ছবি ভাইরাল হওয়া ফরিদার পরিবারের দায়িত্ব নিলেন কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক

admin July 13, 2018
রাজধানীর কলাবাগানের ওভারব্রিজের নিচে জ্বরে আক্রান্ত হয়ে পড়েছিলেন ফরিদা নামের এক নারী। তার দুই শিশুপুত্র মাকে বাঁচাতে বোতল দিয়ে মাথায় পানি দিচ্ছিল। এই দৃশ্যটির কয়েকটি ছবি পারভেজ নামের এক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ফেসবুকে পোস্ট করলে মুহূর্তেই ভাইরাল হয়ে যায়। পরে পারভেজ তার কয়েকজন বন্ধুসহ ফরিদাকে হাসপাতালে নিয়ে যান।  ফরিদার বাড়ি কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলার ইসলামপুর গ্রামে। তিনি রাজধানীর কলাবাগান ওভারব্রিজের নিচে একটি খুপড়ি ঘরে থাকেন। 

১০ জুলাই, মঙ্গলবার একটি সভায় অংশ নিতে ঢাকায় এসেছিলেন কুড়িগ্রামের জেলা প্রশাসক (ডিসি) সুলতানা পারভীন। ফরিদার বিষয়টি তার নজরে এলে বুধবার (১১ জুলাই) সকালে কলাবাগান ওভারব্রিজের নিচে ফরিদা ও তার সন্তানদের দেখতে যান সুলতানা পারভীন। পরে ফরিদা ও তার পরিবারের দায়িত্ব নেওয়ারও আশ্বাস দেন তিনি।

এ বিষয়ে সুলতানা জানান, ফরিদা ও তার পরিবার কোনো আশ্রয় পেলে তাদের গ্রামে ফিরে যেতে চান। উলিপুরের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) মাধ্যমে তিনি খোঁজখবর নিয়ে জেনেছেন, ফরিদার যে গ্রাম ছিল, সেখানে খাস জমি আছে। সেখানেই তাদের বাড়ি করে দেওয়া হবে। কুড়িগ্রামের ডিসি বলেন, ‘তারা আগে যে গ্রামে ছিলেন, সেখানে এখন তাদের কিছু নাই। ঢাকা থেকে উলিপুর যাওয়ার পর তো তাদের থাকতে হবে। সে জন্য সেখানকার ইউএনওকে তাদের থাকার ব্যবস্থা করতে বলেছি। সে ক্ষেত্রে হয়তো সরকারি কোনো বাড়িতে আপাতত তাদের থাকতে দেওয়া হবে।

সুলতানা পারভীন বলেন, ‘বর্তমান সরকার সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিচ্ছে যে, কেউ গৃহহীন থাকবে না। সেই মানবিকতা তো আমাদেরও থাকতে হবে। তাদের তো খুব বেশি কিছু চাওয়ার নেই। মানবিকতার জায়গা থেকে তাদেরকে একটা বাড়ি করে দেবো। সঙ্গে চলার একটু ব্যবস্থা করে দেবো। বাড়ি তৈরির কাজ শেষ হলে তারা তাদের ঘরে উঠবেন। তারা বলছেন, গরু হলে তারা পালতে পারবেন। সে জন্য ওদেরকে গরু কিনে দেবো। ওর স্বামী নাকি একটু অসুস্থ। যদি তার স্বামী দোকান করতে পারে, তাহলে তাকে একটা দোকান দিয়ে দেবো।’

‘মানবিকতার জায়গা থেকে তাদেরকে একটা বাড়ি করে দেবো। সঙ্গে চলার একটু ব্যবস্থা করে দেবো। বাড়ি তৈরির কাজ শেষ হলে তারা তাদের ঘরে উঠবেন। তারা বলছেন, গরু হলে তারা পালতে পারবেন। সে জন্য ওদেরকে গরু কিনে দেবো। ওর স্বামী নাকি একটু অসুস্থ। যদি তার স্বামী দোকান করতে পারে, তাহলে তাকে একটা দোকান দিয়ে দেবো।’

ফরিদার তিন ছেলে-মেয়েই খুব অল্প বয়সী। এর মধ্যে মেয়েটি আবার শারীরিক প্রতিবন্ধী। মেয়েটিকে প্রতিবন্ধী কার্ড করে দেওয়া হবে। ফরিদার অন্য দুই শিশু সন্তানও যাতে স্কুলে যায়, সেই ব্যবস্থাও করা হবে বলে জানান এই জেলা প্রশাসক। ঘটনাটি শোনার পর থেকে ফরিদার পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছিলেন ঢাকার কুড়িগ্রাম সমিতির মহাসচিব সাইদুল আবেদীন ডলার। রাজধানীর কলাবাগানে ডিসির সঙ্গে ফরিদা ও তার পরিবারকে দেখতে যান তিনিও।

সাইদুল জানান, বৃহস্পতিবার (১২ জুলাই) রাতে ফরিদা ও তার পরিবার বাসে করে কুড়িগ্রামের উদ্দেশে রওনা হয়েছে। বাড়ি পৌঁছানোর দায়িত্বে আছে ঢাকার কুড়িগ্রাম সমিতি। সাইদুল আবেদীন বলেন, ‘ফরিদা ও তার পরিবারকে সাহায্য করার জন্য দেশের বাইরে থেকে কয়েকজন এখন পর্যন্ত প্রায় ৩০ থেকে ৩৫ হাজার টাকা পাঠিয়েছেন। এই টাকাও ফরিদার পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হবে।’

এই বিভাগের আরও খবর

পরবর্তী পোস্ট
« Prev Post
পূর্বের পোস্ট
Next Post »
নিচের বক্সে মন্তব্য লিখুন

Disqus
আপনার মন্তব্য যোগ করুন

No comments

Image Gallary

 
1 / 3
   
Caption Text
 
2 / 3
   
Caption Two
 
3 / 3
   
Caption Three