‘গণতান্ত্রিক ধারা ফিরিয়ে আনতেই দেশে ফিরে আসি’

‘গণতান্ত্রিক ধারা ফিরিয়ে আনতেই দেশে ফিরে আসি’

admin May 18, 2019

অনলাইন ডেস্ক: আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশের জন্য কাজ করতে এবং গণতান্ত্রিক ধারা ফিরিয়ে আনতে তিনি দেশে ফিরেছিলেন। এজন্যই তিনি দিনের পর দিন সংগ্রাম করেছেন। কেননা, গণতান্ত্রিক ধারা ছাড়া দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নতি সম্ভব নয়।


আজ শুক্রবার (১৭ মে ২০১৯) তার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে দলের নেতাকর্মীরা প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে তাকে শুভেচ্ছা জানাতে গেলে তিনি এসব কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশ এগিয়ে যাচ্ছে, এগিয়ে যাবে। বাংলাদেশ এখন বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল। উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে হবে। এই দেশটা যেন আবারও স্বাধীনতাবিরোধী ও যুদ্ধাপরাধী- এদের হাতে না যায়। কেউ যেন দেশের মানুষের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলতে না পারে। সেদিকে সবাইকে সর্তক থাকতে হবে। শেখ হাসিনা বলেন, যারা বারবার চেয়েছে আওয়ামী লীগকে নিশ্চিহ্ন করে দিতে, তারা সফল হয়নি। আওয়ামী লীগ কিন্তু আওয়ামী লীগের মতোই ধীরে ধীরে গড়ে উঠেছে। আজকে সারা বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ এক নম্বর রাজনৈতিক দল। যে দল মানুষের আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন করেছে। সেই আস্থা ও বিশ্বাস আমরা দেখতে পেয়েছি এবারের নির্বাচনে। নারী-পুরুষ থেকে শুরু করে প্রথমবার ভোটার হওয়া তরুণরা সবাই আওয়ামী লীগকে ভোট দিয়ে তাদের আস্থা, বিশ্বাস ও সমর্থন ব্যক্ত করেছে।



তিনি বলেন, এর কারণটা হলো- আমরা যে ক্ষমতায় থেকে মানুষের জন্য কাজ করেছি, মানুষের জন্য উন্নয়ন করেছি, মানুষের ভাগ্য গড়ার জন্য যে কাজগুলো করেছি, সেটা মানুষ উপলব্ধি করতে পেরেছে। এটা ছিল সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। যেকোনও রাজনৈতিক নেতার জন্য এটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ যে, মানুষের আস্থা-বিশ্বাস অর্জন করা। নইলে ক্ষমতায় থাকলে সাধারণত মানুষের জনপ্রিয়তা হ্রাস পায়। কিন্তু আমরা ক্ষমতায় এসে মানুষের আস্থা- বিশ্বাস অর্জন করতে পেরেছি বলেই মানুষের ভোট আমরা পেয়েছি, জনপ্রিয়তা ও সমর্থন দুটোই বেড়েছে।


প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের মানুষের মর্যাদা ক্ষুণ্ন হোক, বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হোক, গত ৩৮ বছরে এমন কোনও কাজ আমি বা আমার পরিবারের কোনও সদস্য কখনও করিনি। নিজেদের চাওয়া-পাওয়ার জন্য কাজ করিনি, কাজ করেছি দেশের মানুষের জন্য। সব সময় চিন্তা করেছি মানুষকে কী দিতে পারলাম, মানুষের জন্য কতটুকু করতে পারলাম। আমরা যতবার ক্ষমতায় এসেছি, মানুষের জন্য কাজ করেছি, তত মানুষের আস্থা- বিশ্বাস অর্জন করতে পেরেছি। শেখ হাসিনা বলেন, ‘৭৫-এর পড় এত বড় দায়িত্ব আমাকে নিতে হবে, এটা কখনও আমি ভাবিনি, চাইওনি, এটা চিন্তাও ছিল না। কিন্তু নিতে হয়েছে। চরম প্রতিকূল পরিবেশের ভেতর দিয়ে দলকে সংগঠিত করতে হয়েছে। তবে টানা ৩৮ বছর দলের সভাপতি থাকা বোধহয় একটু বেশি হয়ে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি। তখন উপস্থিত নেতাকর্মীরা সমস্বরে না বলে ওঠে। তারা শেখ হাসিনার উদ্দেশে বলেন, আপনিই সঠিক নেতা, আপনার হাতেই দেশ ও দল নিরাপদ। আপনাকেই এ দায়িত্ব চালিয়ে যেতে হবে।


জবাবে তিনি নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বলেন, আমার মনে হয় আপনাদেরও সময় এসেছে, তাছাড়া বয়সও হয়েছে, এ বিষয়গুলো তো দেখতে হবে। সরকার প্রধান বলেন, ক্ষমতায় থেকেও মানুষের আস্থা-বিশ্বাস অর্জন করতে পেরেছি এটা বিশাল অর্জন। নেতাকর্মীদের কাছে এইটুকু চাইবো- এই আস্থা-বিশ্বাস যেন আমরা ধরে রাখতে পারি। ব্যক্তিগত জীবনে কী পেলাম, না পেলাম সে চিন্তা করি না। দেশের মানুষের জন্য কতটুকু করতে পারলাম, কতটুকু দিতে পারলাম সেটাই হচ্ছে সবচেয়ে বড় কথা। প্রসঙ্গত, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা সপরিবারে নিহত হওয়ার পর কয়েক বছর বিদেশে অবস্থান করে ১৯৮১ সালের ১৭ মে দেশে ফিরে আসেন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা। দেশে ফিরে আসার আগে বিদেশে থাকা অবস্থায়ই তিনি আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হন। এরপর থেকে তিনি টানা ৩৮ বছর বাংলাদেশের প্রাচীনতম রাজনৈতিক সংগঠন আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন।


১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর এক মেয়াদে পাঁচ বছর এবং ২০০৯ সালে সরকার গঠনের পর থেকে টানা তিনবার মিলিয়ে বাংলাদেশে ইতিহাসে চারবারের মেয়াদে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছেন শেখ হাসিনা। অনুষ্ঠানে ছাত্র রাজনীতির স্মৃতিচারণ করে বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, স্কুলজীবন থেকেই রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলাম। তারপর কলেজে ও ইউনিভার্সিটিতে ছাত্রলীগেরই সদস্য ছিলাম। আর আওয়ামী লীগের (সদস্য) হলাম ৮১ সালে। আমার রাজনীতি ছাত্ররাজনীতি থেকেই শুরু। তবে কখনও কোনও বড় পোস্টে ছিলাম না, বড় পোস্ট চাইও নি কখনও। যখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ি তখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কমিটির একজন সদস্য ছিলাম। কখনও পদ নিয়ে চিন্তা করিনি, পদ আমরা চাইও নি। আমরা পদ সৃষ্টি করে সবাইকে পদে বসানো -এই দায়িত্বটাই পালন করতাম। প্রত্যেকটা কনফারেন্সে হাজির থাকতাম। অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরসহ দলটির শীর্ষনেতারা প্রধানমন্ত্রীকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান। ফুলেল শুভেচ্ছা জানান আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনের শীর্ষনেতারাও।

ভিলেন চরিত্রে জয়া আহসান

ভিলেন চরিত্রে জয়া আহসান

admin May 17, 2019

দুই বাংলার জনপ্রিয় অভিনেত্রী জয়া আহসান এবার হিন্দি-বাংলা দ্বিভাষিক সিরিজে ভিলেনের চরিত্রে অভিনয় করতে চলেছেন। তিনি এই প্রথম অভিনয় করবেন একজন সিরিয়াল কিলারের ভ‚মিকায়। এক ধাপ্পাবাজ আর তার সঙ্গিনী নিয়ে এই সিরিজের গল্পটি সত্য ঘটনা অবলম্বনে তৈরি হচ্ছে।


ছবিটি তৈরি করছেন অরিন্দম শীল। উনিশ শতকের প্রেক্ষাপটে বাস্তব চরিত্র নির্ভর এই সিরিজের চিত্রনাট্য তৈরির কাজে গবেষণার উপর জোর দেওয়া হয়েছে। ভারতের প্রথম মহিলা সিরিয়াল কিলারের কাহিনি এটি।


জয়াকে ভিলেন চরিত্রে নেয়া নিয়ে অরিন্দম বলেছেন, আমার প্রথম ছবি ’আবর্ত’তে প্রথম কলকাতার বাংলা ছবিতে জয়া কাজ করেছিলেন। আমার নতুন এই প্রজেক্ট ‘ত্রৈলোক্য’-তে একজন শক্তিশালী অভিনেত্রীর দরকার ছিল। চরিত্রটির মধ্যে চার পাঁচটি স্তর রয়েছে। তাই জয়া ছাড়া আর কারো কথা আমার মাথায় আসেনি।


সিরিজে ত্রৈলোক্য চরিত্রে জয়া অভিনয় করলেও তার প্রেমিক হিসেবে ভাবা হচ্ছে বলিউডের কাউকে। আর ডিটেকটিভের চরিত্রে অভিনয় করছেন টোটা রায় চৌধুরী।


পরিচালক অরিন্দম আরও জানিয়েছেন, এটা আমার প্রথম হিন্দি কাজ। দুটো সিজন ধরে চলবে এই সিরিজ। পূজার আগেই শুটিং শুরু হওয়ার কথা। এ বছরের শেষ দিকে দেখা যাবে সিরিজটি।

ফায়ারিং রেঞ্জে পরিত্যক্ত বোমা বিস্ফোরণে সেনা সদস্য নিহত

ফায়ারিং রেঞ্জে পরিত্যক্ত বোমা বিস্ফোরণে সেনা সদস্য নিহত

admin May 17, 2019

অনলাইন ডেস্ক:
বান্দরবান সদর উপজেলার সুয়ালক ইউনিয়নের আমতলী এলাকায় সেনাবাহিনীর ভারি অস্ত্রের ফায়ারিং রেঞ্জে পরিত্যক্ত বোমা বিস্ফোরণে মো. জাহিদ (২৮) নামে এক সেনা সদস্য নিহত হয়েছেন। এতে আহত হয়েছেন আরও ১১ জন। আইএসপিআর সূত্রে নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে।


শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে এ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। নিহত মো. জাহিদের বাড়ি বান্দরবানের লামা উপজেলায় বলে জানা গেছে।


সেনাবাহিনী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সকালে সেনাবাহিনীর ১৬ প্যারা ব্যাটালিয়নের সদস্যরা ফায়ারিংয়ের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। পাহাড়ের একটি ইমপ্যাক্ট এরিয়া থাকে যেখানে গোলা আর গোলা পড়ে থাকে। সেখানে টার্গেট লাগাতে গিয়ে একটি বোমা বিস্ফোরণ হয়। এ সময় ঘটনাস্থলেই জাহিদ মারা যান। আর আহত হন আরও ১১ জন। আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে এরই মধ্যে হেলিকপ্টার যোগে ঢাকার সিএমএইচ নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন সেনাবাহিনীর সদস্যরা।


আহতরা হলেন- সৈনিক হাসান, তারেকুল, আসাদ, নিপুন চাকমা, রাজু, মোস্তাফিজ ও আরিফ। অন্যদের নাম জানা সম্ভব হয়নি।


বান্দরবান সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহিদুল ইসলাম জানান, একজন নিহত হওয়ার খবর শুনেছি। তবে সেনাবাহিনীর কোনো সদস্য অফিসিয়ালি আমাদেরকে কিছু জানায়নি।

উইঘুর মুসলমানদের দমনে তুরস্কের সমর্থন চায় চীন!

উইঘুর মুসলমানদের দমনে তুরস্কের সমর্থন চায় চীন!

admin May 17, 2019

অনলাইন ডেস্ক:
জিনজিয়াংয়ে মুসলমান উগ্রপন্থীদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে তুরস্কের সমর্থন চেয়েছে চীন। পিছিয়ে পড়া পশ্চিমাঞ্চলীয় অঞ্চলের এই শহরটির অধিকাংশ মানুষ তুর্কি জাতীয়।-খবর রয়টার্সের


উগ্রপন্থার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের নামে বন্দিশিবির স্থাপন করে সেখানে উইঘুরসহ অন্যান্য মুসলমানদের আটকে রাখায় আন্তর্জাতিক ব্যাপক সমালোচনার মুখে রয়েছে চীন।


তুরস্ক হচ্ছে একমাত্র মুসলমান দেশ, যেটি জিনজিয়াংয়ের পরিস্থিতি নিয়ে ক্রমাগত উদ্বেগ প্রকাশ করে আসছে। চীনের ক্ষোভের মুখে গত ফেব্রুয়ারিতে জাতিসংঘেরে মানবাধিকার কাউন্সিলেও বিষয়টি উপস্থাপন করা হয়েছে।


বেইজিংয়ে তুরস্কের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাদত ওনালের সঙ্গে বৈঠকে চীন সরকারের শীর্ষ কূটনীতিক স্টেট কাউন্সিলর ওয়াং ঈ বলেন, তুরস্কের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদারকরণের সব ধরনের উপাদান চীনে কাছে রয়েছে।


বৃহস্পতিবার চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে এমন কথা জানা গেছে।


ওয়াং বলেছেন, তুরস্কের সার্বভৌমত্ব ও আঞ্চলিক অখণ্ডতাকে সবসময় সম্মান জানিয়ে আসছে চীন। এছাড়া জাতীয় নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে তুরস্কের উদ্যোগে সবসময় চীনের সমর্থন রয়েছে।


তিনি বলেন, নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় চীনের মৌলিক স্বার্থে তুরস্ক সম্মান জানাবে বলে আশা করা হচ্ছে। পূর্ব তুর্কিস্তানের সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে চীনা চেষ্টায় তুরস্ক সমর্থন জানাবে।


সাম্প্রতিক বছরগুলোতে জিনজিয়াংয়ে বিভিন্ন হামলার জন্য পূর্ব তুর্কিস্তান ইসলামিক আন্দোলনকে দায়ী করে আসছে চীন। তবে সেখানে এমন কোনো গোষ্ঠীর সুসংহত উপস্থিতি আছে কিনা, তা নিয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সন্দেহ রয়েছে।


ওনাল বলেন, জাতীয় ঐক্য রক্ষায় এবং সন্ত্রাসী বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে চীনা চেষ্টায় তুরস্কের সমর্থন রয়েছে। এসময় চীনের সঙ্গে গভীর ও বাস্তবিক সম্পর্ক স্থাপনেও তিনি জোর দেন বলে চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে জানানো হয়েছে।

চীনে ভবন ধসে নিহত ১০

চীনে ভবন ধসে নিহত ১০

admin May 17, 2019

অনলাইন ডেস্ক
চীনের সাংহাই শহরে বৃহস্পতিবার একটি ভবন ধসের ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১০ হয়েছে। এতে আহত হয়েছেন আরো ২২ জন। হতাহতদের অধিকাংশই নির্মাণ শ্রমিক।


চীনের জরুরি ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জানায়, বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সাংহাইয়ের মধ্যাঞ্চলে এই দুর্ঘটনা ঘটে। এতে ঘটনাস্থলে থাকা নির্মাণ শ্রমিকরা ভেঙে যাওয়া ভবনের নিচে চাপা পড়েন। পরে উদ্ধারকর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে ধ্বংসাবশেষের নিচ থেকে ২৫ শ্রমিককে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান। এদের মধ্যে ১০ জন পরে মারা যান।


এ ঘটনায় এখনও কেউ নিখোঁজ রয়েছে কিনা সে বিষয়ে কিছু বলেনি সিটি সরকার। তবে অনুসন্ধান ও উদ্ধার কার্য সমাপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে।


চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম সিনহুয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এ ঘটনায় আহত ২২ জনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।


সূত্র: এএফপি

বুদ্ধ পূর্ণিমা: কক্সবাজারে ১৪৭ বৌদ্ধমন্দিরে নিরাপত্তা জোরদার

বুদ্ধ পূর্ণিমা: কক্সবাজারে ১৪৭ বৌদ্ধমন্দিরে নিরাপত্তা জোরদার

admin May 17, 2019

অনলাইন ডেস্ক:
বৌদ্ধদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব বুদ্ধ পূর্ণিমাকে ঘিরে জঙ্গি হামলার আশঙ্কায় দেশের অন্যান্য বৌদ্ধ মন্দির ও ধর্মীয় স্থাপনাগুলোর মত কক্সবাজারের ১৪৭ বৌদ্ধমন্দিরে নেয়া হয়েছে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা। কক্সবাজারের আইন শৃংখলা বাহিনী ও বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের লোকজনের সমন্বয়ে প্রতিটি মন্দির ভিত্তিক ‘নিরাপত্তা কমিটি’র কার্যক্রম শুক্রবার থেকে শুরু হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ। এ কমিটির অনুকূলে রাখাইন ও চাকমাসহ বিভিন্ন বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের ১৪৭ টি মন্দিরে তিনস্তরের নিরাপত্তা বলয়ে ধর্মীয় এ উৎসব পালন করা হবে।


শুক্রবার কক্সবাজার পুলিশ সুপার এবিএম মাসুদ হোসেন বলেন, ‘জঙ্গি হামলার আশঙ্কার তথ্য জানিয়ে পুলিশের সদর দপ্তর থেকে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিতে জেলা পুলিশকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এটি বাস্তবায়নে তৎপরতা শুরু করেছি আমরা। এ নিয়ে গত মঙ্গলবার জেলার বৌদ্ধ ধর্মীয় প্রতিনিধি ও নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করা হয়। এতে বৌদ্ধ মন্দির ও অনুষ্ঠানস্থলকে ঘিরে ব্যাপক নিরাপত্তা জোরদারের লক্ষ্যে প্রতিটি মন্দির কেন্দ্রিক পুলিশ, আনসার, কমিউনিটি পুলিশ ও বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের লোকজনের সমন্বয়ে একটি করে নিরাপত্তা কমিটি গঠন করা হয়েছে। বুদ্ধ পূর্ণিমার দিনে প্রতিটি মন্দির ও অনুষ্ঠানস্থল ঘিরে তিনস্তরের নিরাপত্তার বলয় গড়ে তোলা হবে। র‌্যাব ও বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থাসহ অন্যান্য আইন শৃংখলা বাহিনীর সদস্যরাও বাড়তি নিরাপত্তায় নিয়োজিত থাকবে।’


জেলা পুলিশের একটি মনিটরিং সেলও নিরাপত্তার বিষয়ে সার্বক্ষণিক খোঁজ রাখবে জানিয়ে কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. ইকবাল হোসাইন বলেন, ‘রোহিঙ্গা ইস্যুর কারণে কক্সবাজার এখন আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ব্যাপক পরিচিত। তাই বুদ্ধ পূর্ণিমার দিন যাতে কোন ধরনের নিরাপত্তার ঘাটতি না হয় জেলা পুলিশ এ বিষয়ে ব্যাপক নজরদারি অব্যাহত রাখবে।’


বাংলাদেশ বৌদ্ধ সমিতি কক্সবাজার জেলা শাখার সভাপতি রবীন্দ্র বিজয় বড়ুয়া বলেন, ‘জেলায় বড়ুয়া, রাখাইন ও চাকমাসহ বিভিন্ন বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের ১৪৭ টি মন্দির রয়েছে। ইতিমধ্যে প্রতিটি বৌদ্ধ মন্দির কেন্দ্রিক গঠিত ‘নিরাপত্তা কমিটির’ সদস্যদের নিয়ে আলাদা করে সভা করা হয়েছে। এতে বুদ্ধ পূর্ণিমার দিন কিভাবে নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে তার চক আঁকা সম্পন্ন হয়েছে।’


শুধু নিরাপত্তাকর্মীরা নয়, বুদ্ধ পূর্ণিমায় মন্দিরগামী প্রতিজন পূজারীদেরও ব্যক্তিগতভাবে সতর্কতা করতে হবে বলে উল্লেখ করে এ বৌদ্ধ নেতা আরো বলেন, ‘বুদ্ধ পূর্ণিমার দিন ছাড়াও জেলার ৪টি গুরুত্বপূর্ণ মন্দিরে সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা জোরদারে জেলা পুলিশ কর্তৃক ৪টি সিসিটিভি ক্যামেরা দিয়েছে। সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলাপের পর স্ব স্ব মন্দির ব্যবস্থাপনা কমিটির কাছে হস্তান্তর করা হবে।’


এদিকে বৌদ্ধদের প্রধানতম ধর্মীয় উৎসব ত্রি-স্মৃতি (বুদ্ধের জন্ম, বুদ্ধত্ব লাভ ও মহাপরিনির্বাণ) বিজরিত বুদ্ধ পূর্ণিমাকে ঘিরে কক্সবাজারে নানা কর্মসূচী হাতে নেয়া হয়েছে। দিবসটি পালনে কক্সবাজারের রামুতে সম্রাট অশোকের স্মৃতি বিজরিত রাংকূট বনাশ্রম বৌদ্ধ বিহারে শুক্রবার বিকালে অনুষ্ঠিত হবে গণপ্রবাজ্জ্যা অনুষ্ঠান। যাতে ১০১ জন বৌদ্ধ কূলপুত্রকে শ্রামণ্যধর্মে দীক্ষাদান করা হবে। রাতে হবে বৌদ্ধ সংকীর্তন। পরদিন শনিবার সকালে অনুষ্ঠিত হবে ৮৪ হাজার বুদ্ধ ধর্মস্কন্ধ পূজা। প্রতি বছর এতে সমাগম ঘটে হাজারো পূজারী বৌদ্ধ নরনারীর সম্মিলন।


এছাড়া বুদ্ধ পূর্ণিমার দিন সকালে উখিয়ায় সার্বজনীন বুদ্ধ পূর্ণিমা উদযাপন কমিটির উদ্যোগে পালিত হবে পদব্রজে বর্ণাঢ্য শান্তি শোভাযাত্রা। এ বছর পশ্চিমরত্না শাসনতীর্থ বৌদ্ধ বিহার থেকে শোভাযাত্রাটি শুরু হয়ে পাইন্যাশিয়া ধর্মরাজিক বৌদ্ধ বিহারে গিয়ে শেষ হবে। পরে সেখানে অনুষ্ঠিত হবে বিশ্বশান্তি ও মঙ্গল কামনায় সমবেত প্রার্থনা। এসব কর্মসূচী ছাড়াও জেলার প্রতিটি বৌদ্ধ মন্দিরে ‘বুদ্ধ পূর্ণিমা’ পালনে স্ব স্ব কর্মসূচী নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন বৌদ্ধ নেতারা।

বাসের আগাম টিকিট বিক্রি শুরু, কাউন্টারে উপচেপড়া ভিড়

বাসের আগাম টিকিট বিক্রি শুরু, কাউন্টারে উপচেপড়া ভিড়

admin May 17, 2019

অনলাইন ডেস্ক:
ঈদুল ফিতর উপলক্ষে আজ শুক্রবার সকাল থেকে বাসের আগাম টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছে। রাজধানীর গাবতলী ও আশপাশ এলাকার কাউন্টার থেকে এসব টিকিট বিক্রি হচ্ছে। টিকিট কাটতে ভোর থেকেই বিভিন্ন কাউন্টারে উপচেপড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে।


গত দুই বছরের মতো এবারও ঈদযাত্রায় বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) নির্ধারিত ভাড়া থাকছে। চাহিদা অনুযায়ী এবার বিভিন্ন রুটে নতুন বাস নামানোর পরিকল্পনা রয়েছে।


এবার ৩০ মে পড়ছে বৃহস্পতিবার। ওই দিন রাতে টিকিটের জন্য চাপ অনেক বেশি। পরদিন শুক্রবার সকালের টিকিটের চাপও বেশি। এরপর ৩ জুনের টিকিটের চাহিদা বেশি। আবার কোনো কোনো কাউন্টারে ৩ জুনের টিকিট শেষ বলেও জানানো হচ্ছে।


অপরদিকে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী জানিয়েছেন, আসন্ন ঈদুল ফিতরের আগে ও পরে মোট সাতদিন পণ্যবাহী গাড়ি চলাচল বন্ধ থাকবে। গতকাল সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা জানান। নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, লঞ্চমালিকেরা আমাদের আশ্বস্ত করেছেন ঈদের সময় তারা অতিরিক্ত যাত্রী বহন করবেন না। এ বিষয়ে সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে। আমরা একটি আনন্দপূর্ণ ঈদ উদযাপন করতে চাই।


বাংলাদেশ বাস-ট্রাক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান রমেশ চন্দ্র ঘোষ বলেন, রাজধানীর গাবতলী, মাজার রোড, কল্যাণপুর, শ্যামলী, কলেজগেট ও কলাবাগান এলাকায় বিভিন্ন পরিবহনের কাউন্টার থেকে টিকিট বিক্রি হচ্ছে। যতক্ষণ টিকিট থাকবে ততক্ষণ বিক্রি চলবে। তবে আমরা প্রত্যেকটি গাড়ির দুটি টিকিট হাতে রেখে বাকি সব টিকিট বিক্রি করে দেবো।


রাজশাহী, রংপুর, খুলনা ও বরিশাল- এ চারটি বিভাগের বিভিন্ন রুটে চলাচলকারী বাসের টিকিট বিক্রি হচ্ছে রাজধানীর গাবতলী ও আশপাশের এলাকা থেকে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস আজ

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস আজ

admin May 17, 2019

অনলাইন ডেস্ক:
আজ ১৭ মে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সপরিবারে নিহত হওয়ার পর তার দুই মেয়ে শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা ছয় বছর প্রবাসে থাকতে বাধ্য হন। দীর্ঘ প্রবাস জীবন শেষে ১৯৮১ সালের এই দিনে দেশে ফিরে আসেন তিনি।


বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ পরিবারের অন্য সদস্যদের হত্যার সময় স্বামীর চাকরিসুবাদে শেখ হাসিনা তখন জার্মানিতে অবস্থান করছিলেন। ছোট বোন শেখ রেহানাও সে সময় তার সঙ্গে জার্মানিতে অবস্থান করায় বেঁচে যান তারা। এরপর দীর্ঘ ছয় বছর বিদেশেই কাটান শেখ হাসিনা ও ড. ওয়াজেদ দম্পতি। আর শেখ রেহানা চলে যান লন্ডনে। ১৯৮১ সালে আওয়ামী লীগের সম্মেলনে দলের সভাপতির দায়িত্ব পাওয়ার পর দেশে গণতন্ত্র আর প্রগতিশীলতার রাজনীতি ফিরিয়ে আনতে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ফিরে আসেন শেখ হাসিনা।


কিন্তু সেই দিনটি মোটেও নিষ্কলুষ-নির্ঝঞ্ঝাট বা মসৃণ ছিল না। রাজনীতির মতোই প্রকৃতিও সেদিন ছিল ঝঞ্ঝা-বিক্ষুব্ধ। দিনটি ছিল রবিবার। ছিল কালবৈশাখীর হাওয়া, ঝড়ের গতি ছিল ঘণ্টায় ৬৫ মাইল। প্রচণ্ড ঝড়বৃষ্টি আর দুর্যোগও সেদিন গণতন্ত্রকামী লাখ লাখ মানুষের মিছিলের গতিরোধ করতে পারেনি। গ্রাম-গঞ্জ-শহর-নগর-বন্দর থেকে অধিকারবঞ্চিত মুক্তিপাগল জনতা ছুটে এসেছিলেন রাজধানী ঢাকায়, তাদের একমাত্র আশার প্রদীপ বঙ্গবন্ধুর রক্তের উত্তরাধিকারী শেখ হাসিনাকে বরণ করতে। মুষলধারার বৃষ্টি-বাদল উপেক্ষা করে তারা বিমানবন্দরে অপেক্ষা করছিলেন নেত্রী কখন আসবেন, এই প্রতীক্ষায়। অবশেষে বিকাল চারটায় কুর্মিটোলা বিমানবন্দর দিয়ে জনসমুদ্রের জোয়ারে এসে পৌঁছান শেখ হাসিনা। দীর্ঘ সাড়ে ছয় বছর পর দেশের মাটিতে পা রাখেন তিনি। তাকে একনজর দেখার জন্য কুর্মিটোলা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে শেরেবাংলা নগর পর্যন্ত সব সড়ক জনসমুদ্রে পরিণত হয়।


দেশের মাটিতে পা দিয়ে লাখ লাখ জনতার সংবর্ধনার জবাবে শেখ হাসিনা সেদিন বলেছিলেন, `সব হারিয়ে আমি আপনাদের মাঝে এসেছি। বঙ্গবন্ধুর নির্দেশিত পথে তার আদর্শ বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে জাতির জনকের হত্যার প্রতিশোধ গ্রহণে আমি জীবন উৎসর্গ করতে চাই।' তার আগমন উপলক্ষে স্বাধীনতার অমর স্লোগান `জয় বাংলা' ধ্বনিতে প্রকম্পিত ছিল ঢাকার আকাশ-বাতাস। জনতার কণ্ঠে বজ্রনিনাদে ঘোষিত হয়েছিল `হাসিনা তোমায় কথা দিলাম পিতৃহত্যার বদলা নেবো।' সেদিন অবিরাম মুষলধারায় বারি-বর্ষণে যেন ধুয়ে-মুছে যাচ্ছিল বাংলার মাটিতে পিতৃহত্যার জমাটবাঁধা পাপ আর কলঙ্কের চিহ্ন।


শেখ হাসিনা দেশে প্রত্যাবর্তনের পর নেতারা তার হাতে তুলে দেন দেশের সর্ববৃহৎ ও ঐতিহ্যের সাফল্যগাথা মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্বদানকারী রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগের পতাকা। এরপর থেকে শেখ হাসিনা দলীয় কাউন্সিলে টানা আটবার নির্বাচিত হয়ে দলের সভাপতির দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। এবারসহ চারবার প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছেন তিনি।
কর্মী ও জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

কর্মসূচি: দিবসটি উপলক্ষে শুক্রবার (১৭ মে) বিকাল তিনটায় দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর সভাপতিত্বে ইঞ্জিনিয়ার ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হবে আলোচনা সভা।
আরও ২৫ পণ্যের লাইসেন্স স্থগিত

আরও ২৫ পণ্যের লাইসেন্স স্থগিত

admin May 17, 2019

অনলাইন ডেস্ক:
নিম্নমানের পণ্য হিসেবে চিহ্নিত হওয়া ৫২টি পণ্যের মধ্যে আরো ২৫টির লাইসেন্স স্থগিত করেছে বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ড এন্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন (বিএসটিআই)। এছাড়া ২টি প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স বাতিল করা হয়েছে।


এর আগে ১৮টি পণ্যের লাইসেন্স স্থগিত ও ৭টি প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স বাতিল করা হয়েছিল। অর্থাৎ এখন পর্যন্ত সবমিলিয়ে ৪৩টি পণ্যের লাইসেন্স স্থগিত ও ৯টি প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স বাতিল করা হলো।


লাইসেন্স বাতিল করা প্রতিষ্ঠানগুলো হলো- চট্টগ্রামের এস এস কনজ্যুমার প্রোডাক্টের পিওর হাটহাজারী ব্রান্ডের মরিচের গুড়া এবং নওগাঁর কিরণ ট্রেডার্সের ‘কিরণ’ ব্রান্ডের লাচ্ছা সেমাই।


লাইসেন্স স্থগিত হওয়া প্রতিষ্ঠানগুলো হলো- ঢাকার বাঘাবাড়ী স্পেশাল ঘি কোম্পানির ‘বাঘাবাড়ী স্পেশাল’ ব্রান্ডের ঘি, নিশিতা ব্র্যান্ডের সুজি, মজিল ব্র্যান্ডের হলুদেও গুঁড়া, গ্রিন ল্যান্ডসের মধু, শান এর হলুদের গুঁড়া, মধুমতি’র আয়োডিনযুক্ত লবণ, জেদ্দা ব্র্যান্ডের লাচ্ছা সেমাই, নূও স্পেশালের আয়োডিনযুক্ত লবণ, অমৃত এর লাচ্ছা সেমাই, দাদা সুপার, তিন তীর, মদিনা, স্টারশীপ ও তাজ ব্র্যান্ডের আয়োডিনযুক্ত লবণ, ডলফিনের মরিচ ও হলুদের গুঁড়া, সূর্য ব্র্যান্ডের মরিচের গুঁড়া, মধুফুল ও মিঠাই’র লাচ্ছা সেমাই, কিং এর ময়দা, ওয়েল ফুডের লাচ্ছা সেমাই, রূপসা’র ফরমেন্টেড মিল্ক (দই), মেহেদীর বিস্কুট, মিষ্টি মেলার লাচ্ছা সেমাই, মক্কার চানাচুর ও মধুবনের লাচ্ছা সেমাই।


বৃহস্পতিবার বিএসটিআই’র এক বিজ্ঞপ্তিতে আলোচ্য পণ্যগুলো ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বাজার থেকে প্রত্যাহারের নির্দেশের কথা জানানো হয়। মানোন্নয়ন করে পুনরায় অনুমোদন ছাড়া উৎপাদন, সরবরাহ কিংবা বিপণন বিরত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়। এছাড়া পণ্যগুলো ক্রয় থেকে বিরত থাকতে ভোক্তাদের অনুরোধ জানানো হয়।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সৌদি বাদশাহর আমন্ত্রণ

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সৌদি বাদশাহর আমন্ত্রণ

admin May 17, 2019

অনলাইন ডেস্ক:
সৌদি বাদশাহ সালমান বিন আব্দুল আজিজ আল সৌদ চলতি রমজানের শেষ নাগাদ মক্কায় অনুষ্ঠেয় ১৪তম ওআইসি (অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কোঅপারেশন) সম্মেলনে যোগদানের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।


তিনি জানান, ঢাকায় নিযুক্ত ভারপ্রাপ্ত সৌদি রাষ্ট্রদূত আমের ওমর সালেম বৃহস্পতিবার সকালে গণভবনে বাদশাহর আমন্ত্রণ পত্রটি প্রধানমন্ত্রীর কাছে হস্তান্তর করেন। প্রেস সচিব বলেন, প্রধানমন্ত্রী আমন্ত্রণ গ্রহণ করেছেন এবং সম্মেলনে তার উপস্থিতির বিষয়ে রাষ্ট্রদূতকে আশ্বস্ত করেছেন।


সৌদি দূত প্রধানমন্ত্রীকে বলেন, সৌদি বাদশাহ তাকে আন্তরিকতার সঙ্গে ওআইসি সম্মেলনে যোগদানের আমন্ত্রণ এবং একইসঙ্গে মাহে রমজানের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। এ সময় প্রধানমন্ত্রী তাকে আমন্ত্রণ জানানোর জন্য সৌদি বাদশাহের প্রতি আন্তরিক ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।


বৈঠকে বাংলাদেশ এবং সৌদি আরবের বিদ্যমান দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে সন্তোষ প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সৌদি আরবের সঙ্গে এখন বাংলাদেশের একটি বিশেষ সম্পর্ক বজায় রয়েছে। তিনি বলেন, ‘সৌদি আরবের সঙ্গে সম্পর্ককে আমরা বিশেষ মূল্য দিয়ে থাকি।’


জবাবে ভারপ্রাপ্ত সৌদি রাষ্ট্রদূত বলেন, তার দেশও বাংলাদেশের সঙ্গে বিদ্যমান দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে মূল্য দেয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. নজিবুর রহমান, সামরিক সচিব মেজর জেনারেল মিয়া মোহাম্মদ জয়নুল আবেদীন এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব সাজ্জাদুল হাসান।


এই পবিত্র মাহে রমজানের শেষ নাগাদ মক্কা নগরীতে ১৪তম ওআইসি সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবার কথা রয়েছে। সদস্যপদ স্থগিত করার কারণে সিরিয়া ছাড়া ৫৭টি দেশের রাষ্ট্র এবং সরকার প্রধানগণ এই সম্মেলনে যোগদান করবেন। সম্মেলনে ফিলিস্তিন ইস্যুসহ কতিপয় গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোচনা অনুষ্ঠিত হতে পারে।


সম্মেলনের মক্কা ঘোষণায় ইসলামিক রাষ্ট্রগুলোর জন্য প্রযোজ্য বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়াবলী অর্ন্তভূক্ত হতে পারে এবং ওআইসি সদস্য রাষ্টগুলোর ঐক্য এবং সংহতি বজায় রাখার অঙ্গীকার অব্যাহত রাখার বিষয়েও গুরুত্বারোপ করা হতে পারে।


পবিত্র মক্কা নগরীর দিকে তাক করে থাকা ব্যালেস্টিক মিসাইলের বিষয় নিয়ে ওআইসি সদস্য রাষ্ট্রগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের জরুরি বৈঠকের তিন বছর পর এবারের ১৪তম ওআইসি সম্মেলন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। ১৩ তম সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছিল ২০১৬ সালের এপ্রিলে তুরষ্কের ইস্তানবুলে। যাতে ৫০টি দেশ অংশগ্রহণ করে।


ওআইসি হচ্ছে জাতিসংঘের পরেই সর্ববৃহৎ আন্তর্জাতিক সরকারি সংস্থা, চারটি মহাদেশের ৫৭টি দেশ যার সদস্য। এটি মুসলিম বিশ্বকে প্রতিনিধিত্ব করে এবং তাদের স্বার্থরক্ষা করে চলে।

ক্যাবল ছাড়াই টিভি দেখার ডিটিএইচ সেবার যাত্রা শুরু

ক্যাবল ছাড়াই টিভি দেখার ডিটিএইচ সেবার যাত্রা শুরু

admin May 16, 2019

অনলাইন ডেস্ক:
দেশে প্রথমবারের মতো বিশ্বমানের ডিটিএইচ (ডিরেক্ট টু হোম) সেবা নিয়ে এসেছে বেক্সিমকো কমিউনিকেশন্স লিমিটেড। ‘আকাশ’ ব্র্যান্ড নামে এ সেবাপণ্য বাজারজাত করা হচ্ছে৷ বিশ্বে নিজস্ব স্যাটেলাইট থাকা ৫৭তম দেশ বাংলাদেশে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ থেকে ডিটিএইচ সেবা দেবে ‘আকাশ’।


বৃহস্পতিবার (১৬ মে) রাজধানীর একটি অভিজাত হোটেলে ডিটিএইচ সেবা আকাশের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়।

বেক্সিমকো কমিউনিকেশন্স লিমিটেড জানায়, বিশ্বব্যাপী পে-টিভি শিল্পে ডিটিএইচ একটি উচ্চতর প্রযুক্তি। আগামী ১৯ মে থেকে সর্বোচ্চ মানের ছবি ও শব্দের নিশ্চয়তা দিয়ে প্রায় ১১০টি চ্যানেল ও ২০টি হাইডেফিনেশন চ্যানেল নিয়ে সেবা চালু করছে আকাশ ডিটিএইচ৷


ভ্যাটসহ মাসিক ৩৯৯ টাকার এ সেবা উপভোগ করতে পারবেন গ্রাহক৷ শিগগিরই আরও নতুন চ্যানেল এবং ভিডিও অন ডিমান্ড ও প্রোগ্রাম রেকর্ডিংয়ের মতো নতুন সেবা-ফিচার যুক্ত করা হবে। বিদ্যমান ফিচারগুলোর মধ্যে রয়েছে প্রোগ্রাম রিমাইন্ডার, ফেভারিট প্রোগ্রাম লিস্টিং ও প্যারেন্টাল কট্রোল।

এছাড়া আকাশ ডিটিএইচ এর এককালীন সংযোগ খরচ ৬ হাজার ৪৯৯ টাকা। সংযোগ সামগ্রীর মধ্যে রয়েছে অত্যাধুনিক এইচডি সেট টপ বক্স, গ্রাহকবান্ধব ও বহুমুখী ব্যবহার উপযোগী রিমোট কট্রোল, তাপ ও বৃষ্টি প্রতিরোধী ইউনিভার্সাল কেইউ ব্যান্ড ডিশ এবং অন্যান্য উপকরণ৷ তাছাড়া সীমিত সময়ের জন্য বিনামূল্যে ইনস্টলেশন ও এক মাসের সাবক্রিপশন পাওয়া যাবে। সার্বক্ষণিক ২৪/৭ গ্রাহকসেবার জন্য কল সেন্টার এবং পেশাদার ইনস্টলেশন ও বিক্রয় পরবর্তী সেরা নিশ্চিত করবে আকাশ৷

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ আকাশের উদ্বোধন করেন। এসময় তিনি বলেন, দেশ ডিজিটালাইজেশনের পথে আরো একধাপ এগিয়ে গেলো। এই ব্যবস্থার মাধ্যমে আমাদের রাস্তার তারের জঞ্জাল কমবে। এছাড়া এই ব্যবস্থাপনায় স্যাটেলাইট চ্যানেল সরবরাহের ব্যবসায় সরকারের কর সঠিকভাবে আদায় করা আরো সহজ হবে। তাছাড়া টেলিভিশন সম্প্রচার আইন বাস্তবায়নেও যথেষ্ট সহযোগিতা পাওয়া যাবে।

বক্তব্য রাখছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদমন্ত্রী আরো বলেন, টেলিভিশন সম্প্রচারের ক্ষেত্রে আমরা শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার কাজ করছি। বিজ্ঞাপন আইন অনুসারে অন্য কোনো দেশই বিদেশি চ্যানেল সম্প্রচারে বিজ্ঞাপন দেখাতে পারে না। আমাদের দেশে তা পারে। ২০০৬ সালে এই আইন পাস হলেও বাস্তবায়ন হয়নি। সেটা বাস্তবায়নের কাজ চলছে। আমাদের দেশেও বিদেশি চ্যানেলগুলো বিজ্ঞাপন না দেখিয়ে সম্প্রচার করতে পারবে।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি তার বক্তব্যে বলেন, আমাদের আকাশপথে বিচরণের স্বপ্ন বাস্তবায়িত হচ্ছে, অর্থাৎ দেশ ডিজিটালাইজেশন হচ্ছে। আমাদের লক্ষ্য সারাদেশের জনগণকে উন্নয়ন কাজে সম্পৃক্ত করা। তাই গ্রামে এই সেবা সহজে পৌঁছে দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। পেমেন্ট ব্যবস্থাপনাকে আরো সহজ করতে হবে। তাছাড়া সব বিভাগে পৌঁছে দিতে হবে সেবা।

অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা এবং বেক্সিমকো কমিউনিকেশন্সের ভাইস চেয়ারম্যান সালমান এফ রহমান, বেক্সিমকো কমিউনিকেশন্সের চেয়ারম্যান শায়ান এফ রহমান একই কোম্পানির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ডিএস ফায়সাল হায়দার, বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন, সাবেক তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু প্রমুখ।

দেশের ২০টি জেলায় আকাশ ডিটিএইএচ বাণিজ্যিকভাবে পাওয়া যাবে। জেলাগুলো হলো- ঢাকা, ময়মনসিংহ, টাঙ্গাইল, কিশোরগঞ্জ, নরসিংদী, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ, মানিকগঞ্জ, কুমিল্লা, নোয়াখালী, ফেনী, কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, খাগড়াছড়ি, রাঙামাটি, সিলেট, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও সুনামগঞ্জ।


এছাড়া শিগগিরই দেশের অন্য জেলাগুলোতেও অনুমোদিত খুচরা বিক্রেতাদের কাছ থেকে এ ডিটিএইচ পাওয়া যাবে বলেও জানায় বেক্সিমকো কমিউনিকেশন্স।

৪৭৯২ চিকিৎসক নিয়োগ দেবে সরকার

৪৭৯২ চিকিৎসক নিয়োগ দেবে সরকার

admin May 16, 2019

অনলাইন ডেস্ক:
দেশের হাসপাতালগুলোতে চার হাজার ৭৯২ জন চিকিৎসক নিয়োগের জন্য সুপারিশের অনুমোদন দিয়েছে সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)। চলতি বছরের মধ্যে এসব চিকিৎসক নিয়োগ শেষে আগামী বছর আরো প্রায় পাঁচ হাজার নিয়োগ দেওয়া হবে।


স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের ঘোষিত ১০০ দিনের কর্মসূচির অগ্রগতি জানাতে বৃহস্পতিবার (১৬ মে) সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।


মন্ত্রী বলেন, চিকিৎসক নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গেছে। শিগগিরই নিয়োগ দেওয়া হবে। বিশেষ বিসিএসের মাধ্যমে হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসক নিয়োগ দিয়ে থাকে। সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসান, স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব আসাদুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।

ডিপিডিসির কল সেন্টারে কল দিয়ে হতবাক বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী!

ডিপিডিসির কল সেন্টারে কল দিয়ে হতবাক বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী!

admin May 16, 2019

অনলাইন ডেস্ক:
ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি (ডিপিডিসি) গ্রাহকসেবার জন্য একটি কল সেন্টার খুলে উদ্বোধনের দিনেই হতবাক হয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু। তিনি কল সেন্টারে ফোন করে তথ্য জানতে চাইলে তাকে নয়-ছয় বুঝিয়ে মাথা ঘুরিয়ে দিয়েছেন কল সেন্টারের প্রতিনিধিরা।


বৃহস্পতিবার বিদ্যুৎ ভবনে কল সেন্টারের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রতিমন্ত্রী সেই অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরেন। প্রতিমন্ত্রী বলেন, গত পরশু দিন আমি সচিবালয়ে বসে কল সেন্টারে ফোন করি। আবদুল জলিল তালুকদার নামে একজন অপারেটর ফোনটি রিসিভ করেন।


তিনি শুরুতে আমার গ্রাহক নম্বর ও এলাকার কোড জানতে চান। আমি তাকে বলি- আমি এসব জানি না, ফতুল্লা পোস্ট অফিসের গলিতে বিদ্যুৎ নেই।


এর পর সঙ্গে সঙ্গেই তিনি আমাকে উত্তর দেন, ‘স্যার, ওখানকার কমপ্লেইন সুপারভাইজার মোবারক হোসেন জানিয়েছেন- সেখানে তার ছিঁড়ে গেছে, কিছুক্ষণের মধ্যেই বিদ্যুৎ চলে আসবে।’


আমি এর পর ফতুল্লা অভিযোগ কেন্দ্রে ফোন করি, সেখান থেকে আমাকে জানানো হয়, সেখানে মোবারক হোসেন নামে কেউ কাজ করে না। তারা আমাকে জানায়, ফতুল্লায় কোনো তার ছিঁড়ে যায়নি আর বিদ্যুৎও যায়নি।


এ ঘটনার পর দিন অর্থাৎ গতকাল আমি আমার পিএসকে (ব্যক্তিগত সহকারী) দিয়ে সচিবালয় থেকে আবার কল সেন্টারে ফোন করাই। তখন পাওয়ার সেলের মহাপরিচালকও উপস্থিত ছিলেন।


পিএস আমার সামনে কল সেন্টারের প্রতিনিধিকে বলেন, ‘আমি চকবাজার থেকে বলছি- চকবাজারে বিদ্যুৎ নেই।’ তখন কল সেন্টার থেকে বলা হয়, ‘স্যার, সেখানে গ্রিডটি এইমাত্র ফেল করেছে। কিছু সময়ের মধ্যেই বিদ্যুৎ চলে আসবে।’


প্রতিমন্ত্রী বলেন, এই হচ্ছে কল সেন্টারের অবস্থা। বিদ্যুৎ যায়নি, কিন্তু তারা বলে দিচ্ছে বিদ্যুৎ চলে গেছে। কিছু সময়ের মধ্যে চলে আসবে। তিনি একা ফোন করে যে অভিজ্ঞতা অর্জন করেছেন, একই অভিজ্ঞতা হয়েছে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের ভিডিও কনফারেন্সেও।


ভিডিও কনফারেন্সে ডিপিডিসির তরফ থেকে প্রতিমন্ত্রীকে কল সেন্টারের নম্বরে ফোন দিয়ে ধরিয়ে দেয়া হয়, এ সময় অন্য প্রান্তে থাকা খুশবু নামের একজন অপারেটর ফোনটি রিসিভ করেন।


প্রতিমন্ত্রী এ সময় তাকে বলেন, ‘আমি শাহবাগ থেকে বলছি- আমার এখানে বিদ্যুৎ নেই।’ খুশবু তাকে জানান, ‘স্যার, কিছুক্ষণ অপেক্ষা করুন।’


এর পর ভিডিওতে খুশবুকে অকারণে কিছু সময় ব্যয় করতে দেখা যায়। এ সময় তাকে বেশ অপ্রস্তুত মনে হচ্ছিল। খুশবু কিছু সময় পর প্রতিমন্ত্রীকে জানান, ‘আমি কলটি সংশ্লিষ্ট এলাকায় স্থানান্তর করছি। আপনি সেখানে কথা বলতে পারেন।’


এর দুই তিন সেকেন্ড পর তিনি প্রতিমন্ত্রীকে বলেন, ‘আপনার এলাকায় দ্রুত বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু হবে।’


এর পর মন্ত্রী ফোনটি কেটে দিয়ে উপস্থিত সবার উদ্দেশে বলেন, ‘বুঝলেন তো, এই হচ্ছে কল সেন্টারের অবস্থা।’


প্রতিমন্ত্রী বলেন, এটি পাইলট প্রজেক্ট হিসেবে কিছু ভুলত্রুটি থাকবেই। আমি আপনাদের নিরুৎসাহিত করছি না। তবে স্মার্টসেবা দিতে স্মার্ট মানুষ দরকার।


এ সময় তিনি সব বিদ্যুৎ বিতরণ কোম্পানির জন্য একটি করে কল সেন্টার করার উদ্যোগ নিতে বলেন।


কল সেন্টারের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জানানো হয়, এখন থেকে ১৬১১৬ নম্বরে কল করলেই বিদ্যুৎসেবা পাবেন গ্রাহক।

সাগরে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্রবাহী নৌকা, আতঙ্কে যুক্তরাষ্ট্র

সাগরে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্রবাহী নৌকা, আতঙ্কে যুক্তরাষ্ট্র

admin May 16, 2019

অনলাইন ডেস্ক:
পারস্য উপসাগরে ছোট ছোট নৌকায় ইরানি ক্ষেপণাস্ত্রের ছবি সাম্প্রতিক হোয়াইট হাউস কর্মকর্তাদের আসা হুঁশিয়ারির অন্যতম কারণ হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। পারস্য উপসাগরে আকাশ থেকে তোলা ছবিতে ক্ষেপণাস্ত্র জড়ো করে রাখতে দেখা গেছে। ইরানি আধা সামরিক বাহিনী এসব ক্ষেপণাস্ত্র নৌকায় উঠাচ্ছেন।


এতে মার্কিন নৌজাহাজে বিপ্লবী গার্ড বাহিনী হামলা চালাতে পারে বলে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী সংবাদ মাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমসের বরাত দিয়ে রুশ সংবাদমাধ্যম স্পুটনিক এ নিয়ে বিশেষ প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।


নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তিন মার্কিন কর্মকর্তা বলেন, গোয়েন্দারা বিভিন্ন ধরনের হুমকির কথা উপস্থাপন করেছেন, যা এর আগে ইরানের কাছ থেকে এসেছিল। কট্টরপন্থী মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও ও দেশটির জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জন বোল্টন ছবির এসব ক্ষেপণাস্ত্রকে হুমকির অজুহাত হিসেবে বিবেচনা করেছেন।


এছাড়াও বাণিজ্যিক জাহাজের বিরুদ্ধে হুমকির বিষয়টি তুলে ধরে অতিরিক্ত গোয়েন্দা তথ্য জড়ো করা হয়েছে। এতে মার্কিন বাহিনীর ওপর ইরানের মিত্র আরব মিলিশিয়াদের সম্ভাব্য হামলার আশঙ্কা করা হয়েছে।


কিন্তু এই হুশিয়ারি নিয়ে ট্রাম্প প্রশাসনের কীভাবে সতর্ক হওয়া উচিত তা নিয়ে হোয়াইট হাউস, পেন্টাগন, মার্কিন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা(সিআইএ) ও দেশটির মিত্রদের মধ্যে ব্যাপক বিতর্ক রয়েছে।


ইরানের এই ক্ষেপণাস্ত্রের ছবিকে ট্রাম্পের প্রশাসনের কট্টরপন্থীরা হুমকি হিসেবে দেখলেও ইউরোপীয় ইউনিয়ন, ইরাক, কংগ্রেস ও রিপাবলিকান কর্মকর্তারা এটা প্রতিরক্ষামূলক ব্যবস্থা হিসেবে বিবেচনা করছে।


ছোট একটি নৌকায় ক্ষেপণাস্ত্র তোলার ওই ছবির ওপর ভিত্তি করে ইরান যে ক্রমাগত হুমকি হয়ে দেখা দিচ্ছে, তা প্রমাণ করতে মার্কিন সামরিক কর্মকর্তারা মরিয়া হয়ে উঠেছেন। তবে পেন্টাগন এখনো ছবিটি প্রকাশ করেনি।


কিন্তু আমেরিকান আইনপ্রণেতা ও দেশটির জনগণের কাছে ইরানকে ক্রমবর্ধমান হুমকি হিসেবে উপস্থাপন করতে এই একটি ছবিই যথেষ্ট বলে মনে করছেন না মার্কিন মিত্ররা।


এর আগে সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত সপ্তাহে ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র জাহাজে ভরা হচ্ছে বলে দেখা গেছে। কিন্তু সাম্প্রতিক বের হয়ে আসা বিস্তারিত তথ্য বলছে, মার্কিন কর্মকর্তারা এমন সিদ্ধান্তে আসতে পেরেছেন যে বিদেশি মিলিশিয়াদের কাছে অস্ত্র হস্তান্তরের ইচ্ছা ইরানের নেই।


মার্কিন পররাষ্ট্র সম্পর্ক ও গোয়েন্দা কমিটির সদস্য মার্কো রুবিও গত সপ্তাহে বলেন, তিনি ইরানের সঙ্গে কোনো যুদ্ধে যেতে চান না। কেবল আক্রান্ত হলে যুক্তরাষ্ট্র অবশ্যই জবাব দেবে বলে তিনি মনে করেন।

ঐতিহাসিক ফারাক্কা লংমার্চ দিবস আজ

ঐতিহাসিক ফারাক্কা লংমার্চ দিবস আজ

admin May 16, 2019

অনলাইন ডেস্ক:
আজ ১৬ মে, বৃহস্পতিবার। ঐতিহাসিক ফারাক্কা লংমার্চ দিবস। ১৯৭৬ সালের এই দিনে মজলুম জননেতা মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর নেতৃত্বে রাজশাহীর ঐতিহাসিক মাদরাসা ময়দান থেকে মারণবাঁধ ফারাক্কা অভিমুখে লাখো মানুষের লংমার্চ অনুষ্ঠিত হয়। ভারতের পানি আগ্রাসনের প্রতিবাদে ওই দিন বাংলার সর্বস্তরের মানুষের বজ্রকণ্ঠ দিল্লির মসনদ পর্যন্ত কাঁপিয়ে দেয়। আধিপত্যবাদী শক্তি ভারতের পানি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে মওলানা ভাসানী সেদিন ফারাক্কা বাঁধের বিরূপ প্রভাব ও এর বিভিন্ন ক্ষতিকর দিক তুলে ধরে যে প্রতিবাদ করেছিলেন, তার সেই সাহসী উচ্চারণ বাংলাদেশের মানুষের অনুপ্রেরণার উৎস্য হয়ে আছে আজও।


জানা যায়, ওই দিন রাজশাহীর ঐতিহাসিক মাদরাসা ময়দান থেকে লংমার্চ শুরু হয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জের কানসাটে গিয়ে শেষ হয়। দিনটি ছিল রোববার। সকাল ১০টায় রাজশাহী থেকে শুরু হয় জনতার পদযাত্রা। হাতে ব্যানার আর ফেস্টুন নিয়ে অসংখ্য প্রতিবাদী মানুষের ঢল নামে রাজশাহীর রাজপথে। ভারতবিরোধী নানা স্লোগানে মুখরিত হয়ে ওঠে গোটা এলাকা। বেলা ২টায় হাজার হাজার মানুষের স্রোত জেলার গোদাগাড়ীর প্রেমতলী গ্রামে গিয়ে পৌঁছায়। সেখানে মধ্যাহ্ন বিরতির পর আবার যাত্রা শুরু হয়। সন্ধ্যা ৬টায় লংমার্চ চাঁপাইনবাবগঞ্জে গিয়ে রাত যাপনের জন্য সে দিনের মতো শেষ হয়। মাঠেই রাত যাপন করার পরদিন সোমবার সকাল ৮টায় আবার যাত্রা শুরু হয় শিবগঞ্জের কানসাট অভিমুখে।


ভারতীয় সীমান্তের অদূরে কানসাটে পৌঁছানোর আগে মহানন্দা নদী পার হতে হয়। হাজার হাজার মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে যোগ দেন এই লংমার্চে। তারা নিজেরাই নৌকা দিয়ে কৃত্রিম সেতু তৈরি করে মহানন্দা নদী পার হন। কানসাট হাইস্কুল মাঠে পৌঁছানোর পর সমবেত জনতার উদ্দেশে মজলুম জননেতা মওলানা ভাসানী জ্বালাময়ী ভাষণ দেন। মওলানা ভাসানী ভারতের উদ্দেশে বলেন, ‘তাদের জানা উচিত বাংলার মানুষ এক আল্লাহকে ছাড়া আর কাউকে ভয় পায় না। কারো হুমকিকে পরোয়া করে না। তিনি বলেন, আজ রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও কানসাটে যে ইতিহাস শুরু হয়েছে তা অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর নতুন অধ্যায়ের সৃষ্টি করবে।’ মওলানা ভাসানী এখানেই লংমার্চের সমাপ্তি ঘোষণা করেন। বাংলাদেশ সীমানার মধ্যে লংমার্চ সমাপ্ত হলেও সেদিন জনতার ভয়ে ভীত ভারতীয়রা সীমান্তে বিপুলসংখ্যক সৈন্য মোতায়েন এবং নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করে।


ভারতের একতরফা ও আগ্রাসী মনোভাবের কারণে ফারাক্কা বাঁধের বিরূপ প্রভাবে বাংলাদেশের বৃহৎ একটি অঞ্চল মরুভূমিতে পরিণত হতে চলেছে। বিশেষ করে রাজশাহী অঞ্চল ভয়াবহ হুমকির সম্মুখীন। দেশের বৃহত্তম নদী পদ্মা আজ পানির অভাবে শুকিয়ে মরুভূমিতে পরিণত হতে চলেছে। উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল ও দক্ষিণাঞ্চলের অন্তত ৩০টি নদী আজ বিলুপ্তির পথে। অন্য দিকে, ফারাক্কার বিরূপ প্রভাবে বরেন্দ্র অঞ্চলের ভূ-গর্ভস্থ পানির স্তর অস্বাভাবিক হারে নিচে নেমে যাচ্ছে। বরেন্দ্র অঞ্চলে এখন পানির স্তর স্থানভেদে ১০০ থেকে ১৩০ ফুট পর্যন্ত নিচে নেমে গেছে। আর নগরীতে ৫০ থেকে ৬০ ফুট পর্যন্ত নিচে নেমে গেছে।


সূত্র জানায়, যৌথ নদী কমিশনের বৈঠকে বিষয়টি বার বার উত্থাপন করা হলেও কোনো সুফল বয়ে আনতে পারেনি। দীর্ঘদিন ধরে শুধু আশ্বাসের বাণী শোনানো হয়। এ ব্যাপারে ভারতের কোনো ভ্রুক্ষেপ নেই। ভারত চুক্তি অনুযায়ী বাংলাদেশকে তার পানির ন্যায্য হিস্যা প্রদান করছে না।


সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, রাজশাহীর পদ্মা নদীর বুকে বিশাল বিশাল বালু চর পড়েছে। সেখানে ফুটবল খেলা হচ্ছে, গরুর গাড়ি চলছে। আর ফল ও ফসলের আবাদ হচ্ছে। পায়ে হেঁটেই এখন নদী পার হওয়া যায়। পদ্মার মূল নদী রাজশাহী শহর থেকে অনেক দূরে (প্রায় পাঁচ কিলোমিটার) সরে গেছে। পদ্মার সেই অপরূপ যৌবন ও সৌন্দর্য আর নেই। এ ছাড়া জেলার বাঘা, চারঘাট ও গোদাগাড়ীতে পদ্মার শাখা নদীতেও একই চিত্র বিদ্যমান। বিশেষজ্ঞদের মতে, এ অবস্থা চলতে থাকলে কিছু দিনের মধ্যে দেশের বৃহৎ এ অঞ্চলটি বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পড়বে। মরুকরণ দেখা দেবে। অস্তিত্ব বিলীন হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।


মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী ফারাক্কা লংমার্চের প্রস্তুতির সময় বিশ্ব নেতাদের এ সম্পর্কে অবহিত করে বার্তা পাঠান। তিনি জাতিসঙ্ঘ মহাসচিব ড. কুর্ট ওয়ার্ল্ডহেইম, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জেরাল্ড ফোর্ড, চীনের নেতা মাও সেতুং, সোভিয়েত প্রধানমন্ত্রী আলেক্সি কোসিগিন প্রমুখের কাছে তারবার্তা পাঠিয়ে ভারতের ওপর তাদের প্রভাব খাটিয়ে গঙ্গার পানি বণ্টনের মাধ্যমে বাংলাদেশের ন্যায্য হিস্যা প্রাপ্তির ব্যাপারে সহযোগিতা কামনা করেন। এ ছাড়া মওলানা ভাসানী জনসভা থেকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীকে ফারাক্কার ফলে বাংলাদেশে এরই মধ্যে যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া হচ্ছে তা সরেজমিন দেখতে আসার আহ্বান জানান।


স্থানীয়রা বলছেন, ফারাক্কা বাঁধের বিরূপ প্রভাবে দেশের উত্তরাঞ্চলসহ বৃহৎ একটি অংশ মারাত্মক বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে। আগ্রাসী ভারতের একগুঁয়েমি ও অপ্রতিবেশীসুলভ আচরণের কারণে বাংলাদেশ আজ চরম ক্ষতির শিকার। এর ফলে এই অঞ্চলের মানুষের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ ও অসন্তোষ জিইয়ে রয়েছে। বছর সাতেক আগে থেকে দাবি উঠেছে, ফারাক্কা বাঁধের কারণে দেশের যে ক্ষতি হয়েছে, সেই ক্ষতিপূরণ ভারতের কাছ থেকে আদায় করতে হবে। এ জন্য বাংলাদেশ সরকারকে সেই ক্ষতিপূরণ আদায়ে ভারত সরকারের ওপর চাপ প্রয়োগ করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন তারা।


সূত্র জানায়, ফারাক্কা বাংলাদেশের কৃষি, শিল্প কারখানাসহ সব কিছুতেই মারাত্মক ক্ষতি করেছে। তবে এসব ক্ষতির বিষয়ে সরকারি- বেসরকারি পর্যায়ে সুনির্দিষ্ট কোনো পরিসংখ্যান নেই। তবে বিভিন্ন সূত্রে এ সংক্রান্ত কিছু তথ্য-উপাত্ত পাওয়া যায়। ২০১৫ সালের ৫ সেপ্টেম্বর ‘নদী ও পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন- রাজশাহী’ আয়োজিত সাধারণ সভায় একটি ঘোষণাপত্র অনুমোদিত হয়। ওই ঘোষণাপত্রের একটি অংশে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের একটি সমীক্ষার উল্লেখ করে বলা হয়েছে, ফারাক্কায় বাঁধ দেয়ার কারণে বাংলাদেশের প্রায় ৯৩ হাজার কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। প্রতি বছর ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৫০০ কোটি টাকা। তবে এ ক্ষতির পরিমাণ বর্তমানে আরো বেশি হবে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।


এ ব্যাপারে নদী ও পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন বাংলাদেশের আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট এনামুল হক নয়া দিগন্তকে বলেন, জাতিসঙ্ঘের পানিপ্রবাহ আইন ১৯৯৭ এর বিধান অনুযায়ী এবং জাতিসঙ্ঘের মাধ্যমেই বিষয়টির সুরাহা করতে হবে। এ জন্য সরকারকে কূটনৈতিক তৎপরতা জোরদার করতে হবে। তিনি বলেন, ভারত চুক্তি অনুযায়ী বাংলাদেশকে পানি দেবে না, এটা এখন অনেকটা পরিষ্কার। কারণ এত দিনেও তারা চুক্তি অনুযায়ী বাংলাদেশকে পানির প্রাপ্যতা বুঝিয়ে দেয়নি। তিনি আরো বলেন, ফারাক্কা বাঁধের কারণে বাংলাদেশের যে ক্ষতি হয়েছে, সেই ক্ষতিপূরণ ভারতের কাছ থেকে আদায়ে বাংলাদেশ সরকারকে অবিলম্বে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।


এনামুল হক বলেন, ১৯৭৬ সালের ১৬ মে বাংলাদেশের নদীগুলোর যে পরিস্থিতি ছিল আজ চার দশক পরে তা আরো ভয়াবহ অবস্থা দাঁড়িয়েছে। ফারাক্কার প্রতিক্রিয়া ও প্রভাবে বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের গঙ্গা-পদ্মা ছাড়াও অন্যান্য ছোট ও মাঝারি ধরনের নদ-নদী শুকিয়ে গেছে। নদীর তীরবর্তী বিস্তীর্ণ এলাকা এখন অনেকটাই মরুভূমিতে পরিণত হয়েছে। এর ফলে ভয়াবহ পরিবেশ বিপর্যয় অতি আসন্ন। শুধু গঙ্গা নয়- তিস্তা, মহানন্দা, বারাক নদীতে বাঁধ এবং আন্তঃনদী সংযোগ প্রকল্পের মাধ্যমে একতরফা পানি প্রত্যাহার করা হচ্ছে। ভারত বলে আসছে যে, বাংলাদেশের ক্ষতি হয়- নদীকেন্দ্রিক এমন কোনো প্রকল্প তারা বাস্তবায়ন করবে না। কিন্তু পরিস্থিতি সম্পূর্ণ বিপরীত। তিনি বলেন, ভয়াবহ এ অবস্থা থেকে উত্তরণে সর্বস্তরের দেশপ্রেমিক মানুষকে সোচ্চার ও ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।


ইতঃপূর্বে রাজশাহীতে ফারাক্কা লংমার্চ দিবস উদযাপন কমিটির এক তথ্যে ফারাক্কাজনিত কারণে বাংলাদেশে পানির অভাবে যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া ও ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তার একটি সংক্ষিপ্ত বিবরণ তুলে ধরা হয়। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি হলো- উত্তরাঞ্চল ও দক্ষিণাঞ্চলের প্রায় ৮ কোটি মানুষ এবং এক-তৃতীয়াংশ এলাকা সেচের পানির অভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, গঙ্গা-কপোতাক্ষ প্রকল্পের ৬৫ শতাংশ এলাকায় সেচকার্যক্রম চালানো সম্ভব হচ্ছে না, অতিরিক্ত লবণাক্ততার জন্য জমির উর্বরাশক্তি কমে গিয়ে পৃথিবীর বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ সুন্দরবনের প্রায় ১৭ ভাগ নষ্ট হয়ে গেছে, ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ায় হাজার হাজার হস্তচালিত পাম্প অকেজো হয়ে গেছে, দেশের প্রায় ২১ শতাংশ অগভীর নলকূপ ও ৪২ শতাংশ গভীর নলকূপ ব্যবহার করা সম্ভব হচ্ছে না, ভূগর্ভস্থ পানিতে আর্সেনিকের বিষাক্ত প্রভাবে পশ্চিমাঞ্চলের অনেক জেলায় টিউবওয়েলের পানি খাবার অযোগ্য হয়ে পড়েছে, নদী শুকিয়ে যাওয়ায় ভূগর্ভস্থ যে পানি উত্তোলন করা হয় সেটা পূরণ (রিচার্জ) হচ্ছে না, ফারাক্কার প্রভাবে নদীর জীবনচক্র ধ্বংস হয়ে গেছে, ইলিশের বিচরণক্ষেত্র পদ্মায় আর ইলিশ আসে না, নদীর বুকে জেগে উঠেছে বিশাল ধূধূ বালু চর, নদীর মূলধারা বিভক্ত হয়ে পড়েছে অসংখ্য সরু ও ক্ষীণ স্রোতধারায়, প্রায় ১৫০০ কিলোমিটার নৌপথ বন্ধ হয়ে গেছে।


রাজশাহীতে আলোচনা সভা : এ দিকে, ফারাক্কা লংমার্চের ৪৩তম বার্ষিকী উপলক্ষে আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজশাহী নগরীর অনুরাগ কমিউনিটি সেন্টারে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে। নদী ও পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন বাংলাদেশ এ কর্মসূচির আয়োজন করেছে। এতে আলোচক থাকবেন বিশিষ্ট পানি ও নদী বিশেষজ্ঞগণ ও পেশাজীবী নেতৃবৃন্দ। সভাপতিত্ব করবেন নদী ও পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলনের আহবায়ক অ্যাডভোকেট এনামুল হক।

রিকশাচালকের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগ

রিকশাচালকের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগ

admin May 16, 2019

অনলাইন ডেস্ক:
ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের এম-৫৫ ব্যাচের তৃতীয় বর্ষের এক নারী শিক্ষার্থীকে একা পেয়ে শ্লীলতাহানির চেষ্টা চালায় এক বখাটে রিকশাচালক। এর প্রতিবাদে ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জন করে বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে কলেজের একাডেমিক ভবনের প্রধান গেটে তালা ঝুলিয়ে বিক্ষোভ ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন শিক্ষার্থীরা।


পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি দল নিয়ে স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছেন কলেজ প্রশাসন। এতে প্রিন্সিপাল অধ্যাপক ডা. আনোয়ার হোসেন সভায় সভাপতিত্ব করছেন।


আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা জানান, কলেজ ক্যাম্পাসের ভেতরে বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে ইফতার কিনে ফেরার পথে এক নারী শিক্ষার্থীকে একা পেয়ে শ্লীলতাহানির চেষ্টা চালায় এক বখাটে রিকশাচালক। এরপর মেয়েটির চিৎকারে কেউ এগিয়ে আসার আগে ওই রিকশাচালক চম্পট দেন। পরে বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভে ফেটে পড়েন। আজ বৃহস্পতিবার সকাল থেকে কলেজের প্রায় পাঁচ শতাধিক শিক্ষার্থী ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জন করে আন্দোলনে নামে।


আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের পক্ষে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু হাসান সরকার বলেন, ‘আমরা অবিলম্বে ওই রিকশাচালককে আটক, কলেজ হোস্টেলের গেটে সার্বক্ষণিক গার্ড, লেডিস হোস্টেলের গেটসহ পুরো ক্যাম্পাসে সিসি ক্যামেরা স্থাপন, পর্যাপ্ত আনসার নিয়োগ ও পুলিশি টহল বাড়ানোর দাবি জানিয়েছি’।


এদিকে কলেজ প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের একটি প্রতিনিধি দলের বৈঠক চললেও আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা নিয়মতান্ত্রিকভাবেই একাডেমিক ভবনের প্রধান গেটে তালা ঝুলিয়ে দুপুর পর্যন্ত বিক্ষোভ ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন। ক্যাম্পাসে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

ফিতরা জনপ্রতি সর্বনিম্ন ৭০, সর্বোচ্চ ১৯৮০ টাকা

ফিতরা জনপ্রতি সর্বনিম্ন ৭০, সর্বোচ্চ ১৯৮০ টাকা

admin May 16, 2019

অনলাইন ডেস্ক:
এ বছর জনপ্রতি ফিতরা সর্বনিম্ন ৭০ টাকা ও সর্বোচ্চ ১ হাজার ৯৮০ টাকা নির্ধারণ করেছে ইসলামিক ফাউন্ডেশন। বৃহস্পতিবার সকালে বায়তুল মোকাররমে জাতীয় ফিতরা নির্ধারণ কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।


সভা শেষে ইসলামী ফাউন্ডেশনের সহকারী পরিচালক মুহম্মদ নিজাম উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। গত বছর সর্বনিম্ন ৭০ টাকা এবং সর্বোচ্চ ২ হাজার ৩১০ টাকা ফিতরা নির্ধারণ করা হয়েছিল।


সভায় বলা হয়, ইসলামি শরিয়া মতে, আটা, খেজুর, কিশমিশ, পনির ও যব-এসব পণ্যের যেকোনো একটি দ্বারা ফিতরা দেওয়া যায়। ১ কেজি ৬৫০ গ্রাম গম বা আটা অথবা খেজুর, কিশমিশ, পনির বা যবের মধ্যে সামর্থ্য অনুযায়ী যেকোনো একটি পণ্যের ৩ কেজি ৩০০ গ্রামের বাজারমূল্য ফিতরা হিসেবে গরিবদের মধ্যে বিতরণ করা যায়।


সভায় বলা হয়, দেশের সব বিভাগ থেকে সংগৃহীত আটা, যব, খেজুর, কিশমিশ ও পনিরের সর্বোচ্চ বাজারমূল্যের ভিত্তিতে এই ফিতরা নির্ধারণ করা হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রে সাইবার নিরাপত্তায় জরুরি অবস্থা ঘোষণা

যুক্তরাষ্ট্রে সাইবার নিরাপত্তায় জরুরি অবস্থা ঘোষণা

admin May 16, 2019

অনলাইন ডেস্ক:
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দেশটির কম্পিউটার নেটওয়ার্ককে ‘বিদেশী প্রতিপক্ষ’ থেকে রক্ষা করার জন্য জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছেন। বৃহস্পতিবার প্রেসিডেন্ট এই সংক্রান্ত একটি নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেছেন। যেটি মার্কিন কোম্পানি যারা বিদেশি টেলিকম ব্যবহার করেন তাদের জন্য কার্যকর হবে। খবর বিবিসির। ধারণা করা হচ্ছে, এর ফলে দেশটি নিরাপত্তা ঝুঁকিতে রয়েছে। তবে নির্দিষ্টভাবে কোনো কোম্পানির নাম প্রেসিডেন্ট উল্লেখ করেননি।

Image Gallary

 
1 / 3
   
Caption Text
 
2 / 3
   
Caption Two
 
3 / 3
   
Caption Three