তবে কি ইমরান নিয়াজীই হচ্ছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী?

তবে কি ইমরান নিয়াজীই হচ্ছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী?

admin July 26, 2018

পাকিস্তানে বুধবার দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত হলো সে দেশের জাতীয় নির্বাচন। ভোটগ্রহণ শেষে চলছে গণনা, আসতে শুরু করেছে ফলাফল। সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে সারা দুনিয়ার চোখ এখন পাকিস্তানের দিকে। পাকিস্তানভিত্তিক ও আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো খবর দিচ্ছে, এখন পর্যন্ত আসা ফলাফলে এগিয়ে রয়েছে ক্রিকেট বিশ্বের একসময়ের বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার ও পাকিস্তান ক্রিকেট দলের নায়ক ইমরান খান নিয়াজী।


সর্বশেষ আসা ফলাফলে দেশটির জাতীয় এসেম্বলির ১৮১ আসনের মধ্যে ইমরান নিয়াজীর পিটিআই (Pakistan Tehrik-e-Insaf) লাভ করেছে ৬২ টি। নওয়াজ শরীফের Pakistan Muslim League (পিএমএলএন) ৪৩ এবং Pakistan Peoples Party (পিপিপি) পেয়েছে ২৬ টি। আর বাকি অন্যসব দল মোট পেয়েছে ৫০ টি আসন।


ফলে মোটামুটি আশা জেগেছে ইমরান খান নিয়াজীর প্রধানমন্ত্রী হওয়া নিয়ে। তিনিই হয়তো হচ্ছেন পাকিস্তানের আগামীর প্রধানমন্ত্রী। অবশ্য তার সাফল্যের বিষয়টি আগে থেকেই অনেকটা নিশ্চিত ছিল। কেননা বলা হচ্ছে, পাকিস্তানের রাজনীতিতে ইমরান নিয়াজীই একমাত্র ব্যক্তিত্ব যার কোন করাপশনের রেকর্ড নেই। অন্য সকল রাজনীতিবিদদের করাপশনের রেকর্ড অনেকটা বিস্তৃত। নির্বাচনের আগেই করাপশনের অভিযোগে দেশটির ক্ষমতাচ্যূত প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফ বর্তমানে জেলে আছেন। আরও গুঞ্জন আছে, দেশটির সর্বময় ক্ষমতায় থাকা স্বশস্ত্র সেনাবাহিনীর সুদৃষ্টি আছে ইমরান ও তার দলের উপর।


এক সময়ের ক্রিক্রেট বিশ্বের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডার ইমরান খান ও বর্তমান তেহরিক ই ইনসাফের প্রধান ইমরান খানের পুরো নাম ইমরান খান নিয়াজী। তাঁরই অধিনায়কত্বে ১৯৯২ সালে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপ জয় করে পাকিস্তান ক্রিকেট দল।

মিয়ানমার সরকারের তামাশা ও দাম্ভিক আচরণ

মিয়ানমার সরকারের তামাশা ও দাম্ভিক আচরণ

admin July 25, 2018

বিশ্ব জনমত কিংবা মানবতার তোয়াক্কা না করে মিয়ানমার রাষ্ট্রটি সকলকে প্রতিনিয়ত বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে যাচ্ছে। যা মূলত বিশ্বের শান্তিপ্রিয় দেশগুলোকে নিয়ে তামাশা ও মিয়ানমারের দাম্ভিক আচরণের বহি:প্রকাশ। তারা সেনাবাহিনী ও স্থানীয় সন্ত্রাসীদের লেলিয়ে দিয়ে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর প্রতি নিষ্ঠুর প্রক্রিয়ায় হত্যা ও ধর্ষণ করে দেশ থেকে বিতাড়িত করেছে। হাজার হাজার বসতভিটা জ্বালিয়ে পুড়িয়ে দিয়ে তারা নৃশংসতার চরম দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। বিশ্বের শান্তিপ্রিয় রাষ্ট্রগুলি তাদের অমানবিক কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদ করেছে। ফলে এক সময় রোহিঙ্গাদের প্রতি মৌখিকভাবে নমনীয় মনোভাব প্রদর্শন করলেও তারা সেটা আন্তরিকভাবে করেনি বলে তাদের পরবর্তী কর্মকাণ্ডে বার বার প্রমাণিত হয়েছে।


অন্যদিকে মিয়ানমার বাংলাদেশ থেকে রোহিঙ্গাদের ফেরত নেবার ব্যাপারে চুক্তিও করেছে। কিন্তু আজ পর্যন্ত তারা আনুষ্ঠানিকভাবে একজন রোহিঙ্গাকেও ফেরত নেয়নি। অন্যদিকে রোহিঙ্গাদের একটি বড় অংশ দেশটিতে ফেরত যেতে চাচ্ছেন না। এর কারণ হিসেবে সেখানকার পরিস্থিতি এখনো শঙ্কাজনক বলে মনে করছেন জাতিসংঘের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা। জাতিসংঘ বলছে, মিয়ানমারে এখনো নিপীড়ন বন্ধ হয়নি। এখনো ‘হত্যা ও ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দেয়া' অব্যাহত আছে। এ বছরও ১১ হাজার অধিবাসী রাখাইন থেকে পালিয়েছে। জাতিসংঘ বলছে, এর অর্থ এখনো সেখানে সহিংসতা চলছে, যার ফলে তারা পালাতে বাধ্য হচ্ছে।


মিয়ানমারের প্রতিনিয়ত দাম্ভিক আচরণের প্রেক্ষিতে, তাদের জবাব কেবল ধিক্কার বা নিন্দা জানানোতেই যথার্থ নয়। তাই এখন মিয়ানমারকে প্রয়োজনে শক্তিপ্রয়োগ করে শায়েস্তা করা । এ ব্যাপারে রাষ্ট্রসমূহের অভিভাবক হিসেবে জাতিসংঘের কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত ।


একদিকে রোহিঙ্গাদেরকে ফিরিয়ে নিতে রাজি হওয়া ও অন্যদিকে তাদের ফেরার পরিবেশ তৈরি না করার পাশাপাশি তারা ফেরত যাওয়া রোহিঙ্গাদেরকে গ্রেফতার করছে। এটা শুধু রোহিঙ্গাদের প্রতি নির্মমতা প্রদর্শনই নয়, বিশ্ববাসীর সাথে তামাশাও বটে। মিয়ানমারের মতো এমন ভণ্ডামিপূর্ণ ও ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণের একটা উচিত জবাব অবশ্যই বিশ্ববাসীর তরফ থেকে আসা উচিত। কিন্তু মিয়ানমারের এ ধরনের ঔদ্ধত্যপূর্ণ দাম্ভিক আচরণে খোদ জাতিসংঘের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের মুখ থেকে যথার্থ শক্ত প্রতিবাদ বা পদক্ষেপ আসছে না। এখনো ধিক্কারসূচক শব্দেই প্রতিবাদ সীমাবদ্ধ রয়েছে।


যেমন, জাতিসংঘের মানবাধিকার সংস্থার প্রধান জাইদ রা’দ আল হুসেইন মিয়ানমারের এ ধরনের তামাশাসূচক আচরণে ’মিয়ানমারের লজ্জা থাকা উচিত’ বলে মন্তব্য করেছেন। মিয়ানমারের এমন আচরণের প্রেক্ষিতে, তাদের এমন অসভ্য দাম্ভিক আচরণের জবাব কেবল ধিক্কার বা নিন্দা জানানোতেই যথার্থ নয়। মিয়ানমার নিজেদের ন্যূনতম মানবিকতার মাথা খেয়েই রোহিঙ্গা নিধনে ঝাঁপিয়ে পড়েছে। তাই এখন মিয়ানমারকে প্রয়োজনে শক্তিপ্রয়োগ করে শায়েস্তা করা । এ ব্যাপারে রাষ্ট্রসমূহের অভিভাবক হিসেবে জাতিসংঘের উচিত কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা। মিয়ানমারের অসভ্য কর্মকাণ্ডের ভুক্তভোগী হচ্ছে মূলত বাংলাদেশ। তাই এক্ষেত্রে বাংলাদেশরও মিয়ানমারের বারংবার দাম্ভিকতা প্রদর্শনের উচিৎ জবাব দিতে জোরালো কূটনৈতিক পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন।

গুলাশানে আক্রমণ মামলার অভিযোগপত্র ও প্রত্যাশা

গুলাশানে আক্রমণ মামলার অভিযোগপত্র ও প্রত্যাশা

admin July 25, 2018

গুলশানের হোলি আর্টিসান জঙ্গি হামলার দুই বছর ২২ দিনের দীর্ঘ তদন্ত শেষে গত সোমবার দায়ের করা ওই কেসের অভিযোগপত্র (Charge sheet) কোর্টে জমা দিয়েছে ইনভেসটিগেশন টিম। কেসটি ইনভেসটিগেশন করে পুলিশের Counter Terrorism and Trans-National Crimes (সিটিটিসি) ইউনিট। অভিযোগপত্রে জীবিত ৮ জঙ্গির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র (Charge sheet) দেওয়া হয়েছে। অভিযোগপত্রে অন্য অভিযুক্ত ১৩ জঙ্গি ২০১৬ সালের ০১ জুলাই থেকে পরবর্তী সময় পর্যন্ত আইনশৃংখলা বাহিনীর জঙ্গিবিরোধী অভিযানে নিহত হয়। জঙ্গি হামলার অভিযোগ থেকে খালাস দেওয়া হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক রেজাউল হাসনাত করিমকে। একই ঘটনায় আটক কানাডার টরেন্টো ইউনিভার্সিটির ছাত্র তাহমিদ হাসিব খানকে এক বছর আগে অভিযোগ থেকে খালাস দেওয়া হয়।
অভিযোগপত্রে যাদের নাম এসেছে তাদের মধ্যে ৬ জন পুলিশ হেফাজতে ও দুই জঙ্গি পলাতক আছে। পলাতক দুই জন ভারতে লুকিয়ে আছে বলে গোয়েন্দাদের ধারণা। অভিযানে নিহত হোলি আর্টিসানের পাচক সাইফুল ইসলামকে শুরুতে সন্দেহের তালিকায় রাখা হলেও তার সম্পৃক্ততার কোনো প্রমাণ তদন্তকারীরা পাননি। এমনকি জঙ্গি হামলার পর আটক হোলি আর্টিসানের কর্মী জাকির হোসেন শাওনের কোনো সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়নি।
অভিযোগপত্র প্রদানের দিন প্রেস ব্রিফিংয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার ও সিটিটিসির প্রধান মনিরুল ইসলাম জানান, এ হামলাটি চালানোর পেছনে জঙ্গিদের উদ্দেশ্য ছিল আন্তর্জাতিক জঙ্গিগোষ্ঠী তালেবান, আল কায়েদা, আইএস’র দৃষ্টি আকর্ষণ করা। জঙ্গিরা মনে করতো, ওসব জঙ্গি সংগঠনের অনেক অত্যাধুনিক অস্ত্রশস্ত্র আছে। তাই তাদের দৃষ্টিতে আসতে পারলে এসব অস্ত্রশস্ত্র এবং প্রযুক্তিগত ও আর্থিক সাহায্য পাওয়া যাবে। সিসিটিসির প্রধান আরও জানান, জঙ্গিদের উদ্দেশ্য ছিল সরকারকে বেকায়দায় ফেলার। তারা মনে করেছিল, এতে বিদেশি বিনিয়োগকারীরা এদেশ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিবে, সরকার পড়বে বিপদে।


ঢাকায় হামলা চালানোর পেছনে জঙ্গিদের উদ্দেশ্য ছিল ইন্টারন্যাশনাল সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোর দৃষ্টি আকর্ষণ। জঙ্গিরা মনে করতো, তাদের দৃষ্টিতে আসতে পারলে তারা অত্যাধুনিক অস্ত্রশস্ত্র ও প্রযুক্তিগত সাহায্য পাবে। এছাড়াও জঙ্গিরা আক্রমণ করে বিভিন্নভাবে সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে চাইছিলো।


২০১৬ সালের ১ জুলাই রাতে হোলি আর্টিসান বেকারিতে থাকা বিদেশিসহ সব অতিথিকে জিম্মি করে ১৭ বিদেশি ও তিন বাংলাদেশিসহ ২০ জনকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে হত্যা করা হয়। রাতে পুলিশ-র‌্যাবের যৌথ অভিযানে জঙ্গিদের গুলি ও গ্রেনেড হামলায় ৩৩ পুলিশ, আনসার ও র‌্যাব সদস্য আহত হন। এদের মধ্যে সহকারী কমিশনার রবিউল করিম ও বনানী থানার ওসি সালেহ উদ্দিন রাতেই মারা যান। পরদিন সকালে সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে যৌথ অপারেশনে ৫ জঙ্গিসহ ৬ নিহত হয়।
বাংলাদেশে সংঘটিত এ জঙ্গি হামলাটি সারা বিশ্বে ঘটা বড় বড় জঙ্গি হামলাগুলোর মধ্যে অন্যতম আলোচিত ঘটনা। ঘটনার রাত ও পরে বিশ্ববাসীর নজর ছিল ঢাকার এই ঘটনার দিকে। ঐ সময়ে মধ্যপ্রাচ্যে গজিয়ে ওঠা চরমপন্থী সংগঠন আইসিস এর রমরমা অবস্থা। তারা বিশ্বজুড়েই নানা নৃশংস ঘটনার জন্ম দিয়ে যাচ্ছিল। ঠিক সেই সময়ে তাদের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্যই হত্যকারী তরুণ জঙ্গিগুলোগুলো এ অভিযানে নামে। ইসলামের নামে গজিয়ে ওঠা এসব উগ্রপন্থীরা মূলত ধর্মীয় বিকৃত ব্যাখ্যা দ্বারা উদ্ভুদ্ধ হয়ে মানুষ হত্যায় মেতে উঠেছিল। অর্থাৎ এদের পেছনে একটা আদর্শ কাজ করেছে। যে কারণে তারা আত্মঘাতী হতেও দ্বিধা বোধ করে না। কিন্তু তাদের এ আদর্শ ছিল ভুল আদর্শ। যে কারণে মধ্যপ্রাচ্যসহ আমাদের দেশের এসব ধর্মীয় সন্ত্রাসীরা বর্তমানে একেবারে নির্মূলের পথে। মানুষ মেরে ধর্মপালন, নৃশংসতা চালানোর নীতিকে সাধারণ মানুষও সমর্থন করেনি। যে কারণে তারা কোথাও সহযোগিতা না পেয়ে ধরাশায়ী হয়ে জেল খাটছে।
আত্মঘাতী নীতিতে (ধর্মীয় বিকৃত নীতি) উদ্বুদ্ধ সন্ত্রাসীদের নির্মূল করা সহজ কোনো কাজ ছিল না। তবে বেশকিছু সামাজিক ও ধর্মীয় আদর্শভিত্তিক দল এদের আদর্শকে বিকৃত ও অগ্রহণযোগ্য আদর্শ হিসেবে প্রমাণ করে দেওয়ার কাজটি করে দেওয়ায় সাধারণ মানুষের মনে সন্ত্রাসীদের ব্যাপারে নেতিবাচক ধারণার সৃষ্টি হয়। সেই সাথে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সশস্ত্র মোকাবেলা- এই দুইয়ের সম্মিলনেই আজ এ সফলতা এসেছে। দুই পক্ষকেই আমরা অভিনন্দন জানাই। একই সাথে প্রত্যাশা করি, অভিযোগপত্রে যাদের নাম উঠে এসেছে তারা আইনের দ্বারা যথাযথ শাস্তির মুখোমুখি হবে এবং যারা পলাতক রয়েছে তাদেরকেও আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে। এভাবেই ভবিষ্যতে ধর্মের নামে উগ্রবাদের উত্থান একদিন পুরোপুরি বন্ধ হবেই হবে।



আরও পড়তে পারেন-


যেভাবে ধরা পড়লো কয়লা খনির দুর্নীতি

admin July 25, 2018

দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লা খনিতে ১ লাখ ৪৪ হাজার মেট্রিক টন কয়লা গায়েব হওয়ার ঘটনায় তোলপাড় সারা দেশ। বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রীও। কয়লা গায়েব হওয়ার ঘটনায় দুর্নীতির প্রাথমিক সত্যতা মিলেছে বলে জানিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। প্রশ্ন তৈরি হয়েছে, এতো বড় কারসাজি হলো কীভাবে। কয়লা ব্যবসায়ী ও স্থানীয়রা বলছেন, খনি শ্রমিকদের প্রায় এক মাস আন্দোলনের সময়ে কয়লা উত্তোলন না হওয়া এবং কিছুদিন আগে উত্তোলনযোগ্য কয়লার মজুদ শেষ হয়ে যাওয়ায় ফেইজ বন্ধ করে দেওয়ার ফলেই কয়লার ঘাপলা ধরা পড়েছে। তবে খনির কয়লা গায়েব বা ঘাপলার এই ঘটনা নতুন নয় জানিয়ে ব্যবসায়ীরা বলছেন, ডিও বাণিজ্য, উত্তোলনকৃত কয়লার হিসেবে গড়মিল, কাগজ-কলমে ও ওজনে কারচুপিসহ কর্মকর্তারা বিভিন্ন ধরনের অনিয়ম করে আসছেন। বিষয়টি সংশ্লিষ্টদের অজানা ছিল না।  

এদিকে দুদক বলছে, কাগজে-কলমে যে পরিমাণ কয়লা থাকার কথা সেই পরিমাণ কয়লা বাস্তবে নেই। হিসেবের গরমিলেই এই দুর্নীতির প্রাথমিক সত্যতা মিলেছে।

বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি সূত্রে জানা গেছে, গত ১৩ মে থেকে বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির শ্রমিকরা ১৩ দফা দাবিতে কর্মবিরতি শুরু করেন। ফলে খনি থেকে কয়লার উত্তোলন বন্ধ হয়ে যায়। এর আগে এই খনির ১২১০ নম্বর ফেইজ থেকে দিনে প্রায় ৩ হাজার মেট্রিক টন কয়লা উত্তোলন হতো। কিন্তু শ্রমিকদের আন্দোলনের ফলে কয়লা উত্তোলন বন্ধ হয়ে যায়। এ সময় বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী হাবিব উদ্দিন আহমেদ সাংবাদিকদের জানান, কোল ইয়ার্ডে (কয়লা রাখার জায়গা) প্রায় ২ লাখ ৪০ হাজার মেট্রিক টন কয়লা রয়েছে। এই পরিমাণ দিয়ে বড়পুকুরিয়া কয়লাভিত্তিক তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র চালু রাখতে কোনও সমস্যা হবে না।

দাবি দাওয়া মেনে নেওয়ার আশ্বাসে ২১ দিন কয়লা উত্তোলন বন্ধ রাখার পর গত ৩ জুন কাজে যোগদান করেন শ্রমিকরা। কিন্তু ওই ফেইজে উত্তোলনযোগ্য কয়লার মজুদ শেষ হয়ে যাওয়ায় গত ১৬ জুন থেকে কয়লা উত্তোলন বন্ধ হয়ে যায়। গত ২০ জুনও কয়লা খনি কর্তৃপক্ষ জানায়, কোল ইয়ার্ডে ১ লাখ ৮০ হাজার টন কয়লা রয়েছে। কিন্তু গত ১৬ জুলাই কর্তৃপক্ষ ফের জানায়, কয়লার মজুত শেষের দিকে। তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র কর্তৃপক্ষ বিষয়টি পিডিবিকে জানালে তারা এটি পেট্রোবাংলাকে অবহিত করে। এরপরই বের হয়ে আসে কয়লার ঘাপলার বিষয়টি।

খনির কোল ইয়ার্ড থেকে বিপুল পরিমাণ কয়লা উধাও হয়ে যাওয়ার ঘটনায় ১৯ জুন খনির মহাব্যবস্থাপক (মাইন অপারেশন) নুরুজ্জামান চৌধুরী ও উপ-মহাব্যবস্থাপক (স্টোর) খালেদুল ইসলামকে সাময়িক বরখাস্ত করে পেট্রোবাংলা। একই সঙ্গে খনির ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী হাবিব উদ্দিন আহমদকে অপসারণ করে পেট্রোবাংলায় সংযুক্ত ও মহাব্যবস্থাপক (প্রশাসন ও কোম্পানি সচিব) আবুল কাশেম প্রধানিয়াকে পশ্চিমাঞ্চল গ্যাস কোম্পানি লিমিটেড সিরাজগঞ্জে বদলি করা হয়। এই ঘটনায় পেট্রোবাংলার পরিচালক (মাইন অপারেশন) কামরুজ্জামানকে আহ্বায়ক করে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।

বড়পুকুরিয়া তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক (তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী) মাহবুবুর রহমান জানান, ‘গত ২০ জুন বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি এক লাখ ৮০ হাজার মেট্রিক টন কয়লার মজুত রয়েছে বলে জানায়। সেই হিসেবেই পরিকল্পনা করে বড়পুকুরিয়া তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের উৎপাদন অব্যাহত রাখা হয়েছিল। কিন্তু হঠাৎ করে কয়েকদিন আগে খনি কর্তৃপক্ষ পিডিবিকে জানিয়ে দেয় খনির কোল ইয়ার্ডে কয়লার মজুত প্রায় শেষের দিকে। বিষয়টি জানার পর তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধ হয়ে যেতে পারে এমন আশঙ্কায় ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়। অবশেষে গত রবিবার (২২ জুলাই) রাতে কয়লার অভাবে বন্ধ করে দিতে হয় তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের উৎপাদন।’

তিনি জানান, ৫২৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা সম্পন্ন বড়পুকুরিয়া তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের তিনটি ইউনিট চালু রাখতে দৈনিক কয়লার প্রয়োজন ৫ হাজার ২’শ মেট্রিক টন কয়লা। কিন্তু বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি চলতি জুলাই মাস থেকে কয়লার সরবরাহ কমিয়ে দেওয়ায় বন্ধ হয়ে যায় ১২৫ মেগাওয়াট উৎপাদন ক্ষমতা সম্পন্ন একটি ইউনিট। অপর ১২৫ মেগাওয়াট উৎপাদন ক্ষমতা সম্পন্ন আরেকটি ইউনিট মেইনটেনেন্সের জন্য এর আগে থেকেই বন্ধ রাখা হয়। ফলে ২৭৫ মেগাওয়াট বিদুৎ উৎপাদন ক্ষমতা সম্পন্ন তৃতীয় ইউনিটটি কোনোমতে চালু রাখা হয়েছিল। এরপরও এখানে দৈনিক প্রায় ৮শ’ থেকে এক হাজার টন কয়লার প্রয়োজন হতো।

ব্যবসায়ীরা জানান, কয়লা উত্তোলন বন্ধ থাকার ফলেই ধরা পড়েছে কয়লা গায়েব হওয়ার বিষয়টি। কাগজ-কলমে ঠিক থাকলেও বাস্তবে কয়লা ছিল না। ডিও বাণিজ্য, ওজনে কারচুপি এবং কাগজে-কলমে হেরফের দীর্ঘদিন ধরেই করে আসছেন কর্মকর্তারা।

কয়লা ব্যবসায়ী মশিউর রহমান বুলবুল বলেন, ‘কয়লা খনির কর্মকর্তারা কাগজ-কলমে হেরফের করে এবং ওজনে কারচুপি করে অবৈধভাবে কয়লা বিক্রি করে থাকে। প্রায় দেড় মাস ধরেই বড়পুকুরিয়া কয়লা খনিতে উত্তোলন বন্ধ রয়েছে। বিক্রি বন্ধ থাকলেও তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র চালু রাখতে কয়লা দিতে হতো। তাই যে পরিমাণ কয়লা মজুত ছিল তা ধীরে ধীরে কমতে থাকে। কাগজ-কলমে মজুতের পরিমাণ অনেক বেশি থাকলেও বাস্তবে তা ছিল না। দীর্ঘদিন ধরেই কয়লা খনির কিছু কর্মকর্তা অবৈধভাবে কয়লার ঘাপলা করে আসছিল। কিন্তু উত্তোলন বন্ধ থাকার ফলেই এবারে ঘাপলার বিষয়টি উন্মোচিত হয়েছে।’

কয়লা ব্যবসায়ী আমজাদ হোসেন জানান, ‘খনি থেকে যে পরিমাণ কয়লা বিক্রি হয়, কর্মকর্তাদের যোগসাজশে তার চেয়ে বেশি পরিমাণ কয়লা দিয়ে দেওয়া হয়। ভুয়া কাগজপত্র ও হেরফেরের মাধ্যমে এই কয়লা বিক্রি করে আসছে কিছু কর্মকর্তা। তাই কাগজপত্রে ঠিক থাকলেও বাস্তবে সেই পরিমাণ কয়লা ছিল না। কয়লার উত্তোলন বন্ধ থাকায় এবার বিষয়টি বেরিয়ে এসেছে।’

নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক ব্যবসায়ী জানান, ‘খনি থেকে যে পরিমাণ কয়লা উত্তোলন হয়, কাগজ-কলমে তার চেয়ে বেশি দেখানো হয়। এতে করে প্রফিট-বোনাস বেশি পান কর্মকর্তারা। ২০০৫ সাল থেকে এই পর্যন্ত কোল ইয়ার্ডে কয়লা থাকায় বিষয়টি ধরা পড়েনি। ঘাপলার বিষয়টি জানাজানি হয়ে যাবে এটি কেউই ভাবেনি।’ 

তিনি আরও জানান, ‘কর্মকর্তাদের যে বেতন তাতে করে সচ্ছলভাবে চলা সম্ভব। কিন্তু তারা প্রতিজন বাড়ি-গাড়ির মালিক হয়েছেন। কোম্পানি সচিব আবুল কাশেম প্রধানীয়ার ঢাকায় চারটি বাড়ি, মাসুদুর রহমান হাওলাদারের দুইটি বাড়ি ও ৩৫/৪০ লাখ টাকা মূল্যের চারটি মাইক্রোবাস রয়েছে। একইভাবে মহাব্যবস্থাপক (মাইন অপারেশন) নুরুজ্জামান চৌধুরী, কামরুজ্জামানসহ অন্যান্য কর্মকর্তারাও বাড়ি-গাড়ির মালিক ও কোটি কোটি টাকার মালিক হয়েছেন।’

কয়লা ব্যবসায়ী মিজানুর রহমান জানান, ‘২০১৭ সালে খনি থেকে ৩০০ টন কয়লা চুরি হয়েছিল। পরে বিষয়টি ফাঁস হয়ে গেলে খনির কর্মকর্তারা রাতারাতি সেই ৩০০ টন কয়লার টাকা ব্যাংক অ্যাকাউন্টে জমা দিয়ে সমন্বয় করে। এতেই প্রমাণিত হয় কর্মকর্তারাই এই কয়লা চুরি ও ঘাপলার সঙ্গে জড়িত।’

বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টির ফুলবাড়ী উপজেলা শাখার সম্পাদক এসএম নুরুজ্জামান জানান, ‘মন্ত্রী-এমপি, রাজনৈতিক নেতা কিংবা ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বিভিন্ন নামে কয়লার ডিও দেন। এই ডিওতে যে পরিমাণ কয়লা দেওয়ার কথা তার বেশি পরিমাণ কয়লা দেওয়া হয়। এতে করে লাভবান হন কর্মকর্তারা। ডিওর মাধ্যমে খনি থেকে নেওয়া এক টন কয়লার দাম ১৭ হাজার টাকা হলেও বাজারে এর দাম ২০ হাজার টাকা। ১০০ টন কয়লার ডিও মানে দুই লাখ টাকা, এভাবে কোটি কোটি টাকার কমিশন বাণিজ্য হয় কয়লা খনিতে। আর এই টাকা ভাগাভাগি হয় কর্মকর্তাদের মধ্যে। কিন্তু এবারে তারা আটকে গেছেন গ্যাঁড়াকলে।

বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি রবিউল ইসলাম জানান, ‘আন্দোলন শেষ হওয়ার পরে সামান্য কয়লা উত্তোলন করা হয়েছে। ফলে কয়লার যে মজুত ছিল তা ধীরে ধীরে কমে যেতে শুরু করে।’

এদিকে কয়লা গায়েবে দুর্নীতির প্রাথমিক সত্যতা পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশনের কর্মকর্তারা। কাগজ-কলমের হিসাবের সঙ্গে বাস্তবের মিল নেই বলে জানিয়েছে দুদক। দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) দিনাজপুর সমন্বিত কার্যালয়ের উপপরিচালক বেনজীর আহমেদ জানান, ‘আমরা কয়লা খনির কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করে দেখেছি, খনির কোল ইয়ার্ডে ১ লাখ ৪৬ হাজার মেট্রিক টন কয়লা মজুত থাকার কথা। কিন্তু কোল ইয়ার্ডে রয়েছে মাত্র ২ হাজার মেট্রিক টন। বাকি ১ লাখ ৪৪ হাজার মেট্রিক টন কয়লার কোনও হদিস নেই। বিপুল পরিমাণ কয়লা উধাও হয়ে যাওয়ায় এখানে প্রাথমিক তদন্তে দুর্নীতির সত্যতা পাওয়া গেছে। বিষয়টি  ইতোমধ্যেই দুদকের প্রধান কার্যালয়ে জানানো হয়েছে। ঢাকা থেকে দুদকের কর্মকর্তারা ঘটনার অধিকতর তদন্ত শেষেই আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।’ (বাংলাট্রিবিউন)

অপুর ‘শর্টকাট’ শেষদিকে

admin July 20, 2018

ঢালিউডের জনপ্রিয় মুখ অপু বিশ্বাস গত জুনে কলকাতার নতুন একটি ছবিতে কাজ শুরু করেন। ছবির নাম ‘শর্টকাট’। কলকাতার জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী নচিকেতা চক্রবর্তীর লেখা গল্প নিয়ে করা এ ছবিতে অপু অভিনয় করছেন নূরজাহান চরিত্রে। এ ছবির বেশিরভাগ অংশের কাজ শেষ করেছেন বলে জানিয়েছেন অপু। এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ ছবির গল্পটি অসাধারণ। ছবিটিতে আমি নূরজাহান চরিত্রে অভিনয় করছি।
এটি একটি চমৎকার চরিত্র। কণ্ঠশিল্পী নচিকেতা চক্রবর্তীর লেখা গল্প নিয়ে তৈরি হচ্ছে ছবিটি। এটি পরিচালনা করছেন কলকাতার পরিচালক সুবীর মণ্ডল। আমরা সবাই অনেক আনন্দের সঙ্গে কাজটি করছি। কলকাতার ছবিতে আমার প্রথম কাজ এটি। আমার অংশের অল্প কিছু কাজ বাকি। বলতে গেলে শেষদিকের কাজ চলছে এখন। শিগগিরই ভারতে গিয়ে বাকি কাজের পাশাপাশি ছবির ডাবিংয়ে অংশ নেব। আশা করি, ছবিটি দর্শক পছন্দ করবেন। এ ছবিটিতে আরো অভিনয় করছেন বাংলাদেশের অরিন, কলকাতার পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়, গৌরব চক্রবর্তী, 
অনিন্দিতা বসু, চন্দন সেন প্রমুখ। ছবিটির সংগীতের দায়িত্বে থাকছেন নচিকেতা নিজেই। দুই যুবকের গল্প নিয়ে তৈরি হতে যাওয়া ‘শর্টকাট’-এ দেখা যাবে বিত্তবান পরিবারের এক ছেলে আর ঠিক পাশের বস্তিতে থাকা আরেকটি ছেলে। আপাতদৃষ্টিতে অবস্থান আলাদা হলেও তাদের দুজনের জীবনেই ব্যর্থতা রয়েছে। তবে কোথাও গিয়ে তারা যেন মিলে যায়। দুই ধরনের জীবনের গল্প দেখা যাবে ছবিতে। এদিকে এ ছবির বাইরে অপু বিশ্বাস বর্তমানে দেবাশীষ বিশ্বাসের ‘শ্বশুরবাড়ি জিন্দাবাদ টু’ ছবির কাজ করছেন। এ ছবিতে তার বিপরীতে অভিনয় করছেন এই প্রজন্মের নায়ক বাপ্পি চৌধুরী। ছবিটি প্রযোজনা করছে বেঙ্গল মাল্টিমিডিয়া। 
সবশেষ গত ঈদে অপু বিশ্বাস অভিনীত ‘পাঙ্কু জামাই’ ছবিটি দর্শকরা প্রেক্ষাগৃহে দেখেছেন। আবদুল মান্নানের পরিচালনায় এ ছবিতে শাকিব খানের বিপরীতে অপু বিশ্বাস অভিনয় করেন। 

রিতা ওরা সমুদ্র সৈকতে নগ্ন

admin July 20, 2018
ব্রিটিশ গায়িকা ও অভিনেত্রী রিতা ওরা । এরইমধ্যে নিজের গান, অভিনয় ও স্টেজ পারফরমেন্সের মাধ্যমে বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছেন তিনি। ২৭ বছর বয়সী এ তারকা এখন রয়েছেন সুইজারল্যান্ড ট্যুরে। এখানকার বিভিন্ন স্থানে তিনি গান পরিবেশন করেছেন। তবে এখন চলছে বিরতি। আর এই কয়েকদিনের বিরতিটা আরও খানির রঙিন করতে চাইছেন তিনি।
আর তাইতো বিভিন্ন বার, সমুদ্র সৈকত ও পার্টিতে বেপরোয় রিতা ওরাকে আবিষ্কার করা যাচ্ছে। অবাক করার বিষয় হলো এবার সমুদ্র সৈকতে গিয়ে নগ্ন প্রায় হলেন রিতা ওরা। আর সেই নগ্ন ছবি তিনি পোস্ট করেছেন নিজের ইনসটাগ্রামে। একটি হলুদ রঙা বিকিনি পড়লেও তার গোপন অঙ্গ পরিস্কারভাবে দেখা যাচ্ছে সেই ছবিতে। এরইমধ্যে এই ছবিটি ভাইরাল হয়ে গেছে নেটদুনিয়ায়। বেশ আলোচনা-সমালোচনার মুখেও পড়েছেন তিনি। তবে এসব সমালোচনাকে পাত্তা দিচ্ছেন না তিনি। নিজের মতো করেই দিনরাত্রী কাটাচ্ছেন এ গ্লামারাস কন্যা। 

পীরগঞ্জে মৎস্য সপ্তাহের উদ্বোধন

admin July 20, 2018


রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলায় গতকাল বৃহস্পতিবার “স্বয়ং সম্পুর্ণ মাছে দেশ-বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ” প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে মৎস্য সপ্তাহের উদ্বোধন করা হয়েছে।
 উপজেলা অডিটোরিয়ামে এ উপলক্ষে মৎস্য বিভাগের উদ্যোগে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন পীরগঞ্জ পৌরসভার মেয়র তাজিমুল ইসলাম শামীম। সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কমল কুমার ঘোষ।
অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন -রংপুর জেলা আ.লীগের উপদেষ্টা নুরুল আমীন রাজা, পৌর আ. লীগের সভাপতি অধ্যক্ষ খলিলুর রহমান, সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা ফেরদৌস আলী ও মৎস্যচাষী লিটন। এর আগে এক বর্ণঢ্য র‌্যালি উপজেলা সদরের প্রধান সড়ক সমুহ প্রদক্ষিণ শেষে উপজেলা পরিষদের পুকুরে পেনা অবমুক্ত করা হয়।

দিনাজপুরে জিপিএ- ৫ মেয়েদের তুলানায় ছেলেরা এগিয়ে

admin July 20, 2018
রংপুর বিভাগের দিনাজপুর মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এইচএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ এর ক্ষেত্রে মেয়েদের তুলনায় ছেলেরা এগিয়ে রয়েছে। তবে ছেলেদের তুলনায় মেয়েরা পাসের হারে বেড়েছে। এই বোর্ডে এবার পাসের হার ৬০ দশমিক২১ শতাংশ।  গত বছর এই বোর্ডে পাশের হার ছিল ৬৫ দশমিক ৪৪ শতাংশ।  গত বছরের চেয়ে পাশের হার কমেছে ৫ শতাংশের ওপর। ছাত্রীর পাসের হার ৬৪ দশমিক ৫১ এবং  ছাত্রের পাসের হার ৫৬ দশমিক ২২ শতাংশ।  ১২টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কেউই পাশ করেনি। 
 দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডেও চেয়ারম্যান প্রভেসর আবু বকর সিদ্দিকী সাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তি  সূত্রে জানাগেছে, এবার ১ লাখ ১৯  হাজার ৫০৭ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছে। এর মধ্যে জিপিএ-৫ পাওয়া মোট ২ হাজার ২৯৭ জনের মধ্যে ছাত্রের সংখ্যা ১ হাজার ৩৪৪ এবং ছাত্রীর সংখ্যা ৯৫৩ জন। মোট পরীক্ষার্থীর মধ্যে ৭১ হাজার ৯৫১ জন পরীক্ষার্থী পাশ করেছে। 
বহিস্কৃত হয়েছে ৬২ জন শিক্ষার্থী। শতভাগ পাশ করেছে ১৪ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী।  ৬৫৩ কলেজের শিক্ষার্থীরা মোট ১৯৬ টি কেন্দ্রে পরিক্ষায় অংশগ্রহণ করে।  
এদিকে দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডে রংপুরের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো ভাল করেছে। এরমধ্যে রংপুর ক্যাডেট কলেজ থেকে ৪৫ জন পরীক্ষা দিয়ে  সবাই পাশ করেছে। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩৮ জনই। ক্যান্ট পাবলিক স্কুল ও কলেজ থেকে ৯৪৩ জন পরীক্ষা দিয়ে পাশ করেছে ৯৩৬জন। এর মধ্যে  জন জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩৬৭ জন্। মিলিনিয়াম স্টার্রস স্কুল এণ্ড কলেজে ৮৪ জন পরীক্ষা দিয়ে সবাই পাশ করেছে। এর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৫১ জন। লায়ন্স স্কুল এণ্ড কলেজে ৪০২ জন পরীক্ষা দিয়ে সবাই পাশ করেছে। এর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েঝে ১০২ জন।

ব্যাকডেটেট বেরোবির ওয়েবসাইট, নেই পর্যাপ্ত তথ্য

admin July 20, 2018
বর্তমান যুগ তথ্য প্রযুক্তির যুগ। গোটা বিশ্বের সকল তথ্য এখন হাতের মুঠোয় পাওয়া যায়। কিন্তু সেক্ষেত্রে ব্যতিক্রম বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় (বেরোবি)। বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে নেই পর্যাপ্ত তথ্য, আর যে তথ্য রয়েছে সেগুলোর নেই কোন আপডেট। বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন শিক্ষক নিয়োগ ও পদোন্নতি হলেও সে সম্পর্কে কোন তথ্য হালনাগাদ করা হয়নি। সাইটটিতে প্রবেশ করলে যে তথ্য গুলো দেখা যায়, সেগুলো অনেক আগের হালনাগাদ করা। দীর্ঘ দশ বছরেও ওয়েব সাইটটির পূর্ণাঙ্গ রূপ দিতে পারেনি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
ওয়েবসাইটটিতে প্রবেশ করলে দেখা যায়, হোম পেজে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচিতিসহ বেশ কয়েকটি ক্যাটেগরি রয়েছে। তার মধ্যে ‘কন্টাক্ট আস’-এ সাব-ক্যাটেগরি হোম, এ্যাবাউট আস, এডমিনিস্ট্রেশন, ডিপার্টমেন্ট, সেন্ট্রাল লাইব্রেরী এণ্ড ইনফরমেশন সেন্টার (সিএলআইসি) এবং সাইবার সেন্টার রয়েছে। ‘ডিপার্টমেন্ট’ ক্যাটেগরিতে প্রবেশ করলে দেখা যায়, বেশির ভাগ বিভাগের নতুন শিক্ষক নিয়োগ, পদোন্নতি এবং বিভাগীয় প্রধান পরিবর্তন হলেও আপডেট কোন তথ্য নেই। এমনকি কোন কোন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান হিসেবে একাধিক ব্যাক্তির নাম হালনাগাদ করা রয়েছে। 
বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের বর্তমান বিভাগীয় প্রধান উপাচার্য অধ্যাপক ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ হলেও ওয়েবসাইটে অর্থনীতি বিভাগরে শিক্ষক অধ্যাপক ড. মোরশেদ হোসেনের নাম হালনাগাদ করা রয়েছে। গণিত বিভাগ এবং লোক-প্রশাসন বিভাগসহ বেশ কয়েকটি বিভাগের হালনাগাদ করা হয়নি নতুন বিভাগীয় প্রধানের নাম। এ ছাড়া সমাজ বিজ্ঞান বিভাগ ও গণিত বিভাগের সবশের্ষ আপডেট করা হয় ২০১৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে। এরপর বিভাগ দুটির কোন তথ্যই হালনাগাত করেনি কর্তৃপক্ষ। ফাইন্যান্স এণ্ড ব্যাংকিং বিভাগ, দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগ, অর্থনীতি বিভাগ এবং এ্যাকাউন্টিং এণ্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস্ বিভাগসহ ওয়েব সাইটটির বিভিন্ন অপশনে ক্লিক করলে প্রক্রিয়াধীন হয়ে পূনরায় হোম পেজে ফিরে আসে।
২০১৭ সালের ২৫শে জুলাই বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ইব্রাহীম কবীর সাক্ষরিত এক অফিস আদেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটটি পরিচালনার জন্য কম্পিউটার সায়েন্স এণ্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষক সহকারী অধ্যাপক মুহাঃ শামসুজ্জামানকে আহ্বায়ক এবং উপাচার্যের পিএস আমিনুর রহমানকে সদস্য সচিব করে সাত সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়। কাগজে-কলমে কমিটি থাকলেও দীর্ঘ এক বছরেও বাস্তবে কোন কর্মকাণ্ড দেখা যায়নি এই কমিটির। 
বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটটির এরকম ব্যাকডেট থাকার ব্যাপারে জানতে চাইলে ওয়েবসাইট পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক ও  সাইবার সেন্টারের পরিচালক মুহাঃ শামসুজ্জামানের মুঠোফোনে বার বার ফোন করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। 
বিশ্বকাপ ফুটবল-১৮: ৪-২ গোলে শিরোপা জিতলো ফ্রান্স

বিশ্বকাপ ফুটবল-১৮: ৪-২ গোলে শিরোপা জিতলো ফ্রান্স

admin July 15, 2018

৪-১ গোলে রাশিয়া বিশ্বকাপ ফুটবল-১৮'র শিরোপা জিতলো ফ্রান্স। লুঝনিকি স্টেডিয়ামে রাত ৯ টায় শুরু হয় আজকের খেলা। খেলার শুরুর ১৮ মিনিটে ক্রোয়েশিয়াকে প্রথম গোল দেয় ফ্রান্স। এর ১০ মিনিট পর ক্রোয়েশিয়া দলের ইভান পেরিসিচের গোলে সমতায় ফেরে ফ্রান্স-ক্রোয়েশিয়া। দশ মিনিট পরে আবারও এগিয়ে যায় ফ্রান্স। পেনাল্টি পেয়ে আবারও এক গোল করেন অঁতোয়ান গ্রিজমান।


দ্বিতীয়ার্ধের ৫৯ তম মিনিটে আবারও ক্রোয়েশিয়াকে গোল দেয় ফরাসিরা। এবারে গোল দেন পল পগবাক। এর ছয় মিনিটের মাথায় এমবাপ প্রায় ২২ গজ দূর থেকে নিচু শটে গোল করেন টুর্নামেন্টের চতুর্থ গোল। বড় ব্যবধানে পরে যায় ফ্রান্স-ক্রোয়েশিয়া।


এর চার মিনিট পর গোলরক্ষকের ভুলে ফরাসিদের গোল দেয় ক্রোয়েটরা। গোলরক্ষক ব্যাকপাসে বল পাওয়ার পরও অযথা এগিয়ে আসা মানজুকিচকে কাটাতে চান। তা না পারায় মানজুকিচের বুটের টোকায় বল চলে যায় জালে। ফলে, কমে যায় ফরাসি-ক্রোয়েটদের গোল ব্যবধান।


এবারের বিশ্বকাপসহ ফ্রান্স ইতিহাসে ২য় শিরোপা জিতলো। ১৯৯৮ সালে প্রথম বিশ্বকাপ শিরোপা জয় করে দলটি। এ ছাড়া ২০০৬ সালেও ফাইনালে গেলেও ইতালির কাছে হার মানে।


World Cup Football 2018 (2)
সুন্দরগঞ্জে মাদক সেবনকালে পুলিশ-শিক্ষকসহ গ্রেপ্তার সাত

সুন্দরগঞ্জে মাদক সেবনকালে পুলিশ-শিক্ষকসহ গ্রেপ্তার সাত

admin July 15, 2018

সুন্দরগঞ্জ, গাইবান্ধা: গাইাবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় মাদক সেবনকালে পুলিশ কনস্টেবল, হাইস্কুল ও প্রাইমারি শিক্ষকসহ ৭ জনকে গ্রেপ্তার করেছেন থানা পুলিশ।


জানা গেছে, রোববার ভোররাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলার রামজীবন ইউনিয়নের ভবানীপুর গ্রামের ছাগলকাটি মৎস্য খামার এলাকায় অভিযান চালিয়ে মাদক সেবনকালে পুলিশ কনস্টেবল, হাইস্কুল ও প্রাইমারি শিক্ষকসহ ৭ জনকে গ্রেপ্তার করেন।


গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- লালমনিরহাট জেলার আদিতমারী থানায় কর্মরত পুলিশ কনস্টেবল ও ভবানীপুর গ্রামের আশেক আলী বিএসসির ছেলে সুমন মিয়া, একই গ্রামের আবদুল কাদেরের ছেলে এনামুল হক রিজু, সুর্বণদহ গ্রামের আমির উদ্দিনের ছেলে আনিছুর রহমান, মোসলেম আলীর ছেলে আবদুর রহিম, ঘগোয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক ও পৌর সভার মুক্তিযোদ্ধা গাওছল রহমানের ছেলে বেলাল উদ্দিন, হাইস্কুল শিক্ষক ও ভবানীপুর গ্রামের গোলাম মোস্তফার ছেলে মশিউর রহমান ও ভবানীপুর গ্রামের আকবার আলীর ছেলে আবদুল হান্নান।


অভিযানে নেতৃত্বদানকারী সুন্দরগঞ্জ থানা কর্মকর্তা ইনচার্জ এসএম আবদুস সোবহান জানান, গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। মাদক সেবী পুলিশ কনস্টেবল ও শিক্ষকদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়ার প্রক্রিয়াও চলছে বলেও জানান তিনি।

পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ গ্রেফতার

admin July 14, 2018



অযোগ্য ঘোষিত পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও ‘পাকিস্তান মুসলিম লিগের’ (পিএমএল-এন) নেতা নওয়াজ শরিফকে লাহোরের আল্লামা ইকবাল বিমানবন্দর থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে।  ‘ন্যাশনাল অ্যাকাউন্টিবিলিটি ব্যুরোর’ কর্মকর্তারা নওয়াজ শরিফের পাশাপাশি তার মেয়ে মারিয়মকেও গ্রেফতার করেছেন বলে জানিয়েছে পাকিস্তানভিত্তিক সংবাদমাধ্যম দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউন। ওই সময় দেশটির ‘ফেডারেল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি’ তাদের পাসপোর্ট জব্দ করে। বর্তমানে তাদের দুজনকেই ইসলামাবাদ নিয়ে যাওয়া হয়েছে। 

দুর্নীতির অভিযোগে নওয়াজ, তার মেয়ে মারিয়ম ও মেয়ে-জামাই ক্যাপ্টেন সফদরের  বিরুদ্ধে পাকিস্তানের আদালত রায় দিয়েছে। নওয়াজকে দেওয়া হয়েছে ১০ বছরে কারাদণ্ড। সেইসাথে বাবার ঘোষিত আয় বহির্ভূত সম্পদ গোপনে সহায়তা ও দুর্নীতির তদন্তে অসহযোগিতার অভিযোগে তার মেয়ে মারিয়মের হয়েছে ৭ বছরের কারাদণ্ড। আদালতের রায়ে বলা হয়েছে, মারিয়ম ট্রাস্টের যে কাগজপত্র দেখিয়েছিলেন তাও ভুয়া। ফলে তার সাজা আরও ১ বছর বেড়েছে। তবে তার দুই কারাদণ্ড একই সঙ্গে কার্যকর করা হবে।

নিরাপত্তা বিষয়ক ব্যবস্থায় সমস্যা দেখা দেওয়ার আশঙ্কায় পাকিস্তান সরকার নওয়াজ শরিফকে বহনকারী বিমানটিকে সরাসরি ইসলামাবাদে পাঠিয়ে দিতে চাইলেও শেষ পর্যন্ত বিমানটি লাহোরেই অবতরণ করানো হয়েছে। 

উল্লেখ্য, নওয়াজকে গ্রেফতার করার ঘটনায় লাহোরে প্রবল বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। লাহোরে নওয়াজের সমর্থকদের নিয়ন্ত্রণে রাখতে সতর্ক অবস্থান নিয়েছে নিরাপত্তাবাহিনী।


অযোগ্য ঘোষিত পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও ‘পাকিস্তান মুসলিম লিগের’ (পিএমএল-এন) নেতা নওয়াজ শরিফকে লাহোরের আল্লামা ইকবাল বিমানবন্দর থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে।  ‘ন্যাশনাল অ্যাকাউন্টিবিলিটি ব্যুরোর’ কর্মকর্তারা নওয়াজ শরিফের পাশাপাশি তার মেয়ে মারিয়মকেও গ্রেফতার করেছেন বলে জানিয়েছে পাকিস্তানভিত্তিক সংবাদমাধ্যম দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউন। ওই সময় দেশটির ‘ফেডারেল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি’ তাদের পাসপোর্ট জব্দ করে। বর্তমানে তাদের দুজনকেই ইসলামাবাদ নিয়ে যাওয়া হয়েছে। 

দুর্নীতির অভিযোগে নওয়াজ, তার মেয়ে মারিয়ম ও মেয়ে-জামাই ক্যাপ্টেন সফদরের  বিরুদ্ধে পাকিস্তানের আদালত রায় দিয়েছে। নওয়াজকে দেওয়া হয়েছে ১০ বছরে কারাদণ্ড। সেইসাথে বাবার ঘোষিত আয় বহির্ভূত সম্পদ গোপনে সহায়তা ও দুর্নীতির তদন্তে অসহযোগিতার অভিযোগে তার মেয়ে মারিয়মের হয়েছে ৭ বছরের কারাদণ্ড। আদালতের রায়ে বলা হয়েছে, মারিয়ম ট্রাস্টের যে কাগজপত্র দেখিয়েছিলেন তাও ভুয়া। ফলে তার সাজা আরও ১ বছর বেড়েছে। তবে তার দুই কারাদণ্ড একই সঙ্গে কার্যকর করা হবে।

নিরাপত্তা বিষয়ক ব্যবস্থায় সমস্যা দেখা দেওয়ার আশঙ্কায় পাকিস্তান সরকার নওয়াজ শরিফকে বহনকারী বিমানটিকে সরাসরি ইসলামাবাদে পাঠিয়ে দিতে চাইলেও শেষ পর্যন্ত বিমানটি লাহোরেই অবতরণ করানো হয়েছে। 

উল্লেখ্য, নওয়াজকে গ্রেফতার করার ঘটনায় লাহোরে প্রবল বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। লাহোরে নওয়াজের সমর্থকদের নিয়ন্ত্রণে রাখতে সতর্ক অবস্থান নিয়েছে নিরাপত্তাবাহিনী।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ ও তার মেয়ে গ্রেপ্তার, বিক্ষোভে উত্তাল লাহোর

সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ ও তার মেয়ে গ্রেপ্তার, বিক্ষোভে উত্তাল লাহোর

admin July 14, 2018

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
লন্ডনে চিকিৎসাধীন স্ত্রীকে দেখতে গিয়েছিলেন পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ। সেখান থেকে ফেরার পরপরই আজ শুক্রবার স্থানীয় সময় ৯ টার দিকে তার মেয়েসহ বিমানবন্দরে গ্রেপ্তার হয়েছেন তিনি। তারা উভয়ই পাকিস্তানের আদালতে দুর্নীতির দায়ে দণ্ডিত। এদিকে তাদের গ্রেপ্তারের পর লাহোরে প্রবল বিক্ষোভ দেখা দিয়েছে বলে জানিয়েছে পাকিস্তানের সংবাদ মাধ্যম দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউন। নওয়াজ শরিফের সমর্থকরা তাকে স্বাগত জানাতে লাহোরের আল্লামা ইকবাল বিমানবন্দরে গিয়ে বিক্ষোভ করলে বিপুল পরিমাণ নেতা-কর্মীকেও গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানিয়েছে সংবাদ মাধ্যমটি।


এমন এক সময় নওয়াজ শরিফকে গ্রেপ্তার করা হলো যখন পুরো পাকিস্তানে চলছে জাতীয় নির্বাচনের আমেজ। আগামী ২৫ জুলাই দেশটিতে অনুষ্ঠিত হবে জাতীয় নির্বাচন। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে গত কিছুদিন থেকেই পাকিস্তানে সহিংসতা শুরু হয়েছে। আজ শুক্রবারও নওয়াজ শরিফ পাকিস্তানে ফিরে যাওয়ার কয়েক ঘন্টা আগে একটি নির্বাচনী প্রচারণার সময় আত্মঘাতী হামলায় কমপক্ষে পঁচাশি জন নিহত হয়। এর আগে শুক্রবারই উত্তরাঞ্চলীয় বান্নু শহরে নিহত হয় ৪ জন। মূলত নওয়াজ শরিফের দণ্ড ঘোষণার পরই পাকিস্তানে এসব নির্বাচনী সহিংসতা শুরু হয়েছে।


লাহোরে অবতরণের পূর্বে সংযুক্ত আরব আমিরাতের আবুধাবি বিমানবন্দরে যাত্রাবিরতির সময় নওয়াজ শরিফ বিবিসিকে বলেছিলেন, আগামী জাতীয় নির্বাচন গ্রহণযোগ্য নয়। কেননা বর্তমান সরকার বিরোধীদের উপর নির্যাতন চালাচ্ছে। তবে তিনি যেকোন পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত আছেন বলে জানান তিনবারের এ প্রধানমন্ত্রী। অবশ্য আদালত নওয়াজ শরিফকে আজীবনের জন্য রাজনীতিতে অযোগ্য ঘোষণা করে। ফলে তিনি সরাসরি নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন না।


পাকিস্তানের অ্যাকাউন্টিবিলিটি কোর্ট গত ৬ জুলাই শুক্রবার দুর্নীতির দায়ে পাকিস্তানের আদালত নওয়াজ শরিফকে ১০ বছর, তার মেয়ে মরিয়মকে ৭ বছরের এবং মেয়ে জামাই ক্যাপ্টেন সফদরকে ১ বছরের দণ্ড দেয়। নওয়াজ শরিফ ঘোষিত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও তার মেয়ের বিরুদ্ধে ওই সম্পদ গোপনে সহায়তার অভিযোগ আনা হয় আদালতে। কারাদণ্ড ছাড়াও নওয়াজকে ৮০ লাখ পাউন্ড ও মরিয়মকে ২০ লাখ পাউন্ড জরিমানা করা করে আদালত।

ছবি ভাইরাল হওয়া ফরিদার পরিবারের দায়িত্ব নিলেন কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক

admin July 13, 2018
রাজধানীর কলাবাগানের ওভারব্রিজের নিচে জ্বরে আক্রান্ত হয়ে পড়েছিলেন ফরিদা নামের এক নারী। তার দুই শিশুপুত্র মাকে বাঁচাতে বোতল দিয়ে মাথায় পানি দিচ্ছিল। এই দৃশ্যটির কয়েকটি ছবি পারভেজ নামের এক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ফেসবুকে পোস্ট করলে মুহূর্তেই ভাইরাল হয়ে যায়। পরে পারভেজ তার কয়েকজন বন্ধুসহ ফরিদাকে হাসপাতালে নিয়ে যান।  ফরিদার বাড়ি কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলার ইসলামপুর গ্রামে। তিনি রাজধানীর কলাবাগান ওভারব্রিজের নিচে একটি খুপড়ি ঘরে থাকেন। 

১০ জুলাই, মঙ্গলবার একটি সভায় অংশ নিতে ঢাকায় এসেছিলেন কুড়িগ্রামের জেলা প্রশাসক (ডিসি) সুলতানা পারভীন। ফরিদার বিষয়টি তার নজরে এলে বুধবার (১১ জুলাই) সকালে কলাবাগান ওভারব্রিজের নিচে ফরিদা ও তার সন্তানদের দেখতে যান সুলতানা পারভীন। পরে ফরিদা ও তার পরিবারের দায়িত্ব নেওয়ারও আশ্বাস দেন তিনি।

এ বিষয়ে সুলতানা জানান, ফরিদা ও তার পরিবার কোনো আশ্রয় পেলে তাদের গ্রামে ফিরে যেতে চান। উলিপুরের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) মাধ্যমে তিনি খোঁজখবর নিয়ে জেনেছেন, ফরিদার যে গ্রাম ছিল, সেখানে খাস জমি আছে। সেখানেই তাদের বাড়ি করে দেওয়া হবে। কুড়িগ্রামের ডিসি বলেন, ‘তারা আগে যে গ্রামে ছিলেন, সেখানে এখন তাদের কিছু নাই। ঢাকা থেকে উলিপুর যাওয়ার পর তো তাদের থাকতে হবে। সে জন্য সেখানকার ইউএনওকে তাদের থাকার ব্যবস্থা করতে বলেছি। সে ক্ষেত্রে হয়তো সরকারি কোনো বাড়িতে আপাতত তাদের থাকতে দেওয়া হবে।

সুলতানা পারভীন বলেন, ‘বর্তমান সরকার সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিচ্ছে যে, কেউ গৃহহীন থাকবে না। সেই মানবিকতা তো আমাদেরও থাকতে হবে। তাদের তো খুব বেশি কিছু চাওয়ার নেই। মানবিকতার জায়গা থেকে তাদেরকে একটা বাড়ি করে দেবো। সঙ্গে চলার একটু ব্যবস্থা করে দেবো। বাড়ি তৈরির কাজ শেষ হলে তারা তাদের ঘরে উঠবেন। তারা বলছেন, গরু হলে তারা পালতে পারবেন। সে জন্য ওদেরকে গরু কিনে দেবো। ওর স্বামী নাকি একটু অসুস্থ। যদি তার স্বামী দোকান করতে পারে, তাহলে তাকে একটা দোকান দিয়ে দেবো।’

‘মানবিকতার জায়গা থেকে তাদেরকে একটা বাড়ি করে দেবো। সঙ্গে চলার একটু ব্যবস্থা করে দেবো। বাড়ি তৈরির কাজ শেষ হলে তারা তাদের ঘরে উঠবেন। তারা বলছেন, গরু হলে তারা পালতে পারবেন। সে জন্য ওদেরকে গরু কিনে দেবো। ওর স্বামী নাকি একটু অসুস্থ। যদি তার স্বামী দোকান করতে পারে, তাহলে তাকে একটা দোকান দিয়ে দেবো।’

ফরিদার তিন ছেলে-মেয়েই খুব অল্প বয়সী। এর মধ্যে মেয়েটি আবার শারীরিক প্রতিবন্ধী। মেয়েটিকে প্রতিবন্ধী কার্ড করে দেওয়া হবে। ফরিদার অন্য দুই শিশু সন্তানও যাতে স্কুলে যায়, সেই ব্যবস্থাও করা হবে বলে জানান এই জেলা প্রশাসক। ঘটনাটি শোনার পর থেকে ফরিদার পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছিলেন ঢাকার কুড়িগ্রাম সমিতির মহাসচিব সাইদুল আবেদীন ডলার। রাজধানীর কলাবাগানে ডিসির সঙ্গে ফরিদা ও তার পরিবারকে দেখতে যান তিনিও।

সাইদুল জানান, বৃহস্পতিবার (১২ জুলাই) রাতে ফরিদা ও তার পরিবার বাসে করে কুড়িগ্রামের উদ্দেশে রওনা হয়েছে। বাড়ি পৌঁছানোর দায়িত্বে আছে ঢাকার কুড়িগ্রাম সমিতি। সাইদুল আবেদীন বলেন, ‘ফরিদা ও তার পরিবারকে সাহায্য করার জন্য দেশের বাইরে থেকে কয়েকজন এখন পর্যন্ত প্রায় ৩০ থেকে ৩৫ হাজার টাকা পাঠিয়েছেন। এই টাকাও ফরিদার পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হবে।’
‘মফিজ’ নামের ইতিবৃত্ত: গরিবদের উপকারী বন্ধু থেকে এ নামের উৎপত্তি!

‘মফিজ’ নামের ইতিবৃত্ত: গরিবদের উপকারী বন্ধু থেকে এ নামের উৎপত্তি!

admin July 12, 2018

দীর্ঘ অনেকদিন যাবৎ রংপুর তথা উত্তরাঞ্চলের লোকদেরকে রাজধানীতে অনেকে ব্যাঙ্গ করে ‘মফিজ’ নামে ডকেন। কতদিন যাবৎ তা জানা নেই কারও। তবে কেউ কেউ মনে করেন আশি বা নব্বই দশকের কোন একসময় থেকে এ প্রচলন শুরু হয়েছে। বর্তমানে এই শব্দটা সারাদেশে বিশেষ করে ঢাকা বা গাজীপুরে বেশি প্রচলিত। এখন শুধু উত্তরবঙ্গের লোকজনকেও নয়, ইদানীং সহজ-সরল বা কম চালাক মানুষদেরকেও মফিজ বলে আখ্যা দেওয়া হয়। এটা বেশ প্রচলিত হয়েছে বা হচ্ছে, বলা হয় ‘মফিজ কোথাকার?’ মফিজ, ‘তুইতো দেখি রংপুরের মফিজ’, ‘তুইকি রংপুরের মফিজ নাকি’ ইত্যাদি।


মফিজ কেন বলা হয় ? -এটা নিয়ে আমরা কেউ তেমন কিছু জানিনা বা অনেকেই জানেন। অনেক সময় জানতে ইচ্ছে করে যে কেন মফিজ বলা হয় উত্তরবঙ্গের মানুষদের। রংপুরের বা উত্তরাঞ্চলের মানুষকে মফিজ বলা নিয়ে অনেক রকমের গল্প প্রচলিত আছে। যেগুলোর সত্যতা যাচাই করা যায় নি যে, মফিজ নামে কাউকে কেন্দ্র করেই এই নামকরণ নাকি কম চালাক মানুষদের ঠাট্টা করার জন্য এটি নিছকই একটি প্রচলন মাত্র।



গাইবান্ধা জেলার একজন মফিজ কে কেন্দ্র করে। যেখানে গরিব-দিনমজুর শ্রেণির উপকারী বন্ধু মফিজ।

মফিজ উপাখ্যান নিয়ে যে গল্পগুলো প্রচলিত তার মধ্যে একটি গাইবান্ধা জেলার একজন মফিজ কে কেন্দ্র করে। যেখানে গরিব-দিনমজুর শ্রেণির উপকারী বন্ধু মফিজ। বলা হয়, গাইবান্ধার কোন এক গ্রামের সহজ-সরল, সৎ একজন ড্রাইভার ছিলেন। তার নাম ছিল মফিজ। আমরা তাকে মফিজ সাহেব হিসেবে উল্লেখ করবো। মফিজ সাহেব তার জমানো টাকা দিয়ে একবার ঢাকা-গাইবান্ধা রুটে একটি বাস চালু করেন। মানবদরদী মফিজ সাহেব নূন্যতম ভাড়ায় দিনমজুর লোকেদের ঢাকায় নিয়ে যেতেন। কালক্রমে একসময় মফিজ সাহেব নিজের আর গাড়ি চালাতেন না। তিনি তখন অন্য ড্রাইভার দিয়ে গাড়ি যাতায়াতের ব্যবস্থা রাখলেন। এদিকে দিনমজুর গরিব লোকজন ভাড়া সাশ্রয়ের জন্য মফিজ সাহেবের বাড়িতে যায় স্বল্প ভাড়ায় তাদের ঢাকায় যাতায়াতের ব্যবস্থা করতে।


ফলে মফিজ সাহেব তাদের স্বল্প ভাড়ায় যাতায়াতের জন্য দিনমজুর শ্রেণিটিকে তার নিজের নামের স্বাক্ষর (অর্থাৎ ‘মফিজ’) করে কাগজ দিতেন। যা সুপারভাইজারকে দেখিয়ে নামমাত্র ভাড়ায় মফিজ সাহেবের বাসের ছাদে যাতায়াত করতেন তারা। আর বাস যাতায়াতের পূর্বে বাসের সুপারভাইজার ছাদে যাতায়াতের কয়জনকে বুঝাতে মফিজের কয়জন? আছে তাদেরকে ডাক দিতেন। সময়ক্রমে সুপারভাইজার ডাক দিতেন কতজন মফিজ আছে। এভাবেই পরবর্তীতে বাসের ছাদে যাতায়াতকারী লোকেদেরকে মফিজ নামে ডাকা হয়। যা পরবর্তীতের রংপুর বা কুড়িগ্রাম সহ উত্তরাঞ্চল থেকে বাসের ছাদে যাতায়াতকারীদেরকে বলা হতো। পরবর্তীতের উত্তরাঞ্চলের সহজ-সরল বা কম চালাক মানুষদেরকেও মফিজ বলা শুরু হলো। এর পরবর্তীতে যা ঘটলো তা হলো, একশ্রেণির লোক উত্তরাঞ্চলের মানুষ বলতেই মফিজ বলা শুরু করলো। যা এখনও প্রচলিত।



আরও পড়ুন: অনেক বদলেছে উত্তরবঙ্গ


আরও একটি ঘটনা আছে। যেখানেও মফিজ উদ্দিন নামে একজনকে পাওয়া যায়। যার ভূমিকাও অসহায়, গরিব-দু:খী মানুষের বন্ধুরুপে। এটা জ্ঞাতব্য যে, উত্তরাঞ্চল বিশেষ করে কুড়িগ্রাম জেলা বেশ বন্যা প্রবণ এলাকা। প্রচলিত গল্প অনুযায়ী ঘটনাটি আশির দশকের কোন বন্যা পরবর্তী। সেটা অষ্ট আশির বন্যা কিনা তা জানা যায় নি, হয়তোবা নয়। সেসময় কুড়িগ্রামের প্রায় সব উপজেলায় খুব বড় আকারের বন্যা হয়। বন্যায় ওইসব বন্যা কবলিত এলাকার মানুষ বাড়ি-ঘর, জমিসহ সবকিছু হাড়িয়ে অত্যান্ত কষ্টে দিন যাপন করছিল। একসময় ওইসব মানুষ অভাবের তারণায় জীবিকার তাগিতে কাজের সন্ধানে ঢাকায় পাড়ি জমায়। ওইসময় ঢাকায় যাওয়ার জন্য তারা প্রথমে রংপুরের মডার্ণ বাসস্ট্যান্ড এ আসে ঢাকায় যাওয়ার বাস ধরতে।


ওইসময় বাস কম ছিল। বলা হয় যে, যানবাহন কম হলেও দালাল (চেনমাস্টার) ছিল অনেক। দালালদের মধ্যে একজনের নাম ছিল মফিজ উদ্দিন। যিনি ওই মানুষদের অনুরোধে অর্ধেক ভাড়ায় বাসের ছাদে করে কুড়িগ্রামের যাতায়াতের ব্যবস্থা করতেন। আর এভাবেই বাসের ছাদে ঢাকায় যাওয়ার সুযোগ এ অঞ্চলের অনেক মানুষ নিতে লাগলেন। সময়ক্রমে বাসের সাথে সংশ্লিষ্ট সুপাভাইবার বা হেলপাররা বাসের ছাদে যাতায়াতকারী বোঝাতে মফিজের কতজন? (মফিজ উদ্দিনের দেওয়া যাত্রী কতজন), পরবর্তীতে কতজন মফিজ আছে? ইত্যাদি বাক্যের প্রচলন শুরু করেন। ফলে বাসের ছাদে যাতায়াতাকারীরা ‘মফিজ’ আখ্যা পেয়ে যান। আর পরবর্তীতে গোটা উত্তরাঞ্চলের মানুষদেরকেই মফিজ বলে আখ্যা দেওয়া হয়। যা এখনও প্রচলিত।


উপরের ঘটনা ছাড়াও অনলাইনে ঘেটে এক ব্লগারের পোস্টে অন্য একটি তথ্য পাওয়া গেল। মফিজ শব্দটি নাকি মপীজ এর বিকৃতরুপ। মপীজ অর্থ বলা হয়েছে মঙ্গা পীড়িত জনগন। উত্তরাঞ্চল একসময় খুবই মঙ্গা পীড়িত অঞ্চল ছিল। সেসময় উত্তরবঙ্গের লোকেদের জন্য ওই ক্যাটাগরিতে সাহায্য বরাদ্দ থাকতো। তারই বিকৃতরুপ মফিজ। যদিও বর্তমানে উত্তরবঙ্গের লোকদের অনেক উন্নতি হয়েছে তবুও সেই আগের নামটি রয়েই গেছে।


উপরের কোন ঘটনারই বাস্তবে কোন ভিত্তি আছে কিনা বা সঠিক কিনা তা যাচাই করা সম্ভব হয় নি। মফিজ সাহেব বা মফিজ উদ্দিন নামের কাররই বর্তমানে উপস্থিতি নেই। তারা এখনও জীবিত নাকি মৃত, তাও নিশ্চিত হওয়া সম্ভব নয়। কেননা যারা এসব ঘটনা বলছেন, তারা নির্দিষ্ট সময় বা কোন এলাকার/কে তা উল্লেখ করছেন না। আবার মফিজ উপাখ্যানের জন্য প্রাসঙ্গিক দুই স্থানে প্রায় একই ঘটনাও ভাববার বিষয়! তবে এমনও হতে পারে দুই ঘটনাই সত্য দুটি ভিন্ন ভিন্ন প্রেক্ষাপটে! আসলেই ‘মফিজ’ নামকরণের সঠিক ইতিহাস কি?

ইনস্টাগ্রামে নাচের ভিডিও ছেড়ে বিপাকে ইরানি মেয়ে

ইনস্টাগ্রামে নাচের ভিডিও ছেড়ে বিপাকে ইরানি মেয়ে

admin July 11, 2018

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: অনলাইনে নৃত্যের ভিডিও আপলোড দিয়ে বিপাকে পড়েছেন ১৯ বছর বয়সী এক এক ইরানী তরুনী। তাকে গ্রেফতার করেছে দেশটির পুলিশ। ওই তরুনীর নাম মায়েদেহ হোজাব্রি। ভিডিওতে দেখা যায় দেশটির সরকারি আইন অনুযায়ী তার মাথায় স্কার্ফ ছিল না।


ইরানে নারীদের অন্য পুরুষদের সামনে সাথে নাচার নিষেধাজ্ঞা আছে, তবে পরিবারের মধ্যে এটা করতে পারে ইরানের নারীরা। খবর বিবিসির। এর আগে গত কিছুদিনে ইরানে একই অভিযোগে কয়েকজনকে গ্রেফতার করেছে দেশটির পুলিশ।


এদিকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ইনস্টাগ্রাম ও টুইটারে মায়েদেহকে স্বাগত ও উৎসাহ দিচ্ছেন অনেকে। আর তার নাচের ভিডিওটিও শেয়ার দিয়েছেন তার ফলোয়াররা। কেউ হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করে লিখেছেন হ্যাশট্যাগ দিয়েছেন, #dancing_isn't_a_crime. (নাচ কোনো অপরাধ না)।


হোজাব্রির ইনস্টাগ্রামে তেপ্পান্ন হাজারের বেশি বন্ধু আছে। আর তিনি ইরানি এবং ওয়েস্টার্ন পপ মিউজিকের সাথে নাচতেন। এদিকে নাচের কারণে তাকে গ্রেফতার করায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলছে করা সমালোচনা। এক ব্লগার কমেন্টস করেছেন, আপনি যদি পৃথিবীর অন্য যে কোনো দেশে বলেন সতের-আঠারো বছর বয়সী একটি মেয়েকে তার নৃত্যের জন্য গ্রেফতার করা হয়েছে, তবে তারা হাসবে। এটা অবিশ্বাস্য মনে করবে।


এছাড়াও আরও নানাভাবে সমালোচিত হচ্ছে দেশটির প্রশাসন। অপরদিকে মায়েদেহ হোজাব্রিকে গ্রেফতারের পর তার প্রোফাইল ভাইরাল হয়ে যাওয়ায় তার ফলোয়ার দাড়িয়েছে প্রায় আশি হাজারের কাছাকাছি। আর তার ভিডিওটি গত দুই দিনে দেখা হয়েছে পাঁচ লাখেরও বেশি বার।

গাইবান্ধায় দুই বাসের সংঘর্ষে চালকসহ নিহত ২, আহত ৩০

admin July 09, 2018

গাইবান্ধায় দুই বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে চালকসহ দুইজন নিহত হয়েছেন; আহত হয়েছেন আরও ৩০ জন। গোবিন্দগঞ্জ হাইওয়ে থানার ওসি মো. আকতারুজ্জামান জানান, উপজেলার কালিতলা এলাকায় আজ সোমবার বেলা ১২টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। পুলিশ তাৎক্ষণিকভাবে হতাহতদের পরিচয় জানাতে পারেনি। আহতদের মধ্যে চার-পাঁচজনকে আশষ্কাজনক অবস্থায় বগুড়া শহিদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আর অন্যান্যের গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি করা হয়েছে। ওসি আকতারুজ্জামান বলেন, গাইবান্ধা থেকে ছেড়ে আসা রাজশাহীগামী সোমা পরিবহণের একটি বাসের সঙ্গে বগুড়া থেকে ছেড়ে আসা রংপুরগামী আগমনী এন্টারপ্রাইজের বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। ঘটনাস্থলেই আগমনীর চালকসহ দুইজন নিহত হন। আহত হন দুই বাসের অন্তত ৩০ যাত্রী। দুর্ঘটনার পর রংপুর-ঢাকা মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায় জানিয়ে গোবিন্দগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের উপ-পরিচালক মো. আমিরুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে পুলিশের সহায়তায় বাস দুটি সরিয়ে নিলে বেলা ১টার পর যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।

ডুয়েলগেজ রেললাইন নির্মাণের ব্যয় প্রস্তাবে লুটপাটের আশঙ্কা

admin July 09, 2018
রেলপথ মন্ত্রণালয় আখাউড়া থেকে সিলেট পর্যন্ত মিটারগেজ রেললাইনকে ডুয়েলগেজ করার উদ্যোগ নিয়েছে। তার জন্য ব্যয় ধরা হয়েছে ১৫ হাজার ৭০৫ কোটি টাকা। কিন্তু পরিকল্পনা কমিশন ওই ব্যয় প্রস্তাবকে অস্বাভাবিক বলে আপত্তি জানিয়েছে। জিটুজি পদ্ধতিতে চীন সরকার ওই প্রকল্পে ১০ হাজার ২৬৭ কোটি টাকা ঋণ দিচ্ছে। বাকি ৫ হাজার ৪৩৮ কোটি টাকা সরকারি তহবিল থেকে জোগান দেয়া হবে। অথচ ওই প্রকল্প ৫ হাজার কোটি টাকা দিয়েই বাস্তবায়ন সম্ভব। মূলত ওই প্রকল্পে অস্বাভাবিক ব্যয় দেখিয়ে টাকা লুটপাটের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। আর সেজন্যই দেশের অবকাঠামো উন্নয়ন ব্যয় অন্যান্য দেশের তুলনায় বেশি হচ্ছে। ঋণের টাকায় ওই প্রকল্প বাস্তবায়ন করে কোনো লাভ হবে না বলে পরিকল্পনা কমিশন সংশ্লিষ্টরা মনে করছে। পরিকল্পনা কমিশন সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়।
সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, আখাউড়া-সিলেট ডুয়েলগেজ লাইন হলে ট্রেন চলাচলের হার (ফ্রিকোয়েন্সি) বাড়বে না। তবে ওই রুটে ডাবল লাইন এবং ডুয়েলগেজ নির্মাণ করা হলে ওই প্রকল্প থেকে সুবিধা পাওয়া যাবে। তা নাহলে সরকারের ওই বিশাল বিনিয়োগে জনগণের তেমন কোনো সুবিধা হবে না। প্রকল্পে ব্যালাস্ট (পাথর), স্লিপার, রেলসহ অন্যান্য উপকরণের পরিমাণ ও ব্যয় চলমান সমজাতীয় অন্যান্য প্রকল্পের তুলনায় অনেক বেশি। সব মিলিয়ে প্রকল্পের প্রস্তাবিত ব্যয় সমজাতীয় ৪টি প্রকল্পের তুলনায় প্রায় ৭ গুণ বেশি। এতো ব্যয়ে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন আদৌ সমীচীন হবে না তা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। কারণ প্রস্তাবিত প্রকল্পে কিলোমিটারপ্রতি নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে ৫৬ কোটি ৭২ লাখ টাকা। অথচ আখাউড়া থেকে লাকসাম পর্যন্ত ডুয়েলগেজ ডাবল রেললাইন নির্মাণ এবং বিদ্যমান রেললাইনকে ডুয়েলগেজে রূপান্তরে চলমান প্রকল্পে কিলোমিটারপ্রতি ব্যয় হচ্ছে ২৪ কোটি ৮০ লাখ টাকা। কিলোমিটারপ্রতি ছয় কোটি ৮৩ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত হচ্ছে ঈশ্বরদী থেকে পাবনা ঢালারপর পর্যন্ত নতুন রেলপথ। তাছাড়া মধুখালী থেকে কামারখালী হয়ে মাগুরা পর্যন্ত ব্রডগেজ রেলপথ নির্মাণে কিলোমিটারপ্রতি ব্যয় ধরা হয়েছে ১৩ কোটি ৯৮ লাখ টাকা। ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ সেকশনে মিটারগেজ রেললাইনের সমান্তরাল আরেকটি ডুয়েলগেজ রেললাইন নির্মাণে ব্যয় মাত্র ৮ কোটি ৭৫ লাখ টাকা।
সূত্র জানায়, ব্রিটিশ আমলে আসাম বেঙ্গল রেলওয়ে আসাম ও বন্দরনগরী চট্টগ্রামের মধ্যে কৌশলগত যোগাযোগ স্থাপনের লক্ষ্যে ১৮৯৮ সালে প্রথম করিমগঞ্জ-শাহবাজপুর-কুলাউড়া-আখাউড়া-চট্টগ্রাম সেকশনে রেললাইন স্থাপিত হয়। শাহবাজপুর-কুলাউড়া-আখাউড়া সেকশনটি ট্রান্স এশিয়ান রেলওয়ের একটি সাব-রুট। মহীশ্মসান (ভারত) ও শাহবাজপুরের (বাংলাদেশ) মধ্যে সংযোগ স্থাপনের লক্ষ্যে ভারতীয় ক্রেডিট লাইনের (এলওসি) আওতায় সেকশনটি পুনর্বাসনের জন্য একটি প্রকল্প বাস্তবায়নাধীন রয়েছে। তাছাড়গা ঢাকা-চট্টগ্রাম করিডোরকে ডুয়েলগেজে রূপান্তরের কাজ চলমান রয়েছে। আখাউড়া-লাকসাম ডুয়েলগেজ ডাবল লাইন নির্মাণকাজও শুরু হয়েছে। ঢাকা-চট্টগ্রামে করিডোরের বাকি অংশ ডুয়েলগেজে রূপান্তরের লক্ষ্যে একটি সমীক্ষা প্রকল্প নেয়া হয়েছে। ভারতীয় অনুদানে আগরতলা ও আখাউড়ার মধ্যে ১০ কিলোমিটার রুটে আরেকটি ডুয়েলগেজ লিংক স্থাপনের প্রক্রিয়াও চলমান রয়েছে। ওসব কাজের সঙ্গে সমন্বয় রাখতে আখাউড়া-সিলেট সেকশনটি ডুয়েলগেজে রূপান্তরের লক্ষ্যেই সিলেট-আখাউড়া ডুয়েলগেজ রেললাইন প্রকল্পটির প্রস্তাব করা হয়েছে। বিগ০ত ২০১৫ সালে প্রকল্পটি বাস্তবায়নে চায়না রেলওয়ে ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং ব্যুরো গ্রæপ কোম্পানির সঙ্গে বাংলাদেশ রেলওয়ের একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়। তারপরই প্রকল্পের প্রাথমিক প্রকল্প প্রস্তাবনা (পিডিপিপি) তৈরি করা হয়। আর তা ২০১৬ সালে অনুমোদিত হয়। পরে বিশেষ অগ্রাধিকার প্রকল্প বিবেচনা করে প্রকল্পটি সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে বাস্তবায়নের জন্য অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভায় অনুমোদিত হয়। প্রকল্পটি মোট ১৫ হাজার ৭০৫ কোটি টাকা ব্যয়ে চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে ২০২৪ সালের জুন মেয়াদে বাস্তবায়নের কথা রয়েছে।
সূত্র আরো জানায়, পরিকল্পনা কমিশন সিলেট-আখাউড়া ডুয়েলগেজ রেললাইন প্রকল্পের ভৌত কাজের জন্য প্রতিযোগিতা ছাড়া এক ঠিকাদারের মাধ্যমে সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে আপত্তি জানিয়েছে। কমিশনের মতে, চীনের অন্যান্য দরদাতা পতিষ্ঠানের জন্যও দরপত্রে অংশগহণের সুযোগ রাখতে হবে। সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে চীনের একটি পতিষ্ঠানের মাধ্যমে ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক চার লেনে করার সিদ্ধান্ত ছিল। কিন্তু ওই পকল্পে অনেক বেশি ব্যয়ের প্রস্তাব করা হয়। ওই কারণে শেষ পর্যন্ত চীনের অর্থায়নে পকল্পটি বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত বাতিল করে অর্থ মন্ত্রণালয়।
এদিকে যোগাযোগ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাংলাদেশে জিটুজি পদ্ধতিটাই সমস্যা। ওই পদ্ধতি চীনের একক কোনো পতিষ্ঠান কাজ পায়। তারাই ব্যয় নিয়ন্ত্রণ করে। তার আগে বিমান ও সড়কের পকল্পেও ওই ধরনের সমস্যা হয়েছে। ব্যয় বেশি ধরায় চীনের অর্থায়নে ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক চার লেন উন্নয়ন প্রকল্প থেকে সরে আসতে বাধ্য হয়েছে সরকার। এমন বিষয়ে সরকারকে সতর্ক থাকতে হবে। একবার ওই ফাঁদে পড়লে বাংলাদেশের পক্ষে আর ওঠা সম্ভব হবে না।
অন্যদিকে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) সংশ্লিষ্টদের মতে, চীন সরকারের অর্থায়ন পকল্পে সে দেশের সরকার ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মনোনয়ন দিয়ে আসছে। মনোনয়ন পাওয়া পতিষ্ঠানই পকল্প ব্যয় ও নকশা তৈরিতে ভূমিকা রাখে। ফলে তারা তাদের মতো করে ব্যয় নির্ধারণ করার সুযোগ পায়। কিন্তু একক প্রতিষ্ঠানের পরিবর্তে দরপত্রের মাধ্যমে একাধিক দরদাতা পতিষ্ঠান থেকে প্রতিযোগিতার মাধ্যমে যোগ্য পতিষ্ঠানকে বাছাই করার সুযোগ চেয়ে চীন সরকারের কাছে আবেদন করেছে ইআরডি। ওই বিষয়ে চীন বাংলাদেশকে আশ্বস্ত করেছে। তবে কেবল নতুন পকল্পের জন্য ওই নিয়ম কার্যকর করা হবে। যেসব পকল্পের ক্ষেত্রে ইতিমধ্যে বাণিজ্য চুক্তি হয়ে গেছে, সেসব প্রকল্পে ওই সুযোগ রাখা হবে না। এ অবস্থায় ওই পকল্পে প্রতিযোগিতার মাধ্যমে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান নিয়োগ দেওয়া হবে না।
এদিকে এ প্রসঙ্গে পরিকল্পনা কমিশনের ভৌত অবকাঠামো বিভাগের প্রধান মো. এনায়েত হোসেন জানান, প্রকল্পের চূড়ান্ত অনুমোদন পেতে হলে রেলওয়েকে বাস্তবসম্মত ব্যয় নির্ধারণসহ কিছু শর্ত মানতে হবে। পিইসি সভায় ওসব শর্ত আরোপ করা হয়েছে। কেবল শর্তপূরণ করে ডিপিপি পুনর্গঠন করা হলেই প্রকল্পটি চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের (একনেক) সভায় উত্থাপন করা হবে।

Image Gallary

 
1 / 3
   
Caption Text
 
2 / 3
   
Caption Two
 
3 / 3
   
Caption Three