া ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের সমান ৪টি করে ম্যাচ জিতলেও পরিত্যক্ত ম্যাচের ১ পয়েন্টে মোট ৯ পয়েন্ট নিয়ে শেষ দল হিসেবে শেষ চারে জায়গা পায় পাকিস্তান।


সবচেয়ে অপ্রত্যাশিত ফলের দেখা মেলে প্রাথমিক পর্বের শেষ দিনে। মাত্র ১৩৪ রান করেও ইংল্যান্ডকে ৯ রানে হারিয়ে দেয় জিম্বাবুয়ে। এই ম্যাচের ফল পরবর্তীতে ভ‚মিকা রেখেছিল তাদের টেস্ট মর্যাদা পাওয়ার ক্ষেত্রে।


বৃষ্টি বিঘ্নিত ম্যাচে লক্ষ্য নির্ধারণের নিয়মে পরিবর্তন এসেছিল; সেমি-ফাইনালে যে নিয়মের বলি হয় দক্ষিণ আফ্রিকা। আগে ব্যাটিং করে ইংলিশরা ৬ উইকেটে তোলে ২৫২ রান। জবাবে জয়ের পথেই ছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। একসময় তাদের প্রয়োজন ছিল ১৩ বলে ২২ রান, হাতে চার উইকেট। ক্রিজে ছিলেন ব্রায়ান ম্যাকমিলানের মতো আগ্রাসী ব্যাটসম্যান। সেই সময় কেঁদে ওঠে সিডনির আকাশ। মাত্র ১০ মিনিটের বর্ষণে কাঁদিয়ে যায় দক্ষিণ আফ্রিকানদের। নতুন নিয়মের ফাঁদে ১৩ বলে ২২ রানের লক্ষ্যটা যে পরিবর্তিত হয়ে দাঁড়ায় ১ বলে ২১ রানে! হৃদয় ভাঙা হারে সেমি-ফাইনাল থেকে বিদায় নেয় দক্ষিণ আফ্রিকা।


আরেক সেমিতে পাকিস্তানের নিয়তি এঁকে দেয় তরুণ ইনজামামের ব্যাট। সাত উইকেটে ২৬২ রান করে একরকম নিশ্চিন্ত ছিল নিউ জিল্যান্ড। ১৪০ রানের মধ্যে প্রতিপক্ষের চার উইকেট তুলে জয় দেখছিল স্বাগতিকরা। তবে শেষ দিকে ইনজামামের ৩৭ বলে ৬০ রানের সাইক্লোন-ইনিংস অবিশ্বাস্যভাবে চার উইকেটে জিতিয়ে দেয় পাকিস্তানকে। বিশ্বকাপে চতুর্থ সেমি-ফাইনালে এসে প্রথমবারের মতো ফাইনালের টিকেট পায় তারা।


ইংল্যান্ডের সেটি তৃতীয় ফাইনাল। আত্মবিশ্বাসে টগবগিয়ে ফোটার কারণ ছিল। গ্রুপ পর্বে এই পাকিস্তানকেই তো মাত্র ৭৪ রানে অলআউট করে দিয়েছিল তারা! প্রথম বিশ্বকাপ জয়ের প্রত্যাশা তাই খুব স্বাভাবিকই ছিল ইংলিশদের। ফাইনালে পাকিস্তানের দুই উদ্বোধনী ব্যাটসম্যানকে ২৫ রানের মধ্যেই তুলে নেন ডেরেক প্রিঙ্গেল। দুই অভিজ্ঞ ক্রিকেটার ইমরান খান ও জাভেদ মিয়াঁদাদ এরপর পাকিস্তানের ইনিংসকে দেন স্থিতি। রানের পেছনে না ছুটে উইকেট আগলে রাখেন শুরুতে। ইমরানের ৭২ ও মিয়াঁদাদের ৫৮ রানের পর শেষ দিকে ইনজামাম (৩৫ বলে ৪২) ও ওয়াসিম আকরামের (১৮ বলে ৩৩) ঝড়ো ব্যাটিংয়ে ছয় উইকেটে ২৪৯ রানে ইনিংস শেষ করে পাকিস্তান।


জবাব দিতে নেমে ইংল্যান্ডের শুরুটা ছিল এলোমেলো। স্কোরবোর্ডে ৬৯ রান তুলতেই চার উইকেট হারিয়ে বসে তারা। অ্যালান ল্যাম্ব ও নিল ফেয়ারব্রাদারের ৭১ রানের জুটি তাদের ফেরায় কক্ষপথে। ম্যাচ মুঠো ফসকে বেরিয়ে যাচ্ছে দেখে আকরামকে তড়িঘড়ি করে দ্বিতীয় স্পেলে ফেরান ইমরান। সেটি কাজ করে জাদুর মতো। ল্যাম্ব ও লুইসকে জাদুকরী দুটি ইনসুইংয়ে বোল্ড করেন বাঁহাতি পেসার। ব্যস, ঘুরে যায় ম্যাচের মোড়। কিছুক্ষণ পর আকিব জাভেদ ফেয়ারব্রাদারকে আউট করলে শেষ হয়ে যায় ইংল্যান্ডের আশা। তাদের ২২৭ রানে অলআউট করে পাকিস্তান ফাইনাল জিতে নেয় ২২ রানে।

Image Gallary

 
1 / 3
   
Caption Text
 
2 / 3
   
Caption Two
 
3 / 3
   
Caption Three