ইংল্যান্ডের ডাবল সেঞ্চুরিও হারাতে পারেনি পাকিস্তানকে

admin June 04, 2019

রংপুর এক্সপ্রেস ডেস্ক:
টানা ১২ ম্যাচে হারা পাকিস্তান অবশেষে জয়ের দেখা পেলে বিশ্বকাপে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে। ইংল্যান্ডকে তারা হারিয়েছে ১৪ রানে। দুই ইংলিশ ব্যাটার জো রুট এবং জস বাটলারের সেঞ্চুরির পরেও পাকিস্তানকে হারাতে পারেনি স্বাগতিকরা।


জিততে হলে বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশি রান তাড়া করে জেতার রেকর্ড গড়তে হতো ইংল্যান্ডকে। নিজেদের প্রথম ম্যাচে ছন্নছাড়া ব্যাটিং করা পাকিস্তান হঠাৎ জ্বলে উঠলো আগ্নেয়গিরির মতো। ৩৪৮ রান বিশ্বকাপে তাদের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহ। আর একটি রান হলেই ছুঁয়ে ফেলত সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড।


বড় সংগ্রহ তাড়া করতে নেমে শুরুতেই উইকেট হারায় স্বাগতিকরা। ওপেনার জেসন রয়কে এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলেন শাদাব খান। এরপর জনি বেয়ারস্টোও বেশিক্ষণ থাকতে পারেননি। ৩২ রানে তাকে ফেরান ওয়াব রিয়াজ। ষষ্ঠ ওভারে ৯ রানের সময় স্লিপে রুটকে জীবন উপহার দেন বাবর আজম। সেই রুটের ব্যাট থেকে শেষ পর্যন্ত আসে সেঞ্চুরি। অধিনায়ক ইয়ন মর্গান ব্যার্থ। তাকে ৯ রানে বোল্ড করেন হাফিজ। ১৩ রানে বেন স্টোকসকে ফিরিয়ে ইংলিশদের চাপে ফেলেন শোয়েব মালিক। তবে জস বাটলারের সেঞ্চুরি আবারো আশার আলো দেখায়। কিন্তু বাটলারের বিদায়ের ভরসা দেয়া মইন আলী এবং ক্রিস ওকসকে দ্রুত ফিরিয়ে পাকিস্তানকে জয়ের দিকে নিয়ে যান ওয়াহাব রিয়াজ। শেষ পর্যন্ত ৯ উইকেটে ৩৩৪ রান করে ইংল্যান্ড।


এরআগে ইংল্যান্ডকে বড় টার্গেট দেয় পাকিস্তান। টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ৩৪৮ রান করে পাকিস্তান। মাত্র ২ রানের জন্য বিশ্বকাপে নিজেদের সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড ভাঙতে পারেনি সরফরাজের দল। ২০০৭ সালে কিংস্টনে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ৩৪৯ রান করেছিল পাকিস্তান। যা এখন পর্যন্ত বিশ্বকাপে তাদের সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহ।


শুরুটা ভালো করেছিলেন দুই ওপেনার ফখর জামান এবং ইমাম-উল হক। দলীয় ৮২ রানের সময় ফখর জামান ফেরেন ৩৬ রানে। বাবর আজমের সঙ্গে গড়া জুটিটাকে বেশিদূর নিয়ে যেতে পারেননি ইমাম। ৪৪ রানে মইন আলির শিকার হন তিনি। এদিন উপরের দিকে ব্যাট করতে নামা মোহাম্মদ হাফিজ বাবর আজমের সঙ্গে জুট গড়ে দলকে বড় সংগ্রহের দিকে নিয়ে যান। তাদের ৮৮ রানের জুটি ভাঙে বাবর ৬৩ রানে মইন আলির শিকার হলে। এরপর হাফিজ-সরফরাজ জুটি থেকে আসে ৮০ রান। ৬২ বলে ৮৪ রানের দারুণ ইনিংস খেলেন একবার লাইফ পাওয়া হাফিজ। সরফরাজও তুলে নেন অর্ধশতক।


স্কোর:
পাকিস্তান ৩৪৮/৮ (৫০)
ইমাম ৪৪ (৫৮)
ফখর ৩৬ (৪০)
বাবর আজম ৬৩ (৬৬)
হাফিজ ৮৪ (৬২)
সরফরাজ ৫৫ (৪৪)
আসিফ আলি ১৪ (১১)
শোয়েব মালিক ৮ (৮)
ওয়াহাব রিয়াজ ৪ (২)
হাসান আলী ১০* (৫)
শাদাব খান ১০* (৪)


বোলার:
ওকস ৮-১-৭১-৩
আর্চার ১০-০-৭৯-০
মইন ১০-০-৫০-৩
উড ১০-০-৫৩-২
স্টোকস ৭-০-৪৩-০
আদিল ৫-০-৪৩-০


স্কোর:
ইংল্যান্ড ৩৩৪/৯ (৫০)
জেসন রয় ৮ (৭)
জনি বেয়ারস্টো ৩২ (৩১)
জো রুট ১০৭ (১০৪)
ইয়ন মরগান ৯ (১৮)
বেন স্টোকস ১৩ (১৮)
জস বাটলার ১০৩ (৭৬)
মইন আলী ১৯ (২০)
ক্রিস ওকস ২১ (১৪)
জোফরে আর্চার ১ (২)
আদিল রশিদ ৩* (৪)
মার্ক উড ১০* (৬)


বোলার
শাদাব খান ১০-০-৬৩-২
মোহাম্মদ আমীর ১০-০-৬৭-২
ওয়াহাব রিয়াজ ১০-০-৬৬-৩
হাসান আলি ১০-০-৬৬-০
মোহাম্মদ হাফিজ ৭-০-৪৩-১
শোয়েব মালিক ৩-০-১০-১

এই বিভাগের আরও খবর

পরবর্তী পোস্ট
« Prev Post
পূর্বের পোস্ট
Next Post »
নিচের বক্সে মন্তব্য লিখুন

Disqus
আপনার মন্তব্য যোগ করুন

No comments

Image Gallary

 
1 / 3
   
Caption Text
 
2 / 3
   
Caption Two
 
3 / 3
   
Caption Three