রংপুরসহ বিভাগের আট জেলায় বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস পালিত

admin June 21, 2019

স্টাফ রিপোর্টার:
‘তামাকে হয় ফুসফুসে ক্ষয় : সুস্বাস্থ্য কাম্য, তামাক নয়’ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে বিভাগীয় শহর রংপুরসহ বিভাগের আট জেলায় বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস ২০১৯ পালিত হয়েছে।


বৃহস্পতিবার (২০ জুন) র‌্যালি ও আলোচনা সভার মধ্য দিয়ে দিবসটি পালন করা হয়। জেলা প্রশাসন, স্বাস্থ্য বিভাগ এবং জেলা তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন বাস্তবায়ন টাস্কফোর্স কমিটির উদ্যোগে এবং ‘এ্যাসোসিয়েশন ফর কম্যুনিটি ডেভেলপমেন্ট-এসিডি’র অংশগ্রহণ ও সচেতনতায় পালন করা হয় দিবসটি।


জানা গেছে, তামাকমুক্ত দিবস পালন উপলক্ষ্যে বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় রংপুর সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সামনে থেকে একটি র‌্যালি বের করা হয়। র‌্যালিটি রংপুর মহানগরীর প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে সদর হাসপাতালের সামনে গিয়ে শেষ হয়। র‌্যালি শেষে তামাকের কারণে মানুষের স্বাস্থ্যক্ষতির বিষয়টি তুলে ধরতে রংপুর সদর হাসপাতাল মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয় এক আলোচনা সভা।


আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রংপুরের সিভিল সার্জন ডা. আবু মো. জাকিরুল ইসলাম। এসময় তামাকমুক্ত দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরেন, এসিডি’র এডভোকেসি অফিসার মো. শরিফুল ইসলাম শামীম।


আলোচনা সভায় বক্তারা তামাকমুক্ত দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে বলেন, ১৯৮৮ সাল থেকে প্রতিবছর ৩১ মে বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস পালিত হয়ে আসছে। তখন থেকেই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সদস্য দেশগুলো বিষয়টি নজরে এনেছে যে, ধূমপানের ক্ষতির পাশাপাশি অন্য সব প্রকার তামাকদ্রব্য সেবন মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই শুধু ধূমপান থেকে নয়; এই দিনে সব প্রকার তামাকদ্রব্য ব্যবহার থেকে বিরত থাকার কথা বলা হয়েছে। কিন্তু বর্তমানে দেশে তামাক ও তামাকজাতদ্রব্য গ্রহণের কারণে প্রতিদিন ৪৪১ জন মানুষের অকাল মৃত্যু হচ্ছে। সেই হিসেবে বছরে তামাকজনিত রোগে মারা যাচ্ছে ১ লাখ ৬১ হাজার মানুষ। তামাকের কারণে মানুষের অকাল মৃত্যুরোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা জরুরি হয়ে পড়েছে।


এদিকে দিবসটি উপলক্ষ্যে কুড়িগ্রাম জেলা তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন বাস্তবায়ন টাস্কফোর্স কমিটির উদ্যোগে এবং এসিডি’র অংশগ্রহণে র‌্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।



বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে কুড়িগ্রাম সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সামনে থেকে একটি র‌্যালি বের করা হয়। র‌্যালিটি কুড়িগ্রাম শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে ফায়ার সার্ভিস মোড়ে গিয়ে শেষ হয়। পরে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে দিবসটির তাৎপর্য নিয়ে অনুষ্ঠিত হয় আলোচনা সভা।


জেলা সিভিল সার্জন ডা. এসএম আমিনুল ইসলামের সভাপতিত্বে এসময় প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক সুলতানা পারভীন। এসময় জেলা সেনিট্যারি ইন্সপেক্টর জহুরুল ইসলাম, এসিডি’র প্রোগ্রাম অফিসার (রংপুর অফিস) মো. তৌফিকুল ইসলাম জেলা টাস্কফোর্স কমিটির সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।


এছাড়া রংপুর বিভাগের বাকি ছয় জেলায় অর্থাৎ দিনাজপুর, লালমনিরহাট, নীলফামারী, গাইবান্ধা, পঞ্চগড়র ও ঠাকুরগাঁও তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন বাস্তবায়ন টাস্কফোর্স কমিটির আয়োজনে এবং এসিডি ও এর পার্টনার অর্গানাইজেশন ‘পল্লী উন্নয়ন প্রকল্প (পিইউপি)’ ও ‘ডেভেলপমেন্ট কাউন্সিল (ডিসি)’ এর অংশগ্রহণে বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস পালিত হয়।


উল্লেখ্য, ৩১ মে বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস। কিন্তু অনিবার্য কারণবশত এ বছর সারাদেশে ২০ জুন বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস পালনের সিদ্ধান্ত হয়। সেই অনুযায়ী গতকাল বৃহস্পতিবার সারাদেশের মত রংপুরে পালিত হয় বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস।

এই বিভাগের আরও খবর

পরবর্তী পোস্ট
« Prev Post
পূর্বের পোস্ট
Next Post »
নিচের বক্সে মন্তব্য লিখুন

Disqus
আপনার মন্তব্য যোগ করুন

No comments

Image Gallary

 
1 / 3
   
Caption Text
 
2 / 3
   
Caption Two
 
3 / 3
   
Caption Three