এক মডেলের ‘লিভ টুগেদার’ ও তিন নিষ্পাপ শিশুর এতিম হওয়ার গল্প

admin August 15, 2018

রংপুর এক্সপ্রেস: ‘মডেল কন্যা’ মাহমুদা আক্তার। সে নারায়ণগঞ্জ শহরের নাগবাড়ী এলাকার আক্কাস মিয়ার মেয়ে। তার স্বামী স্বামী হাফিজুর রহমান ও একসন্তান নিয়ে থাক নারায়ণগঞ্জ শহরে। মাহমুদার পাঁচ বছর বয়সী রিয়ানা রহমান জারা নামে একটি ফুটফুটে মেয়ে আছে। ২০১৬ সালে মাহমুদা আক্তার নারায়ণগঞ্জ শহরের উকিলপাড়ায় মেগাশপ ‘টপটেন’ এ কাজ নেয়। সে ছিল ওই সময়ে টপটেন শাখার প্রথম নারী বিক্রয়কর্মী।


মাহমুদার চাকুরির একপর্যায়ে সেখানে চাকরি নেয় সাগর ইসলাম বাপ্পি নামে এক যুবক। সে মুন্সীগঞ্জের মীরকাদিম পৌরসভার রিকাবীবাজার পূর্বপাড়া এলাকার জহিরুল ইসলামের ছেলে। তার স্ত্রী এবং দুই ছেলে মাসরিফ ও ফারদিন ইসলাম থাকতো মুন্সীগঞ্জে। কাজের সূত্র ধরে মাহমুদার সঙ্গে পরিচয় হয় বাপ্পির। এক সময় তারা পরকীয়া প্রেমে আসক্ত হয়ে পড়ে। এসব কারণে একসময় ভেঙে যায় মাহমুদার সংসার। পরকীয়া প্রেমের লীলায় মেতে ওঠে বাপ্পি ও মাহমুদা।



[গুপ্তধনের খোঁজে: মিরপুরের সেই বাড়ির খবর কি?]


মাহমুদা টপটেনের কাজ করার একপর্যায়ে সেখান থেকে চাকুরি ছেড়ে দে। এরপর আর ওখানের কারও সঙ্গে যোগাযোগ রাখেনি সে। এমনকি কাজের সহকর্মীদের ফেসবুকও ব্লক করে দেয়। স্বামীর সঙ্গে ডিভোর্স হওয়ার পর তার সন্তান জারাকে নানীর বাসায় পাঠিয়ে দেয়। একসময় নিজের সন্তানেরও খবর রাখতো না সে। বাপ্পিও চাকুরি ছেড়ে দেয় টপটেন ফ্যাশন হাউজের। সবশেষ সে গত রমজান মাসে নারায়ণগঞ্জ শহরের চাষাড়া বালুর মাঠে ‘ফ্যাশন ওয়ার্ল্ড’ এ এক মাস সেলসম্যানের চাকরি করে। থামেনি তাদের পরকীয়ার রঙ্গলীলা। ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে তাদের পরকীয়ার গভীরতা। একসময় তা ঠেকে ‘লিভ টুগেদারে’।


গত ইদুল ফিতরের পর দুই পরিবারের অজান্তে মাহমুদা ও বাপ্পি গোগনগরে গোপনে ফ্ল্যাট ভাড়া নেয় এবং স্বামী-স্ত্রী পরিচয় দিয়ে বসবাস শুরু করে। চলতে থাকে তাদের লিভ টুগেদার । যা তাদের পরিবারের কেউই জানতো না। কিন্তু বেশিদিন তাদের সুখের হয় নি তাদের এ সম্পর্ক। তাদের রঙ্গলীলা একসময় দু’জনের মৃত্যুর কারণ হয়ে দাঁড়ায়। মাহমুদাকে খুন করে ঘাতক ঘরের দরজায় তালা ঝুলিয়ে সটকে পড়ে। ফ্লাটে ওঠার এক মাস ২০ দিনের মাথায় গত ৩০ শে জুলাই রাতে তালাবব্ধ ওই ফ্ল্যাট থেকে পুলিশ মাহমুদার লাশ উদ্ধার করে। অন্যদিকে মাহমুদার মৃত্যুর একদিন পর গত ৩১ শে জুলাই মারা যায় বাপ্পি। শেষ হয়ে যায় তাদের পরকীয়ার রঙ্গলীলা। এখানেই শেষ নয়। তাদের মৃত্যুর মধ্যদিয়ে এতিম হয় দুই পরিবারের অবুঝ তিন সন্তান। আর সন্তান হারা কষ্ট নিয়ে আছেন তাদের দুই পরিবারের সদস্যরা।


মাহমুদাকে হত্যাকাণ্ডের পরদিন বাপ্পির মৃত্যুর বিষয়টি নানা প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে সর্বত্র। কিন্তু প্রশ্ন যা-ই হোক মাহমুদা ও বাপ্পির পরকীয়াই তাদের ৩ সন্তান আজ এতিম। তাদের ভবিষ্যৎ আজ অন্ধকার। শুধু কি তাই? দুই পরিবারের সদস্যরা আজ তাদের সন্তান হারা। তাদের সন্তানেরা হয়তো আদরে-অনাদরে তারা একদিন বড় হবে। কিন্তু একজন ফিরে পাবে না তার মাকে আর দুইজন ফিরে পাবে না তাদের বাবাকে। নিষ্পাপ এই শিশুদের কোন অপরাধ ছিল না। শুধু বাবা-মায়ের পাপের শিকার হয়েছে তারা। যুগান্তর।

এই বিভাগের আরও খবর

পরবর্তী পোস্ট
« Prev Post
পূর্বের পোস্ট
Next Post »
নিচের বক্সে মন্তব্য লিখুন

Disqus
আপনার মন্তব্য যোগ করুন

No comments

Image Gallary

 
1 / 3
   
Caption Text
 
2 / 3
   
Caption Two
 
3 / 3
   
Caption Three