হলি আর্টিজান বেকারিতে হামলার দুই বছর: ২১ জঙ্গির কার কী ভূমিকা ছিল

admin June 30, 2018
গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গি হামলা ঘটনার দুই বছর হতে চলেছে। এরই মধ্যে এই হামলার ঘটনায় দায়ের করা মামলার তদন্ত শেষে চার্জশিট প্রস্তুত করেছে তদন্তকারী সংস্থা কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট- সিটিটিসি। তদন্তে আলোচিত এই হত্যাযজ্ঞের সঙ্গে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে ২১ জনের সম্পৃক্ততার প্রমাণ পেয়েছে সিটিটিসি। এদের মধ্যে ঘটনার পর কমান্ডো অভিযানে নিহত পাঁচ হামলাকারী ছাড়াও আরও আট জন মারা গেছে সিটিটিসি ও র‌্যাবের অন্যান্য অপারেশনে। গ্রেফতার হওয়া ছয় আসামি ইতোমধ্যে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছে। দুই জনকে পলাতক দেখিয়ে চার্জশিট প্রস্তুত করেছে মামলার তদন্তকারী সংস্থা।
বৃহস্পতিবার (২৮ জুন) ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া বলেছেন, ‘কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের কর্মকর্তারা নিরবচ্ছিন্নভাবে এবং অত্যন্ত আন্তরিকতার সঙ্গে তদন্ত করেছেন। তদন্ত একেবারে শেষ পর্যায়ে আছে। এক সপ্তাহের মধ্যে বা ১০ দিনের মধ্যে এই মামলার অভিযোগপত্র আদালতে দাখিল করতে পারবো।’
২০১৬ সালের ১ জুলাই গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গিরা হামলা চালিয়ে ৯ ইতালিয়ান, সাত জাপানিজ, একজন ভারতীয়, একজন আমেরিকান-বাংলাদেশ দ্বৈত নাগরিক ও দুজন বাংলাদেশি এবং দুই পুলিশ কর্মকর্তাসহ মোট ২২ জনকে হত্যা করে। জঙ্গিরা রেস্টেুরেন্টের অন্যান্য অতিথি এবং কর্মচারীদের রাতভর জিম্মি করে রাখে। পরদিন সকালে সেনাবাহিনীর কমান্ডো অভিযানের মাধ্যমে শেষ হয় এই জিম্মিদশা। অপারেশন থান্ডারবোল্ট নামে পরিচালিত এই অভিযানে পাঁচ জঙ্গি ও একজন পিৎজা শেফ নিহত হয়। এছাড়া, ঘটনার সময় সন্দেহভাজন হিসেবে আটক হওয়া একজন কর্মচারী নিহত হন ৮ জুলাই। আলোচিত এই ঘটনায় গুলশান থানার পুলিশ বাদী হয়ে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে একটি মামলা দায়ের করে।
মামলার তদন্ত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, আলোচিত এই ঘটনায় হামলার পরিকল্পনা থেকে শুরু করে বিভিন্ন পর্যায়ে মোট ২১ জন জঙ্গির জড়িত থাকার তথ্য ও প্রমাণ তারা পেয়েছেন। তাদের নামেই আদালতে চার্জশিট দেওয়া হচ্ছে। এর মধ্যে যারা  বিভিন্ন অভিযানে নিহত হয়েছে, ঘটনার সঙ্গে তাদের জড়িত থাকার বিবরণ উল্লেখ করে চার্জশিটে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

জড়িত ২১ জন কারা?


সিটিটিসি সূত্রে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে জড়িত ২১ জঙ্গির সংক্ষিপ্ত বিবরণ এবং হত্যাকাণ্ডে তাদের কার কী ভূমিকা ছিল, তা তুলে ধরা হলো—
নিহত জঙ্গিরা (ওপরে বাঁ থেকে ) তামিম, মারজান, জাহিদ, সারোয়ার, বাশার ও কাদেরি

তামিম চৌধুরী: বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত কানাডিয়ান নাগরিক তামিম আহমেদ চৌধুরীকে গুলশান হামলার অন্যতম প্রধান পরিকল্পনাকারী হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে চার্জশিটে। ২০১৩ সালের ৫ অক্টোবর তুরস্ক হয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করে তামিম। এরপর প্রথম দিকে জুনুদ আল তাওহিদ নামে একটি জঙ্গি সংগঠন তৈরি করার চেষ্টা করে সে। পরবর্তীতে পুরনো জেএমবির শীর্ষ নেতা আব্দুস সামাদ মামু, মামুনুর রশীদ রিপন ও সরোয়ার জাহানসহ নব্য জেএমবি নামে একটি জঙ্গি সংগঠন গঠন করে। পরবর্তীতে তামিমের পরিকল্পনাতেই গুলশানের হোলি আর্টিজান বেকারিতে হামলা চালানো হয়। হামলার দিন সে মিরপুরের একটি আস্তানায় বসে দুই সহযোগীসহ হামলার পুরো বিষয়টি অনলাইনের মাধ্যমে দেখভাল করে। ২০১৬ সালের ২৭ আগস্ট নারায়ণগঞ্জের পাইকপাড়ায় পুলিশ সদর দফতর ও কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের জঙ্গিবিরোধী এক অভিযানে দুই সহযোগীসহ মারা যায় তামিম।

সরোয়ার জাহান ওরফে আব্দুর রহমান: গুলশান হামলার আরেক শীর্ষ পরিকল্পনাকারী হিসেবে তদন্তে নাম এসেছে সারোয়ার জাহান ওরফে আব্দুর রহমানের। সরোয়ার জাহান ছিল নব্য জেএমবির আধ্যাত্মিক নেতা। গুলশান হামলার আগে সে তামিম চৌধুরীসহ পাঁচ হামলাকারীকে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার একটি বাসায় বসে সর্বশেষ নির্দেশনা দেয়। সরোয়ার জাহান এক সময় পুরনো জেএমবির শীর্ষ নেতা ছিল। তামিমের মাধ্যমে সে নব্য জেএমবিতে যোগাদান করে। সরোয়ার জাহান চাপাইনবাবগঞ্জের ভোলাহাট উপজেলার দলদলি ইউনিয়নের নামো-মুশরীভূজা গ্রামের আব্দুল মান্নানের সন্তান । ২০১৬ সালের ৮ অক্টোবর আশুলিয়ায় সারোয়ারের বাড়িতে র‌্যাব অভিযান চালালে পাঁচ তলা থেকে লাফিয়ে পড়ে পালাতে গিয়ে নিহত হয় সে।

তানভীর কাদেরী ওরফে জামসেদ: হলি আর্টিজানের হামলাকারীদের আশ্রয়দাতা ও অর্থদাতা হিসেবে নাম এসেছে তানভীর কাদেরী ওরফে জামসেদের নাম। হামলার আগে বিভিন্ন সময়ে নব্য জেএমবির সদস্যদের নিজের বাড়িতে থাকার ব্যবস্থা করে দিতো সে। নব্য জেএমবির সাংগঠনিক পরিকল্পনা অনুযায়ী বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার ই-ব্লকের ছয় নম্বর সড়কের টেনামেন্ট-৩ এর ফ্ল্যাট-এ /৬ ভাড়া নেয় সে। পাঁচ হামলাকারী ওই বাসাতেই ওঠেছিল। হামলার আগে অস্ত্র ও বোমা নিয়ে ওই বাসা থেকেই বেড়িয়ে যায় তারা। পরবর্তীতে তানভীর কাদেরী, তার স্ত্রী ও সন্তান, তামিম চৌধুরী, মারজান ও রাজীব গান্ধীরা ওই বাসাটি ছেড়ে চলে যায়। ব্যাংক কর্মকর্তা থেকে জঙ্গিবাদে জড়িয়ে পড়া তানভীর কাদেরীর গ্রামের বাড়ি গাইবান্ধা সদর উপজেলার বোয়ালিয়া ইউনিয়নের পশ্চিম বাটিকমারি গ্রামে। তার বাবার নাম বাতেন কাদেরী। ২০১৬ সালের ১০ সেপ্টেম্বর আজিমপুর এলাকায় সিটিটিসির এক অভিযানে নিহত হয় সে।

নূরুল ইসলাম মারজান: নূরুল ইসলাম মারজানকে গুলশান হামলার পরিকল্পনাকারীদের সহযোগী হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। একই সঙ্গে শীর্ষ নেতা তামিম চৌধুরীর সহযোগী হিসেবে গুলশান হামলার পরিকল্পনা বাস্তবায়নকারী হিসেবেও উল্লেখ করা হয়েছে মারজানের নাম। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি বিভাগের শিক্ষার্থী মারজান নিজে জঙ্গিবাদে জড়ানোর পর স্ত্রীকেও জঙ্গিবাদে জড়ায়। তার  বাড়ি পাবনা সদর থানার হেমায়েতপুর ইউনিয়নের আফুরিয়া গ্রামে। তার বাবার নাম নিজাম উদ্দিন। ২০১৭ সালের ৬ জানুয়ারি মোহাম্মদপুর বেড়িবাঁধ এলাকায় কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে একসহযোগীসহ নিহত হয় মারজান।

বাশারুজ্জামান চকোলেট: মারজানের মতো বাশারুজ্জামান চকোলেটও শীর্ষ নেতা তামিম চৌধুরীর সহযোগী হিসেবে গুলশান হামলার পরিকল্পনা বাস্তবায়নে গুরুত্বপূণ ভূমিকা রাখে। এমনকি তামিমের বিশ্বস্ত সহচর হিসেবে তথ্য আদান-প্রদান ও হামলাকারীদের দেখভাল করার কাজ করতো বাশারুজ্জামান। গুলশান হামলায় অংশ নেওয়া পাঁচ হামলাকারীর একই রঙের গেঞ্জি ও ট্র্যাক সু ও জুতা কেনার কাজটিও করেছিল বাশারুজ্জামান। তার বাবার নাম সিরাজ উদ্দিন। রাজশাহীর তানোর উপজেলার লালপুর এলাকায় তার বাড়ি। ঢাকার নর্থ-সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কম্পিউটার সায়েন্সে স্নাতক ডিগ্রিধারী বাশারুজ্জামান রাজধানীর তেজগাঁও এলাকায় শ্বাশুরবাড়িতে থাকা অবস্থাতে জঙ্গিবাদে জড়িয়ে ঘর ছাড়ে। ২০১৭ সালের ২৬ ও ২৭ এপ্রিল চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জে সিটিটিসির এক জঙ্গিবিরোধী অভিযানে নিহত হয় বাশার।

মিজানুর রহমান ওরফে ছোট মিজান: সোহেল মাহফুজ, সাগর ও বড় মিজানের সঙ্গে গুলশান হামলায় অস্ত্র ও গ্রেনেড সরবরাহে মিজানুর রহমান ওরফে ছোট মিজানের ভূমিকা ছিল বলে তদন্তে উঠে এসেছে। পুরনো জেএমবির সদস্য ছোট মিজান নব্য জেএমবিতে যোগ দেওয়ার পর চাঁপাইনবাবগঞ্জ এলাকায় দায়িত্বশীল পদে কাজ করেছে। তার কাজ ছিল সীমান্ত দিয়ে অস্ত্র ও  বিস্ফোরক পাচার করে বিভিন্ন আস্তানায় পৌঁছে দেওয়া। ২০১৭ সালের ২৬ ও ২৭ এপ্রিল চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জে সিটিটিসির এক জঙ্গিবিরোধী অভিযানে বাশারের সঙ্গে নিহত হয় ছোট মিজান। 

মেজর (অব.) জাহিদুল ইসলাম: গুলশান হামলায় অংশ নেওয়া হামলাকারীদের প্রশিক্ষক হিসেবে তদন্তে নাম এসেছে সেনাবাহিনী থেকে অবসর নেওয়া মেজর জাহিদুল ইসলামের। নব্য জেএমবিতে ‘মেজর মুরাদ’ হিসেবে পরিচিত ছিল সে। গাইবান্ধা ও বগুড়ার বিভিন্ন জঙ্গি আস্তানায় সে হলি আর্টিজানের হামলাকারীদের শারীরিক ও অস্ত্র চালনার প্রশিক্ষণ দেয়। কুমিল্লার সদর উপজেলার পাঁচথুবী ইউনিয়নের চাঁন্দপুর এলাকার বাসিন্দা পুলিশের সাবেক পরিদর্শক নুরুল ইসলামের ছেলে জাহিদ। কানাডা যাওয়ার কথা বলে সেনাবাহিনীর চাকরি ছেড়ে নব্য জেএমবির আরেক নেতা মুসার মাধ্যমে জঙ্গিবাদে জড়িয়ে পড়ে জাহিদ। স্ত্রী ও সন্তানসহ কথিত হিজরতের নামে ঘর ছাড়ে। ২০১৬ সালের ২ সেপ্টেম্বর মিরপুরের রূপনগরে সিটিটিসির জঙ্গিবিরোধী অভিযানে নিহত হয় জাহিদ।

রায়হান কবির ওরফে তারেক: গুলশান হামলায় প্রশিক্ষক হিসেবে রায়হান কবির ওরফে তারেক নামে আরেক তরুণের নামও তদন্তে উঠে এসেছে। মামলার অভিযোগপত্রে রায়হানকে প্রশিক্ষক হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। গাইবান্ধায় নব্য জেএমবির একটি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে গুলশান হামলায় অংশ নেওয়া পাঁচ হামলাকারীকে প্রশিক্ষণ দেয় তারেক। তার গ্রামের বাড়ি রংপুর জেলার পীরগাছা থানার পাশুয়া টাঙ্গাইলপাড়ায়। তার বাবার নাম শাহজাহান মিয়া। ২০১৩ সালে সে একই ইউনিয়নের দামুরচাকলা এলাকার  দেওয়ান সালেহ আহম্মেদ মাদ্রাসা থেকে দাখিল পাস করে। এরপর ঢাকায় এসে জঙ্গিবাদে জড়িয়ে পড়া তারেক ২০১৬ সালের ২৬ জুলাই কল্যাণপুরের জঙ্গি আস্তানায় পুলিশের অভিযানে আট সহযোগীসহ নিহত হয়।

হামলায় সরাসরি অংশ নেওয়া নিহত জঙ্গিরা:

রোহান ইবনে ইমতিয়াজ: হলি আর্টিজান বেকারিতে যে পাঁচ জঙ্গি সরাসরি হামলায় অংশ নিয়েছিল, তাদের দলনেতা ছিল রোহান ইবনে ইমতিয়াজ। তার সাংগঠনিক নাম আবু রাহিক আল বাঙালি। ঢাকার ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি থেকে বিবিএ পড়া অবস্থায় অনলাইনের মাধ্যমে জঙ্গিবাদে জড়িয়ে পড়ে সে। জঙ্গিবাদে জড়িয়ে ২০১৫ সালের ৩০ ডিসেম্বর ঘর ছেড়েছিল রোহান। নব্য জেএমবির বিভিন্ন আস্তানায় প্রশিক্ষণ নিয়ে ২০১৬ সালের পহেলা জুলাই হলি আর্টিজান বেকারিতে সরাসরি হামলায় অংশ নেয়। রোহানের বাবার নাম ইমতিয়াজ খান বাবুল। তাদের বাসা ঢাকার লালমাটিয়ার ‘বি’ ব্লকের ৭/৯ নম্বর প্লটে। জঙ্গি হামলার পরদিন কমান্ডো অভিযানে নিহত হয় রোহান।
গুলশান হামলায় সরাসরি অংশ নেওয়া পাঁচ জঙ্গি (বাঁ থেকে) নিবরাস, মোবাশ্বের, রোহান,  উজ্জ্বল ও পায়েল


নিবরাস ইসলাম: গুলশান হামলায় সরাসরি অংশ নেওয়া নিবরাস ইসলামের সাংগঠনিক নাম ছিল আবু মুহারিব আল বাঙালি। ঢাকার টার্কিশ হোপ স্কুল থেকে ও লেভেল এবং এ লেভেল শেষ করে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় নর্থ সাউথে ভর্তি হয়েছিল নিবরাস। সেখান থেকে মালয়েশিয়া গিয়ে মোনাশ ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি হয়। মোনাশে পড়া অবস্থায় তিউনিশিয়ান এক বন্ধুর মাধ্যমে জঙ্গিবাদে জড়িয়ে পড়ে নিবরাস। ২০১৫ সালের অক্টোবর মাসে দেশে ফিরে আসে। এরপর ২০১৬ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি হিজরতের নামে ঘর ছেড়ে যায় নিবরাস। তার বাবার নাম নজরুল ইসলাম। উত্তরার তিন নম্বর সেক্টরের সাত নম্বর সড়কের ৩১ নম্বর বাসায় পরিবারের সঙ্গে থাকতো সে।

মীর সামিহ মোবাশ্বের: গুলশান হামলায় সরাসরি অংশ নেওয়া আরেক জঙ্গি হলো মীর সামিহ মোবাশ্বের। তার সাংগঠনিক নাম আবু সালামাহ আল বাঙালি। স্কলাসটিকা থেকে ও লেভেল পাস করা মোবাশ্বের এ লেভেল পরীক্ষার আগে জঙ্গিবাদে জড়িয়ে ২০১৬ সালের ২৯ ফেব্রুয়ারি বাড়ি ছেড়ে চলে যায়। অন্যদের মতো মোবাশ্বেরও গাইবান্ধা, বগুড়া ও ঝিনাইদহে নব্য জেএমবির আস্তানায় থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে তামিম চৌধুরীর নির্দেশে হলি আর্টিজান বেকারিতে হামলায় অংশ নেয়। মীর সামিহ মোবাশ্বেরের বাবার নাম মীর হায়াত এ কবির। বাবা-মায়ের সঙ্গে সে বনানীর পুরনো ডিওএইচএসের পাঁচ নম্বর সড়কের ৬৮/এ নম্বর বাসায় থাকতো। গুলশান হামলার পরদিন কমান্ডো অভিযানে নিহত হয় মোবাশ্বের।

খায়রুল ইসলাম পায়েল: সরাসরি হামলায় অংশ নেওয়া খায়রুল ইসলাম পায়েলের সাংগঠনিক নাম আবু উমায়ার আল বাঙালি। তার গ্রামের বাড়ি বগুড়া জেলার শাহজাহানপুর থানার চুতিনগর ইউনিয়নের ব্রিকুষ্টিয়ায়। তার বাবা আবুল হোসেন একজন দিনমজুর। পায়েল প্রথমে ব্রিকুষ্টিয়া দারুল হাদিস সালাদিয়া কওমি মাদ্রাসায় পড়াশুনা করে। পরে ডিহিগ্রাম ডিইউ সেন্ট্রাল ফাজিল মাদ্রাসা থেকে ২০১৩ সালে দাখিল ও ২০১৫ সালে আলিম পাস করে। হামলার এক বছর আগে থেকে নিখোঁজ ছিল সে। গুলশান হামলা ছাড়াও আরও বেশ কয়েকটি হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে সে জড়িত ছিল। নব্য জেএমবির দায়িত্বশীল নেতা রাজীব ওরফে গান্ধী ওরফে সুভাষ ওরফে জাহাঙ্গীরের মাধ্যমে জঙ্গিবাদে জড়িয়ে পড়ে পায়েল। গুলশান হামলার পরদিন কমান্ডো অভিযানে নিহত হয় সে।

শফিকুল ইসলাম উজ্জ্বল ওরফে বিকাশ: শফিকুল ইসলাম উজ্জলের সাংগঠনিক নাম আবু মুসলিম আল বাঙালি। গুলশান হামলায় সরাসরি অংশ নেওয়া উজ্জ্বলের গ্রামের বাড়ি বগুড়ার ধুনট উপজেলার ভাণ্ডার বাড়ি ইউনিয়নের কৈয়াগাড়ি গ্রামে। তার বাবার নাম বদিউজ্জামান বদি। উজ্জল ধুনটের গোঁসাইবাড়ি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি ও গোসাইবাড়ি ডিগ্রি কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করে। এরপর বগুড়া সরকারি আজিজুল হক কলেজে ভর্তি হয়। পরে পড়ালেখা বাদ দিয়ে ঢাকার আশুলিয়া থানার শাজাহান মার্কেট এলাকায় মাদারী মাতব্বর কিন্ডারগার্টেন স্কুলে শিক্ষকতার চাকরি নেয়। তাবলিগে যাবার নাম করে জঙ্গিবাদে জড়িয়ে পড়ে সে। পায়েলও  রাজীব গান্ধীর হাত ধরেই জঙ্গিবাদে জড়িয়ে গুলশান হামলায় অংশ নেয়। হামলার পরদিন সকালে কমান্ডো অভিযানে নিহত হয় সে।

গ্রেফতার হওয়া ছয় জঙ্গি

জাহাঙ্গীর হোসেন ওরফে রাজীব গান্ধী: জাহাঙ্গীর হোসেন ওরফে রাজীব গান্ধীর বিরুদ্ধে গুলশান হামলার পরিকল্পনাকারী ও হামলাকারী জঙ্গি সরবরাহকারী হিসেবে তথ্য-প্রমাণ পেয়েছে মামলার তদন্ত সংশ্লিষ্টরা। ২০১৭ সালের ১৪ জানুয়ারি ঢাকার কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের হাতে গ্রেফতার হওয়া রাজীব গান্ধী গুলশান হামলার আদ্যোপান্ত স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। রাজীবের বাড়ি গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জের পশ্চিমরাঘরপুর এলাকার ভূতমারী ঘাট এলাকায়। তার বাবার নাম মাওলানা ওসমান গণি মণ্ডল। স্থানীয় একটি কলেজ থেকে এসএসসি পাস করা রাজীব ২০১৫ সালে স্ত্রী ও সন্তান নিয়ে ‘হিজরত’ করে। স্থানীয় একটি কলেজ থেকে সে এসএসসি পাস করেছে। রাজীব বর্তমানে কারাবন্দি রয়েছে।
গ্রেফতার জঙ্গিরা (বাঁ থেকে ঘড়ির কাঁটার মতো) রাজীব, সাগর, মাহফুজ, বড় মিজান, রাশেদ ও রিগ্যান


আসলামুল ইসলাম ওরফে রাশেদ ওরফে র‌্যাশ: গুলশান হামলার পরিকল্পনা সহযোগী ও বাস্তবায়নকারী হিসেবে তদন্তে নাম এসেছে আসলামুল ইসলাম ওরফে রাশেদ ওরফে র‌্যাশের নাম। সে ছিল শীর্ষ নেতা তামিম চৌধুরীর ঘনিষ্ট। নওগাঁর মান্দা এলাকার আব্দুস সালামের ছেলে রাশেদ উচ্চ মাধ্যমিক পড়া অবস্থাতেই প্রথমে অনলাইনের মাধ্যমে জঙ্গিবাদে জড়িয়ে পড়ে। পরবর্তী সময়ে নব্য জেএমবির নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ হয় তার। ঢাকায় আসার পর তামিম চৌধুরী ও মারজানের সঙ্গে থেকে জঙ্গি কার্যক্রম চালিয়ে যেতে থাকে। গুলশান হামলার পরিকল্পনা বাস্তবায়নে তামিম ও মারজানের সহযোগী হিসেবে কাজ করে। ২০১৭ সালের ২৮ জুলাই নাটোর থেকে গ্রেফতার হওয়ার পর আদালতে দায় স্বীকার করে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিও দিয়েছে সে। বর্তমানে রাশেদ কারাবন্দি রয়েছে।

সোহেল মাহফুজ ওরফে হাতকাটা মাহফুজ: গুলশান হামলায় অস্ত্র ও বোমা তৈরি এবং সরবরাহকারী হিসেবে তদন্তে নাম এসেছে সোহেল মাহফুজ ওরফে হাতকাটা মাহফুজের নাম। সোহেল মাহফুজ এক সময় পুরনো জেএমবির শীর্ষ নেতা ছিল। ২০০২ সালে পাবনা জেলা স্কুলে দশম শ্রেণিতে পড়া অবস্থাতেই জঙ্গিবাদে জড়িয়ে পড়ে সে। সোহেল মূলত বোমা তৈরির কারিগর। বোমা তৈরি করতে গিয়ে তার এক হাত উড়ে যায়। ২০১৪ সালে তামিম চৌধুরীর সঙ্গে যুক্ত হয়ে নব্য জেএমবির অস্ত্র ও বোমা তৈরির কারিগর হিসেবে কাজ করতে থাকে। গুলশান হামলায় ব্যবহৃত গ্রেনেডগুলো   শেওড়াপাড়ার আস্তানায় বসে নিজের হাতেই তৈরি করেছিল সে। ২০১৭ সালের ৭ জুলাই চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ থানাধীন পুস্কনি এলাকা থেকে তিন সহযোগীসহ গ্রেফতার করা হয় তাকে। পরবর্তীতে কয়েক দফা রিমান্ড শেষে ২৩ জুলাই গুলশান হামলার দায় স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয় সোহেল। তার গ্রামের বাড়ি কুষ্টিয়ার কুমারখালীর শিলাইদহ এলাকার সাদিপুর কাবলিপপাড়া এলাকায়। তার বাবার নাম রেজাউল করিম শেখ। বর্তমানে সে কারাগারে রয়েছে।

হাদীসুর রহমান সাগর: গুলশান হামলার তদন্তে হাদীসুর রহমান সাগরের বিরুদ্ধে বোমা তৈরি ও অস্ত্র-বোমা সরবরাহের তথ্য-প্রমাণ পেয়েছেন তদন্তকারীরা । মামলার অভিযোগপত্রে তার নাম থাকছে। পুরানো জেএমবির সদস্য সাগর ২০০১ সালে জয়পুরহাট সদরের বানিয়াপাড়া আলিয়া কামিল মাদ্রাসা থেকে আলিম পাস করার পর থেকেই জঙ্গিবাদে জড়িয়ে পড়ে। ভারত থেকে অস্ত্র ও বিস্ফোরক আনার সবগুলো রুট জানা ছিল তার। ২০১৪ সালে সে নব্য জেএমবির হয়ে কাজ শুরুর পর হলি আর্টিজানে হামলার জন্য অস্ত্র ও বিস্ফোরক সরবরাহ করেছিল সে। সাগরের গ্রামের বাড়ি জয়পুরহাটের কয়রাপাড়ায়। বাবার নাম হারুন অর রশিদ। এ বছরের (২০১৮) ২১ মার্চ চাপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ থেকে সাগরকে গ্রেফতারের পর দুই দফা রিমান্ড শেষে ৫ এপ্রিল গুলশান হামলায় সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছে। সাগর আরেক জঙ্গি মারজানের ভগ্নিপতি বর্তমানে সে কারাগারে রয়েছে। 

রাকিবুল হাসান রিগ্যান: গুলশান হামলা মামলার তদন্তে রাকিবুল হাসান রিগ্যানের নাম এসেছে হামলাকারীদের প্রশিক্ষক হিসেবে। বয়সে তরুণ  রিগ্যান ২০১৫ সালে বগুড়া সরকারি শাহ সুলতান কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করার পর জঙ্গিবাদে জড়িয়ে পড়ে। ওই বছরের ২৬ জুলাই সকালে কোচিংয়ের কথা বলে ঘর ছাড়ে রিগ্যান। নব্য জেএমবির তরুণ প্রশিক্ষক হিসেবে গাইবান্ধা ও বগুড়ার বিভিন্ন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে গুলশান হামলায় অংশ নেওয়া হামলকারীদের ধর্মীয় ও শারীরিক প্রশিক্ষণ দিয়েছিল সে। রিগ্যানের বাড়ি বগুড়ার জামিলনগর এলাকায়। তার বাবার নাম মৃত রেজাউল করিম। ২০১৬ সালের ২৬ জুলাই কল্যাণপুরের জঙ্গি আস্তানায় অভিযান চলাকালে পালিয়ে যাওয়ার সময় রিগ্যানকে গ্রেফতার করেন সিটিটিসি’র সদস্যরা। ওই বছরের ৩ অক্টোবার গুলশান হামলায় নিজের জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয় রিগ্যান। বর্তমানে সে কারাবন্দি রয়েছে।

মিজানুর রহমান ওরফে বড় মিজান: গুলশান হামলায় ব্যবহৃত অস্ত্র, বিস্ফোরক ও গোলাবারুদ চাঁপাইনবাবগঞ্জ এলাকার সীমান্ত থেকে ঢাকায় আনার দায়িত্ব ছিল মিজানুর রহমান ওরফে বড় মিজানের। মামলার তদন্তে উঠে এসেছে— আমের ঝুড়িতে করে চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে অস্ত্র ও বিস্ফোরক ঢাকায় এনে তামিম ও মারজানের কাছে পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করতো সে। ২০১৭ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি বনানী এলাকা থেকে মিজানুর রহমান ওরফে বড় মিজানকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পুরনো জেএমবির সদস্য বড় মিজান চাঁপাইনবাবগঞ্জ এলাকায় নব্য জেএমবি’র আঞ্চলিক সংগঠক ও সামরিক কমান্ডার হিসেবে দায়িত্ব পালন করতো। গ্রেফতারের পর গত বছরের ২৬ মার্চ হলি আর্টিজানে হামলার দায় স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে সে। বর্তমানে মিজান কারাগারে রয়েছে।

পলাতক দুই জঙ্গি

মামুনুর রশিদ রিপন: গুলশান হামলার পরিকল্পনা ও হামলাকারী (জঙ্গি) সরবরাহকারী হিসেবে নাম এসেছে নব্য জেএমবির গুরুত্বপূর্ণ নেতা মামুনুর রশীদ রিপনের। এক সময় পুরনো জেএমবির শীর্ষ নেতা ছিল রিপন। বাংলাদেশে এসে তামিম চৌধুরী যে কয়জনের সঙ্গে ঘনিষ্ট হয়ে নব্য জেএমবি গঠন করে, রিপন তাদের মধ্যে অন্যতম। রিপন এক সময় উত্তরবঙ্গের সামরিক কমান্ডার হিসেবে কাজ করতো। গুলশান হামলায় জড়িত থাকার পাশাপাশি উত্তরবঙ্গে একাধিক হত্যাকাণ্ডে জড়িত সে। তার গ্রামের বাড়ি বগুড়ার নন্দীগ্রাম থানার চৌদীঘির মারিয়া এলাকায়। তার বাবার নাম নাছের উদ্দিন। গুলশান হামলার পর থেকেই রিপন পলাতক রয়েছে। গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের ধারণা, রিপন ভারতে গিয়ে আত্মগোপন করে আছে।
গুলশান হামলায় জড়িত দুই পলাতক জঙ্গি (বাঁ থেকে) মামুনুর রশীদ রিপন ও শরীফুল ইসলাম খালিদ

শরীফুল ইসলাম খালিদ: রিপনের মতো খালিদও হলি আর্টিজানে হামলার পরিকল্পনায় সহযোগিতা, বাস্তবায়ন ও হামলাকারী সরবরাহে ভূমিকা রেখেছিল বলে তদন্তে প্রমাণ পেয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। খালিদ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী ছিল। নব্য জেএমবির শীর্ষ নেতা তামিম চৌধুরীর সঙ্গে প্রথম থেকেই যোগাযোগ ছিল তার। রাজশাহী জেলার বাগমারা থানার শ্রীপুর এলাকায় তার গ্রামের বাড়ি। তার বাবার নাম আব্দুল হাকিম। গুলশান হামলার পর থেকে সেও পলাতক রয়েছে। রিপনের সঙ্গে সেও ভারতে আত্মগোপন করে আছে বলে গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের ধারণা।  (বাংলাট্রিবিউন)

সংবাদ সম্মেলনের আগে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের ওপর হামলা

admin June 30, 2018

কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। আজ শনিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে এ হামলার ঘটনা ঘটে। এতে আন্দোলনকারীদের প্ল্যাটফর্ম বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক নুরুল হক নুরসহ অন্তত তিনজন আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে নুরুল হক নুরর অবস্থা গুরুতর বলে জানা গেছে।

কোটা বাতিল বলে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের প্রায় তিন মাস পার হলেও প্রজ্ঞাপন জারির কার্যকর কোনো পদক্ষেপ না নেয়ায় নতুন করে আন্দোলনের প্রস্তুতির জন্য শনিবার বেলা ১১টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে সংবাদ সম্মেলন ডাকে আন্দোলনকারীরা। তবে সংবাদ সম্মেলন শুরুর আগেই তাদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে।

এ হামলার জন্য ছাত্রলীগকে দায়ী করেছেন কোটা সংস্কার আন্দোলনের নেতারা। অান্দোলনকারীদের যুগ্ম-অাহ্বায়ক রাশেদ খান বলেন, ‘আন্দোলনকারী অনেকের ওপর হামলা করেছে ছাত্রলীগ। এতে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। নুরের অবস্থা অাশংকাজনক।’

তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছে ছাত্রলীগ। তাদের দাবি, কোটা নিয়ে আন্দোলনকারীদের অন্তর্কলহের জের ধরে এই হামলার ঘটনা ঘটেছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আজ (শনিবার) বেলা ১১টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের সংবাদ সম্মেলন হওয়ার কথা ছিল। তবে তার আগেই ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা সেখানে অবস্থান নেয়। সংবাদ সম্মেলনের জন্য কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের একটি দল কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে আসার পর ‘শিবির ধর’, ‘শিবির ধর’ বলে অতর্কিত হামলা চালানো হয়। নুরকে ঘিরে ধরে মারধর করা হয়। এসময় ‘ওরে মেরে ফেল’, ‘কলিজা কাট’ ইত্যাদি উক্তি করে তাকে লাথি, ঘুষি, চড়-থাপ্পড় দিতে থাকে হামলাকারীরা। একপর্যায় নুর মাটিতে পড়ে গেলে শোয়া অবস্থায় তাকে লাথি মারতে থাকে তারা। এরপর লাইব্রেরি বাহিরে টেনে নিয়ে এসে আবারও তাকে মারধর করা হয়। এসময় তার নাক-মুখ ফেটে রক্ত বের হতে দেখা যায়। পরে শিক্ষকরা তাকে উদ্ধার করে লাইব্রেরির ভেতরে নিয়ে যান। এসময় কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের প্রধান গ্রন্থাগারিক এস এম জাবেদ আহমেদও হামলাকারীদের হাতে লাঞ্ছিত হন।

পরে লাইব্রেরির সামনে বিশ্বধর্ম ও সংস্কৃতি বিভাগের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র আরশসহ আরও দুইজনকে মারধর করা হয়। আহতদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

এ বিষয়ে পুলিশে রমনা বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মারুফ হোসেন সরদার বলেন, ‘বিষয়টি আমরা শুনেছি। কিন্তু আমরা চাইলেই ক্যাম্পাসের ভেতরে যেতে পারি না। এ ঘটনায় কাউকে গ্রেফতারও করা হয়নি।’

এদিকে হামলার প্রতিবাদে রোববার থেকে দেশের সব কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে অনির্দিষ্টকালের জন্য ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কোটা সংস্কারের দাবিতে গড়ে ওঠা আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের প্ল্যাটফর্ম বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ। একই সঙ্গে সারা দেশে অবরোধ কর্মসূচিও পালন করা হবে বলে জানিয়েছেন আন্দোলনকারীদের যুগ্ম আহ্বায়ক রাশেদ খান।

কোটা সংস্কারের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে ক্ষুব্ধ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ১১ এপ্রিল জাতীয় সংসদে কোটা ব্যবস্থা বাতিলের কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘কোটা নিয়ে যখন এতকিছু, তখন কোটাই থাকবে না। কোনও কোটারই দরকার নেই। যারা প্রতিবন্ধী ও ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী তাদের আমরা অন্যভাবে চাকরির ব্যবস্থা করে দেব।’

কিন্তু প্রধানমন্ত্রী বক্তব্য অনুযায়ী কোটা নিয়ে কোনো আদেশ জারি করা না হলে ফের স্বোচ্চার হন শিক্ষার্থীরা।

বজ্রপাতে কুড়িগ্রাম আলিয়া কামিল মাদরাসায় অগ্নিকাণ্ড

admin June 30, 2018
কুড়িগ্রামে বজ্রপাতে আলিয়া কামিল মাদ্রাসায় অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে গেছে একটি টিনশেড বিল্ডিংয়ের ৪টি রুম। এই ৪টি রুমে মাদ্রাসার অধ্যক্ষ এবং উপাধ্যক্ষের চেম্বার, অফিস, অভ্যন্তরীণ পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের কক্ষে থাকা প্রয়োজনীয় কাগজপত্রাদী, কম্পিউটার, ল্যাপটপ, আসবাবপত্রসহ প্রায় ৩০ লাখ টাকার মালামাল সম্পূর্ণভাবে ভস্মীভূত হয়েছে।
গত ২৪ জুন রবিবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে এ বজ্রপাতের ঘটনা ঘটে। ফায়ার সার্ভিসের ৪টি ইউনিট প্রায় ৪০ মিনিট চেষ্টা করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
ফায়ার সার্ভিস জানায়, রবিবার সকালে মাদ্রাসা টিনসেড ভবনের উপর বজ্রপাতের ঘটনা ঘটে। এতে মাদ্রাসার সুপারের রুমে আগুন লেগে তা দ্রুত পার্শ্ববর্তী রুমগুলোতে ছড়িয়ে পড়ে। কুড়িগ্রাম আলিয়া কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ নূর বখত জানান, মাদ্রাসায় বজ্রপাতে আগুনের ঘটনায় প্রায় ৩০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।


কাউন্সিলর একরামের মৃত্যুর সময়ের শরীর শিউরে ওঠা অডিও ক্লিপ

admin June 30, 2018
কক্সবাজার-টেকনাফের মেরিন ড্রাইভ সড়কে র‌্যাবের সঙ্গে কথিত ‘বন্দুকযুদ্ধে’ তিনবারের নির্বাচিত পৌর কাউন্সিলর ও উপজেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি একরামুল হকের মৃত্যু মেনে নিতে পারছেন না পরিবার ও রাজনৈতিক সহকর্মীরা। তাদের দাবি- এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড।

ঘটনার ৬ দিনের মাথায় নিহত একরামুল হকের স্ত্রী আয়েশা বেগম, দুই মেয়ে তাহিয়াত ও নাহিয়ান কক্সবাজার প্রেস ক্লাবে বৃহস্পতিবার সংবাদ সম্মেলনে হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ফোনের অটো রেকর্ডারে রেকর্ড হওয়া চারটি ক্লিপ সাংবাদিকদের শোনান।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে আয়েশা বলেন, ২৬ মে রাতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয় দিয়ে একরামকে তুলে নিয়ে যায়। এ সময় আমার স্বামী মোবাইলে আমার মেয়ে ও আমার সঙ্গে কথা বলেন। তখন তার কণ্ঠে আতঙ্ক ছিল।

এরপর থেকে আমার মোবাইলটি সারাক্ষণ খোলা ছিল। এতে রেকর্ড হচ্ছিল। ওই দিন রাতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চিৎকার ও গুলির শব্দ শুনেই আমি ও আমার পরিবার আঁতকে উঠি। তখনই বুঝতে পারি আমার স্বামীকে অন্যায়ভাবে গুলি করে হত্যা করেছে র‌্যাব।



মাদক বিরোধী অভিযানের এক্সক্লুসিভ ভিডিও

admin June 30, 2018
মাদক বিরোধী অভিযানের এক্সক্লুসিভ ভিডিও

 

বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের উৎক্ষেপণের ভিডিও

admin June 30, 2018
বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ বাংলাদেশের প্রথম ভূস্থির যোগাযোগ উপগ্রহ। এটি বাংলাদেশ সময় ১২ মে ভোর ০২:১ থেকে৪ তে কেনেডি স্পেস সেন্টার উৎক্ষেপণ করা হয়।  এই প্রকল্পটি ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের অধীন বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন কর্তৃক বাস্তবায়িত হয় এবং এটি ফ্যালকন ৯ ব্লক ৫ রকেটের প্রথম পেলোড উৎক্ষেপণ ছিল।

বিস্তারিত- https://bn.wikipedia.org/wiki/বঙ্গবন্ধু-১






বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইন্টারিট নিয়ে একটি শর্ট ডকুমেন্টারি:


ভাঙন আতঙ্কে কুড়িগ্রামের নদী পাড়ের বাসিন্দারা

admin June 30, 2018
কুড়িগ্রামে নদ-নদী তীরবর্তী মানুষের মাঝে বন্যার পাশাপাশি ভাঙন আতঙ্ক তীব্র আকার ধারণ করেছে। বাঁধের ঝুঁকিপূর্ণ স্থানসমূহ দ্রুত সংস্কার করা না হলে বন্যার পানিতে ঘরবাড়িসহ কৃষিজমি মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হবে। কুড়িগ্রামে ১৬টি নদ-নদীর ৩১৬ কিলোমিটার দীর্ঘ নদী পথ রয়েছে। এখানে প্রায় সাড়ে চার শতাধিক ছোটবড় চরাঞ্চল। ৯টি উপজেলায় ৩টি পৌরসভা,৭৩ ইউনিয়নে ২০ লাখের অধিক মানুষের বসবাস। এরমধ্যে ৬০ হতে ৬৫টি ইউনিয়নে ছোটবড় প্রায় সাড়ে ৪ শতাধিক চরে সাড়ে ছয় শতাধিক গ্রামে চার লক্ষাধিক মানুষ বসবাস করে। ফলে প্রতিবছর বন্যায় এদের সিংহ ভাগই বন্যায় আক্রান্ত হয়। আর নদ-নদীর ভাঙনে প্রতি বছরই শতশত পরিবার গৃহহীন হয়ে পড়ে। চোখের সামনেই বসতবাড়ি, বাগান ও আবাদি জমিসহ সহায় সম্বল নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যাওয়া দেখতে হয় ভাঙন কবলিতদের।

সরেজমিনে দেখা যায়, সদর উপজেলার হলোখানা ইউনিয়নের চর সারডোব এলাকার বাংটুর ঘাট হতে ফুলবাড়ি উপজেলার সঙ্গে সংযোগ যোগাযোগ পাকা রাস্তার ২শ মিটার বাঁধের ঢাল ধরলা নদীর ভাঙনে বিলীন হয়ে গেছে। অপরদিকে চিলমারী উপজেলার ব্রহ্মপুত্র নদীর স্থায়ী ডান তীর রক্ষা প্রকল্পের কাঁচকোল দক্ষিণ খামার এলাকায় পিচিংসহ ৯৫মিটার ব্লক নদীতে ধসে পড়েছে এবং উলিপুর উপজেলার কাজির চরের বাঁধের ৫৫ মিটার ঢাল বিলীন হয়ে গেছে।

এছাড়াও আরও রাজারহাটের ছিনাই ইউনিয়নের কালোয়ার ৪শ মিটার, কাঁঠালবাড়ি ইউনিয়নের বাংটুর ঘাটে ৩শ মিটার, হলোখানা ইউনিয়নের চর সারডোবে ৪শ মিটার, মোগলবাসা ইউনিয়নের সিতাই ঝাড় ৩শ মিটার, বামন ডাঙ্গা ইউনিয়নে ৩শ মিটার, মুরিয়া বাজার ২শ মিটার, লালমনিরহাট জেলার বড়বাড়িতে ১৫০মিটারসহ দুই কিলোমিটার বাঁধের অংশ ঝুঁকিতে রয়েছে। দ্রুত এসব ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধ ঠিক করা না হলে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করে ঘরবাড়ি ও ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হবে।

চিলমারী উপজেলার রাণীগঞ্জ ইউনিয়নের দক্ষিণ খামার পাড় গ্রামের ভাঙ্গনের স্বীকার গাদলু চন্দ্র দাস (৪৫) বলেন, ঈদের দিন ভোর বেলা আকষ্মিক ভাবে ব্লকে ভাঙন শুরু হয়। এতে একদিনেই ১২টি পরিবার ২০টি ঘরবাড়ি ভেঙে গৃহহীন হয়ে পড়ে।

ভাঙনের স্বীকার কার্তিক চন্দ্র (৫০), জোস্না (৫৫) ও মেনেকা (৬৫) জানান, সরকার কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে ব্লকের কাজ করছে। কিন্তু সেই কাজেও অনিয়ম করেছে ঠিকাদারসহ কর্তৃপক্ষ। মৌখিক অভিযোগ দিলেও তারা তা আমলে নেয়নি। যার কারণে ব্লকের বাঁধ এক বছরের মাথায় ভেঙে আমাদের ঘরবাড়ি নদীর পেটে যাচ্ছে।

কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী শফিকুল ইসলাম বলেন, টাস্ক ফোর্সের মাধ্যমে পরীক্ষা-নিরীক্ষার পরেই ব্লকগুলো ব্যবহার করা হয়েছে। প্রাকৃতিক কারণে প্রায় ৬শ মিটার ব্লক ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। ভাঙন এলাকায় জরুরি ভিত্তিতে কাজ শুরু করা হয়েছে। জেলার বাকি ঝুঁকিপূর্ণ বাঁধের অংশ মেরামতের জন্য মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে। বরাদ্দ পেলেই কাজ শুরু করা হবে।

বালিয়াডাঙ্গীতে সাঁওতাল বিদ্রোহ দিবস পালন

admin June 30, 2018

আজ ৩০ জুন ঐতিহাসিক সাঁওতাল বিদ্রোহ দিবস। ১৮৫৫ সালের সাঁওতাল বিদ্রোহ নিরক্ষর সাঁওতালেরা রক্ত দিয়ে রচনা করেছিল ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী সংগ্রামের ইতিহাসে গৌরবোজ্জল এক অধ্যায়। মুক্তিকামী মানুষের কাছে সাঁওতাল বিদ্রোহ আজও প্রেরণার উৎস। তাই ৩০ জুন 'সাঁওতাল বিদ্রোহ দিবস' হিসেবে শ্রদ্ধার  সঙ্গে স্মরণ করা হয়। 
দিবসটি উদযাপন উপলক্ষে আজ ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গীতে জাতীয় আদিবাসী পরিষদ বালিয়াডাঙ্গী কর্তৃক শোভাযাত্রা, আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন। শোভাযাত্রা শেষে বালিয়াডাঙ্গী অডিটোরিয়াম হলরুমে  আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।  সভায় রাফায়েল মরমুর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহি অফিসার আঃ মান্নান, বিশেষ অতিথি মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আঃ রহমান, প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসার সামিয়েল মার্ডার, ঠাকুরগাঁও জেলা আদিবাসি সংগঠনের উপদেষ্টা সাংবাদিক সামশুজ্জোহা।  সভায় বক্তব্য রাখেন আদিবাসী নেতা ঢেরা মুরমু সহ আদিবাসি নেতৃবর্গ। 
উল্লেখ যে, ভারতের ভাগলপুর, মুর্শিদাবাদ ও বীরভূম জেলার প্রায় দেড় হাজার বর্গমাইল এলাকা দামিন-ই-কোহ্ বা 'পাহাড়ের ওড়না' এলাকা হিসেবে চিহ্নিত। ভগনা ডিহি গ্রামের সিধু, কানু, চাঁদ ও ভৈরব এই চার ভাইয়ের নেতৃত্বে দামিন-ই-কোহ্ অঞ্চলে সংঘটিত হয় সাঁওতাল বিদ্রোহ। 
১৮৫৫ সালের ৩০ জুন বড়রা ডিহি গ্রামের ৪০০ গ্রামের প্রতিনিধ ১০ হাজার সাঁওতাল কৃষকের বিরাট প্রতিনিধি জমায়েত হয়। এই জমায়েতে সিধু-কানু ভাষণ দেন। এই সভায় সিদ্ধান্ত হয়, অত্যাচারী শোষকদের হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য সবাইকে এক হয়ে লড়তে হবে। এখন থেকে কেউ জমির কোনো খাজনা দেবে না এবং প্রত্যেকে এক হয়ে লড়তে হবে। প্রত্যেকেরই যত খুশি জমি চাষ করার স্বাধীনতা থাকবে। আর সাঁওতালদের সব ঋণ এখন বাতিল হবে। তারা মুলুক দখল করে নিজেদের সরকার কায়েম করবে। ১০ হাজার সাঁওতাল কৃষক সেদিন শোষণহীন সমাজ প্রতিষ্ঠার শপথ ছিল বিদ্রোহ শপথ। মূল দাবি ছিল, 'জমি চাই, মুক্তি চাই।

দেশি লুকে নিকের সঙ্গে কোথায় গেলেন প্রিয়াঙ্কা?

admin June 30, 2018

বলিউডে এখন টক অফ দ্য টাউন প্রিয়াঙ্কা-নিক৷ ‘দেশি গার্ল’-এর দেশি লুক সামনে আসতেই আবার শুরু গুঞ্জন৷ মার্কিনি বয়ফ্রেন্ডের সঙ্গে এক্কেবারে বং লুকে দেখা গেল পিসিকে৷ গোয়া থেকে ছুটি কাটিয়ে এসে শাড়ি পরে সেজেগুজে কোথায় গেলেন বলিউডের লাভ বার্ডস?

আলি আব্বাস জাফর পরিচালিত ‘ভারত’-র শুটিং শুরু হতে এখনও বেশ কয়েকদিন বাকি৷ তার আগে আপাতত ছুটির মুডে প্রিয়াঙ্কা চোপড়া৷ নিউ জার্সির অ্যাটলান্টিস সিটিতে নিকের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেই সোজা উড়ে এসেছেন মুম্বইতে৷ সঙ্গে অবশ্যই তাঁর ‘ফেভরিট ম্যান’ নিক৷ মা মধু চোপড়ার সঙ্গে দেখা করিয়ে দিতেই নাকি নিককে নিয়ে এক্কেবারে নিজের দেশে প্রিয়াঙ্কা৷ এরপর অবসর কাটাতে নিকের সঙ্গে গোয়াও যান ‘পিগি চপস’৷ লাভ বার্ডসের সঙ্গে ‘ড্রামা কুইন’ পরিণীতি চোপড়াও ছিলেন৷ রাখঢাক আর না রেখে বুধবার নিককে ‘ফেভরিট ম্যান’ বলে আরও গুঞ্জন উসকে দেন প্রিয়াঙ্কা৷ গোয়ায় দুজনের ছুটি কাটানোর ছবি ভাইরাল হয়ে যাওয়ার পর থেকেই চলছে গুঞ্জন৷ এখন একটাই কানাঘুষো তবে কি এবার বাগদান পর্ব সেরেই ফেলছেন দুজনে?

এরই মাঝে আবারও চমক৷ এবার বং লুকে ‘পিগি চপস’৷ সাদা শাড়িতে সেজে গুজে দেখে গেল তাঁকে৷ গোয়া থেকে ফিরে মুম্বইতে আকাশ আম্বানি ও শ্লোকা মেহেতার মেহেন্দি অনুষ্ঠানে গেলেন তিনি৷ সঙ্গে নিক জোনাস৷ মেহেন্দি অনুষ্ঠানে একেবারে সপরিবারে উপস্থিত ছিলেন লাভ বার্ডস৷ ছবিতে দেখা গিয়েছে মা মধু চোপড়াকেও৷

মেহেন্দি পার্টিতে আকাশ ও শ্লোকার সঙ্গে ছবিও ক্লিক করে নেন প্রিয়াঙ্কা৷ সেই ছবি ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করেন ‘পিগি চপস’৷ দুজনকে কনগ্র্যাচুলেশনও জানান ‘দেশি গার্ল’৷

গোয়া ট্রিপের পর ‘দেশি গার্ল’ ও তাঁর মার্কিনি বয়ফ্রেন্ডের মেহেন্দি পার্টিতে যুগল উপস্থিতি নিজেদের এনগেজমেন্টের গুঞ্জন আরও জোরালো করেছে৷ নিজে মুখে যদিও অফিসিয়ালি জুটি বাঁধার বিষয়ে মুখ খোলেননি প্রিয়াঙ্কা৷ তবে শোনা যাচ্ছে জুলাইতে নাকি এনগেজমেন্ট দুজনের৷

জ্যাকুলিনের চমক হলিউডে প্রথম লুকে!

admin June 30, 2018
বলিউড নায়িকাদের কাজের দ্বিতীয় জায়গা এখন হলিউড। ঐশ্বরিয়া, প্রিয়াঙ্কা, দীপিকার পদচারণার পর এমনটাই হতে যাচ্ছে এখন। সেই তালিকায় এখন যোগ হয়েছে জ্যাকুলিন ফার্নান্দেজের নাম। ‘ডেফিনেশন অব ফিয়ার’ শিরোনামে একটি ছবির মাধ্যমে হলিউডে পা রেখেছেন জ্যাকুলিন। ছবিটি পরিচালনা করেছেন জেমস সিম্পসন।
স¤প্রতি ইউটিউবে প্রকাশিত হয়েছে ছবিটির ট্রেলার। ট্রেলারে উপস্থিতিতে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন জ্যাকুলিন।
এ প্রসঙ্গে জ্যাকুলিন বলেন, ‘ভৌতিক একটি ছবিতে অভিনয় করেছি। কাজটি নিয়ে আমি খুব উচ্ছ¡সিত। প্রথম হলিউড সিনেমা হিসেবে এটি স্বাভাবিক অনুভ‚তি। সিনেমা সংশ্লিষ্টরাও বেশ সন্তুষ্ট।’
নিয়মিত হলিউড সিনেমায় তাকে দেখা যাবে কি-না সেই প্রসঙ্গে জ্যাকুলিন বলেন, ‘নিয়মিত হওয়ার বিষয়টি এখন বলা সম্ভব নয়। কারণ ছবিটি এখনো মুক্তি পায়নি। এটি সময় হলে বোঝা যাবে।’

নবনির্বাচিত কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দকে বাংলাদেশ ফটো জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের অভিনন্দন

admin June 30, 2018

বাংলাদেশ ফটো জার্নালিষ্ট এসোসিয়েশনের নব নির্বাচিত সভাপতি গোলাম মোস্তফা, সাধারণ সম্পাদক কাজল হাজরা, সাংগঠনিক সম্পাদক মোবারক হোসেনসহ ২০১৮-২০২০ শেষনের কার্যনির্বাহী সংসদের সকল সদস্যকে অভিনন্দন জানিয়েছেন বাংলাদেশ ফটো জার্নালিষ্ট এসোসিয়েশন, রংপুর এর সভাপতি কাজী জাহিদ হোসেন লুসিড, সহ সভাপতি এম মিরু সরকার, সাধারণ সম্পাদক মমিনুল ইসলাম রিপন, সহ সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান আরমান, সাংগঠনিক সম্পাদক নজমুল ওয়াহাব টিপু, কোষাধ্যক্ষ ইমরোজ হোসেন ইমু, প্রচার, দপ্তর ও প্রকাশনা সম্পাদক মেজবাহুল মোকাররম হিমেল, কার্যকরী সদস্য আসাদুজ্জামান আফজাল, শাহীন হোসেন জাকির, মেরাজুল ইসলাম মেরাজ, সদস্য মঈনুল ইসলাম, কামরুজ্জামান সেলিম, শাহীন হোসেন, পারভেজ ইসলাম প্রমুখ।
অভিনন্দন বার্তায় নেতৃবৃন্দ কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের সুস্থাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করে বলেন, তাদের সুযোগ্য নেতৃত্বে সারা বাংলাদেশের ফটো সাংবাদিকদের অধিকার এবং নিরাপত্বা নিশ্চিত হবে। পাশাপাশি পেশাগত মানোন্নয়নে তারা গুরুত্বপুর্ন ভূমিকা পালন করবেন।

বোদায় বড় পর্দায় বিশ্বকাপের খেলা দেখতে দর্শকদের ভীড়

admin June 30, 2018
পঞ্চগড়ের বোদায় বড় পর্দায় বিশ্বকাপের খেলা দেখতে দর্শকদের ভীড় বাড়ছে। বোদা পৌর শহরের পল্লীবিদ্যুৎ সংলগ্ন বিশিষ্ট সমাজসেবী, জাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক, বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী ও বোদা মহিলা মহাবিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক এমরান আল আমিন তার নিজস্ব উদ্যোগে মিল চাতাল মাঠে প্রজেক্টরের মাধ্যম বড় পর্দায় বিশ্বকাপ ফুটবল খেলা দেখানোর আয়োজন করেছেন। এই আয়োজনটি উপজেলার মধ্যে সবচেয়ে বড় আয়োজন বলে অনেকেই মনে করছেন। প্রতিদিন খেলা দেখতে দর্শকদের ভীড় বাড়ছে। দূর দুরান্ত থেকে অনেকে বড় পর্দায় খেলা দেখতে আসছেন। এ বিষয়ে এমরান আল আমিনের বললে আমি একজন ফুটবল প্রেমী মানুষ হিসেবে সবার সাথে খেলা উপভোগ করতেই ২০০২ সালের থেকে বিশ্বকাপ খেলা বড় পর্দায় দেখানোর ব্যবস্থা করি। ২০০২ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত চলতি বিশ্বকাপের খেলা দেখার ধারাবাহিকতা ধরে রেখেছি।  

আমরণ অনশনে অসুস্থ ৯২ শিক্ষক-কর্মচারী

admin June 30, 2018
স্বীকৃতপ্রাপ্ত নন-এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিভুক্তির দাবিতে আমরণ অনশন কর্মসূচিতে এ পর্যন্ত ৯২ জন শিক্ষক-কর্মচারী অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। তাদের মধ্যে ৬৯ জনকে স্যালাইন দেয়া হয়েছে এবং বৃষ্টিতে ভিজে অসুস্থ হয়ে পড়ায় গতকাল পর্যন্ত ১১ জনকে ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি করা হয়েছে। নন-এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষক কর্মচারী ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ ড. বিনয় ভ‚ষণ রায় জাগো নিউজকে এসব তথ্য জানিয়েছেন।
গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ২০তম দিনেও তারা কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছেন। এছাড়া ৫ম দিনের মতো তাদের আমরণ অনশন কর্মসূচির চলছে। ড. বিনয় ভ‚ষণ রায় বলেন, সংসেদ বাজেট পাশ হয়েছ। যিদ আমাদের দাবি মেন না নেয়া হয় তাহেল আরও কঠোর কর্মসূচি দেয়া হেব। যত ঝড়-তুফান আসুক না কেন আমাদের দাবি না মানা পর্যন্ত আমরা অনশন চালিয় যাবে। অনশনে অংশ নেয়া শিক্ষকরা বলেন, তারা ১৫ থেকে ২০ বছর যাবত সারাদেশে পাঁচ হাজারের অধিক স্বীকৃতিপ্রাপ্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ২০ লাখের বেশি শিক্ষার্থীকে বিনা বেতনে পাঠদান দিয়ে আসছেন। অনেকের চাকরির মেয়াদ আছে ৫-১০ বছর। বেতন-ভাতা না পাওয়ায় শিক্ষক-কর্মচারীরা অত্যন্ত কষ্টকর ও মানবেতর জীবনযাপন করছেন।
তারা বলেন, গত ১২ জুন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত করতে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (স্কুল-কলেজ) এর জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা ২০১৮ জারি করা হয়েছে। এই নীতিমালা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পাঠদান অনুমতি ও স্বীকৃতির সময় আরোপিত শর্তের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। চলতি ২০১৮-১৯ বাজেটে নতুন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির জন্য বরাদ্দের কোনো সুস্পষ্ট ঘোষণা নেই। যার ফলে নন-এমপিও শিক্ষক কর্মচারীর অত্যন্ত হতাশ ও আশাহত হয়ে পড়েছেন। এ অবস্থায় মহামান্য রাষ্ট্রপতির হস্তক্ষেপে সারাদেশের নন এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান একযোগে এমপিওভুক্তি হলে সকলেই সন্তুষ্ট চিত্তে বাড়ি ফিরে যাবে।
এর আগে এমপিওভুক্তির দাবিতে নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীরা গত বছরের ২৬ ডিসেম্বর থেকে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে লাগাতার কর্মসূচি শুরু করেন। নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষক-কর্মচারী ফেডারেশনের ডাকে টানা ওই অবস্থান ও অনশনের একপর্যায়ে গত ৫ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রীরর পক্ষ থেকে তার তৎকালীন একান্ত সচিব সাজ্জাদুল হাসান সেখানে গিয়ে তাদের দাবি মেনে নেয়ার আশ্বাস দেন।
এরপর শিক্ষক-কর্মচারীরা আন্দোলন কর্মসূচি স্থগিতের ঘোষণা দেন। সরকারের বিভিন্ন পর্যায় থেকে বলা হয়েছে আসন্ন অর্থ বছরে নতুন বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করা হবে। কিন্তু অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত ২০১৮-২০১৯ অর্থ বছরের যে বাজেট প্রস্তাব করেন, সেখানে নতুন এমপিওভুক্তির বিষয়ে সুস্পষ্টভাবে কিছু বলা হয়নি বলে জানান তারা।

স্কুলছাত্রীকে গণধর্ষণের পর ভিডিও ছড়ানোর হুমকি, আটক ২

admin June 30, 2018

টাঙ্গাইলের গোপালপুরে ৪র্থ শ্রেণিতে পড়–য়া এক স্কুলছাত্রীকে গণধর্ষণ ও ধর্ষণের ভিডিও ছড়িয়ে দেয়ার হুমকি দিয়ে দুই লাখ টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগে ধর্ষক ও তার সহযোগীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় ওই স্কুলছাত্রীর মা বাদী হয়ে বৃহস্পতিবার গোপালপুর থানায় গণধর্ষণ ও পর্নগ্রাফি আইনে মামলা করেছেন। পরে অভিযান চালিয়ে পুলিশ দুইজনকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতাররা হলেন- উপজেলার পাথালিয়া গ্রামের হাসেন আলীর ছেলে মজনু মিয়া (৩০) ও তার সহযোগী একই গ্রামের ফজলু মিয়ার স্ত্রী জোছনা বেগম (৪০)।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বাবা-মায়ের বিবাহ বিচ্ছেদ হয়ে যাওয়ায় পর বিধবা নানির কাছে থেকে উপজেলার নগদাশিমলা ইউনিয়নের উত্তর পাথালিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণিতে ওই ছাত্রী লেখাপড়া করতো। গত ১৬ এপ্রিল সে উত্তর পাথালিয়া গ্রামের প্রতিবেশী ফজলু মিয়ার বাড়ির ফ্রিজে রাখা দুধ আনতে যায়। এ সময় ফজলু মিয়ার স্ত্রী জোছনা বেগমের যোগসাজশে একই গ্রামের হাসেন আলীর ছেলে মজনু মিয়া এবং শামসুল হকের ছেলে সোহাগ (১৫) ওই স্কুলছাত্রীকে কৌশলে ঘরে আটক করে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। গত বৃহস্পতিবার (২৮ জুন) নির্যাতনের শিকার মেয়েটির মা তিনজনকে আসামি করে গোপালপুর থানায় গণধর্ষণ ও পর্নগ্রাফি আইনে মামলা দায়ের করলে পুলিশ অভিযান চালিয়ে মজনু মিয়া ও তার সহযোগী জোছন বেগমকে গ্রেফতার করে। অপর আসামি সোহাগ পলাতক রয়েছে।
মামলার বাদী ওই স্কুলছাত্রীর মা অভিযোগ করেন, তাদের দারিদ্রতা ও অসহায়ত্বের সুযোগ নিয়ে ধর্ষকরা পুনরায় মেয়েটিকে তাদের হাতে তুলে দেয়ার জন্য বাড়িতে এসে হুমকি-ধামকি দিতে থাকে। এমতাবস্থায় তার স্কুলে যাওয়া বন্ধ হয়ে যায়। পরে নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে মেয়েটিকে টাঙ্গাইল শহরের এক আত্মীয়ের বাড়িতে নিয়ে লুকিয়ে রাখা হয়। গত ৯ জুন ধর্ষকরা মেয়েটির নানিবাড়ি গিয়ে নানির হাতে ধর্ষণের প্রমাণ হিসেবে একটি মোবাইলের মেমোরি কার্ড তুলে দেয়। এ প্রসঙ্গে গোপালপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাসান আল মামুন জানান, এ ঘটনায় দুই আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আরেক আসামিকে গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।

এবার ‘ইনস্টাগ্রাম লাইট’

admin June 30, 2018

নিজেদের ছবি শেয়ারিং অ্যাপ ইনস্টাগ্রামের ‘হালকা’ সংস্করণ ইনস্টাগ্রাম লাইট উন্মোচন করেছে অ্যাপটির মালিক প্রতিষ্ঠান ফেইসবুক। মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনবিসি’র প্রতিবেদনে বলা হয়, বুধবার অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোনগুলোর জন্য গুগল প্লে স্টোরে ‘নীরবেই’ ৫৭৪ কিলোবাইটের এই অ্যাপ আনা হয়। মূল ইনস্টাগ্রাম অ্যাপের ক্ষেত্রে প্রায় ৯০ মেগাবাইট জায়গা দরকার হয়।
ইনস্টাগ্রাম লাইট অ্যাপটি দিয়ে ব্যবহারকারীরা ছবি ও ২৪ ঘণ্টা পর অদৃশ্য হয়ে যায় এমন স্টোরি দেখতে ও পোস্ট করতে পারবেন। এই অ্যাপের ব্যবহারকারীরা বর্তমানে এর মাধ্যমে বন্ধুদের মেসেজ পাঠানো বা ভিডিও শেয়ার করতে পারছেন না। তবে গুগল প্লে স্টোরে অ্যাপটির বর্ণনায় বলা হয়েছে শীঘ্রই এই সুবিধাগুলোও আনা হবে।
কম দামের অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসগুলোর আধিপত্য বজায় রাখা ক্রমবর্ধ্মান বাজারগুলোর দিকে লক্ষ্য রেখে ইনস্টাগ্রাম লাইট অ্যাপটি আনা হয়েছে, এমনটাই উল্লেখ করা হয় প্রতিবেদনে। ২০১৫ সালে ফেইসবুক অ্যাপেরও একটি ‘লাইট’ সংস্করণ আনা হয়েছিল।
ইনস্টাগ্রামের এক মুখপাত্র প্রযুক্তি সাইট টেকক্রাঞ্চ-কে বলেন, “আমরা ইনস্টাগ্রামের নতুন একটি সংস্করণ নিয়ে পরীক্ষা করছি যা আপনাদের ডিভাইসের কম জায়গা নেবে, কম ডেটা ব্যবহার করবে ও দ্রæত শুরু হবে।” 

করুনারত্নের দেড়শ বাংলাদেশের ব্যাটিং ধসের পর

admin June 30, 2018
সাব্বির রহমান ছুটছিলেন দেড়শ পেরিয়ে। বাংলাদেশ ‘এ’ ছিল চারশর কাছাকাছি। এরপরই নাটকীয় ধস। সাব্বির পারলেন না দুইশর কাছে যেতে। দল গুটিয়ে গেল চারশ পেরিয়েই। এরপর ড্রয়ের আগে দারুণ ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশকে ভোগালেন দিমুথ করুনারত্নে।
ড্র হয়েছে বাংলাদেশ ‘এ’ ও শ্রীলঙ্কা ‘এ’ দলের আনঅফিসিয়াল টেস্ট। শুক্রবার শেষ দিনে বাংলাদেশ প্রথম ইনিংসে অলআউট হয়েছে ৪১৪ রানে। শ্রীলঙ্কা ‘এ’ দ্বিতীয় ইনিংসে তুলেছে ২ উইকেটে ২৬২ রান। 
বাংলাদেশ চতুর্থ দিন শুরু করছিল ৪ উইকেটে ৩৬০ রান নিয়ে। সাব্বির অপরাজিত ছিলেন ১৪৪ রানে।
জাকির হাসানের সঙ্গে তার আগের দিনের জুটি এদিনও দলকে টেনে নেয় কিছুদূর। দুজনের ১০৪ রানের জুটি শেষ হয় জাকিরের বিদায়ে। ৩৫ রান করা বাঁহাতি ব্যাটসম্যানকে ফেরান লাকশান সান্দাক্যান। 
এই চায়নাম্যান বোলারই এরপর ধসিয়ে দেন বাংলাদেশকে। ক্যারিয়ারে প্রথমবার দেড়শ ছাড়িয়ে সাব্বির আউট হন ১৬৫ রানে।
অলরাউন্ডার মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিন পারেননি সুযোগ কাজে লাগাতে। লোয়ার অর্ডারেও টিকতে পারেননি কেউ। ২৭ রানে বাংলাদেশ হারায় শেষ ৬ উইকেট।
আগের দিন বেশ খরুচে হলেও এদিন দারুণ বোলিংয়ে সান্দাক্যান ইনিংস শেষ করেন ১০৮ রানে ৫ উইকেট নিয়ে।
দুই ইনিংস শেষ হতেই হয়ে গেছে চতুর্থ দিন সকাল, ম্যাচের ফল তাই অবধারিতই ছিল। শেষের আগে ব্যাটিং অনুশীলন দারুণ ভাবে সেরে নেন করুনারতেœ। প্রথম ইনিংসের সেঞ্চুরিয়ান থিরিমান্নেও রান পেয়েছেন আবার।
দেশের মাটিতে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজের প্রস্ততির জন্য করুনারতেœকে এই সিরিজে পাঠিয়েছে নির্বাচকরা। সেই প্রস্তুতি হলো দুর্দান্ত। শেষ দিনে বাংলাদেশের বোলারদের নির্বিষ বোলিংকে তুলোধুনো করে বাঁহাতি ওপেনার করেছেন ১৬৫ বলে ১৬১।
লাহিরু মিলান্থার সঙ্গে করুনারতেœর উদ্বোধনী জুটি ছিল ৯৩ রানের। দ্বিতীয় উইকেটে করুনারতেœ ও থিরিমান্নে গড়েন ১৬৫ রানের জুটি। থিরিমান্নে অপরাজিত থাকেন ৬৭ রানে। 
তিন ম্যাচ সিরিজের দ্বিতীয় চারদিনের ম্যাচ আগামি মঙ্গলবার থেকে সিলেটে।  সংক্ষিপ্ত স্কোর: 
শ্রীলঙ্কা ‘এ’ ১ম ইনিংস: ৪৪৯/৮ (ডি.) 
বাংলাদেশ ‘এ’ ১ম ইনিংস: ১৩৫ ওভারে ৪১৪ (আগের দিন ৩৬০/৪)(সাব্বির ১৬৫, জাকির ৩৫, সাইফ উদ্দিন ৯, আবু হায়দার ০, নাঈম ৮*, অপু ০, খলেদ ৬; থারাকা ১/৬৮, মাদুশাঙ্কা ০/৫৭, আসালাঙ্কা ১/৪১, জয়াসুরিয়া ৩/৮৩, সান্দাক্যান ৫/১০৮, শাম্মু ০/৭, মিলান্থা ০/৩৫, প্রিয়াঞ্জন ০/১১)।
শ্রীলঙ্কা ‘এ’ ২য় ইনিংস: ৫৭ ওভারে ২৬২/২ (করুনারতেœ ১৬১, মিলান্থা ৩০, থিরিমান্নে ৬৭*, প্রিয়াঞ্জন ২*; খালেদ ৬-১-২৭-০, আবু হায়দার ৪-০-২৩-০, নাঈম ১৯-২-৮৫-০, নাজমুল অপু ১০-০-৩৭-১, মোসাদ্দেক ৯-০-৩৯-১, সাদমান ১-০-৪-০, সাইফ উদ্দিন ৪-০-২৩-০, সৌম্য ৪-০-২৩-০)।
ফল: ম্যাচ ড্র
সিরিজ: ৩ ম্যাচ সিরিজে ০-০ সমতা

‘পার্কিংকই’ অ্যাপ দিবে ট্রাফিক সমস্যার সমাধান

admin June 30, 2018
নতুন কোনো জায়গায় গেলে শখের গাড়িটি কোথায় পার্ক করবেন তা নিয়ে অনেকেই বিপাকে পড়েন। তবে ফোনে যদি ‘পার্কিংকই’ নামে একটি অ্যাপ ইন্সটল করা থাকে তাহলে এই সমস্যা থেকে সহজেই মুক্তি মিলবে।
ব্যহারকারীর অবস্থান থেকে ৫ কিলোমিটারের মধ্যে ফ্রি এবং নিরাপদ বিনামূল্যের সব পার্কিং প্লেস খুঁজে দেবে অ্যাসপটি। এছাড়া, কিভাবে সেখানে যেতে অ্যাপটির মাধ্যমে সেটাও দেখে নেওয়া যাবে।
একটি গবেষণায় দেখা গেছে, একজন ড্রাইভার গাড়ির পার্কিং খুঁজতে গিয়ে তার জীবনের ১০৬ দিনের সমপরিমাণ সময় ব্যয় করেন। এছাড়া, ঢাকাশহরে ৩০ শতাংশ যানজট এই অবৈধ পার্কিংয়ের জন্যই সৃষ্টি হয়।
বর্তমানে প্রায় ৫ হাজার ব্যবহারকারী ঢাকার ১০ হাজার বেশী পার্কিং স্পেস এ নিরাপদে তাদের গাড়িটি বৈধভাবে পার্ক করছে।
বাসা-বাড়ির মালিকরাও পার্কিংয়ের জায়গা ভাড়া দিয়ে অ্যাসপটির সাহায্যে আয়ও করছেন। পার্কিংকই’ এর প্রতিষ্ঠাতা রাফাত রহমান জানান, অ্যাপটি চালকও গ্যারেজের মালিকের মধ্যে সমন্বয় করবে। গাড়ি সকালে বের হলে সাধারণত গ্যারেজ বা পার্কিং স্পেস খালি থাকে।
সেখানে অ্যাপ ব্যবহার করে চালককে ঘণ্টা, দিন বা সপ্তাহ চুক্তিতে ভাড়া দেওয়া যাবে।এমনকি এই অ্যাপ ব্যবহার করে সুলভমূল্যে মাসিক পার্কিং খুজে পাওয়া যাবে। অ্যাপটির সাহায্যে লোকেশনও ঘণ্টা অনুযায়ী ৫ থাকে ৩০ টাকায় পার্কিং ভাড়া পাওয়া যাবে। এ পর্যন্ত অ্যাপটি দিয়ে ১৫০০ এর বেশী পারকিং সফল ভাবে সম্পন্ন হয়েছে।
অ্যাসপটি সম্পর্কে পার্কিংকই এর প্রধান কারিগরি কর্মকর্তা সাব্বির আহমেদ বলেন, পার্কিং সমস্যা এবং যানজট নিয়ে কাজ করাটা সত্যি বেশ চ্যাইলেঞ্জিং ছিল। আমরা চেষ্টা করেছি যতটা সম্ভব একটি সুন্দর ইউজার ইন্টারফেসের অ্যাপ্লিকেশন তৈরি করতে। যেন সবাই তা সহজেই ব্যবহার করতে পারেন।
ব্যইবহারকারীদের গাড়ির নিরাপত্তা দেওয়ার বিষয়ে প্রতিষ্ঠানটির হেড অফ বিজনেস আরিফুর রহমান বলেন, অ্যাপটিতে নিবন্ধনের সময় গাড়ি মালিকও পার্কিং স্পেস যিনি ভাড়া দেবেন তাদের ন্যাশনাল আইডি কার্ড আমরা ভেরিফাই করেছি। উভয়ের জন্য টার্মস অ্যান্ড কন্ডিশনস পলিসি আছে। আমাদের অপারেশন টিম আছে যারা ব্যকবহারকারীদের ভেরিফাই করছে। এ ছাড়া বিভিন্ন ইনস্যুরেন্স কোম্পানির সঙ্গেও আলোচনা চলছে।

বাংলাদেশে মোবাইল ব্যবহারকারী ১৫ কোটির বেশি

admin June 30, 2018
বাংলাদেশে মোবাইল সংযোগকারীর সংখ্যা গত মে মাস পর্যন্ত ১৫ কোটি ৭ লাখ ২০ হাজার। মার্চ মাস শেষে গ্রাহক সংখ্যা ছিল ১৫ কোটি ৩ লাখ ৩০ হাজার। এমন তথ্য জানায়, বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)।
বিটিআরসির পরিসংখ্যান অনুযায়ী মে মাসের শেষে দেশের সবচেয়ে বড় অপারেটর গ্রামীণ ফোনের গ্রাহক সংখ্যা ৬ কোটি ৮৬ লাখ ৯০ হাজার। বাংলালিংকের ৩ কোটি ৩৩ লাখ ৪০ হাজার। রবির ৪ কোটি ৫০ লাখ ২০ হাজার। রাষ্ট্রায়ত্ত মোবাইল অপারেটর টেলিটকের গ্রাহক সংখ্যা দাঁড়ায় ৩৭ লাখ ৫০ হাজার।

মেয়েরা শেষ বলে আয়ারল্যান্ডকে হারাল

admin June 30, 2018
এশিয়া কাপ ফাইনালের পর এবার আয়ারল্যান্ড সফরের শুরুতেও ম্যাচের শেষ বলে রুদ্ধশ্বাস জয় পেয়েছে বাংলাদেশ জাতীয় নারী ক্রিকেট দল। গতকাল ডাবলিনে সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচে আইরিশদের চার উইকেটে হারিয়েছে বাংলাদেশের মেয়েরা। এই ফরম্যাটে এটি বাংলাদেশের নবম জয়। তিন ম্যাচের সিরিজে ১-০ তে এগিয়ে গেল সালমা খাতুনের দল।
শেষ ১২ বলে ১৮ রান দরকার ছিল বাংলাদেশের। ১৯তম ওভারে আসে ১৪ রান। শেষ ওভারের চার বলে আসে তিন রান। কিন্তু পঞ্চম বলে রানআউট হন সানজিদা ইসলাম (৫)। শেষ বলে সিঙ্গেল নিয়ে দলকে স্নায়ুক্ষয়ী জয় এনে দেন ফাহিমা খাতুন। ১৮ বলে অপরাজিত ২৬ রানের গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলেন তিনি।
যদিও শুরুতে নিগার সুলতানার ৩৮ বলে ৪৬ রানের ইনিংসই জয়ের ভিত গড়ে দিয়েছিল। টপঅর্ডারে আয়েশা রহমান ২৪, ফারজানা হক ১৩ রান করেন। ছয় উইকেটে ১৩৫ রান তুলে ম্যাচ জিতে নেয় বাংলাদেশ।
জয়ের সঙ্গে এই ম্যাচে বড় অর্জন এসেছে পেসার জাহানারা আলমের হাত ধরে। নারী আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বাংলাদেশের প্রথম বোলার হিসেবে পাঁচ উইকেট পেয়েছেন তিনি। ২৮ রান দিয়ে ক্যারিয়ারে প্রথমবার পাঁচ উইকেট পান জাহানারা। তার বোলিং তোপেই আগে ব্যাট করা আয়ারল্যান্ড আট উইকেটে ১৩৪ রানের বেশি যেতে পারেনি। স্বাগতিকদের পক্ষে ইসোবেল জয়েস ৪১, লুইস ২৮, অধিনায়ক ডেলানি ২২, গার্থ ২০ রান করেন।

ট্রিলিয়ন ডলারের এশিয়া প্যাসিফিকে সাইবার ঝুঁকি

admin June 30, 2018
এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলে সাইবার নিরাপত্তার অভাবে ব্যবসায় ও যোগাযোগ প্রযুক্তি খাত ১.৭৪৫ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলারের আর্থিক ক্ষতির শিকার হতে পারে, এমন তথ্য মিলেছে সা¤প্রতিক এক গবেষণায়। মার্কিন প্রযুক্তি জায়ান্ট মাইক্রোসফটের তত্ত¡াবধানে গবেষণা প্রতিষ্ঠান ফ্রস্ট অ্যান্ড সালিভানের করা গবেষণায় এই শংকা প্রকাশ করা হয়েছে।
মোট প্রায় ২৪.৩ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার জিডিপি’র এই অঞ্চলের ব্যবসায় ও যোগাযোগপ্রযুক্তি খাতে প্রভাবশালী ব্যক্তিদের সাইবার নিরাপত্তা লঙ্ঘনের বিষয়ে সচেতন করা এবং প্রতিষ্ঠানগুলোর সাইবার নিরাপত্তা কৌশল বাস্তবায়নে প্রয়োজনীয় বিষয়গুলো চিহ্নিত করার লক্ষ্যে এই গবেষণা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে মাইক্রোসফট।
‘এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলে সাইবার নিরাপত্তা হুমকির সম্যক ধারণা: ডিজিটাল বিশ্বে আধুনিক এন্টারপ্রাইজগুলোর সুরক্ষা’ শীর্ষক এ গবেষণা প্রতিবেদন তৈরিতে ব্যবসায় ও যোগাযোগ প্রযুক্তি খাতে মাঝারি এবং বৃহৎ মানের প্রতিষ্ঠান ও সংস্থার ১৩০০ ব্যক্তিকে নিয়ে জরিপ করা হয়। 
প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, জরিপ করা ২৫ শতাংশ প্রতিষ্ঠানে সাইবার নিরাপত্তা লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটেছে বা তারা এ ব্যাপারে নিশ্চিত নয়। আর তথ্য নিরাপত্তা লঙঘনের বিষয়ে তাদের কাছে কোন তথ্য নেই এমন প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ২৭ শতাংশ।
এ নিয়ে মাইক্রোসফট এশিয়ার এন্টারপ্রাইজ সাইবার সিকিউরিটি গ্রæপের পরিচালক এরিক লাম বলেন, “প্রতিষ্ঠানগুলো এখন তাদের গ্রাহকদের সঙ্গে সংযুক্ত হতে এবং তাদের কার্যক্রমের পূর্ণ উপযোগিতা ব্যবহারে ক্লাউড ও মোবাইল কম্পিউটিং সেবা গ্রহণ করছে।” তিনি আরও বলেন, “প্রথাগত যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিপক্ষকে অদৃশ্য করার ফলে আক্রমণের নতুন লক্ষ্য তৈরি হয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলো উল্লেখযোগ্য পরিমাণ আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে পাশাপাশি তাদের গ্রাহক সন্তুষ্টি ও সুনাম বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে যা সা¤প্রতিক কিছু সাইবার নিরাপত্তা লঙ্ঘনের ঘটনায় সুস্পষ্ট।”
জরিপে ছয়জন উত্তরদাতার মধ্যে একজন জানিয়েছেন, সাইবার ঝুঁকির কথা বিবেচনা করে তাদের প্রাতিষ্ঠানিক ডিজিটাল রূপান্তর স্থগিত করেছে।
এ প্রতিবেদন মতে, মুক্তিপণ দাবির মতো সাইবার আক্রমণ বা র‍্যানসমওয়্যার এন্টারপ্রাইজগুলোর দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের প্রতিষ্ঠানগুলো যারা সাইবার নিরাপত্তা লঙ্ঘনের শিকার হয়েছে সেসবের মধ্যে প্রতারণাপূর্ণ ওয়্যার ট্রান্সফার, ডেটা দুর্নীতি ও অনলাইন ব্র্যান্ড ইমপারসোনেশন সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ বিষয় ও শঙ্কার কারণ; কেননা এ ধরনের ক্ষতি প্রতিষ্ঠানের জন্য মারাত্মক এবং এ ক্ষতি থেকে উত্তরণের জন্য প্রতিষ্ঠানগুলোর খুবই কম সময় থাকে।
প্রতিবেদনের বলা হয়, এ অঞ্চলে চারটির মধ্যে তিনটি প্রতিষ্ঠান সাইবার নিরাপত্তার সুরক্ষা বৃদ্ধিতে ইতোমধ্যেই এআই প্রযুক্তি গ্রহণ করেছে বা করার পথে আছে।

ফ্রান্স-আর্জেন্টিনা লড়াই পরিসংখ্যানে

admin June 30, 2018
সব শঙ্কাকে উড়িয়ে দিয়ে বিশ্বকাপের গ্রæপ পর্ব পেরিয়েছে লিওনেল মেসির আর্জেন্টিনা। শনিবার বাংলাদেশ সময় রাত ৮টায় কাজানে কোয়ার্টার-ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে প্রতিপক্ষ ‘সি’ গ্রæপের চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্স। মুখোমুখি দেখায় লাতিন পরাশক্তিরা এগিয়ে থাকলেও ফরাসিদের আত্মবিশ্বাস যোগাবে বিশ্বকাপের নক আউট পর্বে দলটির অতীত রেকর্ড।

# এর আগে ফ্রান্স ও আর্জেন্টিনা ১১ বার মুখোমুখি হয়েছে। আর্জেন্টিনা জিতেছে ছয় বার, ফ্রান্স দুই বার। ড্র হয়েছে তিনটি ম্যাচ।

# তবে কখনো কোনো প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচে আর্জেন্টিনাকে হারাতে পারেনি ফ্রান্স।

# মুখোমুখি হওয়া ১১ ম্যাচের আটটিতেই আর্জেন্টিনার জালে বল জড়াতে পারেনি ফরাসিরা।

# ১৯৭৮ ও ১৯৮৬ সালে দুইবার বিশ্বকাপ জিতেছে লাতিন পরাশক্তি আর্জেন্টিনা। অন্যদিকে ১৯৯৮ সালে ঘরের মাঠে নিজেদের একমাত্র বিশ্বকাপ জিতে ফ্রান্স।

# পেনাল্টি শুট আউট বাদ দিলে বিশ্বকাপের নক আউট পর্বের শেষ ১১ ম্যাচে ফরাসিদের হার মোটে একটি। ২০১৪ সালে ব্রাজিল বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন জার্মানির কাছে একমাত্র হারটি ১-০ গোলে।

# বিশ্বকাপে নিজেদের শেষ ১৩ উপস্থিতির মধ্যে ১২ বারই নূন্যতম শেষ ষোলোয় পৌঁছেছে আর্জেন্টিনা। একমাত্র ২০০২ সালে জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়া বিশ্বকাপে গ্রæপ পর্ব থেকে ছিটকে যায় লাতিন পরাশক্তিরা।

# বিশ্বকাপের নক আউট পর্বে এর আগে ৬৬৬ মিনিট খেলে কোনো গোল করতে পারেননি আর্জেন্টিনার অধিনায়ক লিওনেল মেসি। অবশ্য ফ্রান্সের বিপক্ষে সবশেষ গোলের দেখা পাওয়া আর্জেন্টাইন খেলোয়াড় তিনিই। ২০০৯ সালে একটি প্রীতি ম্যাচে ফরাসিদের বিপক্ষে গোল করেছিলেন বার্সেলোনা তারকা, দল জিতেছিল ২-০ গোলে।

# ম্যাচে দুই দল মিলিয়ে দেখা যেতে পারে পিএসজির পাঁচজন খেলোয়াড়কে। ফ্রান্স দলে আছেন লিগ ওয়ান চ্যাম্পিয়নদের তিন সদস্য - কিলিয়ান এমবাপে, আলফুঁস আরিওলা ও প্রেসনেল কিম্পেম্বে। আর্জেন্টিনায় আছেন আরও দুজন, আনহেল দি মারিয়া ও জিওভানি লো সেলসো। অবশ্য দি মারিয়া ও এমবাপে বাদে বাকিদের শুরুর একাদশে থাকার সম্ভাবনা সামান্যই। # আন্তর্জাতিক ফুটবলে আর্জেন্টিনার হয়ে সর্বোচ্চ ৬৫ গোল করেছেন লিওনেল মেসি। আর সর্বোচ্চ ১৪৬ ম্যাচে দেশের প্রতিনিধিত্ব করেছেন হাভিয়ের মাসচেরানো। দুজনেই আছেন এবারের বিশ্বকাপের আর্জেন্টিনা দলে।

# আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড গনসালো হিগুয়াইন দেশের হয়ে নিজের শেষ আট ম্যাচে কোনো গোল করতে পারেননি।

# আর্জেন্টিনার ছয়জনের (এভার বানেগা, গাব্রিয়েল মের্কাদো, হাভিয়ের মাসচেরানো, লিওনেল মেসি, মার্কোস আকুনা ও নিকোলাস ওতামেন্দি) ও ফ্রান্সের তিনজনের (পল পগবা, বেøইস মাতুইদি ও কোরোঁতাঁ তোলিসো) একটি করে হলুদ কার্ড রয়েছে। শেষ ষোলোতে একটি হলুদ কার্ড পেলেই এক ম্যাচের নিষেধাজ্ঞায় পড়বেন তারা।

# ফ্রান্সের হয়ে সবচেয়ে বেশি ৭৯ ম্যাচে কোচের দায়িত্ব পালন করেছেন রেমোঁ ডমেনেক ও দিদিয়ে দেশম। শেষ ষোলোতে সবচেয়ে বেশি ম্যাচে কোচের দায়িত্ব পালনের রেকর্ডটি এককভাবে নিজের করে নেবেন দেশম।

# গ্রæপ পর্বের তিন ম্যাচে তিনটি গোল করেছে ফ্রান্স যার একটি এসেছে স্পট কিক থেকে ও আরেকটি আত্মঘাতী। হজম করেছে এক গোল।

পরিবার বিচ্ছিন্ন শিশুদের আশ্রয়কেন্দ্রে মেলানিয়া

admin June 30, 2018
যুক্তরাষ্ট্রের কঠোর অভিবাসন নীতির কারণে পারিবার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়া শিশুদের একটি আশ্রয়কেন্দ্র পরিদর্শন করেছেন দেশটির ফার্স্টলেডি মেলানিয়া ট্রাম্প। গতকাল তিনি অ্যারিজোনায় স্বাস্থ্য ও মানবিক সেবা অধিদপ্তর পরিচালিত অভিবাসী শিশুদের একটি আশ্রয়কেন্দ্র পরিদর্শনে যান। অবৈধ অভিবাসন বিষয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ‘জিরো টলারেন্স’ নীতির কারণে গত মাসের শুরু থেকে দেশটিতে ব্যাপক ধরপাকড় শুরু হয়। বিশেষ করে মেক্সিকো সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করা ব্যক্তিদের আটক করে তাদের বিচার শুরু করা হয়েছে।  অবৈধ অভিবাসনের দায়ে আটক ব্যক্তিদের বিচার চলাকালীন সময়ে বন্দি করে রাখায় তাদের সন্তানরা পরিবার বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। পিতা-মাতা থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়া ওই সব শিশুদের (কয়েক মাস বয়স থেকে ১৭ বছর পর্যন্ত) বিভিন্ন আশ্রয় কেন্দ্রে রাখা হয়েছে। বরাবরই পরিবার থেকে শিশুদের বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ার বিপক্ষে কথা বলেছেন মেলানিয়া। তার মুখপাত্র স্টেফানি গ্রিশাম বলেন, “তিনি মনে করেন, (অভিবাসী) শিশুদের তাদের পিতা-মাতার সঙ্গে একত্রে থাকা উচিত। এ বিষয়ে তিনি তার স্বামীকে সব সময়ই কথা বলে চলেছেন।” অ্যারিজোনার রাজধানী ফিনেক্সের ওই আশ্রয়কেন্দ্রে ১২১টি শিশুকে রাখা হয়েছে, যাদের বয়স কয়েকমাস থেকে ১৭ বছর। সেখানে কিশোরী মায়েদেরও দেখা যায়। মেলানিয়ার অভিবাসী শিশুদের আশ্রয় কেন্দ্র পরিবর্শনে যাওয়া এবারই প্রথম নয়। এর আগে তিনি টেক্সাসে একটি আশ্রয় কেন্দ্র পরিদর্শন গিয়েছিলেন।
 মে মাস থেকে এখন পর্যন্ত দুই হাজারের বেশি শিশু পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। যা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও আন্তর্জাতিক মহলে তীব্র সমালোচনা হয়েছে। মেলানিয়া ও সাবেক ফার্স্টলেডি লরা বুশ শিশুদের পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন করা উচিত না বলে মন্তব্য করেছেন।
নিজ দলের ভেতরেও কড়া সমালোচনার শিকার হওয়ার পর শিশুদের পরিবারের সঙ্গে একত্রীকরণের ব্যবস্থা নেওয়ার প্রতিশ্রæতি দিয়েছিলেন ট্রাম্প। তারমধ্যেই গত মঙ্গলবার ক্যালিফোর্নিয়ার সান ডিয়াগো ফেডারেল আদালত যুক্তরাষ্ট্র সরকারকে ৩০ দিনের মধ্যে শিশুদের তাদের পরিবারের কাছে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন। এছাড়া ১৭টি অঙ্গরাজ্যে ট্রাম্প প্রশাসনের ‘জিরো টলারেন্স’ নীতিকে চ্যালেঞ্জ করা হয়েছে। এর মধ্যে ওয়াশিংটন, নিউ ইয়র্ক ও ক্যালিফোর্নিয়ায় মামলার শুনানি শুরু হয়েছে। এদিকে বৃহস্পতিবার ওয়াশিংটনে কয়েকশ বিক্ষোভকারী সিনেট ভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে ট্রাম্পের এ নীতির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ শুরু করে। পরে পুলিশ প্রায় ছয়শ বিক্ষোভকারীকে আটক করে।

এবারই প্রথম ভাবনা

admin June 30, 2018
গেল ২৫শে জুন থেকে গতকাল পর্যন্ত কলকাতার নন্দনে দ্বিতীয়বারের মতো অনুষ্ঠিত হলো ফেডারেশন অব ফিল্ম সোসাইটিজ আয়োজিত ‘বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উৎসব’। এই আয়োজনে গতকাল সন্ধ্যা ছয়টায় ভাবনা অভিনীত প্রথম চলচ্চিত্র অনিমেষ আইচ পরিচালিত ‘ভয়ংকর সুন্দর’ প্রদর্শনের মধ্যদিয়ে উৎসবের সমাপ্তি ঘটে। এর আগে এ চলচ্চিত্রটি আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া, সিঙ্গাপুর, লন্ডন, কানাডায় আন্তর্জাতিক উৎসবে প্রদর্শিত হয়েছে। তবে, এবারই প্রথম কোনো আন্তর্জাতিক উৎসবে ভাবনা তার নিজের ছবির প্রদর্শনীতে আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে অংশ নেয়ার সুযোগ পান। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এর আগে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক উৎসবে ‘ভয়ংকর সুন্দর’-এর প্রদর্শন উপলক্ষে আমন্ত্রণ থাকার পরও অংশ নিতে পারিনি। কিন্তু এবার যেহেতু কলকাতায় এই উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে তাই সুযোগটা কাজে লাগালাম।
নিজের অভিনীত প্রথম সিনেমার আন্তর্জাতিক প্রদর্শনীতে থাকতে পেরে আমি সত্যিই খুব উচ্ছ¡সিত। এই ভালোলাগা প্রকাশের নয়। ভাবনা জানান, আগামি ১লা জুলাই তিনি দেশে ফিরবেন।

দীর্ঘ বৈঠকের পর অভিবাসী প্রশ্নে সমঝোতায় ইইউ

admin June 30, 2018
টানা দশ ঘণ্টা বৈঠকের পর অভিবাসী ইস্যুতে সমঝোতায় উপনীত হয়েছেন ইউরোপের নেতারা। বেলজিয়ামের রাজধানী ব্রাসেলসে শুক্রবার স্থানীয় সময় ভোরের আগে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) শীর্ষ নেতারা অভিবাসনপ্রত্যাশীদের চাপ সামলাতে একযোগে কাজ করার ব্যাপারে একমত হন বলে জানিয়েছে বিবিসি। সম্মেলনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ইতালি ও গ্রিসের ওপর চেপে বসা হাজার হাজার অভিবাসীর বোঝা নিজেদের মধ্যে ভাগ করে নিতে রাজি হয়েছে অন্য দেশগুলো। জোটভুক্ত অন্য দেশগুলোর সহায়তা না পেলে শরণার্থীদের নিয়ে যে কোনো প্রস্তাবে ভেটো ক্ষমতা প্রয়োগ করা হবে বলে আগেই হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন ইতালির প্রধানমন্ত্রী গুইসেপ্পে কন্তে। সমঝোতার ফলে এখন থেকে স্বেচ্ছাসেবার ভিত্তিতে ইইউভুক্ত দেশগুলো নতুন অভিবাসী কেন্দ্র ঠিক করতে পারবে বলে জানিয়েছেন ইইউ নেতারা। যাচাইবাছাই শেষে সেসব কেন্দ্র থেকেই সত্যিকারের শরণার্থীদের গ্রহণ করা হবে; ফেরত পাঠানো হবে বাকি ‘অনিয়মিত অভিবাসীদের’। জোটভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে শরণার্থীদের অবাধ চলাচলের সুযোগে কড়াকড়ি আরোপের ব্যাপারেও নতুন এ যৌথ ঘোষণায় বলা হয়েছে। এতে সমুদ্র ও স্থল পথে ইউরোপে অভিবাসনপ্রত্যাশীদের চাপ কমাতে ব্যবস্থা গ্রহণের উদ্যোগ নেওয়ার পাশাপাশি তুরস্ক ও উত্তর আফ্রিকার দেশগুলোতে অর্থনৈতিক সাহায্য বাড়ানোরও প্রস্তাব করা হয়েছে। এবারের সম্মেলনের পর ইউরোপ আরও দায়িত্বশীল হল, বাড়াল সংহতির হাত। আমরা এখন থেকে আর একা নয়,” ইইউ বৈঠকে সমঝোতার পর বলেছেন ইতালির প্রধানমন্ত্রী কন্তে।  ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর মতে, বৈঠকের পর ইউরোপীয় দেশগুলোর মধ্যে সহযোগিতার পথ আরও সক্রিয় হল।  কিছু কিছু বিষয়ে একমত হলেও ‘মতপার্থক্য নিরসন’ করে অভিবাসী সংকট মেটাতে ইউরোপের আরও অনেক কাজ করা বাকি বলে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় জানিয়েছেন জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা মেরকেলও। শুক্রবারের যৌথ ঘোষণায় ২৮ দেশের জোট ইউরোপীয় ইউনিয়নের নেতারা সীমান্তে সুরক্ষা জোরদারের ব্যাপারেও একমত হয়েছেন বলে জানিয়েছে বিবিসি। বুধবার থেকে ব্রাসেলসে শুরু হওয়া এই সম্মেলনের প্রথম থেকেই ইউরোপের দেশগুলোর মধ্যে অভিবাসনপ্রত্যাশীদের নিয়ে মতবিরোধ আরও স্পষ্ট হয়ে উঠতে থাকে। আফ্রিকা দিয়ে অসংখ্য শরণার্থী ইতালি ও গ্রিসে প্রবেশ করার পর দেশ দুটি ইউরোপের অন্য দেশগুলোকে এ চাপ ভাগ করে নেওয়ার আহŸান জানালেও অনেক দেশই এ বিষয়ে তাদের জোরাল আপত্তির কথা জানায়। উরোপিয়ান কাউন্সিল বলছে, অভিবাসনপ্রত্যাশীদের চাপ ২০১৫-র মতো না হলেও নতুন করে আফ্রিকা হয়ে ইউরোপে প্রবেশের হার বৃদ্ধি পাচ্ছে। সংকট মোকাবেলায় উত্তর আফ্রিকার দেশগুলোতেই অভিবাসন কেন্দ্র বানাতে ইউরোপ প্রস্তাব দিলেও মরক্কো প্রথম থেকেই এ ধরণের ভাবনার বিরোধিতা করে আসছে। দেশের ভেতর অভিবাসী ইস্যু নিয়ে চাপে থাকা জার্মান চ্যান্সেলরের জন্যও এবারের বৈঠক স্বস্তির হতে পারে বলে ধারণা পর্যবেক্ষকদের। ইউরোপের অন্য দেশে নিবন্ধিত শরণার্থীদের জার্মানিতে প্রবেশের ব্যাপারে আপত্তি তুলে এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে চলতি সপ্তাহের রোববার পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়েছিল মেরকেলের জোটসঙ্গী সিএসইউ পার্টি। অন্যথায় ক্ষমতাসীন বাভারিয়ান কোয়ালিশন সরকার থেকে সরে যাওয়ারও হুমকি ছিল সিএসইউ নেতা ও বর্তমান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হর্স্ট সিহফের। সিএসইউ ছাড়া মেরকেলের পক্ষে পার্লামেন্টে সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ অসম্ভব হয়ে পড়ত।

ঢাকা থেকে মালয়েশিয়ায় পূর্ণিমা

admin June 30, 2018
দেশীয় চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় মুখ পূর্ণিমা ঢাকা থেকে মালয়েশিয়া পৌঁছেছেন। দীর্ঘদিন পর নতুন কাজে সেখানে গেলেন তিনি। এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে এই তারকা মুঠোফোনে বলেন, এখানে প্রবাসী দর্শকদের জন্য একটি অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করবো আমি। মালয়েশিয়ার এজিডি পিকচারের আয়োজনে আগামীকাল কুয়ালালামপুরের কে ডবিøউ সি মলে ‘ঈদ উৎসব ২০১৮’ নামের এক অনুষ্ঠানে আমি উপস্থিত থাকবো। আমার সঙ্গে এ অনুষ্ঠানে ফেরদৌস ভাইও উপস্থাপনা করবেন। তিনি দু’দিন আগেই মালয়েশিয়া পৌঁছেছেন।
আশা করি, অনুষ্ঠানটি সবাই বেশ পছন্দ করবেন। এ অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ থেকে সংগীতশিল্পী আইয়ুব বাচ্চু, মিলা, ইমরানসহ আরো কয়েকজন পারফর্ম করবেন। এ অনুষ্ঠানের বাইরে আগামি ৮ই জুলাই ‘জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ২০১৬’- এর মূল অনুষ্ঠানটির উপস্থাপনা করবেন পূর্ণিমা। ‘জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার’ অনুষ্ঠানে পূর্ণিমা একা নন, তার পাশাপাশি চিত্রনায়ক ফেরদৌসও উপস্থাপনা করবেন। এদিকে পূর্ণিমা বর্তমানে আরটিভির ‘এবং পূর্ণিমা’ অনুষ্ঠানটি নিয়মিত উপস্থাপনা করছেন। টেলিভিশন উপস্থাপনার পাশাপাশি মঞ্চে বড় বড় করপোরেট শো উপস্থাপনা করছেন এ অভিনেত্রী। পাশাপাশি বিজ্ঞাপনে মডেল হিসেবেও কাজ করছেন তিনি। আর পছন্দের ছবি হাতে পেলে আবারো দর্শকরা বড়পর্দায় দেখতে পাবেন পূর্ণিমাকে। 

এক ব্যক্তিকে বেধড়ক পেটালেন নোরা!

admin June 30, 2018

রাস্তায় এক ব্যক্তিকে বেধড়ক পেটালেন বিগ বস প্রতিযোগী নোরা ফতেহি। প্রকাশ্যে রাস্তার ওপর ওই ব্যক্তিকে ধরে মারধর শুরু করেন তিনি। বিষয়টি অবাক করার মতো হলেও সত্যি। ঘটনা হল, স¤প্রতি মুম্বইয়ের রাস্তায় একটি ভিডিও শুট করেন নোরা। বলিউডের বিভিন্ন চরিত্রগুলো কীভাবে সাধারণ মানুষের উপর প্রভাব বিস্তার করে, নোরার ওই নতুন ভিডিওতে তাই দেখানো হয়েছে। ওই ভিডিওতে লাল শাড়িতে দেখা যাচ্ছে  নোরাকে।
পাশাপাশি লাল শাড়ি পরা নোরাকে ‘থোড়া রেশম লাগতা হ্যায়’-র গানে নাচতে দেখা যায়। জানা গেছে, অচেনা ওই ব্যক্তির চোখ  থেকে বলিউডের ঘোর কেটে যাওয়ার পর পরই তাকে ধরে পেটাতে শুরু করেন নোরা।এদিকে, বেশ কয়েক বছর লিভ ইন সম্পর্কের পর অবশেষে অঙ্গদ বেদির সঙ্গে সম্পর্ক ভাঙে নোরার। এরপরই নেহা ধুপিয়ার সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন অঙ্গদ। এখন সাবেক মিস ইন্ডিয়া নেহা ধুপিয়াকে বিয়ে করে সুখে সংসার করছেন অঙ্গদ। 

এবার অস্ট্রেলিয়ায় ‘বিজলী’

admin June 30, 2018
চিত্রনায়িকা ববি এখন অস্ট্রেলিয়ায়। সেখানে তার অভিনীত ‘বিজলী’ ছবিটি দেখানো হবে। এরইমধ্যে অস্ট্রেলিয়ায় পৌঁছেছেন ববি। এতে বিজলী চরিত্রে তিনি অভিনয় করেছেন এই তারকা অভিনেত্রী। এ প্রসঙ্গে ছবির পরিচালক ইফতেখার চৌধুরী বলেন, প্রথমে অস্ট্রেলিয়ায় ‘বিজলী’র চারটি শো অনুষ্ঠিত হবে। দর্শক চাহিদার ওপর ভিত্তি করে শো বাড়ানোর পরিকল্পনা রয়েছে।
দেশে ‘বিজলী’ দর্শকের অনেক প্রশংসা পেয়েছে। আশা করছি, প্রবাসীদেরও মন জয় করতে পারবে। তিনি আরও বলেন, অস্ট্রেলিয়ায় প্রথম শোতে অংশ নিতে ববি আজ  সেখানে পৌঁছেছেন। আমি অসুস্থ থাকায় যেতে পারিনি। সায়েন্স ফিকশন ছবিটি অস্ট্রেলিয়ার পর নিউজিল্যান্ডে মুক্তি পাবে।
পর্যায়ক্রমে আমেরিকা ও কানাডাসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ছবিটি মুক্তি দেওয়া হবে বলে জানান নির্মাতা। প্রযোজনা সূত্রে জানা যায়, ৮ই জুলাই সিডনিতে ছবিটির প্রথম প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হবে। উল্লেখ্য, গত ১৩ই এপ্রিল ‘বিজলী’ বাংলাদেশের ৭৯টি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায়। এতে ববি ছাড়াও অভিনয় করেছেন ইলিয়াস কাঞ্চন, মিশা সওদাগর, আহমেদ শরীফ, মিজু আহমেদ, টাইগার রবি, শিমুল খান, কলকাতার অভিনেতা শতাব্দী রায় ও রণবীর। ববির নিজস্ব প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান ববস্টার থেকে ছবিটি নির্মাণ করা হয়েছে। 


দিনাজপুরে ঐতিহাসিক সান্তাল বিদ্রোহ উপলক্ষে ‘সিদু-কানু দিবস’ পালন

admin June 30, 2018
৩০ জুন ঐতিহাসিক সান্তাল বিদ্রোহ উপলক্ষে ‘সিদু-কানু দিবস’ পালন করা হয়। এই দিবসটি যথাযথ মর্যাদার সাথে পালনের লক্ষে গতকাল শনিবার সকাল ৯টায় দিনাজপুর সুইহারি নভারা জুনিয়র হাই স্কুল প্রাঙ্গনে চাম্পাগাড়-এর আয়োজনে দিনব্যাপী বিভিন্ন কর্ম সুচীর মাধ্যমে দিবসটি উদযাপন করা হয়। 
দিনব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচীর মধ্যে সকাল ৯টায় সুইহারি প্যারিশ ক্যাম্পাস হতে বর্ণাঢ্য র‌্যালী বের হয়ে নভারা স্কুল প্রাঙ্গনে শেষ হয়। সকাল ১০টায় নভারা স্কুল প্রাঙ্গনে সিদু-কানু’র অস্থায়ী সৃতি স্থম্ভে শ্রদ্ধাঞ্জলী নিবেদন শেষে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। পরে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন সুইহরি মিশন-এর সহকারি পালপরোহিত ফাদার যোসেফ মূর্মু। 
অনুষ্ঠানে চাম্পাগাড়-এর সভাপতি ফাদার লাজারুশ সরেন’র সভাপতিত্বে অতিথিদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের উপদেষ্ঠা ফাদার ফ্রান্সিস মূর্মু, সদস্য সুশীলা টুডু, জুলিয়ান সরেন,  রবি মার্ডী, সহ-সভাপতি যোগেন জুলিয়ান বেসরা প্রমুখ। অনুষ্ঠানটি সার্বিক পরিচালনা করেন সালভাতর পাউরিয়া ও মাইকেল মার্ডী।
উল্লেখ্য, ১৫৩ বছর আগে নিরিহ ও শান্তি প্রিয় সান্তাল আদীবাসীরা ক্রমাগত শোষন, বঞ্চনা, নির্যাতন, দাসত্ব, যখন সহ্যের সীমা ধৈর্য্যের বাঁধ ভেঙ্গে সান্তালরাই দাবানলের মত জ¦লে উঠেছিল। সেই দিনটি ৩০ জুন ১৮৫৫ সাল, যা সান্তাল বিদ্রোহ দিবস নামে ইতিহাস খ্যাত। এই দিনে সিদু-কানহুর ডাকে প্রায় ৩০ হাজার সান্তাল বিদ্রোহের জন্য তীর ধনুক নিয়ে সমবেত হয়।

চিংড়ি রফতানিতে স্থবিরতা

admin June 30, 2018
সুস্বাদু আর পুষ্টিগুণের কারণে বিশ্বে চিংড়ি সিফুড হিসেবে সমাদৃত। উন্নত রাষ্ট্রগুলোতে এর চাহিদাও অনেক। কিন্তু নানা কারণে দেশের দ্বিতীয় রফতানিকারক পণ্য চিংড়ি রফতানিতে এসেছে স্থবিরতা। ক্রমান্বয়ে সাদা সোনাখ্যাত চিংড়ির রফতানি নিম্নমুখী। বিশ্বব্যাপী ভেনামি (এক প্রকার হাইব্রিড) চিংড়ির বাজার দখলের কারণে দেশের চিংড়ি রফতানি অর্ধেকে নেমে এসেছে। এতে সরকার কোটি কোটি টাকার রাজস্ব হারাচ্ছে, অন্যদিকে বেকার হওয়ার শঙ্কায় রয়েছে লাখো মানুষ।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বিশ্ব বাজার আবারও বাংলাদেশের দখলে আনতে বাগদার পাশাপাশি ভেনামি চিংড়ি চাষের প্রয়োজন। ভেনামি চিংড়ি চাষে খরচ ও দাম কম আর উৎপাদন বেশি হওয়ায় এর চাহিদা বেশি। যদিও নানা অজুহাতে বাংলাদেশে এই চিংড়ি চাষের অনুমোদন নেই। যেখানে দক্ষিণ এশিয়ার সব দেশে এর চাষ হচ্ছে। ২০০০ সাল পর্যন্ত বিশ্বে বাগদা চিংড়ির বাজার ছিল ১২ লাখ টন। ৯০ দশক থেকে প্যাসিফিক সাদা চিংড়ি বা ভেনামী চিংড়ির বাজার বড় হতে থাকে। বাংলাদেশ ছাড়া দক্ষিণ এশিয়ার সব দেশে এ চিংড়ি চাষ হয়।
বাগদা আগে থেকে শুরু হলেও এর চাষ বাড়ানো যায়নি, অন্যদিকে ভেনামির উৎপাদন অনেক বেশি। বাগদার উৎপাদন হেক্টর প্রতি ৩শ’ থেকে ৪শ’ কেজি, ঘেরে বা হ্যাচারিতে এটির উৎপাদন ৩ থেকে ৬ হাজার কেজি অন্যদিকে ভেনামির উৎপাদন ১০ হাজার থেকে ৩০ হাজার কেজি। দেশে ২০১৩-২০১৪ অর্থবছর থেকে ২০১৬-২০১৭ অর্থবছরে ক্রমান্বয়ে চিংড়ির রফতানি নিম্নমুখী। ২০১৬-২০১৭ অর্থবছরের মার্চ, এপ্রিল ও মে মাসে চিংড়ি রফতানি প্রায় অর্ধেকে নেমে আসে। ২০১৮ সালের তিন মাসে (মার্চ, এপ্রিল, মে) ৪ হাজার ৮৪৩ মেট্রিক টন চিংড়ি রফতানি হয় যার বাজার মূল্য ৫৮ হাজার ৮৯৬ মার্কিন ডলার। তার আগের বছরে (২০১৭) একই সময়ে রফতানি হয় ৭ হাজার ১৬০ মেট্রিক টন যার বাজার ম্ল্যূ ছিলো ৮৬ হাজার ৬১৩ মার্কিন ডলার। বিশ্বে রফতানির ৭৭ শতাংশ অবদান ভেনামির যেগুলো ৭২ শতাংশ এশিয়ায় উৎপাদন। বাগদার অবদান ১২ শতাংশ। শুধু রোগের কথা বলে ভেনামি চাষ বর্জন করা হয়।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ ফ্রোজেন ফুডস এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সহ-সভাপতি কাজী বেলায়েত হোসেন বলেন, এখন বিশ্ববাজারে বাগদার বাজার হারিয়ে যাচ্ছে। আমরা সরকারের কাছে অনুরোধ করেছি ভেনামি চাষের জন্য। কিন্তু নানা অজুহাতে আজও অনুমতি পায়নি। কক্সবাজার চকোরিয়া বা পাইকগাছাতে জমি চেয়েছিলাম সেটা পায়নি। এ চিংড়ি চাষে যদি রোগ হবে তাহলে ভারত কেন প্রতিবছর চাষ বাড়াচ্ছে। মৎস্য গবেষক ও সাবেক মৎস্য কর্মকর্তা প্রফুল্ল কুমার সরকার বলেন, সরকার ভেবেছিল ভেনামি চিংড়ি চাষ করলে বাগদা হারিয়ে যাবে। তবে এটা নিয়ে গবেষণা হচ্ছে। যেহেতু এ চিংড়ির উৎপাদন বেশি, বিশ্বে চাহিদা বেশি তাই করপোরেট হাউজকে এগিয়ে আসতে হবে। সরকারের সঙ্গে সমঝোতার মাধ্যমে এটার চাষ নিয়ে ভাবতে হবে। এতে আমাদের রফতানি বাড়বে, বৈদেশিক মুদ্রা আসবে।

অভ্যন্তরীণ বাজার থেকে বোরো ধান সংগ্রহে পিছিয়ে পড়েছে সরকার

admin June 30, 2018
অভ্যন্তরীণ বাজার থেকে এখন পর্যন্ত আশানুরূপ বোরো ধান সংগ্রহ করতে পারেনি খাদ্য অধিদফতর। বরং সেক্ষেত্রে ব্যাপকভাবে পিছিয়ে রয়েছে। সরকার চলতি বছর বোরো মৌসুমে অভ্যন্তরীণ বাজার থেকে দেড় লাখ টন ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে। কিন্তু ইতিমধ্যে প্রায় অর্ধেক সময় পেরিয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত খাদ্য অধিদফতর মাত্র ২ হাজার ৫০০ টনের মতো ধান সংগ্রহ করতে পেরেছে। খাদ্য অধিদফতর সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়।
সূত্রমতে, খাদ্য পরিকল্পনা ও পরিধারণ কমিটির ৮ এপ্রিলের সভায় বোরো মৌসুমে ৮ লাখ টন সিদ্ধ চাল, এক লাখ টন আতপ চাল এবং দেড় লাখ টন বোরো ধান (দেড় লাখ টন ধানে এক লাখ টন চাল পাওয়া যাবে) সংগ্রহের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। সরকারি ৩৮ টাকা কেজি দরে সিদ্ধ চাল, ৩৭ টাকা কেজি দরে আতপ চাল এবং ২৬ টাকায় ধান কেনা হবে। বিগত ২ মে থেকে বোরো সংগ্রহ শুরু হয়েছে এবং আগামী ৩১ আগস্ট পর্যন্ত তা চলবে। কিন্তু বাজারে ধানের দাম বেড়ে যাওয়ায় সরকার লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী ধান সংগ্রহ করতে পারছে না। কৃষকরা ধান দিচ্ছে না।
সূত্র জানায়, খাদ্য অধিদফতর গত ২৫ জুন পর্যন্ত সিদ্ধ চাল সংগ্রহ করেছে ৪ লাখ ৩৯ হাজার ৬৯৩ টন, আতপ চাল সংগ্রহ করেছে ৩২ হাজার ৯৬১ টন। পাশাপাশি ধান সংগ্রহ করা হয়েছে ২ হাজার ৪৯৩ টন। আর ২৫ জুন পর্যন্ত ৭ লাখ ৯৬ হাজার ৮৮৮ টন সিদ্ধ এবং ৬৫ হাজার ৩৮১ টন আতপ চাল সংগ্রহের জন্য মিলারদের সঙ্গে চুক্তি করা হয়েছে। বর্তমানে সরকারি খাদ্যশস্য মজুদের পরিমাণ প্রায় ১৩ লাখ টন। গতবছর এই সময়ে মোট মজুদের পরিমাণ ছিল ৪ লাখ ৭৭ হাজার।
এদিকে এ প্রসঙ্গে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (সংগ্রহ ও সরবরাহ) জানান, যেখানে ধান সংগ্রহের অগ্রাধিকার আছে সেখানে সংগ্রহ হচ্ছে। ধান রক্ষণাবেক্ষণে একটু সমস্যা হয়। সেজন্য যেখান থেকে ধান সংগ্রহ করলে কৃষক লাভবান হবে এবং ধান পরিবহন সহজ হবে, সেখান থেকে ধান সংগ্রহ করা হয়। পাশাপাশি সরকারি গুদাম খালি হওয়া সাপেক্ষে ধান কেনা হয়ে থাকে। সেজন্য ক্রমান্বয়ে ধান কেনা হয়। বর্তমানে ধান কম কেনা হচ্ছে না। বরং সরকারি সংরক্ষণ সক্ষমতা অনুযায়ী ধান কেনা হচ্ছে। আর ধান কিনতে না পারলে দেড় লাখ টন সমপরিমাণ চাল সংগ্রহ করা যাবে। সেই সুযোগও রয়েছে।

হ্যাটট্রিক মারলেন ববি

admin June 29, 2018
২০১০ সালে ‘খোঁজ-দ্য সাচর্’ ছবি দিয়ে রুপালি পদার্য় পা রাখেন এ প্রজন্মের চিত্রনায়িকা ইয়ামিন হক ববি। এরপর ববি একে একে উপহার দিয়েছেন দেহরক্ষী, ফুল অ্যান্ড ফাইনাল, ইঞ্চি ইঞ্চি প্রেম, রাজত্ব, অ্যাকশন জেসমিন, স্বপ্নছোঁয়া, ওয়ান ওয়ে, হিরো : দ্যা সুপারস্টার, আই ডোন্ট কেয়ার, বিজলীর মতো দশর্কপ্রিয় কিছু ছবি। চলতি বছর আরও তিন ছবি নিয়ে আশাবাদী ববি। এগুলো হচ্ছে-নোলক, বেপরোয়া ও বৃদ্ধাশ্রম। ববির মতে, তিনটি ছবি চার ধরনের। একটির সঙ্গে অন্যটির মিল নেই। শুধু কথার কথা নয়। ছবিগুলো দশর্করা দেখলে বুঝতে পারবেন। তবে এর মধ্যে ‘নোলক’ ছবিকেই এগিয়ে রাখছেন ববি। গত ডিসেম্বর মাসে শুরু হয় শাকিব খান-ববি অভিনীত ‘নোলক’ ছবির শুটিং। টানা ৩২ দিন শুটিং চলে ভারতের রামুজি ফিল্ম সিটিতে। তখন ছবির ৮০ ভাগের বেশি শুটিং শেষ হয়। এরপর কেটে গেছে প্রায় সাত মাস! এই সময়টায় ‘নোলক’-এ শাকিবের কয়েকটি লুক ও স্থিরচিত্র প্রকাশ পেয়েছে। তারপর থেকে দশর্কদের আগ্রহ বাড়ে ছবিটি নিয়ে। আন-অফিসিয়ালি শোনা যায়, ঈদুল আজহায় ‘নোলক’ মুক্তি পাবে। এ প্রসঙ্গে ববি বলেন, ‘আমার ক্যারিয়ারে নোলকের মতো এমন ব্যতিক্রমী গল্পের ছবিতে কাজ করিনি। নোলকের জন্য আমার অন্য রকম একটা মায়া জন্মেছে। মুক্তির পর নোলক ছবি ভালো লাগবে না, এমন দশর্ক খুঁজে পাওয়া যাবে না। এটা আমি আত্মবিশ্বাস নিয়েই বলছি।’ তিনি আরও বলেন, ‘ছবির প্রযোজক সব কিছুই সুন্দর আর গোছানো কাজ হয়েছে। নোলকের ৮০ শতাংশ শুটিং শেষ। বাকি আছে দুটি ও মাত্র একটি সিকোয়েন্স বাকি আছে। তবে ছবিটি কবে নাগাদ মুক্তি পাবে এটি প্রযোজক ও পরিচালকই ভালো বলতে পারবেন।’ এ ছাড়া বৃদ্ধাশ্রম নামের ছবিতে কাজ করেছেন ববি। শুটিং শেষ, শুধু এই ছবির গান বাকি আছে বলে জানান তিনি। ববি বলেন, এটা পুরোপুরি সমাজসেবামূলক একটা ছবি। আমার সঙ্গে কাজ করেছেন এস ডি রুবেল। এটাও খুব ভালো ছবি হবে আমি মনে করি। সবশেষে ববি জানালেন, বেপরোয়া ছবির খবর। বললেন, এটা পুরোপুরি বাণিজ্যিক ধারার একটি ছবি। কলকাতার নিমার্তা রাজা চন্দ ছবিটি বানাচ্ছেন। ববি বলেন, চারটি ছবি একটার পর একটা মুক্তি পাবে। সবগুলো ছবি এই বছরেই আসবে। ছবিগুলো নিয়ে আমি ভীষণ আশাবাদী। প্রতিটি ছবিটি আমার লুক, গেটআপে দশর্ক ভিন্নতা পাবে। এখন শুধু মুক্তির অপেক্ষা।

হিনা খোলামেলা ছবি শেয়ার করে তোপের মুখে

admin June 29, 2018

হিনা খান। ভারতীয় টিভি সিরিয়ালের পরিচিত মুখ। টিভি সিরিয়াল ‘ইয়ে রিশতা কিয়া কেহলাতা হ্যায়’র মাধ্যমে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পান তিনি। বিগ বস-১১-এর প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েও আলোচনায় আসেন তিনি। এদিকে স¤প্রতি বিকিনি পরিহিত বেশ কিছু খোলামেলা ছবি ইন্সটাগ্রামে  শেয়ার করে তোপের মুখে পড়েছেন তিনি। ভারতীয় গণমাধ্যমে খবর, বয়ফ্রেন্ড রকি জয়সওয়ালের সঙ্গে গোয়ায় গিয়েছিলেন হিনা খান।
আর  সেখানে গিয়ে কালো বিকিনি পরে ছবি শেয়ার করেন হিনা খান। কখনও পুলে বসে নিজের সেই খোলামেলা ছবি শেয়ার করেন হিনা, আবার কখনও রকির সঙ্গে ঘনিষ্ঠ ছবি শেয়ার করতে দেখা যায় তাকে। আর এরপরই আক্রমণের মুখে পড়তে হয় বিগ বসের প্রাক্তন এই  প্রতিযোগীকে। হিনা কীভাবে ওই ধরনের ছবি শেয়ার করলেন, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয় নেটদুনিয়ায়। এটা কী ধরনের পোশাক এবং ছবি বলেও তোলা হয় প্রশ্ন। পাশাপাশি ‘ধর্মের উপর সম্মান প্রদর্শন করুন’ বলেও আক্রমণ করা হয় হিনাকে। যদিও এ বিষয়ে পরবর্তীতে কোনো কথা বলেননি হিনা।

বিদেশে কৃষি পণ্য রপ্তানিতে আয় বেড়েছে

admin June 29, 2018
ইতিবাচক ধারায় রয়েছে দেশের কৃষি পণ্য রপ্তানি। বিশ্বের ৫০টিরও বেশি দেশে কৃষি ও কৃষিজাত পণ্য রপ্তানি হচ্ছে। গত জুলাই-মে সময়ে কৃষি পণ্যে রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১৮ শতাংশ। মোট আয় ৬০ কোটি ৯০ লাখ ডলার। দেশি মুদ্রায় পরিমাণ ৫ হাজার কোটি টাকারও বেশি। বাংলাদেশ রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা যায়।
সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, দেশের প্রধান কৃষিপণ্যের মধ্যে রয়েছে চা, সবজি, ফুল, ফল, মসলা, শুকনো খাবার ইত্যাদি। তার মধ্যে ১১ মাসে চা ও সবজি বাদে অন্যান্য সবগুলো উপখাতে রপ্তানি প্রবৃদ্ধি আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে বেড়েছে। চলতি ২০১৭-১৮ অর্থবছরের প্রথম ১১ মাসে কৃষিপণ্য রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৫২ কোটি ৩ লাখ ৫০ হাজার মার্কিন ডলার। তার বিপরীতে আয় হয়েছে ৬০ কোটি ৯০ লাখ ডলার। যা লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় ১৭ দশমিক ০৪ শতাংশ বেশি। আর বিগত ২০১৬-১৭ অর্থবছরের প্রথম ১১ মাসের তুলনায়ও ১৮ দশমিক ০৯ শতাংশ বেশি। গত অর্থবছরের ২০১৬-১৭ প্রথম ১১ মাসে এ খাতের আয় ছিল ৫১ কোটি ৫৭ লাখ ডলার। চলতি ২০১৭-১৮ অর্থবছরের পুরো সময়ে কৃষি পণ্যে রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৫৭ কোটি ৬০ লাখ মার্কিন ডলার। গত ২০১৬-১৭ অর্থবছরে এ খাতে আয় হয়েছিল ৫৫ কোটি ৩১ লাখ মার্কিন ডলার। ২০১৫-১৬ অর্থবছরে আয় হয়েছিল ৫৯ কোটি ৬০ লাখ ৬০ হাজার মার্কিন ডলার।
সূত্র জানায়, গত জুলাই-মে মেয়াদে এদেশ থেকে ফল রপ্তানিতে আয় হয়েছে ২২ লাখ ৪০ হাজার মার্কিন ডলার। যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ২৩ দশমিক ৭৩ শতাংশ এবং আগের অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ৪১ দশমিক ৭৭ শতাংশ বেশি। ২০১৬-১৭ অর্থবছরের জুলাই- মে মেয়াদে ফল রপ্তানিতে আয় হয়েছিল ১৫ লাখ ৮০ হাজার মার্কিন ডলার। একই সময়ে মসলা জাতীয় পণ্য রপ্তানি করে ৪ কোটি ৬ লাখ ডলার, শুকনো খাবার রপ্তানিতে আয় হয়েছে ১৭ কোটি ৯৭ লাখ মার্কিন ডলার, তামাক জাতীয় পণ্য রপ্তানি করে ৫ কোটি ৪২ লাখ ডলার আয় হয়েছে। তবে কৃষি পণ্যের মধ্যে চা রপ্তানি খুব একটা ভালো অবস্থানে নেই। দিন দিন পণ্যটির রপ্তানির পরিমাণ কমছে। চলতি অর্থবছরের প্রথম ১১ মাসে চা রপ্তানিতে আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা ছিল ৪৫ লাখ ২০ হাজার ডলার। তার বিপরীতে আয় হয়েছে মাত্র ২৫ লাখ ৩০ হাজার ডলার। যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৪৪ দশমিক ০৩ শতাংশ কম। একই সাথে বিগত ২০১৬-১৭ অর্থবছরের একই সময়ের চেয়েও ৪১ দশমিক ০৩ শতাংশ আয় কমেছে। গত অর্থবছরের জুলাই-মে মেয়াদে চা রপ্তানি হয়েছিল ৪২ লাখ ৯০ হাজার মার্কিন ডলার। 
সূত্র আরো জানায়, গত জুলাই-মে মেয়াদে সবজি রপ্তানিতে ৭ কোটি ২২ লাখ ৭০ হাজার মার্কিন ডলার আয়ের লক্ষ্যমাত্রা থাকলেও আয় হয়েছে ৭ কোটি ১২ লাখ ৩০ হাজার মার্কিন ডলার। যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে এক দশমিক ৪৪ শতাংশ কম। একই সাথে আগের অর্থবছরের প্রথম ১১ মাসের তুলনায়ও সাত দশমিক ৩৭ শতাংশ কম। বিগত ২০১৬-১৭ অর্থবছরে প্রথম ১১ মাসে সবজি রপ্তানিতে আয় হয়েছিল ৭ কোটি ৬৯ লাখ মার্কিন ডলার।
কোরআন-হাদিসের ভয় দেখিয়ে ছাত্রীদের যৌন হয়রানি, তদন্তে কমিটি

কোরআন-হাদিসের ভয় দেখিয়ে ছাত্রীদের যৌন হয়রানি, তদন্তে কমিটি

admin June 28, 2018


লক্ষ্মীপুর: লক্ষ্মীপুরে কোরআন-হাদিসের ভয় দেখিয়ে বিদ্যালয়ের কোমলমতি শিশু শিক্ষার্থীদের যৌন হয়রানির অভিযোগ উঠেছে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক ধর্মশিক্ষকের বিরুদ্ধে। বিদ্যালয়টির খণ্ডকালীন শিক্ষক তোফায়েল আহমদের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ উঠার পর থেকে সে কৌশলে এলাকা ছেড়ে পালিয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয়রা। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী পরিবার ও গ্রামবাসীর মধ্যে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে। দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন তারা। এদিকে বৃহস্পতিবার দুপুরে তিন সদস্যের একটি টিম গঠনসহ তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়ার কথা নিশ্চিত করেছে উপজেলা প্রশাসন।
সরেজমিনে জানা যায়, তিন বছর পূর্বে লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার চর রমনী মোহন ইউনিয়নের করাতির হাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের খণ্ডকালীন শিক্ষক নিযুক্ত হন তোফায়েল আহমদ। তার বাড়ি সদর উপজেলার মাছিম নগর গ্রামে। নিয়োগ পাওয়ার পর স্থানীয় হাওলাদার বাড়িতে লজিং মাস্টার থেকে পাশ্ববর্তী একটি মসজিদে ইমামতি করতেন তিনি। পাশাপাশি সকালে মক্তবে শিশুদের আরবি শিক্ষা ও রাতে প্রাইভেট পড়াতেন ওই শিক্ষক। এ সুবাদে কোমলমতি শিশু ছাত্রীদের যৌন হয়রানি করতেন তিনি। কোরআন হাদিসের ভয় দেখিয়ে শিক্ষকের সকল কথা মানার ও কাউকে না বলার প্রতিশ্রুতি নিয়ে যৌন হয়রানি (ধর্ষণ ও শ্লীলতাহানি) করে আসছিলেন শিক্ষক তোফায়েল। গত ২৬ জুন মঙ্গলবার এক ছাত্রীর সাথে অশালীন আচরণ করলে সে বিষয়টি তার পরিবারকে জানায়। এরপর স্কুলের শিক্ষকদের বিষয়টি জানালে এবং ঘটনা জানাজানি হলে অন্য ৭-৮জন ছাত্রীও তাদের সঙ্গে এমন আচরণ করা হয়েছে বলে জানায়। ফাঁস হয়ে যায় শিক্ষক তোফায়েলের অপকর্ম। বিষয়টি জানতে পেরে কৌশলে অভিযুক্ত শিক্ষক তোফায়েল আহমদ এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায়। বর্তমানে তার ব্যবহৃত মুঠোফোনটিও বন্ধ বলে জানান বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক খালেদা ইয়াছমিন পিঙ্কি।
ঘটনার শিকার একাধিক শিক্ষার্থী জানান, হুজুর স্যার (তোফায়েল আহমদ) খারাপ কাজ (ধর্ষণ) করতো, শরীরের বিভিন্ন স্থানে হাত দিতো, কাউকে না বলার জন্য কোরআন হাদিস ধরিয়ে ভয় দেখাতো। আর কাউকে বললে রূপালী পাগলীর মতো হয়ে যাবি, বলে ভয় দেখাতো। এ কারণে অনেকেই ভয়ে মুখ খুলে নি। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে অভিভাবক ও গ্রামবাসীরা বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠে। লম্পট শিক্ষকের দৃষ্টান্তমূলক বিচার দাবি করেন তারা।
উপজেলা শিক্ষা অফিসার মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান মোল্লা জানান, এ ঘটনায় তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত টিম গঠন করা হয়েছে। এ ধরনের ঘটনার প্রমাণ পেলে দায়ী ব্যক্তির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এছাড়া এ ধরনের ঘটনা যেন আর না ঘটে সেজন্য সকল বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের সচেতন করা হবে বলেও জানান তিনি। একইভাবে তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণের কথা জানান উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ শাহাজান আলী।

Image Gallary

 
1 / 3
   
Caption Text
 
2 / 3
   
Caption Two
 
3 / 3
   
Caption Three