সারাদেশ: মেয়ের জামাতা ও শ্বাশুড়ির পরকীয়া প্রেমের কারণে জামাতা তালাক দিয়েছিল তার স্ত্রীকে আর শ্বাশুড়ি তালাক দিয়েছিল তার স্বামীকে। অতঃপর জামাতা ও শ্বাশুড়ি বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে স্বামী-স্ত্রী হিসেবে বসবাস করছিলেন বরিশাল নগরীর সিএন্ডবি রোডস্থ মসজিদ সড়কের একটি ভাড়াটিয়া বাসায়। গত রবিবার রাতে রহস্যজনক ভাবে জামাতার মৃত্যু হয়েছে।
খবর পেয়ে পুলিশ মৃত জামাতা মাসুম খানের (৩৩) লাশ উদ্ধার করে সোমবার (২৭ আগস্ট) সকালে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করেছেন। একইসাথে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মৃতের সাবেক শ্বাশুড়ি (বর্তমান স্ত্রী) জাকিয়া বেগমকে থানায় নিয়ে এসেছেন। কোতোয়ালী মডেল থানার ডিউটি কর্মকর্তা এএসআই মহসিন জানান, বিষয়টি রহস্যজনক বিধায় মৃতের স্ত্রী জাকিয়া বেগম ও তার ছেলে রাবিক গাজীকে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। থানার ওসি নুরুল ইসলাম পিপিএম বলেন, প্রাথমিকভাবে বিষয়টি রহস্যজনক মনে হওয়ায় লাশ উদ্ধার করে মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।
[চাকরির খোঁজে এসে গণধর্ষণের শিকার যুবতী]
স্থানীয় একাধিক সূত্রে জানা গেছে, কয়েক বছর পূর্বে জাকিয়া বেগমের (৪৬) কন্যা তানজিলা আক্তারের সাথে সামাজিকভাবে প্রতিবেশী মাসুম খানের বিয়ে হয়। বিয়ের পর মাসুম ও তার শ্বাশুড়ি জাকিয়া বেগম পরকীয়ায় জড়িয়ে পরেন। বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর মাসুম খান জাকিয়া বেগমের কন্যা তানজিলাকে ও জাকিয়া তার স্বামী তানজিলার পিতা আবু গাজীকে তালাক দেয়। এরপর পরকীয়া প্রেমিক মেয়ে জামাতা মাসুম খানকে বিয়ে করে জাকিয়া বেগম একসাথে বসবাস করে আসছিলো। এরইমধ্যে রবিবার রাতে রহস্যজনকভাবে মাসুম খানের মৃত্যু হয়। অভিযোগ উঠেছে, পরকীয়ার কারণে পরিবারের লোকজন ক্ষিপ্ত হয়ে মাসুমকে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করতে পারে। এ অভিযোগের ভিত্তিতেই পুলিশ মৃত মাসুম খানের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ ও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য জাকিয়া বেগম ও তার পুত্র রাকিবকে আটক করেছে।