অনলাইন ডেস্ক:
প্রশাসনের বেঁধে দেয়া সময় অনুযায়ী রাজশাহীতে আজ বুধবার সকালে আম পাড়া, বাজারজাতকরণ ও বিক্রি শুরু হয়েছে। প্রতিমণ আম বিক্রি হচ্ছে ৮০০-১২০০ টাকায়।এদিকে বাঘা উপজেলায় আম পাড়া মৌসুম শুরু হওয়ায় দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে ক্রেতারা আসছেন আড়তে।
উপজেলার আমের আড়ত ঘুরে দেখা গেছে, আম ক্রয়ের জন্য বিভিন্ন ছোটবড় আড়ত ধোয়া-মোছার কাজ করা হয়েছে। কিছু স্থানে গড়ে তোলা হয়েছে অস্থায়ী আড়ত। প্রতি বছর উপজেলায় আমের আড়তে প্রায় সাড়ে চার হাজার শ্রমিকের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়। শ্রমিকরাও শেষ মুহূর্তে আড়তদারদের সঙ্গে দৈনিক মজুরি নিয়ে দরকষাকষি করে কাজ করেন।
আড়ানী পৌরবাজারের আড়তদার মোহাম্মদ বাদশা হোসেন বলেন, বুধবার সকাল থেকে আম কেনাবেচা শুরু হয়েছে। বিগত বছরের তুলনায় এ বছর বাগানে আম অনেক কম ধরেছে। তার ওপর দফায় দফায় প্রাকৃতিক দুর্যোগ বয়ে যাচ্ছে। ফলে চাহিদা অনুসারে আম পাওয়া কঠিন হয়ে পড়বে। এবার গুটিজাতীয় আম প্রতি মণ ৮০০-১২০০ টাকা দরে কেনাবেচা শুরু হয়েছে।
সিরাজগঞ্জ থেকে আড়ানীর আড়তে আসা আম ব্যবসায়ী আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, আম মৌসুমে প্রতি বছর কয়েকটি আড়ত ঘুরে আম কিনে থাকি। জেলার মধ্যে সবচেয়ে ভালো মানের আম বাঘা উপজেলার আড়তে পাওয়া যায়। এখান থেকে আম কিনে দেশের বিভিন্ন জেলায় চাহিদা মোতাবেক সরবরাহ করে থাকি। উপজেলার হামিদকুড়া গ্রামের আমচাষি বিরাজ আলী বলেন, বুধবার থেকে আম পাড়া শুরু হয়েছে। তাই আমের বাজারদর জানতে আড়তে এসেছি।
এ ব্যাপারে বাঘা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যজিস্ট্রেট শাহিন রেজা বলেন, কোন আম কখন পাড়তে হবে সে মোতাবেক একটি দিকনির্দেশনা ক্রেতা-বিক্রেতাদের দেয়া হয়েছে। এ ছাড়া আমাদের পক্ষ থেকে সার্বক্ষণিক আম আড়তগুলোতে মনিটরিং থাকবে। এছাড়া কোথাও কোনো অনিয়মের খবর পেলে তৎক্ষণিক আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ইতিমধ্যে জেলা প্রশাসকের এক সভায় স্থানীয় বাগান মালিক ও ব্যবসায়ীদের কয়েকটি ধাপে আম ক্রয়-বিক্রয়ের নিদের্শনা দেন। সে নির্দেশনা মোতাবেক ১৫ মে থেকে গুটিজাতীয় আম পাড়া শুরু হয়েছে। এছাড়া গোপালভোগ ২ মে, রানিপ্রসাদ ও লক্ষণভোগ ২৫ মে, হীমসাগর ২৮ মে, ল্যাংড়া ৬ জুন, আম্রপালি ও ফজলি ১৬ জুন এবং আশ্বনী ১ জুলাই থেকে আম পাড়া শুরু হবে।