Showing posts with label পরকীয়া. Show all posts
Showing posts with label পরকীয়া. Show all posts
জামাই-শ্বাশুড়ির পরকীয়ার পর বিয়ে, জামাইয়ের রহস্যজনক মৃত্যু

জামাই-শ্বাশুড়ির পরকীয়ার পর বিয়ে, জামাইয়ের রহস্যজনক মৃত্যু

admin August 28, 2018

সারাদেশ: মেয়ের জামাতা ও শ্বাশুড়ির পরকীয়া প্রেমের কারণে জামাতা তালাক দিয়েছিল তার স্ত্রীকে আর শ্বাশুড়ি তালাক দিয়েছিল তার স্বামীকে। অতঃপর জামাতা ও শ্বাশুড়ি বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে স্বামী-স্ত্রী হিসেবে বসবাস করছিলেন বরিশাল নগরীর সিএন্ডবি রোডস্থ মসজিদ সড়কের একটি ভাড়াটিয়া বাসায়। গত রবিবার রাতে রহস্যজনক ভাবে জামাতার মৃত্যু হয়েছে।



খবর পেয়ে পুলিশ মৃত জামাতা মাসুম খানের (৩৩) লাশ উদ্ধার করে সোমবার (২৭ আগস্ট) সকালে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করেছেন। একইসাথে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মৃতের সাবেক শ্বাশুড়ি (বর্তমান স্ত্রী) জাকিয়া বেগমকে থানায় নিয়ে এসেছেন। কোতোয়ালী মডেল থানার ডিউটি কর্মকর্তা এএসআই মহসিন জানান, বিষয়টি রহস্যজনক বিধায় মৃতের স্ত্রী জাকিয়া বেগম ও তার ছেলে রাবিক গাজীকে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। থানার ওসি নুরুল ইসলাম পিপিএম বলেন, প্রাথমিকভাবে বিষয়টি রহস্যজনক মনে হওয়ায় লাশ উদ্ধার করে মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।



[চাকরির খোঁজে এসে গণধর্ষণের শিকার যুবতী]

স্থানীয় একাধিক সূত্রে জানা গেছে, কয়েক বছর পূর্বে জাকিয়া বেগমের (৪৬) কন্যা তানজিলা আক্তারের সাথে সামাজিকভাবে প্রতিবেশী মাসুম খানের বিয়ে হয়। বিয়ের পর মাসুম ও তার শ্বাশুড়ি জাকিয়া বেগম পরকীয়ায় জড়িয়ে পরেন। বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর মাসুম খান জাকিয়া বেগমের কন্যা তানজিলাকে ও জাকিয়া তার স্বামী তানজিলার পিতা আবু গাজীকে তালাক দেয়। এরপর পরকীয়া প্রেমিক মেয়ে জামাতা মাসুম খানকে বিয়ে করে জাকিয়া বেগম একসাথে বসবাস করে আসছিলো। এরইমধ্যে রবিবার রাতে রহস্যজনকভাবে মাসুম খানের মৃত্যু হয়। অভিযোগ উঠেছে, পরকীয়ার কারণে পরিবারের লোকজন ক্ষিপ্ত হয়ে মাসুমকে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করতে পারে। এ অভিযোগের ভিত্তিতেই পুলিশ মৃত মাসুম খানের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ ও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য জাকিয়া বেগম ও তার পুত্র রাকিবকে আটক করেছে।

এক মডেলের ‘লিভ টুগেদার’ ও তিন নিষ্পাপ শিশুর এতিম হওয়ার গল্প

এক মডেলের ‘লিভ টুগেদার’ ও তিন নিষ্পাপ শিশুর এতিম হওয়ার গল্প

admin August 15, 2018

রংপুর এক্সপ্রেস: ‘মডেল কন্যা’ মাহমুদা আক্তার। সে নারায়ণগঞ্জ শহরের নাগবাড়ী এলাকার আক্কাস মিয়ার মেয়ে। তার স্বামী স্বামী হাফিজুর রহমান ও একসন্তান নিয়ে থাক নারায়ণগঞ্জ শহরে। মাহমুদার পাঁচ বছর বয়সী রিয়ানা রহমান জারা নামে একটি ফুটফুটে মেয়ে আছে। ২০১৬ সালে মাহমুদা আক্তার নারায়ণগঞ্জ শহরের উকিলপাড়ায় মেগাশপ ‘টপটেন’ এ কাজ নেয়। সে ছিল ওই সময়ে টপটেন শাখার প্রথম নারী বিক্রয়কর্মী।


মাহমুদার চাকুরির একপর্যায়ে সেখানে চাকরি নেয় সাগর ইসলাম বাপ্পি নামে এক যুবক। সে মুন্সীগঞ্জের মীরকাদিম পৌরসভার রিকাবীবাজার পূর্বপাড়া এলাকার জহিরুল ইসলামের ছেলে। তার স্ত্রী এবং দুই ছেলে মাসরিফ ও ফারদিন ইসলাম থাকতো মুন্সীগঞ্জে। কাজের সূত্র ধরে মাহমুদার সঙ্গে পরিচয় হয় বাপ্পির। এক সময় তারা পরকীয়া প্রেমে আসক্ত হয়ে পড়ে। এসব কারণে একসময় ভেঙে যায় মাহমুদার সংসার। পরকীয়া প্রেমের লীলায় মেতে ওঠে বাপ্পি ও মাহমুদা।



[গুপ্তধনের খোঁজে: মিরপুরের সেই বাড়ির খবর কি?]


মাহমুদা টপটেনের কাজ করার একপর্যায়ে সেখান থেকে চাকুরি ছেড়ে দে। এরপর আর ওখানের কারও সঙ্গে যোগাযোগ রাখেনি সে। এমনকি কাজের সহকর্মীদের ফেসবুকও ব্লক করে দেয়। স্বামীর সঙ্গে ডিভোর্স হওয়ার পর তার সন্তান জারাকে নানীর বাসায় পাঠিয়ে দেয়। একসময় নিজের সন্তানেরও খবর রাখতো না সে। বাপ্পিও চাকুরি ছেড়ে দেয় টপটেন ফ্যাশন হাউজের। সবশেষ সে গত রমজান মাসে নারায়ণগঞ্জ শহরের চাষাড়া বালুর মাঠে ‘ফ্যাশন ওয়ার্ল্ড’ এ এক মাস সেলসম্যানের চাকরি করে। থামেনি তাদের পরকীয়ার রঙ্গলীলা। ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে তাদের পরকীয়ার গভীরতা। একসময় তা ঠেকে ‘লিভ টুগেদারে’।


গত ইদুল ফিতরের পর দুই পরিবারের অজান্তে মাহমুদা ও বাপ্পি গোগনগরে গোপনে ফ্ল্যাট ভাড়া নেয় এবং স্বামী-স্ত্রী পরিচয় দিয়ে বসবাস শুরু করে। চলতে থাকে তাদের লিভ টুগেদার । যা তাদের পরিবারের কেউই জানতো না। কিন্তু বেশিদিন তাদের সুখের হয় নি তাদের এ সম্পর্ক। তাদের রঙ্গলীলা একসময় দু’জনের মৃত্যুর কারণ হয়ে দাঁড়ায়। মাহমুদাকে খুন করে ঘাতক ঘরের দরজায় তালা ঝুলিয়ে সটকে পড়ে। ফ্লাটে ওঠার এক মাস ২০ দিনের মাথায় গত ৩০ শে জুলাই রাতে তালাবব্ধ ওই ফ্ল্যাট থেকে পুলিশ মাহমুদার লাশ উদ্ধার করে। অন্যদিকে মাহমুদার মৃত্যুর একদিন পর গত ৩১ শে জুলাই মারা যায় বাপ্পি। শেষ হয়ে যায় তাদের পরকীয়ার রঙ্গলীলা। এখানেই শেষ নয়। তাদের মৃত্যুর মধ্যদিয়ে এতিম হয় দুই পরিবারের অবুঝ তিন সন্তান। আর সন্তান হারা কষ্ট নিয়ে আছেন তাদের দুই পরিবারের সদস্যরা।


মাহমুদাকে হত্যাকাণ্ডের পরদিন বাপ্পির মৃত্যুর বিষয়টি নানা প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে সর্বত্র। কিন্তু প্রশ্ন যা-ই হোক মাহমুদা ও বাপ্পির পরকীয়াই তাদের ৩ সন্তান আজ এতিম। তাদের ভবিষ্যৎ আজ অন্ধকার। শুধু কি তাই? দুই পরিবারের সদস্যরা আজ তাদের সন্তান হারা। তাদের সন্তানেরা হয়তো আদরে-অনাদরে তারা একদিন বড় হবে। কিন্তু একজন ফিরে পাবে না তার মাকে আর দুইজন ফিরে পাবে না তাদের বাবাকে। নিষ্পাপ এই শিশুদের কোন অপরাধ ছিল না। শুধু বাবা-মায়ের পাপের শিকার হয়েছে তারা। যুগান্তর।

আইনজীবী রথীশের লাশ উদ্ধার, স্ত্রীর পরকীয়ার জেরেই হত্যাকাণ্ড

আইনজীবী রথীশের লাশ উদ্ধার, স্ত্রীর পরকীয়ার জেরেই হত্যাকাণ্ড

admin April 04, 2018
[caption id="attachment_295" align="alignright" width="226"] কামরুল জাফরী[/caption]

রংপুর: তাজহাট মোল্লাপাড়ার একটি নির্মাণাধীণ বাড়ি থেকে নিখোঁজের ৫ দিন পর রংপুর জেলা আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক পিপি রথীশ চন্দ্রের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহতের স্ত্রী রিতা’র দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতেই তার লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। পারিবারিক কলহের জেরে আইনজীবী রথিশকে হত্যা করা হয়েছে বলে আজ বুধবার রংপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন র‌্যাবের মহাপরিচালক বেনজির আহমেদ। তিনি বলেন, ‘পারিবারিক অশান্তি, অবিশ্বাস, কলহ থেকেই আইনজীবী রথিশকে হত্যা করা হয়েছে। যার পেছনে ছিল তার স্ত্রী রিতার পরকীয়া।’


এর আগে গতকাল মঙ্গলবার গভীর রাতে রথীশের লাশ উদ্ধার করা হয়। গত ২৯ মার্চ হত্যার পর তার মরদেহ ওই বাড়িতে মাটিচাপা দেওয়া হয়েছে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানান বেনজির আহমদ। তিনি বলেন, ‘হত্যার আগে তাকে ঘুমের বড়ি খাওয়ানো হয় এবং শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়।’ গতকাল রাতেই এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে বাবু সোনার স্ত্রী দীপা ভৌমিককে গ্রেফতার করে র‌্যাব।


পুলিশ জানায়, গতকাল রাত ১১ টার দিকে রথীশের স্ত্রী দীপাকে তাদের নগরীর বাবুপাড়ার বাসা থেকে আটকের পর জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি জানান, রথীশের লাশ তাজহাট মোল্লাপাড়ায় তার প্রেমিক কামরুল ইসলাম জাফরীর বড় ভাই খাদেমুল ইসলাম জাফরীর নির্মাণাধীন বাড়িতে আছে। পরে দীপা ও কামরুলকে সঙ্গে নিয়ে ওই বাসায় গিয়ে বস্তার মধ্যে বালুর ভেতরে রাখা লাশ উদ্ধার করা হয়। রথীশ চন্দ্রের স্ত্রী দীপা ও কামরুল জাফরী তাজহাট উচ্চবিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক। আর আইনজীবী রথীশ চন্দ্র ওই বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি।



স্ত্রীর সঙ্গে রথীশ চন্দ্র ভৌমিক বাবু সোনা


আইনজীবী রথীশ চন্দ্র নিখোঁজ হয়েছেন মর্মে গত শনিবার (৩‌১ মার্চ) থানায় জিডি করে তার পরিবার। এর পরই তাকে উদ্ধারে অভিযান শুরু করে পুলিশ। ওই দিনই (শনিবার, ৩১ মার্চ) নগরীর রাধাবল্লভ থেকে রথীশ চন্দ্রের স্ত্রী দীপা ভৌমিকের প্রেমিক কামরুল ইসলাম জাফরীকে আটক করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে তিনি ও দীপা ভৌমিকের ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেন। এরপর গতকাল মঙ্গলবার রাতে দীপা ভৌমিককে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদে নিশ্চিত হওয়ার পর রথীশ চন্দ্রের লাশ তাজহাট মোল্লাপাড়া সংলগ্ন কামরুল জাফরীর বড় ভাইয়ের নির্মাণাধীন বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয়।


র‌্যাব মহাপরিচালক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, দুই মাস আগেই রথীশের স্ত্রীর রিতা ও তার প্রেমিক কামরুল জাফরী এ হত্যাকাণ্ডের পরিকল্পনা করে বলে রিতা ভৌমিককে জিজ্ঞাসাবাদে জানায়।


এ্যাডভোকেট রথিশ চন্দ্র ভৌমিক রংপুর জেলা আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক, হিন্দুধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের ট্রাস্টি, জেলা সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি। এছাড়াও তিনি রংপুরে জাপানি নাগরিক হোশি কোনিও ও মাজারের খাদেম রহমত আলী হত্যা মামলার আইনজীবি এবং জামাতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল এটিএম আজহারুর ইসলামের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া যুদ্ধাপরাধ মামলার সাক্ষী।

Image Gallary

 
1 / 3
   
Caption Text
 
2 / 3
   
Caption Two
 
3 / 3
   
Caption Three